নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় বলার মত কিছু এখনো করতে পারি নি। তাই ঘরটা ফাঁকাই। পরিচয় অর্জন করতে পারলে আমি যোগ করে দিব।

রক্তিম দিগন্ত

Life is all about a thrill.

রক্তিম দিগন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূপান্তরিত অনুগল্পঃ তিনটি প্রশ্ন

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

মূলঃ লিও টলস্তয়
রূপান্তরঃ এই অধম :|




একদা এক রাজার মনে কিছু প্রশ্ন জাগলো। সে কি আসলেই জানে কোন কাজ করার সঠিক সময় কোনটা? সে কি আসলেই জানে কাদের কথা শুনলে ভাল হবে এবং কাদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে? সর্বোপরি, সে কি আসলেই জানে কোন কাজ করাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যেটা করলে সে কখনো ব্যর্থ হবে না?

প্রশ্নগুলো জাগায় সে রাজ্যে ঘোষণা করে দিল। প্রতিটা কাজ করার সঠিক সময় কোনটা, কারা তার জন্য সবচেয়ে দরকারি ব্যক্তি এবং সে কীভাবে জানতে পারবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ কোনটা – এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যে সঠিক ভাবে দিতে পারবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে।

জ্ঞানী-গুণী অনেক ব্যক্তিই এসে উপস্থিত হল রাজার দরবারে। কিন্তু তারা সবাই ই ভিন্ন ভিন্ন উত্তর জানালো।

প্রথম প্রশ্নের জবাবে কয়েকজন বললো, প্রতিটা কাজ করার সঠিক সময় সম্পর্কে জানতে হলে একজনকে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হবে। তাকে দিন, মাস, বর্ষপঞ্জির তালিকা তৈরি করে রাখতে হবে এবং যথাযথ ভাবে সেই তালিকা মেনে চলতে হবে। তাহলেই, প্রতিটা কাজ একদম সঠিক সময়ে সম্পন্ন করা যাবে। কয়েকজন বললো, প্রতিটা কাজের জন্য সঠিক সময় আগে থেকে নির্ধারণ করে রাখা অসম্ভব। তবে তার মানে এই না যে এতে কেউ অলস ভাবে পড়ে থাকবে। তার চারপাশে কী ঘটছে সেটার উপর নজর রাখতে হবে এবং যেটা সবচেয়ে জরুরী সেই কাজটা করতে হবে। অন্যরা বললো, মানুষের পক্ষে আগে থেকে প্রতিটা কাজের সঠিক সময় ভেবে রাখা অসম্ভব। তবে, এর জন্য রাজা গুণী মানুষদের একটা দল সাথে রাখা উচিৎ। তারা সঠিক সময়ে কাজ করার ক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করতে পারবে।

এটা শুনে অন্যরা বলে উঠলো যে কিছু কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো সভায় সকলের সামনে উত্থাপন করা যাবে না। সেইসব ক্ষেত্রে কী করতে হবে সেই সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হয়। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কী ঘটতে যাচ্ছে সেটা সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখতে হবে। একমাত্র জাদুকররাই তা জানতে পারবে। তাই, যদি কেউ প্রতিটা কাজই সঠিক সময়ে করতে চায়, তাহলে কোন জাদুকরের সাথে তার পরামর্শ করা উচিৎ।

মনোযোগী রাজা চুপচাপ থেকে তাদের কথা শুনছে।

দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবেও একেকজন একেক উত্তর দিল। কেউ বলল, রাজার জন্য সবচেয়ে দরকারি ব্যক্তিবর্গ হল তার সভাসদেরা। আবার কেউ বলল, পুরোহিতদের কথা। কেউবা ডাক্তারদের কথা। আবার কয়েকজন বলল, যোদ্ধারাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কোন কাজটা করা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ – এই প্রশ্নের জবাবে কয়েকজন বললো, পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বিজ্ঞান। আবার কেউ বলল যুদ্ধক্ষেত্রে দক্ষতার কথা। আবার কয়েকজন বলল ধর্মবিশ্বাসের কথা। একেকজন একেকরকম করে উত্তর দিচ্ছে। রাজা তাদের কারো সাথেই একমত হতে পারছে না। তাই কাউকে পুরস্কৃতও করলো না। কিন্তু, তার প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার আকাঙ্ক্ষা রয়েই গেছে। তাই সে সিদ্ধান্ত নিল বনে বাস করা এক জ্ঞানী সন্ন্যাসীর কাছে উত্তরগুলো জানতে চাইবে।

নিজের জ্ঞানের জন্য বিখ্যাত সন্ন্যাসী কখনো তার বনের কুঁড়েঘরের বাইরে যায় না। সাধারণ মানুষ ছাড়া অন্য কাউকে আতিয়েতাও দেয় না। তাই রাজা সাধারণ পোশাক পরে যাত্রা করলো। ঘোড়ায় চড়ে সন্ন্যাসীর কুঁড়ের সামনে পৌঁছে রাজা তার দেহরক্ষীদের বাইরে রেখেই ভিতরে প্রবেশ করলো। ভিতরে ঢুকে দেখে সন্ন্যাসী তার ঘরের সামনের উঠোনে মাটি খনন করছে। রাজাকে দেখে স্বাগত জানিয়ে আবার মাটি খোঁড়ায় লেগে গেল বৃদ্ধ। বৃদ্ধ সন্ন্যাসী এতই জরাগ্রস্ত এবং দুর্বল যে কোদাল দিয়ে মাটিতে কোপ দিয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না। প্রতিটা কোপের সাথে সাথে জোরে জোরে শ্বাস ফেলছে।

রাজার তার কাছে এগিয়ে গিয়ে বললো, ‘বিজ্ঞ সন্ন্যাসী, আমি আপনার কাছে তিনটা প্রশ্নের উত্তর জানতে এসেছি। কীভাবে আমি সঠিক সময়ে সঠিক কাজ সম্পর্কে জানতে পারবো? কে আমার জন্য সবচেয়ে জরুরী এবং কাদের প্রতি আমি অন্যদের থেকে বেশি মনোযোগ দিব? আর, কোন কাজটা করা সবচেয়ে বেশি জরুরী এবং কোনটার প্রতি আমার ত্বরিত নজর পড়া প্রয়োজন?’

