নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় বলার মত কিছু এখনো করতে পারি নি। তাই ঘরটা ফাঁকাই। পরিচয় অর্জন করতে পারলে আমি যোগ করে দিব।

রক্তিম দিগন্ত

Life is all about a thrill.

রক্তিম দিগন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরাণ পিরিতের কিচ্ছা কাহিনীঃ ইকো ও নার্সিসাসের গল্প

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৩৫



অলিম্পিয়ান দেবতাদের রাজা জিউস তার অনেক প্রেমের প্রণয়ের জন্য কুখ্যাত ছিল। প্রণয়ের কোন সুযোগ পেলে সে ছাড়তো না। বিশেষ করে তখন - যখন দেবতাদের রাণী তার স্ত্রী হেরা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকতো।

ইকো নামের এক কম বয়সী সুন্দরী বনদেবীও বাস করতো তখন। গাছ এবং পর্বত এই দুই-ই ছিল তার সব। খুবই হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাঞ্জল ছিল সে। কিন্তু তার ভয়ানক একটা বদঅভ্যাস ছিল। খুব বেশি কথা বলত। ‘বাঁচাল’ বলেই আখ্যায়িত সে। তার কাছে তার নিজের গলার সুরের চেয়ে মধুর আর কিছু ছিল না।

একদিন, ইকো রাণী হেরার সাথে তার স্বভাবসুলভ বাঁচালতা বজায় রেখে আলাপে মেতেছিল। হেরাও তার সাথে কথা বলতে বলতে আলাপে মশগুল হয়ে পড়েছিল।

এটা দেখে জিউসের মাথায় কুবুদ্ধি খেললো। সে সুযোগ কখনোই হাত ছাড়া করতো না। রাণী ব্যস্ত। সেই সুযোগে মর্ত্যের বনদেবী ও জলপরীদের সাথে প্রণয়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো। সফলও হল।

হেরা এটা জানতে পেরে ক্রুদ্ধ হল। কিন্তু অলিম্পিয়ানদের শাসক জিউসে বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার মত কোন শক্তি তার ছিল না। তাই কোপটা পড়লো বেচারী ইকোর উপরই।

হেরা মনে করছিল, ইকো জিউসের সাথে মিলে কাজ করছে। তার সাথে কথা বলার ছলে তাকে ব্যস্ত রেখে জিউসকে ইকোই সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু সত্য এটাই যে, ইকো আসলে জিউসের কার্যকলাপ সম্পর্কে কিছুই জানতো না।

কিন্তু হেরা তা মানতে রাজি নয়। শাস্তি দেওয়ার জন্য কেড়ে নিল ইকোর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদটাকেই। ইকো কোন কথা বলতে পারবে না আর নিজে থেকে। সে শুধু তাই বলতে পারবে যা অন্য কেউ তাকে বলবে। শুধু অন্যের কথার অনুকরণ করে যেতে হবে তাকে।

সেই সময় নার্সিসাস নামের এক দাম্ভিক যুবকও বাস করতো। সে ছিল নীলপরী লেইরিওপে ও নদ-দেবতা সেফিসাসের ছেলে।
লেইরিওপে তার ছেলের সুস্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি ভাবতো। তার সন্তানের ভবিষ্যৎ কী হবে তা জানার জন্য ছুটে গেল টেইরেসিয়াস নামের এক জ্ঞানী ব্যক্তির কাছে।

জ্ঞানী ব্যক্তিটি জানালো, নার্সিসাস অনেক বছর বেঁচে থাকবে – তবে যতদিন সে নিজেকে না চিনে থাকবে।

নার্সিসাস বাচ্চা বয়স থেকেই অনেক বেশি সুন্দর ছিল দেখতে। বড় হতে হতে সুদর্শন যুবক হয়ে উঠলো। পুরুষ ও নারী উভয়েই তাকে তার সৌন্দর্য্যের জন্য চাইতো। কিন্তু দাম্ভিক নার্সিসাস সবাইকেই ফিরিয়ে দিত। নার্সিসাসের কোন ইচ্ছাই ছিল না কোন প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর বা কাউকে ভালবাসার।

বনের মাঝে একদিন নার্সিসাসকে দেখে তার প্রেমে পড়ে গেল ইকো। সবসময়ই সে চাইতো নার্সিসাসের সাথে একটু কথা বলতে। কিন্তু কথা বলার ক্ষমতা তার থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তাই সে শুধু দেখেই যেত নার্সিসাসকে, আশায় থাকতো কখন নার্সিসাসকে দেখতে পারবে। তাকে অনুসরণ করতো।

একদিন ঝোপের আড়ালে থেকে নার্সিসাসকে অনুসরণ করছিল ইকো। নার্সিসাস তার পিছনে মৃদু পায়ের শব্দ শুনে থেমে গেল। কিন্তু কাউকে পেল না। আবার হাঁটা শুরু করলো, আবারো শব্দটা শুনতে পেল। থমকে গিয়ে চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
‘কে এখানে?’
ইকো ঝোপের আড়াল থেকে বলল, ‘কে এখানে?’ এইটুকুই সে বলতে পারবে।
নার্সিসাস আবারো বললো, ‘এসো!’
ইকোও বলল, ‘এসো!’
‘আমাকে এড়িয়ে চলছো কেন? এসো একসাথে হই!’ নার্সিসাস বলল।

