নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের বীর বিপ্লবী শহীদ রামকৃষ্ণ, নির্মলজীবন ঘোষ

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৩



নির্মলজীবন হুগলির ধামসিন এর বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর পিতার নাম যামিনীজীবন ঘোষ। মেদিনীপুর কলেজের আই.এ. ক্লাসের ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি গোপন বিপ্লবী বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলে যোগ দেন। মেদিনীপুরের অত্যাচারী জেলাশাসক বার্জকে নিধন করার ব্যাপারে জড়িত ছিলেন। এই ষড়যন্ত্র ও হত্যার অভিযোগে বিচারে তাঁর প্রাণদণ্ড হয়। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে তিনি ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন।
বার্জ হত্যাকাণ্ড
১৯৩৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর শ্বেতাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেট বার্জ সাহেব মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং-এর বিরুদ্ধে মেদিনীপুর ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলতে নামেন। খেলা প্রাকটিসের ছল করে বল নিয়ে মাঠে নামেন অনাথবন্ধু পাঁজা ও মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত। মাঠেই দুই বন্ধু বার্জ সাহেবকে আক্রমণ করলে তিনি মারা যান। জোন্স নামে একজন আহত হন। পুলিস প্রহরী দুজনের উপর পাল্টা গুলি চালায়। এতে তাঁরা দুজন নিহত হন এবং অপর সঙ্গীরা পলায়ন করতে সক্ষম হন। এই ঘটনার পর ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ, নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন, সনাতন রায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা হয়। বিচারে ব্রজকিশোর, রামকৃষ্ণ ও নির্মলজীবনের ফাঁসি হয়। নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন এবং সনাতন রায়-এর যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।

জন্ম ৫ জানুয়ারি, ১৯১৬
হুগলি , ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু ২৬ অক্টোবর, ১৯৩৪
জাতিসত্তা বাঙালি
আন্দোলন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন। নির্মলজীবন সম্পর্কে উইকিপিডিয়া রামকৃষ্ণ_রায় সম্পর্কে উইকিপিডিয়া


স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বীর বিপ্লবী শহীদ রামকৃষ্ণ রায় ( জন্মঃ- ৯ জানুয়ারি, ১৯১২ - মৃত্যুঃ- ২৫ অক্টোবর, ১৯৩৪)(সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান অনুযায়ী)
গোপন বিপ্লবী দল বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের সদস্য ছিলেন রামকৃষ্ণ রায়। ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩ তারিখে মেদিনীপুরের অত্যাচারী জেলাশাসক বার্জকে নিধন করার ব্যাপারে অংশগ্রহণ করেন। ধরা পড়ে হত্যার অভিযোগে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হন। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসিতে শহীদ হন।
রামকৃষ্ণ রায়ের জন্ম মেদিনীপুরের চিরিমাতসাইতে। তাঁর পিতার নাম কেনারাম রায়।
বার্জ হত্যাকাণ্ড
১৯৩৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর শ্বেতাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেট বার্জ সাহেব মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং-এর বিরুদ্ধে মেদিনীপুর ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলতে নামেন। খেলা প্রাকটিসের ছল করে বল নিয়ে মাঠে নামেন অনাথবন্ধু পাঁজা ও মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত। মাঠেই দুই বন্ধু বার্জ সাহেবকে আক্রমণ করলে তিনি মারা যান। জোন্স নামে একজন আহত হন। পুলিস প্রহরী দুজনের উপর পাল্টা গুলি চালায়। এতে তাঁরা দুজন নিহত হন এবং অপর সঙ্গীরা পলায়ন করতে সক্ষম হন। এই ঘটনার পর ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ, নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন, সনাতন রায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা হয়। বিচারে ব্রজকিশোর, রামকৃষ্ণ ও নির্মলজীবনের ফাঁসি হয়। নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন এবং সনাতন রায়-এর যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।


আমার আগের লেখা।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহ ! সুন্দর পোস্ট । এমন একজন কৃতি সন্তান যিনি বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছিলেন , আপনি শেয়ার করাতে জানতে পারলাম । ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে খাটো করবো না । ++

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৩৫

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।। একটা নিউজ আজকের দিনে পড়তে গিয়ে তাদের নাম পেলাম। তারপর নাম থেকে গুগলে সার্চ করা শুরু করলাম। সার্চ করতে করতে অনেক কিছু সামনে এলো। সব একসাথে করে। বুঝলাম একটা বিদ্রোহ হয়েছিলো। তাদের সাজা হয়েছিলো। ফাঁশি হয়েছিলো। তারপর চিন্তা করলাম সামুতে লেখি।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই বিপ্লবী এবং তার কীর্তি সম্পর্কে আমি মোটেই অবহিত ছিলাম না। আপনার এই লেখা থেকেই তার সম্বন্ধে প্রথম জানলাম।
ধন্যবাদ, এ আলোচনার জন্য।
তবে লেখাটা রিপীট হয়ে গেছে, সম্পাদনা প্রয়োজন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: জি।।।আমিও খুঁজতে খুঁজতে পেলাম। প্রথমে নাম। তারপর খুঁজে দেখি তারা বিপ্লবী ছিলো

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১১

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।
তার সম্পর্কে আজই প্রথম জানলাম।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমিও আগে কম জানতাম । তারপর দুই দিন ধরে গুগলে, সার্চ করতে করতে জেনেছি। অনেক নিউজ আর উইকিপিডিয়া সব মিলিয়ে জানা হল

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমি নুমান আলী খান নিয়া লিখেছি। সেখানে আমাদের কিছু ভাই আক্রমণ শুরু করেছে। অথচ আমি এর আগে আমাদের বাংলার বীরদের নিয়েও লিখেছি। তখন তারা আমার লেখা দেখেও নাই। এতে কি বুঝা যায়। কিছু ব্লগার আছে যারা ভন্ডামি আর ঝগড়া ফাসাদ করেই ভালোবাসে। আপনি না।
আছে একজন। সে খালি ঘাড় তেরামি করে। বুঝিনা নিজেরে কি ভাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.