নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় বলার মত কিছু এখনো করতে পারি নি। তাই ঘরটা ফাঁকাই। পরিচয় অর্জন করতে পারলে আমি যোগ করে দিব।

রক্তিম দিগন্ত

Life is all about a thrill.

রক্তিম দিগন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিউ ল্যাং ও ঝি নু (প্রাচীন চীনের প্রেমময় রূপকথা)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৪

এটি প্রায় দুই হাজার বছর আগের ঘটনা। ধারণা করা হয় খ্রিঃপূঃ ৬ সালের।



নিউ ল্যাং ও ঝি নু দুইজনেই ছিল আকাশের দুই তারা। নিউ ল্যাং ছিল অলটায়ার ও ঝি নু ভেগা। তারা দুইজনে একে অপরকে গভীর ভাবে ভালবাসতো। অবশ্য প্রেমে পড়া ও ভালবাসা সবই নিষিদ্ধ ছিল স্বর্গের সম্রাজ্ঞী কর্তৃক। ঝি নু ছিল স্বর্গের সম্রাজ্ঞীর সাত নাতনীর মাঝে সবচেয়ে ছোটজন।

একদিন সম্রাজ্ঞী জানতে পারে তাদের প্রেমের কথা। জেনে খুব রাগান্বিত হয় ও ঠিক করে তাদেরকে আলাদা করে দিবে।

নিউ ল্যাংকে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করা হয় এবং পৃথিবীতে রাখাল বালক হিসেবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঝি নুকে পাঠানো হয় মেঘ বুননের জন্য। আকাশের অপরূপ মেঘগুলো ঝি নুই বুনতো।

যদিও মেঘ বুননে ঝি নু আনন্দই পেত, কিন্তু তার ভালবাসার থেকে দূরে থাকার কষ্টও পেত। চোখ দিয়ে সবসময়ই অশ্রু ঝড়তো। অনেক চেষ্টা করেও সে তার একাকীত্ব দূর করার কোন উপায় পেল না। কাজের মাঝে পুরোপুরি হারিয়ে গেল। আর আশা করতে লাগলো, একদিন হয়তো নিউ ল্যাং স্বর্গে ফিরে আসতে পারবে।

তাদের আলাদা হওয়ার অনেক বছর পর একদিন, স্বর্গের সম্রাজ্ঞীর নাতনীরা পৃথিবীর পদ্মবাগানে স্নান করার অনুমতি চাইলো। সম্রাজ্ঞীও ঐদিন বেশ ভাল মেজাজে ছিল, তাই তাদের অনুমতি দিল। স্বর্গ থেকে যাওয়ার সময় মেঘ বুননে ব্যস্ত থাকা ঝি নুকে দেখলো তারা। বেচারীর জন্য মায়া হল তাদের। তাকেও তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি চাইলো। সম্রাজ্ঞীও দেখছে তার এই নাতনীটা আগের মত নেই, তার থেকেও অনেক দূরে দূরে থাকে - সব ভেবে ঝি নুকেও অন্যদের সাথে পদ্মবাগানে যাওয়ার অনুমতি দিল।

পৃথিবীতে নিউ ল্যাং এর জীবনটা খুব একটা আনন্দের ছিল। গরীব বাবা-মায়ের সন্তান হিসেবে বড় হয়। খুব কষ্টই করতে হয়েছে, সেটা আরো কষ্টকর হয়েছে যখন তার বাবা-মা মারা যায়। তাকে থাকার জন্য যেতে হয় বড় ভাইয়ের কাছে। বড় ভাই তার সাথে অনেক বাজেভাবে আচরণ করে, তার সমস্ত সম্পদও কেড়ে নেয়। তাকে নিজেরটা নিজে অর্জন করে থাকার জন্য বাড়ি থেকে বেরও করে দেয় একটা সময়। সাথে দেয় একটা ষাঁড় ও একটি ঠ্যালাগাড়ি।

