নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত আকাশ

এমএইচ রনি১৯৭১

আমি মার্কসীয় সমাজতান্ত্রিক আর্দশে বিশ্বাসী একজন মানুষ ।

এমএইচ রনি১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভোটের ময়দানে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ হোক

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৫



দেশে এখন নির্বাচনী আমেজ। প্রার্থীরা অপেক্ষায় আছেন চুড়ান্ত বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দের জন্য। রাজনৈতিক দল,জোটও ব্যস্ত তাদের নির্বাচনী ইশতেহার চুড়ান্ত করায়। জানি না, দল ও জোটগুলো তাদের ইশতেহারে কিংবা নির্বাচনী প্রচার প্রোপাগান্ডায় এবার ধর্মকে দূরে সরিয়ে রাখবেন কি না!
বিগত নির্বাচনগুলোতে দেখা গেছে বামদলগুলো ছাড়া সব রাজনৈতিকদল বা জোট ভোটের বৈতরনী পাড়ি দিতে ধর্মকে ব্যবহার করেছেন। কেউ জোট করেছিলেন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও ধর্মভিত্তিক দলের সাথে। কেউ জোট করেছিলেন সংবিধানে রাস্ট্রধর্মের প্রবর্তক ও স্বৈরাচারের সাথে। নির্বাচনের মাঠে ভোট পেতে মরিয়া হয়ে কেউ শ্লোগান দিয়েছিলেন, লাই লাহা ইলল্লাহ, ধানের মালিক তুই আল্লাহ। কেউ একই কথা ঘুরিয়ে বলেছিলেন, লাই লাহা ইলল্লাহ, নৌকার মালিক তুই আল্লাহ। আবার ধর্মভিত্তিক দলটি প্রচার করেছিল, ভোট দিলে দাড়িপাল্লায়, খুশী হবেন মহান আল্লা(হ)'য়!
এই স্বধীনতা বিরোধী গোষ্ঠিটি আবার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভোট চাইতে গিয়ে ভোটার স্লিপ বিতরনের সময় দরিদ্রমানুষের সরলতা ও অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে প্রচার করতো, দাড়িপাল্লা হচ্ছে বেহেস্তের টিকেট!
এরাই ২০১৩ সালে চাঁদে তাদের রাজাকার নেতাকে দেখা গিয়েছে বলে বগুড়া,গাইবান্ধায় হিংস্র উন্মত্ততায় মানুষ মেরেছিল,তা কিন্তু এখনো আমরা ভূলে যাইনি।
স্বাধীনতার স্বপক্ষের দাবীদার শক্তি সবসময় অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলেন! ১৯৭২ সালের সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেন। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষবাস্প ছড়ানোর দায়ে প্রধান বিরোধীপক্ষকে দায়ী করেন।বেশ ভাল কথা। কিন্তু ভোটের জন্য, ক্ষমতায় যাবার জন্য কিংবা সংসদে রাস্ট্রপতি নির্বাচনে রাজাকার শিরোমনির দোয়া নিতে এরাও ভুল করেননি। ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা,রাজাকার নিজামী ও মুজাহিদের সাথে একটেবিলেও বসতে কুন্ঠাবোধ করেননি। ১৯৯৬ সালে রাজপথের আন্দোলনে রাজাকারদের মিত্র বানিয়েছিলএবং ক্ষমতায় এসে জামালপুরের এক কুখ্যাত রাজাকার মাওলানাকে মন্ত্রীপরিষদে ঠাই দিয়েছিল। বরিশালের একজন শান্তিকমিটির নেতা, রাজাকারকে এমপি ও মন্ত্রী বানিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ১/১১ এর পর নির্বাচনে চট্রগ্রামের হাটহাজারীর এমপি বানিয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধী বলে চিহ্ণিত একজনকে। এরকম অনেক উদাহরন আছে, যা বললে তালিকাই বড় হবে। ধর্মনিরপেক্ষ দাবীদার রাজনৈতিক দলটি তাদের পোস্টার,ব্যানার ইত্যাদী প্রকাশনায় লেখা এবং নেতা নেত্রী বক্তৃতা শুরু করেন মহান আল্লাহর নাম নিয়ে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য তেতুল হুজুর এখন মিস্টিহুজুরে পরিনত হন। আহা রাজনীতি!
অন্যদিকে বড়দলের দাবীদার অংশটি আগাগোড়াই জাতীয়তাবাদের সাথে ধর্মকে রাজনীতিতে টেনে এনেছেন। তারা সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী দিয়ে শুরু করেছিল রাস্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রহরণ।যার পরিপূর্নতা দিয়েছিল স্বৈরাচার এরশাদ অস্টম সংশোধনীর মাধ্যমে।
