নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত আকাশ

এমএইচ রনি১৯৭১

আমি মার্কসীয় সমাজতান্ত্রিক আর্দশে বিশ্বাসী একজন মানুষ ।

এমএইচ রনি১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই পড়ার আনন্দই আলাদাঃ বেশী বেশী বই পড়ুন

২৪ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম যাবার সময় আমার ঝোলায় ছিল কথাশিল্পী মাহবুব রেজার দুইটি বই।অনেকদিন আগেই বই দুটো সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু নানান কারন ও সময়াভাবে পড়া হয়ে উঠেনি। ট্রেনের লম্বা জার্নিতে এক নি:শ্বাসে বই দুটো পড়া হলে ভাললাগা - মন্দলাগা নিয়ে কিছু লিখব লিখব করেও লেখা হয়ে উঠেনি। রাতে বাসায় ফিরে খেলা দেখবো না বলেই একটু সময় মিলে যাওয়ায় নিজের অনুভুতিটুকু লিখলাম।

প্রথমে বলি " যখন আমি বড় হয়ে উঠছি" উপন্যাসটি নিয়ে। পুরানো ঢাকার বসুবাজার লেনের এক হিন্দু পরিবারের দেশভাগের পর বাস্তুভিটা ছেড়ে যাবার হদয়বিদারক কাহিনী নিয়ে উপন্যাসের শুরু।ঢাকা জজকোর্টের মুহুরী ক্ষমাদাস চক্রবর্তীর বহুসাধের, স্বপ্নের বাড়ি ছেড়ে যাবার রক্তক্ষরণ, পড়শী আজিজ সাহেবের কাছে সস্তায় নামমাত্রমুল্যে বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত, লেখকের বয়ানে বসুবাজার লেনে বেড়ে উঠা জীবন ও পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে মধ্যবিত্তের গল্পই এ উপন্যাসের উপজীব্য। মেদহীন ঝরঝরে গদ্য , সাবলীল বর্ননায় এককথায় চমৎকার একটি উপন্যাস পড়লাম।
" যখন আমি বড় হয়ে উঠছি" পড়তে পড়তে হারিয়েছি ষাট, সত্তুর দশকের পুরান ঢাকার আবহে, তখনকার জীবনাচরনের কাছে।ভাল লাগার মতনই একটি উপন্যাস।
বইটি প্রকাশ করেছে সিঁড়ি প্রকাশন।

দ্বিতীয় বইটি " সব গল্পই পুরান ঢাকার"। ১০ টি চমৎকার গল্পের সংকলন এটি। ' রঞ্জুদেরবাড়ি , বেহালা, আমি তোমার বন্ধু হতে চাই, আমাদের বাবা মা, ২৪ বসুবাজার লেন , একজন খুব একাকী ' গল্পগুলো মনের গভীরে আচড় কাটেনি শুধু বারবার নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত করেছে । আহা আমাদের হারিয়ে যাওয়া কৈশোর কি দুর্দান্তই না ছিল ! টানাপোড়নের মধ্য দিয়ে যাওয়া মধ্যবিত্তের জীবনের খন্ড খন্ড চিত্রগুলো লেখক পরম মমতায় চিত্রিত করেছেন। এই বইটির ' ২৪ বসুবাজার লেন , বাবার কিছু চিঠি'' পড়তে পড়তে মাঝেমাঝে চোখ ঝাপসা হয়ে উঠেছে । বই পড়া শেষে দীর্ঘসময় ভেবেছি, নির্বিকার দৃষ্ঠিতে জীবনকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে দেখার চোখ ক'জনের আছে? লেখকের এ দৃষ্ঠি পাঠকের হ্রদয়কেও ভীষন রেখাপাত করে,খানিক সময় ভাবায় । রেখাপাত ফেলার এই শক্তিটুকু সব কলমের মধ্যে নেই , লেখনীতে নেই, যা মাহবুবের আছে।
বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ভালো পোস্ট।
+++

২| ২৪ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। বই পড়লে আনন্দের পাশাপাশি জ্ঞান অর্জিত হয়। মাহবুব রেজার কোন বই পড়া হয়নি। সময় সুযোগে পড়বো। পোস্টে লাইক B-) দিলাম।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

সিগন্যাস বলেছেন: :) সুন্দর পোষ্ট

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

কাইকর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ++

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: মাহবুব রেজা ভাই প্রায় ৫০ টার উপরে বই লিখেছেন। তার বেশ কয়েকটা বই পড়েছি।
উনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লিখেন। তার লেখা পড়ি। তার সাথে প্রায়ই দেখা হয়। উনি বলেছেন তার অনেক গুলো আমাকে দিবেন। আমি অপেক্ষায় আছি।

২৪ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

এমএইচ রনি১৯৭১ বলেছেন: ওয়াও
উনার আমি বড় ভক্ত।উনাকে আমার শুভেচ্ছা জানাবেন। ইস একটা যদি অটোগ্রাফ পেতাম। ভাই ব্যবস্থা করেন উনার সাথে কিভাবে দেখা করা যায়?

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

রাকু হাসান বলেছেন: জ্ঞানের বিপ্লব না হলে আমাদের আমাদের দীর্ঘমেয়াদি মুক্তি অসম্ভব তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে উৎসাহ প্রদান করি বই পড়তে কাছের জন কে । ভাল লাগলো আপনার পোস্ট

৭| ২৪ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

কিশোর মাইনু বলেছেন: বই পড়ার মধ্যে যে একটা অন্যরকম আনন্দ পাওয়া যায় তার সাথে অন্য কিছুর তুলনা চলেনা।
আমি ও একজন বইয়ের ড্রাগ এডিক্টেড পার্সন।

আশা করি,আমার ব্লগবাড়ি থেকে একবার ঘুরে আসার মত সময় আপনার কাছে আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.