নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় বলার মত কিছু এখনো করতে পারি নি। তাই ঘরটা ফাঁকাই। পরিচয় অর্জন করতে পারলে আমি যোগ করে দিব।

রক্তিম দিগন্ত

Life is all about a thrill.

রক্তিম দিগন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

অশনি শঙ্কা

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১



প্রাচীন আমলের একটা জায়গায় ঘুরতে এসেছে মেয়েটি। অনেক পুরাতন একটি বাড়ি। এককালে জমিদার বাড়ি ছিল।

প্রায় আড়াইশো বছর বয়স হবে বাড়িটার। লতা-গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ গুলো বাড়িটাকে সবুজ বর্ণে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। শুধু সবুজ বর্ণেই নয়, অন্ধকারেও আচ্ছন্ন হয়ে আছে বাড়িটা। বাড়িটার চারপাশে বেড়ে উঠা বিশালাকার বটবৃক্ষগুলোই এই অন্ধকারাচ্ছন্নতার কারণ।

বাড়িটা সম্পর্কে অনেক শুনেছে মেয়েটি। দেখতে এল এইবারই প্রথম। কৌতুহল আর দেখার জন্য তর সইতে না পেরে একাই চলে এসেছে দেখতে। এসেই বুঝলো ভুল করেছে। এরকম দুর্গম এলাকার একটি দুর্গম বাড়িতে তার একা আসা উচিৎ হয় নি। কিন্তু এসেছে যখন, বাড়িটাকে ভালমত পর্যবেক্ষণ না করে চলেও যেতে পারছে না।

পা বাড়ালো বাড়িটায় ঢোকার উদ্দেশ্যে। অল্প একটু ভিতরে যেতেই গা ছমছম করতে লাগল তার। নাহ! একা আসা কোনমতেই উচিৎ হয় নি। ভয় লাগছে মেয়েটির। ফিরে যাবে কিনা ভাবছে। পিছন দিকে ঘুরলো ফিরে যাওয়ার জন্য। অল্প একটু গিয়েই থমকে দাঁড়ালো। সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না মেয়েটি।
কৌতুহল মেটানো? নাকি ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসা? কোনটাকে বেছে নিবে?
দোনোমোনো করছে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ভেবে নিল। অতঃপর কৌতুহল মেটানোটাকেই বেছে নিল।

পুরোনো দালান। বয়স বাড়ার সাথে দালান ইট-সিমেন্ট এর সম্পর্কও একটু একটু করে কমছিল। সময় গড়ানোর সাথে সাথে ইট-সিমেন্টের সম্পর্ক অনেকাংশেই ক্ষয়ে গেল। তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিটা হয়েছে দালানের। দালানের জায়গায় জায়গায় সৃষ্ট হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য ছিদ্রের। ছিদ্রের বাইরের অংশটাকে আবার ছেয়ে নিয়েছে বিশালাকৃতির বটবৃক্ষগুলো। সূর্য মহাশয়ের আলো সেইজন্য আর বাড়িটির ভেতর এতটা ভালভাবে প্রবেশ করতে পারে না। পাতাভেদ করে যতটুকু যেতে পারে - ততটুকুই যায়। সেই আলোটাকে অবশ্য আলোকিত বলা যায় না কোনমতেই। টেনেটুনে আবছা-আলো বলা যায় ওটাকে। বাড়িটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে সাহায্য বাড়ির পিলারগুলোও বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে অনেকটাই। বেশ কয়েকটা শুধু নুয়েই পড়ে নি - ভূপাতিত হয়ে মিশেই গেছে মাটির সাথে। সব মিলিয়ে এটাকে জমিদার বাড়ি না বলে - জমিদার বাড়ির ধ্বংসস্তুপ বা কঙ্কাল বলাই শ্রেয় মনে হল মেয়েটির কাছে।

