নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় বলার মত কিছু এখনো করতে পারি নি। তাই ঘরটা ফাঁকাই। পরিচয় অর্জন করতে পারলে আমি যোগ করে দিব।

রক্তিম দিগন্ত

Life is all about a thrill.

রক্তিম দিগন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্ট্র্যাটেজী

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

[টুইস্ট, রম্য, কাল্পনিক, কিঞ্চিত রোমান্টিক তো পড়ালাম অনেককেই। এবার একটু সাসপেন্সে নিয়ে যাই সবাইকে। মানে নিয়ে যাওয়ার ব্যর্থ একটা চেষ্টা চালাই আর কী! :-B ]

হাতের চাকুটার দিকে তাকিয়ে সোহান। ছয় ইঞ্চির চাকু। স্ফটিকের চকচক করছে ফলাটা।
চাকুটার মাঝে নিজের চেহারা দেখতে পাচ্ছে সোহান।

চাকু থেকে নজর সড়িয়ে তাকাল নাদিমের দিকে। ফোনে কথা বলছে নাদিম।

‘হ্যা ভাই আর কতক্ষন? অনেকক্ষন যাবৎ বসে আছি তো।’
বেশ বিরক্তির সুরেই ফোনের ওপাশে থাকা লোকটাকে বলল নাদিম।

ওপাশের কথা শুনে – আবার বলল,
‘জি ভাই – আমরা কালাম মামার দোকানের পিছেই বসে আছি।’
বলে ফোনটা রেখে দিল।

‘কিরে পারবি তো করতে?’
সোহানকে জিজ্ঞেস করল নাদিম।

‘হ্যা পারব না কেন? এসব ব্যাপার না।’
বলে নিজেকেই হালকা সাহস জোগাল সোহান।

ঘড়ির কাটায় রাত বারোটা ছুই ছুই। নাদিম সোহান কালাম মামার দোকানের পিছের খালি জায়গাটায় রয়েছে।
অপেক্ষা করছে তাদের ওসমান ভাইয়ের আশায়।

ওসমান ভাই তাদের ভার্সিটির নেতা। বর্তমানে ক্যাম্পাসে রাজত্ব করছে ওসমান ভাই ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরাই।

তবে তারা কোন সৎ মতলবে ওসমান ভাইয়ের অপেক্ষা করছে না।
সোহানের হাতে থাকা চকচকে ছয় ইঞ্চি ফলার চাকুটা ওসমান ভাইয়ের উপর ব্যবহার করাই তাদের উদ্দেশ্য।

কাজটা আসলে সোহানের। নাদিম সাথে এসেছে সোহানকে অভয় দেওয়ার জন্যই।
সোহানের প্রথম এই ধরনের কাজ। এর আগে সে সাধারন মারামারিও কোনদিন করে নি।

নাদিমের অবশ্য অভ্যাস আছে। অ্যাকশন মুভির একনিষ্ঠ ভক্ত সে।
নিজেও অ্যাকশন করে। অ্যাকশনগিরি ফলাতে গিয়ে কয়েকবার হাত-পাও ভেঙেছে তার।
তবে প্রতিপক্ষকেও ছাড়েনি কখনও – প্রতিপক্ষেরও হাত পা মাথা একাধিকবার গুড়িয়ে দিয়েছে সে।
খুন অবশ্য করে নি। তবে অনেক হিংস্র প্রকৃতির ছেলে সে – খুন করা তার পক্ষে কঠিন না।
চাইলেই করতে পারবে।

অপরদিকে সোহানের ভয়েই হাটু কাপছে। মানুষ খুন করা তো দূরের কথা – কোনদিন মুরগীও জবাই করেনি সে। নার্ভাসনেসটা কাজ করা স্বাভাবিক সোহানের ক্ষেত্রে।
হঠাৎ করে মানুষ খুন করার ছেলেও সে না – তবে ওসমান ভাই তার পথের কাটা হয়ে আছে।
সড়ানো লাগবেই ওসমান ভাইকে তার পথ থেকে।

সোহানের হাটু কাপাকাপিটা নজরে পড়ল নাদিমের।
‘ভয় পাচ্ছিস কেন তুই? আমি তো আছিই। সুন্দর ভাবে কাজ শেষে সড়ে পড়ব। কেউ কোনদিন টেরও পাবে না।’

‘ভয় পাচ্ছি কই আমি? ঠিকই তো আছি।’

‘না ঠিক নেই তুই! শোন – কাজটা করতে হলে, ওসমান ভাইয়ের প্রতি ঘৃনা জমানো লাগবে তোর। তুই ঘৃনা জমা ঐ শালার উপর। দেখবি – খুব সহজেই ফিনিশ করে দিয়েছিস।’