ষাঁড়টা এবং নিউ ল্যাং - বেঁচে থাকার জন্য একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়। তারা মিলে একটা ছোট কুড়ে ঘর তৈরি করে এবং একাকী সেখানেই থাকে। যতটুক ভালভাবে সম্ভব বেঁচে থাকার চেষ্টা করছিল তারা। ঐ ঘরটাতে থেকেই অনেকগুলো বছর পার করলো। একদিন নিউ ল্যাং এর ষাঁড়টা কথা বলে উঠলো।

'আজকে তুমি পদ্মবাগানে যাবে। সেখানে দেখবে অনেকগুলো পরী স্নান করছে। তুমি লাল পোশাকটি খুঁজে বের করে চুরি করে এনে লুকিয়ে রাখবে।'

নিউ ল্যাং জিজ্ঞেস করলো কেন তাকে চুরি করতে হবে। ষাঁড়টি বলল, 'ঐ লাল পোশাকটি এমন একজনের পোশাক যে তোমার বধূ হবে।'

নিউ ল্যাং পদ্ম বাগানে যায়, এবং ঘাসের মাঝে পোষাকটি লুকিয়ে রেখে অপেক্ষা করতে থাকে। ষাঁড়টি যেভাবে বলেছে, সেই অনুযায়ী - পরীরা স্বর্গ থেকে এসেছে এবং তারা পানির প্রবাহেই স্নান করবে। নিউ ল্যাং বেশ উদ্বিগ্ন ছিল। যদিও সে ষাঁড়টির নির্দেশনামতই কাজ করেছে। কিন্তু পানির প্রবাহ যেদিকে সে লাল পোশাকটি নিয়ে সেদিকে লুকিয়ে ছিল। আরো একবার ভালভাবে লুকানোর চেষ্টা করলো কিন্তু পরীরা তাকে দেখে ফেলল এবং স্বর্গে ফিরে যাওয়ার জন্য পোশাক পরে নিল। শুধু একটা পরীই বাকি ছিল, কারণ নিউ ল্যাং আগেই তার পোশাক লুকিয়ে রেখেছিল। ঝি নুরটা। নিউ ল্যাং ঝিনুকে বলল, সে তার পোশাক ফিরিয়ে দিবে যদি ঝি নু তার বধূ হবে - এই কথা দেয়।

ঝি নু শুনে বেশ অবাক হল। সে তার বন্দীকারীকে ভালভাবে দেখে নিল কারণ সে নিশ্চিত ছিল বন্দীকারীটি তার পরিচিত। তার কাছে অবিশ্বাস্য লাগছিল, কিন্তু সে চিনতে পারলো এটাই তার হারিয়ে যাওয়া ভালবাসা, নিউ ল্যাং।

তারা বিয়ে করলো এবং সুখে শান্তিতেই ঐ ছোট ঘরটাতে তাদের দুই সন্তান নিয়ে বাস করতে লাগলো। ঝি নু কাপড় বুনতো আর নিউ ল্যাং জমিতে তার বিশ্বস্ত ষাঁড়ের সাথে মিলে চাষাবাদ করতো। এভাবেই চলছিল। একদিন নিউ ল্যাং মাঠ থেকে ফিরে এসে শুনলো তার ষাঁড়টি মারা গেছে। মরার পূর্বে ষাঁড়টি নিউ ল্যাংকে বলেছিল, 'আমি মারা যাওয়ার পর আমার চামড়া দিয়ে একটি চাঁদর বানাবে। এই চাঁদরটা তোমাকে উড়ার ও ঝি নুর কাছে পৌছানোর জন্য লাগবে।'

