নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় বলার মত কিছু এখনো করতে পারি নি। তাই ঘরটা ফাঁকাই। পরিচয় অর্জন করতে পারলে আমি যোগ করে দিব।

রক্তিম দিগন্ত

Life is all about a thrill.

রক্তিম দিগন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমোপপাদ্য (শেষভাগ)

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

প্রথম ভাগ
মধ্যভাগ


একাদশ

আট বছর পর দেশে ফিরলো আনিস! একজন স্বপ্নাতুর মানব হিসেবে অনেক স্বপ্ন নিয়ে দেশ থেকে গিয়েছিল সে, ফিরে আসলো একজন সফল মানুষ হিসেবে! রোবটিক্সের জগতের বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে সে! তার আবিষ্কৃত ফর্মুলা রোবটিক্স নামক জটিল বিষয়টাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে! নেই তৈরিতে সেই আগের মত খুব খাটুনীরও!

এয়ারপোর্টে রঞ্জু তার অপেক্ষাতেই দাড়িয়েছিল! দীর্ঘদিন পর বন্ধুকে ফিরে পেয়ে বুকে জড়িয়ে নিল! কুশলাদি জিজ্ঞেস করলো! প্রফেসর হামিদ গত হয়েছেন বছর দুয়েক আগেই! কবর জিয়ারত করে রঞ্জুর মাধ্যমে কেনা বাংলাদেশে তার ফ্ল্যাটটায় উঠলো আনিস! বাংলাদেশে তার নামডাক বেশ ভালোই! প্রতিদিনই সাংবাদিকরা আসছে তার সাক্ষাৎকার নিতে! অনেকেই আসছে তাকে অভিনন্দন জানাতে! বজলু ভাইও আসলো! তাকে অভিনন্দন জানালো! আনিস তাকে যেভাবে ফুল দিয়ে ধন্যবাদ দিয়েছিল, বজলু ভাইও ফুল দিয়ে আনিসের কাছে পূর্বের ঘটা ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইলো! হাসাহাসি চলল!

বাংলাদেশে বেশিদিন থাকবে না আনিস! আবার চলে যেতে হবে! দেশটাকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করে না! কিন্তু যেতে তো হবেই! দেশে আসলো পাঁচ-ছয়দিন হল! এর মাঝে বেশির ভাগ সময়ই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে তাকে! আজকে কিছুটা ফুসরত মিলল প্রানভরে দেশের বাতাসটা অনুভব করার! ভোরে ছাদে দাঁড়িয়ে দেখছিল বাড়িটাকে! নীচে একটা চমৎকার ফুলের বাগান! কিছুক্ষনের মাঝেই বৃষ্টি শুরু হল! গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি! বিরক্ত তার আগে এই বৃষ্টিটাকে! কিন্তু এত বছর পর এই বৃষ্টিটাকে তার বড়ই আনন্দময় মনে হচ্ছে! গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিটায় ভিজছে সে! নীচে তাকিয়ে দেখে ফুলের বাগানে একটা দশ-বারো বছর বয়েসী বৃষ্টিতে ভিজেই হাটতে হাটতে ফুলেদের সাথে কথা বলছে! দৃশ্যটা দেখে তার আট বছর আগের এমনই এক দৃশ্যের কথা মনে পড়ে গেল! মনে পড়ে গেল সেই দৃশ্যে থাকা মেয়েটির কথাও! সেই ছাঁদ, সেই চিলেকোঠা, সেই মানুষগুলোর কথা! সে একদমই অকৃতজ্ঞের মত ভুলে গিয়েছিল তাদের কথা! দেশ থেকে যাওয়ার আগেও বলে নি! বাইরে গিয়ে মনেই ছিল না তাদের কথা! এই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিটা না পড়লে হয়তো মনেও পড়তো না কখনো! কানে একটা গানের কয়েকটা লাইন বেজে উঠল।
‘Here comes the rain again
Falling on my head like memory
Falling on my head like new emotion’

ইমোশন! মেমোরী! আবেগ! স্মৃতি!
আবেগের কারনে মনে হল মেয়েটিকে! স্মৃতিতে মনে পড়লো সেই মেয়েটি তাকে একটা ডায়েরী দিয়েছিল! ডায়েরীটা সে পড়েনি কখনও! কিন্তু কখনও হাতছাড়াও করে নি! সবসময়ই রেখেছে নিজের সাথে! রুমে গিয়ে ডায়েরীটি বের করল!

