নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ রোকনুজ্জামান খান রোকন।পেশাঃ মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট।রোগীদের সেবা দানে দৃঢ় প্রত্যয়।অল্পতেই বিশ্বাসী, প্রতিটি মানুষকেই মন উজাড় করে ভালবাসতে চেষ্টা করি?নতুন লেখক।

রোকনুজ্জামান খান

আমি একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিষ্ট। তিতাস শিশু ও জেনারেল হসপিটালে কর্মরত আছি। রোগীদের সেবা করতে ভালবাসি। রোগ নির্ণয়ে এক্স রে,সিটি স্ক্যান,এম আর আই করে থাকি । রেডিয়েশনে মারাত্তক ঝুকি নিয়ে রোগীদের সেবা করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে সারা জীবন এভাবেই রোগীদের সেবা করতে পারি।

রোকনুজ্জামান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ECONO DX বলপেনটি কেন হারিয়ে গেল ?? পড়ুন বিস্তারিত ঃ-

২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১


আচ্ছা আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় ছোট বেলা আপনি যে কলমটি দিয়ে লিখেছিলেন সেটি মনে আছে কিনা?
ECONO DX ECONO DX ECONO DX.

বলা যায় ৮০ থেকে নব্বই দশকের যারা আছেন। তারা সবাই ECONO DX কলম দিয়েই লেখা শুরু করেছেন। এটি শুধু আপনাদের ছোট বেলার পছন্দের বলপেনই ছিল না বরং বাংলাদেশের বলপেন ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ ব্রান্ড হিসেবে ও পরিচিত ছিল। কিন্তু সময়ের সাথে তারা পিছিয়ে পড়ে। এবং একটা সময় তারা মার্কেট প্রায় হারিয়ে যায়। কিন্তু এর পিছনে কি কারণ ছিল?সেটি নিচে দেওয়া হলোঃ

ECONO বলপেন এর প্রতিষ্ঠাতা GQ গ্রুপ ১৯৮১ সালে যাত্রা শুরু করে। কোম্পানিটি ১৯৮৮ সালে প্রথম বলপেন প্রস্থুত করা শুরু করে। তাদের প্রথম বলপেনটি ECONO DX নামে ব্রান্ডিং করা হয়। সে সময় বলপেনটির দাম ধরা হয়েছিল ৩ টাকা। বলপেনটির দাম খুব রিজেনেবল হওয়ায়। সবার চাহিদার শীর্ষে ছিল ECONO DX। খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্কুল কলেজ ও অফিস সহ প্রায় সব জায়গায় বলপেনটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।

শহর থেকে শুরু করে গ্রাম অঞ্চলেও বাড়তে থাকে ইকোনোর সেল। বলপেনটির সাফল্যের মাত্র ৫ বছরের মধ্যেই GQ এর রেভিনিউ প্রায় দ্বিগুনের বেশি হয়ে যায় ।১৯৯৩ সালে GQ এর রেভিনিউ ছিল ২৫ কোটি টাকা ।ইকোনোর বিপুল পরিমাণ সেলের পিছনে কারণ ছিল ? তারা খুব সাশ্রয়ী মূল্যে বলপেনটি পৌছাতে পারছিলো।১৯৯৭ ছিল GQ এর সব চাইতে ভালো সময়। সে বছর তাদের রেভিনিউ ছিল প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এভাবেই বেশ কিছু দিন মার্কেটে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম ছিল ECONO DX.সে পর্যন্ত এর সব কিছু ভালই যাচ্ছিল তাদের জন্য।

তারপর ১৯৯৮ সালে বাজারে আসে মেটাডোর। মেটাডোর এর বলপেনের সাথে ইকোনো ডি এক্স এর বলপেনের বেশ তফাত ছিল। মেটাডোর এর বলপেন গুলো রাবার ফিনিশিং হওয়ায় লিখতে খুব কমফোর্টেবল হতো। তাছাড়া মেটাডোর এর গ্রিপ গুলো অতন্ত্য সুক্ষ হওয়ায় খুব স্মোথলী লেখা যেত। অপর দিকে ECONO DX কলম গুলোতে কোন প্রকার গ্রীপ ছিল না।প্লাস্টিক মেটারিয়াল দিয়ে তৈরী স্বরভূজ আকৃতির ডিজাইন ছিল ইকোনোতে।যার ফলে এই বলপেনটি দিয়ে লিখতে খুব একটা কমফোর্টেবল হতো না।

