নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় বলার মত কিছু এখনো করতে পারি নি। তাই ঘরটা ফাঁকাই। পরিচয় অর্জন করতে পারলে আমি যোগ করে দিব।

রক্তিম দিগন্ত

Life is all about a thrill.

রক্তিম দিগন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউঃ দৃশ্যম (২০১৫)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৭

এটা পড়ার আগের সতর্কতাবাণীঃ এই রিভিউটাতে হিউজ পরিমাণের স্পয়লার আছে। যাদের মুভিটি দেখা হয়নি, তারা না পড়লেই ভাল করবেন।



গত কয়েকবছর ধরেই ভারতীয় সংস্কৃতির সবই এড়িয়ে চলি। তাদের মুভি, গান, অনুষ্ঠানাদী কোন কিছুই দেখি না।
দৃশ্যম মুভিটা দেখে অনেকেই সাজেস্ট করলো এটা দেখার জন্য, মুভিটা অনেক ভালো, আমি নাকি দেখে মজা পাবো। আমার মত মানুষের জন্যই নাকি বানিয়েছে এটা।
এত এত মানুষের প্রশংসা শুনে দেখার আগ্রহ হল। একদিন ঘুম আসছিলো না দেখে মুভিটা ডাউনলোড করে দেখতে বসলাম। প্রথম দিকে দেখে খুবই বিরক্ত লাগছিল। আর ঘুমও লাগছিল। জোর করেই কিছুটা বসে ছিলাম। পরে বিরক্তির চূড়ান্ত মাত্রায় এসে যখন দেখব না সিদ্ধান্ত নিলাম, তখনই কাহিনীটা ভাল লাগা শুরু করলো।

কাহিনীটা একটু বলি,
মুভির মূল চরিত্রটি হল বিজয় সালগাওঙ্কার। চরিত্রটিতে পর্দায় ফুঁটিয়ে তুলেছে অজয় দেবগণ।

বিজয় ছোট থাকতেই তার মা-বাবা মারা যায়। পড়ালেখাও বেশি করা হয়নি। এখানে সেখানে কাজ করে গোয়ার এক এলাকায় কয়েকবছর পর নিজেই ব্যবসা শুরু করে। ক্যাবল নেটওয়ার্কের অপারেটর হয়। সিনেমা দেখার পোকা। দেশি-বিদেশী সবধরনের মুভিই দেখে। বলতে গেলে তার শিক্ষার পুরোটাই সে সারে মুভি দেখেই। মুভিগুলো থেকে পাওয়া শিক্ষাগুলো নিজের মত করে সাজিয়ে নিজের জীবনে খাটায়।
এলাকায় তার বেশ নাম-ডাক ছিল। এলাকার সবাইকেই সে সাহায্য করতো, নাম-ডাকটা হয়েছে সে জন্যেই। কারো সাথে ঝামেলায়ও জড়াতে যেত না। শুধু স্থানীয় পুলিশ স্টেশনের এক পুলিশের সাথে সমস্যা হত। ঐ পুলিশ ছিল দুর্নীতিবাজ। আর বিজয় ছিল ন্যায়-নিষ্ঠাবান।

জীবনের শুরুর দিকে কষ্ট করে ধীরে ধীরে বেশ সুখে শান্তিতে চলার মতই সঞ্চয়ও জমিয়ে ফেলে। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে বেশ সুখেই ছিল। শুধু একটু বেশিই হিসাব মেনে চলতো। অযথা খরচটা ছিল করতে চাইতো না। যেমন - কাপড় বেশি দাম দিয়ে কিনলেও যে কয়দিন পড়বে, কম দামে কিনলেও সেই কয়দিনই - তাহলে কম দামিই তো ভাল। বড় রেস্টুরেন্টে খেলেও পেটেই যাবে, সাধারণ হোটেলে খেলেও পেটেই যাবে - তাহলে সাধারণ হোটেলই তো ভাল।
এটার জন্য স্ত্রী-সন্তানরা তার উপর একটু অসন্তুষ্টই থাকতো। অবশ্য তারা কিছুর আবদার করলে বিজয় মানা করতো না। প্রথমে যাই বলুক, পরে মেনে নিত সেও।

