নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখার সর্বসত্ত্ব লেখক দ্বারা সংরক্ষিত।

রাবেয়া রব্বানি

মানুষের ভীড়ে মানুষ হয়ে গেছি বারবার।

রাবেয়া রব্বানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কব

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৬

কক

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৬

মামুন রশিদ বলেছেন: অপূর্ব বর্ণনায় পাঠে আনন্দ পেয়েছি ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই

২| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ২:২৭

আনোখা আফতাব বলেছেন: ধন্যবাদ রইল লেখকের প্রতি বইটি সম্পর্কে সামুর পাঠকদের জানানোর জন্যে। আমি বইটি পড়েছিলাম বেশ আগে এবং সে সময় এটা নিয়ে অনেকটা ভাবনা চিন্তাও করেছিলাম। আমার মনে হয় শেষ দিকটাতে এসে আপনি কিছুটা তাড়াহুড়োর মধ্যে ছিলেন এবং আমার মনে হয়েছে এখানে আমি একটু যোগ করতে পারি।

হারমেন হেসে যে সময়টাতে লিখছেন সে সময় ইউরোপে ডারউইন এর বিবর্তনবাদ নিয়ে বুদ্ধিজীবী মহলে চলছে আগ্রহের জোয়ার। আর এই পারসপেকটিভ থেকেই হেসে সিদ্ধার্থ উপন্যাসে নিজের কিছু অনুভুতি যোগ করার উৎসাহ পান বলে আমার ধারণা। এবং সম্ভবত এ কারনেই তিনি খুব সচেতনভাবে মূল বুদ্ধ থেকে সিদ্ধার্থকে আলাদা চরিত্র হিসেবে নিয়ে এসেছেন যাতে পরবর্তীতে বিতর্কের সৃষ্টি না হয়।

এবার আসা যাক হেসে কোন জিনিসটি যুক্ত করার জন্য এই কায়দাটি বেঁছে নিলেন। সিদ্ধার্থ তথা বইটির উদ্দেশ্য আসলে নির্বাণ লাভ করাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। এবং অবশেষে সিদ্ধার্থ সেই নির্বাণ লাভ করতে সক্ষমও হয়েছে। এখন হেসে নির্বাণ লাভের বিস্তারিত প্রক্রিয়াটাকে চেপে যেতে পারতেন। কিন্তু তাহলে অবশ্য বুদ্ধ থেকে সিদ্ধার্থকে আলাদা করার প্রয়োজন হত না। কিন্তু হেসে তাদের আলাদা করেছেন কারণ সব গল্পকথকের মত হেসেও পুরো গল্পটাই বলতে চান। হেসে নির্বাণ লাভের প্রক্রিয়া সম্পর্কে যা আবিস্কার করেছেন তা তিনি পাঠকদের জানানোর লোভ সম্বরন করতে পারেন নি। হেসের নির্বাণ লাভের পদ্ধতিটা অবশ্যই আধুনিক বিজ্ঞান তথা বিবর্তনবাদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সংক্ষেপে বলতে চাই হেসের নির্বাণ লাভের তথ্য সম্পর্কে।

গল্পের শেষে সিদ্ধার্থ যদিও অনেকটা স্ববিরোধীভাবে বন্ধু গৌতমকে বলেছে যে জ্ঞান বিতরণ করার জিনিস নয়। কিন্তু একাধিক উদাহরন দিয়ে নিজেই গৌতমকে নির্বাণ লাভের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেছে।
চুম্বক অংশঃ সিদ্ধার্থের মতে জগতের যেকোনো জিনিসকে ফোকাস করেই নির্বাণ লাভ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ বাসুদেব নদীর উপর ফোকাস করে নির্বাণ লাভ করেছেন এবং পরমাত্মায় মিলিত হতে চলে গেছিলেন। তো যেকোনো জিনিসের উপরে ফোকাস করে নির্বাণ লাভ কেন করা যায়? এর রহস্য নিহিত আছে সেই বিবর্তনবাদে। হেসে সিদ্ধার্থের মাধ্যমে একটি পাথরের উদাহরন দিয়ে ব্যাপারটি আরও পরিষ্কার করেছেন। একটি পাথর এখন পাথর হিসেবে দেখা গেলেও এটি সবসময় পাথর ছিল না বা পাথর থাকবেও না। পাথরটিকে বিশ্লেষণ করলে যে উপাদানগুলো পাওয়া যাবে টার কিছু কিছু হয়ত কোন প্রাণীদেহের কাছ থেকে এসেছে আবার এক সময় পাথরের অংশবিশেষগুলো বিবর্তিত হয়ে অন্য কোন প্রানিদেহে প্রবেশ করবে। এভাবে বস্তু প্রানিতে রূপান্তর হচ্ছে এবং প্রানি নির্বাণ লাভের উপায় খুজছে। এবং কোন প্রানি যদি সত্যিকার অর্থে এই চক্রটাকে উপলব্ধি করে চক্রের বাইরে নিজেকে আবিস্কার করতে পারে তখনই সে নির্বাণ লাভ করে। যেমনটা বাসুদেব করেছিল এবং যে চক্রের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত সিদ্ধার্থের ছেলে সংসারে ঘুরে বেড়াতে থাকবে। আমি যেটুকু বুঝেছি এটাই হচ্ছে হেসের মতে নির্বাণ প্রাপ্তির উপায়। আর এই তথ্য পাঠকের সামনে তুলে ধরার জন্যই হয়ত এই উপন্যাসের অবতারনা।

আরও কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু মন্তব্যের আকার দেখে নিজেকে সংবরন করলাম

