নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘিয়ে রঙ্গের ফুলতোলা প্লেট, তাতে ডালের হলুদ ঝোল রংধনুর মতো বেঁকে বেঁকে লেপটে আছে। আঙ্গুল দিয়ে কেঁচে খেলে এর স্বাদ ঠিকমত পাওয়াতো যাবেই না বরং একটা পিচ্ছিল অতৃপ্তি ডাঙ্গায় উঠা মাছের মতো ছোট ছোট দম নিবে। হাজেরা খাতুন এক নিমেষে প্লেটটা জিভ দিয়ে চকচকে করে ফেললেন।
-আম্মারে আরো দুইডা ভাত দাও নাসিমা।
শাশুড়ির প্লেট চেটে খাওয়া নিয়ে হয়তো দু চারটা কথা স্ত্রীকে শুনাতো দবির আলি। যদিনা এখন তার দাঁত আর গালের ফাঁকে চিবানো পান জমে থাকতো আর তা জিভ দিয়ে বের করে পুনরায় চিবোন দেয়া তার কাছে স্বর্গসুখ মনে হতো। সুযোগটা খপ করে ধরে ফেলার মতো নাসিমা তাঁর মাকে একটা চতুর ইশারা করে। স্থূল শরীরটা নিয়ে থপথপিয়ে রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে যায় হাজেরা খাতুন। মেয়ের কাছে গিয়ে খুব একটা গোবেচারা ভাব করে দাঁড়ায়,
-কিছু করুম?
-না। মায় কি জামাই জন ও দেহেন না? এমুন চাইট্টা খাওন লাগে?
-ওই হেইয়া কি আমি বুঝিনা? আমি জানিনি আশার বাপে যে বাইত্তে?
হাজেরা খাতুনের মন আজ কচু পাতার মতোই মিহিন ,রোমশ। মেয়ের দেয়া লজ্জা, কষ্ট তাই পানির মতোই বেয়ে বেয়ে পরে গেল। দেখালো চটুল, সবুজ ও দোদুল্যমান। এর প্রমাণ স্বরূপ সে মিনমিন করে একটা হামদের সুর ভাজলেন। মেয়ের প্লেটের দিকে তাকিয়ে আলগা দরদ দেখালেন।
-হুদা ভাত খাইতাছছ কে? এ? ওই টেবিল থন তরকারি আইন্না দিম ?
সারাদিনের খাটা খাটনি করা নাসিমা তাতে আরো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো,
-আমার কি আপ্নের মতো ভাইজ্ঞো মা? পায়ের উপর পা তুইল্লা মাইয়ার জামাইগো ভালোডা ভালোডা খাম ?
একটা জীবন শেষ হতে হতে কেউ আর মূর্খ থাকে না। অনেক তত্ত্বই উদ্ভাবকের ব্যাখ্যা ছাড়া বুঝতে পারে সাধারণ মানুষ। এই যেমন মার্ফির ল সম্পর্কে কোন রকম ধারনা ছাড়াই হাজেরা খাতুন এটা ভালো মতো বুঝে গেছেন যে, পরের বাড়ির ভাত তার ভাগ্যে নির্দিষ্ট হওয়ার পর থেকেই এমনটা শুরু হয়েছে। খাবার দেখলেই মনটা কখনো তার আশেপাশে মাছির মতো ঘুরে বেড়ায় তো কখনো চাতকের মতো চেয়ে থাকে। শুধু খাদ্যের নাম শুনলেই কণ্ঠনালী লালা জড়ো করতে এতটাই বেহায়া হয়ে উঠে যে একটা কাঠ গেলার মুখভঙ্গি তাকে আরো কিছুটা লোভী দেখায়। তা না হলে কতো কুকুর বিড়াল কে ছুঁড়ে দিয়েছেন ! কতো অরুচি গেছে নিজের সংসারে!
ব্যাপারটা নতুন করে ভাবায় না বলেই সে মেয়ের এমন কথায় নিরুত্তর ও অসহায় ভাব করলেন। তার সূক্ষ্ম হিসাবে এ বাড়িতে বেড়ানোর মেয়াদ আপাতত শেষ। সময় আর দূরত্ব আবার নাসিমার বিরক্তি ভুলিয়ে দেবে সে যেচে নিয়ে আসবে তার মাকে।.