ভিতরে অনেক লিখা! অনেকদিন ধরেই ডায়েরীটি লিখছিল মেয়েটি! অবাক হল, ডায়েরীটায় শুধু তাকে নিয়েই লেখা দেখে! হাতের লিখা অনেক সুন্দর! লিখার সময় যে হাত কাঁপছিল ঐটাও বুঝতে পারলো সে! শুরুর দিন থেকে শুরু সে আসার দিন পর্যন্ত ঘটা প্রতিটা ঘটনার কথা লিখা ডায়েরীটায়! পড়তে পড়তে কখন যে আনিসের চোখের কোণে পানি এসে গেল আনিস নিজেও জানে না! ডায়েরীর শেষ পৃষ্ঠায় একটা আলাদা কাগজে লেখা একটা চিঠি! খুবই দ্রুত লিখেছে! কিন্তু লেখায় কোন কাঁটাছেড়া নেই! চিঠিটা পড়া শুরু করল আনিস!

‘আনিস ভাই,

নামের আগে সম্ভাষন হিসেবে অনেকেই অনেক কিছু লাগায়! কেউ প্রিয়, কেউ শ্রদ্ধেয় ইত্যাদি ইত্যাদি! কিন্তু আমি না খুবই দুঃখিত যে কিছু লাগাতে পারছি না! আশা করি কিছু মনে করবেন না এতে! তবে রোবট লাগাতে চেয়েছিলাম – কিন্তু পরে কি ভেবে যেন আর লিখি নাই ঐ শব্দটা!

কেন যেন মনে হচ্ছে আপনি রোবট না! জানি না কারনটা কি – তবে আপনি যে মিথ্যা বলে এই বাসা থেকে চলে যাচ্ছেন সেটা কিন্তু আমি বুঝতে পেরেছি! আপনি এই বাসা না আসলে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন আমাকে। ছেড়ে চলে যাচ্ছেন কথাটা মানাচ্ছে না! আসলে পালাতে চাচ্ছেন আমার কাছ থেকে!

রাতে আপনাকে যতগুলো কথা বলেছি সব মিথ্যা! আপনি রোবট না! আপনারও মন আছে! ভোর ছাঁদ থেকে যখন আমাকে দেখছিলেন তখনই বুঝেছি সেইটা! সেই মনটা যে আমার কথাগুলোর জন্য অনেক খারাপ হয়েছে আমি জানি! কিন্তু করব বলুন, আপনার রোবটিক আচরনটা আর সহ্য করতে পারছিলাম! সেই জন্যেই রেগে গিয়ে বলে ফেললাম! আপনি মন খারাপ করবেন জানলে ঘুনাক্ষরেও বলতাম না কথাগুলো! আমাকে ক্ষমা করবেন!

চলে যেতে যাচ্ছেন! যেতে মানা করব না! আপনার অনেক স্বপ্ন আছে, সেই স্বপ্নগুলো সফল হোক! মনেপ্রানে এইটাই চাই!

রাতে বলেছিলাম, ‘সেই মেয়েটি কে জানেন? সেই মেয়েটি আমি!’ অনেক রাগ নিয়ে বলেছিলাম! কিন্তু কথাটা আমি বলতে চাচ্ছিলাম খুব নরম সুরে, মাথা নীচু করে, লজ্জায় গাল লাল করে! কিন্তু সবার সব স্বপ্ন তো আর পূরন হয় না! কিছু কিছু অপূর্নতা থেকেই যায়!