এই শক্তিটি রাজাকার শিরোমনিকে দেশে আসার সুযোগ করে দিয়েছিল এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি পুনরায় চালু করেছিল।তার প্রতিদান তারা তুলে নিয়েছে জোটবেধে দু'দফা ক্ষমতায় এসে।তাদের পুরস্কৃত করেছিল দুই রাজাকারকে মন্ত্রীপরিষদে ঠাই দিয়ে।এরা রাস্ট্রপতি নির্বাচিত করেছিল বরিশালের শান্তিকমিটির এক রাজাকারকে। এবার নির্বাচনে স্বাধীনতা বিরোধীশক্তিটি নিষিদ্ধ থাকায় অংশ নিতে পারছে না কিন্ত ধানেরশীষ মার্কায় তাদের ২৫ জন নির্বাচন করবেন বলে ইতোমধ্যে প্রার্থীতার ফরম জমা দিয়েছেন। এ বিষয়টি জায়েজ করার জন্য বলা হয়েছে, জামায়াতের মধ্যে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন! হায় রে কলিকাল!
এই দুইদল ও তাদের জোট মুখে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের বিরোধীতা করেন। আবার নির্বাচন এলেই সাধারন মানুষের ধর্মীয় আবেগ নিয়ে খেলেন। কেউ লম্বা ঘোমটা টেনে,ফুলস্লিভ ব্লাউজ পড়ে নিজেকে ধার্মিক হিসেবে জাহির করেন। মঞ্চে আদর করে বসান শুশ্মমন্ডিত কোন মাওলানা হুজুরকে।
অন্যদিকে সেই জাতীয়তাবাদীশক্তির মঞ্চকে সবসময় আলোকিত করে রেখেছিল স্বাধীনতাবিরোধী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতারা।এবার স্বনামে না হলেও থাকবে ভোটের মাঠে ধানেরশীষের প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে।
এবারের নির্বাচনেও এই দুইদল ও তাদের জোট পরিস্কার করেনি , রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধের। আশংকা থেকে যায় এরা যে কোনভাবে ক্ষমতায় যেতে যেকোন শক্তির সাথে অতীতের মতন হাত মেলাতে কুন্ঠাবোধ করবে না।
একজন সাধারন নাগরিক, সচেতন ভোটার হিসেবে চাই রাজনীতিতে,ভোটের ময়দানে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ হোক,অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে উঠুক।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: শুধু ধর্মের ব্যাবহার নয় ধর্মিয় উস্কানি মূলক কথা বার্তা ও বন্ধ হোক। আপনাদের মনে আছে কি না জানি না, এই যে বদরুদ্দজা চৌধুরী মহৎ সাজার ঢং করছেন তিনি কোন এক নির্বাচনি জনসভায় দাত বের করে বলেছিল (এদের মত ধান্দাবাজ দের আপনি বলে সন্মান দিতে আগ্রহি না।) কিসে ভোট দিবেন টুপি তে না ধুতি তে ?? এদের মত ধুর্ত শিয়াল মুক্ত বাংলাদেশ চাই।

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: চেতনার ধান্দাবাজি দূর হোক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি বন্ধ হোক। সাম্যবাদের চোরাবালি বন্ধ হোক। খালি ধর্মের ব্যবহার বন্ধের কথা বলছেন কেন? এভাবে বলা উচিত ধর্মের সঠিক ব্যবহার করা হোক। ধর্মের নামে ভন্ডামি বন্ধ হোক। কিন্তু ধর্মের সত্য ও সুন্দরের প্রচার হোক। ধর্মের সঠিক ব্যবহার হোক রাজনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে।

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

জাহিদ হাসান বলেছেন:

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: সকলে মিলে নষ্ট রাজনীতিকে না বলুন ।

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: চেতনার ধান্দাবাজি দূর হোক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি বন্ধ হোক। সাম্যবাদের চোরাবালি বন্ধ হোক। খালি ধর্মের ব্যবহার বন্ধের কথা বলছেন কেন? এভাবে বলা উচিত ধর্মের সঠিক ব্যবহার করা হোক। ধর্মের নামে ভন্ডামি বন্ধ হোক। কিন্তু ধর্মের সত্য ও সুন্দরের প্রচার হোক। ধর্মের সঠিক ব্যবহার হোক রাজনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.