নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ রোকনুজ্জামান খান রোকন।পেশাঃ মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট।রোগীদের সেবা দানে দৃঢ় প্রত্যয়।অল্পতেই বিশ্বাসী, প্রতিটি মানুষকেই মন উজাড় করে ভালবাসতে চেষ্টা করি?নতুন লেখক।

রোকনুজ্জামান খান

আমি একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিষ্ট। তিতাস শিশু ও জেনারেল হসপিটালে কর্মরত আছি। রোগীদের সেবা করতে ভালবাসি। রোগ নির্ণয়ে এক্স রে,সিটি স্ক্যান,এম আর আই করে থাকি । রেডিয়েশনে মারাত্তক ঝুকি নিয়ে রোগীদের সেবা করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে সারা জীবন এভাবেই রোগীদের সেবা করতে পারি।

রোকনুজ্জামান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদর্শ মা এবং আমি

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১৮



জান্নাত খুঁজতে বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রায় প্রতিটি ঘড়েই জান্নাত রয়েছে। আসুন নিজ নিজ অবস্থান থেকে মায়ের মুখে হাঁসি ফুটিয়ে স্বচ্ছন্দতায় জান্নাতের পথ সুগম করি। ছবিতে আমি আর আমার আদর্শ "মা"। উনি আমাকে শিখেয়েছেন পৃথীবির সকল পিতা মাতাই আমাদের পিতা মাতা। কঠোর বারণ করেছেন আরো বাবা মা তুলে যেন কখনো অল্শীল বাক্য/গালি প্রকাশ না করি।
মা আমাকে যা যা শিখিয়েছেনঃ ডাক,কথা বলা, হাটা,আদর্শ লিপি, বর্ণমালা, ছূড়া,ছড়া,কবিতা গল্প গান ও হাঁসি (ইত্যাদি)।
মাকে আমিও অনেক ভালবাসি।

মা হচ্ছে একটি আদর্শের নাম। প্রতিটি সন্তানের ভালবাসায় আপ্লুত হোক মায়েদের অন্তর।
ভালবাসা হাঁসি ফুটে উঠুক প্রতিটি বাংলার ঘড়ে ঘড়ে।
অন্তরের অন্তর স্থলে জমা হোক সেই ভালবাসা যেই ভালবাসা জন্নাতের পথ দেখায় প্রাণ ভরে ভালেবেসে যাবো আমরা মা তোমায়।

ধন্যবাদ।
মায়ের প্রতি ভালোবাসার বহ্নিঃপ্রকাশ ফুটে উঠেছে। একজন আদর্শ মায়ের সকল গুণাবলি আমি মা থেকে পেয়েছি। আমি আমার মাকে ভালবেসে যাবো। মা আমাকে গর্ভে নিয়ে কোরআন তিলাওয়াত করেছেন। নামাজ পড়েছেন পৃথীবির আলো দেখিয়েছেন। মা আমার কাছে এক অমূল্য সম্পদ। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি, জন্ম দিয়েছো মাগো তাই তোমায়ও ভালোবাসি।

ছোট বেলা মা আমাকে কুপির আলোতে বসিয়ে বর্ণমালা শিখিয়েছেন যা আমি প্রতিনিয়তই প্রাণ ভরে লিখে যাচ্ছি। একদিন ক খ লিখতে ছিলাম ঔ দিন ছিল আমার না দেখে সকল ব্যঞ্জনবর্ণ লিখার পালা ভালই লিখতেছিলাম মনে করে হঠাৎ কলম ও আমি থেমে গেলাম পুরো
ব্যঞ্জনবর্ণ বলতে বা লিখতে গেলে একটা যায়গাতেই আটকে যেতাম সেটা হলো ত থ দ এর পর টা আর মনে থাকতো না। ঐ দিন আমাকে অনেক বার পড়িয়ে লিখতে বসাইছিল, তখনও আটকে গেলাম। মায়ের দিকে তাকাতেই দিল থাপ্পড়/চড় তখনই সাথে সাথে মনে পড়ে গেল । আর কখনো আটকায়নি এবং আমি সফল হয়ে আরেকবার লেখা শুরু করি এবং লিখতে সফল হই।
মা ও আমি অনেক খুশি হই তখন। দুধ ভাত খেয়ে ঘুমিয়েছিলাম আর স্মৃতি মনে করতে পারছি না। তবে অনেক স্মৃতি মনে আছে ধীরে ধীরে লিখবো। এবং আল্লাহ যদি সহায় হোন লেখা গুলো একদিন মাকে দিব এবং পড়তে বলবো আমি বসে শুনবো।