নাসিমার রান্না ঘরের পেছনে বিশাল বিশাল সেগুন গাছ। দিন দুপুরেও আলো আঁধার করে থাকে। সাথে ঝি ঝি পোকারা চিৎকার , হুম হুম করে কি একটা পাখিও আজ ডাকছে। দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস নেই বলেই শব্দগুলো উটকো শুন্যতা তৈরি করছে হাজেরা খাতুনের মনে। শূন্যতা কাটাতে এক কাপ গরম চায়ের জুড়ি নেই । চায়ের কথা মনে হতেই আরো উদাস হয়ে গেলেন তিনি । নাসিমার আজকের মেজাজে চায়ের কথা উল্লেখই করা যাবে না। অবশ্য একি ভিটার উপর আশে পাশের ঘরগুলো নাসিমার শ্বশুরপক্ষের আত্মীয়দেরই। ঠিক কোন বাড়িতে গেলে একটু নাস্তা পানি দিতে উদগ্রীব হবে আর কৌশলে তিনি বলতে পারবেন, “কিছু খাম না । এক কাপ চা খাইলে খাওন যায়... ”ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখে তিনি মেয়ের উদ্দেশ্যে চপল স্বরে বললেন -
-ওই। একটু হাইট্টা আহিগা।
চা আর মেহমানি আড্ডার খেয়ালে মনটা এতটাই চাঙ্গা হয়ে উঠেছে যে সে মেয়ের মতামতের ধার ধারলেন না। বড় বড় পায়ে নাসিমাকে পেছনে ফেলে বাড়ির বাইরে পা দিলেন।
২।
বিনিময় প্রথা প্রকৃতির নিয়মে প্রথিত। তাই বুঝি ভালোবাসাও কোন মহত্ত্ব নয় ,একরকম কৃতজ্ঞতা। যেমনটা পিতার প্রতি ভালোবাসায় হাজেরা খাতুনের সন্তানদের মনটা পূর্ণ তেমনটা মায়ের জন্য নয়। পরের সংসারে ছেলেবেলার পিতার স্নেহ টুকুই স্মৃতিতে পুনরাবৃত্তি করে ভাবে তারাও স্নেহ-পুষ্ট । কখনো স্মৃতিচারণ আলাপে কখনো ঘরের কোনে লুকিয়ে সাংসারিক জটিলতায় চোখের জল ছাড়ে বাবাকে ভেবেই।
সৃষ্টিকর্তা অল্প বয়সে তাদের বাপ কেড়ে নিয়েছেন , ধন বিত্তে প্রাচুর্য দেননি সাথে দেননি মায়ের মনে মমতা।এমন পাষাণ স্রষ্টার প্রতি হাজেরা খাতুনের সব সন্তানের অভিযোগ। শুধুমাত্র জন্মের দায় মেটাতে বা যে অংশটুকুতে নিজের অস্তিত্বে মা শব্দটুকু জড়িত তা ছাড়া মায়ের প্রতি সত্য বলতে তেমন একটা টান হাজেরা খাতুনের কোন সন্তানই বোধ করেন না এখন।
হাজেরা খাতুন ব্যাপারটা সূক্ষ্ম ভাবেই বুঝেন আর বুঝেন বলেই বাবার প্রতি ছেলেমেয়েদের এই দুর্বলতাই তিনি কাজে লাগান যখন তার বিরক্তির সীমা অতিক্রম করে । যেমন এখন মেঝ মেয়ে আছিয়ার খাবার নিয়ে ঠেস দিয়ে কথার ঢাল স্বরূপ তিনি বললেন,
“এইয়া পোলাপান পেডে ধরছি! বুড়া মার লগেও হিসাব। হিসাব করতে করতে তোগো আত্মা হইয়ে গেছে ছোড । আহারে তোগো বাপের মনডা কত বড় আছল । কইতো কি, রোজ রোজ ফকিরের মতো খাওন থন একদিন রাজার মতো খাওন ভালো। খালি পেট ভরলেই অয় নি আত্মাও ভরতে অয় ।
নাসিমা, আছিয়া , শিউলি, ইসমত আরা , সাথী এরা কেউই এই কথাগুলো শুনে চমকিত হয় না। কখনো চুপ করে থাকে তো কখনো মুখ ছুটে যায়। কাঠ ফাটা রোদ আর চুলার পাড়ের গরমে আছিয়া আজ চেঁচায়,
“আপ্নের তো খালি খাওনের কতা। হেসুম হিসাব কইরা চলেন নাই এহনো না। আপ্নেরে খাওন পিন্ধন যোগাইতেই তো আব্বার সব শেষ হইছাল”
