নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিরাপদ প্লাস্টিক বোতল চিনেন তো? না জানলে জেনে নিন।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৯






দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের বোতল বা পাত্র ব্যবহারে আমরা সকলেই অভ্যস্ত। পানির বোতল, সফট ড্রিংকের বোতল, টিফিন বাক্স, আইসক্রিম বাক্স, সিরাপ জাতীয় ওষুধের বোতল, জগ, মগ, পেয়ালাসহ প্রভৃতি কিছু প্লাস্টিকের হয়ে থাকে।
অর্থাৎ প্লাস্টিকের পাত্র প্রতিনিয়ত আমাদের কোনো না কোনোভাবে ব্যবহার করা লাগেই। কিন্তু কখনো কী খেয়াল করেছেন, প্লাস্টিকের পাত্রে লেখা থাকা বিভিন্ন লেখাগুলোকে। বিশেষ করে প্লাস্টিকের বোতল বা পাত্রের তলায় কিংবা নিচের দিকে থাকা ত্রিভুজ চিহ্নটিকে?
প্রতিটি প্লাস্টিকের পাত্রের তলায় কিংবা নিচের দিকে খেয়াল করলে দেখবেন, ত্রিভুজ চিহ্নটির ভেতরে বিভিন্ন নম্বর লেখা রয়েছে।
এই নম্বরগুলো আসলে ওই প্লাস্টিকের মান নির্ধারণ করে। অর্থাৎ প্লাস্টিকের পাত্রটি কতখানি নিরাপদ বা অনিরাপদ, তা ত্রিভুজ চিহ্নের মধ্যে থাকা নম্বরটির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
সুতরাং জেনে নিন, প্লাস্টিক পণ্যে থাকা ত্রিভুজ চিহ্নটির মধ্যে থাকা কোন নম্বর কী অর্থ প্রকাশ করে।
ত্রিভুজ চিহ্নের মধ্যে ‘১’ নম্বর লেখা দেখলে বুঝবেন, প্লাস্টিক পাত্রটি পলিথিলিন টেরেফথালেট (পেট) দিয়ে নির্মিত। বোতলবন্দি পানি এবং সফট ড্রিংকের বোতল এটা দিয়েই তৈরি। একবার ব্যবহারের জন্য এসব প্লাস্টিকের বোতল নিরাপদ। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তাই মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই এসব বোতল ব্যবহার করুন। এবং গরম স্থানে এসব বোতল রাখবেন না। এসব বোতলের গায়ে দেখবেন লেখা রয়েছে, ব্যবহারের পর তা ধ্বংস করে ফেলার জন্য।
ত্রিভুজ চিহ্নের মধ্যে ‘২’ নম্বর দেওয়া থাকলে বুঝবেন, এটি উচ্চ ঘনত্বের পলিথিন দিয়ে তৈরি। শ্যাম্পুর বোতল এবং ডিজারজেন্ট ঘরানার প্যাকেট তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হয়।
ত্রিভুজ চিহ্নের মধ্যে ‘৩’ নম্বর লেখা দেখতে বুঝবেন, এই ধরনের প্লাস্টিক ব্যবহার না করার জন্য এটি একটি সতর্কতাসংকেত। কারণ ‘৩’ নম্বর লেখা প্লাস্টিকগুলো পলিভিনাইল ক্লোরাইড বা পিভিসি দিয়ে তৈরি, যা থেকে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কয়েক ধরনের খাবারের আইটেমের পাত্র এ ধরনের প্লাস্টিকের অন্তর্ভুক্ত। যেমন, চিনাবাদাম, মাখনের বয়াম প্রভৃতি। এ ধরনের প্লাস্টিকের পাত্রে কোনো গরম খাবার রাখবেন না।
ত্রিভুজ চিহ্নের মধ্যে যদি ‘৪’ নম্বর লেখা দেখেন, তাহলে বুঝবেন এই প্লাস্টিকটি রিইউজেবল বা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য। শপিংয়ের সময় যে প্লাস্টিকের ব্যাগ দেওয়া হয় তা এ ধরনের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি।
ত্রিভুজ চিহ্নের মধ্যে যদি ‘৫’ নম্বর লেখা দেখেন, তাহলে বুঝবেন এই প্লাস্টিকের পাত্র ক্ষতিকারক নয়। সম্পূর্ণ নিরাপদ। আইসক্রিম বক্স, সিরাপ বোতল অর্থাৎ এ ধরনের বিভিন্ন খাবার ও ওষুধ রাখা হয় এ ধরনের প্লাস্টিকে।
ত্রিভুজ চিহ্নের মধ্যে যদি ‘৬’ কিংবা ‘৭’ নম্বর দেখেন তাহলে বুঝবেন এই প্লাস্টিক পণ্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এ ধরনের প্লাস্টিক পণ্য পলিস্টেরিন কিংবা পলিকার্বোনেট বাইস্ফেনল-এ (বিপিএ) দিয়ে তৈরি। যা মানবদেহের ক্ষতিসাধন করে। ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি সৃষ্টি করে। সাধারণত প্লাস্টিকের চামচ, প্লাস্টিকের কাঁটাচামচ ইত্যাদি পণ্য তৈরি হয় এ ধরনের প্লাস্টিকে।










প্লাস্টিকের বোতলে পানি খাওয়া কতটা ক্ষতিকর জানেন? হতে পারে স্তন ক্যান্সার!



বাড়িতে জগ বা গ্লাসে করে পানি খাওয়ার অভ্যেসকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে প্লাস্টিকের বোতল। ঠান্ডা পানীয়, তা সে সফট ড্রিঙ্ক হোক কিংবা মিনারেল ওয়াটার— তার বোতল এখন যেন সর্বক্ষণের সঙ্গী। বাড়িতে হোক বা রাস্তায়, এই বোতলের জুড়ি নেই। অথচ এই বোতলে পানি খাওয়া যে কতটা মারাত্মক, তার খবর বেশির ভাগ মানুষই রাখেন না।



স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এই ধরনের বোতল থেকে পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই বোতলগুলি তৈরি হয় পলিথিলিন টেরেফথ্যালেট (পেট) দিয়ে। উচ্চ তাপমাত্রায় বোতল থাকলে ওই উপাদান পানিতে মিশে যেতে পারে। এতে পানি বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে।
সাধারণ ভাবে ওই বোতলগুলি এক বার ব্যবহার করেই ফেলে দেওয়ার কথা। বার বার ব্যবহার করে গেলে স্থূলত্ব, ডায়াবেটিস এমনকী ক্যানসারের মতো ভয়ঙ্কর রোগও হতে পারে।



ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, গবেষক মেরিলিন গ্লেনভিলের মতে, প্লাস্টিক বোতল থেকে এমন সব উপাদান পাওয়া গিয়েছে, যার থেকে হরমোনের অসুখ এবং স্তনের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ট্রেডমিলরিভিউস.কমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্লাস্টিকের বোতল টানা ব্যবহার করে গেলে ইকোলাই-এর মতো অসুখের জীবাণুর জন্ম দিতে পারে।
তা হলে উপায় কি? কোন ধরনের বোতল নিরাপদ? ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, স্টেইনলেস স্টিল কিংবা অ্যালুমিনিয়ামের বোতল অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। তবে সেটাও খুব বেশিদিন ধরে ব্যবহার করে যাওয়া ঠিক নয়।
সেই হিসেবে কাচের বোতল ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ। তবে এ কথাও ঠিক, কাচের বোতল নিয়ে রাস্তায় বেরনো বেশ দুরুহ।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.