নাদিমের কথায় কিছুটা স্বস্তি পেল সোহান। ঘৃনা জমানো লাগবে ওসমান ভাইয়ের উপর তার।

‘ওসমান!’ নামটা মনে হলেই তার গা জ্বলে উঠে। ঘৃনা এমনিতেই জমতে থাকে ওসমান ভাইয়ের উপর।
আর পিছনের ইতিহাস ঘৃনা বাড়তে থাকার টনিক হিসেবে কাজ করে।

*

ভার্সিটিতে সোহানের মাত্র সপ্তম দিন।
নিয়মিত ক্লাস করছে। না সে নিয়মিত ক্লাস করার ছেলে না – তারপরও করছে।
কারন সাদিয়া।

সেই ওরিয়েন্টশনের দিন থেকেই সোহান সাদিয়ার উপর ক্রাশড।
সাদিয়া নিয়মিত ক্লাস করে – তাই অন্য কেউ সাদিয়াকে ইম্প্রেস করার আগেই সে করার জন্য নিয়মিত ক্লাস করছে।

ঐদিনও ক্লাস করে বের হয়ে সাদিয়ার পিছু পিছু হাটতে লাগল সোহান।
প্রতিদিনই তাই করে।
মনে আশা – সুযোগ পেয়ে যদি ফ্রেন্ডশীপটা করা যায়। কিন্তু প্রতিদিনই তার আশার গুড়ে বালি হয়।
পারে না সাদিয়াকে বন্ধু হওয়ার প্রস্তাবটাও দিতে। প্রেমের প্রস্তাব তো পরের কথা।

‘ঐ ছোকরা?’

ডাকটা শুনে ডাকের মালিককে খুজতে লাগল সোহান। চোখ ফিরিয়ে এদিক ওদিক দেখল।
কাউকেই খুজে পেল না।
আবারও সাদিয়ার পিছু পিছু যাওয়া শুরু করল।

‘ঐ তরে না ডাক দিছি আমি? কথা কানে যায় না?’

এইবার দেখতে পেল সোহান। তার অদূরেই ডিপার্টমেন্ট বিল্ডিং এর সিড়িতে কিছু ছেলে বসে আছে।
তাদেরই একজন ডেকেছে তাকে। কাছে গেল সোহান।

ছেলেগুলোর মাঝে থেকে নেতা গোছের লোকটা বলে উঠল।
‘ফার্স্ট ইয়ার?’

‘জি।’
সোহানের নির্লিপ্ত গলায় উত্তর। আসলে সাদিয়াকে রাস্তার বাকের আড়ালে হারিয়ে যেতে দেখে সে ছেলেগুলোর উপর বিরক্ত।

‘কয়দিন হল ভার্সিটিতে আসছো?’

‘সাত দিনের মত।’

‘সাত দিনেই মেয়েদের পেছন পেছন ঘোরা শুরু করেছ? সিনিয়র কাউকে চিন এখনও?’

এমনিতেই বিরক্তছিল সোহান। তার উপর আবার এই ধরনের প্রশ্ন।
তাচ্ছিল্যের সুরেই উত্তরটা দিল।
‘তাতে আপনার সমস্যা কি?’

‘ওসমান ভাই! আমি আগেই কইছিলাম ছোকরাডা বেয়াদ্দপ। দেখছেন ক্যাম্নে কথা কয়?’
বলে উঠল ছেলেদের মাঝেরই অন্য একজন।

সোহান বুঝতে পারল যে ছেলেটার সাথে সে এতক্ষন কথা বলতেছিল সে হয়ত নেতা গোছের কেউ।
সবাই ওকে মেনে চলে। নিজের বলে ফেলা কথাটার জন্য এখন নিজেকেই গালমন্দ করছে মনেমনে।

‘আরে নতুন আসছে – এখনও চিইনা উঠে নাই সব কিছু। না বুইঝাই কইয়া ফালছে।’
ওসমান ঐ ছেলেটাকে বলল।

এই যাত্রায় বোধহয় রেহাই পেয়েছে ভেবে হাফ ছাড়ল সোহান।
কিন্তু পরবর্তীতে তার জন্য কি অপেক্ষা করছে সেইটা জানলে হাফ ছাড়ত না।

‘তুই যার পিছে ঘুরঘুর করস – ঐডা ক্যাডা জানস?’
ক্ষেপে যাওয়া ছেলেটি বলল।

সোহান না সূচক ভাবে মাথা নাড়াল।

‘ও এর লিগাই তো ঘুরঘুর করস। ঐডা আমগ ভাবী।’

সোহানের মনেহল কাছেই যেন কোন জায়গায় বাজ পড়েছে। আসলে কথাটা শুনে তার মাথায়ই বাজ পড়েছে।
‘জি?!?’

‘ওসমান ভাইএর মাইয়াডারে ভাল্লাগছে। তুই আর ঘুরাঘুরি করবি না ঐ মাইয়াডার পিছে।’

কথাগুলোর ধাক্কা সোহানের সইতে কষ্ট হল। বলে কি এরা?

