নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ হওয়ার অভিনয় করে যাচ্ছি....মানুষ হতে হতে আমি ক্লান্ত।

কলিন রড্রিক

ছাত্র

কলিন রড্রিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিষ্টি পান

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯


সিনেমার পোস্টারগুলো এতো রঙচটা হয় কেনো? একটু অনুজ্জ্বল হতে পারে না। বড্ড চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। মনে হয় রঙসমেত পোস্টারটি ঢুকে যাবে দু'চোখের কোঠরে। যতীন এসব চিন্তা করতে থাকে। কিন্তু তার চিন্তায় ছেদ পড়ে সিনেমা হলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর হঠাৎ হৈ-হট্টগোল। যতীন বুঝতে পারে না কী হয়েছে। কিছু লোক গোল হয়ে জমায়েত হয়েছে একটা জায়গায়। চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে কথা বলছে। যতীন একবার টিকেট কাউন্টারের দিকে তাকায়। মনে মনে একটা গালি দেয়, শালা এহনো খোলে না!
বলেই আবার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির দিকে তাকায়। মেয়েটি কেমন যেন ভয় পাচ্ছে। মেয়েটিকে যতীন আরেকবার চোখ বুলিয়ে দেখে নেয়। পা থেকে মাথা পর্যন্ত। বুকের দিকে একটু বেশিই তাকিয়ে থাকে। মেয়েটিকে যতীন এক সপ্তাহ আগেই বাগিয়েছে। যতীন আর মেয়েটি একই গার্মেন্টসে কাজ করে। দু'দিন চোখাচুখি, দু'দিন মিষ্টি মিষ্টি কথা আর দু'দিন মিষ্টি পান খাওয়াতেই পটে গেছে। আজ এসেছে তার সাথে সিনেমা দেখতে। বহুদিন পর হলে এসেছে সিনেমা দেখতে। জম্পেশ একটা সিনেমা চলছে। শুনেছে নায়িকা না'কি ভারতের।
প্রায় ত্রিশ মিনিট ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে তারা। শো শুরুর সময় হয়ে যাচ্ছে। অথচ টিকেট কাউন্টারই কেউ খুলছে না। এসময় যতীন দেখে তার এক সহকর্মী জটলার ভেতর থেকে ঘেমে নেয়ে বেরিয়ে আসছে। যতীন না দেখার ভান করে। লোকটাকে সে পছন্দ করে না। কথা বলার সময় মুখ থেকে থুতু ছেটে। জায়গায় বেজাগায় হাত দিয়ে চুলকাতে থাকে। লোকটা কিন্তু যতীনকে দেখে চিনে ফেলে। কাছে এসে পশ্চাৎদেশে আঙ্গুল ঢুকিয়ে চুলকাতে চুলকাতে বলে, এইহানে দাঁড়ায় আছো ক্যান যতীন ভাই? অইহানে টিকেট বেজতাছে। বেলাকের টিকিট।
লোকটা কিন্তু যতীনের সাথে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে খেয়াল করে না। মুখটা যতীনের মুখের কাছে এনে বলে, গরম ছবি যতীন ভাই। এই নিয়া আমি তিনবার দেখতাছি। ছবি দেইখাই দৌঁড় দেই অই পাড়ায়।
লোকটা চোখ টিপে একটা খারাপ ইঙ্গিত করে। যতীন একবার আড়চোখে তাকায় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির দিকে। মেয়েটি কথাটা না শুনলেও বলার ভঙ্গি দেখে সংকোচ বোধ করতে থাকে। মাথার উপরে হলুদ ওড়নাটা উঠিয়ে দেয়। লোকটা বুঝতে পারে মেয়েটি যতীনের সাথে এসেছে।
মেয়েটিরর দিকে তাকিয়ে লোকটা বলে, তোমার তো আইজ তাইলে চরম মাস্তি হইবো। যাও টিকেট কাইট্টা নিয়া আসো।