আসল ঘটনাটার শুরু আসলে তখন থেকেই।
তার বড় মেয়ে আঞ্জু ন্যাচার ক্যাম্পের জন্য তার স্কুল থেকে নির্বাচিত হয়। বিজয়ও শুনে বেশ খুশি হয়। কিন্তু আঞ্জুর মা নন্দিনী তাকে যেতে মানা করার কথা শুনে বলে, সত্যিকারের জ্ঞান তো বইয়েই থাকে না - বাইরে থেকেই অর্জন করতে হয়। বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। পরে তাকে জানানো হয় যে, এটার জন্য আলাদা ফি দিতে হবে - তখন সেও আমতা আমতা শুরু করে। পরে অবশ্য দেয়ও।

কাহিনীটার শুরু এখান থেকেই। আঞ্জু ক্যাম্পে থাকাকালীন সামির নামের এক ছেলে তার ফোনে আঞ্জুর ছবি তোলা নিয়ে যন্ত্রণা করা শুরু করে। সারাক্ষণই ছেলেটা আঞ্জুর পিছনে আঠার মত লেগে থাকতো। ঐখান থেকে আসার পর অবশ্য আঞ্জু সব ভুলেই যায়।
কিন্তু হঠাৎ একদিন সামির এসে হাজির আঞ্জুর সামনে। আঞ্জু প্রথমে অবাক হয়, পরে কুশালাদি জিজ্ঞেস করে। জবাবে সামির আঞ্জুকে একটা ভিডিও দেখায়। ভিডিওটা হল আঞ্জুর গোসল করার। ভিডিওটা দেখে আঞ্জু বলে এটা ডিলেট করে দিতে।
তখন সামির ব্ল্যাক মেইল শুরু করে। ডিলেট করবে, কিন্তু এটার বিনিময়ে সে যেটা চায় তাকে সেটা দিতে হবে। সে রাতে আঞ্জুদের বাসার পিছনে থাকবে, ওখানে দেখা করতে বলে।

আঞ্জু ভয় পেয়ে যায়। লজ্জায়ও। কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরে। তার মা জানতে চাইলে, প্রথম বলতে না চাইলেও পুরোটা খুলে বলে।
পরে সামিরকে বাইরে থেকে সে বাসায়ই নিয়ে আসে। বাসায় আসার পর সামির দেখে আঞ্জুর মাও দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমে সে ভাবে, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু পরে নন্দিনীও তার কাছে ক্ষমা চাইলে, ভিডিওটা ডিলেট করে দিতে বললে ও তার মেয়ের ক্ষতি না করতে বললে তার মাথায় শয়তানী বুদ্ধি খেলে। সব কথাই সে মেনে নিল। কিন্তু শর্ত স্বরূপ নন্দিনীকে এক বাজে প্রস্তাব দেয়।
আঞ্জুর মাথা এটা শুনে একদম এলোমেলো হয়ে গেল। সামির হাতের মোবাইলটাই এখন বিপদ তার ও তার মায়ের জন্য। মোবাইলটাকে ভেঙ্গে ফেলতে পারলেই ঝামেলা শেষ। সেটার জন্য একটা রড নিয়ে সামিরের পিছনে নিঃশব্দে এসে দাঁড়ালো। যেই না রডটা দিয়ে আঘাত হানতে যাবে, তখনই সামির হাতটা উপর থেকে নিচে নামিয়ে ফেলে এবং রডের বাড়িটা গিয়ে লাগে সামিরের মাথায়। তৎক্ষণাৎ মরে যায় সামির। এরপর মা মেয়ে দুইজন মিলে সামিরকে বাড়ির উঠানে কম্পোষ্ট সারের জন্য মাটি খুঁড়ে রেখেছিল বিজয় - ওখানে পুতে দিল সামিরকে।

বিজয় আবার রাতে বাসায় থাকে না। ক্যাবল নেটওয়ার্কের অফিসেই থাকে। সকালে বাসায় এসে ঘরে মাটি ও নন্দিনী-আঞ্জুর বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে জানতে চায় কী হয়েছে। সব তাকে খুলে বলা হয়। একজন ন্যায়-নিষ্ঠাবান মানুষ হিসেবে তার এখন দায়িত্ব দুইটা - এইটা পুলিশকে জানানো, আরেকটা তার পরিবারকে বাঁচানো। পরিবারের চেয়ে তার কাছে কিছুই নেই। সে পরিবারকে বাঁচানোর সিদ্ধ্বান্তই নেয়।