একটা কথা না বললে, আমি কোনদিনই শান্তি পাব না! কথাটা বলা ঠিক হচ্ছে কি না জানি না! এইটাও জানি না যে কথাটার সত্যতা কতটুক! কিন্তু এই মুহুর্তে এই কথাটা ছাড়া আমি আর কিছুই বলতে পারছি না!

‘আপনাকে ভালবাসি!’ কথাটা কত লজ্জার! কিন্তু দেখেছেন কতটা নির্লজ্জ আমি! কোনরকম কাটাকাটি না করে কত সুন্দর করে লিখে ফেললাম! এই নির্লজ্জ মেয়েটার কান্ডটায় রাগ করবেন না! আর আমি এইটার জন্য ক্ষমাও চাইবো না!

ভালো থাকবেন! ভাল করে পরীক্ষা দিবেন! নিজের শরীরের যত্ন নিবেন! ওষুধের কোর্স এখনো শেষ হয়নি, সময়মত খেয়ে নিবেন!

ইতি,
ম আকার দ হ্রস্ব ই কার হ আকার! মাহিদা!
উহু! মাদিহা!
নিজের নাম নিজেই ভুল করলাম!’


চিঠিটা পড়ার চোখের পানি গাল বেয়ে নামা শুরু করল আনিসের! পুরুষদের কাঁদতে নেই, কিন্তু এই মুহুর্তে চোখের পানি যে আঁটকাতে পারছে না!

বৃষ্টি কমে নি! বরং আগের চেয়ে বেড়েছে! এই বৃষ্টির মাঝেই যত দ্রুত সম্ভব গেল ‘মাহিদা ভিলা’য়! গেটের দারোয়ান পাল্টেছে! এখনের দারোয়ানটা তাকে চিনছে না! নিজের পরিচয় দেওয়ার পর চিনেছে! দারোয়ানের সাথে আলাপ করতে করতেই একটা মেয়েকে দেখল গেটে! মেয়েটাকে পরিচিত লাগছে অনেক! মস্তিষ্ক একটু হাত বুলাতেই মনে পড়ল মেয়েটা কে? জরি! যাকে মাদিহা ডাকতো অপ্সরী বলে!

‘অপ্সরী?’ মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলো আনিস!
‘আপনি আমার নাম জানলেন কি করে? আর আপু ছাড়া এই নামে সবাই ডাকেও না আমাকে!’ মেয়েটার মুখের ভাষা একদম স্পষ্ট! আগের মত উচ্চারনে সমস্যা হয় না! অবাকও হয়েছে অনেকটা!
‘আমাকে চিনলে না? মনে করে দেখো তো!’
‘উহু চিনলাম না!’ মাথা নাড়ালো অপ্সরী! একটু পর আবার তার চোখে আলোর ঝিলিক দেখা গেল! মনে করতে পেরেছে! ‘চিনেছি! আপনি রোবট ভাইয়া!’
‘হাহাহা! এইতো চিনেছো!’ আনিস হাসলো!

অপ্সরীর সাথে অনেকক্ষন কথা হল আনিসের! মোবারক সাহেবের মৃত্যুর কথা, মাদিহা কিভাবে তাকে এমন আধুনিকা বানিয়েছে সেটার কথা! আরো অনেক কথাই! শুধু দুইটা কথা জানতে পারে নি! মাদিহা এখন কোথায়! আর তার বিয়ে হয়েছে কিনা! জিজ্ঞেসও করতে পারছে না! অপ্সরী একটানা বক বক করেই যাচ্ছে! একটা সময় আনিস না পেরে মাদিহা এখন কোথায় আছে তা জিজ্ঞেস করেই বসলো! অপ্সরী জানানোর পর একমুহুর্তও দেরী না করে চলে গেল মাদিহার ঠিকানায়!