যতীন টিকেট কাটতে জটলার মধ্যে ঢুকে যায়। লোকটা মেয়েটার সাথেই দাঁড়িয়ে থাকে। মাঝে মাঝে আড়চোখে তাকায় আর মুচকি হাসে। মেয়েটি তা বুঝতে পেরে নিজেকে সংকুচিত করে ফেলে। যতীন টিকেট কিনতে গেলেও তাকিয়ে থাকে ওদের দিকে। একশো বিশ টাকা দিয়ে রিয়্যালে দু'টা টিকেট কিনে যতীন তাড়াতাড়ি ফিরে আসে। লোকটা যতীনকে খেয়াল করে নাই। সে মেয়েটার দিকে তাকিয়েই ছিল। যতীন একটু গলা উঁচিয়ে ডাক দেয়, মতিন ভাই, চলেন ভিতরে যাই।
ডাক শুনে মতিন লজ্জা পেয়ে যায়। মতিন ভাবে সে যে চুরি করে মেয়েটিকে দেখছিল তা বুঝি যতীন বুঝে ফেলেছে। কারণ যতীনের ডাকের মধ্যে একটা ঝাঁঝের আভাস ছিল।
মতিন ভাই মুখে একটা সুন্দর ভাব এনে বলে, পিরিতি শুরু করছ আর আমাগো কইলা না। একটু থেমে বলে, নাম কি?
মতিনের সহজ-সরল প্রশ্নে যতীনের মনের সংশয়টা কাটে। বলে, মালতী। এইবার চলেন ভিতরে যাই। ভিতরেও সিরিয়াল ধরতে হইবো।
যতীনের হাত ধরে মালতী হলের ভিতরে যায়। মতিন ওদের পেছনে পেছনে যায়। ওদের অন্তরঙ্গ ভাব দেখে আর দীর্ঘ:শ্বাস ফেলে। তারও এমন একটা সময় ছিল। যখন জুলেখা তার সাথে গার্মেন্টেসে কাজ করতো। কতোবার এসেছে তারা এই সিনেমা হলেই। জুলেখা ছবি দেখে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়তো মতিনের গায়ে। জুলেখার সুগন্ধি দেওয়া চুলের উৎকট গন্ধ মতিনের ভালোই লাগতো। বুকের ভেতরে কোথায় যেন একটা পুলকের স্রোত বয়ে যেত। ব্যপারটার বৈজ্ঞানিক কারণ মতিন ঠিক বুঝতো না। আবার যখন কোনো বেদনাদায়ক সিন্ চলতো জুলেখার চোখ দিয়ে টপটপ করে জল পড়তো। কোমল দু'টি হাত দিয়ে মতিনের ঊরু চেপে ধরতো। মতিন বাড়িয়ে দিতো তার হাতটি জুলেখার পিঠে। মনে হতো এ মুহুর্ত যেন অনন্ত হয়ে যায়।
খুব হাসতো মেয়েটা। তবে হাসির মধ্যে একটা সুন্দর লয় ছিল। মতিন মুগ্ধ হয়ে জুলেখার হাসি দেখতো। কে জানতো এমন প্রাণোচ্ছল মেয়েটার শরীরে লুকিয়ে ছিলো ক্যান্সার। কী কুক্ষণেই না মারা গেলো মেয়েটা। শেষ দেখাটুকুও দেখতে পেলো না মতিন। আবার ভাবে দেখেই বা কী লাভ হতো। হয়তো দু:খটাই আরো বেড়ে যেতো। মতিন নিজের মনকে নিজেই সান্ত্বনা দেয়, জুলেখা মরেনি, ওর সাথে আবার দেখা হবে। কিন্তু সেটা কবে তা মতিন জানে না।
একরাশ দু:খ বুকে নিয়ে মতিন সিরিয়ালে দাঁড়ায়। প্রচণ্ড গরম আর চেঁচামেচি। মালতী শক্ত করে যতীনের হাত ধরে আছে। একজন পান বিক্রেতা তাদের সামনে দিয়ে পান বিক্রি করতে করতে যাচ্ছে।
-পান লাগবো, মিষ্টি পান আছে। মিষ্টি পান খাইবেন মিষ্টি হাসি দিবেন।....এই পান লাগবো, মিষ্টি পান অাছে।
যতীন অবাক হয়ে পান বিক্রেতার ধৈর্য্য দেখে। একই কথা কীভাবে বারবার বলে যাচ্ছে। কোনো বিরক্তি নেই। সে চারটি পান কেনে। তিনজন তিনটি খায়। আর বাকি একটা মালতী তার ওড়নার আঁচলে পেচিয়ে রাখে। এটা পরে খাওয়া হবে।
