নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন গাজি জালালুদ্দিন, একজন টেক্সি চালক, একজন কর্ম বীর, আর আমাদের তমিজের মা আর আমাদের জন্য উদাহরণ,

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯


কে বি সি (কোন বানেগা কোরোরপাতি) কে হবে কোটিপতি। এইখানে সবাই টাকা পয়সা পাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে আসে। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য। তবে এমন লোক আসে যার নিজের কিছু নেই, তবু নিজের জন্য কিছু চাইতে আসে না। অর্থ নিতে আসে গরীব অনাথ আর অসহায় মানুষের জন্য। এমন এক মানুষ এই গাজি জালালুদ্দিন।
১)তার ছোট থাকতেই বাবা মারা যায়, সংসার ছিলো অভাবে ভরপুর। আর বেচে থাকতে নিজ কাধে নিতে হয় কাজের চাপ।
তার ইচ্ছা ছিলো বড় হবে লেখা পড়া করে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবে। টাকার জন্য বাবা বই কিনে দিতে পারেনি। বাবা মারা যাওয়ার পর গাজি চলে যায় শহরে । আর ভিক্ষা করে দিন চালাত।
২)যখন বুঝতে পারলো ভিক্ষা করা কোন ভালো কাজ নয়, সে নিজে কাজ করা শুরু করলো। রিক্সা চালানো শুরু করে। তারপর এক লোকের কাছে টেক্সি চালানো শিখে।
৩) সবচাইতে বড় কথা হল তখন থেকেই এই গাজির মনের ভেতরে জনগনকে সাহায্য করার মন মানসিকতা ছিল। আসলে কথা আছেনা, মন বড় হলে আর কাজ করার ইচ্ছা থাকলে দেহের বল ই যথেষ্ট। টাকা পয়সা কিছুনা। তিনি নিজে গাড়ি চালানো শিক্ষা করে অন্য মানুষকে শিক্ষা দিতে লাগলেন। বিনা পয়সায় মানুষকে শিক্ষা দিলেন। আর একটা শর্ত দিলেন সকল ড্রাইভার কে, যে তারাও এমন বিনামূল্যে অপর
ভাইকে ড্রাইভিং শিক্ষা দিবে।
৪)প্রতি ড্রাইভার ড্রাইভিং শিখার পর তার কর্ম জীবনে যখন যাবে তখন তারা প্রতিমাসে ৫রুপি দিবে। আর সেই অর্থ দিয়ে গরীব ছেলে মেয়েদের পড়ার বই কিনে দিবে।
৫)তার জীবনে শুরুটা দেখুন। তিনি যখন ১২ বয়স। তখন বুঝলেন ভিক্ষা করা কোন ভালো কাজ নয়। আর তিনি ভিক্ষা ছেড়ে দিলেন। দেখুন
যেখানে মানুষ ভিক্ষাকে পেশা বানিয়ে ফেলছে। ঢাকা, কলকাতা, মুম্বাই এই শহরে ভিক্ষুক সিন্ডিকেট থাকে। এরা মানুষ দিয়ে ভিক্ষা করায়।
আপনারা ক্রাইম এর অনুষ্টানে দেখে থাকবেন। যে এদের ভিক্ষা করানো হয়। আর গাজি জালালুদ্দিন জিনি সেই ভিক্ষা ছেড়ে সম্মানের জিন্দেগী বেছে নিলেন।
৬)আমরা জীবনে টাকা পয়সা উপার্জন করতে কত কি না করি? আমরা বড়লোক হতে কত কষ্ট করি। কত লেখা পড়া করি। সব কার জন্য নিজের জন্য। রাজনীতি, ব্যবসা, দুর্নীতি, চুরি, যাই বলেন সব নিজের জন্য। অথচ দেখুন একজন ট্রক্সি চালক। আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। এতো টাকার দরকার নাই। মানুষের জন্য কিছু করতে চাও? যা আছে তা দিয়েই শুরু কর।
৭) তিনি প্রথ দেখলেন আমি তো টেক্সি চালিয়ে টাকা কামাই করছি। আমার মতো আরো অনেক ভাই আছে বেকার তারাও তো কিছু করেনা। আমি তাদের শিখাই। দেখুন টাকা লাগে না কাওকে সাহায্য করার ইচ্ছা থাকলে। সে করে দেখিয়েছে।
৮)তারপর কি চিন্তা করলো সবাই মিলে স্কুল খোলে দিলো। মাত্র ৫রুপি নিয়ে সবার কাছ থেকে। আর জমি কে দিলো। তার নিজের বাড়ি বানানোর জন্য যে জমি। তার নিজের থাকার বাড়ি। সেই জমি দান করে দিলেন স্কুলের নামে । তার স্ত্রী আর তিনি এক কক্ষে থাকেন।
আর বাকি সব কিছু স্কুলের নামে। এটা কয়জন পারে? নিজের জমি, বসতবাড়ি না গড়ে স্কুল ফান্ডে দান করে দেওয়া। এটা কয়জন করে?