এরপরই বিজয় দেখায় তার বুদ্ধির খেলা। চমৎকারভাবে অ্যালিবাই তৈরি করে। সে জানে, পুলিশ তদন্ত করতে করতে একসময় তার কাছে পৌছাবেই। কারণ, সামির হল গোয়ার আইজির একমাত্র ছেলে। বলতে গেলে, পুরো পুলিশ ডিপার্টমেন্টকেই তার সামলাতে হবে।

যে পুলিশের সাথে তার ঝামেলা ছিল, বিজয় তো তার কাছে নাম্বার ওয়ান অপরাধীই। কারণ, সে ই বিজয়কে সামিরের গাড়িতে উঠতে দেখেছিল। সাথে আরো দুইজন থাকলেও তারা দেখতে পারেনি, কে গাড়িতে উঠেছে। সব পুলিশের কাছে নিখোঁজ সামিরের ও গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিল নিখোঁজের আগে - এই খবর পাঠানো হলে সে বিজয়ের কথা বলে। শুরু হয় তদন্ত। অন্যান্য পুলিশরা অবশ্য বিজয়কে অপরাধী মানতে নারাজ ছিল। কিন্তু আইজির কানে খবর পৌছালে সে বিজয়কে পুরো পরিবার সহ ধরে আনতে বলে।

বিজয়ের প্ল্যান শুরু হয় তখন থেকেই। তার পুরো পরিবারকেই আগে থেকে ট্রেইনিং দিয়ে আনে যে, পুলিশের সামনে ঘাবড়ানো যাবে না - ঘাবড়ালেই পুলিশ সন্দেহ করবে। মিথ্যাও বলতে মানা করে - সবই সত্য বলবে। আর সবাইকে একই উত্তর দিতেও মানা করে। একই প্রশ্নের উত্তরে একেকজন একেকটা বললে পুলিশ বুঝতে পারবে না তারা আগে থেকে প্ল্যান করে এসেছে। পুলিশ উলটাপালটা প্রশ্ন করতে পারে - কিন্তু ঐসময় তাদেরকে স্ট্রিক্ট থাকতে হবে। পুলিশকে কখনো বুঝানো যাবে না, তারা ভয় পাচ্ছে।

পুলিশের মাথা ঘুরাচ্ছে। বিজয় একটা কাহিনী সাজিয়েছে বলে ধারণা করে - ঐটাই তাদের সামনে ভিজুয়ালাইজ করছে। একটা সময় এটার প্রমাণও পায়। শুধু পুলিশের সাথেই না - অ্যালিবাইদেরকেও একটা ভিজুলাইজেশনের মাঝে নিয়ে আসে বিজয়। কাউকেই সে আসল কথাটা বলেনি, এমনকি কাউকে অনুরোধও করেনি - স্ট্যাটমেন্টে এসব বলতে হবে; তবুও সে তার কাজ আদায় করে নিচ্ছিল ভিজুলাইজেশনের মাধ্যমে। সবাই সত্যি কথা বলেছে - কিন্তু কারো সত্যি কথাতেও সামিরের নিখোঁজের রহস্য জানতে পারে না পুলিশ।

পারফেক্ট একটা প্ল্যান ছিল। একটা সময় আইজি রেগে গিয়ে মারধরই শুরু করে বিজয় সহ তার পুরো পরিবারকে। কিন্তু বিজয় এটার জন্য সবাইকে তৈরিই করে রেখেছিল মানসিক ভাবে। যতই মারুক তারা কেউ যেন, মুখ ফসকেও কিছু না বলে। সামিরের ভিডিও করার কথাও যেন না বলে। ভিডিওটা এখন নেই, চিন্তার কারণও নেই। সেইটা বলারও দরকার নেই। বিজয়ের প্ল্যান পুরোটাই সফল হচ্ছিল, কিন্তু শেষে তার পাঁচ বছর বয়সী ছোট মেয়েটা মারের ভয়ে বলেই দেয় সত্যটা।

এরপরই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু হয় নি। কেন হয়নি সেটা মুভিতেই দেখুন আপনারা। এটা আর স্পয়েল করবো না।

তবে মুভিতে একটা ব্যাপার বুঝানো হয়েছে, অভিভাবক মানে অভিভাবকই। সন্তান অপরাধ করলে তাকে শাস্তি দেওয়া যায়। কিন্তু শাস্তি দিয়ে তার জীবন নষ্ট করে দেওয়া অভিভাবকের কাজ না। খুব বড় অঘটন ঘটিয়ে ফেললে অভিভাবককেই সাথে থাকতে হয়। তাকে বাঁচানোর পুরো দায়িত্বটাই অভিভাবকের। এটা একটা সচেতনতা মূলক মুভিও ছিল, অভিভাভকের যেমন বাঁচানোর দায়িত্ব - তেমনি বিপদে যেন সন্তান না পড়ে সেটার দিকেও খেয়াল রাখার দায়িত্ব তাদেরই।