আবছা আলোয় হাঁটতে গা ছমছম করছে তার। যদিও এখন ভরদুপুর। কিন্তু বাড়িটির ভিতর দেখে মনে হচ্ছে সবে সকাল হয়েছে বুঝি। বাড়ির ভিতরেও বেহাল দশা। জায়গায় জন্মে উঠেছে শ্যাওলা-গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদগুলো। দীর্ঘকাল এইভাবে খালি ও পরিত্যাক্ত থাকার কারণে বাড়ির ভেতরটা স্যাঁতসেঁতে গন্ধে ভরা। বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না। কয়েক মিনিট ভিতরটায় হাঁটাহাঁটি করতেই হাঁপিয়ে গেল মেয়েটি। একে তো বাড়িটির ভিতর বাতাসের আনাগোণা কম, তারউপর অক্সিজেনের পরিমাণও অনেক কম, আবার মেঝেও বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে পিচ্ছিল হয়ে আছে। হাঁটতে বেশ কষ্টই হচ্ছে মেয়েটির। এভাবেই কষ্ট করে ধ্বংসস্তুপে পরিনত পুরো বাড়িটিকেই ঘুরে দেখার চেষ্টা করল মেয়েটি।

জমিদার বাড়ি যেহেতু, সেহেতু বাড়িটি প্রকাণ্ডই। ভিতরে অনেক কামরা। কামরাগুলোতে থাকত জমিদার, তার দুই পত্নী, দুই পত্নীর থেকে জন্ম নেওয়া ছেলেরা, ছেলের পত্নীরা। চাকর-বাকরদের জন্যও আলাদা কামরা ছিল। কামরা গুলো সব একই দিকে। উপরের তলায় থাকত জমিদার পরিবার, নিচ তলায় থাকত চাকর-বাকররা। জমিদারের দরবারশালার এখন আর আগের সেই জৌলুস নেই। ভেঙে চুড়ে একাকার হয়ে গেছে। ভাঙাচোরা জমিদার বাড়িটা ঘুরে দেখতে খারাপ লাগছিল না মেয়েটার। নিঃশ্বাস নিতে যে কষ্টটা হচ্ছিল তার, সেটাও এখন আর টের পাচ্ছে না। স্বাভাবিকই লাগছে তার কাছে।

আসলে কৌতুহলের কাছে কোন কিছুই টিকতে পারে না। নিজের মনঃশান্তির জন্যই কৌতুহলটা মেটানো লাগে। আর মনঃশান্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে; এমন কোন শক্তির সৃষ্টি হয় নি দুনিয়ায়। হয়ত সাময়িক সময়ের জন্য আঁটকে রাখতে পারবে একটা মানুষকে। কিন্তু হার সেটার একটা সময় মেনে নিতেই হয়। মেয়েটিরও ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।

কৌতুহলের কারণে ভুলে গেছে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার কথা, হাঁটতে অসুবিধা হওয়াটা, নিরিবিলি ছমছমে একটা জায়গায় ভয় পাওয়ার কথাটা, এমনকি সূর্য যে মধ্যগগন থেকে এখন পশ্চিম দিকে গড়িয়ে পড়ছে সেটার কথাও। যখন এটা বুঝতে পারল, অন্ধকার তখন বাড়িটিকে পুরোপুরি গ্রাস করে নেওয়া শুরু করেছে।

মেয়েটি তখন দাঁড়িয়ে আছে জমিদার বাড়ির নির্যাতন কক্ষে। নির্যাতন করার বিভিন্ন রকম সরঞ্জামাদি দেখতে পেল মেয়েটি। ওগুলো দেখেই জমিদারের নির্যাতন করার একটা চিত্র চোখে ভেসে উঠলো। কতটা অমানবিক নির্যাতন করত সেটা ভেবে শিউরে উঠলো মেয়েটি। কক্ষটায় বেশিক্ষন থাকার মত সাহস হল না মেয়েটির। ঐদিকে সন্ধ্যাও হয়ে গেছে। পুরোপুরি অন্ধকারে ঢেকে যাওয়ার আগেই বেরোতে হবে তার।