‘আর হোন, মাইয়াডারে এখন থাইক্কা দেখলে সেলাম দিবি আর ভাবি কয়া ডাকবি।’

আর সহ্য হল না সোহানের।
নিজের ক্লাসমেটকে ভাবী বলে ডাকা কঠিন কিছু না – কিন্তু যে মেয়ের এখনও বিয়েই হয় নি, তাকে ভাবী ডাকা মানে মেয়েটারই অসম্মান। আর ঐ মেয়েটাকে সে পছন্দও করে।
‘দেখুন এসব ঠিক না!’

বলেই বুঝল এদের সামনে কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক বলা ঠিক হয়নি।
কারন এরা বুঝবে না। উলটো তারই ক্ষতি হবে আরও।

‘ওরে চান্দু! তুমি আমগরে ঠিক-বেঠিক শিখাইবা?’
ওসমানের পাশে থাকা ছেলেটা উঠে দাড়িয়েছে। সোহানের বুকে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে তাকে পিছিয়ে নিচ্ছে ছেলেটা।

‘শিখা কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক? কই শিখা?’

‘দেখুন . . .’
বলার চেষ্টা করল সোহান। থেমে গেল কারন সামনে থেকে ধাক্কানো ছেলেটি তেড়েফুড়ে উঠেছে।

‘কি দেখাইবি? দেখা?’

‘জি মানে . . . দেখুন . . .’

‘কি দেখাইবি তুই? এইডা দেখাইবি?’
বলেই সোহানের নাক বরাবর একটা ঘুষি মারল। নাক দিয়ে গল গল করে রক্ত পড়া শুরু করল সোহানের।

‘রাসেল কি শুরু করলি? নতুন ভর্তি হইছে পোলাডা – এখনও সব কিছু বুঝে নাই। এখনই এর সাথে এইরাম শুরু করলি ক্যা?’
আগের জায়গা থেকেই ওসমান রাসেলের উদ্দেশ্যে বলল কথাটা।

‘না ভাই! হালায় সবই বুঝে। দেখেন না – খালি দেখুন দেখুন কয়।’
কথাটা বলেই আরেকটা ঘুষি দিল সোহানের নাক সই করে। এমনিতেই আগের বারের ঘুষিতে নাক ভেঙ্গেছে সোহানের। আর এই ঘুষিতে সোহানের নাকই মেবি হাওয়া করে দিয়েছে।

তাকে হ্যানস্তা করা শেষ হয়নি তখনও ওসমান বাহিনীর।
এরপর আঘাত করার জন্য এগিয়ে আসল স্বয়ং ওসমান নিজেই।

‘শোন ছোকড়া! আজকে প্রথম দিন আর নতুন বইলা তরে তেমন কিছুই করলাম না।’

তেমন কিছুই করে নি শুধু নাকটা ভোতা করে দিয়েছে আর কি।

‘এখন থেইকা সাদিয়ারে আর ডিস্টার্ব করবি না।’
বলে যায় ওসমান।

‘দেখুন! সাদিয়াকে . . .’
সোহান বলতে গিয়ে আবারও থেমে যায়।

ওর এইবার ‘দেখুন’ শুনে ওসমান ক্ষেপে গেছে।

‘তুই কি খালি দেখাইবি দেখাইবি করস? দেখা কি দেখাইবি?’
বলে চড় থাপ্পড় থেকে শুরু করে লাথির পর্যায়ে চলে যায় ওসমান।
মাটিতে ফেলে বেশ কিছুক্ষন লাথানোর পর ছেড়ে দেয় সোহানকে।

‘ছাইড়া দিলাম তরে আইজকা। বহুত বেয়াদ্দপ পোলা তুই।’
ওসমান এই কথাটা বলে মাটিতে সোহানকে ফেলে তার গ্যাং নিয়ে চলে যায় ক্লাস করতে।

*

ঘটনার প্রায় এক বছর চলে গিয়েছে। কিন্তু ভুলতে পারে নি ঐটার কথা এখনও সোহান।

ওদিকে নাদিম অস্থির হয়ে আছে।
এখনও আসে নি ওসমান ভাই।

ফোনের পর ফোন দিয়েই যাচ্ছে – তাড়াতাড়ি আসার জন্য।

সোহানও অনেকটাই অস্থির হয়ে আছে। যাকে মারা জন্য এসেছে – সেই শিকারই যদি আসতে দেরী করে তাহলে কিভাবে?

