নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবাহূত

রবাহূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দু কিংবা সংখ্যা লঘু নয়, এবার সময় সবার জাগার!

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১


ল অফ আ্যভারেজে দশ জন হিন্দু খুন হলে, একজন খুন হবে। দশ জন ধর্ষিত হলে একজন ধর্ষিত হবে, দশ জনে একজন লুন্ঠিত হবে, এ নিয়ে হল্লা চিল্লার কি আছে, লিখে লিখে ব্যান্ড উইডথ নষ্ট করার কি আছে? কিন্তু হায় জীবন গণিতের অধিক। ক্রমেই এই সমীকরণ বিষম অনুপাতে পরিণত হচ্ছে। ভয়াবহ চিত্র হচ্ছে হিন্দুবান্ধব সরকার বলে পরিচিত আওয়ামীলীগের লোকদের হাতেই হেনস্তা বেশী হতে হচ্ছে। আহত, ধর্ষিতা নারীকে দু সপ্তাহ আটকে রাখবে, এত টুকুন একটা গ্রামে এ চিন্তারও অধিক। বিচারহীনতাই এদের আরও সাহসী করে তুলছে, দিনের পর দিন। শাক দিয়ে মাছ ঢেকে ঢেকে, প্রকাশ, বিকাশ, ডন খেলতে খেলতে, এ সমাজ কে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি আমরা?
এ আওয়ামীলীগ সরকার বরাবর এর মত হিন্দুদের কলের পুতুলের মত নাচিয়ে যাচ্ছে আর ক্রমেই দেশ ত্যাগী হিন্দুদের সংখ্যা বাড়ছে। বিলেত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ক্যানাডা তো আকছার লোক যাচ্ছে কিন্তু হিন্দুরা ইন্ডিয়া গেলে আমাদের এত কেন লাগে? কারণ দুটি। এক, তারা নানা ভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে, সহায়, সম্পত্তি কখনও বা সম্ভ্রম হারাচ্ছে, তাই বাধ্য হচ্ছে দেশ ত্যাগে। দুই, যারা যাচ্ছে দেশের বিপুল সম্পদ নিয়ে যাচ্ছে এমনও দেখেছি ঘরের এসি থেকে শুরু করে শিল, পাটা, ঘটি, বাটি কিছুই বাদ যাচ্ছে না। সরকার এর বড় বড় আসনে হিন্দুরা অনেকেই অধিষ্ঠিত তারপরও কেন এই অবস্থা ? দ্বিচারিণী সরকারি ছলনা আর লোভের সহজ শিকার হয়ে হিন্দুরা এদেশে রয়েছেন।
সরকার যদি স্বচ্ছ থাকত তাহলে কি এই অবস্থা হয়? পুরহিত মরেছে, মুয়াজ্জিন মওলানারাও মরেছে, দেশে মৃত্যুর মিছিল চলছে। শুধু হিন্দু নয় কেউ বাদ যাচ্ছে না। নারায়নগঞ্জের সাত খুনের আসামি এজলাসে বিরিয়ানি খায়, সকল আসামি সম্প্রতি আদালতে বলেছে ক্রস ফায়ার এর ভয় দেখিয়ে তাদের জবান বন্দী নেয়া হয়েছে, খুব বেশী দিন দেরি নেই এরা সব্বাই সদর্পে ফিরে আসবে রঙ্গ মঞ্চে। এ দেশে শুধু হিন্দু নয় যার টাকা নেই ক্ষমতা নেই সেই সংখ্যালঘু। আর হিন্দুরা শতরঞ্জের সামনের সারির ঘুঁটি মাত্র, তারা তা বুঝে বলে মনে হয় না। পুজোতে বিনি মাগ্না বাস সারবিস আর এদিকে মন্ত্রী কোটালের জমি দখল। এদিকে হোলিতে রং মাখছে ওদিকে পনের দিন আঁটকে রেখে তিলে তিলে মারছে। এখানে হিন্দু মুসলিম খেলা আর না এসবই মায়ার খেলা সবার সোচ্চার হতে হবে। যে পাঁচ বছরের শিশুটি আজ মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে সে হিন্দু নয় সে শিশু! বেশ আগে তানিয়া নামেও এক শিশু ধর্ষিতা হয়েছিলো সেও মুসলিম নয় সে ও শিশু, সে মানুষ এই তার পরিচয়। যে জানোয়ার তাকে কষ্ট দিয়েছে সেও মুসলিম নয় মানুষ রুপি জানোয়ার। যদি আইনের শাসন দৃঢ় হত এই ফসকা গেঁড় এত সহজে আলগা হত না। কত শত প্রশ্ন মানুষের মনে কোন কি উত্তর আছে? জি ডি পি ধুয়ে কি পানি খাব? সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, নৈতিকতা সব আজ বিলীন। সরকার যথার্থই বলেছেন সরকার কারো বেডরুমে পাহারা বসাতে পারবেন না। এ তো খুবি সত্যি তাই বলে কি সামাজিক নিরাপত্তা তৈরি করতে পারবেন না? কৈ তাদের তো নিরাপত্তার অপ্রতুলতা নেই। সরকার, পুলিশ, ক্ষমতাবানরা যখন তখন গুলি ছুড়বে, মদ্যপ অর্বাচীন বালক গাড়ি উঠিয়ে দিবে মানুষের উপর, কেউ কেউ চোখ উপ্রে ফেলতে চাইবেন প্রকাশ্যে এ কেমন ধারা গণতন্ত্র, কি উত্তর করবেন মানস কন্যা? এই যদি হয় সমাজের সব চেয়ে উঁচুতে যারা থাকে তাদের অবস্থা তাহলে, গ্রামে গঞ্জে হাটে বাজারে যারা ক্ষমতার ছায়াতলে থাকবে তারা কি আর কায়কে মানুষ বলে গণ্য করবে।
