নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে এই জামাল খাশোগি (Jamal bin Ahmad Khashoggi) বিখ্যাত খাশোগি পরিবারের একজন সন্তান

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

Jamal bin Ahmad Khashoggi নাম জামাল বিন আহমেদ খাশোগি, জন্ম মদিনায়, ১৩অক্টোবর ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দ সৌদিআরব। বসবাস যুক্তরাষ্ট্র। জাতীয়তা সৌদি আরব। শিক্ষা গ্রহন ইন্ডিয়ানা স্ট্যাট ইউনিভার্সিটি। তার পেশা সাংবাদিক। তার সহধর্মিণী রাওয়িয়া আল-তুনসি (ডিভি।) হাতিচে চেংগিস নামক মেয়ের সাথে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো

জামাল খাশোগির সাথে সৌদি রাজ পরিবারের আজকের সম্পর্ক নয়। জামাল খাশোগির দাদা মুহাম্মদ খাশোগি ছিলেন সৌদিআরব এ চিকিৎসক। মুহাম্মদ খাশোগির ৬সন্তান ছিলো। তার মাঝে সামিরা খাশোগি , আদনান খাশোগি, ইসাম খাশোগি, আদিল খাশোগি, আছিয়া খাশোগি, সহির খাশোগি,
তার নাতি নাতনী দের মাঝে দদি ফায়েদ, ইমদাদ খাশোগি, জামাল খাশোগি। দদি ফায়েদ হল তার ফুফাত ভাই। আপনি ভাববেন কেন তাদের টানছি, আরে ভাই কান টানছি আমি মাথা তো আসবেই, তাই আসছে মুহাম্মদ খাশোগি আর এই দদি ফায়েদ জানতে চাইবেন না কে এই ফায়েদ, বিখ্যাত চলচিত্রকার, যাকে ডেথ অফ ডায়ানা /প্রিন্স অফ ওয়ালেস নামে সবাই চিনে।
এই সেই প্রিন্স রাজকুমার। তার মৃত্যু তাও একটা এক্সিডেন্ট বলে চালানো হয়েছিল। আর সেটা ছিল বিতর্কিত একটা হত্যাকান্ড। আপনি যেটাই বলেন। এগুলো বলার কারন হল আপনাকে জানতে হবে, সৌদি রাজ পরিবার এর আগে নিজেদের ফায়দার জন্য কি কি করেছে। তারা কি কি করতে পারে। আর আপনার জানা দরকার খাশোগি পরিবার এর মুহাম্মদ খাশোগির পরিবার সম্পর্কে। জানা দরকার তাদের পরিবার কোন হঠাৎ করে উঠে আসা কোন পরিবার নয়। তারা সৌদিআরব, মিশর এ পরিচিত বিখ্যাত একটি সনামধন্য পরিবার।
গুগল দুনিয়া সার্চ করে মুহাম্মদ খাশোগির একটা ছবিই খোঁজে পেলাম। যা উইকিপিডিয়া দিয়েছে। খাশোগি পরিবার সম্পর্কে নিউজ বেজার এর কিছু কথা নাবিলা খাশোগি হল একজন ব্যবসায়ী মহিলা। তিনি আমেরিকায় রিয়েলস্টেট এর ব্যবসা করেন। আর তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প এর সহযোগী কম্পানির সাথে ব্যবসা করেন।

তাহলে ফিরে আসা যাক জামাল খাশোগির দিকে মুহাম্মদ খাশোগির আরেক নাতি।

জামাল খাশোগির সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবনের ‘শেষ টুকরো’ ওয়াশিংটন পোস্ট ১৭ অক্টোবর প্রকাশ করেছে। জীবনের শেষ কলামেও আরব বিশ্বে অবাধ বাক-স্বাধীনতার সুযোগ চেয়েছিলেন তিনি। ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের আগেই ৭০০ শব্দের ওই নিবন্ধটি সহকারীকে পাঠিয়েছিলেন। এটি প্রকাশ করেন পত্রিকাটির বৈশ্বিক নিবন্ধ সম্পাদক কারেন আতিয়াহ।


২০১০ সালে খাশোগি আল আরব নিউজ চ্যানেলের জেনারেল ম্যানেজার পদ পান। এই চ্যানেলের মালিক ছিলেন প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল। এটি পরিচালিত হতো বাহরাইনের মানামা থেকে। কিন্তু ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরুর মাত্র এক দিনের মাথায় রাজনৈতিক কারণে চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়াশিংটনে থাকাকালে খাশোগি স্বাধীনতা ও অধিকারের স্বপক্ষে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় তিনি মতামত সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর খাশোগি সৌদি যুবরাজের সমালোচনা আরও বাড়িয়ে দেন। এমনকি নিজ দেশে থাকা অবস্থায় বাক-স্বাধীনতার পক্ষে বক্তব্য দেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডকে সৌদিআরবে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্তিরও সমালোচনা করেন।

১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি লন্ডন-ভিত্তিক সৌদি মালিকানাধীন আশারক আল-আওসাতের প্রতিনিধি ছিলেন। এছাড়া আরব দুনিয়ায় বহুল পরিচিত আল হায়াত পত্রিকায় ৮ বছর কাজ করেন তিনি। তবে খাশোগি সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছেন নব্বইয়ের দশকে আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, কুয়েত ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে সংবাদ করার কারণে। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি তিনি বেশ কয়েকবার ওসামা বিন লাদেনের সাক্ষাৎকার নেন।
১৯৯৯ সালে সৌদি আরবের বিখ্যাত পত্রিকা আরব নিউজের উপ-সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। চার বছর সেখান থেকে তিনি আল ওয়াতান পত্রিকার প্রধান সম্পাদকের পদ পান। তবে ২০০৩ সালে মাত্র দুই মাসের মাথায় কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই সেখান থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। তবে কেউ কেউ মনে করেন, তার গৃহীত ‘সম্পাদকীয় নীতি’ই ছিল এর কারণ।
এরপর তিনি সৌদি আরবের গোয়েন্দা সংস্থা জেনারেল ইন্টিলিজেন্স ডিরেক্টোরেটের প্রধান প্রিন্স তুরকি বিন ফয়সালের গণমাধ্যম উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। এরপর ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালের শেষ পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
২০০৭ সালে তিনি ফের আল ওয়াতান পত্রিকার সম্পাদক হন। কিন্তু ২০১০ সালে তাকে ফের বরখাস্ত করা হয়। নিজের ওয়েবসাইটে খাশোগি তখন লিখেছিলেন, ‘সৌদি সমাজের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কে’ উৎসাহ দেওয়ার কারনেই তাকে বরখাস্ত করা হয়। (মানব কণ্ঠ হতে)

এই হল খাশোগি পরিবার । মুহাম্মদ খাশোগি, জামাল খাশোগি, দদি ফায়েদ, এমদাদ খাশোগি, আদনান খাশোগি, সামিরা খাশোগি, ইথ্যাদি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি তার সম্পর্কে আগে এত কিছু জানতাম না।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১০

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: তার চাচাতো বোন আর ফুফু বেশ রিলেটেড ছিলো । রাজ পরিবারের সাথে। আর ট্রাম্প এর সাথেও ঘনিষ্ঠ আছে। তারা আসলে ব্যবসায়ী। আবার দদি ফায়েদ যে প্রিন্স নামে পরিচিত। সেতো মরলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.