আম গাছের জীবন চক্রের মতো প্রসঙ্গ আবার হিসাব আর হাজেরা খাতুনের দোষারোপেই ফিরে আসে। আছিয়ার কথার বর্শায় হাজেরা খাতুন হেরে যাওয়া মানুষের মতো মাথা নিচু করে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন
মনের সাথে চোখ ও গড়ের মাঠ তাই তাকে তা থেকে পানি বের করতে টিপে টিপে কসরত করতে হয় । আছিয়া উঁচু পেট নিয়ে কল পাড়ে যায় কলসি ভরে কাঁখে নেয়। হাজেরা খাতুন তবু মেয়েকে সহায়তায় এগিয়ে যান না। দু ফোঁটা পানিকে চোখে সাইনবোর্ডের মতো ঝুলিয়ে রেখে ঠায় বসে থাকেন।
আছিয়া ভরা কলস নামাতে নামাতে বলে,
-আযানের ওয়াক্তে হেনে বইয়া রইছেন কে? নামাজ পইড়া আহেনগা।
হাজেরা খাতুন মেজাজের প্রতিকূলতা মানিয়ে নিতেই হাল্কা স্বরে গল্পের তাল তুললেন। কথার মোড় ঘুরাতে চাইলেন,
-চিন্তা করতাছি। এই যে... আমরা কত কষ্ট করছি বিয়ানের সুম। কাছা ঘরে তোর দাদী এক বদনি পানি আইন্না দিয়া কইতো এই পানিতেই সারাদিন চলন লাগবো। নাইলে বলে নাড় হুকাইবো না। ওই, কত যে পায়খানায় যাওইন্না পানির বদনি থেইক্কা পানি খাইয়া লাইতাম! বুচ্ছত? তোর দাদীনা একটা বজ্জাত আছল ।
- হেইসুম যেই নিয়ম আছিলো হেইয়াই তো করব মা। আমার দাদীতো আপ্নের মতো কি এতো মডার্ন আছল? যে এইয়া বুঝতো! মেন্দি দিয়া মাথার চুল লাল করবো, নাতনীগো শ্যাম্পু দিয়া চুল উড়াইয়া থুইবো, শইল্লে পোলাপানের লোশন মাখনের লেইজ্ঞা কাইজ্জা করবো।
আছিয়া অবস্থাপন্ন না বলেই আছিয়ার প্রতি হাজেরা খাতুনের গলা চূড়ান্ত রকম চড়ে,
-কি কলি? ওই? মাথা দুম কি দিয়া তাইলে? সাপান দিয়া ধুইলে তো আরো উইড়া থাকে? আর শীতের দিনে শইল্লে কিছু দেওন লাগে না? আমি কি তর মাইয়ার সতিন যে কাইজ্জা করুম? উইত্তো খালি বেজতে আহে।
উঁচু পেটটা হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে আছিয়া। রাগ ধরে যায় হাজেরা খাতুনের। আসরের ওয়াক্তে নামাজে বসে এশার পর্যন্ত বসে থাকেন, ভাবেন আর একদিনও থাকবেনা এই বাড়িতে । নোঙ্গর ছাড়া মানুষের আর নৌকা ছাড়ার ভয়! এই ভয় তিনি কখনোই পান না। ভয় পেয়েছিলেন একবারই, সেই রাতে। তখন পদ্মার ভাঙ্গন চলছিল। বড় বড় চাক ভেঙ্গে যাচ্ছিল জোয়ারের রাতে। মাঝরাতেও অন্যের বাড়ি ভেঙ্গে গেলে মানুষ ভেঙ্গে পড়তো তা দেখতে। অন্যের দুঃখ বেদনায় জিভ চুক চুক শব্দে আফসোস আর ভয় এলেও আর একটা চোরা আনন্দ, একটা বিনোদন ঠিকই থাকে। হয়তো নিজের বেদনাতেও থাকে, মানুষ ধরতে পারে না সেই সূক্ষ্ম ফুর্তি কে । হাজেরা খাতুন নিজের কাছে অতিমাত্রায় খোলাসা বলেই হয়তো সেই রাতে আশঙ্কা ভয় ছাপিয়ে তাঁর কণ্ঠের চিকন ফুর্তির সুর লুকানো হয়ে উঠে না। মাঝরাতে কিশোরী সাথীকে একরকম ধাক্কা দিয়ে সে বলেছিল,
-ওই চল নদীর পারটা দেইক্ষা আহিগা। যেকোন সুম অঘটন ঘইট্টা যাইতে পারে।