এরকম চমৎকার একটা ক্রাইম-মিস্ট্রি থ্রিলার। ভারতে যে এইরকম কাহিনীর একটা মুভি বানানো হবে - সেইটা ভাবিনি কখনোই। তাদের সব রাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ সৃষ্টিই থাকে অন্যের থেকে ধার নেওয়া বা চুরি করা। আর যেগুলো মৌলিক থাকে, সেগুলোও খুব একটা ভাল হয় না। [এমনকি থ্রি ইডিয়টসও মৌলিক মুভি না - মুভির বেশির ভাগ দৃশ্যই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ফানি ভিডিও থেকে কপি করা। মেইন থিমও নিজস্ব নয়।]
সেই জায়গায় দৃশ্যমের মত মুভি - সত্যিই অসাধারণ। এত থ্রিলিং মুভি এই বছরে আর দেখি নাই।

ঘুম নিয়ে মুভিটা দেখা শুরু করে ঘুমে ঢুলঢুল করলেও, থ্রিলিং ভাবটা পাওয়ার পর - ঘুম একদমই উবে গিয়েছিল।

আশা করবো, বাংলাদেশেও এরকম থ্রিলিং একটা মানসম্পন্ন মুভি খুব দ্রুতই দেখতে পাব।
[স্পয়লার দেওয়ায় দুঃখিত আমি। আমি আসলে পুরোটা না লিখে পারছিলামও না।]

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: স্পয়লার যখন দিলেন তখন পুরোটা দিলেন না ক্যান?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শেষের টুইস্টটা আর লিখলাম না। এইটুক পড়ে কারো মুভি দেখার ইচ্ছা থাকলে লেখার সাথে মিলাবে শুধু - এতে মুভি দেখার মজাই কমে যাবে। আর শেষের টুইস্টটা মাথা ঘুরানো টুইস্ট। ঐটা মুভি থেকেই দেখেন।

মুভিটা দেখতে পারেন - গ্যারান্টি দিতে পারি, সময় নষ্ট হবে না।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২১

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: আপনার রিভিউ পড়ে মুভিটা দেখতে ইচ্ছে করছে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: দেখে ফেলুন। থ্রিলড হবেন। :)

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: উপরে লিখে দেন, স্পয়লার এলার্ট। নইলে পাবলিক মুভি দেখে মজা পাবে না।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এটা পড়ার আগের সতর্কতাবাণীঃ এই রিভিউটাতে হিউজ পরিমাণের স্পয়লার আছে। যাদের মুভিটি দেখা হয়নি, তারা না পড়লেই ভাল করবেন।

এটা তাহলে কী লেখা ছিল উপরে ভাই?

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: হিন্দিটা দেখি নাই। মূল মালায়লম ভাষারটা দেখেছি। অস্থির একটা মুভি!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: মালায়ামটা শুরু করেছিলাম, ভাষা বুঝি না দেখে অতটা মজা পাচ্ছিলাম না। পরে হিন্দীটা আছে শুনে নামিয়ে দেখলাম। ভাল করে বুঝার পর অস্থির রকমের মজা পাইছি মুভিটা দেখে। পারফেক্ট থ্রিলার।

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

প্রামানিক বলেছেন: মুভিটা দেখা হয় নাই, আপনার রিভিউ পড়ে দেখতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপনার পোষ্টের জন্য।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ইচ্ছে করলে দেখে ফেলুন। :) আপনাকেও ধন্যবাদ।

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৯

কিরমানী লিটন বলেছেন: চমৎকার মুগ্ধতার রিভিউ- অভিনন্দন প্রিয় রক্তিম দিগন্ত , শুভকামনা জানবেন ...

