নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা মনে আসে তাই লিখি।

স্বর্ণবন্ধন

একজন শখের লেখক। তাই সাহিত্যগত কোন ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

স্বর্ণবন্ধন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাম্পত্যের সাতকাহন

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১৩

দাম্পত্য জীবনের মূল কথা হচ্ছে বিয়ে। বিয়ে এমন একটি ঘটনা যার মাধ্যমে দুই জন মানুষের ভিতরের সম্পর্ক আইনগত, ধর্মীয় ও সামাজিক ভাবে স্থায়ীত্ব লাভ করে। আমাদের দেশে এ প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে পূর্ণবয়স্ক দুইজন নারী ও পুরুষ একসাথে মানসিক ও শারীরিক ভাবে একাত্ম জীবন যাপনের জন্য এই দাম্পত্য জীবনকে বেছে নেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আশা থাকে যে জীবনের শেষ পর্যন্ত তারা সুখে দুঃখে একসাথেই থাকবে। কিন্তু সংসার জীবন কোন সরলরৈখিক রাস্তা নয়। দাম্পত্য জীবনকে তুলনা করা যেতে পারে অনেকটা গিরিখাতবহুল পাহাড়ি উঁচু নীচু রাস্তার সাথে। আপনি কখনোই পুরোটা সময় একই রকম আয়াসে পার করতে পারবেন না! অনাকাংখিত দাম্পত্য কলহ এড়ানো যায়না অনেক সময়। এর মনোজাগতিক ও আর্থ-সামাজিক যথার্থ ব্যখ্যা রয়েছে। সেই সব বিষয়াদি সম্পর্কে ধারণা থাকলে অনেক সহজেই আমরা দাম্পত্যের অনাকাঙ্খিত ঝামেলা এড়াতে পারি। বিয়ে ও তার পরবর্তী দাম্পত্য জীবনের আবির্ভাব কখন হলো তা নিয়ে কোন স্পষ্ট সময়সীমা জানা যায়নি। ধারণা করা হয় খুব প্রাচীনকাল থেকেই এর চর্চা হয়ে আসছে। মানব প্রজাতির টিকে থাকা, বংশবিস্তার বা গোত্রের শক্তি বৃদ্ধি এসব কারণে এর উৎপত্তি হয়ে থাকতে পারে। তবে সময়ের পরিক্রমায় দাম্পত্যের মনস্তাত্বিক সম্পর্ক কখোনোই একরকম ছিলোনা। প্রাচীন গ্রীসে বিয়েতে সম্পত্তির উত্তরাধিকার, রোমে রাজনৈতিক সুবিধা, মধ্যযুগের ইউরোপে পারিবারিক সিদ্ধান্ত এইসবের ভিত্তিতে বৈবাহিক জীবন নির্ধারিত হতো। ১৮শত শতকের দিক থেকে বিয়েতে ভালোবাসার ব্যাপারটা স্বীকৃত হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে বিংশ শতকের দিকে এসে পাল্টাতে থাকে দাম্পত্যের হিসাব নিকাশ।
বলা হয়ে থাকে দাম্পত্য জীবন যেমন কারো জন্য সবচেয়ে বেশী সুখের উৎস হতে পারে তেমনি অশান্ত দাম্পত্য গভীর দুর্দশাও তৈরি করতে পারে! তবে সব দাম্পত্য যেমন একরকম নয়, সেরকম একই দাম্পত্যও সময়ের পরিক্রমায় একই রকম থাকেনা। জীবন চক্রের মতোই তা একেক সময় একেক রূপ নেয়।