তিনি নদীর পাড়ে দিকে এগুচ্ছিলেন তাঁর কিছুটা পেছনে ছোট মেয়ে সাথী। পানি একটু উত্তাল হয়ে আঘাত করছিল পাড়ে। উথাল পাথাল চাঁদের আলো সাথে ফুরফুরে পদ্মার হাওয়া। আজন্ম ভালোলাগার কাঙ্গাল হাজেরা খাতুন আবেশটা গায়ে মাখছিলেন চোখ বুজে। হঠাৎ চিরিক একটা শব্দে তার কিছু দূরের মাটি মৃত মানুষের মুখের মতো অল্প হা হয়ে যাচ্ছিল। বিপদের একটা সম্মোহন থাকে তা কাটিয়ে বেশ কিছু সময় পর হাজেরা খাতুন আবিষ্কার করেছিলেন বিরাট ফাটল দেয়া মাটির চাকে তিনি একা দাঁড়িয়ে আছেন, আর ঐ পাড়ে দাঁড়িয়ে সাথী চেঁচাচ্ছে। কিছুক্ষণের জন্য হত বিহ্বল হাজেরার আত্মার আমূলে পৌঁছে ভয়টা তাণ্ডব নেচে শান্ত হয়ে গিয়েছিল। তখনো শরীরে এত মেদ জমেনি। কুচকুচে কালো বিড়ালের মতোই সে লাফ দিয়ে চলে এসেছিল চাকটি থেকে, সর্বচ্চো নিরাপত্তাহীণতা থেকে।
৩।
ধুবির-টেক থেকে ছেলে পক্ষের লোক এসেছে । বড় জামাই দবির আলির মন ফরাস খালীর ছই ছাড়া নৌকার মতই বিশাল। মেয়ের বিয়েতে আয়োজনের ত্রুটি রাখেন নি। চুনিকাঠির মিষ্টি, আবুলের দোকানের মণ্ডা, পোলাও, কোরমা,খাসির রেজালা, পায়েস আরো কত কি ! এতক্ষণ হাজেরা খাতুন নিজের মুখের লালার সাথে সম্ভাব্য স্বাদ আর ঘ্রাণ যোগ করে গিলতে গিলতে কণ্ঠনালী শুকিয়ে কাঠ বানিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু খেতে বসেই তিনি রাগ করে হাত ঝেড়ে উঠে গেছেন। নিজের নাতনীর বিয়ে আর এক টুকরা মোরগের কোরমা তাঁর বরাতে জুটবে না। এমন বিয়ে না হয় নাই খেলেন । মায়ের হাত ধোয়া দেখে দৌড়ে এল নাসিমা,
-কি অইছে মা?
সম্ভ্রমের পর্দাটা মাঝে মাঝে উঠাতেই হয় নয় তো পাওনার স্তম্ভ দিন দিন আরো ছোট হতে থাকে। হাজেরা খাতুন বলেই ফেললেন,
- এইয়া দিয়া কি খাম? নাতনীর বিয়া দেখলেই অইবো, খাওন লাগবো না...
-আরে মা...হেনে আপ্নে মাইয়ার নানী। মেজবান থাকতে খাইলেতো একটু বুইজ্জাই খাওন লাগে। যদি টান পড়ে।
কথার রেশ টানে ইসমত আরা,
-হেই কি অইছে আমরা কোন বইনইত্তো এহনো এক ফোটা পানিও খাই নাই। মা আপ্নে তামশাডা পড়ে কইরেন।
নাসিমার মুখের উপর কড়া কথা বলেন না বলেই হাজেরা খাতুন মুখ ঝামটা মেরে বাইরে এসে দাঁড়ালেন। মোটা গ্লাস দিয়েও উঁচু উঁচু সেগুন গাছের আগা ঝাপসা দেখায় তবু সেদিকে চেয়ে চোখের পানি আনার চেষ্টা করলেন। অতৃপ্ত ইচ্ছাগুলো কেন যে সময় সুযোগ পেলেই দাঁত দেখায়, ভালো-কিছু দেখলেই আফসোস কেন লাউ ডগার আগার মতো মাথা উঁচায়! সে নিজেই বুঝে না আর এই মুখপোড়া মেয়েরা বুঝবে কি? তার কয়েক গজ দূরে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে এরা আফসোস করছে ।বুড়ো হওয়াতেই নয় তাদের মা আগাগোড়াই অবুঝ শুধু নিজেরটাই বুঝেন এরকম কিছু শব্দের আভাষ তার কানে যেতেই তিনি তিনি ঝগড়া করতে যাওয়ার মতো এগিয়ে যান,
- ওই কি কলি তোরা? আমি আজকাই জলিলের লগে ঢাকা জামগা। হেনে বহুতদিন ধইরা আছি ।
নাসিমা নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করার মতো নিজের কপালে চাটি মারে । হঠাৎ বরের ছোট বোন এসে হাজেরা খাতুনকে জড়িয়ে ধরে,
-নানী আহেন আমগো লগে খাইবেন।
