নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় বলার মত কিছু এখনো করতে পারি নি। তাই ঘরটা ফাঁকাই। পরিচয় অর্জন করতে পারলে আমি যোগ করে দিব।

রক্তিম দিগন্ত

Life is all about a thrill.

রক্তিম দিগন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালোপাথর

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯



এক.

এলাকাটায় এসেছে বেশিদিন হয়নি নাফিসের। তাই বন্ধু বা পরিচিত মানুষের সংখ্যাটাও কম। অবসর টাইমটা সে কাটায় নদীর পাঁড়ে থাকা একটা বেঞ্চে বসে। একাই থাকে, তবে মাঝে মাঝে তাকে সঙ্গ দিতে আসে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে হওয়া একমাত্র বন্ধু ইরফান।

অবশ্য নাফিস এসব নিয়ে ভাবে না। তার একা থেকে অভ্যাস ছোট বেলা থেকেই। বাবা সরকারি চাকুরীজীবি হওয়ায় কয়েকবছর পরপরই জায়গা বদল করতে হয় নাফিসদের। এসব কারণেই গুটি কয়েক নামধারী বন্ধু হলেও ঘনিষ্ঠ কোন বন্ধু হয় নি তার।

সময় কাটানোর জন্য বই পড়ে। বলতে গেলে তার জীবনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এই বই। রহস্যের গল্পের পোকা। রহস্য গল্প পড়তে পড়তে ওর মাথা সারাক্ষনই পড়ে থাকে রহস্যের ভিতরে। এই যেমন এখন ভাবছে তার ক্লাসে পড়া মেয়ে ইরাকে নিয়ে। ইরা মেয়েটা দেখতে সুন্দর, ছাত্রী হিসেবে ভাল হলেও ক্লাসের অন্যান্য সবাই তার কাছ থেকে কেন জানি দূরে দূরে থাকে। পারতঃপক্ষে কেউ ওর সাথে কথাও বলে না। এর মাঝে অবশ্যই কোন রহস্য আছে এমনটাই ধারনা নাফিসের।

বেশিক্ষন বসে থাকতে পাড়ল না বেঞ্চটাতে। মাথায় একবার কিছু ঢুকে গেলে সেটা আর সহজে বের হয় না নাফিসের। এখন ইরাকে সবাই কেন দূরে দূরে রাখে, সেটাই নাফিসের জানার ইচ্ছা প্রবল। হয়তো অন্যরা জানে, কিন্তু নাফিস তো ইরফান ব্যাতিত আর কাউকে চিনেও না। ইরফানের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। বেঞ্চ থেকে উঠে ইরফানের বাসার উদ্দেশ্যে হাঁটা দিল।

****

এনএফএস মোষ্ট ওয়ান্টেড গেমের একটা রেসের একদম শেষের দিকে। একজনের পিছনে আছে এখন ইরফান। স্টার্টিং বাজে হওয়ায় পিছিয়ে গেছে অনেকটা। এগিয়ে যাবে যাবে এই মুহুর্তেই পিছন থেকে ডাক শুনল। ঘুরে দেখে নাফিস। পাত্তা না দিয়ে গেমের দিকে নজর ফেরাল, কিন্তু ততক্ষনে যা ঘটার ঘটে গেছে। অর্থাৎ ইরফান হারল। রাগে গজ গজ করতে তাকাল নাফিসের দিকে।

‘আরেকটু পর ডাক দিতে পারলি না, তর জন্যই রেসটা হারলাম।’
‘রেসের কথা রাখ তো। সিরিয়াস কথা আছে তোর সাথে।’
‘সিরিয়াস কথা। শার্লক হোমস হতে চাচ্ছিস?’ ইরফান নাফিসের সবকিছুতেই রহস্য খোজার বাতিকটা সম্পর্কে জানে।
‘বলতে পারিস। আচ্ছা ইরা মেয়েটার সাথে সবাই এমন করে কেন?’
‘কেমন করে? ওর সাথে কেউ কথাই বলে না।’
‘সেটাই বলতে চাচ্ছি। কেন ওকে সবাই এত এড়িয়ে চলে?’
‘ও তুই তো নতুন তাই জানিস না। ইরা মেয়েটা আসলে ভূতুড়ে।’
‘ধূর কি বলছিস এসব?’
‘আগে শোন পুরাটা।’ ইরার কাহিনী বলা শুরু করল ইরফান।

“গতবছর ওকে আমাদের ক্লাসেরই রাশেদ নামের একটা ছেলে প্রপোজ করে। জানিসই তো ইরা দেখতে সুন্দরী, ভাল ছাত্রী্, বুদ্ধিমতিও। যে কেউই চাইবে ইরাকে তার গার্লফ্রেন্ড করতে। গতবছর ওকে আমাদের ক্লাসেরই রাশেদ নামের একটা ছেলে প্রপোজ করে। রাশেদকে সরাসরি মানা করে দেয় ইরা। আজব ব্যাপার হল এরপরের দিন থেকেই রাশেদ নিঁখোজ।”

‘শুধু এইটুকের জন্যই ভূতুড়ে? সবাই ওকে এড়িয়ে চলে?’ ইরফানের কথা থেকে তেমন কিছু রহস্যজনক না পাওয়ায় নাফিস কিছুটা আশাহত হল।
‘শোন আগে পুরোটা।’ আবার বলা শুরু করল ইরফান।

“এর কয়েকদিন পর মামুন ইরাকে প্রপোজ করে। আশ্চর্যজনক ভাবে এর পরের দিন থেকে মামুনও নিঁখোজ। যাই হোক এর পর আর কেউ ইরাকে প্রপোজ করেনি। একবার নিলয় ইরার সাথে একটু মজা করেছিল, অবশ্য ইরা ব্যাপারটায় বেশ সিরিয়াস হয়ে গিয়েছিল। পরেরদিন নিলয় নিঁখোজ। নীলিমা একবার একটা বিষয়ে ইরার থেকে বেশি মার্কস পেয়েছিল। পরেরদিন নীলিমাও নিঁখোজ।”
‘আজব তো। মানে যার কারনে ইরার মন খারাপ হয়েছে, এরপরই সে নিঁখোজ হয়ে গেছে।’ মজা পেয়ে গেছে নাফিস। ‘পরে বল।’

‘পরে আরকি গত বছর প্রায় ছয়জন নিঁখোজ হয়ে গেছে আমাদের ক্লাস থেকে। হ্যা তুই যা বলেছিস তাই। কারও কারনে ইরার মন খারাপ হলেই সে নিঁখোজ হয়ে গেছে। এই কারণেই তাকে ভূতুড়ে বলা হয়। তার সাথে কথাও বলে না এই ভয়ে যদি ইরার আবার মন খারাপ হয়।’
‘হুম, বুঝলাম। এদের কাউকেই কি খুজে পাওয়া যায় নি?’
‘না। সব একেবারে গায়েব।’

ভাবনার ঝড় শুরু মনে নাফিসের মাথায়। যারা নিঁখোজ হয়েছে তারা কি বেঁচে আছে না মেরে ফেলেছে কেউ?


দুই.

ডায়েরিতে লিখে রাখছে ইরার ‘ভুতুরে ও নিঁখোজ হওয়া’র রহস্যটা।

যারা এখন পর্যন্ত নিঁখোজ হয়েছে তাদের সবার নাম এবং নিঁখোজ হওয়ার আগে ইরার সাথে তাদের ঘটা ঘটনা গুলো লিখল। ভিক্টিম এখন পর্যন্ত ছয়জন। তাদের মধ্যে দুইজন মেয়ে (নীলিমা ও রেশমা) এবং ছেলে চারজন (রাশেদ, মামুন, নিলয়, রাহাত)। সাসপেক্ট এর তালিকাটা খালি। কারন সন্দেহ করার মত কেউ নেই।

রাত বাড়ছে। সাথে সাথে ভাবনাটাও বাড়ছে নাফিসের। নিঁখোজ হওয়ার পর ছয়জনকে কি করেছে? মেরে ফেলেছে? না কোনও জায়গায় বন্দী করে রেখেছে?

****

ক্লাসের মধ্যেও নাফিস এটাই চিন্তা করছে। মনোযোগটা রহস্যের মধ্যে এতটাই দিয়েছে ইরফানের ডাকছে সে দিকে খেয়ালই নেই। বাস্তবে ফিরল ইরফানের হাতের কিল পিঠে পড়ায়।

‘শার্লক হোমস! রহস্যের কোন কূল কিনারা পেলি।’
‘এখনও ভাবছি। ওদেরকে খুব সম্ভবত মেরেই ফেলেছে।’
‘তুই শিওর কিভাবে?’
‘শেষ নিঁখোজ হয়েছে রেশমা। প্রায় চারমাস আগে। এখনও বেঁচে থাকলে তাকে পাওয়া যেত এতদিনে। কারণ, যে কাজটা করছে সে কাছেরই কেউ। খুব সম্ভবত আমাদের ক্লাসেরই।’
‘কি বলিস তুই?’ চোখ বড় বড় হয়ে গেছে ইরফানের।
‘হুম, ক্লাসেরই কেউ। কারণ হারিয়ে যাওয়ার আগে সবার সাথে যে ঘটনা গুলো ঘটেছে তা শুধু ক্লাসেই হয়েছে। না ক্লাসের বাইরেও ঘটেছে?’
‘না। ক্লাসেই ঘটেছে।’
‘তারমানে ক্লাসেই কেউ আছে যে সে চায় না ইরা কোন কারনে মন খারাপ করুক। কেউ ইরার মন খারাপের কারন হলেই তাকে নিঁখোজ মানে মেরে ফেলছে।’
‘তুই তো পাক্কা গোয়েন্দারে। তা কে সেই পাপি?’
‘এটা বলা কঠিন। কারণ ক্লাসে কারও সাথেই তো ইরার কথা বলতে দেখলাম না। আগে কাদের সাথে বেশি খাতির ছিল ই……’ ইরাকে হঠাৎ একটা ছেলের সাথে কথা বলতে দেখে থেমে গেল সে।

নাফিসের পরিবর্তনটা চোখে পড়ল ইরফানের। ঘুরে দেখল কি জন্য নাফিস থেমে গেছে। ইরার সাথে কথা বলছে রাজু।

‘ছেলেটার নাম রাজু।’ নাফিসের জিজ্ঞেস করার আগেই বলল ইরফান। ‘ক্লাসের একমাত্র রাজুই ইরার সাথে কথা বলে।’

ইরফানের সাথে আরও কথা বলে জানতে পারল রাজুর সাথে আগে থেকেই সম্পর্ক ভাল ইরার। নিঁখোজ হওয়ার ঘটনাটার পরও রাজু ইরার সাথে কথা বলে গেছে। নাফিসের মুখে একটা বাকা হাসি চলে এসেছে। সন্দেহভাজনের তালিকায় একটি নাম যুক্ত করা যায়। রাজু। রাজুর উপর নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিল।