তখন নিউ ল্যাং বুঝতে পারলো যে, তার বিশ্বস্ত ষাঁড়টিও আগে স্বর্গের আকাশেরই এক তারা ছিল। নাম ছিল টারাওস। বহু বছর আগেও তারা খুব কাছের বন্ধু ছিল। টারাওসই দেবী সম্রাজ্ঞীকে অনুরোধ করেছিল নিউ ল্যাংকে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত না করার। এতে সম্রাজ্ঞী রেগে যায়, তাই তাকেও ষাঁড়ে পরিণত করে এবং স্বর্গ থেকে বের করে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেয়। পৃথিবীতে এসেও টারাওস তার বন্ধুর প্রতি নজর রাখে। এখন সে মৃত, এবং নিউ ল্যাং কে নির্দেশনা দিয়ে গেছে তার চামড়া দিয়ে চাঁদর বানানোর জন্য। নিউ ল্যাং তার পুরোনো বন্ধুর নির্দেশনা মতই কাজ করে।

পরদিন সম্রাজ্ঞীর নির্দেশে এক দমকা হাওয়া আসে ঝি নু ও তার সন্তানদের আকাশে স্বর্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বন্ধুর কথা স্মরণে রেখে, নিউ ল্যাং চাঁদরটায় চড়ে বসে ও ভাসতে ভাসতে তার ভালবাসা ও সন্তানদের ধরার চেষ্টা করলো। কিন্তু তার আগেই সম্রাজ্ঞী তার সোনালী চুলের পিনটা খুলে আনলো এবং এক ঘায়েই স্বর্গের মাঝে নদী তৈরি করলো যেটা ঝি নু ও নিউ ল্যাংকে পুরোপুরি আলাদা করে ফেলল। ঐ সময়টায় তারা দুইজনই চিৎকার করে তাদের ভালবাসার জন্য কাঁদছিল। সম্রাজ্ঞী তাদের ভালবাসা দেখে একটু নড়ে গেল - তাই সে নিউ ল্যাংকে স্বর্গে থাকার অনুমতি দিল। কিন্তু সে তার বধু ও সন্তানদের সাথে থাকতে পারবে না।

বছরে শুধু একদিনই দেখা করতে পারবে তারা। দিনটি চন্দ্রের সপ্তম মাসের সপ্তম দিন। এভাবেই নিউ ল্যাং - ঝি নু ও তার সন্তানদের সাথে পুনর্মিলিত হল। ম্যাগপাইয়ের একটি দল ভেগা ও অলটায়ার দুইটি তারার মাঝে একটি ব্রীজ তৈরি করে ঐদিন। যেটা দিয়ে নিউ ল্যাং নদী পার হয় এবং তার ভালবাসার মানুষের সাথে এক হয়। এই ব্রীজটি রাতের আকাশে দেখা যায়।


জাপানী চিত্রকর Tsukioka Yoshitoshi এর আঁকা নিউ ল্যাং ও ঝি নু র একটি ছবি।


ম্যাগপাই হল কাক গোষ্ঠীর একজাতের পাখি। এরা খুবই বুদ্ধিসম্পন্ন পাখি।

ম্যাগপাই


ম্যাগপাইয়ের সেই ব্রীজ


এই রূপকথা নিয়ে আসলে অনেক রকমের লেখাই প্রচলিত আছে। অনেকটা ঘেটে আমি আমার মত করে লিখলাম। অনেকেই আগে পড়েছেন হয়তো। এটা চীনের শ্রেষ্ঠ প্রেমময় রূপকথার মাঝে অন্যতম একটি।
খ্রিস্টীয় ক্যালেন্ডারে একেক জায়গায় একেক সময় ধরা হয়। তবে জুলাইয়ের সাত তারিখটাই বেশি প্রচলিত। ঐদিন আবার চীনের ভ্যালেন্টাইন'স ডেও।
এই দিনটাকে বলা হয় ম্যাগপাই ডে অথবা ডাবল সেভেনথ ডে বা ইভিনিং অফ সেভেনথ বা কি জি (Qi Xi)

ঐদিন চীনের মেয়েরা ভালোবাসার উদ্দেশ্যে আকাশের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকে বলেও শোনা যায়। :P

