নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনগনের হাতে অস্ত্র তুলে দিলে এমন হবে নাতো কি হবে? জানার অধিকার আছে সকল মানুষের।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩



BREAKING: Authorities say gunman kills five people, self in Bakersfield, California.
— The Associated Press (@AP)
September 13, 2018


ফের রক্তাক্ত আমেরিকা৷ এবার বন্দুকবাজের শিকার পাঁচজন নিরীহ মানুষ৷ বৃহস্পতিবার, ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের বেকার্সফিল্ড এলাকায় হামলা চালায় এক বন্দুকধারী৷ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান পাঁচজন৷



মার্কিন সংবিধানের মতে দেশের নাগরিকরা আত্মরক্ষার জন্য বন্দুক ব্যবহার করতে পারে| ফলে ওই দেশে অস্ত্রআইন অনেকটাই শিথিল| এবং কয়েকটি ডলার ফেললেই সহজে হাতে চলে আসে অত্যাধুনিক রাইফেলও৷


হোয়াইট হাউজ বলছে, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন কাজ।
আমেরিকার বিভিন্ন মহল থেকে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের যে দাবি উঠেছে তা বাস্তবায়ন করা আসলেই বেশ কঠিন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। কারণ তাদের মতে, মার্কিন সংস্কৃতি ও ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং সংবিধানের বিষয়টি মাথায় রেখে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অবাধ অস্ত্র বহনের সমর্থকদের বক্তব্য হচ্ছে, সংবিধানে নতুন করে সম্পূরক আইন প্রণয়ন করা ছাড়া অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই যারা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের কথা বলছেন তারা এত সহজে এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবেন না।
আমেরিকায় অস্ত্র নির্মাণ শিল্প ও অস্ত্র ব্যবসা সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। অস্ত্র নির্মাণ কোম্পানির মালিকরা প্রতি বছর এ ব্যবসা করে কোটি কোটি ডলার মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন। এমনি আমেরিকা সরকারের অর্থ আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উতস হচ্ছে এসব অস্ত্র নির্মাণ কোম্পানির মালিকদের দেয়া কর। অতএব দেশ পরিচালনার জন্য সরকারও এখান থেকে বিপুল অংকের অর্থ উপার্জন করতে পারছে। আমেরিকার নির্বাচনে অস্ত্র নির্মাণ কোম্পানির মালিকদের বিরাট প্রভাব রয়েছে। যে প্রার্থী আমেরিকায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের কথা বলবে না এবং অস্ত্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করবে, অস্ত্র ব্যবসায়ীরা কেবল ওই প্রার্থীকেই ক্ষমতায় বসাতে চায়। পছন্দের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য ব্যবসায়ীরা নির্বাচনের সময় কোটি কোটি ডলার তাদের পেছনে ব্যয় করে।
অবাধে অস্ত্র রাখার সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত আমেরিকার অনেক সাধারণ মানুষও এখন অস্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিরোধী।

আসুন কিছু কথা চিন্তা করা যাক
=====

আমেরিকার এই অস্ত্র গুলো কি বাহিরের?
এই অস্ত্র গুলো কি রাশিয়া পাচার করে? উত্তর না।
এই অস্ত্র কে দেয় তাদের? উত্তর সবাই জানে। উপরে বলেছি। আমেরিকার অস্ত্র ব্যবসায়ী আছে। তারা নিজেরা উৎপাদন করে।
তারা কি সন্ত্রাসী না ভালো মানুষ এসব সার্টিফিকেট নিয়ে অস্ত্র বিক্রি করে? অবশ্যই না।
তারা ইচ্ছা করলে বাহিরের দেশে বিক্রি করতে পারে?যেকোন ভাবে?
আমি বলছি গোপন ভাবে। পারে কিনা? উত্তর হ্যা পারে।।।