অনেক সময় পকেটে রাখলেও কালি বেরিয়ে যেত।কিন্তু মেটাডোর এর বলপেন টিতে ছোট একটি পিন দেওয়া থাকার কারণে কলি জমে বা বের হয়ে যেত না । সকল কারণে মেটাডোর বলপেনটির দাম কিছুটা বেশী হওয়া পর ও সবাই মেটাডোর এর প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকে
।তাছাড়া এভাবেই তিলে তিলে মেটাডোর ইকনো ডি এক্স এর মার্কেট শেয়ার কেড়ে নিতে থাকে।১৯৯৭ সালে ৪০ কোটি থেকে ২০০৩ সালে GQ এর রেভিনিউ কমে ২২.৫ কোটিতে নেমে যায়।

২০০৪ সালে GQ ০.৫ মিলিমিটার এর নিপ সম্ভলিত ইকোনো ডি এক্স বলপেটি বাজার জাত করে। কিন্তু ততোদিনে মেটাডোর অনেকাংশে মার্কেট ডমিনেট করে ফেলে।তাছাড়া মেরিট এবং অলিম্পিক এর মত কোম্পানী গুলো তাদের বলপেন বাজারজাত করার ফলে ইকোনো ডি এক্স আরো পিছিয়ে পড়ে।এবং তাদের হারানো মার্কেট শেয়ার আর ফিরে পায়নি।

২০০৭ সালে GQ এর রেভিনিউ কমে ১৭ কোটিতে নেমে যায়। ২০০৮ সালে তারা সেল বাড়ানোর লক্ষে ইকোনোর বেশ কিছু মডেল এর বলপেন বাজারে লন্চ করে। কিন্তু মেটাডোর এবং অনান্য বলপেন কোম্পানি গুলোর তুলনায় তাদের মার্কেটিং এর প্রচারনা ছিল খুবই অনুন্নত। এর ফলশ্রুতিতে বলতে গেলে ইকোনো প্রায় মার্কেট থেকে হারিয়ে যায়।

[তবে আপনাদের কাছে কি মনে হয় ইকোনো ডি এক্স এর ব্যার্থতার আর কি কারণ হতে পারে?]


[ বিজনেজ ইনসপেকশন বিডি ইউটিউব চ্যানেল থেকে শেয়ার করেছি]

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

চাঙ্কু বলেছেন: মেটাডোর খুব পছন্দের কলম ছিল!!

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪০

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: এখন মেটাডোর এর চাহিদা বেশী। এবং কি পছন্দের তালিকায় মেটাডোর এর আবস্থান শীর্ষে।
@ধন্যবাদ

২| ২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ইকোনো কলমটা আমার খুব পছন্দ ছিলো।
আসলে পুরাতন সব কিছু মুছে যায় নতুনের আগমনে।

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৭

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: আমি ইকোনো তেমন একটা পাইনি। যখন প্রথম শ্রেনীতে ভর্তি হলাম। সম্ভবত সেই বছরই বাজারে আগমন ঘটলো মেটাডোর এর।
আর নতুনত্ব আমাদের উপহার দেয় সহজ,সরল ও সুন্দর।
@ধন্যবাদ

৩| ২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

মুনিরেভ সুপ্রকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ।
ইকোনো ডিএক্স এই কোম্পানির প্রথম বলপেন নয়। এর অাগে ছিলো শুধু ইকোনো নামের কলম। এরপর এই ইকোনো ডিএক্স অাসে। ইকোনোর প্রথম দিককার প্রতিযোগী ছিলো রাইটার। এরপরে উইনারও অাসে। মাঝখানে ভারতীয় কিছু কলমেও বাজার ভরে যায়। তবে ইকোনো মূলত হেরে যায় মেটাডোরসহ অন্যান্য বাংলাদেমী ব্রান্ডের কাছে, এর একটা কারণ গ্রিপ এবং কালি না পড়া। স্মুতনেসও নতুনেরা অনেক বদল অানে!