সব মেয়েরা চোখ পাকায়।কিন্তু হাজেরা খাতুন দু একবার মিনমিন করে নিজের অক্ষমতা ফুটিয়ে খেতে চলে যান।খাওয়ার টেবিলে কনের নানীকে নিয়ে হই হই পড়ে যায়। সবাই ঠাট্টা মশকরায় তার প্লেটে আরো খাবার ঠেলে দিতে থাকে। আনন্দে হাজেরা খাতুন বার বার তার সবগুলো আঙ্গুল- প্লেট চেটে , থুতনিতে মাংসের ঝোল লাগিয়ে , ঠোঁটের কোনে ভাত আর শাড়িতে দই মাখিয়ে খেতেই থাকেন ।
কনের শ্বশুর লসকর খাঁ খাওয়ার পর্ব শেষ হতেই ঘোষনা দেন আজই কাবিন করে নিবেন। আকস্মিক বিয়ের যোগাড় যন্ত্রে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে আর হাজেরা খাতুনের স্বাধীন পদচারণ খাবারের টেবিল, তরুণীদের আড্ডায় বিস্তৃত হতে থাকে। সন্ধ্যার দিকে ছোট খাট একটা গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ভেতর বাড়িতে শুরু হয়। মেয়েরা কেউ আশে পাশে নেই বলেই হাজেরা খাতুন সেখানে সফল ভাবে কনে ছাপিয়ে মধ্যমণি হতে সক্ষম হন। হাজেরা খাতুনের পাঁচ মেয়েই মেয়েরা রান্নায় ব্যস্ত থাকায় খবরটা সাথীর ছেলেটা তীক্ষ্ণ হুইসেলের স্বরে মা খালাদের জানিয়ে আসে,
-ঐ মা...! বড় খালা,মাইজ্জা খালা, সাইজ্জা খালা দেইক্ষা যাও নানী লাচতাছে।
-কি?!
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। ঘর ভর্তি বর পক্ষের লোক। কনের কাছা কাছি হাজেরা খাতুন বড় মাপের একটি সার্ট আর লুঙ্গি পড়ে বরের ভাইয়ের সাথে তাল মিলাচ্ছেন। তাকে নিয়ে তরুণদের মধ্যে চূড়ান্ত কৌতুকময়ী উত্তেজনা চলছে। নাসিমা, আছিয়া , শিউলি, ইসমত আরা , সাথী এরা সবাই মাথায় আচল আর তাঁর কিছুটা মুখে গুঁজে দরজার বাইরে থেকে একে একে উঁকি দিচ্ছ। শিষ, হই হই আনন্দ আর তরুণ তরুণীদের ভিড়ে বার বার এমনিতেই তাদের মায়ের হাস্যচ্ছল মুখ ঢেকে যাচ্ছে। তার উপর তাদের সবার চোখেই পানি থাকায় তা আরো ঝাপসা দেখাচ্ছে। ঝাপসা দেখাচ্ছে হাজেরা খাতুনের ঘাড় পর্যন্ত মেহেদী রাঙ্গা বাবরী চুলের বাতাসে উড়ন্ত ভঙ্গি, এর চেয়েও ঝাপসা তার আজন্ম অপূর্ণ ইচ্ছেগুলো ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন রশিদ ভাই
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
সাইদুল পবন বলেছেন: "একটা জীবন শেষ হতে হতে কেউ আর মূর্খ থাকে না"- লাইনটা খুব ভালো লেগেছে। আপনার গল্প বলার ধরন-আঞ্চলিক শব্দ চয়ন- চরিত্র উপস্থাপন- প্রত্যাশাকে এতটাই বাড়িয়ে দিয়েছে যে শেষে এসে খানিকটা 'শেষ হইয়াও হইল না শেষ' টাইপ কিছু মিস করেছি। ক্রমশ আরও আলোকিত হয়ে উঠুন আপনার লেখনশৈলী আর শাণিত হয়ে উঠুক।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন। কিছুই শেষ হয় না ভাই। অনেক ধন্যবাদ এত বড় গল্পটা পড়েছেন বলে।
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
গল্পটা আস্ললেই অন্যরকম হয়েছে। কিছু কিছু যায়গায় বর্ণনা পড়ে মুগ্ধ হলাম। শুভকামনা থাকল গল্পকারের প্রতি।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো আপনার প্রতিও নাজিম
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: মুই নতুন কইর্যা কী আর কইমু?