ইকো খুশি হয়ে উঠলো। নার্সিসাস তাকে তার সাথে মিলিত হওয়ার জন্য ডেকেছে। সে নার্সিসাসকে জানাতে চাইলো সে কে আর সে কতটুকু ভালবাসে নার্সিসাসকে। কিন্তু বলতে পারলো না। দৌড়ে গেলে তার দিকে এবং জড়িয়ে ধরলো।

রেগে গেল নার্সিসাস। ‘হাত সরাও! তুমি আমাকে পাবে, সেটা চিন্তা করার থেকে আমার মরে যাওয়া ভাল!’ ঝাড়া দিয়ে ফেলে দিল ইকোকে।

হৃদয় ভেঙ্গে গেল ইকোর। অপমানিত হল। লজ্জিত হয়ে ছূটে গেল পর্বতের দিকে। সেই পর্বতেই রয়ে গেল। কষ্ট পেয়ে গেল সেই ভালবাসার জন্য যেটার প্রতিদান সে কখনো পায়নি, পাবেও না। কষ্টে কষ্টেই মৃত্যু হল তার। তার শরীর পাথর হয়ে মিশে গেল পর্বতের অন্যান্য পাথরগুলোর সাথে। শুধু রয়ে গেল তার স্বরটা। যা দিয়ে শুধু অন্য কেউ কিছু বললে সেটাই বলতে পারতো।

নার্সিসাসের দম্ভ ততদিনে বাড়ছিলোই। তার প্রেমে পড়া দেবীদের সংখ্যা বাড়ছিলোই। দাম্ভিক নার্সিসাস কষ্ট দিত সবাইকেই। তার প্রেমে পড়া এক জলপরীর তার প্রতি ভালবাসা পরীক্ষার করার জন্য ছুরি দিয়ে পরীকে আত্নহননই করতে বলেছিল।

পরীও তাই করেছিল। মৃত্যুর আগে অভিশাপ দিয়েছিল নার্সিসাসের উপর।

দেবতারা তার এইরূপ আচরণ দেখে ক্ষীপ্ত হল। তাকে শিক্ষা দেওয়া পণ করলো। তাকে এটা বুঝতে হবে যে কেউ ভালবাসলে তাকে সেটার প্রতিদান না দিলে কেমন লাগে! ঠিক করলো, নার্সিসাসকে এমন একজনের প্রেমে পড়াতে – যে বাস্তব না এবং কখনোই তার ভালবাসার প্রতিদান দিতে পারবে না।

একদিন সুর্যাস্ত উপভোগ করছিল নার্সিসাস। তেষ্টা পাওয়ায় পুকুরের কাছে গেল পানি পান করতে। পানিতে নিজের অবয়ব দেখে চমকে উঠলো। সে এটাকে ভাবছিল, এটা বুঝি সুন্দর কোন পানির দেবতা। সে তার নিজেকে চিনতো না, নিজের সম্পর্ক জানতো না। তাই মুহুর্তেই তার নিজের প্রতিচ্ছবির প্রেমে পড়ে গেল। নার্সিসাস মাথা নিচু করলো, অবয়বটাও তাই করলো। এটাকে সম্মতির লক্ষণ মনে করে ছুতে গেল। পানি নড়ে যাওয়ায় প্রতিচ্ছবিটা এলোমেলো হয়ে গেল। ভয় পেয়ে গেল নার্সিসাস। কোথায় গেল তার ভালবাসা?

পানি আবার স্থির হল। প্রতিচ্ছবিটাও আবার ভেসে উঠলো। তখন নার্সিসাস বললো,
‘কেন, কেন তুমি আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছ? নিশ্চয় আমার চেহারা তোমাকে আমার থেকে দূর করে দিচ্ছে না। পরীরা আমাকে ভালবাসে। এবং তুমিও তাদের থেকে ব্যতিক্রম নও। আমি হাত প্রসারিত করলে তুমিও করো। আমার দিকে তাকিয়ে হাসো। আমার মত করেই আমার ইশারার জবাব দাও।’
বলে আবার ছুতে গেল। এবং আবারও প্রতিচ্ছবিটা হারিয়ে গেল। নার্সিসাস পানিকে স্পর্শ করতে ভয় পেয়ে গেল। পুকুরটার পাশে বসে থেকে তার প্রতিচ্ছবিটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।

হতাশায় কাঁদতে শুরু করলো সে, ঠিক যেভাবে ইকো কাঁদতো। সে নড়তো না, খেত না, পানও করতো না। সে শুধু কষ্টই পেত। তার সৌন্দর্য ম্লান হতে শুরু করলো। পরীরা যারা তাকে ভালবাসতো তারা মিনতি করলো পানির কাছে থেকে সরে আসার। ইকোর আত্নাও তাই করলো। কিন্তু সে অবিচল, নার্সিসাস সেখানেই থাকতে চাইছিলো।

ইকোর মত করেই কষ্ট পেতে পেতে মরে গেল নার্সিসাস। দেহটা হারিয়ে গেল কোথায় যেন! যেখানে সে শুয়েছিল সেখানে ফুঁটে উঠলো সুন্দর কিছু ফুল।

