নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় বলার মত কিছু এখনো করতে পারি নি। তাই ঘরটা ফাঁকাই। পরিচয় অর্জন করতে পারলে আমি যোগ করে দিব।

রক্তিম দিগন্ত

Life is all about a thrill.

রক্তিম দিগন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাশরাফিইইই..... মাশরাফি

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

No matter what happens, In MASH we believe.





অন্য কারো কথা জানিনা, কিন্তু আমি ঠিকই গুরুর উপর ভরসা রেখেছিলাম। চাপের মুখে কীভাবে উঠে দাঁড়াতে হয় এটা ম্যাশের থেকে আর কে ভাল করে জানে!!!
প্রথম ম্যাচের পর সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। আশ্চর্যজনক ভাবে আমি প্রথম ম্যাচ হারা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। একটা ম্যাচই তো মাত্র, সিরিজ তো হারিয়ে যায়নি হাতের নাগাল থেকে। বাঘেরা আহত অবস্থায়ই বেশি আক্রমণাত্নক থাকে। বাঘকে আহত করতে নেই, বাঘকে পরাজিত করতে হলে সরাসরি মেরে ফেলতে হয়। আহত বাঘকে জীবিত রাখলে এরপর আর ঐ বাঘের হাত থেকে রেহাই নেই কারো। সব দুমড়ে-মুচড়ে দিবে।
রূপক কথা হলেও, তাই ই হল কিন্তু। বাঘদের সর্দারই এই দুমড়া-মুচড়ানো মিশনে সবার থেকে বেশি আক্রমণাত্নক ছিল।

ম্যাশকে নিয়ে কয়েকদিন আগেই একজন বলল - সে খুবই গড়পড়তা মানের এক খেলোয়ার, অধিনায়কত্বই আর কেমন - দলে ভুড়ি ভুড়ি পারফর্মার থাকলে যে কেউই সেরা অধিনায়ক হতে পারবে।



মুখের উপর একজনকে কড়া জবাবও দিয়েছিলাম। তবে শান্তিতে ছিলাম না, সঠিক জবাবটা গুরুই দিতে পারবে ভাল করে। গুরু না দেওয়া পর্যন্ত সব জবাবই অপূর্ণ। আজকে তা একদম কড়ায়-গণ্ডায় পূরণ করে দিল।

আজকের ম্যাচের গুরু নামাঃ

ম্যাশ যখন ব্যাটিং-এ নামলো আমরা তখন ধুঁকছি। দলের রান তখন ৪১.৪ বলে ৭ উইকেটে ১৬৯। আগের ম্যাচগুলোতে শেষের দিকে যে রকম ব্যাটিং করেছি আমরা - তাতে ২০০ রানকে মিথলজিক্যাল স্কোর মনে হচ্ছিল। বহু দূরের স্বপ্ন। ভরসা তখন নাসিরই - অন্যরা শুধু তাকে সঙ্গ দিতে পারলেই মোটামুটি ফাইটিং স্কোর হবে।
ম্যাশ আসলো। নাসিরকে সঙ্গ দেওয়াই যেখানে প্রধান কাজ তার, সেখানে এটাকে বানিয়ে ফেলল - নাসির তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছে। দ্বিতীয় বলেই বিশাল ছক্কা। ঐটা ছিল ম্যাশের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫০ তম ছক্কা।

ম্যাশ প্রথম ছক্কা মারতেই টিভির সামনে থেকে উঠে পড়ি আমি। নিজেকে তখন কুফা মনে হচ্ছিল। উঠলে মনে হয় কিছু রান হবে আজকে। আসলেই তাই হল। ম্যাশ এক ছক্কায় ক্ষান্ত হল না। তিনটা বড় বড় ছক্কার সাথে দুইটা চারও মারলো। ৩৭ মিনিট ক্রিজে থেকে ২৯ বল যখন শেষ ওভারে আউট হয় তখন তার রান ৪৪। দলের রান ২৩৮। মোটামুটি ফাইটিং স্কোর না - বড়সর ফাইটিং স্কোরই করা গেছে ম্যাশের সৌজন্যে।