দাম্পত্যের জীবন চক্রঃ সময়ের সাথে সাথে দাম্পত্যকে বহু ঘাত প্রতিঘাত পার করতে হয়। তবে স্বামী স্ত্রী সবচেয়ে সুখের কাল হলো তাদের প্রথম সন্তান জন্মের আগের সময়টুকু। এটা হলো সর্বচ্চো আবেগের সময়কাল। প্রথম সন্তান জন্ম নেয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই সম্পর্ক গতানুগতিক রূপ ধারণ করে। অর্থনৈতিক চাহিদা ও বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব, চাপ বেড়ে যায় বহুগুণ। দাম্পত্য সম্পর্কে যারা বন্ধুর মতো একে অপরের পাশে থেকে অভ্যস্ত তারা পিতা-মাতার দায়িত্বকে উপভোগ করতে পারেন। সন্তান তাদের জীবনে নতুন মাত্রার সূচনা করে। মজার ব্যাপার হলো সন্তানরা বড় হয়ে নিজস্ব জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়লে, এই দাম্পত্য সম্পর্কের গভীরতা আবার কিছুটা বাড়ে। এই সময়ে দম্পতিরা তাদের অতীত জীবন, তাদের ছেলে-মেয়ে, নাতি নাতনীদের নিয়েই অধিকাংশ সময় গল্প করে।
আসলে দাম্পত্য কেমন হবে তা অনেকখানি নির্ভর করে কি ধরনের বিয়ে হচ্ছে তার উপর। মূলত বিয়েকে দুই শ্রেণীতে ফেলা যায়। এক ধরন হচ্ছে Intrinsic marriage- এখানে বিয়ে হয় পারস্পরিক ভালোবাসা থেকে, একে অপরের মূল্য বোধের প্রতি সন্মান থেকে। তবে পারস্পরিক ভালোবাসা বা রোমান্টিসিজম থেকে উদ্ভূত যে বৈবাহিক জীবন তা কিছুটা সংবেদনশীল। এখানে ভালোবাসার অনুভূতিই একমাত্র মূলভিত্তি। কোন কারণে এর ঘাটতি দেখা দিলে দাম্পত্য সংঘাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে এ ধরনের বিয়েতে স্বামী-স্ত্রী বেশি সন্তুষ্ট থাকে। আরেক ধরনের বিয়ে হলো Utilitarian marriage- এখানে অনেক বিষয় জড়িত থাকে যেমন- সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা, রাজনৈতিক সুবিধা সহ আরো অনেক বৈষয়িক বিষয় জড়িত থাকে। এখানে আবেগ, অন্তরঙ্গতা মূল বিষয় নয়। কিন্তু সম্পত্তি, সামাজিক মর্যাদা, সন্তান ইত্যাদি বন্ধন এখানে দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে কাজ করে। এ ধরনের বিয়েই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সঙ্ঘঠিত হয়।
দাম্পত্যের রকমভেদঃ (ক) Coflict avoiders: এদের দাম্পত্যে কিছু ব্যাপার থাকে, যেখানে তারা নির্ভরশীল। তবে তাদের নিজস্ব জগত থাকে যেখানে একে অন্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনা। (খ)Volatile couples: এখানে আবেগ বা ইমোশন বেশি কাজ করে। তারা সবসময় একে অন্যের সাথে লেগে থাকে, তর্ক-বিতর্ক করে, কিন্তু পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে। (গ)Validating couples: তারা একে অন্যের থেকে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু পরস্পরের অবস্থা বোঝে ও সহানুভূতিশীল থাকে। কোন বিষয়ে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়লেও পরে ছাড় দেয়। (ঘ)Hostile couples: এই ধরনের দাম্পত্যে সবসময় আক্রমণ, প্রতিরক্ষাসুলভ আচরণ, সমালোচনা, একে অন্যের অবস্থা না বোঝা, হিংসা-দ্বেষ থাকে। (ঙ)Hostile-detached couples: এ ধরনের সম্পর্ক মোটামুটি অচলাবস্থায় থাকে। পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ ও আবেগীয় সম্পর্ক থাকেনা। এখানে বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা প্রবল থাকে।