তবে শব্দের ব্যাবহার অনেক সময় ভাবকে হালকা করে দেয়। যেমন, ভেঙ্গে আর ভেঙে শব্দ দুটোর পার্থক্য নতুন আর পুরোনো। উঠে আর ওঠে শব্দ দুটোরও ব্যবহারিক অর্থ ভিন্ন। আশা করি এ ব্যাপারে মনোযোগী হবেন অবশ্যই।
পৌঁছে ভয়টা তাণ্ডব নেচে > এমন শব্দের ব্যবহার বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে পাঠের সময়। তাণ্ডব আর নেচে শব্দ দুটো কাছাকাছি অর্থ প্রকাশ করে। নারদ যখন নেচে নেচে গান গায় আর শিব যখন তাণ্ডব করেন ব্যাপারটা নিশ্চয় ভিন্ন কিছু। তবে কবিতায় এমন ব্যবহার তেমন একটা সংকট সৃষ্টি করে না। গদ্যে যতটা মেনে চলা জরুরি।
সে মেয়ের মতামতের ধার ধারলেন না।> এমন ক্ষেত্রে সে যে অর্থে ব্যবহার করা হলো ক্রিয়াপদও তা অনুসরণ করা বাঞ্ছনীয়। হতে পারতো> সে মেয়ের মতামতের ধার ধারলো না অথবা তিনি মেয়ের মতামতের ধার ধারলেন না।
গল্পের বিষয়, উপস্থাপন আর বাক্য নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে লেখক রাবেয়ার পরিবর্তনটা অবশ্যই উল্লেখ করবার মতো। চর্চায় ধার বাড়ে আর বাড়তি মনোযোগ দিলে তার চাকচক্য বাড়ে। আমি মনে করি এ গল্পে নতুন এক রাবেয়ারই উত্থান। সেই সঙ্গে বানান বানান আর বানানের দিকে আরো বেশি আরো বেশি আরো বেশি দৃষ্টি দেওয়া জরুরি।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: তান্ডব সমার্থে কি দেয়া যায় ভেবে দেখি।
অবশ্যই তিনি মতামতের ধার ধারলেন না।বা্নান বানান এইবার শিখে ফেলবো।তবে কিছু বানানে ানুষ ভেবে মত বিভেদ আছে মনে হচ্ছে।বানানে একটা ভীতি চলে আসছে।
চেষ্টা করি যথাসাধ্য ।সময়ের সাথে মুড ও থাকে না। অনেক অনেক দোয়া করবেন।
৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হাজেরা খাতুনের চরিত্রটা খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। ভালো লেগেছে পড়তে।
জুলিয়ান দা কিছু কিছু ব্যাপারে বললেন, সেগুলো খেয়াল করলে ভালো হবে। শুরুতেই দেখলাম রঙ, ডাঙা, আঙুলের মতো শব্দ গুলো রঙ্গের, ডাঙ্গা, আঙ্গুল হয়েছে, যা উচ্চারনেও সমস্যা। আর তোর বানান নিয়ে অসতর্কতা কি বেড়েছে?
সবমিলিয়ে গল্পটা পড়ে ভালো লেগেছে। একটা বয়স পড়ে খাওয়াদাওয়া নিয়ে কেউ কেউ হয়ে যায় হাত খোলা, মুখ খোলা ধরণের, কেউবা নিজেকে গুটিয়ে নেয় পুরোপুরি। অনেক শাশুড়িই হয়তো বাধ্য হয়ে, অবস্থার শিকার হয়ে মেয়ের সংসারে যান কিন্তু নিজের সংসারের ফেলে আসা অতীত রোমন্থনেই কেউ কেউ বিপাকে পড়ে যান!
শুভকামনা রইলো।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: আমার পিসিতে ফন্ট ঝামেলা আছে।কিছু বানান তো ভুলই করি আবার কিছু আসে না। হাজেরা খাতুনের খাবার আর ফুর্তিবাজী করার মন্সতত্ত্ব ধরতে চেয়েছিঃ আর কি। ভালো থাকো অনেক।
৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
সুন্দর রচনা
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২০
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: সুন্দর!!!