বৃদ্ধ সন্ন্যাসী রাজার কথা শুনলো কিন্তু কোন উত্তর দিল না। তার হাতে থুতু লাগিয়ে আবারো তার মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করলো।

‘আপনি অনেক ক্লান্ত,’ রাজা বলে উঠলো, ‘কোদালটা আমাকে দিন। আমি আপনার হয়ে কিছুক্ষণ কাজ করে দেই।’

‘ধন্যবাদ!’ বলে বৃদ্ধ সন্ন্যাসী তার হাতের কোদালটা রাজাকে দিয়ে মাটিতে বসে পড়লো।

দুইটার মত বেড খোঁড়া হয়ে গেলে রাজা আবারো তার প্রশ্নগুলো করলো। বৃদ্ধ সন্ন্যাসী এইবারও কোন উত্তর দিল না। উঠে দাঁড়িয়ে কোদালের জন্য হাত বাড়িয়ে বলল, ‘এখন কিছুক্ষণ বিশ্রাম নাও। আমাকে অল্প কাজ করতে দাও।’ কিন্তু রাজা তাকে কোদাল দিল না। নিজেই মাটি খুঁড়ে যাচ্ছে। এভাবে এক ঘণ্টা চলে গেল। তারপর আরেক ঘণ্টা। গাছে পিছনে থাকা সূর্যটা ডুবতে শুরু করেছে। কাজ শেষ করে কোদালটা মাটিতে গেঁথে রাজা বললো, ‘বিজ্ঞ সন্ন্যাসী, আমি আপনার কাছে আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে এসেছিলাম। যদিও আপনি আমাকে উত্তর না দিতে চান, তাহলে আমাকে বলে দিন। আমি বাড়ি ফিরে যাই।’

‘কেউ একজন দৌড়ে এদিকেই আসছে,’ বৃদ্ধ সন্ন্যাসী বলে উঠলো, ‘গিয়ে দেখি কে এই লোক।’

রাজা ঘুরে দেখলো দাড়িওয়ালা এক লোক বনের দিক থেকে দৌড়ে আসছে। লোকটা তার হাত দিয়ে পেট চেপে ধরে রেখেছে। তার হাতের নিচ থেকে রক্ত বের হচ্ছে। লোকটা রাজার সামনে এসে মাটিতে পড়ে গেল। দুর্বলভাবে গোঙাচ্ছে। রাজা আর সন্ন্যাসী মিলে লোকটার কাপড় খুলে নিল। পেটে আঘাতের একটা বড় ক্ষত দেখা যাচ্ছে। রাজা তার সাধ্যমত ক্ষত পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে। রক্ত পড়া বন্ধ হওয়ার জন্য তার রুমাল এবং সন্ন্যাসীর দেওয়া একটা তোয়ালে দিয়ে লোকটার ক্ষতের উপর ব্যান্ডেজ করে দিল। রক্ত পড়া বন্ধ হচ্ছে না দেখে বার বার একই কাজ করে দিল। শেষমেশ লোকটার ক্ষত থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হল। কিছুটা স্বস্তি পেয়ে লোকটা তার কাছে পান করার জন্য কিছু চাইলো। রাজা তার সাথে করে নিয়ে আসা পরিষ্কার পানি দিল তাকে। ততক্ষণে সূর্য পুরোপুরি ডুবে গেছে। আবহাওয়াও শীতল হতে শুরু করেছে। তাই, রাজা সন্ন্যাসীর সাহায্য নিয়ে লোকটাকে উঠিয়ে বৃদ্ধের ঘরে নিয়ে গেল এবং বৃদ্ধের খাটে শুইয়ে দিল। বিছানায় শুইয়ে দেওয়ার পর লোকটা চোখ বন্ধ করে শান্ত হয়ে গেল। হেঁটে আসায় এবং সারা দিন কাজ করায় রাজা ক্লান্ত হয়ে ঘরের মুখে বসেই ঘুমিয়ে পড়লো।

সকালে যখন ঘুম ভাঙলো তখন সে ঠিকমত বুঝতে পারলো না যে সে এখন কই আছে বা বিছানার উপর থাকা অপরিচিত দাড়িওয়ালা মানুষটা তার দিকে এমন জ্বলজ্বলে দৃষ্টিতে কেন তাকিয়ে আছে।

‘মাফ করুন আমাকে!’ রাজাকে জেগে উঠে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে দুর্বল গলায় বলে উঠলো লোকটা।

‘আমি আপনাকে চিনি না। আর, আপনি এমন কিছু করেননি যে আপনাকে ক্ষমা করব।’ রাজা বলল।

‘আপনি আমাকে চিনেন না, কিন্তু আমি আপনাকে ঠিকই চিনি। আমি আপনার ঐ শত্রু যে আপনার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ করেছিল। কারণ, আপনি তার ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন এবং তার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছিলেন। আমি জানতাম যে আপনি বৃদ্ধ সন্ন্যাসীর সাথে দেখা করার জন্য একা একা আসবেন। ফেরার পথে আপনাকে হত্যা করব – এই উদ্দেশ্যই ছিল আমার। কিন্তু সারাদিন পেরিয়ে গেলেও আপনি ফিরলেন না। তাই আমি লুকানোর স্থান থেকে আপনাকে খোঁজার জন্য বের হলাম। পথে আপনার দেহরক্ষীদের কবলে পড়লাম। তারা আমাকে চিনতে পেরে আমাকে আহত করলো। আমি তাদের থেকে পালিয়ে বাঁচলেও, আপনি আমার ক্ষত পরিষ্কার করে না দিলে রক্ত ঝরার ফলে আমি মরেই যেতাম। আমি আপনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম এবং আপনিই আমার জীবন রক্ষা করলেন। এখন, আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন আপনার একজন বিশ্বস্ত ভৃত্য হয়ে আপনার সেবা করে যেতে চাই। আমার সন্তানদেরকেও একই কাজে খাটাব। মাফ করুন আমাকে।’

শত্রুর সাথে এত সহজে শান্তিচুক্তি করতে পেরে বেশ আনন্দিত হল রাজা। সাথে সাথে একজন বন্ধুও জুটিয়ে ফেলতে পেরেছে। সে শুধু লোকটাকে ক্ষমাই করলো না, তার দেখা শোনা করার জন্য নিজের কর্মচারী ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসককে পাঠানোর কথাও বলল। তার সম্পত্তি তাকে ফিরিয়ে দিবে এই কথাও দিল।

আহত লোকটাকে ছেড়ে রাজা বারান্দায় এসে দাঁড়ালো বৃদ্ধ সন্ন্যাসীর খোঁজে। চলে যাওয়ার আগে তার মনে জাগা প্রশ্নগুলোর উত্তর সে জেনে যেতে চায়। বৃদ্ধ উঠানেই ছিল। উবু হয়ে আগের দিন খনন করা মাটিতে বীজ বপন করছে।

রাজা তার দিকে এগিয়ে গিয়ে বললো, ‘বিজ্ঞ ব্যক্তি, এই শেষবারের মত আমি আমার প্রশ্নের উত্তরগুলো জানানোর জন্য আপনার কাছে মিনতি করছি।’

‘এতক্ষণে তুমি নিজেই উত্তরগুলো দিয়ে ফেলেছো।’ উবু হয়েই তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজার দিকে তাকিয়ে বলল বৃদ্ধ সন্ন্যাসী।