অপেক্ষায় প্রহর কাটল।
শিকার এসে উপস্থিত হয়েছে।

দোকানের পিছনে জ্বলতে থাকা লাইটের হালকা আলোয় ওসমানে চেহারাটা দেখতে পেল সোহান।
দেখেই রেগে উঠল। চাইছিল এখনই শেষ করে দিতে।
কিন্তু পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী থেমে গেল। সময়ের অপেক্ষা করছে।

অবশ্য ওসমান আসার পর থেকেই সে একটু আড়ালে সড়ে গেছে।
কারন প্ল্যান অনুযায়ী আগে নাদিম ওসমানের সাথে কথা বলবে। তারপর পেছন থেকে গিয়ে চাকু ঢুকিয়ে দিবে ফুসফুস বরাবর।

কিন্তু নাদিম আর ওসমান কি নিয়ে কথা বলবে তা সে জানেনা।
আর শোনার উপায়ও নেই। কাছে গেলেই ওসমান তাকে দেখে ফেলবে।
তাই দূরে দাড়িয়েই অপেক্ষা করছে সময়ের।

*

বেশিদিন না দশ পনেরদিন আগের কথা।
সাদিয়াকে নিয়ে ক্লাস শেষে হাটছিল সোহান। ক্যাফেটেরিয়ার দিকে যাচ্ছিল।
সাদিয়ার সাথে তার বন্ধুত্বটা বেশ ভালই এখন। আসলে ঠিক বন্ধুত্ব না।
তার থেকেও একটু উপরের সম্পর্ক হয়ে গেছিল তাদের।

ক্যাফেটেরিয়ার দিকে যাওয়ার পথে ওসমানকে দেখল সোহান। তাদের দিকেই এগিয়ে আসছে।
তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সোহানকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল।
এরপর বিনয়ী হয়ে সোহানকে উঠিয়ে এমন ভাবটা নিল যে সে দেখেনি আগে সোহানকে। হাটার সময় এক্সিডেন্টলি ধাক্কা লেগে গেছে।

সোহান কিছু বলেনি অবশ্য ওসমানকে। বলতে গেলে তারই বিপদ।
আর সাথে সাদিয়াও আছে এখন। চুপচাপ ওসমানের কবল থেকে বাঁচতে পারলেই হয় তার।

যাই হোক, আবার তারা দুজন হাটতে শুরু করল।
এমন সময় সাদিয়ার ফোন আসল যে, তার এখনই নাচের ট্রায়াল রুমে যেতে হবে।

সোহানের মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। দুই দুইটা বাধা পড়ে গেছে দিনে। প্রথমেই ওসমানের সাথে টক্কর আর পরে সাদিয়ার সাথে ক্যাফেটেরিয়ায় বসতে না পারা।
তার মন বলছে দিনটা খুব সুখকর হবে না তার জন্য।

তার আস্তানা মানে তার আড্ডায় ফিরে যাচ্ছে। অতর্কিতভাবে তাকে আক্রমন করল ওসমানের চ্যালা-প্যালারা।
এলোপাতাড়িভাবে কিল ঘুষি লাথি মেরেই চলেছে সোহানকে।

‘তোকে তো প্রথম দিনই না করেছিলাম। শুনলি না। অনেকসুযোগও দিয়েছি শুনস নাই। আজকে আর তোর রেহাই নাই চান্দু।’
ওসমান শীতল গলায় বলল।

ওসমানের কথা শুনে সোহানের শিরদাড়া বরাবর শীতল বাতাস বয়ে গেল।
রেহাই নাই বলতে কি বুঝাল আসলে ওসমান? একেবারে শেষ করে দিবে?

একেবারে শেষ না করলেও – একদম রাহিত্রাহি অবস্থা করে ছেড়েছিল ঐদিন সোহানকে ওসমান গ্যাং। আট-দশজনের গ্রুপের সবাই মাটিতে ফেলে পিটিয়েছে।

মাথা ফাটিয়ে দিছিল। কপালই বলা লাগে সোহানের - এত মার খাওয়ার পরও হাত-পা ভাঙেনি তার। হুশ চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দেখেছে ওসমানই বেশি পিটিয়েছে। কাছে ধারে ভার্সিটির অন্যান্য স্টুডেন্টরা আতঙ্কগ্রস্ত মুখে সোহানের মার খাওয়া দেখছিল।
ওরা গিয়ে যে কিছু বলবে ঐ উপায় নেই। দেখা যাবে যে বাচাতে গিয়েছে – সেও সোহানের সাথে পড়ে পড়েই মার খাবে। ওসমানের গ্যাং এখন রাজত্ব করছে ক্যাম্পাসে। ওদের দমানোর সামর্থ্য নেই কারো – এরচেয়ে বরং ভাল হয় তারা যা করছে তা চুপচাপ দেখে যাওয়া।

পিটাতে পিটাতে একসময় নিজেরাই ক্লান্ত হয়ে চলে যায় ওসমান গ্যাং। মাটিতে পড়ে থাকে সোহান।