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৩

উর্বি বলেছেন: ভালো লাগল

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২২

ধমনী বলেছেন: ঐদিন চীনের মেয়েরা ভালোবাসার উদ্দেশ্যে আকাশের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকে বলেও শোনা যায়।
- অদ্ভূত!!
গল্প ভালো লেগেছে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ঐদিন আরো অনেক কিছুই করে। ঐদিন বৃষ্টি পড়লে চীনারা ধরে নেয় নিউল্যাং আর ঝি নু কাঁদছে।
আবার বৃষ্টি হচ্ছে বলে ঐদিন ম্যাগপাইরা ব্রীজ বানাতে পারবে না, পরের বছর দেখা হবে।

বলতে গেলে উৎসবের সাথে প্রাচীন সংস্কার কিছু ঢুকিয়ে তারা আরো অন্য রকম বানিয়ে ফেলেছেন। জাপানেও তানামাতা নামে এই উৎসবটি হয়।

গল্পটা দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় আগের। ভাল লাগার মতই। ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৫

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: Nice post.

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: :) ধন্যবাদ

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২৪

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: পুরাই ভালোবাসাময় কাহিনী ।আগে এইরকম গল্প নিয়ে কার্টুন হইতো । এখন হয় কিনা জানি না ! :)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কার্টুন আছে কিনা জানিনা - আমি দেখি নাই।

তবে বছরে একদিনই ভালবাসার জন্য কাছে পাবে - এইটা সত্যিই বেশ রোমাঞ্চকর এক ঘটনা। :)

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভালোলাগছিলো পড়তে। নিজের মত করে ভালোই লিখছেন ভাই।

শুভকামনা রইলো। :)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাই, নেটে এইটা দেখলাম। একেক সাইটে একেক রকম। এমন কী নামও পর্যন্ত বদলে রেখেছে। খুঁজতে খুঁজতে অনেক পরে কিছু তথ্য নিয়ে নিজেই লেখা শুরু করলাম।

ধন্যবাদ। :)

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগলো পড়তে যদিও একে অপরের ভালোবাসায় অনেক বাঁধা রয়ে গেছে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ! :)

ভালবাসা তো আপু এই রূপকথার জন্যই। যত বাঁধাই থাকুক রূপক কিছু এসেই যাবে।

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


চমৎকার পোষ্ট। +++

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ! :)

৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

আরজু পনি বলেছেন:

আপনি আপনার মতো করে লিখেছেন...এই কথাতেই বেশি খুশি হলাম ।
কারণ রুপকথাগুলো গ্রহণযোগ্যতা পায় বেশি মূলত সুন্দর উপস্থাপনের কারণেই । এভাবেই রুপান্তরকারী বা অনুবাদকদের হাতে বিদেশী রুপকথারা বেঁচে থাকে ।

ছবি দিয়েছেন শেষের দিকে, কিন্তু এই মূহুর্তে তা বক্স আকারে দেখা যাচ্ছে...আশা করি পরে ছবিগুলো দেখতে পাবো ।

আশা করছি সামনেও অরো রুপকথা পাবো ।
শুভকামনা রইল ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনার নেটের সমস্যা আছে। শেষের দিকে ছবিগুলো একটি ম্যাগাপাইয়ের ছিল। :)

আরো পাবেন আশা করা যায় - ইদানিং চাইনীজ আদি আমলের লেখা পড়ার ভূত চাপছে মাথায়। রূপকথা আরো লিখেই সময় কাঁটাতে পারি। :D

ধন্যবাদ :)

৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: গল্পটা ভালই লেগেছে। ;) তবে কথা একখান হইলো, কেমন যেন ট্রান্সলেশন ট্রান্সলেশন ভাব পাইসি।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এইটা আসলে প্রথমে সাজাইছিলাম ইংরেজীতে। ঘাইটা ঘাইটা যেই এই একদুইটা কইরা লাইন পাইছি - তা ই। পরে ঐটা থেকে বাংলা করছি। অনুবাদ অনুবাদ লাগার এইটা একটা কারণ।

আর চর্চা কম তো, রেফারেন্স থেকে লিখলে রেফারেন্সের ছাপটা একটু হলেও থেকে যায়।

১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ছোটবেলায় চিনা রুপকথা পড়েছি অনেক। অনেকদিন পর সেই সময়ের কথা মনে পড়লো।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: চীনের রূপকথাগুলো পড়তে ভালই লাগে। আলাদা জিনিস এইগুলো।

১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার ! :)


চীনের রূপকথার বইটা কি হার্ড কপি ?

