নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় বলার মত কিছু এখনো করতে পারি নি। তাই ঘরটা ফাঁকাই। পরিচয় অর্জন করতে পারলে আমি যোগ করে দিব।

রক্তিম দিগন্ত

Life is all about a thrill.

রক্তিম দিগন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউঃ The Prestige

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

সবাই নতুন নতুন মুভির রিভিউ দিচ্ছে। কিন্তু আমি ফিরে গেলাম সেই ২০০৬ এর পুরোনো মুভির রিভিউ দিতে। কার যেন সেরা টুইস্টিং মুভি রিভিউ পড়েছিলাম। টুইস্টের কথা শুনেই এটার কথা মনে পড়লো।
স্পয়লার এলার্টঃ মুভির ৮৫-৯০% কথা বলা আছে। তবে বাকি যেই ১০-১৫% আছে - মুভি আসলে ঐটুকই। বাকিটা হুদাই!



মুভিঃ The Prestige
Genre: Sci-fi, Mystry, Drama
ডিরেক্টরঃ Chritopher "Twister' Nolan
স্ক্রিন প্লেঃ Jonathon Nolan & Christopher Nolan
সময়ঃ ১৩০ মিনিট
মিউজিকঃ David Juliyan
বেসড অনঃ The Prestige - Christopher Priest (1995)
IMDB Rating: 8.5

কাস্টঃ Hugh Jackman, Christian Bale, Micheal Caine, Scarlett Johansson, Rebecca Hall (মাল্টিস্টার কাস্ট - এরমাঝে মরগান ফ্রিম্যান না থাকায় দুঃক্ষ পাইছি!!! :( )


কাহিনীর হালকা বিবরণঃ
মুভির প্রথম ডায়লগ, "Are you watching closely?'

অনেকেই বলে যে, নোলানের সবচেয়ে প্যাচের মুভি ইনসেপশন। কিন্তু আমার কাছে এইটার চেয়ে বেশি প্যাচের মুভি মনে হয়ছে প্রেস্টিজকে।

দুই ম্যাজিশিয়ানের কাহিনী। তারা স্ট্রাগলার থাকে প্রথমে।

হিউ জ্যাকম্যান নায়ক ভূমিকায়।
আর ক্রিশ্চিয়ান বেল!! সে আসলে থাকে এক ভূমিকায় - যেইটাকে বলা যায় এন্টি হিরো।

যাই হোক, মুভির শুরুতে হিউ জ্যাকম্যান মারা যায়! সেইটার জন্য ধরা পড়ে ক্রিশ্চিয়ান বেল।


তাদের শত্রুতার কারণের জন্য একটু পিছনেই যেতে হয়,

এক ম্যাজিশিয়ান বা ইল্যুশনিস্ট মিল্টন। তার সহযোগী থাকে জুলিয়া। জুলিয়া হল রবার্ট অ্যাঞ্জিয়ারের (হিউ জ্যাকম্যান)। মিল্টন তার একটা ট্রিকে জুলিয়াকে হাত বেঁধে পানিপূর্ণ পাত্রে বন্দী করে। ঠিক একমিনিট পর জুলিয়া এস্কেপ করে ঐ পাত্র থেকে। এর জন্য দর্শক সারি থেকে দুজনকে ডাকা হয় হাত-পা বেঁধে দেওয়ার জন্য। একজন রবার্ট আরেকজন আলফ্রেড (বেল)। এই ট্রিকটির আর্কিটেক্ট কাটার (মাইকেল কেইন)।
একবার আলফ্রেডের ভুলে জুলিয়া এস্কেপ করতে পারে না। মারা যায়।

আলফ্রেড আর রবার্টের দ্বন্দ্ব শুরু তখন থেকেই।
দুইজনই ম্যাজিশিয়ান! দুইজনই চায় একজন আরেকজনকে ডুবাইতে। সেই সূত্রে, রবার্ট ছদ্মবেশে আলফ্রেডের শো তে যায় আর ট্রিকসের অংশ হিসেবে গুলি করে। কিন্তু রবার্ট সত্যিকারের গুলিই ছুড়ে! যার ফলে আঙ্গুল হারায় আলফ্রেড।

