নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ যাদের জন্মদিন

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। যিনি বিশ্বের মানুষের কাছে মহাত্মা গান্ধী নামেই বেশি পরিচিত। ২ অক্টোবর তার জন্মদিন।
বিশ্বের অনন্য রাজনীতিবিদদের তালিকায় তার নাম অনেক উপরে। তিনি ভারতের জাতির জনক ও সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা।
১৮৬৯ সালে ব্রিটিশ ভারতের গুজরাটে তার জন্ম হয়। হিন্দু বৈশ্য গোত্রেম ও মোধ পরিবারে জন্ম নেওয়া মোহনদাস করমচাঁদের বাবা করমচাঁদ গান্ধী ছিলেন পোরবন্দরের দেওয়ান (প্রধানমন্ত্রী)।
ইতিহাসের পাতা খুললেই উঠে আসে তার নাম। ইতিহাস ঘুরলে দেখা যায়, ব্রিটিশ আইনজীবী গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকায় নিপীড়িত ভারতীয় সম্প্রদায়ের নাগরিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন দিয়ে প্রথম তিনি তার অহিংস শান্তিপূর্ণ নাগরিক আন্দোলনের অভিযান শুরু করেন। ভারতের দারিদ্র দূরীকরণ, নারী স্বাধীনতা, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, বর্ণ বৈষম্য দূরীকরণে তিনি অনবদ্য ভূমিকা পালন করেন।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে ভারতকে আরও উন্নত রাষ্ট্র করার তাগিদে তিনি শুরু করেন নানা অভিযান। তার অভিযানের দেখা মেলে ১৯৩০ ও ১৯৪২ সালে। ১৯৩০ এ তিনি ভারতীয়দের লবণ করের বিরুদ্ধে চারশ কিলোমিটার দীর্ঘ ডান্ডি লবণ কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দেন। ইংরেজ শাসকদের প্রতি সরাসরি ভারত ছাড়ো আন্দোলনেরও সূত্রপাত এই মহান ব্যক্তির হাত থেকে।
এই ভারতকে ইংরেজমুক্ত ও উন্নত রাষ্ট্র তৈরির আন্দোলনের চেতনার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় ও ভারতে তাকে অনেকবার কারাবরণও করতে হয়েছে।
তার ভারতের জন্য এত কিছু করার প্রতিদান পান তখন যখন অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাজার হাজার সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে আসে নামে তার মুক্তির দাবিতে।
এই মহান নেতা নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন সত্য অনুসন্ধানের বৃহৎ উদ্দেশ্যে। তিনি তার আত্মজীবনীর নাম দিয়েছিলেন 'দ্য স্টোরি অব মাই এক্সপেরিমেন্টস ইউথ ট্রুথ' যার অর্থ সত্যকে নিয়ে আমার নিরীক্ষার গল্প।
তিনি বলেছিলেন, "আমার জীবনের অভিজ্ঞতায় উপলব্ধি করতে পেরেছি যে একমাত্র সততা ও ভালোবাসা দ্বারা পৃথিবীকে জয় করা যায়।"
বিশ্বের এই কিংবদন্তী নেতা বাংলাদেশেও এসেছিলেন ১৯৪৬ সালে। তৎকালীন বিট্রিশ ভারতের পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলায় এসেছিলেন।
এসময় ১৯৪৬ সালের ৭ নভেম্বর মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালীতে এসে দাঙ্গা উপদ্রুত দত্তপাড়ায় ক্যাম্প করে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ঘুরে দেখেন। গান্ধী তার সঙ্গীদের শান্তি ও জনকল্যাণে ব্রতী হওয়ার বার্তা দিয়ে জনসংযোগে পাঠান। ১৯৪৭ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে তিনি প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামে পদযাত্রা করেন।
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি ৭৮ বছর বয়সে ভারতের নয়াদিল্লীতে তিনি মারা যান। তার অহিংস মতবাদ এবং সত্যের পক্ষে অটল থাকার মনোভাব আজও তাকে ভারতের জাতির জনক করে রেখেছে। তার প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিবছর তার জন্মদিনে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস পালন করা হয়।
তথ্য =ইন্ডিয়ান গণমাধ্যম।।