মালতী যতীনকে বলে, আমার না খুব ডর লাগতাছে।
যতীন মালতীর কথায় হেসে বলে, ডরের কিছু নাই। হলে গেলা দেখবা সব ঠিক হইয়া গেছে।
মালতীর ভয় কাটে না। জিজ্ঞেস করে, হলে আবার হামলা হইবো না'তো?
যতীন আগের মতোই তাচ্ছিল্যভরে মালতীর কথা উড়িয়ে দেয়, ধ্যুর, তুমি যে কী কও।
মালতী আর কিছু বলে না। গত সপ্তাহে সে যে ভয়ংকর একটা স্বপ্ন দেখেছিল তার কথাও না। স্বপ্নের সাথে সিনেমা হলটা অবিকল মিলে যাচ্ছে। সেই মিষ্টি পান বিক্রেতা। সেই ভীড়। সেই কোলাহল। স্বপ্নের শেষ অংশটা ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর। কিছু লোক হলে ঢুকে আক্রমণ করে। বেশ কয়েকজনকে মালতী চোখের সামনে মরতে দেখে। সে কোনোমলে দৌঁড়ে পালিয়ে বাঁচে। বারবার মালতীর সেই স্বপ্নের কথাই মনে হতে থাকে।
যতীন তাকিয়ে দেখে মালতী সত্যিই খুব ভয় পেয়ে গেছে। সে মালতীকে অভয় দিয়ে বলে, এগুলা এহন চিন্তা কইরো না। কিছুই হইবো না।যতীনের কথা শুনে মালতী সত্যিই অভয় পেলো কি না বোঝা গেল না। শো শেষ হলে হলের ভেতর থেকে মানুষের ভীড় ধেয়ে আসতে থাকে। যতীন মালতীকে আগলে ধরে। অনেক কষ্ট করে ভীড় ঠেলে ওরা তিনজন হলে ঢুকে সিটে বসে। চেয়ারগুলো লোহার। পুরো হলরুম অন্ধকার। মালতীর কেমন যেন ভয় করতে থাকে। এটা তার জীবনের প্রথম সিনেমা দেখতে হলে আসা। যথাসময়ে সিনেমা শুরু হয়। মালতী বসেছে একেবারে কোণার সিটে। তার পাশে যথাক্রমে যতীন ও মতিন। শো শুরু হওয়ার সাথে সাথে দর্শকদের হৈ-হুল্লোর আর শিশধ্বনিতে পুরো হল কেঁপে ওঠে। মতিনও তাল মিলিয়ে শিশ দেয়। শিশ দিয়ে একবার যতীন ও মালতীকে দেখে নেয়। মালতী এদিক-ওদিক চাওয়াচাওয়ি করছে। যতীন পাথরের মতো বসে আছে। মুখে কোনো অভিব্যক্তি নেই।
সিনেমা চলতে থাকে। সময় অনুযায়ী দর্শকরা হেসে ওঠে, চিৎকার করে, শিশ বাজায়। মালতীর কাছে ব্যাপারগুলো খুবই ভৌতিক লাগতে শুরু করে। মালতী ভাবতে থাকে তাদের নিয়তি বোধ হয় আজ এখানে টেনে নিয়ে এসেছে। সে অনুভব করে কোনো বাজে কিছু ঘটতে চলেছে। এখনি এখান থেকে বেরুতে হবে। মালতীর মন বারবার এই কথাই বলছে। কিন্তু তৎক্ষণাৎ অন্য কেউ যেন বলছে-তোদের নিয়তিই এটা। যতো চেষ্টাই করিস না কেনো তোরা আজ বেরুতে পারবি না।
মালতী অস্থির হয়ে ওঠে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে গেছে। শ্বাসরোধ হয়ে আসছে। মনে হচ্ছে তাকে জীবন্ত কবর দেওয়া হচ্ছে। তাকে যেন কোনো অন্ধকারে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কেউ। অথচ সে কিছুই করতে পারছে না। মালতীর ইচ্ছে করছে চিৎকার করে উঠতে। সে নিজেকে নিজে সাহস যোগায়। এখানে বাজে কিছু ঘটবে না। এখানে কেউ কোনো হামলা করবে না। আমরা এখানে মরবো না। এই সিনেমাটা শেষ হলেই আমরা যার যার ঘরে ফিরে যাবো।
কিন্তু কই-সিনেমা তো শেষ হয় না। সিনেমা চলছেই। যেন এর শেষ নেই কোনো। হঠাৎ মালতীর চোখ পড়ে সামনের সিটে বসে থাকা দু'জন যুবকের দিকে। ভয়ংকার তাদের চেহারা। মালতী ভেতর তখনই কে যেন কথা বলে ওঠে, ওরাই তোদের হত্যাকারী। ওদের হাতেই তোদের মৃত্যু লেখা।