কতক্ষন মাটিতে এভাবে পড়েছিল – তা জানা নেই সোহানের। জ্ঞান ফিরার পর নিজেকে হাসপাতালের বেডে পেল সে। পাক্কা ২৪ ঘন্টা অচেতন ছিল সে।
জ্ঞান ফিরার পর নাদিমকে দেখতে পেল। সাথে আরও কয়েকজন ছিল। তাদের মধ্যে সাব্বিরকে দেখে কিছুটা অবাকই হল।

সাব্বির পলিটিক্যাল লিডার। ওসমানের অ্যান্টি-কোরামের। ওসমানকে দুই চোখে দেখতে পারে না।
তকে তকে থাকে কখন ওসমানকে একটু সাইজ দিতে পারবে।
সোহানকে দেখতে আসার কারন এইটাই। শুনেছে ওসমান আর তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা মিলেই এই হাল করেছে সোহানের। সোহানকে দিয়ে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে যদি কিছু করানো যায় – তাহলে তার ক্যাম্পাস পলিটিক্যাল ক্যারিয়ারের জন্য ভাল হবে।

সোহানও জানে এইটা। এই কারনেই সাব্বির আসছে তাকে দেখতে।

‘কিরে! এইরাম মাইর খাইয়াও বাইচ্চা আছছ এহনো?’
বন্ধুর জ্ঞান ফিরেছে দেখে বলল নাদিম। যদিও ভেতরে ভেতরে অনেকটাই চিন্তিত সে। ওসমানের প্রতি রাগে ফুসছে।

নাদিমের প্রশ্নের জবাবে কিছু বলল না। শুধু হাসার চেষ্টা করল একটু। বুঝাল সে ঠিকই আছে।

‘নাদিম! ওসমানটা বেশি বাইড়া গেছে। ওরে কিছু করা দরকার।’
পলিটিশিয়ান মানব সাব্বির বলল নাদিমকে।

‘হুমম – একটু লাগানো দরকার শালারে। ইদানিং বেশি বেশি করতাছে।’

অতঃপর নাদিম আর সাব্বির ওসমানকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ল। নাদিম সোহানের বেষ্ট ফ্রেন্ড। তারউপর আবার ওসমানের অপোজিট কোরামের সাব্বিরের পার্টি করে সে। সাইজ দিলে ঐদিকে তাদেরও উপকার হইতে পারে কিছুটা।

বেডে শুয়ে শুয়ে শুনছিল সোহান। ঐদিনের ওসমানের মারগুলোর কথা কল্পনা করল। বেধড়ক পিটিয়েছিল সোহানকে ওসমান। মারের কথাগুলো মাথায় আসতেই প্রতিশোধ নেবার নেশায় জ্বলে উঠল তার চোখ গুলো।
নাদিম আর সাব্বির তখনো ভাবছিল কিভাবে কি করবে।

‘হাত পা ভাঙার চেয়ে একবারে শেষ করে দিলেই হয়।’
দুজনকে উদ্দেশ্য করে বলল সোহান।

সোহানের কথায় দুজনই অবাক হল। সোহানের মত শান্তশিষ্ট ছেলের মুখ থেকে এই ধরনের কথা শুনে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছে না।

‘মাথা ঠিক আছে তোর? কি কইতাছস এইসব?’

‘মাথা ঠিকই আছে আমার।’

‘তুই কইলেই একবারে শেষ কইরালানি যাইব? তুই রেস্টে থাক – ওসমানরে আমরা দেখতেছি।’

নাদিম কথাটা বলে সাব্বিরকে নিয়ে হসপিটালের রুম থেকে বেরিয়ে গেল।

‘নাদিম, সোহানে কিন্তু কথাডা ভুল কয় নাই। ওসমানরে একবারেই শেষ কইরা দেই।’

‘ভুল কয় নাই তো আমিও জানি – কিন্তু কামডা করব ক্যাডা?’

‘সোহানই করব। তারই ওসমানের উপরে জিদটা বেশি জইম্মা আছে।’

‘ভাই – কি কন? সোহান তো একটা মশা মারতেও ভয় পায়। সে ক্যাম্নে ওসমানরে মারব?’

‘পারব পারব! হের চোখে আগুন দেখছি আমি – চোখে আগুন থাকতে থাকতে আমগর কাজডাও সাইড়া লাই। সামনে ভিপি ইলেকশন – এইবারেও ওসমানের কাছে হারা যাইব না।’

‘প্ল্যান কি?’

‘কইতাছি তরে পরে। আগে সোহান একটু সুস্থ হয়া লোউক।’

*

নাদিমের ইঙ্গিত পেয়ে গেছে সোহান। নিঃশব্দে ওসমান ভাই এর পিছনে গিয়ে দাড়াল।
ওসমান টের পেল তার পিছনে কেউ এসে দাড়িয়েছে। ঘুরে দাড়াল। সোহানকে দেখে রাগে ফেটে পড়ল। মারতে উদ্যত হল। আগে থেকেই ক্ষেপে ছিল তারউপর।
সোহানের চাকুটা চোখে পড়ায় থামতে হল তাকে। বুঝে ফেলেছে। কেন তাকে এখানে ডেকে আনা হয়েছে বুঝতে পারল।

রাগত চোখে নাদিমের দিকে ঘুরল ওসমান।
‘তবে এই ছিল তোর প্ল্যান? এই ছোকরাকে দিয়ে আমাকে মারবি?’

