নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাফিব্লগ

রথো রাফি

রথো রাফি লেখালেখি গাণ্ডীব, অনিন্দ্য, শিড়দাঁড়া এবং দ্রষ্টব্যেই । মূলত কবিতা অন্তঃপ্রাণ তবে গদ্যও লিখেছি কিছু। অনুবাদেও আগ্রহ আছে। বই এখনো নাই। জন্ম: দক্ষিণ তারুয়া, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বসবাস ঢাকায়। প্রকাশনা সংস্থায় কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ফ্রিল্যান্স কাজ করছি। [email protected]

রথো রাফি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসনাত আব্দুল হাই ও প্রথম আলোর ক্ষমা প্রার্থনা এবং অন্যান্য সম্ভাবনা

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

হাসনাত আব্দুল হাইয়ের ‌"টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি" গল্পটি পড়ার মনে হলো, ইমাজিনেশন আর ফ্যাসিবাদিতা-যে অবশ্যই দুই জিনিস তা বুঝি সাধারণ মানুষ বুঝে না_পাঠকে এমন বোকা ঠাওরানোর মতো একটা বাজে কাজ এটি। ইমাজিনেশন লেখকের স্বাধীনতাকে প্রসারিত করে। অন্যটি লেখকের পলায়নবাদিতাকে, এবং গণবিরোধী স্বেচ্চাচারকেই শক্তিশালী করে, শক্তিশালী করে ফ্যাসিবাদি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীকে। এই রাজনৈতিক ডামাঢোলের সময়ে আর যোদ্দাপরাদীর বিচার বানচাল করার চেষ্টায় নিযোজিত গোস্ঠীকে খুশি করবেএই গল্পটি_ এ হয়তো পি-আলো আর লেখক ভালই জানতন। আর তা-ই হয়তো তাদের এ কর্মে এই উৎসাহিত করে থাকবে। হয়তো তাই ফিকশন ফিকশনই-এমন দাবীর তীব্র অপব্যহার ঘটিয়েছেন লেখক।

যে দাবী জনগণের প্রাণের সাথে ওতপ্রোত হয়ে আছে সেই দাবী নিয়ে তীব্র আলোড়িত ও জীবন্ত এক বর্তমান আন্দোলনকে নিয়ে লেখকের সেল্ফমিথিফিকেশন-পক্রিয়াটির পক্ষে ফ্যাসিজম কী তীব্র সহযোগী হয়ে উঠতে পারে তার নিকৃষ্ট নমুনা হয়ে রইলো হাসনাত আব্দুল হাইয়ের এই গল্পটি। তাছাড়া গল্প হিসেবেও তা বেশ কাঁচা। যার কারণে, গায়ের লোম দাড়ানোর বদলে লোমকুপই দাড়িয়ে যায়। জনসমর্থিত ,ইতিহাস সমর্থিত, আর বোদ্ধা-সমাজ সমর্থিত বর্তমেনের চলমান বড়ো ধরণের এই শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে এমন ফ্যাসিবাদিতার নজির দ্বিতীযটি নেই।

মনে হয় ব্যবসায়ি প্রথম আলো বর্তমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তার বিএনপি-জামাত-পাঠকদের হারাতে বসেছিলো। আমার মনে হয়, তাদের খুশি করার যৌথ প্রকল্পই এটি। একইসাথে সামনের নির্বাচনে জয়ের সম্বাবনা আছে এমন বিরোধী দল বিনএপিকে খুশি করার একটি সচেতন প্রকল্প বাস্তবায়ন নাকরলেই হয়তো নয়।

শাহবাগ মঞ্চের বিপরীতে ইনকিলাব, আমার দেশ. মাহমুদুর রহমান ও ফরহাদ মজহার যখন শাহবাগের তরুণদর নাস্তিকের তকমা দিয়েছেন, আর বিএনপি তা লুফ নিয়েছে। এবং বিএনপি. আর জামাতের প্রভাবশালী বুদ্ধিজীবীতে পরিনত হয়েছে। আর এ ক্সেত্রে নিঃসন্দেহে প্রথম আলো পিছনে পড়ে গেছে বহুত। একটি ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন পূর্ব বর্তমান ব্যবসা, আর নির্বাচন পরবর্তী ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এ প্রকল্পের সচেতন বাস্তবায়ন হয়েছে_ এ সম্ভানা উড়িয়ে দেয়া কি ঠিক হবে? প্রথম আলো কোন কাজ অসাবধান বশত করে বলে মনে হয় না। আর ক্ষমা চাওয়াও এ প্রকল্পের পূর্বপরিকল্পিত অংশ ছিলো বলেই মনে হয়। আর লেখক হিসেবে নিজেকে ভুল পথে জনপ্রিয় করার একটা বাজে চিন্তাও যে লেখকের মাথায় বাসা বাধেনি সে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া ঠিক হবে বলে মনে হয় না।

এসব সম্ভনার বাইরে, লেখক আর পি-আলোর পেছনে একাধিক রাজনৈতিক দলের প্ররোচনা ও প্রেরণা, অর্থযোগ থাকার সম্বানাকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না। বিভিন্ন মত ও দলকে তুষ্ট রেখেই তাদের এই জনপ্রিয়তা_ একথা মনে রাখলে, একই সময়ে সবাইকে তারা খুশি রাখতে পারে না, তাই ক্সতিপুরণের এই কাজটি তাদের ব্যবসায়িক দায় বলেই মনে হয়, তা যতো ন্যাক্কার জনই হোক না কেন।

এ গল্পের ভেতর দিয়ে শাহবাগের নেতাকর্মী লেখক, সর্মথকদের গায়ে ধর্ষণকারীর যে অশ্লীল ও মিথ্যে অপবাদটি চাপিয়ে দেয়া বাকি ছিলো, সেটি সম্পন্ন করা হলো প্রথম আলো ও হাসনাত আব্দুল হাইয়ের যৌথ কর্মে। আর বিএনপি জামাতের কাছেও ফের গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠার কাজটিও সেরে নিতে পারলো তারা। সামনে বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে হয়তো নাস্তিক, ইসলাম বিরোধী এমন সব মিথ্যে শ্লাগানের পাশাপাশি এবার তব্রিভাবেই উচ্চারিত হতে থাকবে ধর্ষণকারী অপবাদটিও। শাহবাগের নেতা কর্মী সমর্থকরা ধর্ষণকারী। নাস্তিকতার পর যোদ্ধাপরাধ বিরোধী দলগোষ্ঠীর বহুদিনের চাওয়া শাহবাগের তরুণদের, নেতাদের ধর্ষনকারী বলা হোক। এই চাওয়াটি বাস্তবায়ন করলো প্রথম আলো আর এই গল্পকার। এর পেছনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্রের সম্ভবনার কথা মাথায় রাখতেই হবে আমাদের।



ফ্যাসিবাদিতা থেকে সতর্ক থাকুন, ঘৃণা করুন এ সচেতন ফ্যাসিবাদিতাকে। ঘৃণা করুণ সমস্ত ধরনের ফ্যাসিবাদকেই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট
ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.