কিন্তু ইতিমধ্যেই একটা অঘটন ঘটে গেল। বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তাটা আর খুঁজে পাচ্ছে না সে। যেদিক দিয়ে এসেছিল, সেদিক দিয়েই বেরোতে হবে জানে সে। কিন্তু কোনদিক দিয়ে যে সে এসেছিল সেটাই আর মনে পড়ছে না। অনেকক্ষন যাবৎ বাড়িটিকে ঘুরে দেখেছে। রাস্তা খেয়াল করে রাখে নি। ভুল করেছে, মস্ত ভুল। বেশ কিছুক্ষন যাবৎ এদিক-সেদিক দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করল। ব্যর্থ চেষ্টা।

অন্ধকার এতক্ষনে পুরোপুরি আছড়ে পড়েছে বাড়িটির উপর। আঁটকে গেছে। একদম ভালভাবেই আঁটকে গেছে। শঙ্কিত হচ্ছে মেয়েটি। নিজেকে শান্ত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। ব্যর্থ চেষ্টা। কোনভাবেই নিজেকে শান্ত করতে পারছে না। 'শান্ত হও! শান্ত না হলে এখানেই আঁটকে মরতে হবে। কখনোই বেরোনোর রাস্তা খুঁজে পাবে না।' বিড়বিড় করে নিজেকেই বুঝালো মেয়েটি। কিছুটা কাজ হল এতে। বেরোনোর রাস্তা খোঁজার চেষ্টা কিছুটা সময়ের জন্য স্থগিত রাখল। বিশ্রাম নিতে হবে তার। মস্তিষ্কটাকে একটু আরাম দিতে হবে।

জমিদারের নির্যাতন কক্ষটাতেই ফিরে গেল। বসল গিয়ে একটা বেদীর উপর। ভয় লাগছে তার। 'ভয় পাওয়া যাবে না। ভয় পেলেই মরবে।' আবারও নিজেকেই নিজে বুঝানোর চেষ্টা করল মেয়েটি। বেদীর উপর বসেও শান্তি পেল না। নির্জন জায়গায় একটানা ঝিঝি পোকার ডাকে কানে তালা লাগার দশা হল তার। অক্সিজেনের অভাবটাও আস্তে আস্তে তাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। শ্বাস নিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে ওর। কোনভাবেই মস্তিষ্কটাকে বিশ্রাম দিতে পারছে না। মস্তিষ্ক নিজেই অবশ্য বিশ্রাম নিচ্ছে না। সে তার কাজ করেই যাচ্ছে।

জমিদার বাড়ির ইতিহাসটা মোটামুটি জানা মেয়েটার। এই মুহুর্তে জমিদার বাড়ির একটা ঘটনাই তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ঘটনাটা এই নির্যাতন কক্ষেরই। একটা লোককে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছিল জমিদার ও জমিদারের লোকেরা। লোকটার অপরাধ কি ছিল সেটা জানা যায় নি। তবে নির্যাতনের বিবরণটা বেশ ভালভাবেই পাওয়া গেছে। কথিত আছে, লোকটাকে নাকি বেদীতে শুইয়ে টানা দুইদিন চাবুক দিয়েই পেটানো হয়েছিল। টানা দুই দিন বিরতিহীন ভাবে। এতেও শান্ত হয় নি জমিদাররা। পুরোপুরি লোকটাকে মারার আগে একটা একটা কেটে নেওয়া হয়েছিল তার শরীর অঙ্গগুলো। ছাড়িয়ে নিয়েছিল পিঠের চামড়াও। সেই চামড়া তোলা ক্ষতটায় ঢেলেছে তাদের পান করার ‘শারাব’। লোকটা তখন যন্ত্রণায় কাঁতরাচ্ছিল। এভাবেই দীর্ঘ সাতদিনের নির্যাতনের পর লোকটার মুন্ডুপাত করে মৃত্যু কার্যকর করা হয়। কতটুক সত্য সেটা নিয়ে অবশ্য অনেকেই সন্দিহান। প্রায় আড়াইশো বছর আগের ঘটনা। লোকমুখে এতদিনে বদলে যাওয়াটাও অস্বাভাবিক না।