নগরবাউল জেমস-এর জন্মদিন মঙ্গলবার। জেমসের আসল নাম ফারুক মাহফুজ আনাম। তিনি তার ভক্তদের কাছে গুরু নামেও পরিচিত। তার জন্ম ১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর নওগাঁয়। পরে তিনি সঙ্গীতের নেশায় ঘর ছেড়ে চলে আসেন চট্টগ্রামে। পরবর্তীতে ১৯৮৫-৮৬ সালের দিকে চলে আসেন ঢাকায়। চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া ব্যান্ড দল ফিলিংস-এর মাধ্যমে তিনি প্রথম খ্যাতি অর্জন করেন। ফিলিংস থেকেই ১৯৮৭ সালে বের হয় প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’।

জেমসের বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারি, যিনি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরিবারের অমতেই সংগীত চর্চা শুরু করেন জেমস। একসময় তিনি সংগীতের নেশায় ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিং নামক একটি বোর্ডিং-এ তিনি থাকতে শুরু করেন। সেখানে থেকেই তার সংগীতের ক্যারিয়ার শুরু হয়।






১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’ এর পর ফিলিংস পাল্টে হয়ে গেল নগর বাউল। তিনি নগর বাউলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।


১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ফিলিংস’ নামক একটি ব্যান্ড। জেমস নিজেই ব্যান্ডের প্রধান গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট ছিলেন। ১৯৮৭ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘ষ্টেশন রোড’ প্রকাশ পায়। যদিও অ্যালবামটি সে সময়ের শ্রোতাদের গান শোনার রুচির সাথে একটু ভিন্ন মেজাজের হওয়ায় জনপ্রিয়তা পায়নি। পরে ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’ নামের অ্যালবাম রিলিজ করে সুপার হিট হয়ে যান জেমস। এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’, ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অফ ফিলিংস’ অ্যালবাম গুলো ফিলিংস ব্যান্ড থেকে বের হয়।
এছাড়াও জেমসের অন্যান্য অ্যালবামগুলো হল নগর বাউল থেকে ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘বিজলি’। একক অ্যালবাম ‘অনন্যা’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করোনা’, ‘ঠিক আছে বন্ধু’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘তুফান’, ‘কাল যমুনা’ । এরপর তিনি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেও সফল হয়েছেন। পাশাপাশি বলিউডের ছবিতে গান গেয়েও পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। বর্তমানে দেশ-বিদেশে স্টেজ শো ব্যস্ত জেমস।


তথ্য ===ভোরের কাগজ, নিউজ বিডি, নিইজ ২৪, আরো অনেক।।।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

মিঠু পারভেজ বলেছেন: আজ কিন্তু আমার সাবেক ইয়েরও জন্মদিন!!

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: তাকে এক গুচ্ছ ফুল পাঠিয়ে দিন

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গান্ধীজীকে হত্যা করা হয়েছিল, বিড়লা হাউসে বর্তমানে স্থানটি গান্ধি স্মৃতি নামে পরিচিত ।




শুভকামনা রইল।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ।।। তথ্যটি শেয়ার করার জন্য

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০২

যাযাবর চখা বলেছেন: সবাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: তারুণ্য

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

সূর্যালোক । বলেছেন: জন্মদিনের শুভেচ্ছা ।

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: গানের টানে ঘর ছেড়েছিলেন। আজিজ বোর্ডিংয়েই বসত গেড়েছিলেন। মিউজিক করতেন আগ্রাবাদ হোটেলে। ঘুরে বেড়াতেন চট্টগ্রাম শহরের স্টেশন রোডে।
স্টেশন রোডে যাদের দেখে খুব সহজেই বেশ্যা বলা হয়, তাদের নিয়েই আপনি গেয়েছিলেন-
"স্টেশন রোডের জীবনধারা
ফুটপাতের ঐ নগরনটীরা
ভাতের আশায় দিচ্ছে শরীর
যেন ত্রিমাত্রিক জীবন্ত ছবি"

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: হুম।।। গানের টান বলে কথা।।।

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

সনেট কবি বলেছেন: তাঁর জন্য শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.