এরপর রবার্ট "The Great Danton' গিমিকে শো করা শুরু করে। কিন্তু সে অতটা দাম পায় না। কাটার যতই তার জন্য ট্রিকস ডিজাইন করুক - কোনটাতেই কাজ হত না।

অন্যদিকে, শহরেই "The Professor' গিমিকে আলফ্রেডও শো করা শুরু করে। তার একটি ট্রিক সব মানুষের মন তো বটেই - রবার্টের মনকেও জয় করে নেয়।
ট্রিকটি হল "The Transported Man'. এই ট্রিকে আলফ্রেড এক দরজার সামনে থেকে বল ছুড়ে দেয় - এবং বলটি সমান্তরালে থাকা আরেকদরজার কাছে আসতেই ধরে ফেলে। মানে, এক দরজা দিয়ে ঢুকে তার থেকে কয়েক মিটার দূরের আরেক দরজা দিয়ে বের হয় - মাত্র ১ সেকেন্ডেই। অসম্ভব এক ট্রিক।

রবার্ট ট্রিকটা চুরির তালে থাকে। সব বুঝলেই - রবার্ট ধরতে পারে না, আলফ্রেড এত তাড়াতাড়ি কিভাবে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যায়!!
কাটার বললো, হয়ত ডুপ্লিকেট কেউ! কিন্তু রবার্ট এত বার ট্রিকটি দেখেছে যে - তার কাছে ডুপ্লিকেট কাউকে মনে হয়নি। কারণ, সে গুলি করায় আলফ্রেডের যে আঙ্গুল কাঁটা গিয়েছিল - সেইটা তো ডুপ্লিকেটের থাকবে না। কিন্তু আঙ্গুল কাঁটা থাকায় বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, ঐ ট্রিকে একজনই আছে। আলফ্রেড।
আলফ্রেডের জনপ্রিয়তা তার সহ্য হয় না।

কাহিনীর শুরু এর পর থেকেই। রবার্টও এইটাকে মডিফাই করে তার শো তে প্রদর্শন শুরু করে। সে ধরতে পারেনি ট্রিকটি - কিন্তু একদম তার আইডেন্টিকাল এক ডুপ্লিকেট থাকায় সে ট্রিকটি দেখাতে পারে। কিন্তু একসময় ধরা খায়।
এরপরও দমে না। নতুন করে আবার শুরু করে। নতুন রূপে। আলফ্রেডের ট্রিকটিই আরো মডিফাই করে। সাহায্য নেয় পদার্থবীদ নিকোলা টেসলার।

আর এরপর?
মুভি দেখেন এরপরেরটা জানতে। ঐটা কইতে পারুম না!!! এরপরের কাহিনী মাথার উপরে দিয়া যাওয়ার মত। পুরাই টাশকি কাহিনী।

যাই হোক, শেষে আলফ্রেডের ফাঁসি হয়।

মুভিটির সতর্কীকরণঃ
দেখলে প্যাচ খাইবেন।
একসময় দেখবেন - তারা জানে জিগরী দোস্ত, একই সময়ে শত্রু।
আলফ্রেড জেলে বন্দী, আবার সেই সময়ই শহরের কোনায় কোনায় শো দেখাইতেছে।
রবার্ট একবার খোঁড়া, একবার স্মার্ট, আরেকবার ক্ষেত, সাথে একই সময়ে ড্যান্টন, রবার্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট। আবার ঐসময়ই টেসলার লগে গপ্প করতাছে।

মানে পুরাই আওলা।

এই মুভি কতবার দেখছি তার কোন হিসাব নাই। প্রত্যেকবারই চমকাই।
ক্রিস্টোফার নোলান আসলেই বস।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: স্পয়লার এলার্টঃ মুভির ৮৫-৯০% কথা বলা আছে। তবে বাকি যেই ১০-১৫% আছে - মুভি আসলে ঐটুকই। বাকিটা হুদাই!


তবে হুদাটাও ভাল লাগলো ।
একসময় অনেক মুভি দেখতাম , এখন সময় পাইনা তেমন ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাই সময় করে এইটা দেখে ফেলান!!!!

