নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় বলার মত কিছু এখনো করতে পারি নি। তাই ঘরটা ফাঁকাই। পরিচয় অর্জন করতে পারলে আমি যোগ করে দিব।

রক্তিম দিগন্ত

Life is all about a thrill.

রক্তিম দিগন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৬ টি রূপান্তরিত অনুগল্প (Paulo Coelho)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪১

দুই দিন আগেও একবার পাওলো কোয়েলহোর ছোট গল্পগুলোর অনুবাদ প্রকাশ করেছিলাম। ঐদিন অবশ্য মাত্র দশটাই দিয়েছিলাম।
ঐটাকে হালকা ঘষামাজা করে সাথে আরো ছয়টি যুক্ত করে এক সাথে পোষ্ট করলাম আবার। কোয়েলহোর সব গল্প নেই এখানে, শুধু যেগুলো পড়ে আমার ভাল লেগেছে সেগুলোই দিচ্ছি।






... 16 ... How poor we are

একদিন এক ধনী ব্যক্তি তার ছেলেকে নিয়ে দেশ ভ্রমণে বের হল। লোকটা তার ছেলেকে দেখাতে চায় কিভাবে দেশের দরিদ্ররা বসবাস করে।

তারা ঐ জায়গাটায় দুই-তিনটা রাত কাটালো। একটা খামারে উঠেছিল তারা। যেইটাকে লোকটা দরিদ্রতার মাপকাঠি হিসেবে ভেবেছিল।

ভ্রমণ থেকে ফেরার পথে, লোকটা তার ছেলের কাছে জানতে চাইলো, ‘কেমন ছিল ভ্রমণটা?’

‘এটা অসাধারণ ছিল বাবা!’

‘গরীব লোকেরা কিভাবে দিন-যাপন করে তা কি দেখেছো?’ বাবা জিজ্ঞেস করলো।

‘হ্যা!’

‘তাহলে – আমাকে বলো তো এই ভ্রমণটা থেকে তুমি কী কী শিখলে?’

ছেলেটি উত্তর দিলঃ
‘আমি দেখলাম যে, আমাদের মাত্র একটা কুকুর আর তাদের চারটা।
আমাদের বাগানের মাঝে একটা পুকুর আছে আর তাদের আছে বিশাল - এক সমুদ্র যার কোন শেষ নেই।
আমাদের বাগানে আছে বাইরে থেকে আনা লণ্ঠন আর তাদের আছে তারা ভর্তি রাতের আকাশ।
আমাদের উঠোনটা সামনের কিছু জায়গা পর্যন্ত বিস্তৃত আর তাদের আছে পুরো দিগন্ত।
আমাদের আছে ছোট এক টুকরো জমি যেখানে আমরা থাকি আর তাদের আছে অনেক অনেক মাঠ যেগুলোর সবটা আমাদের দৃষ্টিসীমায়ও পড়েনা।
আমরা খাবার কিনে খাই আর তারা সেগুলো উৎপাদন করে।
আমাদেরকে রক্ষা করার জন্য বাড়ির চারপাশে রয়েছে দেয়াল আর তাদেরকে রক্ষা করার জন্য রয়েছে অনেক বন্ধু।’

ছেলেটির বাবা বাকশুন্য হয়ে গেল উত্তর শুনে।
ছেলেটি আবারো বলল, ‘ধন্যবাদ বাবা! আমরা আসলে কতটা গরীব সেটা দেখানোর জন্য।’






... 15 ... The Four Forces

ফাদার অ্যালেন জোনস বললেন, আমরা যদি আমাদের মাঝে আসা বাঁধাগুলো অতিক্রম করতে চাই – তাহলে আমাদের চারটি অদৃশ্য শক্তির প্রয়োজন। এগুলো হলঃ ভালবাসা, মৃত্যু, ক্ষমতা ও সময়।

আমাদের অবশ্যই ভালবাসা উচিৎ - কারণ, সৃষ্টিকর্তা্র থেকে আমরা ভালবাসা পাই।

আমাদের মৃত্যু সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিৎ - জীবনের মানে বুঝার জন্য।

আমাদের উপরে উঠার জন্য যুদ্ধ করা উচিৎ। উপরে উঠার সাথে সাথে আসে আমরা পাই ক্ষমতা। কিন্তু এই ক্ষমতা যেন আমাদের বোকা না বানাতে পারে। নাহলে সবই অর্থহীন।

অবশেষে, আমাদের মানতে হবে যে – আমাদের আত্না চিরস্থায়ী। শুধু বর্তমানের সুযোগ ও সীমাবদ্ধতার জালে বাঁধা। তাই, জীবনে চলার পথে এইটা মনে রাখতে হবে যে – যদি সময় বলে কিছু থেকে থাকে, আমরা যেন সেই সময়ের প্রতিটা মুহুর্তকে মূল্য দেই। যখন দরকার বিশ্রাম নেব, কিন্তু সবসময় ঐশ্বরিক আলোটার পথে যাত্রা অব্যাহত রাখব – যেন উদ্বেগের মুহুর্তগুলো আমাদের উপর জেঁকে না বসে।

এই চারটি শক্তি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আমাদের সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য এগুলোকে ব্যবহার করা যাবে না।
কিন্তু এগুলোকে আমাদের গ্রহণ করতে হবে। আমাদের যেগুলোর শিক্ষা নেওয়া উচিৎ - সেগুলোর শিক্ষা পাওয়ার জন্য এই চার শক্তিকেই সুযোগ দিতে হবে।





... 14 ... Solitude

যারা নির্জনতাকে ভয় পায় না তারা সকল রহস্যই ভেদ করতে পারে। সবকিছুই তাদের কাছে ভিন্ন স্বাদের মনে হয়।

নির্জনতায় তরা বুঝতে পারে কোন ঘোষণা ছাড়াই ভালবাসাটা উলটো ভাবে আসতে পারে।
নির্জনতায় তারা ফেলে যাওয়া ভালবাসাটাকে বুঝতে পারে এবং সম্মান করতে শিখে।