ম্যাশের ২৯ বলঃ ১, ৬, ০, ০, ০, ০, ৬, ১, ০, ০, ৪, ২, ১, ০, ৬, ২, ৪, ১, ১, ২, ১, ১, ১, ২, ০, ০, ২, ০, ১ = ৪৪ (শুধু বাউন্ডারিই না, সিঙ্গেলে স্ট্রাইকও রোটেট করেছে।)



এরপর শুরু হল আসল খেলা। পুরোপুরি আনপ্রেডিক্টেবল ট্যাক্টিস আর অধিনায়কত্ব।
ইনিংসের শুরুই অ্যাটাকিং ফিল্ডপ্লেসমেন্টের সাথে সাকিবকে দিয়ে। ইংল্যান্ডের দুর্বলতা স্পিন। আজকের পিচ ঐসময় স্পিনকে সহায়তা করছিল। সাকিবকে প্রথম ওভারেই বোলিং-এ আনা শুধু সাহসী পদক্ষেপই না, খেলাকে ভালভাবে পড়তে পারার এক দক্ষতাও ছিল।
এরপর নিজেই আসলো। আমি তখন ভেবেছিলাম হয়তো শফিউলকে দিবে। ইনজুরি আক্রান্ত মানুষটা এতক্ষণ ক্রিজে থেকে ব্যাট করলো, একটু বিশ্রামের তো দরকারই। ম্যাচের মাঝে ম্যাশের আবার কিসের বিশ্রাম!!! আগে খেলা জয়, তারপর অন্যকিছু।
ইংল্যান্ডের প্রথম উইকেটও নিজেই নিল।



ম্যাশ-সাকিব এই বোলিং জুটিই বল করলো ১৩ ওভার। ইনজুরিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ম্যাশ নিজেই টানা ছয় ওভার বোলিং করে গেলো। শুধু বোলিং করার জন্যই হাত ঘুরায়নি, তিনটা উইকেটও টপাটপ গিলে নিয়েছে।



ইংল্যান্ড খেলাটা আসলে হেরে গেছে ঐ জায়গায়ই। ম্যাশের অদ্ভুত ট্যাক্টিসের ঐ জুটি ১৩ ওভারে ৪ উইকেট নিয়ে ৫০ রান দিয়েছে। আক্রমনাত্নক মানসিকতার অধিনায়করা রান একটু বেশিই কনসিড করে, কিন্তু সাথে সাথে উইকেটও তুলে নেয়।
ম্যাশ ঐ সময়ই খেলাটা ইংল্যান্ডের হাত থেকে বের করে ফেলেছিল। ইংল্যান্ড বারবার ফিরতে চেয়ে আর ফিরতে পারেনি ম্যাচে।
প্রথম স্পেলেই দলের অভিজ্ঞ দুই বোলারের এত ওভার খরচ করে ফেলাটা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও - সেই ঝুঁকিতে একদম সফল তারা।

এরপর হাত ঘুরানোর কাজটা ছিল অন্যান্যদের। মাস্টারমাইন্ড গুরু ম্যাশ।
ফিল্ড সেটের কারণে চাপে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। সিঙ্গেলও রেগুলার নিতে না পারায় বাউন্ডারির দিকেই ঝোঁক ছিল তাদের। তাই তাসকিন প্রথম দুই ওভারে একটু বেশি রান দিয়ে ফেলে। ঐ সময়টায়ই একটু চাপে পড়ে যাই আমরা।

বাধ্য হয়েই ম্যাশ তার গোল্ডেন আর্ম নাসির গোল্ডকে অ্যাটাকে নিয়ে আসে। নাসিরও গুরুর আস্থার সঠিক প্রমাণ দেয়। চাপতে শুরু করে ইংল্যান্ডকে। সেই সময়টায়ই আবার তাসকিনকে অ্যাটাকে আনা হয়। ম্যাশ ভালভাবেই জানে কখন কোন বোলারকে কোথায় আনতে হবে, ঐ বোলারকে কেমন সাপোর্টটা দিতে হবে। এবং ঐ ওভারেই তাসকিন বিপদজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা জুটিটাকে ভেঙ্গে দেয়।