আমি ৯০% স্পয়লার দিলেও কিছুই কিন্তু কই নাই!! ঐডা ডর দেখাইছি মাইনশেরে। =p~

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: বিখ্যাত সব লোকের মুভি । :)


বস মানুষ একজন :)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আসলেই - এতগুলো স্টার নিয়ে জস হুইডনও কাজ করতে ঝামেলায় পড়ে।
নোলান সব সামলায়া নিছে। B-)

তবে যাই বলেন, মুভিটাতে মরগান ফ্রি ম্যানকে অনেক মিস করছি। বিশেষ করে, এইসব মুভিতে ফ্রিম্যানের আলাদা গেট-আপটাটারই কমতি ছিল। :(

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: মুভি দেখা আমার কাছে একটা অন্য রকমের নেশা! যদিও আর আগের মত মুভি দেখা হয়ে ওঠে না, তারপরেও চেষ্টা করি ভাল সিনেমা দেখার জন্য......!!


রিভিউ চমৎকার হয়েছে! শুভ কামনা জানবেন!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আগের মত মুভি দেখার সময়টাই আসলে পাওয়া যায় না! আগে তো ফাঁকি দিয়ে মুভি দেখতাম। এখন তো মুভি দেখার টাইমটাতেও অন্য কাজ করতে হয়। :(
এখন বেছে বেছে কিছু ছবিই দেখা হয়!

ধন্যবাদ! :)

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: কাহিনীর ভারী বিবরণ ভাল হয়েছে। দেখেছি মুভিটি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: থেংকু!!!

মুভিটা জোস!!!! যারা দেখছে তারা পড়লে অবশ্য এইটাতে স্পয়লার খুঁজে পাবে না। B-)

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৮

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: মরগান ফ্রিম্যান বস মানুষ । ওনারে নিয়ে বেশ আগে উইকিপিডিয়ায় লিখছি :)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এভারগ্রীন এক বৃদ্ধ লোক মরগান ফ্রিম্যান! :P

ভাই আপনি তো, মুভি অনেক দেখেন - Mark Raffalo এর নেক্সট মুভির খোঁজ জানেন কোন? সে কি আলাদাভাবে হাল্ক মুভিতে কাজ করবে? এই অভিনেতাটারে আমার অস্থির লাগে।

৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
এই মুভিটা আমার কাছে পার্ফেক্ট ডেফিনেশান অফ মাস্টার্পিস মনে হ​য়​।
ভাল লিখসেন​ ||

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আসলেই! এইটা মাস্টারপিস একটা।

বিশেষ করে, এতগুলো টাইমলাইন একই সাথে রান করে - পারফেক্ট ফিনিশিং-এ যাওয়া সত্যিই চমৎকার কাজ!

৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ওনার Now You See Me সিক্যুয়েল আগামী বছর রিলিজ

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এইটা জানি। তবে এই মুভিটা ফ্লপ খাবে মনে হচ্ছে।

৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পুরা মুভি দেখার টাইম পাই না অনেকদিন থেকে। টিভির সামনে গেলে চ্যানেল পাল্টাইতেই সময় শেষ। কোনটাই আর দেখা হয় না।
এই মুভিও দেখা হবে কিনা জানি না। তবে যদি দেখি তাইলে সেইটা আপনার ক্রেডিট!
আপনার রিভিউয়ের রেটিং- 3.5/5

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এইটা দেখা শুরু করেন। মুভিই নিজে থেইকা আপনারে দেখায়া ছাড়বে।

মুভি হইলেও এইটা আসলে চৌম্বকিয় কোন পদার্থ।

আমি রিভিউ লেখার জন্য শুরুর দিকটা একটু দেখতে চাইছিলাম - পরে পুরাডাই দেখতে হইছে।

৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: রিভিউ ভাল লাগছে।

এখন হিন্দি মুভি দেখি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এইটা দেখেন। এইটা সম্পূর্ণ ফ্যামিলি মুভি!! :)

১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হুম দেখতে হবে।

আমার ছেলের ফার্স্ট টার্ম এক্সাম শুরু হয়েছে আজ। ছেলেকে আগেই বলা আছে ক্রিস্টমাসের ছুটিতে আমরা শুধু বিভিন্ন মুভি দেখব।

আমাদের এখানে সিনেমাহলের পুরা মাসের একটা টাইম ট্যাবল দিয়ে দেই, কোন কোন মুভি, কয়টা থেকে কয়টা, সাথে হাল্কা রিভিউ। ছেলে আমার এখনো সিনেমা হলে সিনেমা দেখেনি। এবার তাও দেখাব বলছি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কোন দেশে আপু?

