নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিশ্চয় বিভক্তি ভেঙ্গে বিশ্বাসের বিন্যাস দেশপ্রেম কে বিন্যস্ত করবে নগরের আনাচে কানাচে।গুমোট বাতাসে শীতের ক্লান্তি বসন্তের জানান দেবেই।

স্বর যন্ত্র

প্রজ্জলনের অনির্বাণ অগ্নিশিখা আমি, শুধু সাদা আগুন, পুড়লে ফোসকা পড়েনা, ধোঁয়াও ওড়েনা..তাই নৈতিকতার স্বপক্ষে ফিরে যাই বারে বারে।

স্বর যন্ত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

তন্ন তন্ন করে খুজে ফিরি আমার নিরুত্তাপ জীবনের অপরিশুদ্ধ ধুসর ঐকাত্ন্য

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৪

তন্ন তন্ন করে খুজে ফিরি আমার নিরুত্তাপ জীবনের অপরিশুদ্ধ ধুসর ঐকাত্ন্য,সহজাত ভাবেই বিভ্রান্তি এড়িয়ে চলাটাই আজকাল বড় বেশী অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। যেভাবেই হোক জীবনীশক্তির ওজস্বিতা অটুট রেখে অতি সন্তর্পণে মন পাখির ওঠবন্দীতার দায়মুক্তির পথ করে দিতে হবে সেই আমাকেই।দরজার ঠিক ওপাশটাতে বিভ্রমের আগুনভুমে স্বপ্নযন্ত্র অনেক বেশী প্রাণশক্তিময় আর সচল, হয়তো একারণেই আমার প্রতিবাদী চোখ সাঁজোয়ার মিষ্টি বিকিরন উপেক্ষা করে তোমার এই কক্ষান্তরন।ঠিক কখন যে কংকালসার স্বপ্নানুভুতির একচ্ছত্র বিরোধীতায় খঞ্জরি বাজিয়ে বিবাগীর সুর মুঠোবদ্ধ করেছে স্মরনকালের সবগুলো জলফড়িং, আজও জানা হলনা তা।গনগনে রোদে শহর জুড়ে হেঁটে বেড়ানো ত্রস্থ নিভাঁজ শরীর আমার, কখনও ক্লান্ত অবসন্ন,কখন প্রাণবন্ত উচ্ছল, দুরত্তের ক্রমচক্রে হঠাৎ হঠাৎ এখনও প্রেমকাপুনীর বুনোলতা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় লজ্জাবতির ঝাঁঝালো বনে।বিদেহী সম্পর্কের ডানপিটে মেঘগুলিকে চকবন্দি করে রেখছিলাম অনেককাল ধরে,নিমীলিত চোখ বারে বারে সূর্যোদয় সূর্যাস্তের হিসেব রাখত জন্মহীন নক্ষত্রের নাম জপে জপে।কখনও ধুন্দুমার নেশায় বিকৃত হয়নি অনুপম প্রেমের সুখানুভুতি,দিনান্তের গর্ভে শুধু বিয়োজনের বলিরেখা চওড়া থেকে চওড়াতর হচ্ছে কোনও এক অজানা কারনে।এখন আর আগের মতো খোলা আকাশের নিচে নির্ভেজাল বৃষ্টিতে ভিজতে চায়না মন নামের চক্রযানটি,দোতলা বাসাটার উত্তর দিকের ব্যালকনীতে বসে ভাবি,ফেলে আসা জীবনে বিষবৃক্ষের এক সুদীর্ঘ উপাখ্যান, মনে পড়ে শিরা উপশিরা জুড়ে ডাই-কার্বাজিন প্রবাহের উথাল পাথাল দুঃসহ যন্ত্রণা আর মুখ বন্ধ করা অন্তর গোঙানির নিঃশব্দ চিৎকারে চার দেয়ালের প্রতিধ্বনি।ভীষণ নির্বিঘ্নে একাকিই পার করেছি ব্যাথার ডোলোরিমিটারের সর্বচ্চ অংকটিকে। কষ্টাতংকে এখনও কুঁকড়ে পড়ে থাকে অবশ, নির্বাক দেহখানা চারদেয়ালের কোনও এক স্যাঁতস্যাঁতে কোনে।সেই সাথে মনটাও।আমি জানি নিগ্রহের চলমান পয়জন সব পৃথিবীতেই সমানভাবে বিচরন করে, কখনও চারিপাশের বাতাস কে সে অসহ্য করে তোলে,কখনও ভাবলেশহীন পাথর হয়ে ভর দুপুরে ডেকে চলা শংখচিলের ক্ষিপ্রতাকে অগ্রাহ্য করে।এর পরও তঞ্চকের তটসীমা অতিক্রম করে শান্ত শীতল গিরিপথ বেয়ে অনবরত নেমে চলে শুদ্ধতার নীল শৈতি,এক টুকরো বিক্ষিপ্ত পাথর টুপ করে পানিতে পড়ে, পানির গতিপ্রবাহ আলোড়িত হয়,আমি নির্লিপ্ত মুখে হাসি আর ভাবি এ পথেই জীবন থেমে গেলো কি?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:১১

মার্কো পোলো বলেছেন:
লেখাটা ভাল লেগেছে। শব্দচয়ন চমৎকার হয়েছে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

স্বর যন্ত্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার ভালো লাগায় আমার মুগ্ধতা বেড়ে গেলো।সুখি হোন সবসময়য়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.