কিছু কথা না জানলেই নয় তা হল।



আমেরিকার সমাজে যেখানে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জনের হাতে অস্ত্র রয়েছে সেখানে অস্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা আসলেই খুব কঠিন কাজ। অবশ্য আমেরিকায় অস্ত্রের ওপর নজরদারি কিংবা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আইন রয়েছে। এ আইনে কেবলমাত্র অস্ত্র বিক্রির নিয়ম বলে দেয়া আছে। এ আইনে যার কাছে অস্ত্র বিক্রি করা হবে তার ব্যক্তি জীবনে অতীতে অপরাধের কোনো ঘটনা আছে কিনা তা যাচাই করে নেয়ার কথা বলা হয়েছে কিংবা ক্রেতার মানসিক সমস্যা আছে কিনা সেটাও দেখার নিয়ম রয়েছে। আইনের এ দুর্বলতা কিংবা শিথিলতার কারণে খুব সহজেই মানুষের হাতে অস্ত্র পৌঁছে যাচ্ছে। কিছু নিয়ম নীতি বা সীমাবদ্ধতার কারণে যারা অস্ত্র কিনতে পারছে না তারা কালো বাজার থেকে ঠিকই অস্ত্র কিনছে এবং সমাজে অপরাধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। সমাজে যতই নিরাপত্তাহীনতা ও সহিংসতা বাড়ছে মানুষ ততই অস্ত্র কেনার দিকে ঝুঁকে পড়ছে।




আসলে, অস্ত্র বিক্রি বাবদ অর্জিত বিপুল অংকের অর্থের মালিকরা অস্ত্র স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। এমনকি নিরীহ মানুষের জীবনের বিনিময়ে হলেও তারা এ স্বাধীনতা বজায় রাখতে চায়। যাই হোক, অতীতে বহু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও মার্কিন বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ অস্ত্র বহনে অবাধ স্বাধীনতার ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে রাজি হননি। এমনকি সর্বশেষ লাস ভেগাসের হত্যাকাণ্ডের পরও তাদের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এ কারণে আগামীতে আরও বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা।




মার্কিন সংবিধানে পরিবর্তন এনে ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর কংগ্রেসে অস্ত্র বিষয়ক আইন পাস হয়। ওই আইনে আমেরিকার নাগরিকদের অস্ত্র বহন ও তা সংরক্ষণের অনুমতি দেয়া হয়। বর্তমানে মার্কিন নাগরিকদের হাতে প্রায় ২৭ কোটি অস্ত্র রয়েছে। আমেরিকায় অস্ত্রের এতবেশি ছড়াছড়ি যে গেল বছর প্রতিদিন গড়ে ৩২ জন আমেরিকান গোলাগুলীর ঘটনায় নিহত হয়েছে। এনআরআই আমেরিকায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে। কারণ অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে তারা প্রচুর লাভবান হচ্ছে।




প্রতিবছর আমেরিকায় গড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তাঁদের কেউ আত্মহত্যা করেন, কেউ অন্যের ছোড়া গুলিতে নিহত হন। ১ অক্টোবর ২০১৭ লাস ভেগাসে যে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা একরকম নিয়মিতই বলা যায়। মৃতের সংখ্যা বিবেচনায়ই শুধু এ ধরনের হামলা আলোচনায় আসে। কিছুদিন বন্দুক বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে বিতর্ক চলে। তারপর আবার সব একই রকম।
এর আগে অরল্যান্ডো হামলায় ৪৯ জন নিহত হওয়ার পরও একই বিষয় আলোচনায় এসেছিল। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। বরং চলতি বছর ওবামার সময় করা বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনটিও বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু এখন লাস ভেগাসের হামলায় ৫৮ জন নিহত ও পাঁচ শতাধিক আহত হওয়ার পর বন্দুক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা আবারও জমে উঠেছে। যদিও এসব আলোচনার কোনো সুনির্দিষ্ট পথ বাতলে দেওয়ার সক্ষমতা নিয়ে যথেষ্টই সন্দেহ রয়েছে।