নির্জনতায় তারা অনুধাবন করতে পারে, হারিয়ে যাওয়া ভালবাসাকে ফিরিয়ে আনার আসলেই কি কোন মূল্য আছে নাকি সহজ ভাবে ঐটাকে ভুলে গিয়ে নতুন করে জীবনপথে যাত্রা শুরু করাটা ঠিক হবে।

নির্জনতায়ই তারা বুঝতে পারে, সব ‘না’ই মহত্বের অভাবকে বুঝায় না আবার সব ‘হ্যা’ ই সবসময় মহৎগুণের প্রকাশ করে না।

যারা এই মুহুর্তে একাকী আছে –
‘তুমি তোমার সময় নষ্ট করছো।’ বা আরো তিক্ত বাক্য, ‘তোমার কথা কেউ ই ভাবে না’ ভেবে ভয় পাওয়ার কোন দরকার নেই।

আমরা যখন অন্যের সাথে কথা বলি – ঐশ্বরিক শক্তি সেটা শুনতে পায়। এবং আমরা যখন একাকী নিরব থাকি এবং নির্জনতাকেই আশীর্বাদ ভেবে নিই – সেইটাকেও ঐশ্বরিক শক্তিটা জেনে যায়।
আর তখনই এইটার আলো আমাদের চারপাশটাকে আলোকিত করে এবং আমাদের সেইটা দেখতে সাহায্য করে, যেইটা আমাদের জন্য দরকারী এবং পৃথিবীর এগিয়ে চলায় আমাদেরও বিশাল ভূমিকা রয়েছে।





... 13 ... True Devotion

আকাঙ্খার তীব্রতা যেইটা আমাদের সকলেরই থাকা দরকার। স্বামী রামকৃষ্ণ একটা উদাহরণ দিয়ে সেটা বুঝিয়েছিলেন।

একদিন উনার এক শিষ্যকে নিয়ে হ্রদের পাশে যান।
‘আজকে আমি তোমাকে একনিষ্ঠতার আসল মানেটা শেখাবো।’ বললেন তিনি।

তাঁর শিষ্যকে তাঁর সাথে হ্রদের পানিতে নামতে বললেন। পানিতে নেমেই তিনি তরুণ শিষ্যের মাথায় হাত দিয়ে ঠেলে পানির নিচে ডুবিয়ে দিলেন।

এক মিনিট অতিবাহিত হল।

এর কিছু সময় পরেই, তরুণটা তার সমস্ত শক্তি দিয়ে গুরুর হাতের চাপ থেকে মুক্ত হয়ে মাটিতে ফেরার জন্য সংগ্রাম শুরু করলো।

দ্বিতীয় মিনিটের শেষদিকে স্বামী রামকৃষ্ণ তাকে ছেড়ে দিলেন।

দ্রুত হৃৎকম্পন হচ্ছিল তার। শ্বাস নিতেই পারছিল না। এভাবেই কষ্ট করে তীরে চেঁচিয়ে উঠলো,
‘আপনি আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন!’

স্বামী রামকৃষ্ণ তার শান্ত হওয়ার অপেক্ষা করে বললেন, ‘আমি তোমাকে হত্যা করতে চাইনি। যদি চাইতাম তাহলে তুমি এখন এখানে থাকতে পারতে না। আমি শুধু এইটাই জানতে চাইছিলাম যে, পানির নিচে থাকার সময় তুমি কী অনুভব করছিলে!’

‘আমার মনে হচ্ছিল আমি মরে যাচ্ছি। ঐসময়টায় আমি শুধু একটু শ্বাসই নিতে চাচ্ছিলাম।’

‘এটাই। একনিষ্ঠতা তখনই আসে, যখন আমাদের শুধু একটা কিছুরই আকাঙ্খা থাকে এবং ঐ আকাঙ্খাটা পূরণ না হলে আমি মারা যাব।’





... 12 ... Praha, 1981
(কোয়েলহোর নিজের গল্পই এটা)

১৯৮১ সালের শীতের মৌসুমে, আমি আমার স্ত্রীর সাথে প্রাগের রাস্তায় হাঁটছিলাম। তখনই এক যুবককে নজরে পড়লো যে তার আশেপাশে থাকা দৃশ্যের ছবি আঁকছিল।

যদিও ভ্রমণের সময় আমার কোন কিছু বহন করতে ভাল লাগতো না এবং সামনে আরো অনেক ভ্রমণ করতে হবে, তবুও ছেলেটার আঁকা একটা ছবি আমার বেশ ভাল লাগলো। এইটা আমি কিনবো সিদ্ধান্ত নিলাম।

যখন আমি তাকে টাকা দিতে যাব, তখন দেখলাম এই তীব্র শীতের(তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের নীচে, -৫ ডিগ্রি) মাঝেও তার হাতে কোন মোজা নেই।

‘তোমার হাতে কোন মোজা নেই কেন?’ জিজ্ঞেস করলাম।

‘এতে পেন্সিল ধরতে সুবিধা হয়।’ জবাবে বললো সে।
এরপর আরো বলল, সে শীতের প্রাগ শহরটাকে বেশি ভালবাসে। এই সময়টাই শহরের বিভিন্ন চিত্র আঁকার সেরা সময়। সে আমার কাছে তার আঁকা দৃশ্য বিক্রি করতে পারায় অনেক খুশি ছিল। তাই, বিনেপয়সাই আমার স্ত্রীর একটা পোট্রেইট এঁকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।

তার অঙ্কন শেষ করার অপেক্ষায় ছিলাম, তখনই মনে হল কিছু একটা অস্বাভাবিক। আমরা প্রায় পাঁচ মিনিটের মত কথা বলেছি, কিন্তু কেউ ই একে-অপরের ভাষাই জানতাম না।

একে অপরের অঙ্গভঙ্গি, হাসি, মুখের প্রতিক্রিয়া ও কিছু শেয়ার করার আকাঙ্খায়ই – নিজেদের কথা বুঝাচ্ছিলাম।