সিস্টেমটা ভালই। আমাদের দেশে এমন ব্যবস্থা ও ভাল সিনেমা থাকলে আমরাও এমন বিনোদন পেতে পারতাম!!! :(

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: অবশ্যই দেখবো ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাই এইটা দেখেন নাই আপনি এখনো? B:-/

টাশকি খাইলাম!!!

আমি তো ভাবছিলাম - আর কেউ না হোক, আপনি দেখছেন এইটা!!!

১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

আরজু পনি বলেছেন:

হিসেবের খাতায় রাখলাম ।

আজ একটা ট্যাবে ঝুলতেছে ৫ টু ৭ ।

স্পয়লার পড়তে পড়তে শেষে এসে মনে হলো ধুর সবটুকুই দিয়ে দিতেন । বেশি ইচ্ছে হলেতো দেখবোই...স্পয়লারে কি আর ম্যুভি দেখা দমে যায় নাকি ?

শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: স্পয়লারে আসলে কেউ কেউ আনন্দিত হয় - আবার কেউ কেউ বিরক্তও। আমি নিজে স্পয়লার পাইলে ঐটারে ধইরা পিটানিও দেই।

5to7 বাদ দেন।

এইটা দেখেন। কোরিয়ান মুভি সাবটাইটেল পইড়া দেখার চেয়ে এইটা দেখলে বেশি মজা পাবেন। কারণটা অবশ্যই ভাষাগত বোধগম্যতার কারণে।

অবশ্য খুনাখুনি থ্রিলার আপনার ভাল লাগলে তবেই এই নিয়মের স্বার্থকতা। :P

১৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১০

আরজু পনি বলেছেন:

৫ টু ৭ তো কোরিয়ান না ।

ইংরেজি ভাষার ।
আর থ্রিলার ম্যুভি আমার পছন্দের ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ইংরেজী???

খাইছে! একটা রিভিউয়ে ভুলে মনে হয় ইংরেজী দেখছিলাম। মিস্টেক!!! :(

থ্রিলার লাইক করলে এইটা দেখলে মজা পাবেন প্রচুর!

১৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: নোলান এর সম্পর্কে আমি মাঝে মাঝে একটা কথা বলি - হলিউড এ তিন ধরনের মুভি হয়, একটা ভালো মুভি, একটা খারাপ মুভি আর একটা নোলান এর মুভি।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কথা সত্য!

নোলানের মুভি ভাল-খারাপ মাপ কাঠিতে বিচার করা যায় না। ঐটাকে নোলানের মুভিই বলা লাগে।

১৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

রাফসান বড়ুয়া বলেছেন: আমার কাছে খুব ভালো লাগছে মুভিটা

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাল লাগার মতই কিন্তু মুভিটা। উপন্যাসটায় এতটা প্যাচ ছিল না - নোলান ঐটাকে প্যাঁচিয়ে আরো সুন্দর ভাবে ফুঁটিয়ে তুলেছে।

১৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আলফ্রেডের ফাঁসি হয়। :( :(

এই কথাটা না কইলে চইলতো না???

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আলফ্রেডের ফাঁসি হওয়াটা মুভির শুরুতেই বুঝা যায়। মন খারাপ কইরেন না - এই জন্যই তো প্রথম ডায়লগ Are you watching closely?