আমেরিকার রয়েছে এক অদ্ভুত ‘বন্দুক সংস্কৃতি’। দেশটির মানুষের একটি বড় অংশেরই নিজের কাছে বন্দুক রাখা নিয়ে রয়েছে ব্যাপক পক্ষপাত। অনেকেই এটিকে নিজেদের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে। বিশ্বের আর কোথাও এমন সংস্কৃতি দেখা যায় না।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব জাস্টিসের (এনআইজে) ২০০৯ সালের তথ্যমতে, আমেরিকার বেসামরিক মানুষের হাতে রয়েছে আনুমানিক ৩১০ মিলিয়ন (৩১ কোটি) বন্দুক। এ ক্ষেত্রে এর পরের অবস্থানে ভারত থাকলেও এর সঙ্গে আমেরিকার তুলনা চলে না। কারণ, সব মিলিয়ে ভারতে বেসামরিক মানুষের হাতে ৪৬ মিলিয়ন বন্দুক রয়েছে। আর সুইজারল্যান্ডভিত্তিক স্মল আর্মস সার্ভের (এসএএস) তথ্যমতে, সারা বিশ্বে বেসামরিক মানুষের হাতে থাকা অস্ত্রের পরিমাণ ৬৫০ মিলিয়ন বা ৬৫ কোটি। অর্থাৎ সারা বিশ্বে বেসামরিক মানুষের কাছে থাকা অস্ত্রের প্রায় অর্ধেকই রয়েছে আমেরিকায়। বলার অপেক্ষা রাখে না, এসবই বৈধ অস্ত্রের হিসাব, তা-ও আবার প্রায় এক দশক আগের। সংঘাতপূর্ণ বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বেসামরিক মানুষের হাতে থাকা সব অস্ত্রের হদিস দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে এসএএস।






মানুষের জীবনের মূল্য বেশি নাকি অস্ত্র ব্যবসা?

এই প্রশ্ন কাকে করবেন? কে করবেন? আপনি? আমি/ না।।। কে করবে?
আমেরিকার জনগণ আসলে কেমন? তাদের চাওয়া কেমন তা বুঝা যায় তারা নারী
প্রেসিডেন্ট না গ্রহন করে ট্রাম্প কে করেছে। এর পিছনে হাত আছে লাখো আমেরিকান ধনাট্য ব্যবসায়ী দের।।।



লাগাম লাগানো কারো ক্ষমতা নাই।

আগে রাজা বাদশা গন দেশ দখল করতো।আর নিজের মতবাদ ছড়াতো।
নিজের মতাদর্শ ধর্ম এসব।

এখন প্রেসিডেন্ট রা বাজার দখল করে। অস্ত্রের বাজার। তারা সারা পৃথিবীতে গণতন্ত্র নামক মিথ্যা বাণী প্রচার করে।
আর বাজার দখল করে। বলে আমার কাছ থেকে অস্ত্র কিনো। শান্তিতে থাকতে পারবে। তারা ধনতন্ত্র কায়েম করে।
ধনতন্ত্র কে পুজা করে আর সাধারণ জনকগনকে গণতন্ত্রবাদী মাদবাদ মুখস্ত করায়।।।
চীন, আমেরিকা, রাশিয়া ভারত সবাই অস্ত্র বিক্রি করে।
গরীব দেশ গুলো অস্ত্র ক্রয় করে। শান্তিতে থাকার জন্য।।


আমেরিকার অস্ত্র জনগনের হাতেই এতো। যা তারা নিজেরাও লাগাম ধরতে পারছে না।।
আসুন জেনে নিই আরো কিছু।



আরেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপের তথ্য বলছে, আমেরিকার প্রতি দশ জনে চারজনের কাছেই অস্ত্র রয়েছে। আর ৪৮ শতাংশই বেড়ে উঠেছেন এমন ঘর ও পরিবেশে, যেখানে ছিল অস্ত্রের মজুত। এসব অস্ত্রধারী বেসামরিক মানুষের আবার ৬৬ শতাংশের কাছে রয়েছে একাধিক বন্দুক। আর জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের এক-তৃতীয়াংশই জানিয়েছেন, তাঁরা অস্ত্র ছাড়া বেঁচে থাকাটা কল্পনাই করতে পারেন না। মাথাপিছু হিসাবে আমেরিকায় ৮৯ শতাংশ মানুষের হাতে বন্দুক রয়েছে। এর পরেই রয়েছে ইয়েমেন। মাথাপিছু হিসাবে দেশটির ৫৫ শতাংশ মানুষের হাতে অস্ত্র রয়েছে। এখানে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির বিষয়টি মনে রাখা প্রয়োজন।
আর গণবন্দুক হামলার প্রসঙ্গ এলে আমেরিকা এককথায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ১ অক্টোবরের আগে সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার ঘটনাটি ঘটে অরল্যান্ডোয় ২০১৬ সালে, যেখানে নিহত হয়েছিল ৪৯ জন। এর আগে ২০১২ সালে কানেকটিকাটের নিউটাউনে স্যান্ডি হুক স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত হয় ২৬ জন। এর মধ্যে ২০ জনই ছিল শিশু। আর ২০০৭ সালে ভার্জিনিয়া টেকে চালানো বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছিল ৩২ জন। মনে রাখা প্রয়োজন, এসবই বন্দুক হামলার বড় ঘটনা। এসব ঘটনার ফাঁক-ফোকরে ছোটখাটো অনেক ঘটনা রয়েছে।
বড় ধরনের বন্দুক হামলার ঘটনাগুলো অবধারিতভাবেই সামনে নিয়ে আসে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে ধ্রুপদি বিতর্কটিকে, যেমনটা এনেছিল স্যান্ডি হুক স্কুল। সে সময় বিতর্কটি বেশ জমে ওঠে। তখনকার ওবামা প্রশাসন কঠোর বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির কাছে বন্দুক বিক্রয়ে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেই সে প্রচেষ্টায় ক্ষান্ত দিতে হয়, যা মাত্র কয়েক মাস আগে তুলে নেওয়া হয়।
বন্দুক হামলার পর বিদ্যমান আইনকে কঠোর করার দাবিটি হচ্ছে বিতর্কের একটি দিক। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, বন্দুক হামলায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটলে এ আইন আরও নমনীয় করার দাবিটিও একই সঙ্গে উচ্চারিত হয়। লাস ভেগাসের ঘটনার পরও তা ঘটছে। এ ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার্থে নিজের কাছে বন্দুক রাখা ও তা বহন করাকে অধিকার হিসেবে বর্ণনা করা হয়। যদিও পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণার তথ্যমতে, প্রতিবছর বন্দুকের গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের ৫০ শতাংশেরও বেশি আত্মহত্যার ঘটনা।
এ ধরনের সহিংসতার বিপরীতে কঠোর বন্দুক আইনের কার্যকারিতা বিশ্বজুড়েই প্রমাণিত। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় চারটি বড় গণবন্দুক হামলার ঘটনা ঘটলে বেসামরিক মানুষের হাতে বন্দুকের মালিকানার বিরুদ্ধে দেশটিতে জনমত গড়ে ওঠে। সে সময় দেশটির পার্লামেন্ট বন্দুক বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি আইন করে। এরপর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বড় ধরনের কোনো বন্দুক হামলার ঘটনা আর ঘটেনি। তবে অস্ট্রেলিয়ার মতো কোনো সমাধানে পৌঁছানো আমেরিকার পক্ষে কঠিন। কারণ, ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলীয় সরকারের আহ্বানে ৬০ হাজার রাইফেল জমা দিয়ে অর্থ ফেরত নেন সংশ্লিষ্ট অস্ত্রের মালিকেরা। আমেরিকায় এটি করতে গেলে ফেরত নিতে হবে প্রায় ৯০ মিলিয়ন অস্ত্র, যার অর্থমূল্য হবে কয়েক বিলিয়ন ডলার।