কোন পিডিএফ লিংক দেওয়া যাবে ?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হার্ড কপি পাওয়া যায় তবে চাইনিজ ভাষায়। পিডিএফও তাই।
সত্যি কথা বলতে গল্পগুলো ভালভাবে দেওয়াও নেই। গল্পের সারাংশ আকারে দিয়ে রেখেছে। তবে বেশি ঘাটলে পেলে পেতেও পারেন। :)

view this link

view this link

view this link

view this link

view this link

view this link

view this link

তবে এই লিঙ্কগুলোতে দেখতে পারেন। :)

১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

শায়মা বলেছেন: রুপকথা আমার অনেক প্রিয়। আমি এখনও আমার বেবিদেরকে রোজ রোজ পড়ে শুনাই।ছোট্টবেলায় লিটল মারমেইড ছিলো আমার সবচেয়ে প্রিয় রুপকথা। মারমেইড বা মৎস্যকন্যার জন্য কেঁদে কেঁদে আমি মরেই যেতাম । কি যে কষ্ট হয়েছিলো যার জন্য সে তার বাড়ি, ঘর, বাবা, মা, তার বাসস্থান ছেড়ে সে চিরদিনের জন্য চলে এসেছিলো সেই কখনও বুঝলোনা তার দুঃখ বা ভালোবাসার গভীরতা।


পরে বড় হবার পর আমি নিজেই যখন মারমেইড হয়ে গেলাম তখন .......:(


আমার বলার কিছু ছিলো না ......
চেয়ে চেয়ে দেখলাম ......

ভাইয়া তোমার ভেতরে লেখক সত্বার অপার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

অনেক অনেক ভালোবাসা তোমার জন্য।:)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপু আপনার মন্তব্যটা অনেক অনেক অনেক বেশি ভাল লাগলো। :)

রূপকথায় আলাদা মজা আছে। নিমিষেই যে কাউকে বাচ্চা ও পরিস্ফূট মনের একজন হিসেবে বানিয়ে ফেলে।

আপনার মন্তব্যটা আপু অনেক সাহস যোগালো। আপনার প্রতিও রইলো অনেক অনেক ভালবাসা। :)
[আসলে মন্তব্য করার ভাষাই হারিয়ে ফেলেছি। কী বলব মাথায়ই আসছিল না।]

১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: নিজের মত করে ভালই লিখেছেন।

রুপকথা আমার খুব পছন্দের। ভাবছি আপনার মত করে ভাবানুবাদ শুরু করে দিব কিনা :)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শুরু করে দিন। এটা করলে অনেক কিছু জানাও হয় সাথে সাথে লেখালেখির অভ্যাসটাও থাকে। একই সাথে দুই লাভ। কে ছাড়তে চায় বলুন?
শুরু করে দিন। :)

ধন্যবাদ আপু পড়ার জন্য। আপনি আমার নিয়মিত পাঠকদের মাঝে অন্যতম। :)

১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

নীলসাধু বলেছেন: প্রাচীন চীনের প্রেমময় রূপকথা ভাল লেগেছে। সঙ্গে তথ্য।
রুপকথা পড়া মানেই আনন্দ সময় পার করা।

ভাল থাকবেন।
নিরন্তর শুভকামনা।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: তথ্য আসলে এটা নিয়ে আরো আছে। পোষ্টে যুক্ত করিনি।
ভাল লেগেছে শুনে ভাল লাগলো। ইনশাল্লাহ! প্রাচীন চীনের আরো কিছু রূপকথা নিয়ে আপনাদের জানাতে পারবো। :)
শুভকামনা।

১৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমার ছেলে অনেক গল্পের বই পড়ে। সে আমাকে স্কুলে যেতে আসতে তার বইয়ের অনেক রকম গল্প শুনায়।কিছু বাস্তব গল্পও শুনায় ইতিহাসের বই থেকে যা আমি জানিনা, বিভিন্ন দেশের ইতিহাস।
ভাবছি মাঝে মাঝে লিখব।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: নেট ঘাটাঘাটি করে শুরু করে দিন আপু। লেখাটা পড়ার চেয়েও বেশি আনন্দায়ক। এতে আপনি নিজে জানার পাশাপাশি অন্যকেও জানানোর মজাটা পাবেন। :)

১৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব সুন্দর শেয়ার| রুপকথা পড়তে খুব ভাল লাগে, এটাও লেগেছে

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: রাখাল ভাই, ছোট মন্তব্যে মনক্ষুণ্ণ হইলাম। আরো কিছু কইবেন আশা করছিলাম। :(

১৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

শায়মা বলেছেন: ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮ ০
লেখক বলেছেন: আপু আপনার মন্তব্যটা অনেক অনেক অনেক বেশি ভাল লাগলো। :)

রূপকথায় আলাদা মজা আছে। নিমিষেই যে কাউকে বাচ্চা ও পরিস্ফূট মনের একজন হিসেবে বানিয়ে ফেলে।

আপনার মন্তব্যটা আপু অনেক সাহস যোগালো। আপনার প্রতিও রইলো অনেক অনেক ভালবাসা। :)
[আসলে মন্তব্য করার ভাষাই হারিয়ে ফেলেছি। কী বলব মাথায়ই আসছিল না।]



:P :P :P


ওকে ওকে একটু ফ্রি হয়ে নেই। আমিও লিখবোনে একখানা স্বরচিত রুপকথা।:)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পরে বড় হবার পর আমি নিজেই যখন মারমেইড হয়ে গেলাম তখন .......

আপু এই বাক্যটা কিন্তু আপনার স্বরচিত রূপকথার গল্প পড়ার ক্ষেত্রেই আগ্রহ জাগিয়েছে। আমি পাগল হয়ে আবদার করার আগে লিখে ফেলুন। নইলে রূপকথার দানবের মতই ঘাড়ে চেপে বসব জানার জন্য। /:)

:-B :-B :P

১৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :) :) কি আর কহিব বৎস, এবারে একখান সাসপেন্সওয়ালা গল্প লিখিয়া ফেলেন| ঐটা আপনার হাতে মধুর মত হয়

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: সাসপেন্সওয়ালা এক উপন্যাসের মাঝামাঝি গিয়ে আঁটকায়া আছি। এই নিয়ে দুইটাতে আঁটকায়া গেছি মাঝে গিয়ে। এইজন্যই তো রূপকথা ধরছি। জট ছুটলেই ইনশাল্লাহ্‌ পায়া যাবেন। :) ;)

১৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: রুপকথায় ভাললাগা।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: রূপকথায় ধন্যবাদ। :)

২০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৫

প্রামানিক বলেছেন: রূপকথার গল্প পড়ে ভাল লাগল। আগে তো রুপ কথার গল্প শোনার জন্য সারারাত বসে থাকতাম। গল্পটা আপনার মত করে লিখেছেন জেনে আরো খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। এই গল্পটা যে এত মানুষের ভাল লাগবে সেইটা বুঝিই নাই। ধন্যবাদ আবারো। :)

২১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: গল্পের কাহিনী খুব সুন্দর লাগলো। মানুষ ২ বছর আগের কথা স্মরণ রাখতে পারে না বা রাখেনা আর আপনি গল্পের মাধ্যমে ২শত বছরের পূর্বের কথা তুলে ধরলেন। লেখার অভ্যাশ আছে মনে হয়।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: দুইশত না ভাই, দুই হাজার বছরেরও আগের গল্প।

লেখালেখির অভ্যাস কিছুটা আছে।
তবে এই গল্পটা দুই হাজার বছর আগেরই তৈরি করা। আমি শুধু সেটাই আমাদের উপযোগী করে লিখেছি।

