নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুয়া খেলা গ্রামে গ্রামে ( A village casino)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১০


শহরের মানুষ যেমন অধিক টাকা আয়ের জন্য জুয়া খেলে৷ গ্রামে কিন্তু তেমন না৷ গ্রামে মানুষ দুই কারনে জুয়া খেলে। ১) সময় পার করার জন্য। ২) যার বাবার জমি বেশি সে জমি বিক্রি করে জুয়া খেলে৷ এটা বুঝাতে যে তার ঘরে অভাব নাই। সে যা ইচ্ছা তা করতে পারে। আর কিছু লোক আছে, জুয়া খেলাটা নেশা পেশা। না খেললে ঘুম হয়না, তাই মূলধন না থাকলেও ঋণের টাকা দিয়ে জুয়া খেলে। আগের দিনে যখন গ্রামে থাকতাম, দেখেছি জুয়া খেলার প্রধান উপকরণ ছিলো ♠ তাস৷ তারপর কেউ কেউ মার্বেল খেলেও জুয়া খেলতো৷ সেটা খেলতো কম বয়সী যুবকদের দল। জুয়ারিদের কিছু ব্যাখ্যা দেয়া যাক।
১) আমাদের গ্রামে একটা পরিবার আছে৷ তারা আগে জমিদার বংশের ঠিকাদার ছিলো। তাই নাকি তাদের জমি বেশি। এদের সন্তান যারা,
ওই বাড়ির লোকেরা কিছু করতোনা। গ্রামে একটা কথায় প্রবাদ আছে যার বাবা, দাদার জমি বেশি তাকে কিছু করতে হয়না৷ তাহলে জমি বিক্রি করে খাবে কে? ওই বাড়ির লোকেরাও জমি বিক্রি করে আর খায়। এখন জমি বিক্রির টাকা তো কম না৷ এই অতিরিক্ত টাকা সে কি করবে? তাই তার নেশা হল জুয়া খেলা৷ সে খেলায় হারুক কেউ তো জয়ী হয়। আর তার জমি বিক্রির টাকা কারো পকেটে তো যায়৷আর ওই লোকের কাজে লাগে সেই টাকা৷
২) আমাদের এক চাচা ছিলো। সে প্রেমে ছেকা খেয়ে খারাপ হয়ে সংসার ত্যাগী অবস্থা। সে টিউশনি করাতো ছাত্র ছাত্রী দের৷ আর সেই টাকায় জুয়া খেলতো। তার কথা ছিলো, টাকা জমিয়ে লাভ কি? কার জন্য কিসের জন্য টাকা ঘরে রাখবো? তাই সে দুঃখে জুয়া খেলতো।

৩) এই জুয়ারিদের যেদিন পকেটে টাকা বেশি থাকতো। মানে আজ কেউ একজন খেলায় জয়ী হয়েছে। এলাকায় তার চলার ভাবটা ছিলো রাজার মতো। যাকে তাকে চায়ের দোকানে চা খাওয়াচ্ছে,। খরচ করছে, । আমার আবার ছোট হিসেবে এদের অনেকের সাথে খুব সম্পর্ক ছিলো৷ দোকানে দেখা হলে, খাওয়াতো৷ হ্যা যেদিন পকেটে টাকা থাকতো সেদিন। আর যেদিন পকেটে চলতো দুর্ভিক্ষ সেদিন না৷ সেদিন তারা দোকানে গিয়ে সিগারেট না কিনে আকিজ বিড়ি কিনে খেতো। আকিজ বিড়ি হাতে দেখলেই লোকে বুঝে নিতো, আজ তার পকেট খালি।
৪) আর ওই শ্রেণীর লোক জুয়া খেলতো৷ যার বাবা দূরে চাকরি করে৷ ছেলে বড়৷ আর বাজারের টাকা থাকে তার হাতে। বাজার করার পর যে টাকা অতিরিক্ত থাকতো সেটাই জমা করে, সপ্তাহ শেষে এরা যেতো জুয়ার আসরে।
৫) আর কিছু লোক আছে, যারা প্রতিদিন আয় করে। এলাকার ঠিকাদার, দালাল, এদের জুয়ার নেশা ছিলো সবচাইতে বেশি। কারন তাদের হাতে টাকা আসে হিসাব ছাড়া। তারা খরচ করে সেটাও হিসাব ছাড়া।

৬) এলাকায় যারা চাকরি করে। নিজ এলাকায় থাকে যেমন স্কুল শিক্ষক, ভূমি অফিসের লোক, বা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য৷ এদের জুয়ার
নেশা ছিলো সবচাইতে বেশি। এক বেলা ভাত খাবেনা। জুয়া খেলতে হবেই হবে৷
অনেকে এই জুয়া খেলে নিজের ঘর বাড়ি সব বিক্রি করেছে।
৭) আর এক শ্রেণির জুয়ারি ছিলো৷ যারা নিজের জমি বিক্রি শেষ। বউ মারতো, বউকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিতো, টাকা নিয়ে আসতে৷ ব্যবসা করবে বলে তারা যতোবারই টাকা এনেছে, সব টাকা জুয়া খেলে উড়িয়ে দিয়েছে৷ এদের ব্যবসা করা হয়নি কোনদিন।

৮) এক লোক একবার তার বউকে দিয়ে দিয়েছিলো জুয়া খেলায়। এটা আমাদের গ্রাম থেকে ২, ৩ গ্রাম দূরে ছিলো। আমি শুনেছিলাম। সত্য কিনা জানা হয়নি৷ লোকটি জুয়া খেলতে খেলতে যখন টাকা শেষ। তখন সে তার বউকে বাজি ধরেছিল। আর সে বাজিতে হারতেও বাধ্য হয়। তবে বউটিকে দিতে পারেনি৷ এলাকার লোকেরা তাকে অনেক অপমান করে৷ বিচার হয়, ।

সেই সময় দেখেছি, শুধু জুয়া খেলে অনেক মানুষ ধনী থেকে গরীব হয়েছেন৷ হাসিখুশী কত সংসার মাটিতে মিশে গেছে। কত বাবার সন্তান জুয়ার টাকার জন্য চোর হয়েছে। একদল ধরা পরেছিল৷ তারা ডাকাতি করতে গিয়েছিল। কত বঁধু তার স্বামীর হাতে অত্যাচারিত হয়েছে।
কত জীবনে নেমে এসেছে দুর্যোগ। তারপরও জুয়া আমাদের গ্রামকে ত্যাগ করেনি। কত মানুষ টাকার অভাবে গ্রাম ত্যাগ করেছে৷

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: জুয়া খেলা ইয়াবার চেয়েও খারাপ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: সেই যুগে ইয়াবা ছিলোনা। থাকলে এরা সেটাও গ্রহণ করতো। ৯০এর দশকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.