এই নাসির-তাসকিন জুটিই ছিল পরবর্তী দশ ওভার। ম্যাশ-সাকিব জুটি ইংল্যান্ডকে কক্ষপথচ্যুত করে দিয়েছিল, আর নাসির-তাসকিন জুটি ইংল্যান্ডকে একদম কক্ষপথের বাইরে ছুড়ে দেয়। (এই জুটির পরিসংখ্যান ১০ ওভারে ৩৭ রান ৪ উইকেট) অবশ্যই নাসির-তাসকিন প্রশংসার দাবিদার এর জন্য, কিন্তু মাস্টারমাইন্ডের দক্ষতাই চোখে পড়েছে বেশি। কারণ, অন্য কেউ অধিনায়ক হলে ঐ সময়টায় তাদেরকে এতক্ষণ বোলিং করাতো না।



(সাকিবের এই অসাধারণ ক্যাচকে মনে রাখতেই হবে)



এরপর আরেকটা অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নেয় মাশরাফি। ধারাভাষ্যকাররাও এতে অবাক হয়েছিল। অভিজ্ঞ বোলার থাকতে ঐ পুঁচকে সৈকতকে কেন বোলিং-এ আনলো?? কী দরকার ওকে আনার!!
সৈকত প্রথম বলে চার খাওয়ার পর ধারাভাষ্যকাররাও মুচকি মুচকি হাসতে শুরু করেছিল, তখনই সব হাসি শেষ অবশ্য - ঐ পুঁচকে পোলাই চার খাওয়ার একবল পরেই উইলিকে ফিরিয়ে দেয়। সেটাও আবার ক্ল্যাসিক অফস্পিন-বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান অ্যাকশনে।
ম্যাশের আক্রমণাত্নক মানসিকতার আরেক নমুনা। ইংল্যান্ডের ৮ উইকেট নাই, ক্রিজে আছে দুই বোলার। ঐ সময় কি কেউ অ্যাটাকিং ভাবে চিন্তা করবে? আরামেই তো খেলা যাবে। কিন্তু মাশরাফি কি আর আরামের লোক? দেখতেছিল উইলি অফস্পিনে সুবিধা করতে পারছে না - ওকে দ্রুত আউট না করলেও সমস্যা করতে পারে - তাই মোসাদ্দেককে আনলো। এবং উইলি সমস্যা করার আগেই শেষ।

শেষ উইকেটটা বেশ ভুগিয়েছে যদিও। তবে শেষটা মাশরাফি নিজেই করেছে। এখানেও রিস্ক ছিল, ব্যাটসম্যানকে হিট করার সুযোগ দিয়েছিল একটা। টেইল-এন্ডার ব্যাটসম্যান এভাবে রান পেলে ওভার কনফিডেন্ট হয়ে উঠে। বল না বুঝেই সমানে ব্যাট চালায়। তাই সুন্দর করে একটা কাটার দিল বলকে হিট করার জন্য। শেষ এরপরই সব।

মাশরাফি শুধু ব্যাট-বলেই না, ফিল্ডেও যেরকম এগ্রেসন দেখিয়েছে - সেটা অনেকদিন দেখিনি। আর মাশরাফি আগ্রাসী মনোভাবে থাকলে দলের শরীরী ভাষাই বদলে যায়। প্রমাণ - বাটলার আউট হওয়ার মাশরাফি আগ্রাসী উদ্যাপন। ঐটা দেখে ঠান্ডা স্বভাবের মাহমুদুল্লাহ্‌রও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠা।



বোলিং স্ট্যাটঃ ৮.৪-০-২৯-৪
প্রথম স্পেলঃ ৬-০-২১-৩
দ্বিতীয় স্পেলঃ ২-০-৭-০
তৃতীয় স্পেলঃ ০.৪-০-১-১




দলে শুধু পারফর্মার থাকলেই হয় না, পারফর্মারকে ঠিক ভাবে ব্যবহার করাও জানতে হয়। পারফর্মারের সাথে সাথে এদেরকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার মত নেতাও থাকতে হয়। এটা বাংলাদেশে মাশরাফির থেকে ভাল আর মনে হয় না কেউ জানে।

ম্যাশফলকঃ

আজকের ম্যাচে মাশরাফি কিছু মাইলফলক ছুয়ে ফেলল।

অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি জয়।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ড।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চবার (১১ বার) ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হওয়া।