****

স্কুল টাইম শেষ। সবাই যার যার বাসার দিকে যাচ্ছে। শুধু নাফিস ছাড়া।

‘হাই, ইরা।’
‘হাই। বাসায় যাওনাই এখনও?’
‘মাত্র তো ছুটি হল। আস্তে ধীরে যাব। তোমার সাথে তো স্কুলে কথাই হয় না, তাই ভাবলাম তোমার সাথে কথা বলতে বলতে যাই আজ।’
‘স্কুলে তো আসলে কেউই আমার সাথে কথা বলে না।’ ইরার কথায় অভিমানের সুরটা স্পষ্ট।
‘হ্যা। জানি ঘটনাগুলো। আগে পরিচয় করাই আমাকে।’
‘তুমি নাফিস। এসেছ বেশ কিছুদিন হল।’
‘তুমি জানলা কি করে? কখনও বলা হয় নি তোমাকে?’
‘বারে, একই ক্লাসে পড়ি আর এটা জানব না।’
‘হ্যা। তা তো অবশ্যই। আসলে আমি তো জানতাম যে ক্লাসে কেউই তোমার সাথে ঠিকমত কথা বলে না।’
‘না বললেও শুনেছি।’

হয়ত রাজুর কাছে শুনেছে ভাবল নাফিস। ইরাকে কিছু প্রশ্ন করতে চাচ্ছিল, কিন্তু কিভাবে করবে বুঝতে পারছে না।

‘আসলে আমার সাথে ঝগড়া হওয়ার পর ছয়জনের মারা যাওয়াটা আমাকে সবার কাছেই ভুতুরে বানিয়ে দিয়েছে। সবাই ভয় পায় আমার সাথে কথা বলতে।’ এই প্রসঙ্গটাই তুলতে চাচ্ছিল নাফিস। তার আগেই ইরা তুলে ফেলেছে। অবশ্য ইরার অভিমানের সুরটা কান্নার সুরে বদলে যাচ্ছে।
‘সবাই কিন্তু ভয় পায় না তোমাকে। এই যেমন আমি পাই না আর…’
‘আর কে?’
‘রাজুও ভয় না তোমাকে।’
এই কথায় কাজ হল। একটু হাসি ফুটল ইরার মুখে।
‘হ্যা। রাজু ভয় পায় না। একমাত্র রাজুই আমার সাথে কথা বলে। এই ঘটনা গুলো ঘটার পর হয়তো রাজু না থাকলে হয়ত আমার বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যেত।’
‘আসলেই। কঠিন মুহুর্তগুলোতে কারো সহায়তা না পেলে জীবন অর্থহীন হয়ে পড়ে।’
‘হুম। আমার বাসা তো এসে গেছে প্রায়।’
‘কোনটা তোমার বাসা?’
‘ঐটা।’

আঙুল দিয়ে একটা ধূসর সাদা বাসার দিকে ইশারা করে ইরা। যদিও জায়গাটা থেকে তার বাসা আরও বেশ দূরে। নাফিস বুঝল যে এখন আর কথা বলতে চায় না ইরা। চলে আসল ওখান থেকে।

****

রাতে ডায়েরিটাতে লিখে রাখছে। সাসপেক্ট রাজু। রাজুর উপর কড়া নজর রাখতে হবে এখন থেকে ভাবছে নাফিস। ইরার সাথে কথা বলার সময়ও তার কিছুটা আজব লেগেছে। ইরার আবেগিত হওয়াটা তার কাছে কেমন যেন খাপ ছাড়া লেগেছে।

তিন.

রাজুর উপর প্রতিদিনই নজর রাখছে নাফিস। মনে করেছিল হয়ত সন্দেহজনক কিছু দেখতে পাবে। হতাশ হতে হয় তাকে। রাজুর কোন কাজই সন্দেহজনক না। নিয়মিত স্কুলে আসে, ক্লাস করে, ক্লাস শেষে বাসা, বিকেলে হালকা খেলাধুলা। নাহ, রাজুকে সন্দেহভাজনের তালিকা থেকে বাদ দিতেই হচ্ছে নাফিসের। যদিও তার খুতখুতে মন তা চাইছে না। তার মনে হচ্ছে রাজু এই রহস্যের মধ্যে কোনভাবে যুক্ত আছে।

****

ঐদিকে নিজের অজান্তেই কেন জানি নাফিস ইরার উপর নজর রেখেছিল। চাইছিল, এমন কিছু জানতে পারবে যা থেকে সহজেই রহস্যটা উদঘাটন করা যাবে। কিন্তু হতাশই হতে হয় শুধু রাজুকে।

ইরাদের বাসার ঠিক সামনেই একটা চায়ের টঙ থাকায় নাফিসের নজর রাখতে সুবিধা হয়।

ইরাকে ক্লাসে দেওয়া নামের মতই ইরাদের বাসাটাও ভুতুরে। পুরো বাড়িটাই গাছপালায় ঘেড়া, কেমন জানি একটু অন্ধকার। রঙ অনেকবছর যাবৎ না করায় বাড়িটা রঙচটা হয়ে গেছে। দোতালা বাসা। ইরারা দোতালায়ই থাকে। একতালায় আজ অবধি কেউ থাকেনি বলেই সে শুনল দোকানটা থেকে। দোকানটা থেকে ইরার রুমের সামনের বারান্দাটা দেখা যায়। ইরা বেশির ভাগ সময় বারান্দাতেই কাটায়।

বেশ কিছুদিন নজর রাখার পরও নাফিস তেমন কিছু দেখতে পেল না। তবে হঠাৎ একদিন খেয়াল করল, ইরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকে ঠিকই কিন্তু তাকিয়ে থাকে একটি নির্দিষ্ট জায়গার দিকে। নাফিসের মনে প্রশ্ন জাগে কি আছে ঐ জায়গাটাতে?

****

একদিন ক্লাসে ঢুকেই দেখে কোন একটা কারণে ইরা আর রাজু ঝগড়া লেগেছে। নাফিসের বুঝতে পারল যে, কালকের খবর হবে রাজু নিঁখোজ। রাজুর উপর নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিল।

ক্লাস শেষে বাসায় গেল রাজু। পিছু পিছু গিয়ে নাফিসও ঘাপটি মেরে রইল রাজুদের বাসার একটা ঝোপে। বিকেল পর্যন্ত এভাবেই বসে আছে নাফিস, কিছু ঘটার নামগন্ধও নেই। নাফিস উঠে যাবে কিনা ভাবছে, এই সময়ই দেখল রাজু হন্তদন্ত হয়ে ছুটে যাচ্ছে। তারমানে রাজু নিঁখোজ হল, নাফিসের ভাবনা এটা।

ঝোপ থেকে বেরিয়ে রাজুদের বাসায় গেল। দরজা খুলল রাজুর মা।

‘কি চাও?’ বিরক্তভরে রাজুর মায়ের প্রশ্ন।
‘আন্টি আমি রাজুর ক্লাসমেট নাফিস।’
‘ও বাবা চিনতে পেরেছি। রাজু বলেছে তোমার কথা।’ রাজুর মায়ের মুখে আন্তরিক হাসি এসেছে একটা। ‘কিন্তু বাবা ও তো বাসায় নেই। বেরিয়ে গেল মাত্র।’
‘ওহ! বই নিতে এসেছিলাম একটা। আসবে কখন আন্টি?’
‘তা তো জানিনা। একটা ফোন আসল, কিছুক্ষন চেচামেচি করে বেরিয়ে গেল। আসবে হয়ত সন্ধ্যার আগেই। ’

যা জানার জানা হয়ে গেছে নাফিসের। রাজু যে আর কখনও আসবে না তা আর বলল না রাজুর মাকে। ধন্যবাদ দিয়ে চলে আসল।

চার

রাজু নিঁখোজ। সবারই জানা হয়ে গেছে মোটামুটি। ইরার সাথে ঝগড়ার পরেই এই ঘটনা ঘটায় সবাই ইরাকে আরও দূরে ঠেলে দিয়েছে।

নাফিস এখনও নিশ্চিত এটা তাদের ক্লাসেরই কারো কাজ। সে সাইকো কিলারের কথা ভাবছে। হয়ত ইরাকে সে মনপ্রান দিয়ে ভালবাসে, তাই ইরার উপর কেউ কোন আঘাত হানলে তাকে সরিয়ে দেয়।

হয়ত ইরার সাথে কথা বললে ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার হবে। তবে নাফিসের ধারনা রহস্যটা ইরাদের বাসায়ই। ইরার বাসায় যে কোন ভাবেই যেতে চায়।
কপাল ভাল নাফিসের। পরদিন ক্লাস টেস্ট থাকায় ইরার বাসায় যাওয়ার একটা সুযোগ আসে তার।

‘ইরা।’
‘আমার সাথে কথা বলবা না আর। আমি ভূতুড়ে।’
‘ধুর কি আজব কথা বল। আমি ভয় পাই না ওসব।’
‘সত্যি?’ বিশ্বাস করতে পারছে না ইরা। ‘বল তাহলে কেন ডাকলা?’
‘ইয়ে মানে কাল তো পরীক্ষা। আমার নোট পত্র তেমন কিছুই করা হয় নি। তোমার নোট খাতাটা কি দেওয়া যাবে?’
‘তোমাকে দিলে আমি পড়ব কিভাবে?’ অবাক হয় ইরা।
‘এখন দাও। বিকেলে তোমার বাসায় গিয়ে ফেরৎ দিয়ে আসব।’
ইতস্তত করছে ইরা। দিবে কি দিবে না ভাবছে।
‘আচ্ছা থাক। না চাইলে আর দিতে হবে না।’
‘আচ্ছা নাও। বিকেলে দিয়ে আইস বাসায়।’ ব্যাগ থেকে নোট বের করে নোট দিল ইরা।

****

ইরাদের বাসাটা বাইরে যতটা ভূতুড়ে লাগত। ভিতরে তার চেয়েও বেশি ভূতুড়ে। গাছের পাতা জমতে জমতে পুরুত্ব অনেক হয়ে গেছে। জায়গায় জায়গায় শ্যাওলা জন্মেছে। স্যাতস্যাতা একটা গন্ধ নাকে লাগছে নাফিসের। নোট ফেরৎ দিতে এসেছে সে।

নক করল। গেট খুলল গেটটা মধ্যবয়স্ক লোক। ইরার বাবাই হবে হয়তো।
জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে নাফিসের দিকে লোকটা।

‘আমি ইরার ফ্রেন্ড নাফিস। ওর নোট নিয়েছিলাম ফেরৎ দিতে এসেছি।’
‘আস। ভিতরে আস।’ লোকটা বলল।

নাফিস ভিতরে ঢুকল। ভিতরে ঢুকে রীতিমত অবাকই হল। যেই দিকে তাকায় শুধু বই আর বই। কত রকমের বই যে আছে তার হিসাবটা সে জানে না। বই এর নাফিসের অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকাটা লক্ষ্য করল লোকটা।

