নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিশ্চয় বিভক্তি ভেঙ্গে বিশ্বাসের বিন্যাস দেশপ্রেম কে বিন্যস্ত করবে নগরের আনাচে কানাচে।গুমোট বাতাসে শীতের ক্লান্তি বসন্তের জানান দেবেই।

স্বর যন্ত্র

প্রজ্জলনের অনির্বাণ অগ্নিশিখা আমি, শুধু সাদা আগুন, পুড়লে ফোসকা পড়েনা, ধোঁয়াও ওড়েনা..তাই নৈতিকতার স্বপক্ষে ফিরে যাই বারে বারে।

স্বর যন্ত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবল অস্থিরতায় স্বপ্নবোধ স্তরীভুত হচ্ছে

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০০

প্রবল অস্থিরতায় স্বপ্নবোধ স্তরীভুত হচ্ছে,আমি ঠিক গুচ্ছ গুচ্ছ অসামঞ্জস্যের বালখিল্য নিয়ে চাঁদোয়ার নরম পিলসুজের আলোয় সিঁধ কেটে কেটে উত্তরমুখী পথ ধরেছি।ধরিত্রী যাতনার অংশপ্রেষ চেতনায় ধারন করে আমি ছুটে চলেছি, দু’পাশের উন্মুক্ত জলাভূমি আর অরন্যের নিগুঢ় স্থব্ধতাকে একের পর এক অতিক্রম করে,রুপালী জোসনা জ্বালাময়ী সুখ জাগায় নীল কষ্ট পাথরে, তবুও জোসনাকে বিদীর্ণ করে ছুটে চলি অজিঞ্চুর অংশীজালে।আমি মোহগ্রস্থ, আমি উন্মাতাল, আমি উদ্গ্রীব, আমি সভ্যতার জন্ত্রজালের অবাধ্য মনপ্রতিরোধে প্রকৃতির জলকেলিতে অন্তরীন।ঈশ্বরীর জয়ন্তী শুধার শ্বেত পেয়ালা শঙ্কা ডেরায় আবৃত,চারিপাশ জুড়ে শুধু অশুভ চোরাবালি,আবেগের উদ্ভ্রান্ত উৎক্ষেপণে কোনও দুর্ভাবনা থাকেনা তাই বিপন্ন হওয়ার ভয় নেই।এখানেই আমার আমিত্বকে বিপরীতমুখী উত্তরের স্রোতে সমর্পণ করে চলেছি,সংবেদনশীলতাকে পাশ কাটিয়ে আমি প্রত্যুক্তির শোধ নিতে সপ্নমুখী।এ হলো বিষণ্ণতার বাঁধ ভেঙ্গে তোমাকে অনবরত এঁকে চলার চারুতা শৈলী।কখনও নীল রঙ্গে সাঁজাই কখনও বেগুনীতে, আবার আবার কখনও শ্বেত শুভ্র মেঘমালায়।যেভাবেই রাঙোনা কেন,কল্পাকৃতিটা তোমারই হওয়া চাই।তোমার উপস্থিতি এতটাই ঊর্জস্বল যে আমি পিছনে ফেলে আসা শত সহস্র হায়েনার বিকৃত হুংকার নির্দ্বিধায় জোনাকির আলোর অলক্ষ্যে সমর্পণ করেছি অবহেলার বিদঘুটে ডাস্টবিনে।তোমার উপেক্ষিত অশুদ্ধ হাসি আমাকে অস্পর্শ অনুভুতিতে প্রতিবার মনে করিয়ে দেয়, তুমি আমার ঋকাথ-গ্রাহ স্বপ্ন ভাণ্ডার,এখানেই আমার প্রজন্মের সুখ অঙ্কুরিত হবে যুগ যুগ ধরে আর আমার স্মৃতিগুলো বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হবে তোমার চিরল মনতরুকে আঁকড়ে ধরে আঁটসাঁটভাবে।শুক্লাপক্ষের বাতাসগুলো এতো বিরুদ্ধ স্বত্বার কেন হয় বলতে পারো?যতটা ক্ষিপ্রতায় তোমাকে স্পর্শ করতে চাই তত বেশী বিপরীত প্রবাহে আমাকে বিপরীতমুখী করতে চায় তারা একাট্টা প্রতিরোধে,শুনেছি প্রকৃতি ভীষণ নিঃস্বার্থ হয়, তাহলে মাঝ রাতের নক্ষত্রের বাতাসে কিসের এতো অবাধ্যতা,চারিপাশ জুড়ে এ কোন অনাকাংখীদের পদচারনা?অন্ধকারের অভুক্ত পিশাচেরা ভীষণ অদৃশ্য হয়, তাদের রক্তচক্ষুর তাণ্ডবে জনারন্যে নিশুতি কাব্যেরাও নির্লিপ্ত থাকে,নিরজনতায় জেঁকে বসে রাজ্যের বীভৎস হাহাকার,এতসব গুমোট, ঘনীভূত হুংকার উপেক্ষা করে অন্ধকারের ঋণপত্রে তোমার অন্তরাত্মা স্পরশের অঙ্গীকারনামা লিখে গেলাম সমুখের শেষ মৃত্যু সাঁকো পাড়ি দেবো বলে।যদি ফিরে আসি,সহযাত্রীর হাত ধরে সাঁঝবাতি জ্বালিয়ে ফিরে আসবো নিঃসংকোচের পৃথিবীতে, যদি ফিরে না আসি অসমাপ্ত কাব্যগ্রন্থের প্রিথিবীতে রয়ে যাবো অসংকোচে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.