দ্বাদশ

অর্ধেক পথে গিয়ে থেমে গেল আনিস। এখন গিয়ে কী বলবে সে মাদিহাকে?
আটবছর আগে মেয়েটা তাকে অন্ধভাবে ভালবাসতো। তখন যদি সে সেটা ধরতে পারতো তাহলেই তো আজকের এই দিনটি তৈরি হত না। কিন্তু পারে নি।

আটবছরে অনেক কিছুই বদলে গেছে। সে নিজেও পাল্টেছে আগের থেকে। মাদিহাও তো পাল্টাবে। সময়টা তো অনেক বড় ছিল। মাদিহা তাকে এখনও ভালবাসে কিনা সেটাও জানেনা।
মনে একটা ক্ষীণ আশা আছে। কিন্তু সে যে মেয়েটাকে এত কষ্ট দিয়েছে, তারপরও তাকে কী করে ভালবাসবে মেয়েটা?

হয়তো বাসে এখনো ভালই, কিন্তু সমাজের গতির সাথে তাল মিলিয়ে তো তাকেও আগাতে হবে। এখন হয়তো বিবাহিতা সে অন্য কারও? অপ্সরীকে এইটা না জিজ্ঞেস করে ভালই করেছে। জিজ্ঞেস করলে একটা নির্দিষ্ট উত্তরই জানতো। এখন দুটোই জানে। তার যেভাবে ইচ্ছা সেইভাবে ভেবে নিতে পারবে। জানলে তো আর পারতো না। বিয়ে করে ফেললে, এখন তাকে গিয়ে পুরোনো কথা মনে করিয়ে দিলে - তারই কষ্ট বাড়বে। এটা আনিস চায় না। বিয়ে না করে থাকলেও তার সামনে যাওয়াটা উচিৎ হবে না। মাদিহা আনিসকে এখন বিস্মৃতির একটা মানুষই ভাবে। এতেও তার পুরোনো দুঃখটাই বাড়বে।

মাদিহার প্রতি ভালবাসা আনিসেরও আছে। হয়তো মাদিহার ভালবাসার শক্তির কাছে তারটা কিছুই না। যতটুকুই হোক, সে চায় না মাদিহাকে নতুন করে আবার কষ্ট দিতে।

আটটা বছর যেভাবে চলেছে, চলুক না সেভাবেই। এতদিন মাদিহা তার জন্য কষ্ট পেয়েছে, এখন কষ্ট পাওয়ার সময়টা তার।

ফিরে গেল আনিস।

*

অপেক্ষায় আছে এখনো মাদিহা। সে জানে, আনিসও তাকে ভালবাসে। কিন্তু ফিরবে না কখনোই। মানুষটাকে সে চিনে ভাল করেই। উপরে উপরে লোকটা যেমনই হোক, ভিতরের দিকটা অন্যরকম। মাদিহাকে আগে বুঝতে না পারাটাকে নিজের ব্যর্থতা হিসেবে মেনে নিবে। নিজের উপর দায় নিয়ে নিজেকেই কষ্ট দিয়ে রাখবে। তবুও ফিরবে না।

অপেক্ষা তার কখনো ফুরোবে না - জানে মাদিহা। মেনে নিয়েছে এই জীবনটাকেই। ভালবাসলে সবসময় তার সাথেই থাকা লাগবে এমন কিছুই নেই। তাকে শুধু ভালবাসলেই হবে। সাথে থাকুক বা না থাকুক। মাদিহা তা ই করে যাবে আজীবন - এটাই পণ করে রেখেছে। আগের কথা ভাবতে ভাবতে কাজল দেয়া চোখ থেকে পানি পড়ে কখন যে মুখটা কালো হয়ে গেল সেটাও টের পেল না।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

বনমহুয়া বলেছেন: অপেক্ষায় আছে এখনো মাদিহা। সে জানে, আনিসও তাকে ভালবাসে। কিন্তু ফিরবে না কখনোই।


কেমন শয়তানী আনিসের মনে দেখলেন? এই পোলার কপালে এই কারনেই ভালোবাসা জুটবেনা। ছেলেদের এত ইগো ভালো না। X((

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ইয়াল্লা!
শয়তানী আর ইগো - আনিসের সাথে?