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

শুভকামনা আপনার প্রতিও। :)

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

আরজু পনি বলেছেন:
স্পয়লার পড়লাম ম্যুভিটা দেখবোনা বলেই ।
তবে মেসেজে যা বললেন সেটা ভালো লেগেছে ।
শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: স্পয়লারে কিন্তু পুরোটা দেইওনি। আপনি যদি রহস্যের পোকা হয়ে থাকেন্, তাহলে এইটা দেখতে চাইবেনই হাজার স্পয়লার পড়লেও।

ধন্যবাদ আপনাকেও। মুভিটি মোটামুটি সব দিক থেকেই বেশ ভালই করেছে। নাহলে হিন্দী মুভি নিয়ে আমার তেমন আগ্রহ নেইও।

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪১

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা আপনাকে। :)

৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

আরজু পনি বলেছেন:
মিথ্যে বলবো না..পুরো স্পয়লার আশা করেছিলাম ।
আমি দেখবোনা কিন্তু অন্যেরা সাজেস্ট করে এমন অনেক ম্যুভিরই স্পয়লার পড়ে দেখার কাজ সারি...হাহাহাহা

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হাহাহাহা!
এতে সময়টা বেঁচে যায়!

ভাল বুদ্ধি এটা। :P

১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৮

সুমন কর বলেছেন: রিভিউ চমৎকার হয়েছে। দু'দিন আগেই ডাউনলোড করেছিলাম কিন্তু দেখার সময় পাচ্ছি না। আপনার রিভিউ পড়ে দেখার ইচ্ছেটা বেড়ে গেল। অবশ্যই দেখে নেবো।

+।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ইনশাল্লাহ্‌ রিভিউয়ের স্পয়লারেও আপনার মুভি দেখা স্পয়েল হবে না। তবে ভাই শেষ থেকেই দেখেন - ৮০% তো আমিই দেখিয়ে দিলাম। :D

১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মুভিটা দেখার ইচ্ছে আছে।
এখন আমি অবশ্য বাংলা মুভি খুঁজে খুঁজে ছেলেকে দেখতে দেই, বাচ্চাদের যেসব মুভি আছে সেগুলি। কিন্তু বাচ্চাদের মুভির অনেক নাম আমার অজানা তাই ছেলের দেখার এখন ইচ্ছে হলেও আমি নাম না জানার কারনে দেখতে দিতে পারিনা।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন, বাচ্চাদের জন্য দেশীয় মুভির কোন বিকল্প নেই।

আর সততার সাথে বললে, বাংলাদেশে ৭০ এবং ৮০ এর দশকের পর ভালমানের বাংলা সিনেমা খুব কমই এসেছে। ৯০ এর দিকে ভাল ভাল নির্মাতা ও অভিনেতা আসলেও বিষয়বস্তুটা একই হয়ে গিয়েছিল। সবই ভালবাসা নির্ভর। ভিন্ন মোড়কের হলেও, ভিতরের লজেন্স ঐ একটাই। এতে বাংলা সিনেমার প্রতি অনেকেরই আগ্রহ কমে আসে।
আমার নিজেরও একটা সময় বিরক্ত লেগেছিল - যখন নিয়মিত বিটিভির দর্শক ছিলাম। প্রতি সপ্তাহেই একই জিনিস।

তবে, বাচ্চাদের জন্য অ্যানিমেশনটা খুব কার্যকরী।
আমি মুভি দেখে যে শিক্ষাগুলো পেয়েছি, তার ৯০ শতাংশই অ্যানিমেশন দেখে। অ্যানিমেশন গুলো হাসির থাকে - এতে বাচ্চারা সেন্স অফ হিউমারটা নিতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুবই বুদ্ধিদীপ্ত কিছু সংলাপ থাকে - তা থাকে কমন সেন্সটা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সর্বোপরি, একটা রহস্য থাকে - যেটার জন্য ধৈর্য্য শক্তিটা অর্জন করা যায়।

আমি আপনাকে সেগুলোই দেখতে দেওয়ার জন্য সাজেস্ট করবো।

এছাড়া বাংলা মুভির কথা বললে, আমি অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক মুভিগুলো দেখতে দিতে বলব। এতে নিজ মাতৃভূমির প্রতি শ্রদ্ধাটা ছোট থেকেই বাড়তে থাকবে। এবং পরবর্তীতে একজন সত্যিকারের মানুষে পরিণত হতে পারবে।

আপনার মন্তব্যটা ভাল লাগলো। আপনার মন্তব্যে দেশীয় বাচ্চাদের জন্য কিছু বুদ্ধিদীপ্ত অ্যানিমেশন ছাড়া কোন উপায় দেখছি না।

১২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অ্যানিমেশন টাইপ অনেক কিছু সে দেখে। নিজে নিজে গেমস ও তৈরি করতে পারে। গেমস বানানো তার স্কুলে শেখায়।