কী অবাক কাণ্ড মালতী যখন মনের কথা শুনছে তখনই একজন পেছনে ঘুরে মালতীর দিকে তাকায়। মালতী আতকে ওঠে। মানুষের চেহারা এতো ভয়ংকর হয় কিভাবে!
মালতী শক্তি সঞ্চয় করে যতীনের হাতে চাপ দিয়ে বলে, চলো এখান থেইকা বাইর হই।
যতীন যেন তার কথা কানেই তোলে না। সিনেমার ডায়ালগ শুনে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। যতীনকে অদ্ভুত লাগে মালতীর। তাহলে কি যতীনও এর সাথে জড়িত। মালতী বুঝতে পারে না কী হচ্ছে। হঠাৎ মতিন মালতীর দিকে মুখ এগিয়ে এনে বলে, এতো অস্থির হও ক্যান? আরেকটু পরেই শুরু হইবো আসল খেলা।
একথা বলে মতিন দাঁত কেলিয়ে হাসতে থাকে।
মালতী বুঝতে পারে আজ আর তার নিস্তার নেই। আজই সেই দিন। মালতী চোখ বন্ধ করে সৃষ্টিকর্তার নাম নিতে থাকে। হঠাৎ একটা বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ হয়। মালতী চিৎকার করে ওঠে। কিন্তু তার চিৎকার হলভর্তি মানুষের চিৎকারের সাথে মিলিয়ে যায়। মালতী বুঝতে পারে এটা ছিল সিনেমার একটা দৃশ্য।
মালতী যতীনকে বলে, আমি এইখানে অার এক মুহুর্তও থাকুম না। তাড়াতাড়ি বাইরে চলো।
যতীন মালতীকে দেখে বুঝতে পারে সে খুব ভয় পেয়েছে। মতিনকে রেখে তারা দু'জন বাইরে চলে আসে।
যতীন বলে, কী হইছে তোমার?
মালতী কাঁদতে কাঁদতে বলে, আমার খুব ভয় করতাছে। মনে হইতাছে খারাপ কিছু ঘটবো।
যতীন অভয় দিয়ে বলে, তুমি মিছামিছি ডরাইতাছ। মন দিয়া ছবিখান দ্যাহো। সবকিছু ঠিক হইয়া যাইবো।
মালতী মানতেই চায় না। বলে, আমারে তুমি বাসায় রাইখা আসো। আমি ভিতরে যামু না।
যতীন একবার হলের দিকে তাকায়। টিকিটের দামের কথা মনে হতেই খুব কষ্ট লাগে। কতো কষ্ট করে সে টাকাটা বাঁচিয়ে রেখেছে মালতীর সাথে সিনেমা দেখবে বলে। আবার ভাবে, হয়তো মালতী ঠিকই বলছে। না হয় অন্য আরেকদিন দেখা যাবে সিনেমা।
হল থেকে বের হওয়ার আগে একবার মতিনের কথা মনে পড়ে। যতীন আবার ভেতরে যায়। কিন্তু মতিন বলে সে শো শেষ করেই আসবে। যতীন আর জোরাজুরি করে না। গেটের বাইরে বেরিয়ে দেখে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। দু'জনে প্রাণভরে নি:শ্বাস নেয়। মালতী সিনেমা হলের দিকে তাকায়। যতীনও তাকায়। তারা তাকিয়েই তাকে। যেন ঘটতে চলেছে কোনো মহাপ্রলয়। যা তারা অাগে কখনো দেখেনি। আগে কখনো ভাবেনি। মালতীর মনে পড়ে না যে তার আঁচলে আরেকটা মিষ্টি পান আছে।
হলের ভিতরে সিনেমা চলছে। গান বাজছে। চিৎকার আর শিশধ্বনির বড় বড় লহর উঠছে। মতিন নাচ-গান দেখতে থাকে আর ভাবে পকেটে তিনশ টাকা আছে। ভরপুর মাস্তি।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভাল লাগছে। তবে শেষটা অন্যরকম হতে পারতো। শুভ কামনা।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