৯) আমাদের গ্রামে একজন দানবীর মহিলা ছিলেন। অনেক আগের কথা। আমি উনাকে দেখিনি। তার নাম কেউ জানেনা। তাকে সবাই তমিজের মা ডাকতো। তিনি তার জমি আমাদের স্কুলের নামে লিখে দেন। আমি প্রাইমারি তে যে বিদ্যালয়ে পড়েছি এটা সেই তমিজের মার বিদ্যালয়। এটা ময়মনসিংহ জেলা ত্রিশাল থানার, মোক্ষপুর গ্রামে অবস্থিত। এই তমিজের মাকে অনেকেই চিনে । আজকের দিনে আমাদের স্কুলের নাম আসলে এইটা না। মানে সরকারি ফাইলে এই নাম নাই। তাই তাকে কেউ চিনেনা। আসলে এই নাম টা শুধু লোক মুখে প্রচলিত। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের মুরুব্বি যারা ছিলো তারা এই কাহিনী বলেছিলো। যদিও স্কুলের নাম অন্যটা। তবে তারা এই নামেই জানতো তমিজের মার স্কুল।
১০) আজ আজ গাজি জালালুদ্দিন তার স্বপ্ন আরো বড় করেছে। তিনি চান যে একটা কলেজ প্রতিষ্ঠা করবেন। যেখানে ছাত্র ছাত্রী ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবে। তিনি বলেন তাহলেই তার আশা পুরন হবে।
আমির খান, আর অমিতাভ বচ্চন
১১)আমাদের মাঝে অনেক এমন লোক আছে যারা টাকার পাহাড় রেখে মারা যায়। টাকার পাহাড়ে না তাকালাম। আমাদের নিজেদের কয়টা টাকা আমরা খরচ করে মরতে পারি। একজন সরকারি চাকরিজীবী সারা জীবন বেতন বোনাস, রেশন সব পায়। পায় বাসা ভাড়া। তাতপর জীবন শেষে একটা বড় অংকের টাকা পায় পেনশন। দেখুন সবাই ভাবে এই টাকা আমার সন্তানের জন্য রেখে যাচ্ছি। কেন ভাই আপনি যে রেখে যাচ্ছেন? এর পরে কি সন্তান আর কামাই করবে না? না আপনার টাকা বসে বসে খাবে? না সেও কামাই করবে। তাহলে এতো টাকা রেখে গিয়ে লাভ কি। যা আপনার দরকার ই নাই।
১২) আপনি এতো অবৈধ পথে টাকা কামাই করলেন। টাকা রেখে মারাও গেলেন। তো টাকা কি ইনকাম করা এখানেই শেষ। না আপনার ছেলেও করবে। তো ভাই কিছু টাকা কম আর সৎ উপায়ে কামাই করা যেতোনা? আপনাকে বলছিনা আপনি দান করে দিন আপনার সব সম্পদ। শুধু অবৈধ আয় করা বন্ধ করুন।
১৪) আর জালালুদ্দিন গাজি সাহেবের কাছে আমাদের শিক্ষা নেয়ার আছে অনেক কিছু। আমাদের তমিজের মার কাছেও আছে অনেক কিছু।
যা আমাদের কাছে নাই। তারা তো ইতিহাসের কোন বইয়ে নাই। তারা কোন দেশের প্রধান নয়। তাদের নামে কোন বই লিখবেনা কেউ। তারা গোপনেই চলে গেছেন। একদিন গাজি সাহেব ও। তবে রেখে যাবেন আমাদের জন্য অনেক শিক্ষা। যা কোন সার্টিফিকেট দিতে পারেনা। কোন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ স্কুল যে শিক্ষা আমাদের দিতে পারেনি। তারা আমাদের সেই শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের জীবনের শেষ সম্বল দিয়ে। তারা আমাদের মাঝে অমর হয়ে থাকুক।
১৫) আমাদের জীবনে কত দুঃখ কষ্ট আসে। আমরা তার সাথে যুদ্ধ করতে করতে একেবারে একরোখা হয়ে যাই। অনেক স্বার্থপর হয়ে যাই।
আর গাজি জালালুদ্দিন আমাদের বুঝালেন দুঃখ কষ্টের মাঝেও মানুষের উপকার করা যায়।
১৬)আপনি টাকা আয় করবেন রেখে যাবেন, মারা যাবেন। আপনার সন্তান আরো বেশি টাকা আয় করবে, মারা যাবে। আর অনেক সম্পদ রেখে যাবে। আপনার নাতি টাকা আয় করবে। সব খেতে পারবেনা। অনেক সম্পদ রেখে যাবে। আর এইসব সাদা টাকা, কালো টাকা ব্যাংকে থাকবে। ব্যাংক সে টাকা দিয়ে সুদের ব্যবসা করবে। এই হল আপনার বংশের সম্পদের ইতিহাস, পাতিহাঁস ভবিষ্যৎ। ভাই
এতো টাকা টাকা কেন?