কিছুদিন আগে "আমার বন্ধু রাশেদ" আর ছুটির ঘন্টা দেখল নেটে। এখন সে এরকম মুভি দেখতে খুবই আগ্রহী কিন্তু আমি নিজেই জানিনা আর কি কি বাংলা মুভি আছে বাচ্চাদের।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: দীপু নাম্বার টু কি এখনো বাদ আছে দেখার?
ঐটা দেখিয়ে ফেলুন।

১৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৩

কানা কুদ্দুছ বলেছেন: ভাইজান মোরে তো নেশা ধরাই দিলেন। এহন মুভি দেহা লাগবে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: দেইক্ষা ফালাইন ভাই... এই মুভি দেইক্ষা ঠকবেন না।

১৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:০৬

আলপিন তনু বলেছেন: হুম... আমি বেশ কয়েকবার দেখেছি মুভিটা..
পারিবারিক ভালোবাসার অন্যরকম এক দৃষ্টান্ত এই মুভিটাতে দেখা যায়..!!
আর অন্যায় ও যে কখনোকখনো ন্যায় হয়ে যায়...তা চমতকার ভাবে তুলে ধরা হয়েছে এখানে...

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এটা ঠিক বলেছেন, লজিক্যালি ভাবলে মাঝে মাঝে অপরাধীকেই শিকার আর শিকারকেই শিকারী মনে হয় - এটা বেশ সুন্দরভাবেই তুলে ধরা হয়েছে।

১৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মুভিটা আমি দেখেছি, বেশ ভাল লেগেছে। অনেক দিন বাদে কোন হিন্দী মুভি পেলাম যেটা দেখার জন্য অন্যকে সাজেস্ট করা যায় :) :) রিভিউ বেশ ভাল হয়েছে :)

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এটা ঠিক বলেছেন। মুভি ভালো সেটা যেই দেশের বা যেই ভাষারই হোক , নিজেও দেখা যায় - অন্যকেঅ সাজেস্ট করা যায়।

ধন্যবাদ আপু। :)

১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: ইচ্ছে ছিল না-কিন্তু আপনার রিভিউ পড়ে আর লোভ সামলাতে পারছিনা!

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আমারো ইচ্ছে ছিল না, জোর করেই দেখতে বসেছিলামো - দেখার পর থ্রিলডও হয়েছি।

দেখতে পারেন রহস্যপ্রেমি হলে।

১৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আগেই দেখেছি। যারা গতানুগতিক প্রেম, ভালোবাসা, একশন দেখতে চান না তাদের জন্য দারুণ টাইম পাস মুভি।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: গতানুগতিক প্রেম ভালবাসার মুভিতে কমপ্লিট এন্টারটেইনমেন্ট নেই।
চমকই নেই কোনো।

ওগুলু দেখা আর সময় নষ্ট করা একই কথা।

১৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দেখবো ভাল| ভাল লেগেছে রিভিউ

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। :)

১৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: রিভিউ চমৎকার । মালায়ামটা থেকে হিন্দিটা ভাল লেগেছে বেশি ।অজয়কে বেশ মানিয়েছিলো । এইটা তামিলরাও করেছে । কামাল হাসান অভিনয় করেছে । Papanasam নামে ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: মালায়ামটা ভাষা না বুঝার জন্য দেখা হয়নি। মুভির থেকে সাবটাইটেলের দিকে বেশি তাকিয়ে থাকা বিরক্তিকর।

তবে এটা ঠিক হিন্দীটার চেয়ে ঐটা একটু ভাল ছিল।

মূলচরিত্রে অবশ্য অজয়কেই মানিয়েছে বেশি।

ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।

২০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

খোলা মনের কথা বলেছেন: সত্যিই অসাধারন একটা মুভি। ধন্যবাদ

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। শুভকামনা।

২১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩

তারছেড়া লিমন বলেছেন: রিভিউ পড়ে দেখার বড্ড লোভ হচ্ছে.......................

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: দেইক্ষালাইন লিমন ভাই... পুরাই ক্র্যাকড মুভি ভাই...