সহনশীলতা এতটুকুও আর অবশিষ্ট নেই। আজানের সময় পুজোর বাজনা বন্ধ করা একটা সহজ সৌজন্য আবার হিন্দুরা যেখানে বেশী থাকেন কিংবা মন্দিরের সামনে কুরবানি না করাও তেমনি। আবার পূজার সময় আজান বন্ধ রাখার আবদার কিংবা শব্দ দূষণের নামে আজান বন্ধ করার দাবি করা কিংবা গোমাংস বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়াও পক্ষান্তরে প্রতিমা ভাংচুর কিংবা তাদের পূজা পারবনে বিঘ্ন ঘটানো কিংবা ছুটি না দেয়া একই রকম দুরব্রিত্যায়ন। ধর্ম নিয়ে কচলাকচলি অনেক হয়েছে এর বাইরে আসতেই হবে, বাঁচতে হলে। “ধর্ম যার যার উৎসবও তার তার” এটা মানতে হবে। একজন মুসলিম অবশ্যই হিন্দুদের উতসবে যেন কোন বিঘ্ন না ঘটে কিংবা বিঘ্নের কারণ যেন না হন সে দিকে খেয়াল রাখবে, আবার একজন হিন্দু কে দুর্গা পূজা কিংবা জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানাতেই পারে কিন্তু এর মানে এই না ধুনচি নাচবে কিংবা পঞ্চগব্য সহযোগে প্রসাদ খাবে, সেটা ঠিক নয়। যেমন আমি আসা করতে পারি না ঈদের দিন কোন হিন্দু বন্ধু খুৎবা শুনতে যাবেন, নামাজ না পরুক খুৎবা তো ভালো কথা শুনতেই পারেন, তাতো হয় না। কাজেই যার যার ধর্ম তার তার কাছে। পূজায় ছুটি উপভোগ করুন হিন্দু বন্ধুর সাথে ঘুরুন ফিরুন কিন্তু ইসলাম ধর্মের চর্চা করলে পূজা মণ্ডপে যাবেন হলি খেলবেন তা ঠিক হবে না। যেমন দিদি মমতার নামাজ পরা নিতান্তি একটা স্টান্ট এবং অন্যায় কাজ। সবার নিজের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ভয় ভালবাসা থাকবে, একই সাথে অন্যের ধর্মের প্রতি দৃষ্টি আপনার যাই থাকুক তার প্রতি অবজ্ঞা বা অবহেলা করা নিতান্তই অন্যায়। একটি সহজ বিভাজন রেখা থাকবেই সেটা প্রগতিশীলতা কিংবা চেতনার নামে মুঝতে গেলে এই দূরত্ব আরও বারবেই। আমার তো এখনি মনে হয় এ ক্রমেই অলঙ্ঘনীয় হয়ে যাচ্ছে। সিরিয়ার যে শিশুটির জন্য আমার মন কাঁদে একই ভাবে বাবু ব্জ্রঙ্গির খুনের শিকার সে না ফোটা ভ্রূণের জন্যও মন কাঁদে। আর যে ছোট্ট শিশুটি এই ভয়ংকর অত্যাচার এর শিকার হয়ে হাস্পাতালে পরে আছে তার জন্য মন কাঁদে, ক্ষোভে, ঘৃণায় অক্ষম আক্রোশে গুমরে মরি।
আশার কথা বলতে, শুনতে ইচ্ছে হয়, কিন্তু কোন আলোর রেখাই দেখি না আর!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২৪

অনিন্দ্য অবনী বলেছেন: বর্তমান প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে,,,, আসলে বলতে গেলে নিজের মনুষ্যত্বটাই আসল বিষয়...

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২৪

অনিন্দ্য অবনী বলেছেন: বর্তমান প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে,,,, আসলে বলতে গেলে নিজের মনুষ্যত্বটাই আসল বিষয়...

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২৪

অনিন্দ্য অবনী বলেছেন: বর্তমান প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে,,,, আসলে বলতে গেলে নিজের মনুষ্যত্বটাই আসল বিষয়...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.