আপনি মনেহয় মধ্যের অংশটূক পড়েনই নাই। ঐটা পড়ে দেখেন। তাহলেই ধরতে পারবেন কারণটা।

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

বনমহুয়া বলেছেন: অপেক্ষা তার কখনো ফুরোবে না - জানে মাদিহা। মেনে নিয়েছে এই জীবনটাকেই। ভালবাসলে সবসময় তার সাথেই থাকা লাগবে এমন কিছুই নেই। তাকে শুধু ভালবাসলেই হবে। সাথে থাকুক বা না থাকুক। মাদিহা তা ই করে যাবে আজীবন - এটাই পণ করে রেখেছে।


পুরাটাই গাধামী। সাথে না থেকে থেকে মনে রাখার জন্য কারো দায় পড়েছে?

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হতে পারে গাধামী, কোন দায়ই হয়ত নেই - কিন্তু তারপরও এইটা ঘটে। আপনার কেস স্টাডিতে পাবেন না হয়তো এইরকম কোন ঘটনাই। কিন্তু বাস্তবে এইরকমটা ঘটেই। অস্বাভাবিক না। মনে রাখেই অনেকেই। আই থিংক, দ্যাটস হোয়াট লাভ রিয়েলি ইজ।

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বনমহুয়া বলেছেন: সব পড়ছি। তবে সব ভালো যার শেষ ভালো তার। আনিসের মনে মনে শয়তানী সে ঐ শেষে গিয়েই তো বুঝলাম।


তবে গল্পটা ভালোই। শুধু ইমোশন আর একটু ঢালা লাগবে। আমি যেন আনিসের দুঃখে কান্দি। আমার চোখে পানি না ঝরা মানে আনিসের মনে শয়তানী ভাব প্রকট।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ইমোশন ইচ্ছা করেই ঢালি নাই। দেখি পাঠক কুলের কার মনে কী আছে। আমি মাঝে মাঝেই পাঠকের উপর পরীক্ষা চালাই - কিছু ডাটা লুকিয়ে। সেইটা পাঠকের বুঝার দায়িত্ব।

আপনার কাছে আনিস শয়তানী ভাবের কেউ মনে হল। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে না।

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১

বনমহুয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: হতে পারে গাধামী, কোন দায়ই হয়ত নেই - কিন্তু তারপরও এইটা ঘটে। আপনার কেস স্টাডিতে পাবেন না হয়তো এইরকম কোন ঘটনাই। কিন্তু বাস্তবে এইরকমটা ঘটেই। অস্বাভাবিক না। মনে রাখেই অনেকেই। আই থিংক, দ্যাটস হোয়াট লাভ রিয়েলি ইজ।


বলছে আপনারে?

আছেন সেই আদ্যিযুগে। আদ্যিকালের বদ্দিবুড়া দেবদাসের কালে। শুনেন আজকালকার বদ পোলা পাইন দুদিনও মনে রাখবেনা। :((

বাই দ্যা ওয়ে আনিস কোনকালের? একালের নাকি কালিদাসের কালের?

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনার যে কালের ইচ্ছা ঐ কালেই ধরে নেন।

কাল যেইটাই হোক, আমি যা আছি আমি ঐটাই থাকব। কালের কী হল না হল - আই ডোন্ট কেয়ার।

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

বনমহুয়া বলেছেন: ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০ ০
লেখক বলেছেন: ইমোশন ইচ্ছা করেই ঢালি নাই। দেখি পাঠক কুলের কার মনে কী আছে। আমি মাঝে মাঝেই পাঠকের উপর পরীক্ষা চালাই - কিছু ডাটা লুকিয়ে। সেইটা পাঠকের বুঝার দায়িত্ব।

আপনার কাছে আনিস শয়তানী ভাবের কেউ মনে হল। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে না।


বুঝছি আপনি নিজেই আনিস। যান মিয়া কালকেই মাদিহার বাড়ি যাবেন।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আমি ইরাম সিদাসাধা নামের কোন পাবলিক হইতেও পারি না। মাদিহাই বা ক্যাডা? আমি তো চিনিই না। বাড়িতে যাওয়া তো পরের কথা। :||