‘আমি ইরার বাবা সেলিম হায়দার। আধিবাসীদের উপর রিসার্চ করি।’ ইরার বাবা পরিচয় দিলেন।
‘এইখানে সব বই কি আধিবাসীদের নিয়ে?’
‘হ্যা। ইয়াং ম্যান। অনেক বছর যাবৎ রিসার্চ করছি। মাঝখানে অবশ্য বেশ কয়েকবছর বন্ধ করে দিয়েছিলাম ইরার মা মারা যাবার কারণে। এখন আবার শুরু করলাম নতুন করে।’
‘বেশ ইন্টারেস্টিং তো। কি নিয়ে করছেন এখন রিসার্চ?’
‘রাঙামাটির একটা আধি……’
‘আহ! বাবা, থাম তো। যাকে পাও তার সাথেই শুরু কর এইসব।’

ইরার কথায় থেমে গেলেন সেলিম সাহেব। নাফিসকে ইরার রুমে যেতে বলল।

ইরার রুমেও বইয়ে ভরা। বইয়ের থেকে অবশ্য নাফিসের এখন জানার মুখ্য বিষয় হল বারান্দায় দাঁড়িয়ে কি দেখে সেটা। ইরা নিজে থেকেই বারান্দায় বসে চা খাওয়ার আমন্ত্রন জানানোয় তার কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়।

বারান্দায় গিয়ে দেখার চেষ্টা করছে এমন কি আছে? কিছুই চোখে পড়ছে না তার একটা কুয়া ছাড়া। একটা টিনের চালা দিয়ে কুয়ার মুখটা বন্ধ করা। না, দেখার মত কিছুই নেই। হতাশ হল নাফিস।

চা খাওয়ার পর্ব শেষে ফিরার সময় ইরার পড়ার টেবিলে একটা বই দেখল নাফিস। ‘The secret power of Magajatik tribes’ নাম বইটার। এই বইয়ে কি এমন আছে এই বইতে যে পরীক্ষার আগের দিন এইটা পড়তে হবে? থাক আর বেশি না ভেবে বেরিয়ে আসল নাফিস।

****

ইরফানকে কয়েকটা কাজ দিয়েছিল নাফিস। কাজটা হল যারা নিঁখোজ হয়েছে তাদের সবাই কি ফোন পেয়েই বাসা থেকে বের হয়েছিল কিনা? সবাই ফোন পেয়েই বের হয়েছিল। কিন্তু কেউই ব্যাপারটা সিরিয়াসলি না নেওয়ায় আর পুলিশকে জানায়নি। তাই নিঁখোজ রহস্যটা রহস্যই হয়ে আছে এতদিনেও।

অবশ্য নাফিসের তাতে খুব একটা বেশি সুবিধা হয়েছে তা না। বরং একটু জটিল হয়ে গেছে আরও তার জন্য। নিঁখোজ রহস্যটা গোলক ধাঁধাঁর মত ঘুরাচ্ছে নাফিসকে। যেখান থেকে শুরু করেছিল ঐখানেই এখনও।

****

মাথাটা ক্লিয়ার করার জন্য ফেসবুকে ঢুকল নাফিস। ইরার আইডিতে গেল। দেখল কাল ইরার জন্মদিন।

ফেসবুকেও তেমন একটা মজা না পেয়ে বের হয়ে গেল। ল্যাপটপ শাট ডাউন করবে এই মূহুর্তে তার মনে পড়ল ইরার বলা একটা কথা। নেটে ঢুকে সার্চ দিল। কিছুক্ষন দেখার পর মুখে হাসি আসল একটা নাফিসের। কেস সলভড। কাল ইরার জন্মদিন। কোন সন্দেহ নেই, একদম মিলে গেছে।

ইরফানকে ফোন করে কিছু নির্দেশ দিয়ে নাফিস ছুটল ইরার বাসার দিকে।

পাঁচ

দিনের বেলাতেই জায়গাটা ভূতুড়ে লাগছিল নাফিসের। রাতে দুই একটা ভূত দেখলেও সে অবাক হবে না। অবশ্য সে ভূতই দেখতে এসেছে এখানে।

কুয়াটার কাছে গেল। দিনের বেলা চোখে না পড়লেও এখন তার চোখে পড়ল। কুয়ার ইট আর দেয়াল অনেক পুরোনো হলেও টিনের চালাটা এখনও নতুনের মত। আরেকটূ ভাল করে দেখায় বুঝতে পারল, টিনের চালাটা নিয়মিত জায়গা থেকে সরানো হয়। মানে কুয়াটাকে অচল মনে হলেও, আসলে হয়ত এর ভিতরেই সচল আছে নিঁখোজ রহস্যটা।

‘নাফিস। এতরাতে এখানে কি কর?’ ইরার কন্ঠ শুনে পিছনে ফিরল নাফিস।
‘না কিছুনা। নিঁখোজ রহস্যটার সমাধান করে ফেলেছি।’ শীতল কন্ঠে বলল নাফিস।

****

যখন জ্ঞান ফিরল নাফিসের, হাত-পা চেয়ারে বাঁধা অবস্থায় আবিষ্কার করল নিজেকে। পিছন থেকে মাথায় কিছু একটার আঘাতে জ্ঞান হারিয়েছিল সে। চোখ খুলে প্রথমে সব ঘোলাঘোলা দেখতে পেল। আস্তে আস্তে দৃষ্টিশক্তি পুরোটাই পেল। অজ্ঞান অবস্থায় রাজুকে বাঁধা অবস্থায় দেখল। তারই মত রাজুকেও চেয়ারে বেঁধে রাখা হয়েছে।

ইরা দাঁড়িয়ে আছে সামনে একটি গজাল আর কালপাথর নিয়ে। এটাই আশা করেছিল নাফিস। রাজুর দিকে এগিয়ে ইরা। সেলিম হায়দার সাহেবও আছেন রুমে। হাতে একটি কাঁটার জন্য যন্ত্র। খুব সম্ভবত ধারালো কোন করাত।

রাজুর কপালের মাঝখানে গজালের চোখা অংশ এক হাতে ধরে আরেক হাতে পাথর দিয়ে মারতে যাবে, এইসময় নাফিস বলে উঠে, ‘লাভ নেই ইরা। পুলিশ এসে যাবে কিছুক্ষনের মধ্যেই।’

নাফিসের কথায় থমকে গেল ইরা। ‘পুলিশ এসে খুজে পেলে তো?’
‘হুম। পাবে। আমার মোবাইলে জিপিএস অন করা আছে।’ প্রমানস্বরুপ পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে দেখতে বলল ইরার বাবাকে।

ইরার বাবা মোবাইল দেখে ইরাকে জানায় আসলেই জিপিএস অন করা। কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে গেল ইরা। কি করবে এখন সে? ইতস্তত করে গজাল আর পাথরটা রেখে দিল।

‘তুমি বুঝলা কিভাবে?’ ইরা জিজ্ঞেস করল।
‘তোমার টেবিলে রাখা বইটা দেখে আর তোমার বাবার আধিবাসীদের উপর রিসার্চ করার কথা শুনে।’ শান্ত কন্ঠে বলল নাফিস।

ইরা তার বাবার দিকে তাকিয়ে, ‘আগেই বলেছিলাম। এইসব ব্যাপারে বেশি কথা না বলতে। দিলা তো বলে।’

সেলিম হায়দার কিছুটা বোকা বনে গেছে। কিছুক্ষন চুপ থাকার পর ইরা আবার বলা শুরু করল।

‘যাই হোক খুজে পাবে না আমরা কোন রুমে আছি। রাজুর সাথে সাথে তোমাকেও শেষ করে প্রমান করে ফেললেই আর আমাদের কোন বিপদ নেই। পুলিশ কখনও এই রুম খুজে পাবে না।’

‘এইটা তোমার রুমের পাশের রুমটা না? যেটার দরজা হল তোমার ঘরে থাকা আলমারীটা?’ ইরাকে জিজ্ঞেস করল নাফিস।

ইরার চুপ থাকা থেকেই বুঝল তার অনুমান সঠিক। ‘হুম। আমি এটা আগেই আন্দাজ করেছিলাম।’

ইরা আর কিছু না শুনে গজাল আর পাথর নিয়ে ছুটে গেল রাজুকে মারতে। ‘এখন আর লাভ নেই। সময় শেষ আগেই।’

ঘড়ি দেখল ইরা। ১২.০৭। সময় আরও সাত মিনিট আগেই শেষ। আর কিছু করার নেই ইরার।

ধরা না পড়ার শেষ চেষ্টা করল ইরা। ‘বাবা, এদের বাঁধন খুলে দাও। ড্রয়িং নিয়ে গিয়ে বস। পুলিশ আসলে প্রমান চাইবে, আর এদের কাছে কোন প্রমান নেই। আমাদের ধরা পড়ার ভয়ও নেই।’

‘কুয়ার ভেতরে মাথা কাটা বডি গুলো আর তোমার বিছানার নীচে ছিদ্র করা খুলি গুলো আছে না?’ আবার বোমা ফাটাল যেন নাফিস।

ইরা গজালটা হাতে নিয়ে ছুটে আসতে চাইছিল নাফিসের দিকে। কিন্তু এর আগেই পুলিশ এসে বাধা দেয় ইরাকে।

****

পুলিশ হেডকোয়ার্টারে নিয়ে আসা হয়েছে ইরা ও তার বাবা সেলিম হায়দারকে। সাথে এসেছে নাফিস, ইরফান ও রাজু।

পুলিশপ্রধান সেলিম হায়দারকে উদ্দেশ্য করে, ‘শুরু করুন। কেন এসব করেছেন? এসবের মানে কি?’

সেলিম হায়দার চুপ করে আছেন। বলতে চাচ্ছেন না হয়ত। নাফিস এগিয়ে এসে বলল, ‘আংকেল, আপনি বলতে না চাইলে আমি বলি। ভুল বললে শুধু ঠিক করে দিয়েন।’

পুলিশ প্রধানের অনুমতি নিয়ে বলা শুরু করল নাফিস।

‘কয়েকবছর আগে সেলিম হায়দার সাহেব গিয়েছিলেন রাঙামাটিতে। উনি বলেন উনি আধিবাসীদের নিয়ে রিসার্চ করেন। কিন্তু আসলে তা নয়। তিনি আধিবাসীদের নিয়ে কৌতুহলী। যা বলছিলাম, রাঙামাটি গেলেন। ওখানে যেয়ে ‘মগজাতিক’ আধিবাসীদের সাথে কয়েকদিন ছিলেন। বই এ পড়ে ছিলেন যে, ‘মগজাতিক’ আধিবাসীদের মধ্যে একটা গল্প চালু আছে তা হলো একটি কালোপাথর নিয়ে। কালোপাথরটা লুকানো ছিল অনেকদিন। সেলিম হায়দার সাহেব পাথরটা খুজে বের করেন। কিন্তু এরপর শুরু হয়ে যায় পাথরটা নিয়ে দ্বন্দ্ব। পাথরটা সেলিম হায়দার সাহেব দিতে চান না, আর ঐ আধিবাসী গোষ্ঠীও পাথরটা ছাড়তে চান না। এই দ্বন্দ্বের ফলে মারা যান ইরার মা।’

অবাক দৃষ্টিতে নাফিসের দিকে তাকিয়ে আছেন সেলিম হায়দার। ছেলেটা একটা কথাও ভুল বলেনি।

পুলিশপ্রধানও বোকা হয়ে আছে। ‘কালোপাথরের কি এমন গুন যে ওটার জন্য এতকিছু?’