অন্যকে কিছু জানানোর প্রবল আকাঙ্খাতেই আমরা ভাষার দুনিয়ায় কোন শব্দ ছাড়াই ঢুকতে পেরেছিলাম। যেখানে সবকিছুই ছিল একদম পরিষ্কার এবং ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার বিন্দুমাত্র শঙ্কাও ছিল না।





... 11 ... The Chess Game

মেল্ক আশ্রমের মঠাধ্যক্ষ(মঠ প্রধান)-এর কাছে এক যুবক এসে বলল,
‘আমি প্রকৃতপক্ষে একজন সন্যাসী হতে চাই। কিন্তু জীবনে আমি কিছুই শিখিনি। আমার বাবা শুধু আমাকে দাবা খেলাটাই শিখিয়েছে। যেটা তেমন কোন জ্ঞানদান করেনি। এর বাইরে আমি শুধু এইটাই শিখেছি, সকল খেলাই এক ধরণের অপরাধ।’

‘হতে পারে এগুলো অপরাধ। কিন্তু এগুলো একধরণের বিনোদনও। কে জানে – এই আশ্রমটার হয়তো দুটোরই অল্প অল্প প্রয়োজন হতে পারে।’

মঠাধ্যক্ষ দাবার বোর্ড আনতে বললেন। এক সন্যাসীকে ডেকে এই তরুণের সাথে খেলতে বললেন।
কিন্তু খেলা শুরুর আগে এটাও বললেন,
‘যদিও আমাদের বিনোদন দরকার, কিন্তু আমরা তো সবাইকেই সবসময় দাবা খেলার অনুমতি দিতে পারিনা। তাই, এখানে শুধু ভাল খেলোয়াররাই খেলছে। যদি আমাদের সন্যাসী হেরে যায় – তাহলে সে আশ্রম ত্যাগ করবে এবং তার জায়গাটা তুমি পাবে।’

মঠাধ্যক্ষ এই সিদ্ধ্বান্তে অটুট ছিলেন। মজা করার কোন চিহ্ন তাঁর মাঝে ছিল না।
তরুণ জানে, এইটা তার জীবনের সবচেয়ে কঠিন খেলা। বিন্দু বিন্দু ঘামছিল। দাবার বোর্ডটাই তার পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল।

সন্যাসী খারাপ ভাবে শুরু করলো। তরূণ আক্রমণ করতে চাইলো, কিন্তু তখনই সে প্রতিপক্ষের পবিত্র চাহুনীটা দেখতে পেল। একটু ভেবে, সেও ইচ্ছে করেই খারাপ চাল দিল।
যাই হোক, তার হারাটাই ভাল হবে। এই পৃথিবীর জন্য তার থেকে একজন সন্যাসীই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

হঠাৎ করেই মঠাধ্যক্ষ দাবার বোর্ডটা মেঝেতে ছুড়ে ফেলল।

‘তোমাকে যতটা শেখানো হয়েছে, তুমি তার থেকেও অনেক বেশি শিখেছো। তুমি মনস্থির করেছিলে জইয়ী হবার, এটার জন্য তোমার যুদ্ধ করার ক্ষমতাও আছে।

আর, তোমার আছে সহানুভূতি, মায়া। ভাল একটা কারণে নিজেকে আত্নত্যাগ করতেও প্রস্তুত ছিলে। স্বাগতম তোমাকে। কারণ, জীবনের রহস্য লুকিয়ে হচ্ছে – নিয়ম-শৃংখলার সাথে মায়া/সহানুভূতির সামঞ্জস্য রাখায়!’





...10... Incompetence behind Authority

নীল তার দাদার সাথে শহরের এক রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছে। একটা সময় তার চোখে পড়লো, এক মুচির সাথে এক খরিদদার খুবই বাজে আচরণ করছে। তার জুতায় নাকি কোন একটা ভুল করেছে। শান্তভাবেই মুচিটা অভিযোগ শুনলো এবং ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলো। এই ভুলটা সে ঠিক করে দিবে বলেও কথা দিল।

নীল ও তার দাদা কফিশপে গেল। তাদের পাশের টেবিলে থাকা লোকটাকে ওয়েটার বলল, চেয়ারটা একটু সরিয়ে বসতে। সরিয়ে বসলে চলাচল করার জায়গা পাওয়া যাবে একটু। লোকটা রেগে আগুন হয়ে গালাগাল করলো এবং সরবে না বলেই ঠিক করলো।

'আজকে দেখলে তা কখনো ভুলো না।' নীলের দাদা বলল, 'মুচিটা তার উপর আসা সকল অভিযোগ সহজভাবেই মেনে নিল। কিন্তু আমাদের পাশে বসা এই লোকটা একটু সরতেও রাজি হল না।
যোগ্য ব্যক্তিরা, যা করে তা দরকারের জন্যই করে। তার সাথে খারাপ ব্যবহারেও সে কিছু মনে করেনা।
আর অযোগ্যরা সবসময় তাদেরকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং তাদের ক্ষমতার পিছনে অযোগ্যতাকে লুকিয়ে রাখে।'






...9... The well of madness


পুরো রাজ্যকে ধ্বংস করতে চায় এক শক্তিশালী জাদুকর। সেজন্যেই জাদু মিশ্রিত এক তরল মিশিয়ে কূপের পানির সাথে। কারণ, এই কূপটা থেকেই রাজ্যের সকল অধিবাসী পানি পান করতো। যারাই এই কূপের পানি পান করবে, তারাই পাগল হয়ে হয়ে যাবে।

পরদিন সকালেই রাজ্যের প্রায় সন অধিবাসীই এই কূপ থেকে পানি পান করে এবং সকলেই উন্মাদ হয়ে যায়। বাকি থাকে শুধু রাজা ও তার পরিবার। কারণ, তারা নিজেদের জন্য আলাদা একটি কূপ স্থাপন করেছিল। জাদুকর সেইটাতে তার জাদুর বিষ মিশাতে পারেনি।

রাজার উদ্বেগ বারোলো। এই বিপুল জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের উপর আদেশ জারি করলো এইটা দমন করতে।