‘ছোকরার হাতের অস্ত্রটা দেখে নাও একবার।’
নাদিম নির্লিপ্তস্বরে উত্তর দিল।

ওসমানের আর সহ্য হল না। মাথা পুরোপুরি গরম হয়ে গেছে এখন তার। মারতে ছুটল নাদিমকে।
নাদিমও কি হবে বুঝতে পেরে ওসমান যখন তার কাছাকাছি এসে পড়েছে তখন সড়ে গেল। তবে সড়ে যাওয়ার সময় পা টা হালকা বাড়িয়ে দিয়েছিল। পায়ে হোচট খেয়ে পড়ে যায় ওসমান।

উঠে দাড়াতে না দাড়াতেই গলার নিচে লাথি গেল ওসমান। আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারল না - ওসমান ধপাস করে পড়ে গেল। নাদিমের এই লাথি দেওয়া দেখে যারপরনাই অবাক হল সোহান। এত উপরে পা উঠাল কিভাবে তাই ভাবছে। এক মূহুর্তের জন্য তার মনে হল যেন রেসলিং দেখছে।

ওসমানকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে তার ওইদিনের কথা মনে পড়ল। যেই দিন সোহানকে ওসমান মাটিতে ফেলে পিটিয়েছিল।
ধক করে জ্বলে উঠল চোখ জোড়া সোহানের। এলোপাথাড়িভাবে লাথি দিতে শুরু করল ওসমানকে।
ওসমান পুরোপুরি দূর্বল হয়ে পড়েছে এখন। একেতো নাদিমের মোক্ষম এক লাথি তারউপর সোহানের এলোপাথাড়ি মার।

‘হুমম – শেষ করে দে এইবার।’
নাদিম সোহানকে বলল। মারামারি অনেক হয়েছে – এইবার কাজ শেষ করার টাইম এসেছে।

সোহানকে না বললেও হত নাদিমের। এমনিতেই পুরোপুরি হিংস্র ছিল ঐ সময় সে। আর ওসমানের তার সাথে করা পূর্বের কীর্তি গুলোর কথা মনে হতেই চাকু গেথে দিল ওসমানের ফুসফুস বরাবর।
এক স্টেপেই ফুসফুস ছিদ্র হয়ে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ওসমানের – হয়েছেও তাই। কিন্তু একটু বেশিই হিংস্র এই মূহূর্তে সোহান।
না দেখেই যত পারছে স্টেপ মেরে গেছে ওসমানে শরীরে। হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পাগলের মত করেই গেছে।

নাদিম হাসল সোহানের এই পাগলের মত আচরন দেখে। স্বস্তি পেল শত্রু শেষ। তার দলের শত্রুও শেষ – তার বন্ধুর শত্রুও শেষ। স্বস্তিতে একটা সিগারেট ধরিয়ে ফুকা শুরু করল।

প্রায় দশ মিনিটের মত সোহান ঐরকম হিতাহিত জ্ঞানশূন্যই ছিল। যখন মনে হল সে কি করেছে – ঘাবড়ে গেল। ওসমানের লাশের দিকে তাকিয়ে থমকে গেল। এই মানুষটাকে সে ই একটু আগে নৃশংস ভাবে মেরেছে।
ভাবতেই পারছে না।

সাধারন মানুষ পর্যায়ে ফিরার পর মনে প্রশ্ন জাগল সোহানের। ওসমান তো নাদিমের বিপরীত পক্ষের লোক – তাহলে নাদিমের কথায় এত রাতে এই নিরিবিলি জায়গায় কেন আসল সে? তার ক্ষতি করা হতে পারে ভেবেও কেন সে একাই আসল?
প্রশ্নগুলো মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে সোহানের।

*

তিনদিন আগের কথা। ভিপি নির্বাচন আর প্রতিদ্বন্দ্বী ওসমানকে আটকানোর জন্য ফন্দি পাতছে সাব্বির।
সাথে তার বিশ্বস্ত সহচরী কাম পরবর্তী ভিপি নাদিম।

‘নাদিম কিভাবে কি করব?’

‘ভাই মাথায় আসতেছে না কিছুই। অনেক ভাবছি।’

‘তর দোস্ত সোহানের কি অবস্থা? বিশাল মাইর খাইছে তো হেয়।’

‘শালায় মাইর খাইলেও কই মাছের প্রান। তেমন কিছুই হয় নাই – মাথা ফাডা ছাড়া। মোটামুটি সুস্থ এখন।’

‘কামডা করান যাইব তারে দিয়া?’