অফটপিকঃ
এখনের পতাকা দেওয়ার ব্যবস্থাটা ভাল হইছে কিন্তু। নিজের ছবির পাশে বাংলাদেশের চিহ্ন।

১৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক দিন আগে দেখা। রিভাইজ দেয়া দরকার আরেকবার।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: রিভাইস দেন। কালকে আমি দেখলাম আবার। শেষের টুইস্টটা জানার পরও বুঝতে ঝামেলা হইছে। :)

১৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০

রিকি বলেছেন: মুভিটির সতর্কীকরণঃ
দেখলে প্যাচ খাইবেন।
একসময় দেখবেন - তারা জানে জিগরী দোস্ত, একই সময়ে শত্রু।
আলফ্রেড জেলে বন্দী, আবার সেই সময়ই শহরের কোনায় কোনায় শো দেখাইতেছে।
রবার্ট একবার খোঁড়া, একবার স্মার্ট, আরেকবার ক্ষেত, সাথে একই সময়ে ড্যান্টন, রবার্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট। আবার ঐসময়ই টেসলার লগে গপ্প করতাছে।

মানে পুরাই আওলা।


B-)) B-)) B-))

পাখি এসেছিল শেষে কোথায় থেকে সেটাতে আউলাই নি!!!! ;)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পাখির দৃশ্যায়ন তো অনেকগুলো আছে - অনেকভাবে। কোনটার কথা বলছেন?

মুভির সবচেয়ে প্যাচের ক্যারেক্টার তো ফ্যালন!!! শেষে গিয়ে আমার এইটা বুঝতে বেশ বেগ পাইতে হইছে কে ফ্যালন আর কে বোরডেন!!!

বেশ কয়েকবার দেখার পর বুঝতে পারছি।

আর নোলানের মুভির শেষ দেখলে তো প্রথম থেকে আবার একটু একটু দেখা লাগবেই - এইটাই নিয়ম।

১৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

মিয়া মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেছেন: নিকোল টেসলার ওয়্যারলেস পাওয়ার ট্রান্সফারের ঘটনাটি খুব সম্ভবত সত্য। কিন্তু ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডে ঢুকে ডুপ্লিকেট পয়দা হওয়াটি আশ্চর্য্য রকমের হাস্যকর এবং প্যাথেটিক। কিন্তু ওভারঅল মুভিটি দেখে ভালো লেগেছিলো।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:



ওয়্যারলেস পাওয়ার ট্রান্সফার খুব একটা অসম্ভব না। তবে ম্যাগনেটিক ফিল্ড ইউজ করতে হবে - যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। এর জন্যই এটা এখনো অনুমোদিত না। মোবাইলের ওয়্যারলেস চার্জার গুলোও খুব দুর্বল ফিল্ড ইউজ করে - সে জন্যেই চার্জ হতে বেশ সময় নেয়। শক্তিশালী করতে হলে - সেইটা আবার হিউম্যান সোসাইটি ধ্বংসের কাজ হয়ে যাবে।

ডুপ্লিকেট হওয়ার ব্যাপারটা খুব সম্ভবত বাস্তবে ছিল। ঐ সময়টায় এমন একটা ভ্রম ছিল। মুভি ঐ সময়কালীনের উপযোগী করে গড়া - সে জন্যেই এটা দেখিয়েছে। ভ্রমের মাঝে ইলেক্ট্রিসিটির ভ্রম - বেশ ভালই ছিল বলা যায়।

ধন্যবাদ - এই মন্তব্যটির জন্য। আমি পোষ্ট দিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম এইটা শোনার। কিন্তু কেউই এইটা নিয়ে ভাবেইনি।