নিরাপত্তার কাজে নিযুক্তরাও ঐ কূপের পানি খেয়েছিল। তাই তারা ভাবছে - এই রাজার সিদ্ধ্বান্তটা খুবই হাস্যকর ও বাজে। তারা রাজার কোন আদেশ না মানার সংকল্প করলো।

রাজ্যের অধিবাসীদের মাঝেও এইটা জানা জানি হয়ে যায়। তারা নিশ্চিত যে, এই রাজা পাগল হয়ে গেছে। তাই এরকম অদ্ভুত অদ্ভুত সিদ্দান্ত দিচ্ছে। রাজপ্রাসাদের দিকে মিছিল করতে করতে এগিয়ে গেল তারা। রাজাকে সিংহাসন থেকে সরানোর দাবি জানালো।

হতাশ হয়ে রাজা তাই করতে চাচ্ছিল। কিন্তু রাণী তাকে থামালো। বললো, 'চল! আমরাও ঐ সাধারণ কূপটা থেকে পানি খেয়ে আসি। তাহলেই আমরা আর ওরা একই রকম হয়ে যাব।'

রাজা ও রাণী তাই করলো। কিছুক্ষণের মাঝেই আরো বেশিরকমের পাগলে পরিণত হল।

রাজার পাগলামী দেখে প্রজারা একটু অনুতপ্ত হল। রাজা পাগল হয়ে, অন্যান্য পাগলদের থেকে অনেক জ্ঞাণীতে পরিণত হয়েছে। তাহলে, রাজ্য সামলানোর ভার তার কাছে থাকলেই বা ক্ষতি কী?

যেই রাজ্যের সবাই পাগল, সেই রাজ্যের সবচেয়ে বড় পাগলই রাজা।






...8... The beloved Man

ঈশ্বর যাকে ভালবাসে, তাকে সার্বিয়ান এক ওঝা দেখতে চাইলো। ঈশ্বর তাকে এক কৃষকের নাম বলে খুঁজে নেওয়ার জন্য বলল।

'তুমি কী করো - যার জন্য ঈশ্বর তোমাকে এত ভালবাসে?' কৃষককে খুঁজে পাওয়ার পর ওঝা তার কাছে জানতে চাইলো।

'সকালে উঠে তার নাম স্মরণ করি - তারপর সারাদিন কাজ করি - আর রাতে ঘুমানোর আগে ঈশ্বরকে স্মরণ করি। এইটুকুই।' কৃষকটি জবাব দিল।

ওঝা মনে মনে ভাবলো, সে ভুল মানুষকে খুঁজে পেয়েছে।

তখনই ঈশ্বরের উদয় হল, 'পাত্রটায় দুধ ঢালো, শহরে যাও এবং ফিরে আসো। মনে রেখো, এক ফোঁটা দুধও তুমি ফেলতে পারবে না।'

ওঝা তাই করলো। ফেরার পর, ঈশ্বর তার কাছে জানতে চাইলো, সে কতবার তাকে স্মরণ করেছে।

'কিভাবে করবো? আমি তো দুধ না ফেলার চিন্তাতেই ছিলাম।'

'একটা সাধারণ দুধের পাত্রই তোমাকে আমার কথা ভুলিয়ে দিল।' 'আর এই কৃষক সারাদিন কঠোর কাজ করেও প্রতিদিন আমাকে দুইবার স্মরণ করে।'






...7... The older's sister question

তার ভাইয়ের যখন জন্ম হল, সা-চী গ্যাব্রিয়েলের বয়স তখন চার। ভাইকে তার সাথে একা ছেড়ে দেওয়ার জন্য সে তার বাবা-মায়ের কাছে অনুরোধ করলো।

কিন্তু তার বাবা-মা রাজি হয়নি। মেয়েটার বয়সই মাত্র চার। হিংসায় পড়ে বাচ্চাটার সাথে বাজে আচরণ করতে পারে সে।

কিন্তু সা-চী-এর মাঝে হিংসার কোন ছাপ দেখা গেল না।

ছোট ভাইয়ের প্রতি তার অসীম মমতা ও ভালবাসা দেখে - তার বাবা-মা পরীক্ষাটা চালানোর সিদ্ধান্ত নিল।
সদ্য জন্মানো বাচ্চাটাকে সা-চী-এর সাথে একাকী রেখে গেল। কিন্তু ঘরের দরজা কিছুটা ফাঁক করে রেখেছিল। সে কী করে সেটা দেখার জন্য।

তার ইচ্ছা পূরণ হওয়ায় সা-চী মহাখুশি। ছোট মেয়েটা হাঁটুর উপর ভর করে বাচ্চাটার দিকে ঝুঁকে জিজ্ঞেস করলো,
'ভাইয়া! ঈশ্বর দেখতে কেমন বলতো? আমি উনাকে একটু একটু ভুলতে শুরু করেছি।'






...6... The Fake Coins

বাগদাদের এক বাজারে এক বৃদ্ধ খেলনা বিক্রি করতো। চোখের দৃষ্টি একটু দুর্বল ছিল তার। খরিদদারদের অনেকেই সেইটা জানতো। তাই মাঝে মাঝে তারা নকল মুদ্রা দিয়ে খেলনার দাম পরিশোধ করতো।

বৃদ্ধটি এটা বুঝতে পারে কিন্তু কখনো এটা নিয়ে কাউকে কিছু বলেনি।
প্রার্থনার সময় ঐসব ধোঁকাবাজ লোকদের জন্য সে নিজেই ক্ষমা চাইতো।
'হতে পারে, তাদের বাচ্চাদের খেলনা কিনে দেওয়ার মত তাদের পর্যাপ্ত অর্থ নেই। কিন্তু তারা তো বাচ্চাদের খুশি রাখতে চায়।' নিজেই বলল নিজেকে।

সময় গড়ালো। বৃদ্ধটি একসময় মারা গেল।

স্বর্গের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ঠকঠক করে কাঁপতে প্রার্থনা শুরু করলো। 'হে ঈশ্বর! আমি একজন পাপী।
আমি অনেকে পাপ করেছি। ঐসব নকল মুদ্রা দেওয়াদের থেকে আমি খুব বেশি ভালও নই। আমাকে ক্ষমা করুন।'

ঐ সময়েই দরজাটা খুলে গেল এবং কন্ঠস্বরে ভেসে এল, 'আমি কী ক্ষমা করব? যে ব্যক্তিটি তার সারাজীবনে কখনো কারো কোন বিচার করেনি, আমি কিভাবেই বা তার বিচার করব?'