(ইশশ! ইনজুরিতে না থাকলে সবগুলোর টপেই থাকতো ম্যাশ নিশ্চিত।)

ওল্ড ইজ গোল্ড - নাসির গোল্ডঃ

ম্যাশ স্তুতি করতে গিয়ে নাসিরকে ভুললে চলবে না। ভারত সিরিজ থেকে নাসিরের একটা বিশেষণ তৈরি হয়েছিল। নাসির হল ম্যাশের গোল্ডেন আর্ম। যতবার ম্যাশ নাসিরের হাতে বল তুলে দিয়েছে ততবারই নাসির সফলতা এনে দিয়েছে।
আজকে ১০ ওভার বল করে ২৯ রান দিল মাত্র। কৃপণ মানে, মহা কৃপণ মনোভাব ছিল নাসিরের বোলিং-এ। জানিনা - এই কৃপণতার কারণে তাকে না আবার কোন শাস্তি দেয় পাপন আঙ্কেল। হয়তো বলে বসতে পারে - সমগ্র বাংলাদেশের সব মেয়েই নাসিরের গার্লফ্রেন্ড - তাই তাকে বাদ দেওয়া হল দল থেকে।



নাসিরের পারফর্ম এর থেকে বেশি ভাল ছিল ব্যাটিং-এ। ২৭ বলে ২৭ রান হয়তো অনেকের কাছে তেমন কিছুই না। কিন্তু সে এই ২৭ বল টিকে ছিল দেখেই ম্যাশ ঐদিক দিয়ে রান করতে পেরেছে। স্ট্রাইক রোটেড করেছে নিয়মিত। বুঝে খেলা যাকে বলে সেটার প্রমাণই দিয়েছে নাসির। ম্যাশ যখন হিট করেছে সে তখন সিঙ্গেলে খেলেছে। আবার ম্যাশ বল ডট দিলে সে হিট করেছে। এইজন্যই রানটা ১৬৯ থেকে ২৩৮ এর পৌছাতে পেরেছিল। শেষ ৫০ টা বল বলতে গেলে নাসির ছিল বলেই খেলা গেছে।
বাংলাদেশের সেরা ফিনিশার সে - কেন সে সেরা তার প্রমাণ করলো। নাসির না থাকলে হয়তো আজকের ম্যাচে ২০০ রানও হত না। (তার রিপ্লেসমেন্টে যেই লিজেন্ড আসছিল দলে, সে হয়তো এখন রিটায়ারমেন্ট স্পিচ রেডি করছে। বুড়া মানুষ আর কত খেলবে!!!)

মাশরাফি আজকের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হলেও - সেরা পারফর্মার নাসির। (মাহমুদুল্লাহ্‌র ৭৫ রানটাও ভুলে যাওয়া চলবে না।)

ম্যাচের খুঁত সমূহঃ

জিতেছি বলেই যে সমালোচনা করা যাবে না - তা তো না।
কিছু কিছু ভুল ছিলই।

১। ব্যাটসম্যানদের অতিরিক্ত শট খেলার প্রবণতা।
২। সিঙ্গেল নেওয়ার প্রতি আগ্রহ না থাকা।
৩। ব্যাটিং-এর তিন নম্বর পজিশন। সাব্বির তিনে পারফেক্ট হলেও - সৈকতের খেলার ধরণে তাকেই তিন নম্বরে নামালে ভালো।
৪। টেইল-এন্ডারদের ব্যাটিং-এর বেসিক সম্পর্কে ধারণা না থাকা। আজকে মাশরাফি সহ ৯ ব্যাটসম্যান থাকায় রক্ষা। কিন্তু প্রতিদিন এমন হবে তার নিশ্চয়তা নেই।
৫। ব্যাটসম্যানদের সেট হয়ে উইকেট গিফট করে আসা। এটা অনেক বড় অপরাধ।

আক্ষেপঃ

১। মুস্তাফিজ। :(
২। ম্যাশের ৫০ না হওয়া। :(
৩। ম্যাশের ৫ উইকেট না পাওয়া। :(


ম্যাচ শেষে নিজের পারফর্মেন্স নিয়ে মাশরাফির বক্তব্যঃ
I'am happy that I got the wickets as well. I played my natural shots and I was lucky that it came off. Mahmudullah has been really playing well for us from the past one year. Nasir was unlucky