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৪

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: আকর্ষনীয় ডিজাইন ও নতুনত্ব না আনাটা ছিলো জি কিউ কোম্পানীর বড় ভূল। তাই তারা হেরে যায় মেটাডোর এর কাছে। ইকোনো ডি এক্স বেশী চাহিদা থাকায় তারা প্রায় এদিকে গুরত্ব দিতে ভূলেই গিয়েছিল। রাইটার ও উইনার এর সাথে আমার দেখা হয়নি। মাত্র দুইটা কলম কিনেছিলাম ইকোনো ডো এক্স এর তারপর থেকে সব মেটাডোর।
@ধন্যবাদ

৪| ২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আশির দশকে বল পয়েন্ট কলম তেমন একটা চলতো না। তখন চলত ফাউন্টেনপেন বা ঝরনা কলম।

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:১৫

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ফাউন্টেনপেন দেখেছি কিন্ত ঝরনা কলম দেখা হয়নি। চক শ্লেটের পরেই হাতে পেয়েছিলাম বল পয়েন্ট।
@ধন্যবাদ

৫| ২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

১৯৯০ সালের দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে একটা বিজ্ঞাপন টিভিতে প্রচারিত হতো । সেখানে একটা বাক্য ছিল এই রকম- ইকোনো লিখে চমৎকার /এক কলমে মাইল পার!

২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: সত্যিই কি এক কলমে একমাইল পার হয়ে যেত। ভাললাগা রইলো ।

৬| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২৬

শের শায়রী বলেছেন: আমরা শুরু করছিলাম পাইলট কলম কালি দিয়ে। এর পর আসে ইকোনো। অনেক স্মৃতি বিজাড়িত ইকোনো আমাদের প্রজন্মের সাথে। সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। লেখায় ভালো লাগা জানবেন।

২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৫

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: আমি ইকনো বলপেন দিয়ে আমার শুরু হয়েছিল, তারপর বাজারে আসে মেটাডোর পিন পয়েন্ট। ইকোনো কলম কেনার সৌভাগ্য হয়েছিল মাত্র দুইবার। এখনকার প্রজন্ম হয়তবা ইকোনো চিনবেই না । ভাললাগা রইলো ।
@ধন্যবাদ

৭| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইকোনো এর পতনের ইতিহাস জেনে ভাল লাগলো। কোয়ালিটি ছাড়াও, কোম্পানী ব্যবস্থাপনায়ও মনে হয় কোন গলদ ছিল।

২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১১

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: আপনার ভালো লাগা যেনে আমি আনন্দিত। হতে পারে ইকোনো ডি এক্স বেশী চাহিদা থাকায় তারা প্রায় এদিকে গুরত্ব দিতে ভূলেই গিয়েছিল। ভালো লাগা রইলো ।
@ধন্যবাদ

৮| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: কারো একক আধিপত্য খুব বেশি দিন থাকে না । নকিয়া ইয়াহু এদেরও পতন হয়েছে

২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নতুনত্ব ও আকর্ষনীয় ডিজাইন দিতে পারলে কোম্পানীটি বাজারে টিকে থাকতে পারতো। যেমনঃ ক্যাসিও ঘড়ি, ক্যালকুলেটর এখনো রাজত্ব করে যাচ্ছে।
@ধন্যবাদ

৯| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২২

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: ইকোনো বল পয়েন্ট পেনের পতনের ইতিহাস জানা হলো। আমরা লেখাপড়া শুরু করি শ্লেটে। পরে পাইলট ফাউনটেন্ট পেন। আর কালি কমেট। আমি এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম পার্কার নামে একটি ফাউনটেন্ট পেন দিয়ে। যার এক দিকে বলপয়েণ্টে শিষ লাগানোর ব্যবস্থা ছিলো। তখন কালি ব্যবহার করতাম পেলিক্যান কালি। এ কালি দিয়ে লেখার পর, ১৫/২০ দিন পরে লেখাগুলোর কিনার ঘেঁসে একটি সোনালী আভা ছড়াতো। আমার প্রথম ব্যবহৃত বলপয়েন্ট কলম ছিলো, রেডলিফ। অবশ্য, অফিসে ইকোনো ব্যবহার করতাম। শুভ কামনা।

২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: আমার ও শ্লেটে লেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। অ, আ ১,২ এগুলো চক দিয়ে শ্লেটে লেখা শিখিয়েছিল আমার মা । এখনকার প্রজন্ম শ্লেট কি হয়তো চিনবেই না। আপনাদের সেই দিন গুলো কতই না সুন্দর ছিলো। আমি এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম মেডাডোর বলপেন দিয়ে। অবশ্য শীষ কলম ও পেছিলাম , কালি শেষ হলে শীষ বদল করে লেখা যেত ।
আপনার জন্যও রইল শুভ কামনা ।
@ধন্যবাদ

১০| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ১৯৯০ সালের দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে একটা বিজ্ঞাপন টিভিতে প্রচারিত হতো । সেখানে একটা বাক্য ছিল এই রকম- ইকোনো লিখে চমৎকার /এক কলমে মাইল পার!