‘বলছি সে কথা। কালোপাথরটাকে মনে করা হয় ‘মগজাতিক’ উপজাতির প্রাচীন নিদর্শন। পাথরটায় নাকি তাদের সাতজন শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিমান মানুষের রক্ত লেগে আছে বলে গুজব আছে।’

সবাই নাফিসের কথা মন দিয়ে শুনছে।

‘যাই হোক, স্ত্রী হারানোর শোকে মানষিক ভারসাম্য হারান সেলিম হায়দার। ইরা তখন ছোট ছিল। মা নেই, বাবা পাগল প্রায়। তাই সে বাবার সব বই পড়েছে। যদিও তার বিশ্বাস হয়নি তারপরও সে দেখতে চাচ্ছিল যে এটা সত্য নাকি শুধুই রূপকথার গল্পের মত। আর কালোপাথরটা তার বাবার কাছে থাকায় সে সহজেই ওটা নিয়ে নেয়। এটা অনেকটা এরকম যে, এই পাথরটার সাহায্যে যে কোন চোখা বস্তু দিয়ে যদি সাতটা মানুষের খুলি ছিদ্র নিজের কাছে রাখে তাহলে সে ঐ প্রাচীন সাত ‘মগজাতিক’ এর বুদ্ধি আর সাহস পেয়ে যাবে। এটার আরেকটা প্রধান শর্ত হল, এই কাজটা শুরু করার এক বছরের মাঝেই শেষ করতে হবে। ইরাও তাই করল। তার জন্মদিনের দিন সে রাশেদকে দিয়ে শুরু করল। আস্তে আস্তে সংখ্যাটা বাড়াচ্ছিল কিন্তু তার ভুল ছিল একটাই সে তার সাথে যাদের সামান্য একটূ কথাকাটাকাটি হত তাদেরকেই শিকার করত। এর কারনে আরেকটু হলেই ব্যার্থ হয়ে যাচ্ছিল। রাজুর সাথে জোর করে ঝগড়াটা না করলে তার বুদ্ধিমান হওয়ার আশাটা নষ্ট হয়ে যেত। গত বছর এই দিনেই সে রাশেদকে দিয়ে কাজটা শুরু করেছিল, আজ শেষদিন ছিল কাজটা করার।’

‘তুমি কিভাবে বুঝলে যে, ইরাই কাজটা করছে?’ পুলিশপ্রধানের প্রশ্ন।

‘ইরার সাথে যেদিন প্রথম কথা হয়েছিল সেদিন সে বলেছিল ‘আসলে আমার সাথে ঝগড়া হওয়ার পর ছয়জনের মারা যাওয়াটা আমাকে সবার কাছেই ভুতুড়ে বানিয়ে দিয়েছে’। তখন কথাটা বুঝিনি। কিন্তু সে কিভাবে জানল যে ছয়জন মারা গেছে, পরে তার টেবিলের উপর রাখা বই, কালোপাথর, তার জন্মদিন, রাশেদের নিঁখোজ সব মিলিয়ে বুঝতে আর দেরি হল না। তবে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে এটা।’ একটা ডায়েরি বের করে দেখাল। ইরার ডায়েরি।

‘এটা ইরার বাসা থেকে মেরে দিয়েছিলাম। মনে হুচ্ছিল এটায় হয়ত রহস্যটার সম্পর্কে কিছু জানতে পারব। এইখানেই জানতে পারলাম কোন রুমে কিভাবে কি করে, লাশ গুলোর কি করে।’

‘কিন্তু সে সবাইকে তার বাসায় নিয়ে গেল কিভাবে? যারা নিঁখোজ হয়েছিল তাদের সবাই কিন্তু নিজ ইচ্ছায় ঘর থেকে বেরিয়ে ছিল। এমনকি রাজুও।’ আবারও প্রশ্ন পুলিশপ্রধানের।

‘হ্যা এটা রাজুই বলুক।’
‘আমাকে ফোন করে বলল যে, স্কুলে আমার সাথে যা হয়েছে তার জন্য সে সরি। আমি রেগে ছিলাম তাই প্রথমে মানতে চাই নি। পরে বলল বাবার শরীর নাকি খারাপ। হাসপাতালে নিতে হবে। আমার সাহায্য দরকার। আমাকে তাদের বাসায় যেতে বলল।’ বলল রাজু।

‘হ্যা সে সবাইকেই এইভাবে প্রথমে সরি বলেছে। যারা সহজে মেনে নিয়েছে তাদেরকে বাসায় যেতে বলেছে, ট্রীট দেবে বলে আর যারা মানেনি তাদের কাছে বাবার অসুস্থতার কথা বলেছে। এটা পড়লেই সব ক্রিস্টাল ক্লিয়ার হয়ে যাবে আপনার।’ বলে ইরার ডায়েরিটা পুলিশপ্রধানের হাতে তুলে দেয় নাফিস।

ডায়েরিটা হাতে পুলিশপ্রধান, ‘মেয়ের বুদ্ধি আছে কিন্তু গুজব বিশ্বাস করে ছয়জন মানুষ হত্যা করা চরম বোকামি হয়েছে। আর তার বাবা আসলেই মানসিক বিকারগ্রস্ত, নাহলে কেউ নিজের স্ত্রী বিসর্জন দেয় গুজবের জন্য, মেয়েকে গুজব সত্য করার অনুপ্রেরনা দেয়।’
‘সাইকো ফ্যামিলি।’ বলে নাফিস, ইরফান, রাজু উঠে দাঁড়ায়।

‘আচ্ছা পুলিশ যে কেস সলভ করতে পারল না, সেটা তুমি অল্প কয়েকদিনে কিভাবে পারলে?’
‘আপনারা ইরা বাদে সবাইকে চোখে চোখে রেখেছিলেন, আর আমি শুধু ইরাকেই চোখে চোখে রেখেছি।’
‘ক্লেভার বয়। আশা করি বড় হয়ে ভয়ংকর গোয়েন্দা হবে।……’
নাফিসের প্রশংসা করার ভাষা খুজছে পুলিশপ্রধান।

****

পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে আসার পথে ইরাদের বাড়িটা পড়ল। ইরফান ও রাজু বাড়িটা দেখে গুঙিয়ে উঠলেও নাফিস শুধু বলল, ‘সাইকো হাউজ।’

--- X ---








এই গল্পের ইতিহাসটা জানাইঃ
ইদানিং নষ্টালজিয়া ভুগছি বেশ। পুরোন গল্পগুলো কত আগেই ডিলেট করে দিয়েছিলাম। এগুলোর ব্যাক-আপ যে কিভাবে রয়ে গেল বুঝিই নাই। পেয়ে তো এখন ঐগুলোই ব্লগে দিচ্ছি। শুরুর সময়ের লেখাগুলোতে মন্তব্য পেতে আলাদা অনুভূতি হয়।

যাই হোক - এইটা হল আমার লেখা প্রথম গল্প। এর আগ পর্যন্ত একজন সাধারণ পাঠকই ছিলাম আমি। সামুতেও তখন সাধারণ পাঠক হিসেবে শুধু মন্তব্য করার জন্যই প্রথম নিকটা খুলেছিলাম। থ্রিলারের পাগল তো রকিব হাসানই করেছিল। ফেসবুক আর সামু দুইটাতেই এই থ্রিলারগুলো পড়তে পড়তেই একদিন ইচ্ছা করলো আমিও দেখি দুই-একটা লাইন লিখি।

তিন গোয়েন্দার ভক্ত তাই প্রথম লেখার আগে তিন গোয়েন্দার মত করেই চিন্তা আসছিল। সেইটা ভেবেই এমনই এক শীতের ভোর পাঁচটার দিকে এইটা লিখতে শুরু করলাম। তখন প্রথমবারের মত টের পেলাম - লেখা পড়াটা কত্ত সোজা - ঐটা লিখতে জান-প্রাণ বের হয়।

লিখতেই পারছিলাম না। আবার না লিখে ঘুমাতেও পারছিলাম না। ঘুমে ঢুলুঢুলু অবস্থাতেই টাইপ করে গিয়েছি শুধু। 'ইতিহাসে মার গুল্লি - নিজেই ইতিহাস বানায়া ফেলমু' এই চিন্তা করে নিজেই প্রাগৈতিহাসিক এক বানোয়াট ইতিহাস বসায়া জোড়াতালি দিয়ে গেছি।

শেষের জায়গাটুক লেখার সময় তো চোখ ঘুমের যন্ত্রণায় খোলাই রাখতে পারিনি। চোখ বন্ধ করেই উল্টা-পাল্টা খটখট টাইপ করলাম। তারপর সকাল সাড়ে দশটার দিকে শেষ করেই ঘুম। আর পড়িও নাই।

আজকে গল্পটা দেখে ঐদিনের কথা মনে পড়ে হাসি পেল। চিন্তা করলাম - দেই আরেকবার! হাজার হোক - প্রথম লেখা তো এইটা! সবাই পড়ুক।

তবে প্রথম হোক বা দ্বিতীয় বা তৃতীয় - খুনাখুনি ছাড়া গল্প ভাবতেই পারিনি কখনো। মাথায় শুধু খুন আর খুন!