‘কিভাবে উত্তর দিলাম? কী বলছেন আপনি?’ রাজা জিজ্ঞেস করলো।

‘তুমি ধরতে পারোনি?’ বলল বৃদ্ধ সন্ন্যাসী। ‘গতকাল আমার দুর্বলতা দেখে যদি তোমার মনে দয়া না জাগতো এবং তুমি যদি আমার জন্য মাটিটা না খুঁড়ে চলে যেতে – তাহলে ঐ মানুষটা তোমাকে আক্রমণ করতো এবং তুমি আমার সাথে এখানে থাকোনি বলে অনুতাপ করতে। তুমি যখন মাটি খুঁড়ছিলে, সেটাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমিই ছিলাম তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আমার উপকার করে দেওয়াটাই ছিল তোমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
তারপর, যখন লোকটা পালিয়ে আমাদের এখানে আসলো – তখন তার সেবা করাটাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। যদি তুমি ঐ সময় তার সেবা না করতে তাহলে সে তোমার সাথে শান্তি স্থাপন না করেই মারা যেত। তখন সে ই ছিল তোমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং তার জন্য করা সেবাটাই ছিল তোমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
মনে রাখবে, একটা সময়ই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ – সেটা হল বর্তমান সময়! এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় কারণ এই একটা সময়ের উপরই তুমি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
সে ই হল তোমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যে বর্তমানে তোমার সাথে আছে। কারণ কেউ ই জানে না যে সেই ব্যক্তিটা পরবর্তীতে অন্য কারো সাথে থাকতে পারবে কি না!
আর, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল সাথে থাকা ঐ মানুষটার জন্য ভাল কিছু করা। কারণ, এই একটা মাত্র উদ্দেশ্যেই মানুষকে এই দুনিয়ায় প্রেরণ করা হয়েছে।’

--- ০ ---

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

আবু ইশমাম বলেছেন: এই সত্য কথনটা মাথায় গেথে রাখতে পারলে উন্নতির পথে কেউ বাধা হয়ে দাড়াতে পারবে না

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
মাথায় রাখুন, উন্নতির পথে থাকুন।

হাহাহা।

ফান এপার্ট, মন্তব্যটি বেশ ভাল ছিল। সবসময়ই বর্তমানকে মাথায় রেখে এগিয়ে চলা উচিৎ। তাহলে, দুঃশ্চিন্তা গ্রাস করতে পারবে না কখনো।

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:১৯

একটি পেন্সিল বলেছেন: খুব ভালো লাগল, শেখার আছে। আর এই গল্পটা আগে কোথাও পড়েছিলাম, মনে নেই।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:২৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
এটা অনেক পুরোনো গল্প। পড়াটা অস্বাভাবিক না। তবে এরকম আরো অনেক গল্পই আছে। বাচ্চাদের মানসিকতা উন্নত করার জন্য ঐ গল্পগুলো। আমি ঐগুলো পড়েছিলাম বাচ্চা অবস্থায়।
সেই তুলনায় এটা পরিণতদের জন্য গল্প।

ধন্যবাদ। :) শুভকামনা।

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:২০

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: শিক্ষণীয় গল্প। এই বর্তমানে ফোকাস করার উপদেশটা প্রথমে পাইছিলাম থ্রী ইডিয়টস দেইখা। রেঞ্চো, রাজু রাস্তোগীরে এই উপদেশ দেয়। আপনার পোস্টটা রাতেই পড়ছিলাম। ডাবল কমেন্ট পড়ে যায় বলে মন্তব্য করিনাই। এখানেও ডাবল হইলে একটা ডিলিট করে দিয়েন।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
না ডাবল আসেনি। একটাই এসেছে।

বর্তমানকে ফোকাস করার উপদেশ আসলে সব দার্শনিকই দিয়েছে। যত সফল ব্যক্তির উদাহরণ দেখবেন - তারা সবাই এই বর্তমানকেই গুরুত্ব দিয়ে চলে।
তবে এটা আমাদের এখানে আলাদা। আমরা এগুলোকে শুধু গল্প এবং উপভোগ্য কিছু হিসেবে ভাবতেই পছন্দ করি।

:)

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১৯

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: শিক্ষণীয় গল্প। ভালো লাগলো।

(আপনি ক্রাইম-থ্রিলার গল্প আর লিখেন না কেন? অনেকদিন হয় আপনার কোন গল্প পাই না।)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আসলেই ক্রাইম-মিস্ট্রি-থ্রিলার লেখার প্লট, সুযোগ কোনটাই পাই না অনেকদিন ধরে। চিপায়ই আছি। তবুও একটা শুরু করেছি লেখা, ইকুয়েশন মিলছে না ঐটার। ইকুয়েশন মিললে ঐটা পাবেন আশা করি। তবে কবে তা বলতে পারতেছি না। :(

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০২

সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পটা গতকালকে পড়ছিলাম। কিন্তু আলসেমির কারণে লগইন হই নাই! যাহোক গল্পটা অবশ্যই শিক্ষনীয়! কিন্তু কথা হল, এটা থেকে কি আদৌ আমরা কোন শিক্ষা গ্রহণ করবো? মনে তো হয় না..... :(

আপনার অনুবাদ কিন্তু যথেষ্ট ভাল হয়! শুভ কামনা জানবেন!

অফটপিকঃ- আপনি কিসের জানি একটা বই বের করতে চাইছিলেন না? সেটার খবর কি?

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আলসেমির কারণে মন্তব্য না করায় মাইনাস আপনার নেক্সট পোস্টে। শোধবোধ!!!

শিক্ষা তো আমরা কতই নিই, কয়টাকে কাজে লাগাই। সব শিক্ষা নিয়ে মগজের খুঁপচিতে জমিয়েই তো রাখি। যতদিন এই জমিয়ে রাখার প্রবণতা না যাবে ততদিন শিক্ষা নিয়েও লাভ নাই।

অনুবাদ বলতে এটা শুধু ভাবানুবাদ করেছি। তাই রূপান্তর বলছি। মূল ইংরেজি থেকে অনেকটাই পরিবর্তিত এটা।
অনুবাদের প্রশংসায় থ্যাংকু থ্যাংকু।

অফটপিক উত্তরঃ মূর্খ প্রকাশকের চেলারা লেখা পছন্দই করে নাই। তাই বইয়ের চিন্তা বাদ আপাতত কয়েকবছরের জন্য।

৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

জুন বলেছেন: আমার ছেলেবেলা শুরু হয়েছিল রাশিয়ান উপকথা পড়ার মাধ্যমে। এর মধ্যে মা এর কাছ থেকে পাওয়া প্রথম বইটি ছিল তলস্তয়ের লেখা উপকথা মাশা আর ভালুক, তারপর একে একে সিভকা বুর্কা, নানা চাকা নৌকা, হলদে ঝুটি মোরগটি আরো কত শত। সেসব পেরিয়ে চেখভ, গোগল, গোর্কি, দস্ততয়েভস্কি, তলস্তয় সহ অসংখ্য রাশিয়ান লেখকের গল্প উপন্যাস।
অত্যন্ত ঝরঝরে সাবলীল অনুবাদে শিক্ষণীয় গল্পে অনেক ভালোলাগা রইলো রক্তিম দিগন্ত।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ছোটবেলায় সবাই ই উপকথাগুলো পড়ে থাকে। এগুলোতে আলাদা একটা তৃপ্তি থাকে।
টলস্তয়, চেখব, ম্যাক্সিম গোর্কি - এদের লেখা ছোটগল্প গুলো পড়তে আসলেই চমৎকার লাগে। শুধু গল্পই না, সাথে গল্পের অন্তর্নিহিত অর্থও মনকে পরিস্ফুটিত করে রাখে।
আফসোস, ঐগুলো যদি ছোট থেকে আত্তস্থ করে করে বড় হয়ে উঠা হত!!!