...5... Just like marriage


শরৎ-এর পুরোটা সময়ই নাদিয়া কাঁটালো বাগান তৈরিতে ও বীজ বপন করায়। বসন্তে ফুল ফুঁটতে শুরু করলো। নাদিয়া খেয়াল করলো যে, বাগানে কিছু আগাছা জাতীয় ফুলও ফুঁটেছে - যেইগুলো সে বপন করেনি।

আগাছাগুলো উপড়ে ফেলল নাদিয়া। কিন্তু ইতিমধ্যেই আগাছার বীজ পুরো বাগানেই ছড়িয়ে পড়েছে। আরো বাড়ছে। সে শুধু এই আগাছাগুলো মারার জন্য বিষ খুঁজছিল। এক দক্ষ লোক তাকে বলল, যে কোন বিষই এই আগাছাগুলো ধ্বংস করতে পারবে কিন্তু ঐগুলোর সাথে সাথে অন্যান্য ফুলগাছগুলোও মরে যাবে। হতাশ হয়ে, নাদিয়া এক মালির কাছে সাহায্য চাইতে গেল।

'এইটা একদম বিয়ের মত।' মালি বলতে শুরু করলো। 'সকল ভাল কিছুর সাথেই কিছু ঝামেলা জড়িয়ে থাকে।'

'তাহলে আমি কী করব এখন?'

'কিছুই না! এগুলো হয়তো ঐরকম কোন ফুল না - যা তুমি চাইছিলে। কিন্তু তারা তো এখন এই ফুল বাগানটারই একটা অংশ।'







...4... Certainity and Doubt


এক সকালে বুদ্ধা তার সকল শিষ্যদের নিয়ে জড়ো হল।

একজন উঠে তার কাছে আসলো,
'ঈশ্বরের অস্তিত্ব কি আসলেই আছে?'
'হ্যা! আছে।' বুদ্ধা উত্তর দিল।

দুপুরের পর,আরেকজন উঠে এল -
'ঈশ্বরের অস্তিত্ব কি আসলেই আছে?'
'না! নেই।' বুদ্ধা বলল।

বিকালের দিকে, তৃতীয় আরেকজন উঠে এসে একই প্রশ্ন করলো,
'ঈশ্বরের অস্তিত্ব কি আসলেই আছে?'
'সেইটা তুমি নিজেই বিবেচনা করে নাও।' বুদ্ধার উত্তর।

ঐ লোকটা যাওয়ার সাথে সাথেই তার এক শিষ্য রাগতস্বরে বলে উঠলো,
'কিন্তু গুরু! এইটা তো অযৌক্তিক। আপনি কিভাবে একই প্রশ্নের উত্তরে তিনজনকে তিনরকম কথা বললেন?'

'কারণ তারা তিনজনই আলাদা আলাদা মানুষ। এবং তাদের প্রত্যেকেই নিজস্ব উপায়েই ঈশ্বরের কাছে পৌছুবে।

প্রথম জন, তাকে আমি যাই বলব - সে সেইটাই মেনে নিবে।
দ্বিতীয় জন, আমাকে ভুল করার জন্য সবকিছুই সে করবে।
তৃতীয় জন, যেইটা তার বেছে নেওয়ার জন্য অনুমতি রয়েছে - সে সেইটাই বিশ্বাস করবে।'






...3... The laundry is not clean

সদ্য বিবাহিত তরূণ স্বামী-স্ত্রী এলাকার নতুন বাড়িটায় উঠেছে। পরদিন সকালে নাস্তা করার সময় মেয়েটা তার প্রতিবেশির কাপড় বাইরে নাড়তে দেখলো।

'কাপড়টা খুব একটা পরিষ্কার হয় নি। মনেহয়, সে জানেনা কিভাবে ঠিকমত ধুতে হয়। খুব সম্ভবত তার একটা ভাল কাপড় কাঁচার সাবান দরকার।'

তার স্বামী বাইরে তাকিয়ে দেখলো। দেখে চুপ রইলো। এরপর থেকে প্রতিবারই তার প্রতিবেশি কাপড় শুকানোর জন্য বাইরে নাড়লে মেয়েটা একই কথা বলত।

মাসখানেক পর, বাইরে প্রতিবেশির উঠানে একদম পরিষ্কার কাপড় ঝুলতে দেখে অবাক হয়ে গেল সে। তার স্বামীকে বলল,
'দেখ! দেখ! অবশেষে, সে ঠিকমত কাপড় ধোয়া শিখলো। ভাবতে অবাক লাগছে, কে তাকে শিখালো?'

তার স্বামী জবাব দিল, 'আজকে সকালে ঘুম থেকে আগে উঠে আমি আমাদের জানালাটা পরিষ্কার করেছি।' বলে জানালাটা দেখালো। যে জানালা দিয়ে প্রতিবেশির নাড়া কাপড়গুলো তারা দেখতো।

এবং আমাদের জীবনেও...... যখন আমরা অন্যকে দেখে কোন মন্তব্য করি - সেটা নির্ভর করে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী কতটা স্বচ্ছ তার উপর।

...2... The rich and poor boy

প্রাচীণ আরবের দুই বালকের গল্প এইটা। বালকদের একজন ধনী, অপরজন গরীব।

একদিন তারা বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরে আসছিল। ধনী বালকটা মধুর আবরণ দিয়ে তৈরি এক বিস্কুট কিনে ফিরছিল। অপর দিকে দরিদ্র বালকটি পুরোনো এক টূকরো রুটি। সে বারবার তাকাচ্ছিল মধুর আবরণের সেই বিস্কুটটার দিকে।