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন
৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লেখাটা ভালো লেগেছে। তবে সেই সাথে যে বিষয়গুলো নিয়ে বলতে চাচ্ছিলাম তার ব্যাপারে ইতিমধ্যে আলোচনা হওয়াতে আর নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই।
শুভেচ্ছা রইল।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ধন্যবাদ ্কাল্পনিক
৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০২
শায়মা বলেছেন: আপু খলিলভাইয়া, ওবায়দুর ভাইয়াদের সাথে তোমার নামটাও যোগ করে নিলাম অসাধারন গল্পকার হিসাবে। সত্যি আমি মুগ্ধ!! অনেক অনেক শুভকামনা আপু । প্রিয়তে নিয়ে যাচ্ছি পোস্টটা।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: সত্য বলতে এমন কপ্লিমেন্ট লেখককে সেইরকম উতসাহ প্রদান করে। ৃতজ্ঞতা জানবেন বড় গল্পটা পড়েছেন বলে। অনেক শুভ কামনা
১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার বর্ণনাসমৃদ্ধ গল্প। খুব ভালো লাগলো।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাসান ভাই।
১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১
বৃতি বলেছেন: চমৎকার লেগেছে গল্পটা । ভাল লাগা জানবেন ।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ৃতি
১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৮
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অসাধারন গল্প। তারাতারি পরেছি। আবার সময় করে পরতে হবে। আঞ্চলিক ভাষাগুলো গল্পটাকে আরো সুন্দর করেছে। যদি কিছু ভুল আছে। লিখে যান। সাথে থাকব ইনশাআল্লাহ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ধন্যবাদ বাসর_১৭
১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সামহোয়্যারইন ব্লগের ইতিহাসে আরেকটা ক্লাসিক গল্প যুক্ত হলো। আমি গল্পটা পড়ছিলাম আর বিস্ময়ে অভিভূত হচ্ছিলাম আপনার বাক্যনির্মাণ, উপমা প্রয়োগ, আঞ্চলিক শব্দের ব্যবহার, আর চরিত্র সৃষ্টির অপূর্ব দক্ষতা দেখে। এই একটা গল্পেই সূক্ষ্ম জীবনবোধ সম্পন্ন পরিণত গল্পকারের স্বাক্ষর সুস্পষ্ট। সাহিত্যরস! সাধারণ সাহিত্যরসে সমৃদ্ধ একটি গল্প।
জুলিয়ান ভাইয়ের কাতারে আপনার নাম আমি লিখে ফেললাম নির্দ্বিধায় (জুলিয়ান ভাইয়ের বিনা অনুমতিতে)।
সময় পেলে একদিন আপনার গল্পটার বানান ও যতিচিহ্ন ঠিক করে দিব (টাইপিঙে আপনি এখনো স্বচ্ছন্দ না আমি বুঝতে পেরেছি, কিন্তু এটা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাবেন না)।
আপনাকে স্যালুট জানিয়ে শেষ করলাম।
শায়মা আপুকে লজ্জার সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি খলিল ভাইয়ার নামটা উল্লেখ করার জন্য। কিছুটা বিব্রতও
শুভেচ্ছা।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: সাহিত্যরস ব্যাপারটা আমার কাছে ক্লিয়ার না। সাহিত্যে আমি নিয়ম না জানা কিছুটা না মানা মানুষ। আমি এরকম একটা কমেন্টস পেয়ে লজ্জিত এবং অতি সম্মানিত বোধ করছি। জুলি দা আমার বড় ভাই । গুরু ও বলতে পারেন। অনেক কিছুতেই টিপস টূপস নিয়ে চলি। হে হে। হের কাতারে কেম্নে?