ধন্যবাদ আপু অনুবাদের দিকে চোখ ফেলার জন্য। :)

৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর গল্প !

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
লিও টলস্তয়কে কৃতজ্ঞতা। :)

আছেন কিরাম ভাই???

৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:০৫

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ধন্যবাদ :)

৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সার্ভার ঠিকমত কাজ না করায় তিন বারের প্রচেষ্টায় এই মন্তব্য লিখতে পারছি । লিখাটি সুখপাঠ্য ও বেশ শিক্শামুলক , খুবই ভাল লেগেছে । ধন্যবাদ

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ধন্যবাদ। :)

সার্ভার আসলেই খুব সমস্যা করছে। আমি আজকে খুব একটা মন্তব্য করিই নাই পোস্ট পড়ার পরেও।

১০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

ক্লে ডল বলেছেন: শিক্ষামূলক গল্পটি অনুবাদের জন্য ধন্যবাদ।

সুন্দর, সাবলীল অনুবাদ করেছেন!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে। :)
সাথে লিও টলস্তয়কেও।

১১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

তানভীর আকন্দ বলেছেন: বাহ, বেশ...

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ধন্যবাদ। :)

১২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

রাহাত আহমেদ মুনিম বলেছেন: অসাধারণ

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
অসাধারণ এই লেখাটা টলস্তয়ের সৃষ্টি। ধন্যবাদটা তারই প্রাপ্য। :)

১৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



জীবিত থাকাকালে অবস্হান অনুযায়ী নিজের কর্তব্য সাধনই সব উন্নয়নের মুল

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
হ্যাঁ, এটাই কিন্তু গল্পের আড়ালে থাকা সত্যটা। সাফল্যের একমাত্র চাবিও এটা।
আপনি একই কথাটাকে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে তুলে ধরলেন। মন্তব্যটা আসলেই চমৎকার।

মন্তব্যে প্লাস।

১৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:২৩

ভূতের ব্যাগার বলেছেন: অনেক্ষন ভাবছিলাম গল্পটি আগে কোথায় পড়েছি এখন মনে পড়েছে।আমি যখন ৯ম শেনীর ছাত্র[১৯৭৭ সাল]তখন এই গল্পটা আমাদের ইংরেজী টেক্ট বুকে ছিল এবং আমার এস এস সি পরীক্ষাতে এখান থেকে প্রশ্ন এসেছিল।শিক্ষনীয় গল্পটি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আগেকার মানুষগুলোর উপর এই একটা কারণে বেশ হিংসা হয় আমার। তারা পড়ার সাথে সাথেই বিদেশী সাহিত্য, তাদের চিন্তাধারা, দর্শন এসবের সাথে পরিচিত হতে পারতো। আমাদের তো এই সুযোগই ছিল না।

আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করায় ধন্যবাদ আপনাকে। :)

১৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:২৪

পুলহ বলেছেন: দুইটার মত বেড খোঁড়া হয়ে গেলে ..." বেডের জায়গায় গর্ত লিখলে বোধহয় ভালো হত।

সকালে যখন ঘুম ভাঙলো তখন সে ঠিকমত বুঝতে পারলো না যে সে এখন কই আছে..." কই-< কোথায়

উপরে যা লিখলাম, তা কোন ভুলের পর্যায়ে পড়ে না, কিন্তু আমার চোখে পড়লো দেখে জাস্ট পাঠক হিসেবে আপনার সাথে শেয়ার করলাম আর কি...
যারা অনুবাদ করেন, তাদেরকে আমি শ্রদ্ধা করি। আমার কাছে মনে হয়- এদেশের পাঠকদেরকে তাঁরা বিশ্বসাহিত্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার এক মহান দায়িত্ব সাধ্যমত পালন করছেন।
শুভকামনা ভাই। আপনাকে ব্লগে আবার নিয়মিত হতে দেখে ভালো লাগছে।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: দুইটার মত বেড খোঁড়া হয়ে গেলে ..." বেডের জায়গায় গর্ত লিখলে বোধহয় ভালো হত।

বেডের বাংলা শব্দটা নিয়ে বেশ সংশয়ে ছিলাম। কারণ, এর পরিপূর্ণ বাংলা নেই। সাথে সাথে এটাকে এভাবে রাখলেও পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য লাগে না। তবে, বেড বললে বীজ বপনের জন্য খোঁড়া বিছানার কথাই স্মরণে আসে। তাই এটাকে এভাবেই রেখেছি। গর্ত বললে আবার এলোমেলো মাটির ছোট ছোট গর্ত চোখে ভাসতো। যেটাকে গল্পের সাথেই বেখাপ্পা লাগতো। অবশ্য ছবি দিয়ে সেই সমস্যা কাঁটিয়ে দিয়েছি। B-))

সকালে যখন ঘুম ভাঙলো তখন সে ঠিকমত বুঝতে পারলো না যে সে এখন কই আছে..." কই-< কোথায়
এটা ঠিকই ধরেছেন। কোথায় ব্যবহার করাই যথাযোগ্য। সাবলীলতার জন্য। তবে, কই এবং কোথায় শব্দ দুটির মানে এক হলেও ব্যবহার ক্ষেত্র নাকি ভিন্ন। ওটা মাথায় আসাতেই দ্বিধায় ছিলাম। এখন আবার কোন জায়গায় শব্দ ব্যবহার করবো কিনা তা নিয়েও দ্বিধায় পড়লাম। :(

কোন ভুলের পর্যায়ে পড়ে না, কিন্তু আমার চোখে পড়লো দেখে জাস্ট পাঠক হিসেবে আপনার সাথে শেয়ার করলাম আর কি...
আমি বেশ সতর্ক ভাবেই কাজটা করেছিলাম। নিজেই ভুলগুলো খতিয়ে দেখেছিলাম আগেই। এরপরও যে দুটো জায়গায় আমি একটু দ্বিধায় ছিলাম - আপনি সে দুটোই ধরলেন। লেখাটা আসলেই খুব ভাল ভাবে পড়েছেন। না হলে ঠিক এই দুটো স্থানেই নজর পড়তো না। বড়সর ধন্যবাদ প্রাপ্য আপনার এর জন্য।