একটা গুজবও আছে এটা নিয়ে। যে লোকটাকে মেরেছিল, তার আত্না নাকি অনেকদিন পর্যন্ত ঘুরে বেড়িয়েছে বাড়িটির কক্ষের চারিদিকে। ইংরেজ আমলের অনেক দর্শনার্থী ঐ মৃতের আত্নার শিকার হয়ে প্রাণও হারিয়েছে। নির্যাতন কক্ষটা দেখতে কেউ যদি একা কখনো এসেছে, পরে নাকি তার মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা লাশ পাওয়া গেছে। কোন কোন লাশের মাথা থেঁতলানো ছিল, কোনটার বা হাত-পা ভাঙা, কোনটার মাথা ধড় থেকে আলাদা, আরো নানান ভাবে। গুজবে কান দিতে নেই। মেয়েটি সেই কথা ভাল করেই জানে। কিন্তু এই মুহুর্তে তার ঐ নির্যাতনের ঘটনা আর আত্নার ঘুরাঘুরি করার গুজবটায় মাথায় আসছে।

চিন্তাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিতে চাইছে। কিন্তু চিন্তাটা ঝেঁকে বসেছে তার মস্তিষ্কে। মেয়েটি ক্রমশই দুর্বল হয়ে পড়ছে। চিন্তা-ভাবনাও দুর্বল হচ্ছে আস্তে আস্তে। ধীরে ধীরে মেয়েটির যে অল্প একটু সাহস ছিল সেটাও গায়েব হয়ে গেল। সেই জায়গায় স্থান পেল ভয়। আতঙ্কিত হচ্ছে। শরীরে কাঁটা দিতে শুরু করল। দুর্বলতার জন্য চোখ দুটোও আর খুলে রাখতে পারছিল না। চোখের সামনে ভাসছে নির্যাতন করার সেই দৃশ্যটা। পুরোপুরি। দৃশ্যটা কল্পনা করতেই গা শিউরে উঠলো। কাঁপুনি অনুভব করল।

চোখ দুটো পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার আগেই মনে হল সে কাউকে দেখতে পেয়েছে। চোখ দুটো ঝট করে খুলে ফেলল। চারিদিকে তাকালো। নাহ! কেউ নেই। বুঝতে পারলো, সবই তার মনের দুর্বলতা আর ভয় পাওয়ার কারণে হচ্ছে। দূর থেকে মৃদু একটা শব্দ ভেসে আসলো। কেউ ডাকছে যেন, মেয়েটাকে। হাত দিয়ে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিতে চাইলো। চোখ বন্ধ করল। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিল জানে না। কিন্তু মৃদু ডাকটা আস্তে আস্তে কাছে আসছিল তখন জেগে গেল।

শব্দের উৎসটার দিকে তাকালো। ঘন কালো অন্ধকার। কেউ থাকলেও দেখা যাবে না। আরেকবার ভেসে আসলো ডাকটা। এইবার অন্যদিক থেকে। ঝট করে তাকালো ঐদিকে। অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই নজরে পড়ল না। কাঁপুনিটা বাড়তে লাগল তার। ডাকছে কেউ তাকে, কিন্তু কে? কে ডাকবে তাকে এখানে? আশেপাশে তো লোকালয়ও নেই। থাকলেও তাকে কারো চেনার কথা না।
কে ডাকবে তাকে?
আবার ভেসে আসলো শব্দটা। এবার অনেক কাছ থেকে। মেয়েটির নাম ধরেই ডাকছে মনে হলো। পুরোপুরি ভয় পেয়ে গেছে মেয়েটি।

