নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিশ্চয় বিভক্তি ভেঙ্গে বিশ্বাসের বিন্যাস দেশপ্রেম কে বিন্যস্ত করবে নগরের আনাচে কানাচে।গুমোট বাতাসে শীতের ক্লান্তি বসন্তের জানান দেবেই।

স্বর যন্ত্র

প্রজ্জলনের অনির্বাণ অগ্নিশিখা আমি, শুধু সাদা আগুন, পুড়লে ফোসকা পড়েনা, ধোঁয়াও ওড়েনা..তাই নৈতিকতার স্বপক্ষে ফিরে যাই বারে বারে।

স্বর যন্ত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিঠিটা আজও অর্ধেক লেখা আছে

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২০

চিঠিটা আজও অর্ধেক লেখা আছে,মাঝ দুপুরে চনমনে সেই রোদ্দুর অতিক্রম করে মেঘেদের আশায় বিকেলের স্যাক্সফোন ভুলোমনে সুর হারিয়েছে গোধূলির পর গোধূলি।খড়কুটো জড় করে আবেগের বদ্ধ বাতাস অন্তরবন্ধি করে সুখতারারা ছুটে চলে বিশ্বাসের বিষ পথে।তুই ছিলি, কততুকুই বা ছিলি?বাইপাসে ঢুকে গেছে জীবনের যত বাইসাইকেল, তারপরও দিনশেষে জোর পায়ে হেঁটে যাই শেষ দেখা দেয়াল লিখনের পরিবর্তনের প্রত্যাশায় আমার মন খারাপের রাতে, চোখ বুঝে অনুযোগের শেষ বায়না, একটিবার যদি ভেঙ্গে পড়া ভেন্না গাছের উপর আলতো করে বসতে পারি তোর পাশে। অবাক চোখে তাকিয়ে থাকা আর খণ্ড যুদ্ধের হাতেখড়ি।বিরক্তির বনলতা কখন যে শুদ্ধতার প্রেম কানন উজাড় করে চৌচির বালুময় করে রেখেছে আমার খোলা মাঠটাকে।কখনও যদি সময় আসে দু হাত জড় করে স্বপ্ন কুড়ানোর অবান্তর বাতিক আমায় ব্যাকুল করে দেয়।তখন যদি পারিস অখণ্ডতার খণ্ডকাব্য রচনা করিস আর তর্জনী উঁচিয়ে পাহাড়ের নিঃসঙ্গবাসের সুপ্তকান্নায় আমাকে বিমুগ্ধ করে দিস।রোজ রোজ তো নতুন করে অর্কিডের পরিস্ফুটন স্বেত বাগানের গল্প সাজায়, শুনেছি রাত হলে এখানেই নাকি সুগন্ধিরা ভীষণ ঘুম পাড়ানি গান গায়।ঘৃণার খরস্রোত আমাকেও উদ্বেলিত করে, ঠিক কবে কোথায় শুরু, কবে কোথায় শেষ, তার হলনা আজ অবধি অবশেষ।তাই রাত জেগে তারাদের প্রশ্ন করি, আমি কি আদতেই এতটাই আনাড়ি।সৎ সাহসের বিড়ম্বনায় তোকে মাঝ পথে ফেলে এসে আমি একলাই সে পথ হাঁটি।তুই ভালবাসার পরিমাণ জানতে চেয়েছিলি, তাই গজ ফিতে নিয়ে হাজির হয়েছিলাম আঁধারের মেঠো পথে জোনাকির আলোয় তোর হৃদযন্ত্রের সবচেয়ে গভীর কুণ্ডলিতে।কখনও মাপা হইনি সেটার গভীরতা, আমি কি করে প্রমান করবো তাহলে বল?আমি শুধু বলেছিলাম পলাশের বনে গেলে আমি তোর ছায়া পাশে নিয়ে হাঁটি, শালবনের খাজে খাজে তোর অবয়ব আমার সাথে লুকোচুরি খেলে।আকাশে মেঘ হলে আমার কান্না পায়, আমি ঝড়ের মাঝে সাহস খুজে পাই তোর আকাশ বিদীর্ণ করা উন্মুক্ত হাসির ফুলঝুরিতে।শুধু ভুল করে একবার আমায় বল ভুলে গেছিস সেই প্রথম শ্রাবনের শেষ রাতের বৃষ্টিতে, আমি খুজবোনা নতুন করে অবহেলার বন্ধনে।চারিপাশের যত ঝঞ্ঝাট সব আড়াল করে আমি প্রতিবাদের সুখ বিনে দ্বিধায় করছি নিখোঁজ।তোর অভিযোগের গঠনসৌষ্ঠব ছিল একেবারেই নড়বরে,কিংবা কোনও এক দৈবজ্ঞ্যানে শুনতে পেয়েছিলি শ্রাবনের ঘনাত্যয় বিস্মৃতির বিমুগ্ধ রজনীতে।এরপর বিক্ষিপ্ততার চতুষ্কোণ জুড়ে অনাহুত সব বেখেয়ালি প্রজাপতিরা রঙের নেশায় বেপরোয়া হয়ে উঠত।তারপরও তুই সখ্যতার জালা যন্ত্রণাকে বিভীষিকার ঘরশত্রু ভেবে আমাকেই ঘাত প্রতিঘাতে বিসন্নতায় সাজাতি আতশবাজির স্ফুলিঙ্গে।আর আমি নির্দ্বিধায় উন্মুক্ত হাসিতে কখনও আগুনের রঙ্গে জ্বলতাম, কখনও বেদনার।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:২০

কানিজ রিনা বলেছেন: ভালই লাগল পড়তে। আকাশ বিদীর্ণ হাসির
ঝলকানী, কালমেঘ ভেঙে পড়ে জমিনে।
কিন্তু মেঘের আড়াঁলে চাঁদ হাসে।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.