যারা অনুবাদ করেন, তাদেরকে আমি শ্রদ্ধা করি। আমার কাছে মনে হয়- এদেশের পাঠকদেরকে তাঁরা বিশ্বসাহিত্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার এক মহান দায়িত্ব সাধ্যমত পালন করছেন।
কথাটা ঠিক। অনুবাদকেরা বিশ্বের সব লেখার সাথেই আমাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। এমন না যে আমরা সেগুলো খুঁজে পড়তাম না, পড়তাম হয়তো - তবে তাতে তৃপ্তি পেতাম না। অনুবাদকেরা আমাদের ভাষায় সেগুলোকে রূপান্তর করে আমাদের জন্য পড়া আনন্দদায়ক এবং আগ্রহ সৃষ্টি করেছেন। আমাদের জ্ঞানের পিপাসাও তাতে বেড়েছে। সে জন্য আসলেও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা।
আর, আমি তো ছোটখাটগুলো করি। এগুলো করা সহজ। বড়গুলো বেশি কঠিন।

আপনাকে ব্লগে আবার নিয়মিত হতে দেখে ভালো লাগছে।
হাতে সময় না থাকলেই আবার দৌড় লাগাবো। আমার নিয়মিত এর আসলে ঠিক নাই। তবে এইবার আগেরবার থেকে বেশি সময় থাকার চেষ্টা করবো।

ধন্যবাদ - আপনার ভাল মন্তব্যের জন্য।

১৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

রাফিন জয় বলেছেন: মচৎকার!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
নধ্যদাব। :)

১৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:০৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শিক্ষণীয় গল্প বটে! মনে গেঁথে গেলো ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আসলেই মনে গেঁথে থাকার মত। এই শিক্ষাটা মাথায় থাকলে কখনোই আত্নবিশ্বাস হারাতে হবে না।

শুভ সকাল সাধু ভাই। :)

১৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:২৪

মাদিহা মৌ বলেছেন: অনুবাদ ভালো হয় নাই। সবাই প্রশংসা করছে ঠিক, কিন্তু লেখনি দূর্বল। কারনটা কী? <_

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
এতদিন পরে লিখলাম। লেখনী ভাল হইব ক্যাম্নে?? একটু-আধটু প্রশংসা কর। /:) নাইলে তো লেখাই ভুইলা যামু। :|

১৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: শিক্ষামূলক গল্প। তেমন টানে না। তবে গভীর চিন্তার প্রকাশ অবশ্যই আছে। অনুবাদ চলনসই।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
গভীর চিন্তার সব গল্পই আমাকে বেশি বেশি করে টানে।

ধন্যবাদ ভাই :)

২০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: টলস্টয়ের গল্পটি দারুন।
আগেও পড়েছিলাম।আপনার সৌজন্যে নতুন করে আবার পড়লাম।

ভালোথাকুন। :)



০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ধন্যবাদ। পুরোনো গল্প - আগে পড়াটাই স্বাভাবিক।

২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

শায়মা বলেছেন: বাহ ভাইয়া!!!!!!


সব কিছু নিয়ে তোমার ভাবনা চিন্তা আর গল্প নিয়ে এত বিশ্লেষন সবকিছুই দেখে মুগ্ধ হই।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আপুর কমেন্ট পড়লে লজ্জায় পড়া লাগে।
এমনে সরাসরি প্রশংসা করে নাকি কেউ!! :`>

২২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:১৭

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: মুগ্ধ হলাম!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৩৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
শিক্ষামূলক উপকথাগুলো মুগ্ধ হবার মতই। আমিও মুগ্ধ হই এই লেখাগুলো পড়ে।

২৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৪৩

কল্পদ্রুম বলেছেন: এখানে ভালো না লাগার কোন কারণ নেই।আসলেই বর্তমানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।আমার সাথের মানুষগুলোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ।লেখককে অভিনন্দন এরকম বিষয় তুলে ধরার জন্য।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:৪১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
পৃথিবীর সব জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিই বর্তমানের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। কেউ কেউ শুধু বাণী দিয়েছেন, কেউ বা রূপক গল্পের দ্বারা সেটা ফুটিয়ে তুলেছেন। আসলে তারা বর্তমানকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন বলেই তাদেরকে মানুষ চিরজীবন স্মরণ করে রাখবে।

বর্তমান নিয়ে আমার সবচেয়ে পছন্দের বাণীটা হল, 'Yesterday is history, tomorrow is a mystery, today is God's gift, that's why we call it the present.' হয়তো শুনেছেন কুংফু পান্ডায় এই উক্তিটা। (যদিও মূল উক্তিটি Joan Rivers এর)।

আসলে আমরা অতীতকে নিয়ে বেশি আচ্ছন্ন থাকি, তাই বর্তমানের সময়টা নষ্ট হয়। আবার, ভবিষ্যৎকে নিয়েও বেশি দুঃশ্চিন্তায় থাকি, তাতেও বর্তমানের সময় নষ্ট হয়। ফলাফল, আমাদের সমস্যা কখনোই কাঁটেনা। বরং আরো বাড়ে।

যাই হোক, ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য। :)
অহেতুক প্যাঁচাল পেরে গেলাম।

২৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:৫২

কল্পদ্রুম বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার প্রতিউত্তর(অহেতুক প্যাঁচাল) পেয়ে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:১১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
:)

২৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:০৯

বিলুনী বলেছেন: অনুবাদকের আড্ডা ব্লগে লিউ টলস্টয়ের এ গলপটির একট অনুবাদ বেশ কিছুদিন আগে পাঠ করেছিলাম । এই অনুবাদটা সেটা হতে একটু উন্নত মানের মনে হয়েছে । প্রসংসা পাওয়ার যোগ্য ।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:২০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ধন্যবাদ। :)

আপনার কাছে উন্নত মানের সংজ্ঞাটা আসলে কেমন? রাগ করবেন না, এটা শুধুই পাঠককে নিছক জিজ্ঞাসা।

২৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

বিলুনী বলেছেন: একজন সহ ব্লগারের সাথে রাগ করব কেন , পাঠক কোন লিখা লিখে মন্তব্য করলে অনেক সময় লিখকের কাছে দায়ব্ধ হয়ে যায় সে বোধটুকু আমার আছে, যদিও অনেক সময় হিউমিলিয়েটও হতে হয় । মেনে নিতে হয়, লিখা লিখির জগতে এটা হয়েই থাকে, ক্ষেত্র বিশেষে সেটা কম বেশী হয় এই যা পার্থক্য ।
কোন লিখার তুলনায় কোন লিখাকে উন্নত বলা মুলত একটি আপেক্ষিক ও পাঠকের নিজস্ব মুল্যায়নের বিষয় । অআমার মত একজন অতি সাধারণ পাঠকের কাছে এর সঠিক মান নিয়ে সঙজ্ঞা দেয়া অতি কঠিন ।
তবে ভাষার সাবলিলতা , শব্দের প্রয়োগ, বাক্যের গঠন শৈলী , জটিল বাক্যের তুলনায় সহজ বাক্য , মুল লিখার বিষয় ও ভাবের কথা অনুবাদে যথাযথভাবে প্রতিফলন, অনুবাদের সাবলিলতা প্রভৃতি বিবেচনায় আমার কাছে আপনার লিখাটি উন্নতমান মনে হয়েছে । মন্তব্যের ঘরে লিখা সংক্ষেপিত করার কারণে বিস্তারিত বলা হয়ে উঠেনি তখন। লিখাটি কেন ভাল লাগল , কেন উন্নত মনে হল , উন্নত মান বলার সাথে সাথে এর সংজ্ঞা দিয়ে তা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে এমন কোন বাধাধরা নিয়ম না থাকায় তাও দেয়া হয়নি তখন। যাহোক, জিজ্ঞাসা যখন করেছেন তখন বিষয়টিকে সহজভাবে বোধগম্য করার জন্য আমি দুটো লিখারই কিয়দংশ পাশাপাশি নীচে তুলে দিলাম । এখন উন্নতমান বলাটা ভুল হয়েছে কিনা সেটা নীজেই মিলিয়ে নিতে পারেন । লিংকটাও দিয়ে দিলাম
http://onubadokderadda.com/three_questions/

একটি লিখা দেখে মুল্যায়ন করার সময় অনেক ক্ষেত্রে লিখাটির বিষয়ে প্রাসঙ্গীক তথ্য বা ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে কথা বলি , অবশ্য অনেকের কাছেই সেটা অপ্রাসঙ্গীক বলে মনে হতেই পারে । তবে আমার বিবেচনা অনুযায়ী পাঠকৃত লিখাকে মুল্যায়ন করি । আশা করি পাঠকের জন্য পোস্ট লিখক এটুকু স্বাধিনতা দিবেন ।

এবার তাহলে নীচে তুলনামুলক চিত্রটা দয়া করে দেখে নিন ।

অনুবাদকের আড্ডার লিখা
এক রাজার কাছে হঠাৎ মনে হল যে তিনি যদি কোন কাজ করবার একদম উপযুক্ত সময়টি জানতে পারতো, ঠিক কোন ধরণের ব্যক্তির কোন কথা শুনতে হবে তা যদি আগের থেকেই জানতে পারতো বা কোন ধরণের লোক এড়িয়ে চলতে হবে তা আগের থেকেই বুঝতে পারতো এবং সবকিছুর উপরে, তিনি যদি আগের থেকেই জানতো কখন কোন কাজটি করা সবচাইতে প্রয়োজন; তাহলে তাকে কখনই কোন কাজে ব্যর্থ হতে হতো না যার দায়ভার তাকে ভবিষ্যতে নিতে হতো।

তার মাথায় এই চিন্তা আসবার পর তিনি তার সমগ্র রাজ্যে প্রচার করবার ব্যবস্থা করলেন যে যদি কোন ব্যাক্তি কোন কাজ শুরু করবার সবচাইতে সঠিক সময়, ঠিক কোন ধরণের ব্যক্তির বা ব্যক্তিদের কথা শুনতে হবে এবং বিভিন্ন কাজের সুযোগের মধ্যে কোনটির গুরুত্ব সবচাইতে বেশী, এই তিনটি বিষয়ে সঠিক সিধান্ত গ্রহণ রাজাকে শিখাতে পারে তাহলে তাকে রাজামশাই বিশাল আকারের পুরস্কার প্রদান করবেন।

রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জ্ঞানীগুণী-বুদ্ধিজীবীরা আসতে লাগলো রাজার কাছে। কিন্তু তারা প্রত্যেকে রাজার প্রশ্নের ভিন্ন ভিন্ন উত্তর দিলো।


আপনার লিখা
একদা এক রাজার মনে কিছু প্রশ্ন জাগলো। সে কি আসলেই জানে কোন কাজ করার সঠিক সময় কোনটা? সে কি আসলেই জানে কাদের কথা শুনলে ভাল হবে এবং কাদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে? সর্বোপরি, সে কি আসলেই জানে কোন কাজ করাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যেটা করলে সে কখনো ব্যর্থ হবে না?

প্রশ্নগুলো জাগায় সে রাজ্যে ঘোষণা করে দিল। প্রতিটা কাজ করার সঠিক সময় কোনটা, কারা তার জন্য সবচেয়ে দরকারি ব্যক্তি এবং সে কীভাবে জানতে পারবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ কোনটা – এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যে সঠিক ভাবে দিতে পারবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে।

জ্ঞানী-গুণী অনেক ব্যক্তিই এসে উপস্থিত হল রাজার দরবারে। কিন্তু তারা সবাই ই ভিন্ন ভিন্ন উত্তর জানালো।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:১৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
নোটিফিকেশন না আসায় মন্তব্যের কথা জানতেও পারিনি। বিলম্বের জন্য দুঃখিত।

আপনি আমার কথাটা ব্যক্তিগতভাবে নিয়েছেন হয়তো। আসলে ওভাবে বলিনি আমি। আমার কাছে হুট করে মনে হল - আমাদের পাঠকের কাছে উন্নত মানের সংজ্ঞাটা আসলে কেমন। কয়েকজনকেই এই প্রশ্নটা করেছি আমি।

যাই হোক - আপনার একটা কথা ভুল। লেখার মান কখনোই আপেক্ষিক কিছু নয়। লেখার প্রতি অনুভূতিটা আপেক্ষিক। কিন্তু মান সবসময় স্থির। আপনার ভালা লাগা বা না লাগা - এর উপর কিন্তু লেখার মান নির্ভর করে না।

অনুবাদের ক্ষেত্রেই বলি শুধু।

অনুবাদ কিন্তু দুই ধরণের। একটা আক্ষরিক অনুবাদ, অন্যটা ভাব অনুবাদ বা রূপান্তরিত অনুবাদ।

আক্ষরিক অনুবাদে মূল লেখকের লেখা প্রতিটা শব্দের অনুবাদ হয়। ঠিক যেমন ভাবে মূল লেখক লিখেছিলেন, ঠিক তেমন ভাবেই সেটাকে অনুবাদ করা হয়। এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অনুবাদটা তেমন সুখপাঠ্য হয় না। বরং প্রায়ই তাল কেঁটে যায়।