২২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৯

এস কাজী বলেছেন: সুন্দর রিভিউ। ছবিটা আমার কাছে অদ্ভুত সুন্দর লেগেছে। বিশেষ করে লাশ থানার নিচে রাইখা দিসিল এইটা ক্যামনে মানে মেইকিং করছে অদ্ভুত লাগছে আমার।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাই এইটা বেস্ট টুইস্ট ছিল। চরম বিপদের মাঝেও সে সব মনে রেখে সব প্রমাণ সরিয়ে দিয়েছিল। এটা আসলে করেছে এইভাবে, পুলিশ স্টেশনের ফ্লোরিং-এর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই - পরদিন থেকে ঢালাইয়ের কাজ শুরু করবে। সে এটা মাথায় রেখেই লাশটা লুকায় গিয়ে ফ্লোরের নীচেই। তারপর আবার ফ্লোর ঠিকঠাক মত করে দিয়ে আসে - পরে এরপর বিল্ডার্স ঢালাই দিয়ে দেয় কিছু না জেনেই।

এই ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত। এতটা ডিটেইলসে ভেবে কোন প্ল্যান করতে আমি মুভিতেও খুব কম দেখেছি। পারফেক্ট একটা এন্ডিং দিয়েছে।

২৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: হিন্দিটা দেখি নাই। মূল মালায়লম ভাষারটা দেখেছি। অস্থির একটা মুভি

আমারো একিই অবস্থা। হিন্দিটা দেখা হয় নাই। তবে ভাষা না বুঝলেও চালিয়ে নিয়েছি ... ...

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আমি শুরু করে সাবটাইটেল দেখতে গিয়ে মুভি দেখতে পারছিলাম না। পরে অল্টারনেটিভ অপশন আছে দেখে ঐটা বাদই দিয়েছি। না থাকলে ঐটাই দেখতাম কষ্ট-সৃষ্ট করে।

২৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আশা করবো, বাংলাদেশেও এরকম থ্রিলিং একটা মানসম্পন্ন মুভি খুব দ্রুতই দেখতে পাব।

কথা কয়টি ভাল লাগলো ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: মুভিটির খরচ বেশি লাগেনি। জাস্ট স্টারকাস্টের জন্য খরচ বেড়েছে কিছুটা।

বাংলাদেশে ৭-৮ কোটি দিয়ে সেই একই ধরণের প্রেমের মুভি বানাতে পারে, তাহলে ১০-১২ কোটি টাকা দিয়ে একটা ভাল মুভি বানাতে অসুবিধা কোথায়?
স্টার অভিনেতাই যে লাগবে সেটাও তো কেউ চাচ্ছে না।

ভাল কাহিনীই যে মুভির আসল গুণ এটা আমাদের দেশে মানতে চায় না। সব ব্যবসার দিকে ঝুকে শুধু।

২৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: তাইলে ডাউনলোড করমুই। তো ঘটনা হইলো এইটাও কি কারো নকল? (চুন ও দই আতংক আর কি :#) )

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: নামালাইন।

এইটা নকল কিনা এখনো শুনি নাই। মনেহয় নকল না। তবে ইন্ডিয়ান তো আমার বিশ্বাস হয় না তারা নিজেরা ভাবছে কাহিনীটা। কেন জানি খালি চোর চোরই লাগে।
এখন পর্যন্ত শুনি নাই নকল কিনা।

আসল মুভিটা মালায়াম ভাষার। একই নামের। সেইটাও কারো নকল কিনা সেটাই শোনা যায় নি।

২৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১২

জুন বলেছেন: রক্তিম দিগন্ত প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর এবং বিস্তৃতি বিবরনের সাথে ছবিটিকে তুলে ধরার জন্য। আমিও হিন্দী ছবি খুবই খুবই কম দেখি। সত্যি বলতে কি এখন কোন ম্যুভিই আমি দেখি না এত লম্বা সময় ধরে। ধৈর্য থাকে না। তারপর ও আপনার লেখায় এছবিটি দেখতে অনুপ্রানিত হচ্ছি।
অনেক ভালোলাগা।
+

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ আপু! :)

২৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪১

অগ্নি সারথি বলেছেন: আবারো আসলাম মন্তব্য করতে। হিন্দি মুভি খুব একটা দেখি না। তবে গত দিন আপনার পোস্টের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে মুভিটা দেখলাম। চমৎকার লাগল। ধন্যবাদ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: স্বাগতম! :)

সাজেশন খারাপ ছিল না তাহলে।

হিন্দি আমিও দেখিনা একদমই। তবুও ভাল কাহিনীর জোরেই এটা দেখা হয়েছে।

২৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

মানবী বলেছেন: দৃশ্যমের হিন্দী ভার্সন এই কাহিনীর পন্চমতম ভাষায় চিত্রায়ন। দক্ষিন ভারতের বিভিন্ন ভাষায় বেশ কয়েক বছর আগে ছবিটি বিভিন্ন সময় রিলিজ পায়।

অত্যন্ত রোমান্চকর উপস্থাপন হলেও মনে হয়েছে ঘটনা আড়াল করায় অনেক ফোকর থেকে গেছে যা বাস্তবে ঘটলে ধরা সহজ ছিলো।



০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আসল মুভিটি ২০১৩ সালের। কততম রিমেক সেটা জানি না!