ধনী বালকটি তা দেখে বললো, 'আমি তোমাকে বিস্কুটটা খেতে দিব - যদি তুমি কুকুর সেজে আমার সাথে খেলা করো।'

দরিদ্র বালকটি তাই করলো। চার হাতপায়ে ভর করে কুকুরের মত হাঁটা শুরু করলো। এরপর বিস্কুটের ছিটিয়ে দেওয়া টুকরো গুলো খাওয়া শুরু করলো।

এক জ্ঞানী ব্যক্তি তাদের কার্যকলাপ দেখছিলেন। বললেন, 'দরিদ্র ছেলেটার যদি নিজের প্রতি একটূ সম্মানও থাকত, তাহলে সে এতক্ষণে টাকা উপার্জনের পথ খুঁজে বের করতে পারতো। কিন্তু সে বিস্কুট খাওয়ার জন্য বেছে নিল ধনী ছেলেটার কুকুর হওয়াটাই। এই ছেলেই কাল যখন বড় হবে, তখনও এরকমই করবে। এবং টাকার লোভে দেশের সাথে প্রতারণা করার সম্ভাবনাও তার অনেক বেশি।'





...1... The Giant Tree

নির্মাণ কাজের প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহের জন্য এক ছুতার ও তার কিছু শিক্ষানবীস কুই(Ql) প্রদেশে খোঁজাখুঁজি করছিল।

একটা বিশালাকৃতির গাছ তাদের চোখে পড়লো। পাঁচজন মিলে হাত দিয়ে ঘেড় দিয়েও হাছের প্রশস্ততা মাপতে পারলো না। গাছের চূড়াটা মেঘ ছুই ছুই করছে।

'এই গাছ নিয়ে ভেবে আমাদের সময় নষ্ট করার দরকার নেই।' ছুতারদের নেতাগোছের লোকটা বলল। 'এটা কাঁটতে গেলে আমাদের চিরকাল লেগে যাবে। এটার ভারী শুঁড়(গাছের গুড়ি) দিয়ে জাহাজ তৈরি করলে, জাহাজ পানিতে ডুবে যাবে। যদি এটা দিয়ে ঘরের ছাদ তৈরি করতে চাই, তাহলে ঘরের দেয়ালকে অনেক বেশি রকমের মজবুত হতে হবে।'

দলটা আবার তাদের যাত্রা শুরু করেছে। হাঁটতে হাঁটতে গাছের দিকে তাকিয়ে এক শিক্ষানবীস গাছ নিয়ে মন্তব্য করলো,
'এত বড় একটা গাছ! কিন্ত কারোরই কোন কাজের না।'

'তোমার ভুলটা এখানেই।' দলপতি বলল। 'গাছটা তার নিজের মত করেই আছে। যদি অন্য সব গাছের মত হত, তাহলে আমরা এতক্ষণে এটাকে কেঁটে ফেলতাম। কিন্তু এইটার সাহস আছে অন্যদের চেয়ে আলাদা হবার। তাই এটা এত লম্বা সময় ধরে এখনো শক্তভাবে টিকে রয়েছে।'


------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


আরো পড়তে চাইলে, নিন্মোক্ত জায়গায় পাবেন,
Paulo Coelho Wiki
Paulo Coelho Blog
PauloCoelho - Wattpad

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৯

প্রামানিক বলেছেন: অনু গল্পগুলি অনেক ভাল লাগল। শিক্ষনীয় গল্প। ধন্যবাদ

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আসলেই শিক্ষণীয়।
সত্যি কথা বলতে - ইদানিং বেশ হতাশ ছিলাম। এই গল্পগুলো পড়ার পর আর কোন হতাশাই নেই।

ধন্যবাদ আপনাকেও।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২

কিরমানী লিটন বলেছেন: চমৎকার শিক্ষণীয় সব অনুগল্প, অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের- এ থেকে ...
অনেক শুভকামনা জানবেন প্রিয় রক্তিম দিগন্ত ভাইয়া .।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আসলেই অনেক কিছু শেখবার আছে আমাদের। গল্পগুলো একধরণের আয়নার মত। পড়ার পর - নিজের গলদ্গুলো ধরাটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। :)

ধন্যবাদ লিটন ভ্রাতা! ;)

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বুকমার্ক করে রাখলাম ,

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: দুই লিটন ভাইয়ের একসাথে মন্তব্য! বাহ! সন্ধ্যাটা এক লিটনের মুখ দেখে হইছিল দেখেই - এই ঘটনা। :P

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

আজমান আন্দালিব বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ৬টি ও পড়লাম। ১৬, ১৫, ১৩ ভালো লেগেছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনি তো আগের পোষ্টেই বাকিগুলো পড়েছিলেন। :)

নতুন ছয়টার মাঝে আমার ১৬ নংটা বেশি ভাল লেগেছে। দৃষ্টিভঙ্গি এমন করতে পারলে - উন্নতির পর উন্নতি এমনিতেই ধরা দিবে। :)

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩১

সুমন কর বলেছেন: আগের পোস্টটি মুছে ১৬টি একবারে দিলেন কেন? দুই পর্ব হলে কি ক্ষতি হতো !!

১১, ১২, ১৩ ভালো লাগেছে।
+।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এক পার্টে সব থাকলে পড়তে মজা। যদিও বেশি বড় হয় - তবুও একবারে পড়ার মজা আলাদা। অনেকেই আবার মাঝের বাঁধা পছন্দ করে না। আমিও না। সেইটা ভেবেই সব একসাথে দিয়ে দিলাম।

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: মুগ্ধপাঠ!!

শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! :)

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২১

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: দারুন পোস্ট! ভাললাগা রেখে গেলাম। :)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ আপু :)

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়! :)

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আগেরগুলোর মতো নতুন সংযোজনগুলো ভাল হয়েছে। প্রথম দুটো বিশেস করে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: নতুন গুলো অবশ্য আগের মত অতটা ভাল এফোর্ট দিয়ে লিখিনি। নতুন গুলোতে আসলে মূল বাক্যটাই ভাল ছিল। যার জন্য অনুবাদ বাজে না ভাল ধরা যাচ্ছে না।

তবে, আপনার কাছ থেকে পজিটিভ কমেন্ট পেয়ে বেশ ভাল লাগলো।

যাই হোক - অনুবাদে সামুর বস আপনিই। ;)

১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: দরিদ্র বালকটি তাই করলো। চার হাতপায়ে ভর করে কুকুরের মত হাঁটা শুরু করলো। এরপর বিস্কুটের ছিটিয়ে দেওয়া টুকরো গুলো খাওয়া শুরু করলো।


এই ধরণের লোক সমাজের সবখানে।
অধিকাংশতেই ভালো লাগা।
শিক্ষণীয় যেকোন কিছু ভালোলাগার শীর্ষে রাখার চেষ্টা করি।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আসলেই। এমন মানুষের সংখ্যাই এখন বেশি। এদেরকে পা-চাটা বলা হয়।

সমাজের বিশৃঙ্খলার বেশির ভাগই এদের জন্য তৈরি হয়। :(

১১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

রিকি বলেছেন: আমি এই পোস্টে কোন গল্পের কমেন্ট দিবো না----আমার আগের ১০ টা গল্পের ব্যবচ্ছেদের ইয়া বড় কমেন্টের পোস্ট মুছে দিয়েছেন !!!! :((

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ...1... The Giant Tree
Be like yourself....not thyself
...2... The rich and poor boy
The most powerful characteristics of a human being is
self-esteem.....don't loose it for lousy purpose.
...3... The laundry is not clean
I would like to define this story by Mirza
Ghalib's....Shayeri.
“Bas ek hi galti hum saari zindagi karte rahe, Dhool
chehre par thi aur hum aaina saaf karte rahe…”
...4... Certainity and Doubt
Don't argue with an idiot person...... )
...5... Just like marriage
Whiteboards are fully clean when it is new.....By the
touch of black ink it can hardly be entirely clean
afterwards !!!! )
...6... The Fake Coins
Slap urself.....before doing something ridiculous !!! Being
an idiot is such a thing !!
...7... The older's sister question
Some questions are better left unanswered !!! :``<<
...8... The beloved Man
Before forgetting something......please check your
phone's reminder system !!!! )
...9... The well of madness
We all are mad.....of a craziest planet named earth !!!!
...10... Incompetence behind Authority
Perseverance is a difficult thing..... if u conquer it, u can
do anything !!!!


এইডা আছিলো না আফা কমেন্টডা?

১২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: আগের গুলোও বেশ ছিল! ভাললাগা।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: থাংকু থাংকু ভাই।

১৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রথমটাই সবচেয়ে ভালো। এটা অবশ্য আগে পড়া ছিলো। ভালো উদ্যোগ। চলুক।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: নিজের জন্যই লিখছি ভাই। অন্তত মোরালগুলো অনেক দিন আমার মাথায় থাকবে।

১৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:০৬

তুষার আহাসান বলেছেন: প্রিয়তে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ;)

১৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

রিকি বলেছেন: আমার কমেন্টগুলো দেখতে পেলাম B-)) B-)) B-)) পরের ছয়টার মধ্যে প্রথমটা আগেই পড়েছি, বাকিগুলো ভালো লেগেছে। কিন্তু আগেরগুলো বেশিইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই ভালো ছিল মনে হয় :) :) :)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: প্রথমগুলো সবসময়ই ভাল হয়। দ্বিতীয়তে প্রথমটার অনুযায়ী ভাল করতে গেলে দেখা যায় - ঐটা আরো খারাপ হয়।

মুভির সিকুয়েলগুলোতে ম্যাক্সিমাম টাইম যেইটা ঘটে।

১৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ১৬তম গল্পটি সবচেয়ে ভাল লাগলো। বাপের শিক্ষা দেয়ার অপজিট + পজিটিভ শিক্ষা গ্রহণ আমার কাছে টুইস্টের মতোই লেগেছে। :) :)
এখানে শিক্ষা হিসেবে যেটা মুখ্য বলে আমার কাছে লাগলো সেটা হলো- দৃষ্টিভংগি।

১৫,১৪ তম যে গল্প তা বলতে চাই না।

১৩ তম এটায় হাসলাম। তবে আমি এটাকে বাস্তব জীবনে নিয়ে ফলো করার চেষ্টা করব। আমার মধ্যে একনিষ্টতা একদমই নেই।

১২ তম এটাও ভাল লাগলো। আসলেই এটেনশনটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ।

১১ এ এই কথাগুলো অনুসরণযোগ্য।
‘তোমাকে যতটা শেখানো হয়েছে, তুমি তার থেকেও অনেক বেশি শিখেছো। তুমি মনস্থির করেছিলে জইয়ী হবার, এটার জন্য তোমার যুদ্ধ করার ক্ষমতাও আছে।

আর, তোমার আছে সহানুভূতি, মায়া। ভাল একটা কারণে নিজেকে আত্নত্যাগ করতেও প্রস্তুত ছিলে। স্বাগতম তোমাকে। কারণ, জীবনের রহস্য লুকিয়ে হচ্ছে – নিয়ম-শৃংখলার সাথে মায়া/সহানুভূতির সামঞ্জস্য রাখায়!’


১০ এ - এই কথার সাথে শতভাগ সহমত।

যোগ্য ব্যক্তিরা, যা করে তা দরকারের জন্যই করে। তার সাথে খারাপ ব্যবহারেও সে কিছু মনে করেনা।

৯ এ-
রাজার পাগলামী দেখে প্রজারা একটু অনুতপ্ত হল। রাজা পাগল হয়ে, অন্যান্য পাগলদের থেকে অনেক জ্ঞাণীতে পরিণত হয়েছে। তাহলে, রাজ্য সামলানোর ভার তার কাছে থাকলেই বা ক্ষতি কী?

যেই রাজ্যের সবাই পাগল, সেই রাজ্যের সবচেয়ে বড় পাগলই রাজা।

হাঃ হাঃ হাঃ পরিস্থিতির কাছে আত্মসামর্পণ।

৮ এ- অতোটা ভাবনা ভাবতে পারি নাই।

৭ এ-ও বিষয়টার আগামাথা ঢুকেনি।

৬ এ- তো সারা দেহে পবিত্র এক শিহরণ অনুভব করলাম। অসাধারণ!!