ধন্যবাদ। :)

২২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১২

হোয়াইট টাইগার বলেছেন: খুব ভালো লাগল

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য :)

২৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার রূপকথার গল্পটি । ছোট বেলায় রূপকথার গল্প শুনতে খুব লাগতো , বড়ো হতে হতে সবকিছুতেই ফ্যাক্ট খুঁজে বেড়াই । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ছোট বেলার রূপকথার আনন্দ দেয়ার জন্য ।

অনেক ভালো থাকবেন ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ছোট বেলায় রূপকথার গল্প শুনতে খুব লাগতো , বড়ো হতে হতে সবকিছুতেই ফ্যাক্ট খুঁজে বেড়াই ।

কথাটি ধ্রুব সত্য। আসলেই ছোট বেলার আনন্দ এখন নেই।

ধন্যবাদ আপনাকেও পড়ার জন্য। :)

২৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: রুপকথা ভালো লেগেছে :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬

মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ ইমন বলেছেন: অ্যামেজিং :-)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: চায়নার জিনিস তো। সবসময়ই অ্যামেজিং। B-)

ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য। :)

২৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৮

সুলতানা রহমান বলেছেন: রূপকথা ভালো লাগছিলো পড়তে। শুভকামনা

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ আপু :)

২৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬

কিরমানী লিটন বলেছেন: ভিন্ন স্বাদের অসাধারণ ভালোলাগার লিখনি-অনেক অভিবাদন প্রিয় রক্তিম দিগন্ত,শুভকামনা অ নে কে ...

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই :)

আপনি দেরিতে পড়লেন মনে হয় এইটা। দুইদিন আপনাকে পাইও নাই।

২৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৮

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

২৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪০

কিরমানী লিটন বলেছেন: আসলেই দুইদিন কমই এসেছি ব্লগে-একটু বেশীই দৌড়ের উপর ছিলাম,এখনও আছি তবে কিছুটা...
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ...

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আমিও দৌড়ের উপর আছিরে ভাই। খুব বেশি সময় দিতে পারতেছিনা। :(

শুভকামনা :)

৩০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: :):):)রূপকথা…………B):(:D

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: অনেকগুলো ইমোটিকনের মাঝে একটা মন খারাপ করা ইমোটিকন দৃষ্টি আকর্ষণ করলো।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ রইলো। :)

৩১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: এই চাইনিজরা গল্প বানাতে কারো চেয়ে কম ছিলো না । রোমান্টিকও যথেস্ট ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এইটা ঠিক কইছেন। চাইনীজরা বড়ই রোমান্টিক জাতি কিন্তু। :P
তাদের বাকি লেখাগুলোও অনেক প্রেমময়। :)

৩২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্টে অসংখ্য +

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

৩৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: আরো একটি চাইনিজ রূপকথা পড়লাম। ছোটোবেলায় রূপকথা বেশ পছন্দ করতাম। বিশেষকরে ঠাকুরমার ঝুলিসহ আরো হরেক রকমের রূপকথা শোনা হতো। নাম মনে পড়ছেনা। বেশীরভাগই রাত্রিবেলা ঘুমের সময় আম্মু অথবা মাঝে মাঝে দাদু শোনাতো। না হলে ঘুমাতাম না। হা হা হা। এতোদিন পর এসে আবার নতুনভাবে ভিন্নরূপে যে রূপকথা পড়ার স্বাদ পাবো কখনও ভাবিনি। তাও আবার চাইনিজ রূপকথা! ভালো লাগলো খুব। :)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ঠাকুরমার ঝুলি অনেক আগে পড়েছিলাম। যাই বলেন - ভূত-পেত্নীর গল্পগুলো পড়ার একটু-আধটু ভয়ও লাগতো।

হঠাৎ করেই মনে হল একটু-আধটু আমিও শোনাই রূপকথার গাল-গপ্প!

এইটা শুনেছিলাম অনেক আগেই। ভাবলাম, এটা নিয়েই লিখি। :)

ধন্যবাদ আপনাকে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.