পর্বতে থাকা ইকো, নার্সিসাসের জন্য সবসময় কেঁদেই যাচ্ছিল।



নার্সিসাসের মৃত্যুর পর জন্মানো সেই ফুল। বাংলাদেশে এইটা খুব সম্ভবত নার্গিস ফুল নামে পরিচিত। নিশ্চিত না আমি।

----
এটা আসলে গ্রীক মিথ নাকি রোমান মিথ নাকি গ্রীক-রোমান মিলিত মিথ - তা জানিনা। একেক জায়গায় একেক রকমের কথা বলা।
গল্পটাও একেক জায়গায় একেক রকম ভাবে উপস্থাপন করা। প্রায় দশ-বারোটা ভিন্নরকমের গল্প পড়ে এইটা নিজের মত করেই লিখেছি।

তবে যেহেতু রেফারেন্স হিসেবে অনেকগুলো মাধ্যমের সাহায্য নিয়েছি - তাই পুরোপুরি মৌলিক ছাপটা পাওয়া নাও যেতে পারে।

পাঠকদের যেইসব জায়গায় অসঙ্গতি লাগবে - সেই জায়গাগুলো চিহ্নিত করে দেওয়ার অনুরোধ জানালাম।
----


গল্পটায় ওভার অল - শেখার মত বেশ কয়েকটা বিষয়ই আছে।

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মিথ, এক সময়ে গ্রীক ও রোমান ধর্মের মুল ছিলো, আজ সেই ধর্মগুলো নেই।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: মিথ ধর্ম?

কোন জায়গায় পেয়েছেন এইটা?

মিথ অর্থ তো গল্প!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:০২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: মিথ শুধু গ্রীক আর রোমানদেরই না, চাইনীজদের ছিল, জাপানীজদের ছিল, নর্সদেরও ছিল।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আর কিছু বলার নেই।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৪০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: A myth is a traditional or legendary story, collection, or study. It is derived from the Greek word mythos (μῦθος), which simply means "story". Mythology can refer either to the study of myths, or to a body or collection of myths.

মিথের সংজ্ঞা ভাই।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬

দরবেশমুসাফির বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই ঠিক বলেছেন। একসময় যা ধর্মীয় কাহিনী ছিল তাই পরবর্তীতে মিথে রুপান্তরিত হতে পারে। গ্রীক মিথগুলো যে গ্রীকদের ধর্মের অংশ ছিল তা জানতে প্লেটোর লেখা "মিনো" ও "পোয়েটিকস" পড়ে দেখতে পারেন।

গ্রীকরা বহুঈশ্বরবাদী ছিল। তারা গল্পের আকারে তাদের দেব দেবীর কাহিনী প্রচার করত। ধর্মগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাওয়াতে গল্পগুলো মিথে পরিনত হয়েছে।

এই মিথগুলো যে একসময় ধর্মীয় কাহিনী ছিল তার প্রমান জানতে এডিথ হ্যামিলটন এর লেখা "গ্রীক মিথলজি" পড়ে দেখতে পারেন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাইয়া, আপনি যত রেফারেন্সই দেন না কেন - মিথ শব্দটার অর্থ গল্প। আরো বিস্তৃত করে বললে, ঐতিহ্যবাহী বা প্রচলিত বা বাংলায় বলে যে কিংবদন্তী রয়েছে - সেটাই মিথ।

এটা সার্বজনীন অর্থ।

হ্যা! সেই হিসেবে প্রাচীন ধর্মীয় কাহিনীগুলো মিথই। কারণ ওগুলো ঐতিহ্যবাহী গল্পই।

কিন্তু মিথ মানেই ধর্মের কাহিনী না। প্রাচীন বাংলা নিয়েও প্রচুর গল্প রয়েছে। সেগুলোও মিথ। সেগুলো কিন্তু ধর্মীয় কাহিনী নয়।


আর সবচেয়ে বড় কথা - আমি একটা গল্প পোষ্ট করেছি। আমি প্রশ্ন করিনি - মিথ কী!

যেচে এসে জ্ঞান ঝাড়তে চাইলেন - কট্টুক আমি জানি বা না জানি তা না জেনেই। এইটা তো অদ্ভুত।

এরকম অযাচিত ভাবে জ্ঞান দিতে আসলে ভাই খারাপ ভাবে মন্তব্য করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। মন্তব্য করার আগে বুঝে নিবেন - জ্ঞান দেওয়াটা কতটুকু দরকার বা দরকার না।

ধন্যবাদ!

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

দরবেশমুসাফির বলেছেন: আমার মন্তব্য ছিলঃ চাঁদগাজী ভাই ঠিক বলেছেন

আপনি বলেছেনঃ ভাইয়া, আপনি যত রেফারেন্সই দেন না কেন - মিথ শব্দটার অর্থ গল্প

আমি কি মিথ অর্থ গল্প না তাই বলেছি?