৫ এ- যে বক্তব্যটি আসছে তার সাথে একমত নই। এরকমটি হলে তো সংশোধনের আর দরকার থাকবে না। সবকিছুই অ্যাসেপ্টেবল হয়ে যাবে।

৪ এ-
এক শিষ্য রাগতস্বরে বলে উঠলো,
'কিন্তু গুরু! এইটা তো অযৌক্তিক। আপনি কিভাবে একই প্রশ্নের উত্তরে তিনজনকে তিনরকম কথা বললেন?'

'কারণ তারা তিনজনই আলাদা আলাদা মানুষ। এবং তাদের প্রত্যেকেই নিজস্ব উপায়েই ঈশ্বরের কাছে পৌছুবে।

প্রথম জন, তাকে আমি যাই বলব - সে সেইটাই মেনে নিবে।
দ্বিতীয় জন, আমাকে ভুল করার জন্য সবকিছুই সে করবে।
তৃতীয় জন, যেইটা তার বেছে নেওয়ার জন্য অনুমতি রয়েছে - সে সেইটাই বিশ্বাস করবে।'


ক্রিয়েটিভ ব্যক্তি ছিলেন বুদ্ধা।

৩ এর ব্যাপারটা আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। কারণ আপনার দৃষ্টিভংগিই আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে।

২ এ- যে শিক্ষা দেয়া হয়েছে সেটা আমাদের দেশে ছড়িয়ে দেয়া দরকার। ভোগের জন্য নিজেকে বিলীন করে দেয়ার কোন মানেই হয় না।

১ এ-

'গাছটা তার নিজের মত করেই আছে। যদি অন্য সব গাছের মত হত, তাহলে আমরা এতক্ষণে এটাকে কেঁটে ফেলতাম। কিন্তু এইটার সাহস আছে অন্যদের চেয়ে আলাদা হবার। তাই এটা এত লম্বা সময় ধরে এখনো শক্তভাবে টিকে রয়েছে।'

এটার থেকে আপনি কি গ্রহণ করবেন সেটা নির্ভর করছে দৃষ্টিভংগির ওপর। আমি এটাকে এভাবে নিয়েছি-

নিজেকে সবার মতো দেখাদেখি না করে, নিজের মতো করে হওয়া/করা/থাকা/বলা উচিত। অন্যকে অনুকরণের চেয়ে নিজেকে প্রকাশ করাই সঠিক চিন্তা।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: খাইছে!!!

বিশাল মন্তব্য!!!

এত বড় মন্তব্যই তো সবসময় আশা করি, কিন্তু আফসোস - যখন পাইলাম, দেখলাম তার প্রায় ১৪ দিন পর।
আপনার গল্পের ব্যাখ্যার সাথে আমারো বেশ কয়েকটার মিল আছে।

কয়েকটার সাথে পজিটিভ চিন্তার মিল আছে।

অবশেষে, এইটা বুঝা গেল যে, পজিটিভ চিন্তা আসলে একভাবে না - একেকজন একেকভাবে করতে পারে, পজিটিভনেস নির্ভর করে চিন্তাটা খাটানোর উপর।

মন্তব্য সেইরাম ভাল্লাগছে ভাই।

১৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভ্রাতা, কামিং| একটু দৌড়ের উপর আছি

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এতদিনে দৌড় শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ভাই.। :P

১৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: ভাই, কিছু হইছে? আপনার সব লেখা ড্রাফট এ নিছেন কেনো???

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: না ভাই, নেগেটিভ কিছুই না - কিছু আসলে সরানো হইছে কোন এক কারণে। কিছু সরানো হয়েছে প্রিন্টিং মিডিয়াতে চলে যাওয়ার কারণে। আর, কিছু সরানো হয়েছে সেগুলো প্রিন্টিং মিডিয়াতে যেতে পারে কোন সময় তাই।

:)

১৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
প্রয়াসখানি সুন্দর লাগল ৷

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!!

২০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

বনমহুয়া বলেছেন: রক্তিমভাই। এমন নির্বাক হয়ে পড়ছেন কেন?

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পরীক্ষা আফা!!!

চুপচাপ না থাকলে কি আর চলে?

সাথে শরীরের অবস্থাও বেশি খারাপ!! ঠান্ডায় প্রায় কবরের ভিতরেই আছি বলতে পারেন। ইনশাল্লাহ!! কয়েকদিনের মাঝেই আবার ফেরত আসছি।

২১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: প্রিয়তে রইল। সময় করে সব পড়ব।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ

২২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই অবস্থা কেন ব্লগের? আপনার সুদীর্ঘ গল্পটি পড়বো ভেবেছিলাম।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাই! আল্লাহ বাঁচাইলে কয়টা মাস ধৈর্য্য ধরেন - ঐটা যাতে আরাম কইরা পায়ের উপর পা তুইলা পড়তে পারেন ঐটার ব্যবস্থা করতেছি।
এই জন্যই সরায়া দিছি।

দুয়া কইরেন যাতে - ঐটা সফল হয়!!!

২৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২৭

অবাকবিস্ময়২০০০ বলেছেন: প্রথমটা পড়লাম --অসাধারন ! সময় করে একদিন বাকিগুলা পড়ে ফেলব

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ছোট ছোট গল্প! একটানাই পড়ে ফেলা যায়। অ্যানিওয়ে, ধন্যবাদ।

২৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: প্রিয়তে। সাথে নবম ভাললাগা :)

২৭ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা :)

২৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মাত্র একটি পড়েছি খুব ভাল লাগল , প্রিয়তে নিয়ে গেলাম পরে সময় করে পড়ব ।
ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা রইল ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
সবগুলোই পড়বেন আশা করছি। :)

২৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতি উত্তরের জন্য , সময় করে পড়ব ইনসালালাহ ।

২৭| ২২ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৬

নিয়াজ মোর্শেদ বলেছেন: Good

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.