‘যাইব – ওসমানের নাম হুনলেই ক্ষেইপ্পা যায়। না মারা পর্যন্ত নিস্তার পাইব না।’

‘হুন একটা প্ল্যান করছি।’

‘কি প্ল্যান?’

সাব্বিরের ভাষায় প্ল্যানটা যাঃ
তরে কিন্তু ওসমানে পছন্দ করে। তরে তার দলে চাইছিল। এহনো চায় তরে।
আমরা এই সুযোগটাই কাজে লাগামু। দেখামু তুই আর আমি লাইগা গেছি। তুই আমার কোরাম ছাইড়া দেওয়ার হুমকি দিবি।

সামনে ভিপি নির্বাচন। তরে দলে টানার ট্রাই করব। কিন্তু তরে করার আগেই তুই নিজে থাইক্কাই তার দলে যাইবি এইরাম কথা কইবি তারে।
পরে দেখা করতে চাইবি। একটু গোপনে। কইবি যে – সাব্বিরের কোরামের লোকেরা তরে তার সাথে কথা কইতে দেখলেই মাইরালাইব। আর তারেও একলা আইতে কইবি।
ওসমানে তার কোরামের কাউরেই বিশ্বাস করে না। এই সুযোগ কাজে লাগায়া কইবি যে, তার গ্রুপের কিছু পোলা সাব্বিরের কোরামের সাথে লিংকড আছে। এইডা নিয়া আড়ালে কথা কইবার চাইবি।

শিউর হেয় আইবই। একলাই আইব। তরে পাওয়াডা তার লাইগা জরুরী তার হাবভাবে বুঝা যায়।
তুই যা কইবি তাই হুনবো।

সাব্বিরের সব কথা এতক্ষন একমনে শুনল নাদিম। যা বলেছে একদম খারাপ বলে নাই।
তবে ওসমান এই নাটকটা বিশ্বাস করবে কি না তা বুঝতে পারছে না সে – পলিটিশিয়ান মানুষ এত সহজে বিশ্বাস করবে বলে মনে হচ্ছে না তার। তবে এই ভাবে আগানো যেতে পারে।

‘ভাই তাইলে আপ্নের সাথে লাগুম কবে?’

‘সম্ভব হইলে কাইল সকালেই লাইগা যা – নির্বাচন খুব দূরে না। যা করার তাড়াতাড়িই করা লাগব।’

‘হ। আর কোন চিপাত গিয়া আলাপ করুম?’

‘কালাম মামার দোকানের পিছে। ঐ জায়গাটা এমনিতেই খালি থাকে – আর রাইত ১২টার পর আরও খালি পাইবি।’

‘আচ্ছা ভাই।’

*

এতক্ষন হা করে নাদিমের কথা শুনছিল সোহান। বিশ্বাসই করতে পারছে না, একজন রাজনৈতিক নেতা এই নাটকটা ধরতে পারে নাই।
তবে যাই হোক – ওসমান নাই এখন, এতে সোহানেরও সুবিধা হইছে। তারে আর যন্ত্রনা দিব না কেউ।
ওসমানের লাশের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ মনে পড়ল তার,
‘আচ্ছা লাশের কি ব্যাবস্থা করবি? এইখানে ফালায়া রাখলে তো ধরা খাইয়া যামু।’

‘ভাবিস না – ঐটাও ভাইবা রাখছি।’
শান্ত শীতল গলায় উত্তর দিল নাদিম।

সোহান দেখল নাদিম পকেট থেকে একটা পিস্তল বের করল। পকেট থেকে আরেকটা কি যেন বের করে লাগিয়ে নিচ্ছে পিস্তলটার মাথায়। সোহান ভাবছে এই জিনিস নাদিম পেল কোথায়?
‘কিরে পিস্তল পাইলি কই? আর এইটা করবিই টা বা কি?’

‘দেখতে চাস কি করব?’

‘হুমম – দেখা।’

নাদিম আর সোহান সামনা-সামনি দাঁড়িয়ে ছিল। পিস্তলটা লোড করে সোহানের মাথার দিকে তাক করল।
এক এক করে ম্যাগাজিনের সবগুলো বুলেট ঢেলে দিল সোহানের মাথায়।
সোহানকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখল। মুখে একটা হাসি ফুটেছে নাদিমের। কুৎসিত একটা ভিলেনীয় হাসি।

*

তিনদিন আগে যখন সব প্ল্যান করছিল তারা –

‘সাব্বির ভাই – সোহানরে দিয়াতো কাজটা সাড়াইবেন?’

‘হ তারে দিয়াই তো করামু।’

‘কাজ সাড়ার পর সোহানরেও সাড়ায়া দেই নাকি কন?’

‘ক্যা?’