আপনি বলেছেনঃ হ্যা! সেই হিসেবে প্রাচীন ধর্মীয় কাহিনীগুলো মিথই।

আবার, ভুল করলেন। সকল প্রাচীন ধর্মীয় কাহিনীই মিথ না। যেমন হিন্দু ধর্মের কাহিনীগুলো। কেননা, সেগুলো এখনও অনেক মানুষ সত্য বলে বিশ্বাস করে। মিথ হচ্ছে, এমন প্রাচীন কাহিনী যা আর মানুষ সত্য বলে বিশ্বাস করেন না।

যেচে এসে জ্ঞান ঝাড়তে চাইলেন - কট্টুক আমি জানি বা না জানি তা না জেনেই।

আপনি কোনকিছু না জানলে আমি যদি তা জানাতে চাই তবেই জ্ঞান ঝাড়া হয়ে যায়????!!!! এখন, পর্যন্ত অনেক পোস্টেই সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছি কিন্তু এরকম রেসপন্স কোথায়ও পাই নি। আপনি চাদ্গাজি ভাইয়ের মন্তব্য ভুল মনে করছেন। যদিও তিনিই সঠিক। তাই আমি বিষয়টা আপনাকে জানাতে চাচ্ছিলাম। এখানে এত রাগ করার মানে কি??!!

এরকম অযাচিত ভাবে জ্ঞান দিতে আসলে ভাই খারাপ ভাবে মন্তব্য করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। মন্তব্য করার আগে বুঝে নিবেন - জ্ঞান দেওয়াটা কতটুকু দরকার বা দরকার না।

সমালোচনামূলক মন্তব্য মানেই জ্ঞান দেওয়া??? আপনি এত আঘাত পেলেন কেন বুঝলাম না। তবে মানুষের ইগোর কথা স্মরণে রাখা আমার উচিত ছিল। অন্যের চেয়ে নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করা খুবই কমন ইগো। আর, এতে আঘাত লাগলেই মানুষ হিংস্র হয়ে উঠে ( আমার কথা নয়। মনোবিজ্ঞানীদের কথা )। আচ্ছা, আপনাকে আঘাত দেওয়ার জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত। দয়া করে নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন।

আল্লাহ আপনার সহায় হন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাই আপনার সাথে কথা বলার ইচ্ছা আমার নাই।

নিজেই অনর্থক বক বক করেই যাচ্ছেন।

মিথ মানে ধর্ম তো। যান! মেনে নিছি! খুশি হইছেন? খুশি থাকেন।

আর ভাই দয়া করে বলে যান, আমি কোন জায়গায় বলেছি আমি জানিনা! অ্যাকচুয়াল্লি আমি যেইটা জানিনা - সেইটা আমি নিজেই গলা ফাঁটায়া বলি। সেইটা বলতে আমার লজ্জা নাই।

আর নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবা? জোকস! আমাকে কেউ এখন পর্যন্ত দেখে নাই আমি নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবি। আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক আমি নিজেই।

আপনি রেসপন্স পান নি আগে এমন?
আপনার পাওয়া উচিৎ ছিল।

বেশি ভদ্রদেরকে অহেতুক জ্ঞান দিতে গিয়েছিলেন।

আমি ভাই ওদের মত ভদ্র না। আর আপনাদের মত অনর্থক জ্ঞান দেওয়া লোকদের জন্য আমি মহাবড় অভদ্র!

হিন্দু ধর্মের কাহিনী মিথ না?

মোটামোটা অনেক কিতাব আছে। খুঁজে খুঁজে পড়ে নিয়েন। উইকিতে সার্চ দিয়েন। দেইখেন কোনটা মিথ আর কোনটা মিথ না!

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

দরবেশমুসাফির বলেছেন: প্রাচীন বাংলা নিয়েও প্রচুর গল্প রয়েছে। সেগুলোও মিথ। সেগুলো কিন্তু ধর্মীয় কাহিনী নয়।

সেগুলো কখনো ধর্মীয় গল্প ছিল না এ ব্যাপারে আপনি শিওর?? উদাহরন দিতে পারবেন?

আর, দয়া করে মিথ আর ফোকলোর গুলিয়ে ফেলবেন না।

ঠাকুরমার ঝুলি মিথ না, ওগুলো ফোকলোর।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাই! আপনি কারেক্ট। মানছি ভাই! ক্ষমা চাই ভাই! আপনার সাথে জ্ঞান অর্জন করার জন্য স্পেশাল ক্লাস চাচ্ছি!

৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

আরজু পনি বলেছেন: পোস্টে ভালো লাগা রেখে গেলাম ।

এর আগে ব্লগার রেজোওয়ানা আর ম্যাভেরিক এর পোস্ট পড়েছিলাম । সবসময়ই ভালো লাগে ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এইটা বেশ প্রচলিত গল্প। অনেকেরই পড়া এটা।

ভাল লাগলে সেটার ক্রেডিটটা আসলে অরিজিনাল ক্রিয়েটরের। আমার কোন ফাংশন নেই এখানে।

৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

বিজন রয় বলেছেন: অসাম পোস্ট।
++++++

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পোষ্টটা আসলে আমার না। এইটা মিথ ক্রিয়েটর ও কালেক্টরের পোষ্ট। থ্যাংকসটা তাদেরকেই।

৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

দরবেশমুসাফির বলেছেন: মিথ মানে ধর্ম তো। যান! মেনে নিছি! খুশি হইছেন? খুশি থাকেন।

মিথ মানে ধর্ম সেটা কি আমি বলেছি?? দয়া করে আমার প্রশ্নটার একজ্যাক্ট উত্তর দিবেন?যেটা আমি বলি নাই সেটা আমার মুখে বসিয়ে দিবেন না।

আর নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবা? জোকস! আমাকে কেউ এখন পর্যন্ত দেখে নাই আমি নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবি।

বোকায়ও কখনো নিজেকে নিজে শ্রেষ্ঠ বলে না। সেটা তার আচরনে বোঝা যায়।

বেশি ভদ্রদেরকে অহেতুক জ্ঞান দিতে গিয়েছিলেন। আমি ভাই ওদের মত ভদ্র না। আর আপনাদের মত অনর্থক জ্ঞান দেওয়া লোকদের জন্য আমি মহাবড় অভদ্র!

তাহলে দেখা যাচ্ছে অনেক আক্রমনাত্মক ব্লগাররাও আপনার চেয়ে বেশি ভদ্র। ভালো, খুব ভালো।

হিন্দু ধর্মের কাহিনী মিথ না?মোটামোটা অনেক কিতাব আছে। খুঁজে খুঁজে পড়ে নিয়েন।

কয়েকটা বইয়ের নাম বললে এই মূর্খের অনেক উপকার হত। আর, হিন্দু ধর্মীয় যে সকল কাহিনী এখন আর মানুষ একজ্যাক্টলি সত্য বলে বিশ্বাস করে না সেগুলোই মিথ। সকল হিন্দু ধর্মীয় কাহিনীই মিথ নয়।

আমার উপরে আপনার রেগে যাওয়া প্রধান কারন মনে হয় কিছু বইয়ের রেফারেন্স দেওয়া।সেটা আমি সৎ উদ্দেশেই দিয়েছিলাম। পাণ্ডিত্য ফলানোর জন্য নয়। কারন, এই ছায়া জগতে আমরা কেউই কিছু জানি না।





১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাই সিরিয়াসলী বলেন তো, বই পড়ে সেটা নিয়ে শো অফ করা কি খুব একটা ভাল কাজ????


আর আপনি কি জানেন আমি মাসে কতটার বই কিনি??? এই বইমেলা থেকে কতগুলো বই কিনব???

আপনার তো ঐ আইডিয়াটাও নেই।


আপনি রেফারেন্স দিয়ে তো রাগাননি। বরং ওই বইটার নাম বলেই ভাল করেছেন।


কিন্তু এইসব লেমম কথা বলে গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে যাচ্ছেন কেন?


এখানে তো মিথ নিয়ে আড্ডা বসেনি। গল্প দিছি আপনি সেইটার ভুল থাকলে ধরে দেন। তা তো পোষ্টের শেষে লিখে পর্যন্ত দিলাম।
অযথা কথা কেন বাড়াচ্ছেন?


আর ভাই বই পড়া নিয়ে আমি বাহাদুরি করি না। এইটা লোক দেখানোর কাজ না।

আপনি অযথাই কথা বাড়াচ্ছেন!!! আর আপনার ঝগড়া করার খুব শখ থাকলে একা একা যতখুশি প্যাচাল পারেন।

কেউ মানা করবে না। আমিও জবাব দিব না।


আপনার হাতে নেট আছে। গুগোল ঘাটুন, উইকি পড়ুন। তাহলেই পাবেন অনেক কিছু।

৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

দরবেশমুসাফির বলেছেন: আর আপনি কি জানেন আমি মাসে কতটার বই কিনি??? এই বইমেলা থেকে কতগুলো বই কিনব???আপনার তো ঐ আইডিয়াটাও নেই।

ব্যাক্তি মনোবিজ্ঞানের কিছু বিষয় থিওরিটিকালি জানতাম, সেগুলোর ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখে অনেককিছু শিখলাম। আমাকে শিক্ষা দান করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

গল্প খুব ভালো লিখেছেন। এধরনের আরও লেখা দিলে আনন্দিত হব। আমার বক্তব্য এখানেই শেষ, আর কিছু বলার নেই। আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। ভালো থাকবেন।

১০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার গল্প।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: সকল কৃতজ্ঞতা গ্রীকদের প্রতি। গল্পটা তাদেরই সৃষ্ট। :)

আমি এমনিই চাইছিলাম - কিছু একটা শেয়ার করতে। এটা মনে হওয়ায় করে ফেললাম। :)

১১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ভাই বলতে এসেছিলাম ভাল লিখেছেন কিন্তু কিছু মন্তব্যের জবাবে আপনার অসহিষ্ণুতা দেখে সেই প্রবৃত্তিটা নষ্ট হয়ে গেল। আপনি কিরকম সেটা কিন্তু আপনার মন্তব্যে প্রতিফলিত হ্য়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনি কয়দিন ধরে আমার পোষ্টে এসে কমেন্ট দেখছেন?