তবে আপনি যেটা বললেন - সেটার সম্পূর্ণ উল্টোটা। বরং তাদের পর্যন্ত যাওয়াটাই ছিল সবচেয়ে কঠিন কাজ - যেইটা খুব সহজেই করে ফেলেছে। এটা একটা অসংগতি ছিল। এটাকে কোনরকমে শত্রুতার মাধ্যম দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে - শেষে আবেগ দিয়ে আঁটকে ফেলেছে। বাস্তবে এটা এতদূর যেতই না। প্ল্যান এক্সিকিউট করা তো অনেক পরের কথা।

বাস্তবে বাংলাদেশে এর চেয়েও সহজ অনেক কিছু ঘটছে। ঐগুলো কি ধরা পড়ছে? বাস্তবটা আরো কঠিন। মুভিতে সেটাই সহজ ভাবে দেখিয়েছে।

২৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

হু বলেছেন: হিন্দি সিনেমার কথা যদি বলি তাহলে বলতে হয়-সাম্প্রতিক সমযের সিনেমাগুলোর মধ্যে- থ্রি ইডিয়ট, এর পরে পিকে, তারপর বাজরঙ্গী ভাই জান এবং সর্ব শেষ দৃশ্যম সিনেমাটি ভাল লেগেছে। এর মঝ খানে ইন্ডিয়ান সিনেমা গুলো খুব একটা ভাল করতে পারে নি।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: থ্রি ইডিয়টসটা ভাল ছিল - কিন্তু মুভিটার কিছু দৃশ্য ও কাহিনীটা আগেও একবার এসেছিল দেখে খুব একটা ভাল লাগেনি। তবে ঐ মুভিটার সাজানোটা ভাল ছিল।
পিকে তো তাদেরই নিজ দেশের মুভির কনসেপ্ট নকল করে বানিয়েছে। পিকের এক বছর আগেই ঐ মুভিটা আসে। সাথে পিকের এন্ট্রেন্সের সময় টার্মিনেটর থেকে কনসেপ্ট নিজের মত করে চালিয়ে দিয়েছে।
বাজরাঙ্গী ভাইজান সেই তুলনায় বেশ ভাল ছিল। কনসেপ্টটাও আনকোরা। তবে লজিক্যাল কিছু দিক দিয়ে মুভিটা অতটা ভাল লাগেনি। বিশেষ করে শেষ দিকে গেইট ভাঙ্গাটা। ঐটাতে সিভিল ওয়ার শুরু হয়ে যেতে পারতো।

দৃশ্যমটা এই জন্যই ভাল লেগেছে। নতুন কিছু নেই, শুধু নতুন করে সাজিয়েছে। সাথে রেখেছে সব কিছুর ব্যাখ্যা।
মুভিটা ভাল লাগার আরেকটা কারণ হল - মুভির ডিরেক্টর Christopher Nolan কে ফলো করে মুভিটা সাজিয়েছে। বলতে গেলে ঐ নোলান ইফেক্টটাই ভাল করিয়েছে মুভিটাকে।

৩০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: বলিউডে ভাল ছবি হয় না বললেই চলে।

মুভি রিভিউ বেশ ভাল লেগেছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: একেবারেই যে হয় না সেটা না। তবে তাদের ইদানিংকালের মনোভাবটা ব্যবসা থেকে সরে ভাল মানের ছবি বানানোর দিকে এসেছে। এই বছরই দুই-তিনটা ভাল কাহিনীর মুভি এসেছে শুনেছি।
দেখেছি অবশ্য এই একটাই ভাল কর।

৩১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২২

লিও কোড়াইয়া বলেছেন: এটা একটা মালায়ালম সিনেমার রিমেক। সিনেমাটা আমারও অনেক ভালো লেগেছে। এই সিনেমা নিয়েও বিতর্ক আছে। জাপানিজ একটা নোভেল 'The Devotion of Suspect X ' এর সাথে অনেক দিকে মিল আছে। নিচের লিংকটা দেখতে পারেন।
check this link out

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.