নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত আকাশ

এমএইচ রনি১৯৭১

আমি মার্কসীয় সমাজতান্ত্রিক আর্দশে বিশ্বাসী একজন মানুষ ।

এমএইচ রনি১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনাবাসী জীবনের কড়চা

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:২৫



মন্ট্রিয়েলে কোথাও ট্রাফিক পুলিশ চোখে পড়েনি। কিন্তু তাই বলে কোন গাড়িচালক ট্রাফিক আইন অমান্য করে গাড়ি চালায় তাও শুনিনি,দেখিনি । এখানকার ট্রাফিক সিস্টেম পুরাপুরি কম্পিউটারাইজড এবং ওয়েল কন্ট্রোল্ড।পথে পথে গাড়ির গতিসীমা নির্ধারিত আছে।সেই গতিসীমা মেনেই এখানে গাড়ি চালাতে হয়।একটু উনিশ বিশ হলেই চালককে বিশাল অংকের জরিমানা গুনতে হয়। শুধু জরিমানা গুনলেই হতো কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে পয়েন্ট কাটা পড়ায় চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স রক্ষা করা নিয়ে টানাটানি শুরু হয়।তাই এখানে একটা কথা প্রচলিত আছে,সময় হলে পাসপোর্ট পাওয়া যতোটা সহজ কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া তারচেয়েও কঠিন।এরচেয়ে বড় কথা লাইসেন্স রক্ষা করা আরো কঠিন কাজ।
যাহোক লেখা শুরু করেছিলাম ট্রাফিক পুলিশ নিয়ে।বাস্তবে এখানে কোন ট্রাফিক পুলিশ ছাড়াই শহর চলে।আমি কৌতুহলি হয়েছিলাম স্কুল বাচ্চাদের পথ পারাপারে সাহায্যকারী স্কুল গার্ডদের নিয়ে।গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আমার ক্লাস শুরু হলে খুব ভোরে ছুটতে হতো ক্লাসে। রয়েল মনট মেট্রো স্টেশনে নেমে ৭/৮ মিনিট হেটে ক্লাসে যেতাম। আসা যাওয়ার সময় school crossing বা children crossing লেখা কোন চার রাস্তার মোড়ে চোখে পড়তো লেমন কালারের ভেস্ট পরা তরুনী বা মধ্যবয়স্ক মহিলাদের।যাদের হাতে stopলেখা প্ল্যাকার্ড ধরা থাকত। দু'একদিন লক্ষ্য করেছি এরা হঠাৎ রাস্তার মাঝখানে ট্রাফিকের মতন দাঁড়িয়ে গেছে stop প্ল্যাকার্ড হাতে। সাথে সাথে রাস্তার দু'পাশের চলন্ত গাড়ি থেমে যেত। এরপরই দেখতাম ৮/১০ জন বা ১৫/২০ জন ৪/৫ বছরের বাচ্চা সামনে পিছনে দু'জন শিক্ষক বা স্কুল ভলেন্টিয়ারের তত্ত্বাবধানে সারিবদ্ধ হয়ে রাস্তা পেরুচ্ছে।যতক্ষন বাচ্চারা রাস্তা না পেরুবে ততোক্ষন সমস্ত গাড়িঘোড়া ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। লেমন কালারের ভেস্ট পরিহিত এসব নারী বা পুরুষরা স্কুল চলাকালীন সময়ে তীব্র ঠান্ডায় বা রোদে পুড়ে, বৃষ্ঠি ভিজে দায়িত্ব পালন করেন।বাচ্চাদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করাই এসব স্কুল গার্ডদের প্রধান ও একমাত্র কাজ।স্কুল শুরু ও ছুটির সময় ছাড়া মন্ট্রিয়েলের কোথাও ম্যানুয়েলি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন হতে দেখিনি।
আরেকটি বিষয় চোখে পড়েছে স্কুল বাসকে প্রায়োরিটি দিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার জন্য পথ ছেড়ে দেয়া এবং পিছন হতে গাড়ি সব ধীরগতিতে চলা। এরা স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের চলাচলের নিরাপত্তার জন্য, স্কুলবাসের চলাচলের জন্য কতটা সচেতন ও সর্তক থাকে এদু'টো পর্যবেক্ষনে বুঝতে পারি। আর আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কি মারধোর ও নিপীড়নটাই না করা হয়েছিলো!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.