মন্তব্য ১২৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (১২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

বনমহুয়া বলেছেন:
‘পরে আরকি গত বছর প্রায় ছয়জন নিঁখোজ হয়ে গেছে আমাদের ক্লাস থেকে। হ্যা তুই যা বলেছিস তাই। কারও কারনে ইরার মন খারাপ হলেই সে নিঁখোজ হয়ে গেছে। এই কারণেই তাকে ভূতুড়ে বলা হয়। তার সাথে কথাও বলে না এই ভয়ে যদি ইরার আবার মন খারাপ হয়।’

ইরার মত হতে পারলে ভালো হত। দু একটাকে নিখোঁজ বানাইতাম।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ক্যান!!!! /:)

জনগণরে গুম করার এত শখ ক্যান!!!
সত্য কইরা কন তো - আপনি কারে কারে গুম করছেন। সত্য কিন্তু প্রকাশ পাইয়া গেছে আফা!!! :-0

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

জনম দাসী বলেছেন: আর না পড়েই পোস্ট! যদি ভুল হোতো... ভাগ্যিস ঘুমের যন্ত্রনায় জলদি পোস্ট টা হোলো, নইলে এমন গল্প কি করে পেতাম। গল্পটা পড়ে আমার সময়টা বেশ ভালোই কেটেছে। বেঁচে থাকুন, ভালো থাকুন সব সময়।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এইটা দিয়ে শুরু! এরপর আমি গল্প লিখে দ্বিতীয়বার খুব একটা পড়িনা। যেগুলো পড়তে হয়ই - শুধু সেগুলোই পড়ি। :)

ভাল লেগেছে শুনে মারাত্নক খুশি হইলাম। একেবারে প্রথম দিকে এই গল্পের মন্তব্যে যেরকম হয়েছিলাম। :)

ধন্যবাদ। :)

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

নিমগ্ন বলেছেন: ওরে বাপরে!!
এতো লম্বাহ!!! ??? নিলাম শোকেসে। হরে পইড়মুনে--

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনের শোকেসটায় একখান কালোপাথরও চকচক করতেছে। ব্যাপারটা কিন্তু সেইরাম সৌন্দর্যবর্ধক।

আর কই দেখলেন লম্বা? এইডা তো পিচ্চি এক্কেরে। এরচেয়ে আরো কত বড় বড় লিখছি!!!! |-)

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

আমি মাধবীলতা বলেছেন: বাহ ! প্রথমে রাজুকেই সন্দেহ করেছিলাম । তবে নাফিসকে ভাগ্যবানই বলতে হবে । পরিস্থিতি তারই অনুকূলে ছিল ।
সাইকো থ্রিলারে ভালো লাগা !

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: রাজুকেই কালপ্রিট বানানোর প্রাথমিক ইচ্ছা ছিল। পরে বদলে ফেলি এইটা অবশ্য। তাতে থ্রিলিং ভাবটা থাকবে না।

তবে নাফিস আসলেই ভাগ্যবান! পরিস্থিতি শুধু তার অনুকূলেই ছিলনা - পরিস্থিতি ও তাকে তৈরি করা লেখকও নবীশ ছিল। এই দুইয়ে মিলে তাকে খাটতে হয়ই নি একদম।

সাইকো থ্রিলার আমার বেশ পছন্দের। সাইকো নিয়েই লিখতেই আমার বেশি আরাম লাগে। :)

ধন্যবাদ আপু! :)

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১২

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: দারুণ একটা সাইকো গল্প। গল্পটা পড়ে অনেক তৃপ্তি বোধ করলাম। যদিও শেষটুকু আগেই অনুমান করে ফেলেছিলাম। আর মিলেও গেলো। তবে এটা যে আপনার লেখা প্রথম গল্প। তেমনটা মনেই হয়নি। এ থেকেই বোঝা যায় আপনি প্রথম থেকেই অনেক ভালো একজন লেখক। :)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: :P ভাল লেখক হলে অবশ্যই আপনাকে শেষটুকু আন্দাজ করতে দিতাম না। ঐটাকে ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে মাথা এলোমেলো করতে চাইতাম।

তবে এইটাও খারাপ না। পাঠক তারটা মিলেছে কিনা সেটা বুঝার জন্যও শেষ পর্যন্ত আসে। :)

এইটা আসলেই প্রথম লেখা। খুব বেশি ভাবিওনি লেখার আগে - ঐ পাঁচ-সাড়ে পাঁচ ঘন্টাতেই পুরো গল্পটাকে খতম করেছি। লেখনী আসলে অতটা জোরালোও ছিল না। তবুও প্রথমটাকে আমি কখনোই খারাপ বলবো না।

ধন্যবাদ ভাই!! :)

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

প্রামানিক বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা গল্প। প্রথম গল্প হলেও চমৎকার হয়েছে। যে বিড়াল শিকারী তার গোফেই পরিচয় পাওয়া যায়। যার লেখা ভাল হয় তার প্রথম থেকেই ভাল হয়। তার প্রমাণ এই গল্প। ধন্যবাদ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাইয়ের এই মন্তব্য তো আমার সারাদিনের অন্যসব কিছুকেই পিছনে ফেলে দিল। এমন মন্তব্য পাওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার! ;)

ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই! সময় একদম কম পাচ্ছি - তাই আপনার ছড়াগুলো ঠিকমত পড়া হচ্ছে না। :(

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

শায়মা বলেছেন: ইরা তার বাবা দুজনই সাইকো? মানুষ খুন করে !!!!!!!!!!!!!!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ইরার বাবা সাইকো না তো! বউ মারা যাওয়ার কারণে পাগল হয়ে গেছে। উনি খুন-টুন করেন না! খুব ভাল মানুষ! শুধু কাঁটার যন্ত্রপাতি নিয়ে একটূ-আধটু কাঁটতে সাহায্য করে আর কী! :P

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া খুন নিয়ে লিখতে লিখতে নিজেই আবার খুনী বনে যেওনা ।:(

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কাকে খুন করবো? :(

ভিক্টিমই তো খুঁজে পাইনা! ভিক্টিম খুঁজে পেলে প্র্যাক্টিক্যাল করে ঐটার রিপোর্ট দিয়ে সুন্দর করে লিখতে পারতাম। :(

দুনিয়ায় শত্রুর অভাব পড়ে গেছে আমার! :(

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৬

আমি মাধবীলতা বলেছেন: ঠিক শায়মাপি !!! সাইকো থ্রিলার লেখকদের নাকি শেষ বয়সে মস্তিষ্কে কিঞ্চিত সমস্যা দেখা দেয় !!!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: খা...খা...খাইছে!!! আপনি মাঝখান দিয়া বাঁশ দিলেন ক্যারে? /:)

শায়মাপু, ভিক্টিম পাইয়া গেছি। X(

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: অবশ্য আপু যদি আবার রাগ করে থাকেন - তাহলে ভিক্টিম তালিকা থেকে সরিয়েই নিতে হবে।

বড়ই দরদী মানুষ আমি! ভিক্টিম রাগ করলে আবার তাকে ছেড়ে দেই কিনা! :(

১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৮

আমি মাধবীলতা বলেছেন: দুনিয়ায় শত্রুর অভাব পড়ে গেছে আমার![/si
আমি শত্রু ?!! :||
তবে গল্পের ভিক্টিম হতে মনে হচ্ছে ভালোই লাগবে :D প্র্যাক্টিক্যালি না কিন্তু !!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: :|
হায়হায়! আমার সারাজীবনের প্র্যাক্টিক্যাল সাইকো এক্সপেরিমেন্টের শখটা তাহলে অপূর্ণই থেকে যাবে!!! :(

গল্পের ভিক্টিম!! আপুর বাসনাটা কিন্তু.....

আচ্ছা দাঁড়ান দেখি নেক্সট গল্পে আপনার মাধবীলতা নামটাকে কিভাবে গল্পের কাহিনীর সাথে লতাকার ভাবে প্যাঁচানো যায় ভাবছি।

বলেছিই তো, আমি খুবই দয়ালু মানুষ। কাহকে কষ্ট দেই না। ভাবতেও তো সমস্যা নেই। :D
লিখতেই তো সমস্যাটা :P - লিখি কিনা তাই বা কে জানে! :P

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৩

প্রীতি পারমিতা বলেছেন: প্রথম লেখা!!!!!!
অনেক বেশি ভালো হইসে ভাইয়া :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। প্রথম লেখা 'ভাল' শব্দটা শুনতে অনেকদিন পরও বেশ আনন্দই লাগে। :)

১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩২

আমি মাধবীলতা বলেছেন: ওয়াও সত্যি !!! ঠিক আছে । অপেক্ষা !! :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: :)

১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৮

উল্টা দূরবীন বলেছেন: খুবই ভালো লেগেছে।

ছোটবেলায় আমারো ইচ্ছে ছিলো সাইকো হবো। কিন্তু, হইতে পারলাম কই?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: একমাত্র আপনেই আমার দুঃখটা বুঝবেন ভাই। :( আহেন বুক মিলাই!!!
সাইকো না হওয়ার দুঃখেও সাইকো হইতে পারতেছি না, ঐডার দুঃখেও না, ঐডার দুঃখেও না - এমন কইরা চলতেই আছে। :(

বত্ব,ভাই ধন্যবাদ :)

১৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৯

সুলতানা রহমান বলেছেন: শেষের লাইন টা তো বেশি ভাল না ……
প্রথম গল্প হিসেব ভালই আছে। কিশোর গল্প। আমি অবশ্য এখন ও তিন গোয়েন্দা পড়ি। মাঝখানে রকিব হাসান লিখা বন্ধ করে দেওয়ার পর অনেকদিন পড়িনি।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শেষের কোন বাক্যটা আপু? ঐটা বুঝলাম না... :(

তিন গোয়েন্দা অনেক পড়েছি... তবে রকিব হাসান লেখা থামানোর পর থেকে আর পড়িই নি... শামসুদ্দীন নওয়াব ভাল কাহিনী সাজাতে পারে না...

ধন্যবাদ আপু :)

১৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: গল্প কিন্তু ভাল লেগেছে । প্রথম গল্প হিসেবে অসাধারণ বললেও কম হবে ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া!!! :)

মন্তব্যে আপনার নাম দেখেই তো আনন্দিত হয়েছিলাম। আর মন্তব্য পড়ার পর তো পুরাই আসমানে উড়তেছি। :D

১৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০২

রিকি বলেছেন: ইদানিং নষ্টালজিয়া ভুগছি বেশ। পুরোন গল্পগুলো কত আগেই ডিলেট করে দিয়েছিলাম। এগুলোর ব্যাক-আপ যে কিভাবে রয়ে গেল বুঝিই নাই। পেয়ে তো এখন ঐগুলোই ব্লগে দিচ্ছি। শুরুর সময়ের লেখাগুলোতে মন্তব্য পেতে আলাদা অনুভূতি হয়।

যাই হোক - এইটা হল আমার লেখা প্রথম গল্প। এর আগ পর্যন্ত একজন সাধারণ পাঠকই ছিলাম আমি। সামুতেও তখন সাধারণ পাঠক হিসেবে শুধু মন্তব্য করার জন্যই প্রথম নিকটা খুলেছিলাম। থ্রিলারের পাগল তো রকিব হাসানই করেছিল। ফেসবুক আর সামু দুইটাতেই এই থ্রিলারগুলো পড়তে পড়তেই একদিন ইচ্ছা করলো আমিও দেখি দুই-একটা লাইন লিখি।

তিন গোয়েন্দার ভক্ত তাই প্রথম লেখার আগে তিন গোয়েন্দার মত করেই চিন্তা আসছিল। সেইটা ভেবেই এমনই এক শীতের ভোর পাঁচটার দিকে এইটা লিখতে শুরু করলাম। তখন প্রথমবারের মত টের পেলাম - লেখা পড়াটা কত্ত সোজা - ঐটা লিখতে জান-প্রাণ বের হয়।

লিখতেই পারছিলাম না। আবার না লিখে ঘুমাতেও পারছিলাম না। ঘুমে ঢুলুঢুলু অবস্থাতেই টাইপ করে গিয়েছি শুধু। 'ইতিহাসে মার গুল্লি - নিজেই ইতিহাস বানায়া ফেলমু' এই চিন্তা করে নিজেই প্রাগৈতিহাসিক এক বানোয়াট ইতিহাস বসায়া জোড়াতালি দিয়ে গেছি।

শেষের জায়গাটুক লেখার সময় তো চোখ ঘুমের যন্ত্রণায় খোলাই রাখতে পারিনি। চোখ বন্ধ করেই উল্টা-পাল্টা খটখট টাইপ করলাম। তারপর সকাল সাড়ে দশটার দিকে শেষ করেই ঘুম। আর পড়িও নাই।

আজকে গল্পটা দেখে ঐদিনের কথা মনে পড়ে হাসি পেল। চিন্তা করলাম - দেই আরেকবার! হাজার হোক - প্রথম লেখা তো এইটা! সবাই পড়ুক।

তবে প্রথম হোক বা দ্বিতীয় বা তৃতীয় - খুনাখুনি ছাড়া গল্প ভাবতেই পারিনি কখনো। মাথায় শুধু খুন আর খুন!