বেদী থেকে উঠে দৌড়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল। কোন দিক দিয়ে যাবে জানে না। শুধু বের হয়ে যেতে পারলেই হয়। সে যে দিকেই যাচ্ছে, শব্দটাও তার পিছু পিছু যাচ্ছে। ভয় আরো বাড়তে লাগলো মেয়েটির। অন্ধকারে কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। দৌড়াতে গিয়ে দেয়ালের সাথে ধাক্কাই খাচ্ছে। তবুও যতটা সম্ভব অন্ধকারেই দৌড়ে যেতে লাগলো। পিচ্ছিল মেঝের উপর দিয়ে হাঁটাই কঠিন, সেই জায়গায় দৌড়ানো? অসম্ভব একটা কাজ। সেই অসম্ভব কাজটা করতে গিয়েই পিছলে কয়েকবার পড়লও সে। আছড়ে পড়ে কোমড়ে বেশ ব্যথা পেয়েছে। দৌড়ানো কঠিন হচ্ছে তার জন্য। কিন্তু থেমেও থাকতে পারছে না। কারন, শব্দটা যে তার পিছু লেগেই আছে। কোনরকমে দৌড়াচ্ছে।

মেঝে শুধু পিচ্ছিল হলেও এক কথা ছিল। বাড়ির ভেঙে পড়া ইট-সুরকিও পড়ে রয়েছে মেঝেতে। অন্ধকারে এইগুলোর কোন একটাতেই পা লাগায় আছড়ে পড়ল। পা-টা ভেঙে গেছে। প্রচন্ড ব্যথা পায়ে। আছড়ে পড়ার সময় মাথাটা গিয়ে লেগেছিল দূরে পড়ে থাকা আরেকটি ইটের টুকরায়। সাথে সাথেই মাথা থেকে রক্ত ঝড়া শুরু হয়। মাথার ভেতরটা একদম ঘোলাটে মনে হচ্ছে এখন মেয়েটার কাছে। ভাঙা পা নিয়ে উঠতেও পারছে না।

শব্দটা ক্রমশই এগিয়ে আসছে তার দিকে। কাছে! আরো কাছে! এখন আর একদমই শ্বাস নিতে পারছে না। শব্দটা যখন তার একদম কাছে পৌছালো, তখন এক গগন বিদারী চিৎকার শোনা গেল।

এরপর?

এরপর মেয়েটির শ্বাস-নিঃশ্বাসের কষ্টটা চিরতরের জন্য থেমে গেল। চোখদুটো বুজে গেল অনন্তকালের জন্যই। চিন্তাশক্তিও স্থবির। মস্তিষ্ক পুরোপুরি বিশ্রামে।

এখন যদি মস্তিষ্কটা কাজ করতো তাহলে বুঝতো কেউই তাকে ডাকে নি। সবটাই ছিল তার মনের ভুল!

---

বাচ্চা আমলের লেখা! হঠাৎ চোখে পড়লো। ভাবলাম দিয়েই দেই। সবারই জানার অধিকার আছে, আগে কত খারাপ লিখতাম পারি! :P

মজার ব্যাপার হল - এইটা এক ছোট ভাইয়ের অনুরোধে তার গল্প সংকলন বইয়ের জন্য দিছিলাম - পরেরটা ইতিহাস। এরপর থেকে ছোট ভাইটার সাথে খুব একটা দেখা সাক্ষাৎ/কথাবার্তা হয় নাই আমার :P

পাঠকের গালি খাওয়ার জন্য পুরোদমেই প্রস্তুত আছি। :-B :D

বাচ্চাকালের আরেকটা লেখাও দিয়েছিঃ লোভ

লেখাটি সপ্তম বাংলা ব্লগ দিবস প্রতিযোগীতায়ও পাঠিয়েছিলাম।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২১

কল্লোল পথিক বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হাহাহা! :)
ধন্যবাদ!

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

নিমগ্ন বলেছেন: বাহঃ এইটাও ভালো লাগসে...... :)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বেশ! বেশ!

দুইবলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ফেলার অনুভূতি হচ্ছে। :P

ধন্যবাদ নিমগ্ন ভ্রাতা!!! :)

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: কিছু কিছু জায়গায় এডিট করতে হবে মনে হয় ভাই ,

একটু নতুন করে পড়ে দেখুন ।

শুভেচ্ছা রইল

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এইটা আসলে অনেকবার পড়েছি আমি নিজেই। এডিট অনেকটুকুই করা লাগবে জানিও! তবে এইটাকে এডিট করতে ইচ্ছা করে না। যেমনে আছে থাকুক। :)

পরে আর করিনি ইচ্ছা করেই - কিছু গল্প এডিট ছাড়া অসম্পূর্ণই থাকুক।

আপনি সময় নষ্ট কইরা যে পড়তে ঢুকছেন - তাতেই গল্প আন-এডিটেডেই সার্থক! হেহেহেহে! :D

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


বাচ্চা আমলে লিখছেন বলে প্রথমে বুঝি নাই। বেশ +++

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাই, কী কন! ধরতে পারলেন না? :D
অনেক ভুল আছে লেখাটায়!