আমি বানানে অপরাধি।ইচ্ছা করলেই আসলে শিখে ফেলা যায়। চেষ্টা করব।
আপনার নাম বুঝি খলিল ভাই।
১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাধারণ সাহিত্যরসে সমৃদ্ধ একটি গল্প। > আসাধারণ সাহিত্যরসে সমৃদ্ধ একটি গল্প।
একটা কথা জিজ্ঞাসা করতে ভুলে গিয়েছিলাম। আঞ্চলিক শব্দ ও কথার ঢং আমাদের দোহার এলাকার মতো। আমরাও পদ্মাপাড়ের বাসিন্দা, যার পুবদিকটা আড়িয়াল বিলে ঘেরা। ‘আর খাম্ না’, ‘আরো ভাত দিম্?’ আমরা এ ধরনের কথার সাথে পরিচিত। আপনার ক্যারেক্টারগুলোর জীবনযাপনপ্রণালি আমাদের সাথে মিলে গেছে।
আবারও ধন্যবাদ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: আমার নানুর বাড়ি বিক্র্মপুর। পদ্মায় ভেঙ্গে গেছে।কী সুন্দর ছিল বাড়িটা। খুব সাধারন সামনে এক ফালি বাগান।সুপারি গাছে ঘেরা। অনেক আগের কথা। স্ৃতিতেই যতটুকু আছে । শ্রীনগর আম্মুর ফুফুর বাড়ী । দীর্ঘ নৌকা ভ্রমন করে শ্রীনগর থেকে হলদিয়া ,কনকসার বাজার , সিঙ্গের হাটি। এসব নাম মনে আছে।
১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৪
জুন বলেছেন: এমন হাজেরা খাতুন কিন্ত দুর্লভ নয় আমাদের সমাজে রাবেয়া রব্বানী। সুন্দর করে একেছেন তার চরিত্র। আপনি কি গজেন্দ্র কুমার মিত্রের পৌষ ফাগুনের পালায় পড়েছিলেন নায়িকা শ্যামার বিধবা কিশোরী মেয়ে তরু রাতের আধারে পুকুর পাড়ে লুকিয়ে অতিথিদের ফেলে দেয়া এটো মাছ খেয়েছিল বলে মা এর হাতে কি মারটাই না খেয়েছিল।
অনেক অনেক ভাললাগলো দেশী ভাষার প্রয়োগ মনে হলো পদ্মায় ভেঙ্গে যাওয়া গাউদিয়ার লোকজনের কথা শুনছি।
ছাই ভাই মন্তব্যের উত্তরে আপনার গ্রামের বাড়ী মনে হলো আমার নানার বাড়ী।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৮
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: না আমার গ্রামের বাড়ি না। আমার ও নানার বাড়ি ।তবে যা এখন আর নাই। পদ্মায় ভেঙ্গে গেছে। আসলে আমার সাহিত্যের দৌড় কম এত ভালো বই পড়া হয়নি। হুমায়ূন আহমেদ গোটা কিছু সায়েন্স ফিকশান আর সুনীল। আপনি এখানে এসে এতবড় গল্পটা পড়েছেন অবাক এবং খুশি। অনেক ভালো লাগা জানবেন জুন।নাম আগেই শুনেছি আজ কথা হলো। ভালো থাকুন নি্রন্তর।
১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: না আমার গ্রামের বাড়ি না। আমার ও নানার বাড়ি ।তবে যা এখন আর নাই। পদ্মায় ভেঙ্গে গেছে। আসলে আমার সাহিত্যের দৌড় কম এত ভালো বই পড়া হয়নি। হুমায়ূন আহমেদ গোটা কিছু সায়েন্স ফিকশান আর সুনীল। আপনি এখানে এসে এতবড় গল্পটা পড়েছেন অবাক এবং খুশি। অনেক ভালো লাগা জানবেন জুন।নাম আগেই শুনেছি আজ কথা হলো। ভালো থাকুন নি্রন্তর।
১৭| ১৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০০
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
একটি লেখার পড়ার সূত্র ধরে এ গল্প পড়া হল ৷ মানুষ বোধ হয় ভবিষ্যতের দিকে ধাবমান হলেও অনেকে অতীতমুখিও হয় ৷ হাজেরা খাতুনের অবস্থা হল অপ্রাপ্তি আর সেই সময়কে ধরে রাখার প্রাণন্তর প্রচেষ্টা ৷ আঞ্চলিক ভাষা আর বর্ণনা মাঝে ঘটনাক্রম টেনেছেন মুগ্ধ হওয়ার মতন ৷ জুলিয়ানদার পর তো বলার কিছু নেই ৷
তবে শেষটা কি হবে তা কিন্তু পাঠক ধরতে পারবে প্রথম থেকেই ৷ মাঝে মাঝে লিখতে পারেন ৷
২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হলো । দুঃখিত।
সব গল্প চমকে দেয়ার ক্যাটাগরীতে রাখি না। আন এসপেক্টেড কিছু অবাক বা ম্যাজিক এসব নয় এখানে আমি একটা মা্নুষের ছবি আকতে চেয়েছি।
লিখব আশা রাখি।
অনেক ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩০
মামুন রশিদ বলেছেন: অন্য রকম গল্প । হাজেরা খাতুনের ভালোমন্দ খাবারের প্রতি লোভকে স্বাভাবিক বলেই মনে হয় । এক ধরণের সমবেদনাও আসে উনার জন্য ।
ভালো লেগেছে