দাম্পত্যে যৌনজীবনঃ দাম্পত্যে সম্পর্কে শারীরিক মিলনের ব্যাপারে নারী ও পুরূষের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই ভিন্ন। পুরূষের আগ্রহ তার দাম্পত্য সম্পর্কের অবস্থা দিয়ে তুলনামূলক কম প্রভাবিত হয়। অধিকাংশ পুরুষ এটাকে তাদের শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রে তেমন কোন বাঁধা মনে করেনা। এর কারণ অনেক পুরুষই তাদের জীবনের এক অংশের কোন সমস্যাকে জীবনের অন্য অংশে প্রভাব ফেলতে দেয়না। যেমন আর্থিক সমস্যা ,চাকুরীর সমস্যা বা রাগারাগির ক্ষেত্রেও তাদের কাছে যৌনতা একটি একটি টেকসই আনন্দের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। আবার অনেক পুরূষ যৌনজীবনের উপর ভিত্তি করেই তাদের দাম্পত্য জীবনকে মূল্যায়ন করে থাকেন। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অনেকটাই ভিন্নরকম। তাদের জীবনের বিভিন্ন বিষয় তার যৌনজীবন ও আগ্রহকে প্রভাবিত করে। যদি স্বামীর সাথে কোন কারণে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়, তাদের সম্পর্কের মাঝখানে কোন চাপা সমস্যা থাকে, তখন মেয়েদের জন্য বিষয়টা আরো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি অন্যদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হলে, বিশেষত শ্বশুড়বাড়ির সাথে টানাপোড়েন, তার যৌনজীবনকে প্রভাবিত করে। তারা পুরূষদের মতো ব্যাপারটাতে সহজ হতে পারেনা। তাই দাম্পত্য সম্পর্কের এই বিষয়গুলোতে নজর দেয়া বিশেষ জরুরী। তাছাড়াও মেয়েদের সন্তানের পরিচর্যা, সাংসারিক কাজ, সামাজিক দায়িত্বে পুরূষের চেয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। এতো কাজের ক্লান্তিও তাদের আগ্রহকে নষ্ট করে ফেলে। এরকম অবস্থায় পরস্পরের চাহিদার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময়ই এটা মেয়েদের উপর চাপ তৈরি করে, তারা এটাকে দায়িত্ব হিসেবে নেয় এবং যথেষ্ট বিরক্তির সাথে তা করতে বাধ্য হয়।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে নিজের শারীরিক গঠন নিয়ে চিন্তা। অধিকাংশ স্ত্রীই তাদের শারীরিক গঠন ও সৌন্দর্য নিয়ে মনে মনে অসন্তুষ্ট থাকেন। তখন তার পক্ষে শারীরিক মিলন অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এটা খুব সহজেই কাটানো সম্ভব। স্বামী তার স্ত্রীকে যদি এটা বলে বা বুঝিয়ে আশ্বস্ত করতে পারেন যে তার চোখে সে অনেক বেশি সুন্দর! সেটা তার স্ত্রীর অস্বস্তি অনেকাংশেই দূর করতে পারে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের আরেকটি উপায় হচ্ছে নিজেদের মধ্যে খোলাখুলি কথা বলা। এর ফলে দুইজনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বাস তৈরি হয়। চাইলে নিজেদের জন্য সুবিধাজনক কৌশল তৈরী করা যায়। পরস্পরের পছন্দ ও অপছন্দকে জানা ও সেগুলোর প্রতি সন্মান প্রদর্শন করা। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আলোচনার সময় গঠন্মুলক ও পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গী দেখানো। এছাড়াও ধৈর্য, ছার দেওয়া, স্ত্রীকে দৈনন্দিন কাজে সহায়তা করা এই সম্পর্কের অনেক সমস্যা সমাধান করতে পারে। স্ত্রীকে দৈনন্দিন কাজে সহায়তা করলে তার চাপ অনেকখানি কমে যায় আর নিজেদের জন্য কিছুটা সময়ও বের করা সম্ভব হয়। সোজা কথায় আপনি যদি স্ত্রীকে আপনার মতো করে পেতে চান, তবে আপনাকেও আপনার স্ত্রীর মনের মতো হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
দাম্পত্যকে মসৃণ রাখার সহজ কিছু উপায়ঃ দাম্পত্যের ভিতরে বিরাজমান দ্বন্দের নিরসন করতে হবে ও স্বামী-স্ত্রীর মাঝে অন্তরঙ্গতা বাড়াতে হবে।
-সঙ্গী/ সঙ্গিনীকে জানার চেষ্টা করুনঃ আপনার সঙ্গী অথবা সঙ্গিনীর মনোজগত অথবা বহির্জগত সম্পর্কে জানার জন্য সত্যিকারের উৎসাহ দিন ও আগ্রহ দেখান। তার স্বপ্নের কথা, জীবনের লক্ষ্যের কথা জানার চেষ্টা করুন।
-তার প্রশংসা করুন, স্নেহ দেখান এবং থাকে যথাযোগ্য সন্মান দিন।
-তার আচরণের ছোট ছোট ভালো বিষয়গুলো খেয়াল করুন এবং তাকে বুঝতে দিন যে আপনি সেটা খেয়াল করছেন। একসময় সেও একইরকম করবে।
-নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব বজায় রাখুন। বন্ধুত্ব দাম্পত্যের দ্বন্দ নিরসনে সাহায্য করে।
-সমস্যা জটিল হওয়ার আগেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা।
-সম্পর্কের ব্যাপারে দুইজনেই সমান দায়িত্ববান হোন।
কয়েক ধরনের ব্যবহার রপ্ত করা সুখী, স্বাস্থ্যকর ও দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য প্রয়োজন। তা হলো-ভালোবাসুন ও হ্যাঁ বলার অভ্যাস করুন, ক্ষমাশীল হোন ও ক্ষমা চাইতে শিখুন, রাগকে নিয়ন্ত্রণ করুন, অন্যের কথা শুনতে শিখুন আর ছোট-খাটো দাম্পত্য সমস্যায় শান্ত থাকতে শিখুন।
সুস্থ, সুখী দাম্পত্য সবসময়ই একটি আকাঙ্খিত বিষয়। প্রায় প্রতিটি মানুষ এই স্বপ্নই দেখে। আমাদের সচেতনতা ও সতর্ক আচরণ সুস্থ ও দীর্ঘজীবি দাম্পত্য জীবনের অনেকটা নিশ্চয়তা দিতে পারে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আসল কথাটাই বলেন নাই।