নিশ্চয় আজকেই প্রথম! নাহলে তো এমনটা আপনার ভাবার কথা না। আমার আগের পোষ্টগুলো ড্রাফট করা - তাই সেখানের কমেন্টের জবাবগুলো আপনি দেখতে পাচ্ছেন না।

আর আপনি আমাকে অসহিষ্ণু ভাবেন বা যা খুশি তাই ভাবেন - আমার কিছু যায় আসে না। আপনাদের মত দুই সেকেন্ডে মানুষের মূল্যায়ণ করাদের জন্য আমি মহা অভদ্র ও খারাপ একজন মানুষ।

লোক দেখানো ভাল আমি নই। সেটা আমার থেকে আশাও করবেন না। আর ভাল না লাগলে এড়িয়ে চলবেন। ধন্যবাদ!

১২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

বনমহুয়া বলেছেন: কিচ্ছা কাহিনী বড়ই সুন্দর। নার্গিস ফুল সে নার্সিসাস এ ঘটনাটাও চমক লাগা।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনাদের বাস্তবিক কিচ্ছা কাহিনী শেয়ার করুন। সেই প্রাচীন প্রেমের গল্প আর কত - বর্তমানের বাস্তবের গল্পই বেশি প্রিয়! B-)

নার্গিস ফুলের সাথে যে নার্সিসাসে কাহিনী জড়িয়ে আছে - সেইটা জানতেন না? আমি অবাক হলাম।

১৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

বনমহুয়া বলেছেন: বাস্তবের কিচ্ছা-কাহিনীর মূল্য নাই। নার্গিস আর নার্সিসাস এর কাহিনী জানতাম কথার কথা কইলাম আর কি।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কে বললো নাই?


আপনি বললেই তো মূল্য পাবেন। না বললে মূল্য পাবেন কী করে? B:-/

১৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

রিকি বলেছেন: গল্পটায় ওভার অল - শেখার মত বেশ কয়েকটা বিষয়ই আছে।

প্রথম শিক্ষা:

'অতি বাড় বেড়ো নাকো ঝড়ে ভেঙ্গে যাবে

অতি ছোট হয়ো নাকো ছাগলে মুড়াবে'
/:)

দ্বিতীয় শিক্ষা :

নার্সিসিজম রোগ ভয়াবহ.... নিজেকে ভালোবাসা এক জিনিস আর আত্মপ্রেমে নিমগ্ন আরেক!!! আত্মপ্রেমে নিমগ্ন সর্বনাশ ডেকে আনে। :|

তৃতীয় শিক্ষা:

কিছু কিছু প্রেম সারা জীবন ছাগলই বানিয়ে রাখে... যেমন অন্ধপ্রেম। নার্সিসাসের প্রতি ইকোর। প্রেমের ক্ষেত্রে সম্ভ্রম সবার আগে দরকার। B:-/

ওভারঅল আমার তো অনেক অনেক ভালো লেগেছে ইকো আর নার্সিসাসের গল্প। :) :) :) :) :) :)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আমার কাছে যে কয়েকটা মনে হয়েছে -

১। অতিরিক্ত কোন কিছু ভাল নয়। যেমন - ইকোর অতিরিক্ত কথা বলাটা।

২। অহঙ্কার কোনভাবেই কোন উপকারে আসে না - বরং ক্ষতিই করে। যেমন - নার্সিসাসের নিজেরই নিজের উপর প্রেমে পড়া।

৩। কেউ ভালবাসলে তাকে প্রতিদান দিতে না পারলেও কষ্ট না দেওয়া। কষ্ট দিলে সেইটা কোন না কোন ভাবে নিজের উপরই ফিরে আসে। যেমন - পুরো গল্পটাই।

আমার মনে হয় না প্রেমে পড়লে কারো মাথায় কোন কিছুর ভাবনা থাকে! তখন অন্ধের মতই থাকে। তখন আসলে কাজটা যার প্রেমে পড়েছে তারই। নাহলে ঐ হেল্পলেস মানূষটা কখনো কিছু করতেও পারবে না।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: অতি জ্ঞানী-গুণীজন পেরিয়ে সাধারণদের মন্তব্য পাওয়াতে স্বস্তি পেলাম। উপরে তো রীতিমত আমাকে অ আ ই ঈ শেখানোর চেষ্টা চললো। #:-S

১৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

বনমহুয়া বলেছেন: অতিরিক্ত মূল্যে জর্জরিত আছি ভাই। আমি নিম্নমূল্য চাইতেছি।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: প্রোভাইডররা জানতাম উচ্চমূল্যে খুশি হয় কিন্তু আপনি কোন গ্রহের প্রাণী? নিন্মমূল্য কেন চাচ্ছেন? B:-)

১৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

বনমহুয়া বলেছেন: ভীনগ্রহের প্রাণী গো ভাইজান।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এই ভীনগ্রহটা কোন সোলার সিস্টেমের আফা? আমাদের সোলার সিস্টেমের? নাকি আরো অনেক বাইরের কোন জগতের।

১৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

বনমহুয়া বলেছেন: কমু না।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আচ্ছা কইয়েন না! নু প্রবলেমু।

১৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


@দরবেশমুসাফির ,

আপনি যথেস্ঠ চেস্টা করেছেন উনাকে ফিডব্যাক দিতে, উনি যটুকু বুঝেন, সেখানেই থাকতে চাচ্ছেন; সেটাই উনার জন্য ভালো।

১৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০

পুলহ বলেছেন: গল্পের মূল অংশটুকু আগে থেকেই জানতাম, আপনার সাবলীল প্রকাশভঙ্গি আমার সেই পুরনো স্মৃতিকে আরো পূর্ণাঙ্গ, আরো প্রাণবন্ত করে তুললো :)
মীথ তো মীথের মতই, আর আপনার লেখাও দারুণ মসৃণ; কোথাও সুর কাটে নি, কোথাও বেখাপ্পা তালের মনে হয় নি! খুব আনন্দ নিয়ে পুরোটা পড়ে গিয়েছি :)

ভালো থাকবেন ভাই :)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনার মন্তব্য বেশ ভাল লাগলো। আসলে ভাল লাগতো বলব এখন। উপরের কমেন্টস তো দেখছেনই। এরপর আসলে লেখাটার উপর নিজেরই বিতৃষ্ণা লেগে গেছে।

উপভোগ করেছেন শুনে বেশ খুশি হলাম। :)

২০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: শিক্ষণীয় মিথ।

ভালো লাগা। +

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হ্যা আসলেই। প্রেম কাহিনী হলেও - দুটো ভাল শিক্ষা আছে। যে বুঝে এগুতে পারবে সে অনেক শাইন করবে!

২১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমিও এই গল্পটা পড়েছি। একেবার একেকভাবে।
নার্সিসাস এখনও দেখা যায়; তবে আমি কোন ছেলেকে দেখিনি হতে B-)) ! মেয়েরাই হয়। আর এতো বেশি হয় যা, কাউকে পাত্তাই দেয় না! আপনি আমি কোন ছাড়!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: উইকিপিডিয়াতে এই গল্পটা পড়ে দেইখেন - প্যাচ লাগবে। আমার কাছে ঐটাকে সবচেয়ে ফালতু লেগেছে।

তবে আপনার কথা ঠিক। নার্সিসাস এখনো রয়ে গেছে, মেয়েদের অন্তরে অন্তরে। B-))

২২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: প্লাস :) কোন কথা নাই

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কথা না বললে কিভাবে ভাই?

২৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গল্পটা চমৎকার হয়েছে । নিখাঁদ ভালোবাসার দুর্দান্ত উপস্থাপন । সময় করে পড়বো বলে ছেড়ে গিয়ে ছিলাম; এখন পড়লাম । নার্গিস ফুলের কথা পড়তে গিয়ে নজরুলের কথা মনে পড়লো । এ ফুল নিয়ে তাঁর গানও অাছে । খুব সম্ভব সৈয়দা খানমের নাম দিয়েছিলেন নার্গিস । যদ্দুর জানতাম ফুলটার উৎপত্তি ইরানে । শুভেচ্ছা ।
পুনশ্চঃ চাঁদগাজী ও দরবেশমুসাফির যা বলতে চেয়েছেন, অামার ধারণা অাপনি বুঝতে পারেননি । অথবা অাপনার মুড ভালো ছিলো না; তাই...। পরমত সহিষ্ণুতা অাশা করতেই পারি সুহৃদ হিসেবে, তাই না? ভালো থাকুন ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: মিথোলজিতে কত কিছুই থাকে। সবই কি আর সত্য হয়?

নার্গিস ফুলের উৎপত্তি কই তা আমি নিজেও জানিনা। ইরানে - এইটা আপনার থেকেই জানলাম মাত্র।

গল্পটা গ্রীক বা রোমানদের কারো তৈরি। কৃতিত্ব তাদের। আমার কিছুই নেই এখানে। :)

পুনশ্চঃ বিষয়টাতে আমি বিরক্ত বোধ করছি। আমার পোষ্টে যেচে এসে জ্ঞান দেওয়ার কোন মানে উনার ছিল না। আপনি ফুলের কথাটা জানিয়েছেন - সেটাতে আমি খুশি হয়েছি। কারণ আপনি প্রসংগে থেকেই ঐটা জানিয়েছেন। সেটা কথা বলতে বলতেই জানা হল।

উনাদের দুজন এসেছিলেন - জ্ঞান জাহির করতে। আমার পোষ্ট ভাই - ঐভাবে জ্ঞান জাহির করার মত জায়গা না। ভদ্র ভাবে বললে আমি ভদ্রই থাকব। তারা অভদ্রতা দেখালে আমিও অভদ্রই হব।

২৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৮

দীপংকর চন্দ বলেছেন: সুন্দর এবং সাবলীল।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: নার্সিসাসের দম্ভ ততদিনে বাড়ছিলোই। তার প্রেমে পড়া দেবীদের সংখ্যা বাড়ছিলোই। দাম্ভিক নার্সিসাস কষ্ট দিত সবাইকেই। তার প্রেমে পড়া এক জলপরীর তার প্রতি ভালবাসা পরীক্ষার করার জন্য ছুরি দিয়ে পরীকে আত্নহননই করতে বলেছিল।

অহংকার, দম্ভ সব সময়েই পতনের মূল।

ভালো লেগেছে এই শিক্ষনীয় গল্পটা।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আসলেই - অহংকার করাটা ঠিক নয়। অহংকার করে কারো মনে দুঃখ দেওয়াও ঠিক নয়।

শিক্ষাটা আসলেই খুব ভাল মিথটার।

২৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রিকি বলেছেন:--------------
ওভারঅল আমার তো অনেক অনেক ভালো লেগেছে ইকো আর নার্সিসাসের গল্প।

আমারও :D

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বলেন কী??