রয়েছে সামাজিক সম্মতির বিষয়ও। আমেরিকায় এ-বিষয়ক বিতর্কের কেন্দ্রে সব সময়ই রয়েছে সহিংসতা বন্ধে কঠোর নাকি নমনীয় বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োজনীয়তার প্রশ্নটি। অর্থাৎ সহিংসতার মাত্রা যা-ই হোক না কেন, আমেরিকানরা ঐতিহাসিকভাবেই এ প্রশ্নের উত্তর নিয়ে সংশয়াচ্ছন্ন। নমনীয় বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষাবলম্বনকারী ব্যক্তিরা একে নাগরিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করছেন। কিন্তু এর পেছনে দ্বিদলীয় রাজনীতির সমীকরণ, রিপাবলিকান রাজনীতিতে ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের (এনআরএ) প্রভাব, অস্ত্র উৎপাদন ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং তথাকথিত বন্দুক সংস্কৃতির যে যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে, তা চোখ বন্ধ করেই বলা যায়।
ফলে লাস ভেগাসের ঘটনায় কংগ্রেসের নেতাদের মধ্যে শুরু হওয়া তোড়জোড় কিংবা ‘সত্যিকারের পদক্ষেপ’ গ্রহণের যে দাবি উঠেছে, তার খুব একটা আশা দেখছেন না বিশ্লেষকেরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদনে এবারের প্রচেষ্টায় ‘বাম্প স্টকস’ নিষিদ্ধ করতে পারলেই তা বড় অর্জন হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ বিশেষ সরঞ্জাম দিয়ে সেমি অটোমেটিক রাইফেলকে সম্পূর্ণ অটোমেটিক রাইফেলে রূপান্তর করা যায়। এনআরএ বাম্প স্টকসের বিক্রি বাড়াতে বিশেষ প্রচার চালায়। এমনকি এ ক্ষেত্রে সংস্থাটি বিশেষ ছাড়ও দিয়ে থাকে।
এ ক্ষেত্রে এনআরএ বন্দুক রাখার অধিকারের বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে থাকা রক্ষণশীল ধারণাটিই ব্যবহার করে। অস্ত্র আইনের অন্তঃসারশূন্যতা প্রমাণে সংস্থাটির প্রচারও এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। স্যান্ডি হুক স্কুলের ঘটনার কিছুদিন পর ২০১৩ সালে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী ড্যান কাহান একটি গবেষণা করেন। সামাজিক সমস্যা নিয়ে হওয়া বিভিন্ন বিতর্ক কেন শেষ পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত ফল আনতে পারে না, তা নিরূপণ করাই ছিল এর লক্ষ্য। দুটি ধাপে গবেষণাটি করা হয়। প্রথম ধাপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে গাণিতিক ও যুক্তিবোধের দিক থেকে এগিয়ে থাকা অংশটিকে চিহ্নিত করা হয়। এরপরই সামনে হাজির করা হয় বন্দুক আইন কঠোর করলে সহিংসতা কমবে কি না, এ প্রশ্নটি। কিন্তু এ পর্যায়ে যুক্তিবোধসম্পন্ন মানুষকে দেখা যায় বোধবুদ্ধি হারাতে। অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের প্রায় সবাই নিজ নিজ রাজনৈতিক অবস্থান থেকেই এর উত্তর হাজির করেন। অর্থাৎ বুদ্ধি বিবেচনায় যত উন্নতই হোক না কেন, সামাজিক সংকটের সমাধান খুঁজতে গিয়ে মানুষ একধরনের গোত্র সংস্কৃতিরই ধারক হয়ে ওঠে শেষ পর্যন্ত। আর এটিই আমেরিকার বন্দুক আইন নিয়ে বিতর্কটিকে অনিঃশেষ এক বাগ্যুদ্ধে পরিণত করেছে।
তবে কংগ্রেসে সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত একটি বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন এবার হয়েও যেতে পারে। কারণ, বর্তমান আমেরিকায় এমন কোনো আইনের অস্তিত্ব আদৌ নেই। এ ক্ষেত্রে যেকোনো পদক্ষেপ নিয়েই ‘বিরাট কিছু করা হয়েছে’ প্রতীয়মান করে কংগ্রেসের সামনে ‘নায়ক’ বনে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক বিতর্কের ভিড়ে কোনো ‘সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবের অনুপস্থিতি’ই এর সবচেয়ে বড় কারণ।