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বনমহুয়া বলেছেন: ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩ ০
লেখক বলেছেন: আপনার যে কালের ইচ্ছা ঐ কালেই ধরে নেন।

কাল যেইটাই হোক, আমি যা আছি আমি ঐটাই থাকব। কালের কী হল না হল - আই ডোন্ট কেয়ার।


হা হা খেপছেন।



১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪ ০
লেখক বলেছেন: আমি ইরাম সিদাসাধা নামের কোন পাবলিক হইতেও পারি না। মাদিহাই বা ক্যাডা? আমি তো চিনিই না। বাড়িতে যাওয়া তো পরের কথা। :||


ডাবল খেপা ।


না আমি এইবার চুপ যাই। :P

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: খেপি নাই তো। কাল-যুগ নিয়ে কোন মন্তব্য আমার কখনোই ভাল লাগে না। এটাতে আমার কাছে জোর করে কারো উপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয়ে যায়।

আর এই গল্পের শেষটা এই নিয়ে তিনবার লিখেছি। কোনবারই এইটার শেষ কারোরই পছন্দ হচ্ছে না। আর আমিও জানিনা এই রকম গল্পের শেষ কিভাবে ভাল হবে। হ্যাপি এন্ডিং আমি পছন্দ করি না। স্যাড এন্ডিং গল্পটা যাকে নিয়ে লেখা তার পছন্দ না।

তাই সব শেষে, বর্তমান অবস্থাই ঢুকিয়ে দিয়েছি। যার যেইটা ইচ্ছা মনে হউক, মানুষ দুইটার বাস্তব অবস্থাটাই ভাল ফিনিশিং। যদিও এই গল্পের শেষ নাই কোন। এইটা চলছেই।

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

প্রামানিক বলেছেন: আটবছরে অনেক কিছুই বদলে গেছে। সে নিজেও পাল্টেছে আগের থেকে। মাদিহাও তো পাল্টাবে। সময়টা তো অনেক বড় ছিল। মাদিহা তাকে এখনও ভালবাসে কিনা সেটাও জানেনা।
মনে একটা ক্ষীণ আশা আছে। কিন্তু সে যে মেয়েটাকে এত কষ্ট দিয়েছে, তারপরও তাকে কী করে ভালবাসবে মেয়েটা?


চমৎকার লেখা। ভাল লাগল। ধন্যবাদ

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাই যে পড়ছেন ঐটাই তো বেশি। আর কিছু লাগে নাকি!! :D

থাংকু।

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

বনমহুয়া বলেছেন: হা হা প্রামানিকভাই চমৎকার বলছে। আনন্দিত হন। আমি চমৎকার বললাম না। মানে পুরাটা না এন্ডিংটা। পুরাটা ভালোই হইসে। আপনার সবচেয়ে ভালো লেখা ছিলো খুন করে ফেলানোটা। ডায়েরী পড়ে ভুল বুঝে খুন করে যে প্রেমিকরে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হ - পুরা নরম একটা গল্পে খুনাখুনি ঢুকাই তো। খাইয়া দাইয়া কাজ নাই আমার।

খাড়ান, খুনাখুনির কিছু লিখুম নে আপনের লাইগা। ভালা হইতো আপনেরে খুন করার কোন সুযোগ পাইলে। আফনে আমার আইডেনটিটি পাইয়ালছেনে। আপনেরে মারাই লাগব।

৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২

বনমহুয়া বলেছেন: ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১ ০
লেখক বলেছেন: হ - পুরা নরম একটা গল্পে খুনাখুনি ঢুকাই তো। খাইয়া দাইয়া কাজ নাই আমার।

খাড়ান, খুনাখুনির কিছু লিখুম নে আপনের লাইগা। ভালা হইতো আপনেরে খুন করার কোন সুযোগ পাইলে। আফনে আমার আইডেনটিটি পাইয়ালছেনে। আপনেরে মারাই লাগব।