তবু আপনার কাছে বেশ লেগেছে শুনে তো এখন ভাবই বেড়ে গেল - B-) চোখ বন্ধ করে লিখলেও আমি ভাল লিখি!! হাহাহা!

ধন্যবাদ ভাই! :)

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সুন্দর লেখছেন ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ!!! :)

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হা হা হা হা :D

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: :D

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনি তো দেখি বাচ্চাকাল থেকেই ভাল লিখেন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপু যে কী বলেন! শুনে লজ্জা লাগে তো! :P
এই একটু-আধটু চেষ্টা আর কী! :)

ধন্যবাদ আপু! :)

৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৯

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: টানা বর্ণনায় একগেয়েমি পেয়ে বসলেও থিমটা বেশ ছিল।
গল্প লেখকের জন্য শুভকামনা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এটা ঠিক বলেছেন - টানা বর্ণনার উপর ছিল লেখাটা। আমার লেখাগুলোতে সংলাপ বেশি থাকে - অন্তত আমার তাই মনে হয়! তাই এটাকে সংলাপহীন ভাবেই লিখার চেষ্টা করেছি। বর্ণনার উপর জোর না থাকলে আসলে লেখাও যায় না ঠিক করে।

ধন্যবাদ আপনাকে! থিমটা হুট করেই এসেছিল। সাধারণের ভিতর থেকে কিছু দেওয়ার চেষ্টা আর কী একটা! :)

৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৬

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: শুভ সকাল । ভুতের গল্পের পুরস্কার স্বরূপ ;)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ সকাল। ;)

১০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: বাচ্চা আমলের লেখায় ভাললাগা জানিয়ে গেলাম।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: সারথি ভাই! এই পিচ্চি মন্তব্য???

দুঃখ পাইলান। :(

১১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

সুমন কর বলেছেন: মেয়েটি কেন একা একা ঘুরতে এসেছে, সে সম্পর্কে বললে ভালো হতো !!

আরে, আপনি দেখি বাচ্চাকাল থেকেই ভালো লেখেন। ;)

বর্ণনা ভালো হয়েছে। তাই প্লাস।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আসলে একা আসেনি। এসেছিল দলের সাথেই। ওখানে গিয়েছে একা। এটা আসলে উচ্ছ মানে বিচ্ছিন্ন কাহিনী।

ভাইয়ের প্রশংসায় লজ্জা পেয়ে গেলুম। 'P

ধন্যবাদ। ;)

১২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩০

পার্থ তালুকদার বলেছেন: মনেহয়নি বাচ্চা কালের লেখা।
শুভকামনা জানবেন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা। :)
মনে না হলে সেটা আমার লেখার জন্যই অনুপ্রেরণার। :)

১৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ভাল লিখসেন ভাই।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ
ও শুভকামনা। ;)

১৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: লেখাটার থিম টা বেশ চমৎকার কিন্তু গল্পে বেশ কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় সচেতন পাঠককে। শেষে যেহেতু বলেই দিয়েছেন বাচ্চা আমলের লেখা তাই সেভাবে আর কোন কথা না বাড়িয়ে, বাচ্চা আমলে যে আপনি ভাল লিখতেন তা বলে চলে গিয়েছি। তবে আপনার বড় বয়সের লেখার নৈপূন্য কিন্তু অসাধারন।
গল্পের শুরুটায় মেয়েটি কেন ভর সন্ধ্যায় এমন একটা জমিদার বাড়িতে হাজির হয়েছিল তার সামান্য বর্ননা থাকলে ভাল হত আর শেষটায় চরম একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। ব্যাক্তির অবচেতন মন তাকে কিভাবে কত কিছু শোনাতে কিংবা দেখাতে পারে। আমি কিন্তু কখনোই আপনার লেখাটির সমালোচনা করছিনা। বাচ্চা বয়সে এমন একটা প্লটকে কেন্দ্র করে একটা গল্পের পরিনতিকে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষনের দিকে ধাবিত করার প্রয়াস সত্যিই প্রসংসার দাবীদার।
আর হ্যাঁ, আমি কিন্তু এখন গল্পটিকে বিশ্লেষন করলাম আমার বড় বেলার জ্ঞান দিয়েই। লিখতে থাকুন। শুভ কামনা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আসলে ব্যাখ্যাগুলো না দিয়ে পাঠকের মাঝে প্রশ্ন জাগিয়ে দিয়েছি পাঠককে নিজে ভাবার জন্য। লেখায় যদি সব জবাব থাকে তাহলে পড়ে অতটা মজা নেই।

আপনি যেমন নিজে থেকে ব্যাখ্যাটা করে নিয়েছেন - এতেই কিন্তু আপনি উপভোগ করেছেন।

আর হরর গল্পগুলোতে ভৌতিক অযৌক্তক অনেক কিছু থাকে - আমি ঐটা আনতে চাইনি। সাধারণ ভাবেই ব্যাখ্যা সম্ভব।

ধন্যবাদ ভাই। এই মন্তব্যটির দরকার ছিল। ;)

১৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পের মধ্যে বেশ জমিদার জমিদার ভাব লাগলো? জমিদার শব্দটা উল্লেখ করেছেন বলে কিন্তু বলছি না! আসলেই গল্পটার স্টাইল তথাকথিত গল্পের স্টাইল থেকে একটু ভিন্ন মনে হলো। গল্পের কিছু অংশ পড়ার পরেই থিমটা হয়তো অনেকেই ধরতে পারবে, তবে আপনার চমৎকার লেখার ধরনে সেটা একটু অন্যরকম ভাল লাগার পর্যায়ে চলে গেছে!


গল্পের শেষে আপনি বলেছেন এইটা আপনার বাচ্চা কালের একটা লেখা। তবে ঠিক কতটা বাচ্চা কালের লেখা সেটা উল্লেখ করেন নি। অবশ্য সেটা আমার জন্য সমস্যা না, তবে কেউ এসে আবার হয়তো জিজ্ঞাসা করতে পারে বাচ্চা কালের লেখা যখন তখন আপনার বয়সটা কত ছিল? সুতরাং সবই যখন বলেছেন, তখন বয়সটাও বলে দিলে কিন্তু ভাল করতেন? :P

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শেষ প্রশ্নটা বেশ বিপদজনক। উত্তরটা হইলো এখন যত তার চেয়ে দুই কম। তখন মাত্রই শুরু করেছি লেখালেখি। কত কী যে মাথায় ঘুরতো! :p

একটু ধারার বাইরেই গিয়ে লিখেছি। একই ধারায় লিখাটা বিরক্তিকর লাগে। ;)

আপনার মন্তব্যে গল্পটাকে যেভাবে বুঝে নিয়েছেন শুনে খুশি হইলাম। ;)

একেকজন একেকভাবে লেখাটাকে গুছিয়ে নিচ্ছে। বাহ নিজেরই নিজের পিঠ চাপড়াতে ইচ্ছে হচ্ছে। B-)

১৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

প্রামানিক বলেছেন: বাচ্চা আমলের লেখা হলেও লেখাটা কিন্তু বাচ্চা নয়। ধন্যবাদ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

বাচ্চা বয়সের লেখা বুঝা যায় না শুনে বেশ লাগলো।

১৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

সাহসী সন্তান বলেছেন: নিজেই কি নিজের পিট চাপড়ানো যায়? এক কাজ করেন, আপনি শুধু শুধু কষ্ট না করে পিঠটা আমার দিকে বাড়িয়ে ধরেন আমি একটু চাপড়ে দেই এইটা বলে যে, 'সাবাস বেটা'......!!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হেহেহে! :D

তবে ভরসা তো নাই - আপনি চাপড় দিবেন না থাপ্পড় দিবেন। :P

১৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

সাহসী সন্তান বলেছেন: সেইটা আপনারে না দিয়ে ক্যামনে বলি? আর আপনিও বা না খেয়ে ক্যামনে বুঝবেন যে, চাপ্পড় দিমু না থাপ্পড় দিমু? :P

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: নামডা সাহসী তো আপনের - কামডাও তো এর ব্যতিক্রম হইবো না...