আরও একটা টিভিসি ছিলো- আম্মুর জন্য ইকোনো, আব্বুর জন্য ইকোনো....। আমাদের দেশে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কেনো লংটাইম সাসটেইন করে না, সে বিষয়ে আমার মত ছিলো এই লেখায়। চাইলে পড়তে পারেন।

২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৪

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: তাদের হারিয়ে যাওয়ার মূল কারণ ?
#বাজার গবেষণা না করা।
#সময় উপযোগী টেকনোলজি ব্যবহার না কর।
#প্রতিযোগিতার মনোভাব না থাকা।
#ভবিষ্যত উন্নতির স্বদিচ্ছার অভাব।

আপনার লেখাটিতে আরো সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
@ধন্যবাদ

১১| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:০৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় এখানে কোন তথ্য আপনি সংগ্রহ করেন নি, আপনি হু বহু কপি করেছেন। Business Inspection BD ইউটিউব চ্যানেল থেকে। আপনাকে ধন্যবাদ যে বিষয়টি আপনি কিছুটা হলেও উল্লেখ্য করেছেন।

যদি কোন ভিডিও অবলম্বনে আপনার নিজস্ব তথ্য ও তাদের তথ্য সমন্বয় করে লিখেন তাহলে লিখতে হবে -
রেফারেন্সঃ বিজনেজ ইনসপেকশন বিডি ইউটিউব চ্যানেল অবলম্বনে।
আর কোন পেইজ থেকে চ্যানেল থেকে কপি করলে সরাসরি বলবেন, ঐ পেইজ থেকে এই লেখাটা শেয়ার করছি।

নইলে কপিপেষ্ট করার জন্য ব্লগ নীতিমালার আওতায় আসতে পারেন।

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫০

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: প্রিয় ভাই, আমি আমার ভূল সংশোধন করেছি। ঐ ভিডিওটি দেখে আমি ইমপ্রেস হই এবং সাথে সাথে তা খাতায় লিখি তারপর টাইপিং করে ব্লগে পোষ্ট করি। যেহেতু সব তথ্য গুলো তাদের ছিল, সে ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহে তাদের নাম টা লিখি।

এই ইকনো ডিএক্স নিয়ে অনেকের অনেক স্মৃতি, তাই সাময়িক সময়ের জন্য পাঠক ও লেখক দের অতীতের দিন গুলোকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই এখানে তুলে ধরা হয়েছে । এতে যদি আমি ভূল করে থাকি, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।

@ধন্যবাদ।

১২| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৭

ডি মুন বলেছেন: ইকোনো ডিএক্স এর সাথে শৈশব জড়িয়ে আছে।
ইকোনো, অলিম্পিক, রেডলিফ এইসব কলমে কতো লিখেছি একসময়।
শুধু লেখাই না, কলমফাইটও খেলতাম ক্লাসের বিরতিতে।

২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৩

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: আপনাদের শৈশবকে ভাসিয়ে তোলার জন্যই ছিল আমার এই শেয়ার। আমি রেডলিফ বলপেন দেখিনি । তবে কলম ফাইট খেলেছি নিয়মিতই। এক কলম ফাইট খেলার সময় স্যার এসে দেখে ফেলে তারপর পানিসম্যান্ট । তবুই ভালো ছিল সেই দিন গুলো।
@ধন্যবাদ

১৩| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:১৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছোট কালে ইকোনো কলম ব্যবহার করেছি। অনেক লম্বা সাইজেরও ইকোনা কলম ছিলো

২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৭

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: লম্বা কলম গুলো দিয়ে মারামারি করতে বেশ সুবিধা হতো সে সময়। এতো লম্বা কলম দিয়ে লিখতে তেমন সুবিধে ছিল না।
@ধন্যবাদ

১৪| ২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৪৮

হাবিব ইমরান বলেছেন:

বাল্যকালে ইকোনো ডিএক্স অনেক পছন্দের কলম ছিলো। দেখতেই ভালো লাগতো। ইকোনোর মারাত্মক একটা সমস্যার জন্য মাঝেমধ্যে তীব্র বিড়ম্বনায় পড়তে হত। ইকোনোর একটাই সমস্যা ছিলো, যেখানে সেখানে ‘হেগে’ দিয়ে পকেট বরবাদ করে দেয়া। ইকোনোর এই কর্মকাণ্ডের ফলে বাসায় কত যে বকুনি খেয়েছি তার হিসেব নেই।
তারপর ইকোনো এফএক্স দিয়ে লেখতাম, এখন যা পাই তা দিয়েই লিখি।

ইকোনোর বাজার হাতছাড়া হওয়ার কারণ, অদূরদর্শী চিন্তাভাবনা। যুগের সাথে তাল মিলাতে পারলে আরও কিছু সময় ব্যবসা করতে পারতো।

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: বল্যকালে আপনার পছন্দের ক্রাস এর নাম জানা হলো ? সে দেখতে খুব সুন্দর ছিলো তার নাম ছিলো ইকনো? আপনার অধিক ভালোবাসার প্রতি সন্তুুষ্ট হয়ে আপনার পকেট বরবাদ করে দিত। যাই হোক ইকোনো সেই সময়ে সবার হাতেই স্থান করে নিয়েছিলো।

তারা যুগের সাথে তাল মেলাতে ব্যার্থ হয় এবং যার ফলশ্রুতিতে প্রায় বাজার থেকেই হারিয়ে যায়। ভালবাসা ও শুভ কামনা রইলো।
@আন্তরিক ধন্যবাদ

১৫| ২৬ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রতিষ্ঠানের গবেষণা ও উদ্ভাবন বিভাগ থাকা জরুরী। এরা পণ্যের ক্রমাগত উন্নয়নে কাজ করবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিযোগীর সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যবসায় টিকে থাকতে হয়। পৃথিবীর অনেক ভালো ব্রান্ড আত্মতৃপ্তিতে ভোগার কারণে তাদের বিপদ আগে থাকতে বুজতে পারে নি। পরিণামে ব্যবসা হারিয়েছে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় ঝর্ণা কলম ব্যবহার করতাম। কারণ তখনও বল পেন শুধু কম গুরুত্বপূর্ণ লেখায় বেশী ব্যবহৃত হত। ঝর্ণা কলম একজনেরটা দিয়ে আরেকজন লিখলে কলমের লেখার মসৃণতা নষ্ট হয়ে যেত। তাই সহজে কেউ কাউকে দিতে চাইত না। পরীক্ষার হলে কালির দোয়াত নিয়ে যেতাম। এসব বস্তু ঢাকা জাদুঘরে আছে আমার বিশ্বাস (না থাকলে রাখতে হবে)। আমার মা বলত তারা পাঠশালায় শেদ্ধ তাল পাতার উপর লিখত কয়লার কালি দিয়ে। আমাদের আমরা ছোটকালে মাটির স্লেতে লিখেছি। ভবিষ্যতে হয়ত কলম বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। কারণ সব লেখাই কম্পিউটার কম্পোজ বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে লেখা হতে পারে। বাংলাদেশেও অনেক অফিস এখন পেপারলেস।

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ``প্রতিষ্ঠানের গবেষণা ও উদ্ভাবন বিভাগ থাকা জরুরী`` আপনার এই বক্তব্যের সাথে আমি একমত পোষণ করলাম। এরা যদি পণ্যের উন্নয়ন নিয়ে একটি বিভাগ চালু রাখতো তাহলে ক্যাসিও এর মত সফল ভাবে এখনো ব্যাবসা চালিয়ে যেতে পারতো?
তাদের সেল এর পরিমাণ বেশী থাকায় তারা বলপেন এ উন্নয়ন করতে প্রায় ভূলেই গিয়েছিল।