১৬)ভাই আর কি দরকার। । যদিও আমরা কোটিপতি নই। লাখ পতিও নাও হতে পারি । ভাই লাখ টাকার কি দরকার? হাজার টাকা হলেই সংসার চলে। মানে ৩০হাজার টাকা হলে যে কোন সংসার চলে। যারা শুধু ৮বা ১০ হাজার দিয়ে সংসার চালায়। চলে যায়। আবার অনেকে শুধু ৫বা ৬হাজারে মাসের সংসার চালায়। কত কি আছে। সবার মাথা পিছু আয় কি ১৬০০ডলার? ১৭০০ডলার? না।
*১৭)*যারা ধনী তারা তো মাসে হাজার হাজার না লাখো ডলার কামাই করে। ইসলামী আইনে যদি আপনি জাকাত দেন। আমি মনে করি দেশে এমন অনেক সম্পদশালী আছে যার একজনের জাকাতে আমাদের একটি জেলার লোক দারিদ্রতা থেকে মুক্ত হতে পারবে।।।।
*১৮) এমন অনেক লোক আছে যার পরিবারের জাকাতে এমন অনেক লোক তার খাদ্য, বস্ত্র বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা পাবে।। হাজার লোক দারিদ্রমুক্ত হবে।


মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
জাস্ট গ্রেট।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সময় নিয়ে পড়েছেন ভালো লাগলো

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
জাস্ট গ্রেট।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গত শুক্রবার কে বি সির এই এপিসোডটি দেখেছিলাম।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ। জি আমি আমাদের এলাকার একজন মহীয়সী নারীর কথাও লিখেছি। সাথে যোগ করে

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

Monthu বলেছেন: ভালো লিখেছেন

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: জেনে খুশি হলাম

৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

Monthu বলেছেন: আমিও দেখেছি অনুষ্টানে। ভালো লেগ্বছে। আর ভালো লেগেছে আপনার লেখা

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

Monthu বলেছেন: আপনার লেখা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারলাম। ভালো। আমারো এই রকম করার ইচ্ছা আছে

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: এটা তো অনেক ভালো কথা। এগিয়ে যান। ভালোবাসা নিবেন

৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

আরোগ্য বলেছেন: অভাব অনেকের স্বভাব নষ্ট করে আবার অনেকের স্বভাব মহৎ করে।
তমিজের মার মতোই অনেকের নাম ইতিহাসের পাতায় নেই, আর তাদের নাম অমর করার কোন উদ্দেশ্য ছিল না বা নেই ।এটাই প্রকৃত মহত্বের পরিচয়।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ঠিক বলেছেন প্রিয়। তারা আমাদের দিয়ে চলে গেছেন । আমাদের উচিত তাদের জন্য দোয়া করা। আর মাগফেরাত কামনা করা

আর যে ভালো শিক্ষা দিয়ে গেছেন তা গ্রহন করা

৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় ।

পরিশ্রম আর শ্রদ্ধা দিয়ে সব কিছুই জয় করা যায় । মনের ভিতর অদম্য ইচ্ছেটাকেই শক্তিতে রুপান্ততর করতে হয় ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৯

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: সত্য বলেছেন । ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.