নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত আকাশ

এমএইচ রনি১৯৭১

আমি মার্কসীয় সমাজতান্ত্রিক আর্দশে বিশ্বাসী একজন মানুষ ।

এমএইচ রনি১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন\' নাকি ‘একটি কালো আইন’!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬



ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাগুলো ৫৭ ধারার চেয়েও ভয়ঙ্কর - নিপীড়নমূলক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ‘একটি কালো আইন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
কারন এটি পাস হলে মানুষের বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলেও কিছুই থাকবে না। সরকারের দুর্নীতি যাতে প্রকাশ না পায় বা কেউ প্রকাশ করতে না পারে সেজন্য এই ৩২ ধারার আইন করা হয়েছে। ৫৭ ধারার মত এ আইনেও সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হবেন। এই আইন দ্বারা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। গণমাধ্যম বা গণমাধ্যমকর্মিরা এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির সংবাদ তখনই প্রকাশ করতে পারবেন, যখন তারা স্বেচ্ছায় নিজেদের করা দুর্নীতির তথ্য- প্রমাণ নিজেরা সরবারাহ করবে। আর গণমাধ্যম কর্মিরা তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে মানে গোপণে তথ্য- প্রমাণ সংগ্রহ করলে, গুর্তচরবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত হবেন।তথ্য গোপণে সংগ্রহ করে সংবাদ প্রকাশ করলে, তা গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত হবে।শাস্তি ১৪ বছরের জেল, ২০ লাখ টাকা জরিমানা।
প্রস্তাবিত ওই আইনে বাক স্বাধীনতাকে ‘অপরাধে’ পরিণত করা হয়েছে।মানুষের মুক্ত চিন্তা ,মুক্ত সাংবাদিকতার পরিপন্থি বলে বিবেচিত হবে।আশংকা করা অমলুক নয় যে, গণতন্ত্রকামীরাই ক্রিমিনাল হিসেবে চিহ্নিত হবে এই আইনে। ফিরে যাওয়া হবে ১৯৭৫ সালের বাকশালী অন্ধকারে। কতিপয় লোকের হাতের পুতুল হয়ে দেশের ১৭ কোটি মানুষের বিবেকে তালা লাগিয়ে বসে থাকবে এটা কোন সভ‍্য দেশ সমাজ হতে পারে না?
সরকারের কাছে অনুরোধ ,এই আইন সংসদে পাস করার আগে আবারো পরীক্ষা নিরীক্ষা করুন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


নতুন আইন আরো ভয়ংকর হবে

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



অন্যদের পোষ্ট পড়ার সুযোগ করতে পারছেন না,মনে হয়!

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

হাঙ্গামা বলেছেন: নোংরামি। X((

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’ প্রকাশের পর এটি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার নিয়ন্ত্রণের চেয়েও কঠোর

বলে মন্তব্য করার পাশাপাশি বিশ্লেষকরা বলছেন গুপ্তচরবৃত্তি সম্পর্কিত ৩২ নম্বর ধারাটি রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বচ্ছতাবিরোধী ধারা। আর তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মনে করছেন,এই ধারা প্রয়োজন আছে। গোপনীয়তা লঙ্ঘন গ্রহণযোগ্য নয়।

নতুন আইনের ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কেউ যদি বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কোনও ধরনের তথ্য-উপাত্ত, যেকোনও ধরনের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি দিয়ে গোপনে রেকর্ড করে, তাহলে সেটা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ হবে।’ আইনটিতে এ অপরাধের শাস্তি হিসেবে ১৪ বছরের জেল ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ের বিধান রাখা হয়েছে।
এই ধারার বর্ণনায় যা আছে তাতে আদৌ গুপ্তচরবৃত্তি হয় কিনা প্রশ্নে ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম বলেন,‘সংজ্ঞায়িত যেহেতু করেছে, সেহেতু হবে।’ তিনি বলেন, ‘এটা একটা ঢালাও বিধান। এর ফলে মানুষের যে তথ্য অধিকার, সেটা খর্ব হবে। তথ্য অধিকার মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই বিধানটি সেদিক থেকে সংবিধানবিরোধীও বটে।’ উদাহরণ দিতে গিয়ে ব্যারিস্টার তানজীব বলেন, ‘আমি যদি ফাইলের ওপরের নোটটির ছবি তুলি, যেখানে বলা আছে কোনও একটি অন্যায় সংঘটিত হয়েছে। সেটা তো জনগণের জানার অধিকার আছে। সেটি কিভাবে গুপ্তচরবৃত্তি হয়। সেটা যদি গুপ্তচরবৃত্তি হয়, তাহলে জনগণতো কখনও জানতে পারবে না কী ঘটে চলেছে। আসলে এটা রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বচ্ছতাবিরোধী আইন।।’

সিটিজেন জার্নালিজম বিকাশের কারণে এখন প্রত্যেকে তার আশেপাশের অসংলগ্নতা তুলে ধরায়, অনেক প্রয়োজনীয় বিষয় সবার সামনে আসে বলে মনে করেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আরিফ জেবতিক। তিনি বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা যারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে, তেমন অনেক ঘটনা বের হয়ে এসেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, এসব চোর বাটপারদের রক্ষা করার জন্যই এধারাটি তৈরি করা হয়েছে। সাধারণ যারা সরকারি অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হবেন, তারা প্রমাণ সংগ্রহের যেন সুযোগ না পান, এই আইন দিয়ে সেটা নিশ্চিত করা হলো।’

এদিকে, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘কোনও কাজ গোপনে আপনি করবেন কেন? সেটা তো গ্রহণযোগ্য না।’ রাষ্ট্রীয় কাজের স্বচ্ছতার জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা প্রয়োজন হয় কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা কখনও লঙ্ঘন করতে পারেন না। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা নষ্ট করতে পারেন না। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা আছে, কিন্তু শর্তাধীন। আপনি কি চাইলেই কারও বাড়িতে জোর করে প্রবেশ করতে পারবেন? কারও বাসায় কেউ অনুমতি না নিয়ে ছবি তুলতে পারেন?’

মন্ত্রীর এই প্রশ্নের বিপরীতে কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে ছবি তুললে তিনি যদি অস্বীকার করেন, তখন সাংবাদিক কী করবে প্রশ্ন করা হলে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘সেটা আপনার পরিস্থিতির বিষয়। আপনি অনুমতি নিয়ে যখনই করবেন, তখন সেটা গোপনীয় থাকে না।
সূত্র: কালা কানুনের উপর একটা রিভিউর অংশ বিশেষ!

যাহা বাহান্ন তাহাই তিপ্পান্ন! যাহা ৫৭ তারচে খারাপ ৩২“!

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

আটলান্টিক বলেছেন: মগজহীন সরকার :P

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: নির্বোধ কিছু মানূষের জন্য কোটি মানূষের কষ্ট।

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: বাক স্বাধীনতার নামে- অন্যকে ছোট করা অপরাধ, কিন্তু তাই বলে অন্যের মুখে কুলুপ আটা আরো বেশি ভয়াবহ ।

৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

ভীতু সিংহ বলেছেন: সকল কালো আইন বাতিল করা হোক। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত থাকুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.