নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ রোকনুজ্জামান খান রোকন।পেশাঃ মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট।রোগীদের সেবা দানে দৃঢ় প্রত্যয়।অল্পতেই বিশ্বাসী, প্রতিটি মানুষকেই মন উজাড় করে ভালবাসতে চেষ্টা করি?নতুন লেখক।

রোকনুজ্জামান খান

আমি একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিষ্ট। তিতাস শিশু ও জেনারেল হসপিটালে কর্মরত আছি। রোগীদের সেবা করতে ভালবাসি। রোগ নির্ণয়ে এক্স রে,সিটি স্ক্যান,এম আর আই করে থাকি । রেডিয়েশনে মারাত্তক ঝুকি নিয়ে রোগীদের সেবা করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে সারা জীবন এভাবেই রোগীদের সেবা করতে পারি।

রোকনুজ্জামান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান বানাম প্রাথমিক বিদ্যালয় স্মরণ এবং স্মৃতিকথা - সেই ১ম শ্রেণীর ইতি কথা= আপনিও লিখুন।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০


আমার চাচীর লাগানো গাছের গোলাপ
ফটোগ্রাফিঃ নিজ
ডিবাইজঃ স্যামসাং জে ACE


ছোট বেলা হাত দেখে রাশি ধরে কর্মফল গণনা কারী সেই বৃদ্ধটির কথাই সত্যি, ঠিক এভাবেই বলত তুলা রাশি আয়কম ব্যায় বেশি চালাক বোকা সাহসী পাতায় পাতায় উড়বে এই বালক। আমি বিশ্বাস করতাম না ঐ গুনীলোকটির কথা গুলো। বার্তমানে আমার উপার্জন শূন্য যতই আয় করি ব্যায় তার উতলায় ধরতে গিয়েও ধরতে পারি না সেই অর্থ নামক সুখ পাখি। যখন আসে বিলিয়ে দেই পরম আনন্দে পারিবার পরিজন সীমিত নিজ প্রয়োজন মেটাতেই ব্যাবহারিক সামগ্রী টিয়ার ধন কাঁক কে খাওয়াতে পছন্দকরি।

অংক আর বিজ্ঞান নিয়ে প্রথম শ্রেনীর ছাত্রদের কাতারে অবস্হান করেও সাধারণ গণিতA ও উচ্চতর গণিতেA+ দিয়েছিলাম চরম ফঁাকি এজন্যই জীবন অংকে আমারে নামে শুধু বাকি আর বাকি। কর্মফলের অংক তো ঐ দিনই ঘুরে গিয়েছিল যেদিন ক্লাস ওয়ানে লতা মেডামের দেওয়া বিয়োগের ২-১ = ? আমার দেওয়া উত্তর ২-১ = ২ ছিল এটি তখন আমি বুঝতামই না বিয়োগ কি? কি করবো বুজে না পেয়ে (প্রথম সংখ্য া টি লিখে দেওয়া আমি) খাতা জমা দিয়েই পি এর ছুতা ধরে ক্লাসের বাহিরে ঘুরে আসা আমি চুপি চুপি ঢুকতেই মেডাম এর ডাকে সাড়া দিয়ে জবাবে হতবাক আমি আমার করা বিয়োগ ভূল। ক্লাসের সবাইকে দেখালেন মেডাম তারপর পিঠে দুটি ডাস্টার এর বারি।

ক্লাসে নতুন বেঞ্চ আসল সবাই আনন্দ করে বিথী মেডামের প্রথম শ্রেণীর অংক ক্লাসে সিট পেয়েছিল পরিপূর্ণ ক্লাস রুম কানায় কানায় ছাত্র/ছাত্রী হতবাগা আমি দেরীতে ক্লাসে ফেরায় একটি ছিট ও হল না। ধূলোয় লুটো লুটি বসে পড়লাম সবার পেছনে শানে বসে আমিই ছিলাম একাকী। মেডাম খুব কড়া ছিলেন পাড়া না পাড়লে শাস্তি ১ টি বেতের বাড়ি হাতে নয় পিঠে নয় !!বলেন তো কোথায়? --
মেডাম আমার এই অবহেলিত করুণ পরিস্থিতি কিছু ক্ষণ দেখে ১-১০০ পযর্ন্ত এক দুই সংখ্যা ধরলেন আমাকে। মেডামের চাহনী আর বেতের ফলা দেখা আমি ২০ এর আগেই গুলিয়ে ফেল ফেলিয়ে তাকিয়ে থাকা শাস্তি মাফ হলো না খেলাম একটি বেতের বাড়ী।
পরের দিনের পড়া দিলেন ১-১০০ মৌখিক সামনের বিড়িনচিতে আগে এসে সিট নিয়ে বসা ইত্যাদি ইত্যাদি । অবুজ সে মন টি বেতের বারির ব্যাথা অনুভব করেছিল কিন্তু শিক্ষিকার আদেশ মেনেছিল ঠিকই। তার পর থেকে মেডাম আমাকে নাম ধরে ডাকতো পড়া বুঝিয়ে দিত।প্রিয় সেই শিক্ষিকার নাম শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করিলাম।

আমি মহা আনন্দে থাাকি হাসি মাখা মুখ কোন চিন্তা ভাবনার ঠাঁই আমার কাছে নেই। রোগ নির্ণয়ের সূবাদে পরিক্ষা করি আমার হাঁসি দেখে তারাও হাসে ব্যাথা ভূলে যায় , পরিক্ষায় বেশীর ভাগ রোগীরই শরীরে কোন ব্যাথা থাকে না ব্যাথা তাদের মনে- সূচের ভয় আমার মেশিনের ভয় ইত্যাদি ইত্যাদি। হাঁসি মাখা চয়নে আমি তাদের অভয় করি ব্যাথার গুলোর জন্য ডাক্তার । সেবা ও কর্মের মাঝেই পরম সুখ সেখানে কাগজের টাকা মূল্যহীন টাকার বিপরীতে স্বর্ণ ।

লেখক বলেছিলেন- সবসময় আনন্দে থাকাটাই মাহাতৃপ্তী।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



মোটামুটি

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৩

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: অসীম ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.