ভাই জীবনে প্রথম কোন জিনিসের কখনও কোন বিকল্প হয় না। সব থেকে বেশি আদুরে সন্তানের মত যেন হয় এগুলো। অনেক অনেক লেখা লিখে ফেলেছেন হয়ত এরপরে এবং একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন আস্তে আস্তে যত পরিণত হয়েছে ভুল ভ্রান্তি কমে গিয়েছে, প্রথমটাতে হয়ত যেগুলো সহজেই চোখে ধরা দিবে। কিন্তু ঐ যে বললাম আদুরে সন্তানের মত প্রথম কোন কিছু। ভালবাসা, আবেগগুলো ওটার প্রতি যেমন থাকবে, অন্যগুলো কিছুটা বঞ্চিত হবে এই দিক থেকে। আদুরে সন্তানটিকে আগলিয়ে রাখবেন।

একেবারে শেষ পয়েন্ট নিয়ে কথা বলব এবার---আপনার মত আমিও থ্রিলার মিস্ট্রি পাগল। থ্রিলারের সব ঘরানাকে যদি ককটেল ড্রিঙ্কসের সাথে তুলনা করে একটা টেবিলে সব রঙের ককটেলগুলোকে যদি সাজিয়ে রাখতে বলা হয়, তাহলে সবার আগে নজর কাড়বে কোনটা বলুন তো ??? রেড ককটেল---রেড ককটেল হল ক্রাইম থ্রিলার/ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার/ মেডিক্যাল থ্রিলার/ ফরেনসিক থ্রিলার (মার্ডার থাকবে অবধারিত যেগুলোতে)। এগুলোর আকর্ষণের বিষয় হল---রক্তের টান (থ্রিলারের ভাষায়) !!!! ;)

কালো পাথর দ্য ব্ল্যাক স্টোন অনেক অনেক ভালো লেগেছে :) :) :) :) আরও লিখুন, আরও শেয়ার করুন :) :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কী আপু - আমার এই প্রথম লেখাটায় কোন ভুলও আমার চোখে পড়ে না। এইটাকে আমার একটু বেশিই সুন্দর লাগে।
প্রথমের আদরই আলাদা! সেইটা অন্য কোন গল্প পায়ও নি!

ক্রাইম+মিস্ট্রি থ্রিলার - এই ঘরানাটা হল আমার সবচাইতে বেশি প্রিয়। এইটার সাথে সাইকোলজিক্যাল ভাব ঢুকালে তো কথাই নেই। আর সেইটা যদি ফরেনসিকের আদলে হয় (মানে পুরা ডেক্সটারটা যেমন আর কী) তাহলে... বুইঝা নেন - কতটা থ্রিলিং ভাব পাওয়া যাবে! :D

আপনার মন্তব্যে আমার সাথে মিল পাওয়া আরেক খুনীর সন্ধান পাইলাম। :-B

ধন্যবাদ আপু!!! :)

১৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: এলাকাটায় এসেছে বেশিদিন হয়নি নাফিসের।

-গল্পের সবটা পড়া হয়নি। প্রথম দিকে কিছুটা পড়েছি। তবে পরে পড়ে নেওয়ার ইচ্ছা আছে। ইন্ডিকেট করা লেখাটা পড়তে কেমন জানি লাগছে, তাই তুলে ধরলাম। ঐটা যদি এমন হতো তাহলে মনে হয় ভাল হতো, 'এই এলাকাটায় এসেছে সেটা বেশি দিন হয়নি নাফিসের কাছে'!

ভাল থাকবেন এবং শুভ কামনা জানবেন!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনি যেই বাক্য বললেন - ঐটা তো আরো বেশি কমপ্লেক্স! ঐটা গল্পে দিলে আমার মনে হয় পড়াটা একটু কঠিন। অনুবাদ করতে গেলে বাক্যগুলো এইরকম হয়ে আসে।

আমি যেইটা লিখেছি সেইটাও অতটা ভাল হয়নি। তবে সরল ছিল - এইটা কিন্তু নিশ্চিত।

তবে ধন্যবাদ ভাই! :) পুরাডা পইড়া ফেলান।

১৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার গল্প । তিন গোয়েন্দা কখনো পড়া হয়নি । অাপনার এই গল্পটা পড়ে চরমভাবে শিহরিত হলাম ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: তিন গোয়েন্দা না পড়ে থাকলে অনেক বড় জিনিস মিস করছেন ভাই। এখন অবশ্য পড়লে অতটা থ্রিলড ভাব পাবেন না।

ধন্যবাদ আমার এই গল্পটা পড়ার জন্য। :)

১৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এক কথায় একটা দুর্দান্ত গল্প পড়লাম।
দারুণ ভাই, দারুণ +++

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ;) ;) ;)

থাঙ্কু ভাই, থাঙ্কু!!! :D

২০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এত বড় লিখা চা নাস্তা ছাড়া আমি পড়িনা !
শুধু আপনার লিখা দেখে ছাড় দিলাম ! :P

লিখা হয়েছে চমৎকার !!! দেখি লাইক বাটনটা পাই কিনা !

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এইডা তো পিচ্চি লেখা ভাই!! এই দুপুর বেলা চা-নাস্তা খাইবেন!!! :P
আহেন ভাই - দুইডা ডাইল দিয়া ভাত খাওয়ায়া দেই। :D

লেখাটা আপনার লাইক পেয়ে আনন্দে সপ্তম স্বর্গে উড়ছে। :D থাংকু ভাই! :D

২১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

সুলতানা রহমান বলেছেন: খুনোখুনি ছাড়া কোন গল্প ভাবতে পারেন না -এইটা

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: খুনাখুনি বলতে আমি আসলে থ্রিলিং ভাবটাকে বুঝিয়েছি। আসলেই যে মানুষ খুন সেটা কিন্তু না। আর থ্রিলিং-এর একটা বড় অংশজুড়ে তো খুনাখুনি রয়েছে ই। :)

তবে আপনার কথাটা মাথায় রইলো - খুন ব্যতীতই অন্য কিছু লিখতে চেষ্টা করবো। অবশ্য ঐগুলো অতটা ভালো হয় না আমার। :(

২২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

রিকি বলেছেন: আমি মাধবীলতা আপুকে আপনি ভিক্টিম বানালেন আর আমাকে আপনার সহযোগী খুনি (আমারে কেউ মাইরালা) --- বাহ বাহ বাহ !!!! ;) ;) মার্ডার মিস্ট্রি ঐ যে বললাম রেড ককটেল !!!! :-B

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: রিকি বলেছেন: আমি মাধবীলতা আপুকে আপনি ভিক্টিম বানালেন আর আমাকে আপনার সহযোগী খুনি (আমারে কেউ মাইরালা)

সমস্যা নাই তো - খুনের সহযোগীরে আগে ভাগেই মাইরা ফালানোর প্ল্যান থাকে... নাইলে পরে বিপদে ফেলতে পারে তো। :P ;)

২৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


;) ;) ;)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ;)

২৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরেছেন! আপনি লম্বা রেসের ঘোড়া।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হাসান ভাইকে কতদিন পর এই আঙ্গিনায় দেখা গেল - সেটা বের করতেও গোয়েন্দা লাগবে!!! ভাই থাকেন কই আপনে? দেখাসাক্ষাৎ তো একেবারেই নাই।

২৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

রিকি বলেছেন: সমস্যা নাই তো - খুনের সহযোগীরে আগে ভাগেই মাইরা ফালানোর প্ল্যান থাকে... নাইলে পরে বিপদে ফেলতে পারে তো। :P ;)

আব্দুলরে মাইরা গোব্দুল হয়ে লাভ নাই বুঝছেন !!!!! B-)) তার থেকে সাথে রাখেন সহযোগী হিসেবে, ডিটেকটিভ আসলে সতর্ক করার তো কাজ করতে পারব---ধরা খাবেন না----পুরো 'পো থিওরি' কসম !!!!! ;) ;)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: গোব্দুল হোমস??
হোমস পরিবারের এই সদস্য খুনী??? খাইছে!! মাইক্রফট হোমস তো তার ভাইদের নিয়ে চিন্তা করতে করতেই মরে যাবে!!! =p~

আপনাকে সহযোগী বানাইলে তো গোব্দুল হোমস মারাত্নক বিখ্যাত হয়ে যাবে!!! খাড়ান - এইডা নিয়া আমি ভাবতেছি।

২৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: থ্রিলিং হইছে....। সিরামমম। ব্রো... চালাইয়া যান+++

আর ঘটনা হইতেছে.. গল্প বলার ভঙিটা ভাল লাগে নি অতোটা। তবে টুইস্টটা ভালৈসে.... :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: গল্প বলার ভঙ্গিমা সম্পর্কে ঐ সময় আসলে কোন ধারণাই ছিল না। এমন কী লিখতেই পারবো কিনা সেইটাও জানতাম না! :D

থাংকু ভাই!!!!! ;)

২৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১০

সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা চমৎকার হয়েছে। এক টানে পড়ে শেষ করলাম।

প্রথম গল্প !! বাহ বাহ....সুন্দর হয়েছে। পড়ার জন্য টান টান উত্তেজনা আছে। শেষের ব্যাখ্যা এবং ইতিহাস দারুণ।

১৩তম +।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! :)

টেনে গেছি মাথায় তিন গোয়েন্দার টান টান ভাবটা মাথায় রেখেই। :)

শেষের দিকে ইতিহাস তো নিজেই বানিয়ে ফেলেছি। আমি জানিও না, ঐরকম কোন উপজাতি আসলে আছেও কিনা। :P

২৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্পটা প্রথম থেকেই টানটান উত্তেজনার| যদিও শেষে আর খুব একটা মজা পাইনি| শেষটা অনেকটা ফেলুদা স্টাইল| আপনার নাফিস কিন্তু দারুন হিরোইক| ৭৫ পারসেন্ট জায়গা ভাল লেগেছে| প্রথম লেখা এমন! আমার প্রথম গল্পটা পড়তে পারিনা এখন, লজ্জা লাগে!
প্রথম ম্যাচেই হেট্রিক গোল!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শেষটায় আসলে নিজ উদ্ভুত ইতিহাস বানায়া ফেলছি তো - এই জন্যই মজাটা কমে গেছে। ফেলুদা স্টাইল না মূলত আগেকার সব গোয়েন্দা গল্প একই স্টাইলের ছিল। শেষে গিয়ে আমি সত্যিকার ভাবে তিনগোয়েন্দার মত ব্যাখ্যায় চলে গিয়েছিলাম।

এই নাফিসকে নিয়ে আরো লেখার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু প্লট না পাওয়ায় আর লেখা হয়নি।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনার প্রথম গপ্পটাও দিয়া ফালান। প্রথম গপ্পে খারাপ-ভালা বইলা কিছুই নাই। :D

থাঙ্কু ভাই! :)

২৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। অনেক।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! :)

৩০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

আবু শাকিল বলেছেন: পরে এসে পড়ব।পড়ার ইচ্ছাটা জানিয়ে গেলাম :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হাহাহা! ইচ্ছাকে স্বাগত জানালাম। :)

৩১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১

অগ্নি সারথি বলেছেন: অখন পড়ুম না। একটা মুভি দেখছি। কাইলকা পইরা কমেন্ট করুমনি! :)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: অখা বাই!!!! মুভি দেখুইন। এইডা পইড়া মন্তব্য কিন্তু করবাইনই কইলাম! :D

৩২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম , পড়ে পড়বো । :)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: :)

৩৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: চা খাচ্ছি আর ব্লগে ঘোরা ঘুরি করছিলাম , আপনার লেখাটি দেখে মনে হল বেশ ইনটারেস্টিং গল্প । এখনই বিজি হয়ে যাবো , তাই আর ধরলাম না । পরে পড়ার জন্য তুলে রাখলাম । ভালো আছেন তো :) ?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এই কাজটা আমিও করি। ট্যাবে সব পোষ্ট ওপেন থাকে। তারপর আস্তে আস্তে কাজ করতে করতেই পড়ি। মাঝে মাঝে অবশ্য ট্যাবের অতিরিক্ততায় পিসি মহাশয় অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন আবার ওপেন করা লাগে।

ভালো আসলে আছি কিনা বুঝার অবকাশ পাচ্ছি না। সময়ের দ্রুততায় আসলে খেয়ালই দিতে পারছি না। :(
আপনি ভাল আছেন তো? :)

৩৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২০

ধমনী বলেছেন: দারুণ লিখেছেন। আরো গল্প চাই।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ। ;)

চেষ্টা জারি থাকবে :)

৩৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৬

নিমগ্ন বলেছেন: আপনার গল্পটার নায়িকা আমার গল্পের নায়িকার মতোই কিন্তু......

আছেন কিরাম?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপ্নের গপ্প তো পড়িই নাই এখনো - খাড়ান পইড়া লই... আছিরে ভাই - কোন রহমে বাইচ্চা... আপ্নে কিরাম?

৩৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪২

নিমগ্ন বলেছেন: আমি তো বেশ বেশ বেশ ভালা....... আইয়েন... পইড়া লন। B-)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: অখা খাড়ান আইতাছি!!!!

৩৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

নিমগ্ন বলেছেন: কি হইলো......... কুনো রহমে বাইচ্চা থাকপেন কেেন??? আপনে তো শীতল রক্তের মানুষ ভাউ!!! ;) ;) ;)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শীতলা রক্ত দেইখাই তো ঝাম্লাডা!!! শীতের মইদ্ধে তো জমাট বরফ হইতাছে ঐগুলান। রক্তের বরফ নিয়া কি আর হাঁটা চলা করুন যায়?

৩৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

চোখের কাঁটা বলেছেন: এত বড় গলোপ পোস্টু করতে কইচে কেডা? পড়তে পড়তে হাঁপাইয়া পড়ছি? খাঁড়ান জিরাইয়া লই!


আপনে এবং আপনার আপায় আচে কিরাম?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আমার আপায় মানে? এইরাম কাউরে তো চিনিনা। নামও শুনি নাই কোনদিন!

এইডা তো আমার ছোডুগপ্পগুলানের একখান। এইডারে বড় কইলে কান্দাকাটি শুরু করবো এইটায়!!!!

৩৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

নিমগ্ন বলেছেন: এহন আপনের গরম একখান কথা কইতারলে রক্তজমাট কমতো মুনে কয়; দেহেন আপনে এইরাম সাইকো গার্লফ্রেন্ড পান কি না। আমারডা তো আবার সিনিয়র। হেঃ হেঃ ;) ;)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হেহেহে! অতি উত্তম প্রস্তাব। তবে এই চুলায় রক্তের বরফ তো কমবো না। অন্য চুলা লাগবো। এই চুলাখান চুলাত গেলেই আমি মহা খুশি হমু! :D

৪০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

নিমগ্ন বলেছেন: :D

এই ইমোর মিনিং কি?? (আপনের কাছে)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এই ইমোডা দাঁত বাইর কইরা হাসির!!! এইডারে অবশ্য আমি সেইরাম মাপের খুশি হিসাবে মনে করি!

৪১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭

নিমগ্ন বলেছেন: আমি তো মনে করি এইডা বলদীয় হাসি_________

কাউরে বলদা বানাইলে___
বা নিজে বলদ হইলে____

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভুল মনে করেন নাই!!!! এইডারে এইরাম লাগে মাঝে মইদ্ধে। এই ইমোডারে দেখতে বলদা হাসির লাহানই লাগে!!! =p~

৪২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

চোখের কাঁটা বলেছেন: ভাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানবার পারলাম আপনি নাকি বাংলা মুভি বানাইতাছেন? যদি নায়ক লাগে তাইলে আওয়াজ দিয়েন? ভিলেন বানামু নিমগ্ন ভাইরে! আর নায়ীকা তো আপনি সিলেকশন করছেন-ই! আমার কুনো আপত্তি নাই!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ব্লগের ভিত্রে কি আর গোপন সংবাদ বইলা কিছু আছে? সবই প্রকাশ্যের সংবাদ।

বাংলা মুভি বানানোর একখানা ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছিলাম। মাগার সেইরাম ইস্ক্রিপ্টই তো নাই। তাইলে ক্যামনে কন!!!
তয় সংবাদ চাইরপাশে তাকাইলে দেখিবার পাইবেন আমি আসল কিসের লাইগা মুভিখানা বানাইতে চাইছিলাম!!!!

ঐখানা একখান পুরাই অসামাজিক পারিবারিক বাংলা মুভি হইবো। বানাইলে অবশ্যই আপ্নেরে নায়ক হওনের লাইগা মিস.ইমেইল দিয়াম। [ডিজিটাল যুগ তো - মিস কল দেওনডা পুরান হইয়া গেছে]

:-B =p~

৪৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৩

নিমগ্ন বলেছেন: আমার গল্প নিয়া স্ক্রিপ্টা বানাইতারেন ;) ;) ;)

খুনাখুনীও আছে_____ লুলামিও আছে____ রসও আছে____ অ্যাকশনও আছে___ ফিকশনও আছে_____

কন আর কি লাগবো?? আর কি বাদ দিতাঐবে< :-B

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হ - এইডা দিয়া তো হইয়াই যাইবো...

অহন সুন্দর কইরা ক্যাম্রাডার ব্যবস্থাও কইরা ফালাইন... বাজেটের ব্যবস্থাডাও... সব ব্যবস্থা হইলে আমি মুভিখান বানায়ালামু। :-B

৪৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

আমিই মিসির আলী বলেছেন: ভাবতাছি কি জানেন?

যেইলোক ঘুমের ঘোরে এমন অসাধারণ জিনিস লিখতে পারে সেই হোক হুশে থাকলে জানি কত অসাধারণ জিনিস লিখে!


আপনার ফেসবুক লিংকটা একটু দিয়েন তো।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হুশ থাকলে আসলে ভাল লেখা যায় না। ভাল কিছু করতে ঘুমের ঘোরে বেহুঁশ হয়েই করতে হয়। আপনার মন্তব্যে তো কিঞ্ছিত লজ্জা পেয়ে গেলাম। :`> এতো ভাল তো আসলে লিখতে পারি না।

ফেসবুকে আমার তিনটা আইডিই ডিঅ্যাক্টিভ আছে। খুললে আপনাকে লিংকটা দিয়ে দিব। :)

৪৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: কথায় বলে "কোন মুলোটা বাড়ে তার পত্তনেই বোঝা যায়।" যার লেখার শুরুটাই এতো ভালো, তার জ্ঞান কতটা আকাশ ছোঁয়া হতে পারে তা আপনাকে দেখলেই বোঝা যায়। ভক্তের সালাম নিবেন গুরু।

অফটপিক: আপনার লেখা রম্যগল্পঃ কঙ্কাল রহস্য (সিআইডি ট্রল ভার্সণ) এর আদলে আমি একটা গল্প লেখার চেষ্টা করেছিলাম। শেষ করার পর দেখি পুরাটাই অখাদ্য হইছে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনার মত ভক্ত পেয়ে তো আমি সপ্তম আকাশে উড়ছি! ;)
জ্ঞান আসলে এতটা নাইও - একটু প্যাচ-ট্যাচ দিয়ে লিখা বানিয়ে ফেলি আর কি!!!

আর ভাই, লেখায় অখাদ্য বলিয়া কিছুই নাই! আপনারটা পোষ্ট করে ফেলেন পরে দেখি। নিজের কিছুকে কেউ অনুসরণ করলে বেশ একটা আনন্দ লাগে! :)

৪৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

বনমহুয়া বলেছেন: ওকে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কিসের অকা কই কইলেন? B:-/

৪৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

চ্যাং বলেছেন: এইরুপ গুলুপ লিখুনী চালাইলে আপনের খপ্র আছে গো ভাইয়া!! আপনেরে নিয়া টানাটানি করতাবৈ। রোমান্সি গপ্পু লিখুন। বুইজচেন???

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ক্যাডায় আমার খব্র করবো!!! :|| আমার খুনের অ্যাসিস্ট্যান্টই তো ঐডার খব্র কইরা ছাইড়া দিব!!! B-)
রোমান্সি আমি লেখতারি না :(
আমার ভিত্রে রোমান্সি নাই!!!

৪৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

চ্যাং বলেছেন: আজাইরা কথা কইয়েন না। আপনের বয়স কি ৬০+?????? #:-S

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বয়সের লগে রোমান্সির সম্পর্ক আছে নাকি? ৮০+ হইলেও তো রোমান্সি থাকে মাইনশের...
দুঃখের মাঝে সুখের কথা হইলো - আমার মইদ্ধে এইডা নাই!!!

৪৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

চ্যাং বলেছেন: কি যে কন। সেই ২০০৭-৮ থাইক্কা আমি ব্লগে আছি। ব্লক খাই। এর মাইধ্যেও মুগা আছেহ। B-)

আমি কোন মালে কি আছে, জানি না?