কলিন রড্রিক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: খাপছাড়া মনে হলো।লেখক কি বোঝাতে চেয়েছেন বুঝতে পারি নাই।কিনন্তু লেখার ছন্দ ভালো লেগেছে। :)

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

কলিন রড্রিক বলেছেন: পরবর্তীতে আরও যত্নবান হবো, যাতে পাঠকের কাছে দুবোর্ধ্য মনে না হয়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: কাহিনীর ডেভেলপমেন্টটা ভালো লেগেছিল। কিন্তু মনে হল হুট করে শেষ হয়ে গেল। কিছু একটা ঘটার কথা ছিল কিন্তু ঘটেনি।

পাঠককে এমন কনফিউশনে ফেলে দিতে পারাও একটা গুণ। ভালো লেগেছে মোটামুটি।

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

কলিন রড্রিক বলেছেন: আমি নিজেও এ নিয়ে কিছুটা দ্বিধান্বিত ছিলাম।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

রানা আমান বলেছেন: " অন্তরে অতৃপ্তি রবে , সাঙ্গ করি মনে হবে , শেষ হয়ে হইলো না শেষ ।" তেমনি হয়েছে বটে ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

কলিন রড্রিক বলেছেন: অাপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অতৃপ্তির মাঝে যদি তৃপ্তি নিহিত থাকে তবে তাতেই আমি সার্থক।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৪

Scorpion বলেছেন: শেষ হইয়াও হইলো না শেষ :P

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

কলিন রড্রিক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

গোফরান চ.বি বলেছেন: আরে বাহ !

হলের ভিতরে সিনেমা চলছে। গান বাজছে। চিৎকার আর শিশধ্বনির বড় বড় লহর উঠছে। মতিন নাচ-গান দেখতে থাকে আর ভাবে পকেটে তিনশ টাকা আছে। ভরপুর মাস্তি।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১০

কলিন রড্রিক বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.