ঐডা দিয়া ম্যাথমেটিক্যালি হিসাব কইরা বুইঝা লইলা্ম... :P

১৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ভালো লেগেছে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! :)

২০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনি ভাল লিখতেন , এখন আরও ভালো !
শুভকামনা জানবেন ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনার মন্তব্যে তো সাহস আরো বাড়লো।

আমি সিরিয়াসলি ভাবিই নাই - এই লেখা কারো ভাল লাগতে পারে!!!
পুরাই টাশকিত।

ধন্যবাদ ভাই! :)

২১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

নিমগ্ন বলেছেন: বাঃ চাপড়াচাপড়ি চলছে...... B-) :P

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আইসা পড়েন দলে আপনেও। ;)

সিট খালি আছে এখনও!!! :D

২২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০

নিমগ্ন বলেছেন: খাড়ান...... আমার লেখাটা পোস্ট কইর‌্যা আবার আসতাসি...... ;) ;)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বাহ! একমাস একদিন পর আপনার খেয়াল হইলো যে - আপনার একটা পোষ্ট আসলেই দেওয়া দরকার!!!

দ্যান! দ্যান! তাড়াতাড়ি দেন!!! :D

২৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: রক্তিম দিগন্ত ,



বাচ্চা আমলের লেখা হিসেবে মোটেও খারাপ নয় । ভালোই তো হয়েছে, গালি খাবেন কেন ?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! :)

গালি বলতে তীর্যক সমালোচনার কথা বুঝিয়েছি আমি! তীর্যক সমালোচনা খুবই বেদনাদায়ক!! :(

২৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: দারুন লাগলো। বাচ্চাকালেই যে থ্রিল দিলেন, এই বয়সে লিখলে তো মনে হয় রাইতে একা একা পড়তেই পারতাম না ভয়ে। অসাধারণ। হ্যাটস অফ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হাহাহা! বাচ্চাকাল কিন্তু সেই বাচ্চাকাল নয়। লেখালেখির বাচ্চাকাল বুঝিয়েছি। :P

ইদানিং হরর একটা আসছে আসছে করছে। সময় পেলে ঐটাকে ধরতে চেষ্টা করবো। :)

২৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: পরবর্তী হররের অপেক্ষায় থাকলাম। এর মধ্যে নিজের মনের মধ্যে কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে ফেলি।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হাহাহা!!! করেন সাহস সঞ্চয়!! পুরোই আধভৌতিক কিছু আনার চেষ্টা করবো! :P

২৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ ভালোই লিখসিলেন।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: :D থাংকু ভাউ

২৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: ইশ কবে যে এমন একটা বাড়ি দেখতে পাব! খুব ইচ্ছে আমার |
গল্পটিতে দুটি বিষয় মনে গেঁথে গেল, একটি ইট সিমেন্টের সম্পর্ক আর আরেকটি কৌতুহল | আসলেই তো পৃথিবীতে কত রকমের যে সম্পর্ক আছে | কৌতুহলকে দমন করাও খুব কঠিন কাজ |
ভাল লেগেছে পিচ্চি বেলার গল্প |

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ইট-সিমেন্টের গাঁথুনি আমার চমৎকার লাগে। তবে আধুনিকগুলো না। শেওলা পড়ে কালচে হওয়া গাঁথুনিগুলো।

কৌতুহল খুব কৌতুহল উদ্দীপক।

ধন্যবাদ আপু এত পুরোনো লেখাটা পড়ার জন্য। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.