রূপান্তরের ক্ষেত্রে - শুধু মূল লেখাটার ভাবকে অবিকৃত রাখা হয়। ভাবকে অবিকৃত রেখে নিজের মত করে লেখাটাকে প্রকাশ করা হয়। এই ক্ষেত্রে লেখাটা পড়াও খুব সহজ হয়, তাল কাঁটেনা, বরং মূল ভাব অক্ষূন্ন থাকায় পাঠক লেখাটার সাথে আঁটকে থাকে।

অনুবাদকে উন্নত মানের বলতে হলে যে বৈশিষ্ট্যগুলো থাকা প্রয়োজন তা হল - নিজস্ব বাচন ভঙ্গি বজায় রাখা, মূল গল্পের মর্মার্থ অবিকৃত রাখা, ছোট ছোট বাক্য গঠন, সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা, লেখায় বানান শুদ্ধ রাখা।
এই ফ্যাক্টরগুলো লেখাকে উন্নত করে তোলে।

শুধু অনুবাদ নয়, যে কোন লেখার ক্ষেত্রেই নিজস্ব বাচন-ভঙ্গিমা বজায় রাখতে পারলেই লেখাটা সুপাঠ্য হয়।

আপনি যেইভাবে কথা বলেন - আপনি লেখার সময় যদি সেটাকে না রাখেন - তাহলে আপনার লেখার বিষয়বস্তু যত ভালই হোক না কেন - আপনার লেখা কিন্তু সুপাঠ্য হবে না।
কিন্তু আপনি যদি একটা নিন্মমানের বিষয়বস্তু নিয়ে নিজের স্বকীয় ভঙ্গিতে কিছু লেখেন - তাহলে সেটা সমাদৃত হবে, সুপাঠ্য হবে।
এটাই আসল।

এছাড়াও অনেক কিছু বলা যায়। মাথায় আছে - আঙ্গুলে আসছে না। গুছিয়ে বলতে পারলে পরে বলবো।

ওহ, আপনি অন্য যে অনুবাদটি দিলেন - সেটি হল আক্ষরিক অনুবাদ। আক্ষরিক অনুবাদ পড়া একটু কষ্টকর। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য ঐ লেখাটাকে আমারটার চেয়ে শ্রেয়ই মনে হয়েছে। আবার, কয়েক ক্ষেত্রে আমারটাকে শ্রেয়।
মিলিয়ে মিশিয়েই আছে।

আমার লেখাকে উন্নত বলা যাবে না। কারণ, আমি এখনো শিক্ষানবীশ স্তরে আছি। হাত পুরোপুরি দক্ষ হয়নি। আপনি যেটা দিলেন সেটারও একই অবস্থা।

সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করলে, আমার লেখাটা অন্য লেখাটার থেকে একটু ভাল লাগছে পড়তে। আপনার পূর্বের মন্তব্যের অর্থটা ছিল এটাই। উন্নত 'মান' শব্দটা আনাতেই হয়তো আমার মাঝে প্রশ্নটা জেগেছিল।

যাই হোক - নো হার্ড ফিলিংস।

ওহ - লেখার মান যেমনই হোক - লেখাটাকে কারো ভাল লাগবে নাকি খারাপ লাগবে সেটা নির্ভর করে পাঠকের নিজস্ব পছন্দের উপর। যেমন - আমার রোমান্টিক গল্প ভাল লাগে না - অনেক লেখকের উন্নত মানের রোমান্টিক গল্প হলেও সেটাকে আমার খারাপই লাগে।
আবার থ্রিলার আমার খুব পছন্দ। সেক্ষেত্রে, মধ্যম মানের একটা থ্রিলারেও আমি বলতে গেলে মুগ্ধই হই।

মান এবং অনুভূতি দুটো খুবই কমপ্লিকেটেড বিষয়। মাথা এলোমেলো লাগে ভাবতে গেলেই।

২৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:১৭

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: খুবই খাটি কথা, অতীতকে পিছে ফেলে, ভবিষ্যৎ ভেবে শংকিত না হয়ে শুধুই বর্তমানকে মোকাবেলা করে আমাদের চলা উচিত |

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:১৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
হ্যাঁ, সত্যিই।

অতীত বা ভবিষ্যৎ দুটোই কিন্তু আমাদের মাঝে দুঃশ্চিন্তার সৃষ্টি করায়। কিন্তু, বর্তমানের ক্ষেত্রে দুঃশ্চিন্তা কখনোই আসে না। বর্তমান সরল ভাবে এগিয়ে চলছে। আমাদেরও বর্তমানের সাথে সরল ভাবেই অগ্রসর হওয়া উচিৎ।

২৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৫৮

জেন রসি বলেছেন: টলস্তয়ের ওয়্যার এ্যান্ড পিস পড়েছিলাম। তবে তার গল্প পড়া হয়নি। একটা কথা বলা হয়ে থাকে যে টলস্তয় তার গল্প বলার শক্তি অর্জন করেছে নিজের অপরাধবোধ থেকে। তাই তার শিক্ষামূলক গল্পের মাঝে একটা অন্যরকম গভীরতা থাকে যা শুধু অভিজ্ঞতা দিয়েই অর্জন করা যায়। অনুবাদ ভালো লেগেছে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:২৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
অপরাধবোধ থেকেই তো নৈতিক শিক্ষার জন্ম হয়।

ওয়ার অ্যান্ড পিস পড়লেন ক্যাম্নে? বিশাল বই তো। আমি পড়ি পড়ি করেও পড়িনি।

২৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

একজন সৈকত বলেছেন: চমৎকার একটি অনুবাদ পড়লাম।
তলস্তয়ের এই গল্পটিও পড়া ছিল না- এটি এরকম একটি গল্প যা পড়েই ভুলে যাওয়া যায় না- বেশ কিছুখন ভাবিয়ে ছাড়ে- খুব ভালো লাগলো- রাজার মত আমিও কিছু প্রয়োজনীয় উত্তর পেলাম।
ভালো থাকবেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ধন্যবাদ। :)

এই গল্পগুলো আসলে সবসময়ই মনে আঁটকে থাকার মত। বিশেষ করে গল্পগুলোর শিক্ষাটা।

৩০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মূলটা পড়িনি, অনুবাদ পড়েই মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
১৩ নং মন্তব্যে চাঁদগাজী একটা দামী কথা বলে গেছেন।
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করনীয় কাজটা কী? এটা স্থির করতে গেলে অনেকসময় অতীত ও ভবিষ্যৎও চলে আসে।
তিনটি প্রশ্নের সমাধান খোঁজার এ অনুশীলন ভাল লাগলো। উপভোগ করলাম।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
মন্তব্যের নোটিফিকেশন না আসায় টেরই পাইনি আগে। তাই উত্তর দিতে দেরী হল।

আসলে পোস্টে সবাই ই বেশ ভাল ভাল মন্তব্য করছে। গল্পটার শিক্ষার কোন শেষ নেই। মূল ভাবটা ঠিক রেখে যে যেভাবেই ধরুক, গল্পটার শিক্ষার ছোঁয়া মনে লাগবেই।

ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৩১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এই প্রথম আপনার একটা লেখা পড়লাম। অনুবাদটা খুব ভালো লাগলো। ছোটবেলায় এরকম অনেক গল্প পড়েছি, বড়বেলাতেও পড়ছি। ইশপের গল্পসমগ্র আমার খুব প্রিয় বই ছিল। সমস্যা হোল মন্তব্য গুলো পড়ে আমার কিছু ঘট বা জট পাকিয়ে গেলো। একজন বললেন,
“ নিজের কর্তব্য সাধনই সব উন্নয়নের মুল”। উত্তর দিলেন “হ্যাঁ, এটাই কিন্তু গল্পের আড়ালে থাকা সত্যটা”। সময়ের সাথে নিজের কর্তব্য কিন্তু একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। যেমন বাচ্চারা পড়াশোনা করে বা তাদের করতে বলা হয় ভবিষ্যৎ উন্নতির জন্য। শুধু বাচ্চা কেন আমরা বড়রাও করি। জ্ঞান অর্জনের জন্য বা মনের আনন্দে যেমন পড়ি তেমনি ভবিষ্যতের কথা ভেবেও পাঠ্যবই পড়ি। আবার কেউ কোন বিষয়ে দক্ষ হতে চাইলে তার ভবিষ্যৎ একটা লক্ষ থাকে। মানুষের স্বপ্নই তো ভবিষ্যতের বার্তা বহন করে। একটা প্রশ্নই থাকে এরকম, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি এবং সে অনুযায়ী কি প্রস্তুতি নিচ্ছেন? ইশপের গল্পেও আছে, “ ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবা জ্ঞানীর কাজ”। এই প্রস্তুতি নিতে গিয়ে আবার অবশ্যম্ভাবীভাবে পেছনের দিকে তাকাতে হয়। তা না হলে অপ্রত্যাশিত ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থাকে। সেই হিসেবে আহসান ভাইয়ের এই মন্তব্যটা আমার ভালো লাগলো।
“বর্তমান সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করনীয় কাজটা কী? এটা স্থির করতে গেলে অনেকসময় অতীত ও ভবিষ্যৎও চলে আসে” । আমি দেখেছি, অতীত নিয়ে মোটেই পড়ে থাকা নয়, আবার ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাও নয়, বরং উভয়টির একটি সুষম ভাবনা নিয়ে বর্তমানকে উপভোগ করা উচিত। বর্তমানে কর্তব্যগুলো করতে হবে বর্তমানের দাবী এবং ভবিষ্যতের চাওয়া কে সামনে রেখে। আর দৃষ্টান্ত নিতে হবে অতীত থেকে। প্রথম মন্তব্যটাই এত বড় করার জন্য একটু বিব্রত প্রিয় সুহৃদ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
মন্তব্যের নোটিফিকেশন না আসায় টেরই পাইনি আগে। তাই উত্তর দিতে দেরী হল।

প্রথমেই ধন্যবাদ। :)

ঐতিহ্যগত ভাবে আমি বড় মন্তব্য বেশ পছন্দ করি। তাই এতে কিছু মনে করার কোন প্রশ্নই আসে না।

এখানে কারো মন্তব্যে কিন্তু আসলে ভজগট লাগার কোন প্রয়োজন নেই। গল্পটা আসলে এমনই যে, এটার প্রেক্ষিতে সবার মন্তব্যই সঠিক।,

গল্পের মূল উদ্দেশ্যটা হল - অতীত-ভবিষ্যৎ নিয়ে যেন কেউ দুঃশ্চিন্তা না করে বর্তমানের সময়টাকে ভাল করে কাজে লাগায়। এখানে কিন্তু বলেনি অতীতকে ভুলে যেতে বা ভবিষ্যৎ নিয়ে একদমই না ভাবতে। কিন্তু, এগুলো নিয়ে ভাবতে গিয়ে যেন বর্তমানটা নষ্ট না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে। অতীতের আক্ষেপ সরিয়ে কেউ যদি বর্তমানটাকে ভাল করে কাজে লাগাতে পারে - তাহলে কিন্তু তার ভবিষ্যৎ ভাল হবেই।

ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা জ্ঞানীর কাজ - এই কথাটাও কিন্তু সত্য। তবে, ক্ষেত্র বিশেষে প্রাধান্য কোনটার উপর বেশি দিতে হবে - তা কিন্তু নিজে থেকেই ডিসাইড করতে হবে। যেমন - পড়াশোনার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎকে বেশি প্রাধাণ্য দিয়ে বর্তমানে পরিশ্রম করতে হবে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে অতীতের ভুল গুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে পরিশ্রম করতে হবে। আবার, হাতে কলমে কোন অর্জিত জ্ঞানের পরীক্ষা করতে হলে - আপনার অতীত বা ভবিষ্যৎ ভুলে শুধু বর্তমানটা নিয়ে ভাবতে হবে।

একেক ক্ষেত্রে একেক রকম। কিন্তু কাজ যা ঠিকভাবে করার তা কিন্তু বর্তমানেই করতে হবে। বলতে গেলে - রাজাকে দেওয়া শিক্ষাটা এটাই। একদম আক্ষরিকভাবে গল্পের বাক্যগুলোকেই না নিয়ে যদি সবকিছু ভেঙ্গে ভেঙ্গে ভাবেন তাহলে আপনি অনেকগুলো অর্থ বের করতে পারবেন।

আর, জ্ঞানীদের প্রবাদগুলোর একটার সাথে অন্যটা মিলাতে গেলে একটু দ্বিধায়ও পড়তে হয়। এই গল্প এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা জ্ঞানীর কাজ - এইগুলোকে কিন্তু পরষ্পরবিরোধীই মনে হয়। অনেকটা 'নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল' এবং 'দুষ্ট গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল ভাল' প্রবাদ্গুলোর মত। কোনটাই কিন্তু ভুল। ক্ষেত্রে বিশেষে সবগুলোই ঠিক। এই ক্ষেত্রটাই হল বর্তমান।

আপনার মন্তব্য আমাকে বেশ ভাবিয়েছে। আপনার থেকে আরো মন্তব্যের আশায় থাকব।

৩২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: চঞ্চল হরিণীর সুচিন্তিত মন্তব্যটি ভাল লাগলো।
বর্তমানে কর্তব্যগুলো করতে হবে বর্তমানের দাবী এবং ভবিষ্যতের চাওয়া কে সামনে রেখে। আর দৃষ্টান্ত নিতে হবে অতীত থেকে -- এ কথাটা খুব চমৎকার বলেছেন তিনি।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
মন্তব্যটা আমাকেও বেশ ভাবিয়েছে। কথাগুলোর চেয়ে মন্তব্যে নিজস্ব ভাবনা জড়িয়ে থাকাটাই বেশ ভাল লেগেছে আমার। :)

ধন্যবাদ আপনাকেও। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.