আল্লাহ্‌ কতৃক পৃথীবির সকল পিতা মাতা প্রতি অঁন্তর থেকে দোআা রইল। সেই সাথে ভালবাসা সন্তুটি ও শান্তি কামনা করছি।

আরো লিখতে ইচ্ছে করছে হাত যে আজ থামতেই চাহে না, শেষ করছি এখানেই











মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৩

আল-ইকরাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সুন্দর ও অতি মূলবান একটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করার জন্য। প্রতিটি সন্তানের জন্য মা জগৎ স্রষ্টা মহান আল্লাহ্ রব্বুল ইজ্জত এর কাছ থেকে প্রাপ্ত একটি অতি বিশেষ আশীরবাদ। সন্মাননা, অমূল্য প্রাপ্তি। জগতের কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা বিষয়ের সাথেই যার কোনো তুলনা হয় না, চলে না। সেই মা সম্পরকে আপনার সন্মাননা, দরদী বক্তব্য, উপস্থাপনা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। মহান আল্লাহ্ রব্বুল ইজ্জত আপনাকে ও আপনার মাকে হেফাজতে রাখুন। আল্লাহ্ পাক্ আপনার নেক উদ্দেশ্যগুলো পূরণ করুন। নিরাপদে থাকুন।

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫১

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: মা যে এত মহান এত গভীর বন্ধন। যার হাঁসি শুনলে আলোকিত হয়ে যায় মন। আমি আম্মার সাথে অনেক রাগ করেছি আমি কখনোই বুঝতামই না, টাকা পয়সা জামা কাপড় ভাইয়ের সাথে ঝিদাঝিদি করে বেশী চাইতাম বা বেশী কিনতে বায়না ধরতাম। মা ছিল এক কথায় অনঢ় হিসেবের বাহিরে সারা দিন কান্না করে মরে গেলেও বেশী খরচ করতে দিত না। আমি তখন ভাবতাম মা টাকা পয়সা জমা করার জন্যই হয়ত এমন করে কিন্তু না সে একজন উদার মনের মানুষ ও বটে। মা ছিল সংসারে বড় তার দায়িত্ব ছিল বিশাল। সবাই কে খুশি ও হাঁসি মুখে রাখতে নিজের বিলাসিতাকেও বির্ষজন দিতেন। এখনও মা এক হাতে সংসার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি এখন টাকা কামাই করি, যখন বাড়ি যাই মা য়ের মুখে হাসি বা আনন্দে ভরিয়ে তোলার জন্য সব টাকা মায়ের হাতে তুলে দেই। এতে মা এবং আমি দুজনেই খুশি থাকি। আনন্দে ভরে উঠে প্রতিটি মূহুর্ত।

মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌র প্রতি অষেষ শুকরিয়া। আলহামদুলিল্লাহ
আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। ভালো ও সু স্বাস্থ্যে আপনার পরিবার প্রতি।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার মাতৃবন্দনা পড়ে।মাকে চিরদিন এমনি উচ্চাসনে রাখবেন এই আশাকরি। ‌
সপরিবারে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১১

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: আপনার অভিমতে আমি আঁপ্লুত অনুভব করছি। লেখাটি আপনার মন ছুঁয়েছে আর মায়ের প্রতি আপনার ভালবাসাটাও ফুঁটে উঠেছে।
সবার আগে আমার বাবা মা কে রাখবো তারপর অন্যসব যে রকমটি আমার বাবা রেখছিল। আর আমি দেখতেও বাবার মতোই হয়েছি। তাই আমি তাহার অতীত কেই অনুসরণ করবো বাকিটা সর্ব শক্তিমানের ইচ্ছা ও কর্মফল।

আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি , আপনার পরিবার বাবা মা এবং সকলেরই জন্য সু স্বাাস্থ্য অবারিত সুখ কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.