২০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

মিয়া মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেছেন: ওয়্যারলেস পাওয়ার ট্রান্সফারতো সম্ভব। ইনফ্যাক্ট প্রতিটা ট্রান্সফরমারের সেকেন্ডডারি উইন্ডিংয়ে এটাই হয়। আপনি যদি একটা এলইডি এর সাথে ইন্ডাকটর লাগিয়ে সেটা সেকেন্ডারি উইন্ডিং্যের কাছাকাছি রাখলে তা জ্বলে উঠে। কিন্তু ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখেছি যে, এভাবে দূরত্ব থাকে মাত্র ২ সেন্টিমিটারের মতন, যা খুবই কম। তার উপর স্টেপ ডাউন করে সেকেন্ডারিতে যদি ১২ ভোল্ট থাকে, তবে এলইডিতে আসে মাত্র ১ ভোল্টের মতন। বাকি ১১ ভোল্ট গায়েব বা লস হয়। নিকোল টেসলা ছিলেন রিয়েল বস বিজ্ঞানী। কিন্তু এই ধরনের লসি সিস্টেম দিয়ে যে তিনি বাড়ি থেকে মাঠে থাকা বাল্বের অ্যারে জ্বালিয়েছিলেন বলে সিনেমায় দেখানো হয়েছে, তা অতিরঞ্জিত। অবশ্য দিনশেষে সিনেমাতো ফিকশনই। তাই এগুলো নিয়ে আমাদের এতো বেশি অভিযোগ করা বা ভুল ধরাও উচিত নয় :)
বাই দ্যা ওয়ে, স্যামসাং এর নতুন টেকনোলজি আসছে। মাত্র ১৫-২০ সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার ব্যাটারি পুরোপুরি চার্যড হয়ে যাবে। এটাও ওয়্যারলেস এবং খুব সম্ভবত তারা তাদের মোবাইলে সুপার ক্যাপাসিটর ব্যবহার করে কাজটা করেছে। তাছাড়া অন্য কোন উপায় মাথায় আসছেনা।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হ্যা! যেই ওয়েরল্যাস পাওয়ার ট্রান্সফার মুভিতে দেখিয়েছে সেইটা অসম্ভব। এতটা আসবে না। সিগন্যাল অতিদুর্বল। তবে মুভিতে অন্যান্য কাহিনীর মারপ্যাঁচে এইটা ধরতে পারেনি অনেকেই। তাই বলা যায় যে, মুভিতে এই ভুলটা এতটা চোখে আসে নাই।

স্যামসাং-এর ঐ চার্জিং সিস্টেমটায় আমিও টাশকিত। এইটা এত তাড়াতাড়ি চার্জ নিচ্ছে কিভাবে? এত ভাল রিসিভার দিতে হলে তো কস্ট ও শ্রম দুইটাই অনেক বেশি। সাথে আবার ম্যাগনেটিক ফিল্ডেরও ব্যাপার আছে। এইটার মূল তথ্য এখনো পাওয়া যায় নাই। তবে স্যামসাং এটা হয়তো প্রকাশ করবে না কখনোই।

২১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৯

বনমহুয়া বলেছেন: রক্তিমভাই সবাই মনে হইতেছে আজকাল বেশি ম্যুভি দেখতেছে। এত ম্যুভি রিভিউ। কোনদিন না এই ব্লগ ম্যুভি রিভিউ ব্লগ হয়ে যায়। চিন্তায় আছি। নির্বাচিত পাতায় দেখলাম প্রথম ৫ টাই ম্যুভি রিভিউ। তা ভাই আপনিও দেখতেছেন নাকি?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আমি তো মুভি দেখিই। তয় এইডা হাছা কথা - ইদানিং মুভিখোর বাইড়া গেছে।

২২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

বনমহুয়া বলেছেন: ফেসবুক বন্ধের কুফল মনে কইতেছে। ;)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ফেসবুকেও তো কেউ এত মুভির রিভিউ দেয় না - এইনে একটু বেশিই দেখতেছি। নাকি এইডাও কোন নতুন ব্যারাম! আল্লাহ মালুম!

২৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭

বনমহুয়া বলেছেন: ফেসবুকে আছিল সেলফি ব্যারাম, এইখানে ম্যুভি ব্যারাম।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: থাকতেই পারে। মানব সম্প্রদায় তো! বেরাম না থাকলে চলে নাকি!!!

আপনের খবর কন! ম্যালাদিন পরে আইলেন মনে অয়?

২৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬

বনমহুয়া বলেছেন: ম্যালাদিন দেখলেন কেমনে? এইতো সেদিন আইলাম। ২৪ ঘন্টা থাকা সম্ভব না। আমার মেলা ডিউটি ভাই। কত কাজ করতে হয়।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আহারে!!! কী আর করবেন? ডিউটি করেন ভালমত। :D

২৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৮

জাহাজী বলেছেন: এতোবড় রিভিউ লিখলেন যেটা লিখা সবচেয়ে বেশি জরুরি ছিলো তাই লিখলেন না। বেপারটা খুব খারাপ লাগল।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
এটা মোটেও বড় রিভিউ নয়।

আর, কোন বিষয়টা বাদ গেছে - খুলে বলুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.