ইহা শুনে তো ইকো আর নার্সিসাস খুশিতে আত্নহারা! B-)) :P

২৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

উল্টা দূরবীন বলেছেন: কি সুন্দর গল্প আর কি চমৎকার ক্যাচাল। বিনোদন পেলুম।

২৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: যে কোনো কারণেই হোক, বুঝতে পারছি আপনার হৃৎপিণ্ডে রক্তারক্তি চলছে। আপনি ঠিক স্বাভাবিক অবস্থায় নেই।
দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন। তারপর আপনার সাথে আবার কথা হবে। ;)

২৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

অগ্নি সারথি বলেছেন: মিথ আমার সব সময়ই খুব পছন্দের। সেটা গ্রীক হোক আর রোমান। ভাললাগা জানিয়ে গেলাম।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: থাঙ্কু :)

৩০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: পুরোনো চেনা গল্প, রিভাইজ দিতে ভালোই লাগলো।

অট-পরীক্ষার মধ্যে ব্লগিং কিসের? X(

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পরীক্ষা শেষ ভাই!

আবার আসছি তো এই কারণেই! B-)

কিরাম আছেন?

৩১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভ্ল।

৩২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পের রি-টেলিং ভাল হয়েছে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ শঙ্কু ভ্রাতা!

৩৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

জেন রসি বলেছেন: নিজের প্রতি ভালোবাসা কম বেশী সবার মধ্যেই আছে। কিন্তু নিজের প্রতি অন্ধ মোহ আসলে ধ্বংসই ডেকে আনে।

২৭ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আসলেই।


ভাই আছেন কিরাম? অনেকদিন কথাসাক্ষাৎ নাই আপনার সাথে!!

৩৪| ২৭ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

জেন রসি বলেছেন: আছি ভালো। আপনার রক্ত বিষয়ক সাময়িক পোস্ট দেখেছি। তবে এ ব্যাপারে কিছু বলতে হলে স্টাডি করতে হবে। আপনি কেমন আছেন ? আশা করছি আবার নিয়মিত লিখবেন ব্লগে।

২৭ শে মে, ২০১৬ রাত ১:১০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: লেখা ভাই সত্যি বলতে - এই 'ইকো'র গল্পটাই লাস্ট ছিল। আমি লিখিও না এখন। এজন্যেই ব্লগে আসি কম।

চলছে কোন রকমে বস।

রক্তের ব্যাপারটায় একটা কৌতুহল জাগলো হুট করে।

৩৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: রক্তিম দিগন্ত ,



ইকোর করুন কাহিনী থেকে যে আর একটা সত্য গল্প বানানো যায় , জানেন কি ?

আপনার গল্পে আছে -------ইকোর শরীর পাথর হয়ে মিশে গেল পর্বতের অন্যান্য পাথরগুলোর সাথে। শুধু রয়ে গেল তার স্বরটা।
যে স্বরটা শুধু অন্যের স্বরটাই অনুকরন করতে পারবে ।
এ কারনেই নির্জন পাহাড়ে শব্দ করলেই প্রতিধ্বনি ওঠে । ইংরেজীতে যাকে বলে "ইকো " ।

মেলাতে পেরেছি ?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ইকোর পরিণতির কথা ভাবলে কিন্তু সেটাই মনে হয়। আমিও ভেবেছিলাম - হয়তো প্রতিধ্বনি সৃষ্টির মিথও বুঝি এইটা।
কিন্তু, একটা, কী দুইটা রেফারেন্স ছাড়া আর কোথাও এটার সাথে প্রতিধ্বনি মিলায়ওনি। ইভেন বানানটা পর্যন্ত এক হওয়ার পরেও।

আপনি ঠিকঠাকই মিলিয়েছেন। :)

৩৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গল্পটা চমৎকার ও মনোমুগ্ধকর হয়েছে । নিখাঁদ ভালোবাসার অপুর্ব উপস্থাপনা । মন্তব্য লিখার এ ঘরে আসার পথে চোখে পড়া বিষয়গুলিও বেশ উপভোগ্য হয়েছে । এ লিখাটি আগে পাঠ করলে আমার জন্য অনেক কিছু জানা হত অনেক কিছু এড়ানো যেত সহজেই । গল্পটি থেকে তাই সত্যিকার অর্থেই অনেক কিছু শিখার আছে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আমাদের সবার মাঝেই নার্সিসিজমের প্রভাবটা আছে। হয়তো নার্সিসাসের মত নিজের রূপ নিয়ে বড়াই করিনা, কিন্তু আমরা আমাদের সাধারণ কিছু নিয়েও অতিরিক্ত বড়াই করি। নিজের প্রতি অতিরিক্ত প্রেম মাঝে মাঝে অমঙ্গলও ডেকে আনে। এটাই বুঝাতে চেয়েছিল হয়তো মিথটা থেকে।

৩৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতি উত্তরের জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.