নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি দিক্ষণা বাতায়ন খুলে রাখি, বাধ ভাঙা মুক্ত বাতাসের অনুপ্রেবেশ ............
আমি অত্যন্ত শোকাহত আমাদের সুপরিচিত ও প্রিয় ব্যক্তিত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক প্রফেসর অজয় রায় এর পুত্র আমেরিকা প্রবাসী লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের নির্মম হত্যাকান্ডে। গতকাল রাত ৯টায় একুশে বইমেলা থেকে স্ব-স্ত্রীক ফিরছিলেন। প্রকাশ্যে তাকে খুন করা হয়।
আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রবীণ অজয় রায়ের চেহারা দেখে বুকের গভীরে কড়া নাড়া দেয়। পুত্র হারানোর শোক যে কতো বড় তা তাকে না দেখলে বুঝা যাবেনা। আমরা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়া মানুষটার চেহরার দিকে বার বার দেখছিলাম। সেখানে শাহরিয়ার কবির সহ বিভিন্ন শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবিগণ আসছিলেন।
২০১১ সাল থেকে ব্লগের ব্যাপক প্রসারের সাথে সাথে অনেকেই ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে নিজেদের মত ও মুক্তচিন্তা প্রকাশের প্রসার হয়। আমরা বেশ কিছু লেখায় জীবনের নানা অসঙ্গতিগুলো খুঁজে পাই। একজন ব্লগার হিসেব আমরা খুব মর্মাহত। এর আগে ২০০৪ সালে ২৭ মে ফেব্র“য়ারী একই ভাবে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলা করা হয়েছিল। ব্লগার রাজিব হত্যাকান্ডও একই ভাবে হয়েছে। মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও প্রসারের ক্ষেত্রে বার বার একই ভাবে আমাদের হুমকী হয়ে পথ রুদ্ধ করার ধারাবাহিকতার ফসল হচ্ছে এই নির্মম হত্যাকান্ড।
আজ বেলা ১১টায় ছিলাম টিএসসিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকরা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। সেখানেও জড়ো হয়েছিলেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। বক্তব্য দেন সৈয়দ আবুল মকসুদ, এম এম আকাশ, সারা হোসেন, খুশি কবির সহ প্রগতিশীল ছাত্র ও যুব নেতারা।
তার মৃত্যু আমাদের কলমকে আরো শক্তিশালী করুক। চেতনার শাণিত ধার আমাদেরকে অপশক্তির বিরুদ্ধে আরো শক্তিশালী করুক।
কে এম রফিকুল কাদের (লেখক, ব্লগার)
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪০
রানার ব্লগ বলেছেন: অভিজিৎ রায়ের সাথে অনেক ব্যাপারেই আমার মিল নাই, তাই বলে তারে খুন করতে হবে ? এতে করে ইসলামের অনেক বড় উপকার হইলো না ক্ষতি হইলো ? ইসলামটারে আর কত খারাপ বানাবে এরা ?
জঙ্গিবাদ লীগ থাকাতে তাও যা একটু কমলেও পুরোপুরি নির্মূল করা অনেক কঠিন। এই বিএনপি জামাত যদি আসে ক্ষমতায়, দেশের অবস্থা কি হবে ভালোভাবেই অনুমান করা যাচ্ছে। ৬৩ জেলায় বোমা হামলা ভুলি নাই।
এই দেশে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি করা ছাড়া উপায় নাই, ব্রেনওয়াশ করে জঙ্গিতে রুপ দেয়া খুবই সহজ এইখানে। হাটহাজারীর তেতুল হুজুরের মত অনেক মানুষ আছে এই দেশে , যারা কিনা শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করতে গেলেই আন্দোলনের হুমকি দেয়। কারন একটাই, মানুষ যতই সচেতন হবে, ইসলামের আসল রুপ জানবে, ততোই এই সব ভন্ডদের দিন শেষ হয়ে যাবে ।
আশা করি খুব শীঘ্রই খুনীদের ধরা হবে , বইমেলার এলাকার মত জায়গায় কিভাবে খুন করে পালিয়ে যেতে পারে এরা !