কয়েকডি পোস্টে যাইয়া তো দেহি পিরিতির ডিব্বা উপচাইয়া পইড়ছেহ B-) B-) B-)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাই থাকুক না রে ঐসব নিয়া আলাপ!!!

তবে ঐটা নিয়ে আমার এইখানে এই নিয়ে বেশ কয়েকজন আলাপ করায় আমি খুব বিরক্ত বোধ করছি। ঐ বিষয়গুলো নিয়ে আমার পোষ্টে কথা বার্তা না বললেই আমি খুশি হব! :)

৫০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: আপনার কথায় সাহস পাইলাম, ভাই । তাইলে আরেকটু রিভিউ কইরা দেখি কোন কিছু এডিট করা লাগে কিনা। তয় ক্রেডিট কিন্তু পুরুডাই আপনার।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: দিয়ালাইন। ডরাইয়েন না। কোন লেখাই খারাপ না। ;)

আর ক্রেডিট আমারে না দিলে তো দায়ারে দিয়া আপনার বাড়িঘর ভাঙামু। : P

৫১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: আপনার দায়ারে ডরাইছি। তয় দায়ারে কইয়া দিয়েন যেন ঠিক বাড়িটাই ভাঙ্গে। ভুল কইরা আরেকজনেরডা ভাইঙ্গালাইলে দৌড়ানিডা তারই খাইতে অ্ইবো।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: দায়া যদি ঠিক কাজই করে তাহলে তো সে সিআইডিতেই থাকতো না।

আরো নিচের কোন জায়গায় থাক্তো। যেমন - স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। :P

৫২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৫

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: দারুণ হয়েছে:D

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য। :) একটূ ব্যস্ত আছি তাই জবাব দিতে দেরী হল। :(

৫৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

তুষার কাব্য বলেছেন: দারুণ লিখেছেন। আরও নিশ্চয় আসছে । তবে আর একটু ছোট হলে চোখের আরাম হয় আর কি :)

শুভেচ্ছা ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য। :) একটূ ব্যস্ত আছি তাই জবাব দিতে দেরী হল। :(

আরো ছিল। সব তো দিয়েই ফেলেছি। :) আমার লেখা ছোট হয় না। লিখতে গেলে একটু বড় করলেই স্বস্তি পাই। কষ্ট হলেও এছাড়া আসলে উপায়ও নেই। :)

৫৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩

নিমগ্ন বলেছেন: পোস্টটা কি ডেলেট করছুইন??

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ড্রাফটে রাখছি। আমারই ভাল্লাগে নাই। :(

৫৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

এ এস রিপন বলেছেন: প্রথম লেখার সাথে প্রচন্ড একটা আবেগ জড়িয়ে থাকে। আবেগ জড়াতে পারলে লেখা খুব জীবন্ত হয়। এই লেখাটার মধ্যে সেই জীবন্তভাবটা আছে। তাই একটানা পড়ে যেতে পারলাম। অনেক পরিকল্পিত লেখায় বাস্তবতা থাকে, তথ্য থাকে, প্রতিবাদ থাকে কিন্তু আবেগ না থাকার কারনে লেখা জীবন্ত মনে হয় না। কিংবা লেখায় প্রাণ প্রতিষ্টা পায় না। গল্পে যদি প্রাণ বা জীবন্তভাব না থাকে তাহলে আমি গল্প পড়ব কেন? প্রবন্ধ পড়ব কিংবা নিউজ পড়ব। আপনি এই গল্পে জীবন্তভাব আনতে পেরেছেন। অামিও আনতে চেস্টা করি কিন্ত অনেক সময় পারিনা।

সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: লেখালেখি করা প্রত্যেকের কাছেই তার সব লেখা আলাদা আবেগের থাকে। আবেগটা আসলে বিভিন্ন ভাবেই তৈরি হয়।

আর বড় করে লিখলে একটানা পড়ে যাওয়ার মত উপকরণ রাখতে হয় তো, তাই চেষ্টা করেছি রাখার। গল্প গল্পের মতই থাকুক। আর্টিকেল না হোক। :)

ধন্যবাদ পড়বার জন্য এবং ভাল একটি মন্তব্য করার জন্য। :)

৫৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

বনমহুয়া বলেছেন: রক্তিমভাই সায়েন্স ফিকশন টাইপ কিছু একটা লেখার চেষ্টা করছিলাম। আপনি কবিতা ছাইড়া গল্প লিখতে বলছিলেন তাই ভাবলাম এট্টু দেখা যাক। তবে আমি গল্প লিখলে কেউ তেমন লাইক করেনা।

এরপর আপনার মত খুনাখুনিরও ট্রাই করবোনে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: সায়েন্স ফিকশন লেখা তো সবচাইতে কঠিন ও সবচাইতে সহজও। অবশ্য অনেকে আবার সায়েন্স ফিকশনে কতগুলো রোবট ঢুকিয়ে দিলেই লিখে ফেলে। তবে, আমি এখনও সায়েন্স ফিকশন লিখতে পারিনি। বিজ্ঞানের সঠিক ব্যাখ্যা কল্পকাহিনী লেখলে সায়েন্স ফিকশন হবে না। :(

মানুষের লাইক করার চিন্তা করলে কি আর লেখা যায়? যেইটা ইচ্ছা লিখে ফেলুন - পছন্দ একসময় তো করবেই। শুধু ধৈর্য্য রাখতে হয় আর কী! :)

খুনাখুনিতে চাইলে আসতেও পারেন। স্লট খালিই আছে। ;)

৫৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

বনমহুয়া বলেছেন: আমিও কতগুলান রোবোটই কেবল ঢুকাইসি। এরপর তাদেরকে পেলে পুষে বড় করি তারপর দেখি কি করা যায়। মানুষের লাইক ডিসলাইকের চিন্তা কে করে তবে নিজের পছন্দ বড় কথা।

স্লটে কি খুনাখুনির পর লুকাইতে হবে নাকি? খুনাখুনি লিখলে কি আগে স্লট খালি রাখতে হয়?

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: লাইক ডিসলাইক চিন্তা করে লেখা যায় না। নাহলে আমি এতদিনে ২০০এর উপরে গল্প লিখে ফেলতাম। আমার প্লট সাজাইতেই তো অনেক দিন সময় লাগে। তারপর টুইস্ট। সব মিলিয়ে একটা ছোটখাট গল্প লিখতেও একমাসের মত ভাবা লাগে।

খুনাখুনির গল্পে তো লুকানো একটা আর্ট। লুকাইতে না পারলে খুন করে লাভটা কী? :)
এইটা খুনীর পালানো না, তার পরের শিকারকে শেষ করার জন্য ভাবার সময়! :)

৫৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

চৌধুরী ইপ্তি বলেছেন: দারুণ একটি লেখা। ব্লগে অনকে ভাল ভাল, থ্রিলিং,হরর স্টোরি আছে দেখছি!! বাপ আর মেয়ে কি ডেঞ্জারাস!!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ আপু! :)

ব্লগেই তো সব ভাল লেখা পড়ে থাকে। কয়েকদিন ঘুরুন এখানে। চমৎকার চমৎকার সব লেখক-লেখিকার লেখা পাবেন এখানে। (আমি বাদে) :)

৫৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

চৌধুরী ইপ্তি বলেছেন: কয়েকজনের লিংক দেয়া যাবে? যারা ভাল লিখেন? (রম্য/সিরিজ/হরর/সামথিং//)

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এই পোষ্টটার পূর্বের মন্তব্যেই সকল লেখক-লেখিকারা রয়েছেন। সবাই ই বেস্ট। আপনি তাদের আইডি লিংকে ঢুকে পড়তে পারেন। :)

আমার আইডিতেও বেশ কয়েকটা অখাদ্য আছে। ওগুলো পড়ে শেষ করতে পারেন। :)

৬০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পড়লাম আপনার প্রথম লেখা। আমাকে কেউ ধাঁধা বা রহস্য গল্প পড়তে দিলে লেখক সাহায্য না করলে বুঝতেই পারি না কি থেকে কি হয়ে গেলো।
আচ্ছা ইরার ক্লাসমেটরা যে নিখোঁজ হয়ে গেলো সেই ক্লাসমেটের ফ্যামিলির মানুষরা কেউই পুলিশকে ইনফর্ম করল না, খুঁজল না ব্যাপারটা চোখে পড়লো। এইটা গল্পের দুর্বল পার্ট মনে হলো। আদারওয়াইজ নাফিসের বুদ্ধি তো চরম!
শুভকামনা রইলো

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: অনেক আগের গল্প - কী লজিক ছিল তা এখন মনেই নাই।
আপনার প্রশ্নের জবাবটা গল্পের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া - সরাসরি দেওয়া নেই। এইটা আসলে পুরোপুরি গল্পে না ঢুকলে খুঁজে পাওয়া মুশকিল!!

আপনার প্রশ্নের জবাব দিতে আমাকে আবার গল্পটা পড়তে হবে। নিজের গল্প নিজে পড়া - এইটা খুবই দুর্বোধ্য ব্যাপার!! :(

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৬১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২০

জেন রসি বলেছেন: গল্পের চরিত্রগুলোর মধ্যে একটা নির্লিপ্ত ভাব ছিল। এই ভাবটা ভালো লাগছে। গল্পের কোথাও ফ্লো নষ্ট হয় নাই। তবে নাফিসের আবিষ্কারগুলো কিছুটা বৈচিত্র্যহীন মনে হইছে। কালো পাথর, আদিবাসী মিথ গল্পকে আরো ইন্টারেস্টিং করেছে। সব মিলে গল্পটা উপভোগ করেছি। প্রিয়তে নিলাম।

আপনার কাছ থেকে নিয়মিত লেখা পাব আশা করছি। :)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: তবে নাফিসের আবিষ্কারগুলো কিছুটা বৈচিত্র্যহীন মনে হইছে।

এই বাক্যটা বুঝিই নাই। মানে বৈচিত্র্যহীন বলতে কী অর্থ বুঝানো হয়েছে? :(

বাকিটার জন্য ধন্যবাদ ভাই! এইটা প্রথম লেখা ছিল। লিখতেই জানতাম না তখন। কিভাবে কিভাবে যে লিখেছি আল্লাহই ভাল জানেন।

নিয়মিত মনে হয় না লেখা হবে। আর লিখি কিনা তাতেও সন্দেহ!

৬২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

জেন রসি বলেছেন: মানে অনেকটা সহজেই সব বুঝে ফেলেছে। তবে আপনার প্রথম লেখা আমার পরিনত বয়সের লেখার চাইতেও ভালো হয়েছে। আপনার অবশ্যই লিখে যাওয়া উচিৎ। :)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: প্যাচ বেশি দিই নাই। নিজেই পরে মিলাইতে পারব না।

আমার লেখা ভাই এখনো আগের মতই অপরিণতই রয়ে গিয়েছে। উন্নতি খুব একটা করতে পারিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.