নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত আকাশ

এমএইচ রনি১৯৭১

আমি মার্কসীয় সমাজতান্ত্রিক আর্দশে বিশ্বাসী একজন মানুষ ।

এমএইচ রনি১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে

১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২


এই সরকার অনেক উন্নয়নের কথা বলেন । দৃশ্যত কিছু উন্নয়ন হয়েছে ।সেটা অস্বীকার করছি না কিন্তু সামাজিক নিরাপত্তার কতটুকু উন্নয়ন ঘটাতে পেরেছেন? বিগত সরকারের আমলেও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা ছিলো। খুনখারাবি, ধর্ষন, চুরি,ডাকাতি ,গুম ,বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড হয়েছে ,তাও কেউ অস্বীকার করবে না। এই সরকারের চেয়ে বিগত সরকার ভালো ছিলো এই কথাও বলি না ।তদের আমলেও অর্থমন্ত্রী শাহ এস এম কিবিরিয়া, সাংসদ আহসানউল্লাহ মাস্টার,খুলনায় মঞ্জুরুল ইমাম ,চট্টগ্রামে অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরি , যশোরে সাংবাদিক শামছুর রহমান হত্যাকান্ড এবং ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, যশোরে উদীচির সমাবেশে বোমা হামলা সহ অনেক কিছুরই বিচার হয়নি ।প্রশ্ন হচ্ছে ''তুমি অধম বলিয়া আমি উত্তম হইবো না কেনো ।"

এই সরকারের প্রথম ও দ্বিতীয় অধ্যায়ে বেশ কিছু হত্যাকান্ড ঘটেছে ।যা সারাদেশেই তোলপাড় হয়েছে । কিন্ত বিশ্বজিত ও পিলখানা হত্যাকান্ড এই ২টি ছাড়া অন্য কোনোগুলির বিচার হয়নি । এমন কি খুনীদের গ্রেফতার পর্যন্ত করা যায়নি । এই বিচারহীনতার সংস্কৃতিই কি খুনীদের সাহস জোগাচ্ছে ? সমাজে অস্থিরতার বিষবাস্প ছড়াতে সাহায্য করছে ?

যদি সাংসদ শাওনের দেহরক্ষী ইব্রাহিম হত্যাকাণ্ডের শক্তিমান খুনীকে বিচারের কাঠগড়ায় আনা যেত ,তবে নির্দ্বিধায় বলা যায় সমাজের চুনোপুটি খুনীরা অন্য খুনে সাহস পেত না । একইভাবে বলা যায় নরসিংদীর জনপ্রিয় পৌর মেয়র লোকমান হত্যাকান্ডের পিছনে যাদের নাম এসেছে তাদের গ্রেফতারেও প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে । ফেনীর জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান একরাম হত্যাকাণ্ডের কুল কিনারা করতে পারেনি পুলিশ । অভিযোগ আছে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে কলকাঠি নেড়েছেন ফেনীর একজন দাপুটে সাংসদ । এই হত্যাকান্ডের প্রায় কাছাকাছি সময়ে নারায়ণগঞ্জে ঘটে সেভেন মার্ডার । মিডিয়াতেই প্রকাশ পেয়েছিলো সরকারে একজন মন্ত্রীর জামাতা সেভেন মার্ডারে জড়িত ছিলেন এবং গ্রেফতারকৃত এই অভিযুক্ত আসামিকে বাঁচাতে তিনি সচেস্ট রয়েছেন । কোলকাতায় গ্রেফতার হওয়া খুনী নুর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হয়নি । সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যাকান্ডের পর অনেকগুলি বছর চলে গেল । আজো প্রকৃত খুনীদের গ্রেফতার করা হলো না । নারায়নগঞ্জের আলোচিত কিশোর ত্বকী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদেরও গ্রেফতার করা হয়নি । যুবলীগ নেতা মিল্কী হত্যাকান্ডের খুনীদের গ্রেফতার করে আদালতের কাঠগড়ায় আনা সম্ভব হয়নি । গুম হয়ে যাওয়া চৌধুরী আলম , ইলিয়াস আলীকে কারা, কেন গুম করেছে সেই হদিস পর্যন্ত দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার । এখনো রহস্যই রয়ে গেছে সালাহউদ্দীন আহমেদ নিখোঁজ ও পরবর্তীতে ভারতের মাটিতে তাকে প্রকাশ্যে কারা নিয়ে এলেন ?

মত প্রকাশের স্বাধীনতাও দিন দিন খর্ব হয়ে পড়ছে । রাজীব হায়দার , অভিজিত, ওয়াশিকুর বাবু, নীলয় এই চারজন ব্লগার হত্যাকান্ড তাই প্রমান করে । অল্পের জন্য প্রানে বেচে গেছেন ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন । অনন্য আজাদকেও কয়েকবার প্রাননাশের হুমকি দেয়া হয়েছিলো । প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আসিফ ,অনন্য এখন দেশ ছাড়া।

বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরুতে পারিনি বলেই আজ দেশে এতো খুন-খারাবি বেড়েছে । রাজন, রাকিব,সুমাইয়াদের মতন শিশু-কিশোরদের কি নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হতে হচ্ছে ।দূর্ভাগ্যজনক সত্য শিশু নির্যাতন ক্রমান্বয়েই বাড়ছে । একটি হত্যাকাণ্ডের বিচার ও রায় যদি কার্যকর করা যেত তাহলে আজকে অন্তত সমাজে এই অস্থিরতা ও আতংক বিরাজ করতো না ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.