আরেকটি কোম্পানী তাদের ব্যাবসা হারিয়েছে সেটি হলোঃ কডাক ক্যামেরা। তারা প্রথম ফ্লিম যুক্ত ক্যামেরা বাজারে বের করেছিল?
তাদের মূলত ফ্লিম ব্যাবসা থেকে সিংহ ভাগ টাকা আসতো। তাই তারা ডিজিটাল ক্যামেরা আনতে অনেকটা দেরি করেছিল। যার ফলশ্রুতিতে কডাক কোম্পানীটি প্রায় বাজার থেকেই বিলুপ্ত হয়ে যায়।তাই বলাই যায়, সময়ের সাথে আপডেট না দিতে পারলে সফলভাবে ব্যাবসাতে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব।
@আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৬| ২৬ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: ইকোনো কমল আমার সেই শৈশব থেকেই প্রিয় ছিল । ইনোকো, ইকোনো ডিএস সহ যতগুলো কলম ছিল সবই । স্কুল কলেজের পুরোটা সময়ই আমি সব সময় ইকোনো দিয়েই লিখতাম । কিন্তু একটা সময়ে ইকোনো কলম গুলো আর পাওয়া যেত না । বাধ্য হয়েই অন্য কলমে যেতে হয়েছে । এই ভাবে একটা কোম্পানী তাদের বাজার হারিয়ে ফেলল ভাবাই যায় না । ইকোনো কলমের অবস্থাটা হয়েছে অনেকটাই নোকিয়া মোবাইলের মত । এদের সর্ব প্রধান ভুলটাই হয়েছে মার্কেটের অবস্থা ধরতে না পারা । এরা ভেবেছে যে আমরা যেহেতু মার্কেট ডোমিনেট করছি সুতরাং আমাদের প্রোডাক্ট পাবলিক খাবেই । মার্কেট ধরে রাখার জন্য রিচার্স ডিপার্টমেন্ট কে কতটা উন্নতি করা প্রয়োজন, স্ট্রেটেজি পরিবর্তন করা দরকার, সেগুলো এই কোম্পানি গুলো বুঝেনি । ফলাফল আজ চোখের সামনে ।
যত ভাল কলমই আসুক, শৈশবের এই ইকোনো কলমের প্রতি ভালবাসা থাকবেই !

০২ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০২

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ইকনো বলপেনটি আপনার শৈশব কেও ছুয়ে আছে এটা যেনে আমি আনন্দিত হলাম। আমি ইকনোর ছোয়া এতটা পাইনি যতটা মেটাডোর বলপেন থেকে পেয়েছি। আমার স্কুল,কলেজ পার হয়েছে মেটাডোর বলপেন এর কল্যানেই তারপরেও ইকোনোর প্রতি ভালবাসা সেই ছোট বেলা থেকে। আমার আপু লিখতো ইকনো কলম দিয়ে। আপনার কথাটি ঠিক তারা ডমিনেট করে তারপরে সেটার দিকে সুনজর বা যুগের সাথে তাল না মিলিয়ে আকর্ষনীয় ডিজাইন আনার দিকে তাদের কোনো খেয়াল ছিল না।
এদের থেকে শিক্ষা নিয়ে মেটাডোর যদি তাদের রিচার্স বিভাগটি উন্নতি করে, স্ট্রেটেজি পরির্বতন আনে তাহলে এরা বজার এ টিকে থাকতে পারবে।

@আন্তরিক ধন্যবাদ

১৭| ২৬ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: মেটাডর কমলটাও ভালো। লিখে আরাম আছে।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: মেটাডোর এখন সবার শীর্ষে। গ্রিপ গুলো খুব সুক্ষ এবং নিপ থাকায় কালি জমে বা বের হয়ে যায় না ।

১৮| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৭

রাশিয়া বলেছেন: আমার ছোট খালাকে দেখতাম ইকোনো/রাইটার কলম ক্লাসে বা বাসায় ব্যবহার করতে, পরীক্ষা দিত রেডলীফ কলমে। এর পাশাপাশি ল্যান্সার, লিডা নামের কিছু কলম চোখে পড়েছিল। আমার কাছে বিস্ময় ছিল স্প্রিংয়ের কলম। এক টিপ দিলে নিব বের হত, আরেক টিপ দিলে ঢুকে যেত। আমার মামা এরকম একটা কলমের লোভ দেখিয়ে আমাকে একবার ক্লাসে ফার্স্ট বানিয়েছিল। সেই প্রথম আর সেই শেষ।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ইকনো নিয়ে আপনার যে স্মৃতি তা কখনো মুছে যাওয়ার নয়। টিপ কলম গুলো খুব মজার ছিল। যখনি হাতে থাকতো টিপ দিতেই থাকতাম। আমার ইকনো দিয়ে শুরু মেটাডোর দিয়ে শেষ।
@আ‌ন্তরিক ধন্যবাদ

১৯| ২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮

মানতাশা বলেছেন: ইহা থেকে সামহোয়্যারইনব্লগ শিক্ষা নিবার পারে।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: সামহোয়্যারইনব্লগ যুগের সাথেই তাল মিলিয়ে টিকে থাকবে আজীবন।
@আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.