যে দেশের ৩২ কোটি মানুষের হাতে ২৯ কোটি অস্ত্র! একবার ভেবে দেখুন


একটি দেশের ৩২ কোটি নাগরিকের মধ্যে ২৯ কোটি মানুষের হাতে অস্ত্রের থাকা। এর ফলও মারাত্মক আকার ধারণ করছে দেশটিতে। দেশটির নাম যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলিতে সাধারণ মানুষ নিহত হওয়া প্রতিদিনের ঘটনা। গত বুধবারও দেশটির এক স্কুলে সাবেক ছাত্রের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। এমন গোলাগুলির ঘটনার পরই কিছু তাক লাগানো তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটিতে ঘটা এমন ঘটনার হিসাব রাখতে থাকা একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান ‘গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ’।
১. প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে এলোপাতাড়ি গুলিতে (Mass Shooting) ৩৪৬ জন নিহত হন। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ৪৩২, এবং ২০১৫ তে এটি ছিল ৩৬৯।
২. যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ এলোপাতাড়ি গোলাগুলির (Mass Shooting) থেকে ‘বড় ধরনের এলোপাতাড়ি গুলি’ (Major Mass Shooting) কে আলাদা করে দেখা হয়। কোনো ঘটনায় চারজনের বেশি লোক নিহত হলে সেই ঘটনাকে ‘মেজর ম্যাস শুটিং’ বলা হয়। ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গড়ে প্রতি ৭২ দিনের ব্যবধানে একটি বড় ধরনের এলোপাড়াতি গুলির ঘটনা ঘটে। ২০০০ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত এই ব্যবধান ছিল ১৬২ দিন। অর্থাৎ, দিন দিন এমন ঘটনার হার বেড়েই চলেছে। গত বছরের অক্টোবর মাসে লাস ভেগাসে বন্দুক হামলায় নিহত ৫৮ জনকে এই কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে



৩. গোলাগুলির কোনো বড় ঘটনার পর আমেরিকাজুড়ে ‘অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দাবি উঠলেও আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে যায় অস্ত্র বিক্রি। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়Ñ ২০১৫ সালের নভেম্বরে সান বার্নান্দিনোতে আগ্নেয়াস্ত্র হামলায় ১৪ জন নিহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ওবামা প্রশাসন অস্ত্র আইনে কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দেয়। কিš ডিসেম্বর মাসে দেখা যায় ব্যক্তিগত অস্ত্র কেনার হিড়িক পড়েছে মার্কিনীদের মধ্যে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, নতুন হামলায় নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই অস্ত্র কেনায় আগ্রহী হন সাধারণ মানুষ।
৪. একই দিনে একাধিক ¯ানে এলোপাতাড়ির গোলাগুলির ঘটনায় হত্যার ঘটনাও ঘটছে। গত বছরের অক্টোবরে একই দিনে মান্দালা উপক‚লে এবং কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। উভয় ঘটনায় ৬২ জন নিহত হন।
৫. সাধারণ মানুষের অস্ত্রের বৈধ মালিকানার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে শীর্ষ ¯ানয়ি। দেশটির শতকরা ৯০ শতাংশ মানুষের বৈধভাবে ব্যক্তিগত অস্ত্র রয়েছে। দেশটিতে ৩২ কোটি মানুষের হাতে ২৯ কোটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। ২০০৭ সালের এক হিসাব মতেÑ যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ মানুষের কাছে ২৫ থেকে ২৯ কোটি অস্ত্র রয়েছে। বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা ৩২ কোটির একটু বেশি।
৬. ম্যাস শুটিং বা এলোপাতাড়ি গুলি নিয়ে এতো তথ্য দিলেও যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলিতে নিহতের সংখ্যার খুবই নগণ্য অংশ এ ধরনের ঘটনায় হয়ে থাকে। ২০০১ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ১৩ বছরে দেশটিতে গুলিতে নিহতের সংখ্যা চার লাখ ছয় হাজার ৪৯৬ জন। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এ তথ্য দিয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ ৩৭ হাজার ৫২ জন আত্মহত্যা করেছে যা আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে। এক লাখ ৫৩ হাজার ১৪৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া সাড়ে আট হাজার জন দুর্ঘটনায় গুলিতে নিহত হয়েছেন। পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে চার হাজার ৭৭৮ জনকে।
৭. অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দিক থেকে মার্কিনীরা পুরোপুরি দ্বিধাবিভক্ত। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসের এক জরিপে দেখা গেছেÑ ৪৭ শতাংশ মার্কিনী নিজেদের হাতে বন্দুক রাখার পক্ষে। আর ৫১ শতাংশ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পক্ষে। আগের দশক থেকে ব্যক্তিগত অস্ত্র রাখার পক্ষে জনমত বাড়ছে। ১৯৯৯ সালে ৬৫ শতাংশ লোক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
ছাত্রছাত্রীদের আকুতি: অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিকারবিহীন মৃত্যুতে গান বিরোধী বিক্ষোভে টালমাটাল আমেরিকা। বিভিন্ন তথ্যে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত দেড় মাসে ১৮টি স্কুলে বন্দুক হামলা হয়েছে। এ সব হামলায় অনেক শিশু- কিশোর প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছে অনেকে। গত দেড় মাসে যে ১৮টি স্কুলে বন্দুক হামলা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- শিয়াটল ওয়াশিংটন, লসএঞ্জেলেস, সানবানডিনো ক্যালিফোর্নিয়া, সারিয়াবিস্তা এরিজোনা, ম্যাপেলউড ইন্ডিয়ানা, ডিয়ারবন মায়ামি, স্টেট জোন্স মায়ামী, বেন্টন ক্যান্সাস, ডিনিসন টেক্সাস, মবলি আলাবামা, জেন্টেলি লসএ্যাঞ্জেলেস, ব্রঙ্কস নিউইয়র্ক, ওকসন ম্যারিল্যান্ড, পিলডেলফিয়া, উইংসনটর নর্থক্যারোলিনা ও পার্কল্যান্ড ফ্লোরিডা।







এমনকি আংশিকভাবে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক বিক্রি বন্ধ বা ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষার ব্যবসা করার আইন পাস করানো পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।
কিন্তু কেন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক বিক্রি বন্ধ প্রায় অসম্ভব। পিউ রিচার্স বলছে, দেশটির ৭৪ শতাংশ মানুষ বন্দুক থাকাকে তাদের অধিকার বলে মনে করেন।


এইবার আমি আপনাকে কয়টা প্রশ্ন করবো।।।


১)যে দেশে এত অস্ত্র ঝনঝনানি সে দেশে কিছু মানুষ মানুষের হাতে খুন হলে তার দায় কার?
২)যে দেশে ৭৪%মানুষ অস্ত্র হাতে রাখাকে অধিকার ভাবে তারা কেমন মানসিকতার অধিকারী?

৩)যে দেশের নেতাগন বলে স্কুলের শিক্ষকদের অস্ত্র ট্রেনিং দেওয়া দরকার তারা আসলে কি চায়?
৪)যারা এতো অস্ত্র নিয়ে খেলা করে তার হিংস্র নাকি কোমলমতি?

৫)তারা যদি কোন জাতির প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে। আর সেই জাতিকে শেষ করতে আমেরিকার সৈন্য
পাঠায় তাদের অবস্থা কি হবে?
আজ ভাবার বিষয় সারা দুনিয়ার সব ক্ষমতা শীল দেশ অস্ত্র ব্যবসায়ী। তারা যাকে তাকে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে।





মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ওরা কত ডেঞ্জারাস। স্কুলে বন্দুক নিয়ে যায়। আর গুলাগুলি করে

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ওরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মিলে না। শুধু সুখ চলে যায়, ওরা ভুলে যায় কারে ছেড়ে কারে ওরা চায় ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: প্রতি ১জন আমেরিকান ৩টি অস্ত্রের মালিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.