হা হা আমার আডেন্টিটি পাইলে আমার থেকে পলাইবেন। মেন্টাল রোগী না বানাইলেও সিরিয়াল কিলার হিসাবে মানষিক রোগের একখান সার্টিফিকেট ধরায় দিতে পারবো। :P

আপনার এই মনের ইচ্ছা সাহসী সন্তান বা চোখের কান্টা জানতে পাইলে আপনারে হেল্প করতে সবার আগে তারা দুইজন এক নাম্বার আর দুই নাম্বার হেল্পার হইবেন। তাদেরও আমারে খুন করার ইচ্ছা বহুৎ আগে থিকা। বিশ্বাস না হয় জিগায়া দেখেন।


কারণ কি জানতে চাইয়েন না। আমি সার্টিফিকেট ফেরৎ নিমু না। =p~

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আইডেন্টিটিটা খালি দিয়ালাইন... পরে দেখবাইন আপনের সার্টিফিকেট দিয়া আমি কী কাম করি :-B

সাস ভাই আর কান্টা ভাউগরেও ডাকেন এইনে...

১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২০

বনমহুয়া বলেছেন: আমি তাদেরকে ডাকলে আসবেনা। :(
আপনে ডাকেন । আমি যেদিকে যাই তারা সেই পথই আর মাড়ায় না।

রক্তিমভাই আজকে নাকি পুরুষ দিবস। সাবধানে থাইকেন।


=p~

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: খাইছে!!! এরলিগাই তো আমার সাথে তাহাদের কোন যোগাযোগই হয় নাই। /:)

পুরুষ দিবস হইছে তো কী হইছে? সাবধানে না থাকলে কে কী করবো? B:-/

১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৫

বনমহুয়া বলেছেন: Click This Link


কি হইসে এই দেখেন। ছবিটা খেয়াল কইরা। =p~

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ছবি দেইখা ডরাই নাকি?

মাঝখানে দুই=আড়াইশো মাইলের ব্যবধান আছে। আমি নিরাপদ একদম।

আপনের হাতে কে পইড়া ধ্বংস হইবো আজকে ঐডাই ভাবতেছি B-)) :-B

১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩২

বনমহুয়া বলেছেন: :( :((

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আজকে তো উচিৎ আপনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে ঐ অসহায় লোকটার আন্দোলনে নামা। নামতেও চাইছিল মনে হয়। নিশ্চয়ই বাঁইধা আজকের জন্য গুম কইরা রাখছেন লোকটারে।

কই রাখছেন কন? আজকে সবার মুক্ত থাকার দিবস।

:-B :-B

১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

বনমহুয়া বলেছেন: :(

কেবলই দেখলাম একজন আমারে ব্লক করে দিসে। যান আমি আর আসবই না।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হাছা কথা বাইর হইয়া যাইতাছিল।। :-B

আফা সাইডে চাপেন ক্যারে? আহেন ঐ পোলাডারে লইয়া আরো ডিসকাস করি। বাঁধছেন ক্যামনে কন?
রশি দিয়া নাকি স্কচটেপ দিয়া?

১৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মনের মধ্যে কোন কথা পুষে রাখতে নেই।

আহারে বেচারা আনিস :`>

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আসলে আপু মাঝে মাঝে অবস্থা এমন হয়ে যায় যে, যাই করা হোক না কেন - ঐ মুহুর্তের জন্য সেটাই ভুল। আনিসের ক্ষেত্রেও সেটাই হল।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য আপু :)

১৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: অসাধারণ লেগেছে। কিছুটা আবেগপবনও হয়ে গিয়েছিলাম, বিশেষ করে চিঠির অংশটায়। মনে মনে চাচ্ছিলাম যেন হ্যাপি এন্ডিং হয়। তবে এটা সত্য, হ্যাপি এন্ডিং হলে লেখার মানটা একটু ক্ষুন্ন হতো (আমার ব্যক্তিগত ধারণা)। আপনার এই গল্পটাও কোন বিরতী ছাড়া একটানা পড়েছি। বড় বলে মনেই হয় নি। পাঠককে গল্পের ভেতরে নিয়ে যাওয়া আর পড়ানোতে আটকে রাখার ক্ষমতাটা আপনার অত্যধিক। হ্যাটস অফ।