সাম্পত্য জীবনে সুখী হবার জন্য ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে স্বামী স্ত্রী দুজনকেই।
যে যত ছাড় দিবে সংসার তত আণন্দময় হয়ে উঠবে।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫৭

নতুন বলেছেন: স্বামী স্ত্রীর সম্পক` সবচেয়ে ভালো বন্ধুর মতন হওয়া উচিত, যেখানে সাথ` থাকেনা, যেখানে সবাই ছাড় দিতে প্রস্তুত...

মানুষ তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু/বান্ধবীর জন্য সব কিছুই ছাড় দিতে প্রস্তুত... কিন্তু স্বামী/স্ত্রীর খুবই সামান্ন জিনিস নিয়ে ঝাগড়া বাধায়।

তাই দুজনের সম্পক সবচেয়ে কাছের বন্ধুর মতন হতে হবে, যেখানে কোন দুরত্ব থাকবেনা।

সেই সংসারে কোন ঝামেলা হয় না.... সুখে ভরপুর থাকে...

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১৮

এম ডি মুসা বলেছেন: চলার পথে শিকার কিছু, জানলাম তবে , এই সম্পর্ক গভীর মতবাদের জন্য ধন্যবাদ

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৫১

তারেক ফাহিম বলেছেন: সাংসারিক জীবন সুন্দর করতে ভালো টিপস্।

আমার মত ব্যাচেলরদের কাজে আসবে। যারা বিয়ে করছেন তারা দূরে থাকেন :-B

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:২১

আরোগ্য বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। আমাদের জন্য দরকারি পোস্ট। ধন্যবাদ।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৩২

ইসিয়াক বলেছেন: দাম্পত্য জীবনে সুখী হবার জন্য ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে স্বামী স্ত্রী দুজনকেই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.