নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত আকাশ

এমএইচ রনি১৯৭১

আমি মার্কসীয় সমাজতান্ত্রিক আর্দশে বিশ্বাসী একজন মানুষ ।

এমএইচ রনি১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রজন্ম চেনে ভ্যালেন্টাইন ,জানে না মধ্য ফেব্রুয়ারীর রক্তস্নাত ইতিহাস

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪১



এ প্রজন্ম জানে না মধ্য ফেব্রুয়ারীর ইতিহাস।১৯৮৩ সালের ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারী কি ঘটেছিল? ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি না এলে সামরিকতন্ত্র ও স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে উঠতো না। আজ সেই রক্তঝরা দিন।
১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিলো স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্রদের প্রতিরোধ আন্দোলন ও মজিদ খানের কুখ্যাত শিক্ষানীতি প্রত্যাহার, বন্দী মুক্তি ও জনগণের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে জমায়েত ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে। সেটাই পরিণত হয়েছিল বুট ও বুলেটের দমনে পিষ্ট ছাত্র জনতার প্রথম বিরাট প্রতিরোধে। কে জানত বসন্তের আগুনরাঙা রঙের সঙ্গে মিশে যাবে ছাত্রদের রক্ত !স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্রদের প্রতিরোধ আন্দোলনে প্রথম শহীদের নাম জয়নাল,দিপালী সাহা ,কাঞ্চন । সেদিন স্বৈরাচারের দোসর পুলিশ জয়নালকে গুলিবিদ্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি, তাঁর শরীর বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। বেয়নেট ফলা আর জয়নালের শরীর থেকে চুইয়েপড়া রক্ত বাংলার পথ-প্রান্তর ভাসিয়ে দেয়। শুধু জয়নাল নয়, ছাত্রদের ওপর পুলিশি তাণ্ডবের সময় শিশু একাডেমীতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা দিপালী সাহা নামের এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। তবে দিপালীর লাশ পুলিশ গুম করে ফেলে।পুলিশ সেদিন শুধু হত্যা করেই স্থির থাকেনি, বিকেলে ক্যাম্পাসে একটি যুদ্ধ-পরিস্থিতি তৈরি করে সেনাবাহিনী। তার সঙ্গে যোগ দেয় বিডিআর-পুলিশ। শাহবাগ, টিএসসি চত্বর, কলাভবনের সামনে, নীলক্ষেত, কাঁটাবনের রাস্তা ধরে পুরো অঞ্চল ঘেরাও করে ফেলে তারা। অপরাজেয় বাংলার সমাবেশে পুলিশ অতর্কিত লাঠিচার্জ শুরু করে এবং বহু ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।ভিসি কার্যালয়ে ঢুকে পুলিশ ছাত্রছাত্রীদের মেরে হাত-পা ভেঙে ট্রাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে তৎকালীন ভিসি পদত্যাগ করেন। গ্রেপ্তার করে দুই হাজার ছাত্র-জনতাকে। গ্রেপ্তার করে নেয়া হয় শাহবাগের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে। পরে তাঁদের তুলে দেওয়া হয় আর্মির হাতে। বন্দি ছাত্র-জনতার ওপর চলে প্রথমে পুলিশ ও পরে আর্মির নিষ্ঠুর নির্যাতন।১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী কাঞ্চন চট্টগ্রাম শহরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।১৯৮৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শহীদ হন রাউফুন বসুনিয়া। এরপর থেকেই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়ে ওঠে।পশ্চিম থেকে আগত ভ্যালেন্টাইনের জোয়ারে ভেসে গেছে রক্তের অক্ষরে লেখা শহীদদের নাম।
এ প্রজন্ম ভুলে যাচ্ছে সেই সব শহীদের কথা। কি দূর্ভাগ্য অামাদের!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: পশ্চিমা সংস্কৃতি গ্রাস করেছে প্রজন্মকে

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০১

করুণাধারা বলেছেন: আশির দশকের এই দিনটি আমার মনে আছে। এই দুঃখময় দিনের রক্ত মাড়িয়ে ভ্যালেন্টাইন ডে এসেছে নব্বুই এর দশকে। দিনে দিনে এটা ছড়িয়ে পড়ছে।

ধন্যবাদ আপনাকে, আবার মনে করাবার জন্য।

৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ভ্যালেনস্টাইন নিয়ে লাফালাফি করা পোলাপানরা নির্বোধ।

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: ভ্যালেন্টাইন চিনে ভুলে যাচ্ছে স্বৈরাচার বিরোধী অান্দোলনের শহীদদের কথা।

প্রজন্মের কাছে একসময় কেচ্ছা-কাহিনি মনে হবে এসব।

ভ্যালেন্টাইন নিয়ে ব্যস্ত প্রজন্ম :(

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৬

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: সঠিক বলেছেন
ভালো লাগলো লেখাটি

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৬

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: সঠিক বলেছেন
ভালো লাগলো লেখাটি

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

তার ছিড়া আমি বলেছেন: দেশের জন্য কাকুর অবদান অনস্বীকার্য।

৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:২৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: কত সহজেই যে আমরা পেছনের কথা ভুলে যাই .... অনেক ধন্যবাদ আবার মনে করিয়ে দেবার জন্য।

১০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯

Abdullah Al Noman বলেছেন: কোন বুদ্ধিমান মানুষ ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করেনা।সব নির্বোধ বুদ্ধিহীন মানুষগুলোই না বুঝে ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করছে। আল্লাহ আমাদের সকল ভাই বোনকে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি থেকে বাচার তাওফিক দিন।আমিন!

১১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

ফাহমিদা বারী বলেছেন: যতসব অপসংস্কৃতির ছোবলে তারুণ্য গ্রাস হয়ে যায়। মাতামাতি করার কিছু একটা পেলেই চলে যায় তাদের।
ভালো লাগলো লেখাটি।

১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: যতসব অপসংস্কৃত। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.