আরেকটা কথা , আপনার লেখার ফ্যান হয়ে গেলাম।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এতটা সময় নিয়ে যে আমার লেখা পড়বেন সেটা সত্যিই ভাবতে পারিনি। ধন্যবাদ ভাই - কষ্ট করে পড়ার জন্য।

হ্যাপি এন্ডিং তো এই ক্ষেত্রে বাস্তবতা বর্জিত। গল্পও তো বাস্তবতার সাথে কল্পনার মিশেল। সেখানে কাল্পনিক ভাবে শেষটা মানাও যায় না। যতই সবকিছু নতুন হয়ে যাক, বাস্তবতা এখনো রয়েছে সেই আগের মতই। সেটাকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

আপনাকে কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। :)

১৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: প্রথম দুটো পর্বের মত এটা ভাল হয় নাই| আগের দুটো অসাধারণ ছিল| শেষ খুব তাড়াতাড়ি করে দিয়েছেন বুঝতেই পারছি| যদি আগের দুটো পর্বের মত বড়ও হত, কোন প্রবলেম ছিল না

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: গল্পটার পুরোটা অনেক আগেই লিখেছিলাম। কিন্তু কিছু কারণে শেষটা ঠিক হচ্ছিল না। এইটা প্রায় এক সপ্তাহ ভেবে লিখেছিলাম।
ব্লগে পোষ্ট করার আগে নতুন করে ফিনিশিং দেই। আর ঐটাতে সময়ও বেশি দেই নাই। অল্পতেই শেষ করে দিয়েছি।
ঠিকঠাক ধরে ফেলেছেন।

আর ইদানিং অনুবাদের দিকে ঝুকায় নিজের লেখা একটু দমেও গেছে।

আপনার মন্তব্যের আশায় ছিলাম সেই কবে থেইকা! যাই পাইলাম শেষমেশ।

১৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৯

আমি মাধবীলতা বলেছেন: সবগুলো পর্বই পড়লাম । দারুণ লাগলো । হ্যাপি এন্ডিং দিলেন না কেন ?! আরেকটা পর্ব লিখেন যেখানে থাকবে এন্ড দে লিভড হ্যাপিলি এভার আফটার !!!

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ এত বড় লেখাটা পড়ার জন্য। :)
আসলে হ্যাপি এন্ডিং এই তো আছে এইটা। শুধু বাস্তবের সাথে মিশে আর কী!

১৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

আমি মাধবীলতা বলেছেন: :( :(

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আমি আসলে এমন লেখিই না। হ্যাপি এন্ডিং না আসার এইটাও একটা বড় কারণ।

তবে হ্যাপি এন্ডিংওয়ালা কিছু একটা লেখার ইচ্ছা আছে। আশা করি সময় পেলেই ঐটা প্রকাশ করতে পারবো। :)

১৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

আমি মাধবীলতা বলেছেন: আপনার সৃষ্টি আপনার ভাবনার স্বকীয়তা বহন করবে অবশ্যই ! আর নিজস্বতার জন্যেই তো লেখাটি আপনার ! সুতরাং আপনার মতো করেই লিখুন ।
আর গল্পটা ভীষণ ভালো লেগেছে বলে এতগুলো কথা বলে ফেললাম । কিছু মনে করবেন না প্লিজ ! :|

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আরে নাহ!! গল্প তো লিখাই হয় অন্যান্যদের মন্তব্য শোনার জন্য। যার মন্তব্যে যত কথা - সেই মন্তব্যই যথা তথা আমি এইটাতে বিশ্বাসী।

বরং কথা বেশি হওয়াতেই আমি বেশি খুশি!!! মনে করার কিছুই নেই। শুধু 'ভাল হয়েছে' বলে চলে গেলে অবশ্য মনে করতাম!!! :-B ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.