১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪০

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ বেশ ভালো। আমি মূলত গল্প লিখেই সচ্ছন্দ বোধ করি। অন্য কিছু লেখার ইচ্ছার চেয়ে সময় কম।তবে বইটি পড়ে আমার ভালো লাগা আর বিস্ময় এত চরম ছিল শেয়ার না করে পারিনি। এত বিশ্লেষণ ও শেষে এড়িয়ে গেছি। পাছে পোষ্টটা লেখার ইচ্ছা মিইয়ে যায়। পোষ্ট করার পর পাঠকের আগ্রহ আরো কম দেখলাম। তাতে আফসোস হয়নি আবশ্য। তবে মনে হয়েছিল সময়টা ব্যয় আমি গল্পে করলেও পারতাম।
আজ মনে হলো না কিছু পাঠক তো অবশ্যই আছে যারা অনেকটাই ভাবেন জানেন। আপনার জানা আর ভাবনা অনেক এগিয়ে। আমি এই বইটার বাইরে কিছু জানিনা আসলে।
হারমেন হেসে যে সময়টাতে লিখছেন সে সময় ইউরোপে ডারউইন এর বিবর্তনবাদ নিয়ে বুদ্ধিজীবী মহলে চলছে আগ্রহের জোয়ার। আর এই পারসপেকটিভ থেকেই হেসে সিদ্ধার্থ উপন্যাসে নিজের কিছু অনুভুতি যোগ করার উৎসাহ পান বলে আমার ধারণা।
আমার মনে হলো আপনার ধারনা ঠিক। নিজের ভাবনা আর সাম্পতিক চিন্তা যোগ করা আর নিজের ভেতর অনুভুতির দ্বন্দ লেখকরা প্রকাশ করার নানান কৌশল নিয়ে থাকে।
নির্বাণ লাভের যেই ধারনাটা হেস ভেবেছে বলে অনুমান করছেন তাতেও চমকে গেলাম। আপনি যদি একটা পোষ্টই দিতেন তবে অনেক ভাবনা ডানা মেলতো। জানতে পারতাম।
ৃতজ্ঞতা জানবেন আফতাব। আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম।ভালো থাকুন।

৩| ১৪ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২০

আনোখা আফতাব বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যে সাড়া দেয়ার জন্যে। আমার ইচ্ছে আছে বেশ জটিল সব বিষয়ে লেখার। মহাবিশ্বের উৎপত্তি, ধর্ম, সমাজব্যবস্থা, প্রেম, কাম এই বিষয়গুলো নিয়ে একসময় প্রচুর ভাবতাম এবং পড়াশুনা করতাম। তবে অনেকদিন বাংলা থেকে দূরে থাকায় আমার বাংলার অবস্থা এই মুহূর্তে খুব একটা ভাল না। তাই আপাতত অনুবাদ গোছের সহজ কিছু বিষয় নিয়ে লিখছি। আশা করছি লেখার উন্নতি হলে ধীরে ধীরে অন্যান্য মৌলিক বিষয়ে হাত দেব।

আপনার কথা থেকে পরিষ্কার হল একজন গল্প লেখক হিসেবে আপনি হেসের বলা গল্পটার প্রতিই বেশী আগ্রহী ছিলেন। আপরদিকে আমি যখন হেসেকে শুনছিলাম তখন মাঝে মাঝেই অস্থির হয়ে উঠছিলাম হেসে শেষটা কিভাবে টানেন সেটা দেখার জন্যে। আপনি শিল্পী তাই সৌন্দর্যের দিকে আপনার চোখ আর সাধারণ পাঠক হিসেবে আমার চোখ থাকে লাভ ক্ষতির হিসাবের দিকে। তবে শেষের দিকের অংশটা যেখানে সিদ্ধার্থ কথা বলেছে গৌতমের সাথে সেই অংশটা আরেকবার পড়তে পারেন। ওখানে সিদ্ধার্থের দর্শন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সব ইঙ্গিত রয়েছে।

তবে গল্পটার বর্ণনায় সত্যিই মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন সিদ্ধার্থ। মূল গল্পটা জার্মান এ হলেও ইংরেজি অনুবাদটার মধ্যেও মূল নির্যাসটা ভালভাবেই উপলব্ধি করা যায়। হিব্রু আর আরবি যেমন খুব কাছাকাছি তেমন জার্মানও তো আসলে ইংরেজির খুব কাছাকাছি একটা ভাষা। আমি কিন্তু উপন্যাসটা কখনো পড়ি নি। লিব্রিভক্স থেকে অডিওবুক ডাউনলোড করে শুনেছিলাম। লিব্রিভক্স এর অডিও অনেক সময় ভাল হয় না কারণ এটা ভলান্টিয়াররা রেকর্ড করে। কিন্তু এই রেকর্ডটা এত ভাল যে আমি প্রথমে অবাক হয়ে গেছিলাম। আপনিও শুনে দেখতে পারেন। প্রতিদিন আধাঘণ্টা ঘুমুতে যাওয়ার আগে শুনলে এক ধরনের আলাদা প্রশান্তি অনুভব করবেন বলে আমার বিশ্বাস।
লিংক এখানেঃ
Click This Link

১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিংকটির জন্য। ডাউনলোড করে শুনে নিব শিঘ্র। তবে কি জানেন সংসারে থেকে এরকম বই অনেকটাই আউলা ঝাউলা করে দেয়। আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম। যা জানেন তার নির্যাস নিঃসন্দেহে ভালো হবে। অনেক ভালো থাকুন।

৪| ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
হারমান হেসের 'সিদ্ধার্থ' অনেক প্রিয় একটি বই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.