‘সোহান যতই রাইগা থাকুক আর যাই করুক – ওসমানরে মারার পরে ঠিক হয়া যাইব আবার। পুলিশের কাছে গিয়া সব কইয়াও দিতে পারে। আমি জড়িত আছিলাম কইয়া দিব। পুলিশরে সামলানি কোন ব্যাপার না – কিন্তু নির্বাচনের আগে এইরাম ক্যাচাল লাগলে আপ্নের জিতার চান্স কম।’

‘তো কি করবার চাস? আর সোহান না তর বেস্ট ফ্রেন্ড?’

‘আরে ধুরু বেস্ট ফ্রেন্ডের নিকুচি করি। হে একটা বেক্কল। তারে দিয়া কাম সাড়ানোর পর তারে লগে রাখা মারাত্নক ভুল হইব আমগ। একটা প্ল্যান আইছে মাথাত – ঐমনে কাজ করলে, কেউ বুঝবই না ওসমানরে মারার পিছনে আমগ হাত আছে।’

‘কি প্ল্যান?’

‘ওসমানরে মারব সোহানে – আর সোহানরে মারুম আমি। ওসমানের লাশ পইড়া থাকব দোকানের পিছেই – আর সোহানেরটা গুম কইরা লামু। ওসমানের লাশের লগে তো চাকু থাকবই – তাতে সোহানের আঙুলের ছাপ থাকবই। আর তার লাশ গুম কইরা লাইলে – সবার সন্দেহই থাকব তার উপ্রে। বুঝবো যে, ওসমানরে খুন কইরা সোহান ভাগছে। এতে আমগ উপ্রে কোন সন্দেহই আসব না। আরামসে নির্বাচনে যাইবেন – ওসমান নাই, আরামসে জিইতা যাইবেন।’

নাদিমের কথা শোনার পর নাদিমের পায়ে ধরে সালাম করতে ইচ্ছা করল সাব্বিরের। নাদিমের বুদ্ধিতে পুলকিত সে। বুঝতে পারল ওসমান কেন ওরে চায়।

‘তুই বড়সড় পলিটিশিয়ান হইবিরে নাদিম।’
হাসি মুখে বলল সাব্বির।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

শাহাদাত হোসাইন শুভ বলেছেন: হাইরে মানুষ...

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হুমম! মানুষ খুবই অদ্ভুত প্রাণী। ভাবলে শুধু ভাবাই লাগে।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩২

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
ভালই লাগলো।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

বনমহুয়া বলেছেন: খুনাখুনি দিনে খুনাখুনি গল্প মনকে আরও বিমর্ষ করে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: গল্পকে গল্প হিসেবেই ভেবে নিন না, এটাকে বাস্তবের সাথে মিশিয়েন না। তাতে মন খারাপই হবে।

কাল থেকে ব্লগ সত্যিই মরা মরা লাগছে। খালি নিস্তব্দ। যেন এক মৃত্যুপুরী। তাই গল্প দিয়ে একটু হালকা হচ্ছি। :(

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: ঘটনার বর্ননা সাবলিল এবং ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনাকেও পড়ার জন্য।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: তুড় পলিটিশিয়ান হইবিরে!
শেষ বাক্যটা চরম! গল্পটাও| একটা সিনেমা বানানো যাবে|

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শর্ট ফিল্মের একটা প্ল্যান করেছিলাম এইটা নিয়ে। কিন্তু ভার্সিটিতে গন্ডগোল বাঁধবে দেখে আর করা হয়নি। তবে এটা নিয়ে আমার কাজ করার ইচ্ছা আছে। ইনশাল্লাহ্‌ একদিন করবই। ততদিনে এটাকে আরো ভালভাবে সাজানোও যাবে।

ধন্যবাদ ভাই! আপনার মন্তব্যটা বেশি ভাল লাগলো।

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: রাজনীতির অন্ধকার জগত নিয়ে চমৎকার একটা লেখা।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: রাজনীতি নামক বস্তুটা আমার ভাল লাগে না। এটাকে কেন যেন খুবই খারাপ কিছু মনে হয়। হয়তো আমাদের দেশের প্রতিশ্রুতির জন্যই।

আর ছাত্র রাজনীতি তো আরও জঘন্য। আমি ভার্সিটি ভর্তি হওয়ার আগে প্রায়ই খবরে শুনতাম কেউ না কেউ মরছেই প্রতিদিন। এই দল নয়তো ঐ দল। অসহ্যের চূড়ান্ত সীমায় এসে এটা লিখেছি। ছাত্ররাজনীতি তো এমনই।

ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য। :)

৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩২

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: অসাধারন লাগলো গল্পটা, আর অনেক বাস্তব।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। বাস্তবটাকে কিছুটা ভেবেই লিখেছিলাম। যদিও রাজনীতিতে আমার আগ্রহ ও ধারণা দুটোই কম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.