নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রামীণ জুয়া খেলা ও কেসিনো সংস্কৃতিতে প্রবেশ এবং অনলাইনে জুয়া খেলা

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০০


হালের সময়ে ঢাকা শহরে কেসিনো আবিস্কার ও অনেক টাকা, সোনা, সম্পদের পাহাড় আবিস্কার হচ্ছে। এতে অনেকে বলছেন কেসিনো বা জুয়া আমাদের সংস্কৃতি না৷ তাদের বলে রাখি, এই জুয়া খেলা, বাজি ধরা, আর ভাগ্য পরীক্ষা জিনিসটা আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে অনেক আগেই ছিলো। শুধু আগে আমরা এতো উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করতাম না। মানে এইটাই মাতাল আগে বাংলা মদ খেতো। মানে চুলাই মদ ভাত পচিয়ে। এখন সে বিয়ার হুইস্কির বোতল চিনেছে। তার মানে এই না সে নতুন মাতাল। সে আগে থেকেই মাতাল শুধু নামটা পরিবর্তন করেছে। আগেও আমাদের দেশে জুয়ার আড্ডা হতো। আর মেলা হলেই সেখানে জুয়া , লটারি, বাজি ধরা, এসব চলতো৷ এখন আধুনিক যুগ। গ্রামের সেই খেলা খেলে লাভ কি? তাই তারা কেসিনোর সরঞ্জাম আমদানি করেছে৷ বাইজি বাড়ি আগেও ছিলো৷ গ্রামের বাজার গুলোতে এখন সেটা নাইট ক্লাব। নাম পালটে আধুনিক হয়েছে৷ ধরন বদলায়নি।

১) আমার এক বন্ধু আছে৷ সে অনলাইনে রোলিং, আরো কি কি সাইট আছে। জুয়া খেলে প্রায় লাখ টাকা আয় করেছিল। তার টাকা দেখে কে। তবে আনন্দটা মাটি হয়ে গেলো যখন আবার তার ভাগ্য তার সাথে বেইমানী করলো। অনেক টাকা চলেও গেলো৷ যদিও সেসব টাকা
ওই অনলাইন জুয়া থেকেই আয় করা। তার পকেটের ছিলো না। তাই তাতে কোন খারাপ লাগেনি৷

৩) আমি দাদার কাছে গল্প শুনেছি। আগে এমন জুয়া খেলোয়াড় ও ছিলো যে জুয়া খেলে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছে। আবার শেষ বয়সে ফকিরের মতো মরেছে। এটা আমাদের দেশের সংস্কৃতি ছিলো। শুধু আধুনিক নামে কিছু আধুনিক জনিস প্রবেশ করেছে সাথে।
আকিজ বিড়ি খেতো বাবা এখন সন্তান সিগারেট খায়৷ দামি আমেরিকান কোম্পানির সিগারেট।

৪) তবে এসব কাজ ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা করতো না৷ যারা সমাজের আঈন কম মানে। একটু বখাটে টাইপের, বা সমাজকে যারা মানে না।
তারাই যুগে যুগে এসব সংস্কৃতি লালন ও পালন করে এসেছে।

৫) আমাদের মেলায় আগে যখন যেতাম। আমি দেখেছি, ১ মিনিটে টাকা দিগুণ করার বাজি করে কত টাকাইনা আয় করা যায়। মানুষ কেন এসব বাজি বা জুয়ার দিকে যাবেনা৷ কেনোই বা এর প্রতি তাহাদের লোভ লালসা বৃদ্ধি পাবেনা? মানুষ সারাবছর একনাগারে ঘরে বেতন আসে , চাকরি যাওয়ার ভয় নাই। এইটুকু আশাতে সরকারি চাকরি করতে পারে৷।
৬) আর সেই সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে মানুষ কতো কি করে। ঘুস থেকে শুরু করে, চাকরি যুদ্ধ, কোটা আন্দোলন, মামা নানার সুপারিশ, আরো নানান কষ্ট।
৭) সেখানে মাত্র কিছু সময়ে টাকা দিগুন হয়। এমন খেলা খেলা কেন খেলবেনা তারা? মানুষ চাহিদা পূরণ করতে কত কি করে৷


উপসংহার, তবে এ কথা সত্য, আমাদের গ্রাম গঞ্জে এই জুয়া খেলায় যে সামাজিক ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হবার নয়। এখানে একজনের ক্ষত হয়ে যাচ্ছে জীবনের সব উপার্জন। কত কত সংসংসার রাস্তায় নেমেছে এই বদ অভ্যাসের কারনে, তার হিসেব কে রাখে? কত মানুষ জীবন্ত লাশ হয়ে রয়ে গেছে, কত হাসি খুশি জীবনে নেমেছে অন্ধকার। এজন্যই হয়তোবা, মদ জুয়া হারাম করেছে ইসলাম।
হারামে আরাম খুজে নিয়েছে এদেশের কিছু মানুষ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ছোট্র একটা দেশ। দরিদ্র দেশ। মানুষ বেশি। সমস্যার শেষ নেই। মানুষ বাঁচেও অল্প সময়। তাই যার যেটা ভালো লাগে সেটাই তো করা উচিত।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: সবাই আরাম সুখ খুঁজে। কেউ হারামে কেউ ঘুমে। সুখ আমিও চাই। আপনিও। সুখ কে না চায়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.