ম্যাচ তো বাংলাদেশ কতই জিতে - এ নিয়ে এত্ আবেগ কেন? আবেগের কারণ আজকে মাশরাফির বিধ্বংসী রূপ, তার ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়া। কতদিন পর ম্যাশ ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হল। আজকে আবেগ না দেখালে কবে দেখাব??
তবে আরেকটা বড় কারণ হল - আজকে বাংলাদেশ খেলেছে অভিজ্ঞ একটা দলের মত(৪১.৪ ওভারের পর থেকে)। আর ইংল্যান্ড আন্ডারডগের মত। সাউথ আফ্রিকা, ইন্ডিয়া, পাকিস্তানকে সিরিজ হারালেও - বাংলাদেশ কিন্তু ঐগুলোয় ফেভারিট ছিল না। এই প্রথমবার আমরা আসলেই জেনুইন ফেভারিট।

পরের ম্যাচটা এখন ফাইনাল ম্যাচ। সিরিজের আকর্ষণ এখন অনেক বেড়ে গেল। রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচের অপেক্ষা।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৩

মেহেদী রবিন বলেছেন: প্রতিটা লাইন গোগ্রাসে গিলেছি। আহ, মাশরাফি। বাংলাদেশ ক্রিকেট ের আরেক নাম হয়ে থাকবে ও। তবে একটা ব্যাপার কি, খেলা এখনও আমাদের পুরানো খেলোয়াররাই খেলছে। সাকিব, নাসির, মাশরাফি, রিয়াদ। নতুনদের মধ্যে সৌম্য স্কোয়াডেই নাই, মোসাদ্দেককে আরেকটু প্রমিজিং হওয়া উচিৎ, সাব্বির রেগুলার হতে পারছে না, তাস্কিন রান দিয়ে ফেলছে বেশী। বাংলাদেশকে বিশবকাপ জিততে হবে, সেই কোয়ালিটির খেলা দিতে হলে নতুন্দেরকে আরো অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আর শেষের দিকে মুশফিকের হাত গলে বের হয়ে যাওয়া ক্যাচটা। প্রতি ম্যাচেই কিন্তু মুশফিক এমনটা করছে। এই ব্যাপারে ওর আরো সতর্ক হওয়া উচিৎ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আমাদের পুরোনোদের সবাই ই আরো দশবছরের মত খেলতে পারবে। বয়স তো আর বেশি না কারোরই। এক মাশরাফিই থাকবে না হয়তো শুধু, বয়স-ইনজুরী দুই কারণেই তাকে সরতে হবে। :(
পুরোনো থাকায় তাতে সমস্যা নেই। এদের সাথে সাথে নতুনরা থেকে থেকে তারা পুরোনো হয়ে উঠবে। নতুন-পুরোনো মিলে, এভাবেই দল গড়ে উঠে।

আর, সাব্বির-নাসিরের বয়স কিন্তু একই সমান। সাব্বির কিন্তু বয়সে নাসির থেকেও বড়। সৌম্যও তাদের থেকে খুব বেশি ছোট না। সৈকত তো জাস্ট আসলো। তাসকিনের সমস্যা বোলিং লাইনে না, তার সমস্যা এক বাউন্ডারি খেলে সেটা থেকে রিকভার করতে না পারা।

মুশির সমস্যাটা সিরিয়াস। সে দলের সেরা ব্যাটসম্যান। তার ফর্ম নেই বলেই ব্যাটিং-এর দুর্দশা। সে যে লিঙ্কটা হয়ে ছিল টপ আর মিডল অর্ডারের মাঝে - সেটাই এখন মিসিং। মুশিকে দ্রুত ব্যাটিং ফর্মে ফিরতে হবে।
উইকেট কিপিং তার ছেড়ে দেওয়াই ভাল, কিন্তু তখন নতুন উইকেট কিপিং করবে কে? দলের কম্বিনেশন মিলিয়ে অন্য কাউকে আনাও যাচ্ছে না। মুশি ফর্মে না থাকলেও তার উপর ভরসা আছে একটা, তাকে তো বাদ দেওয়া যাবে না।
প্রতি ম্যাচেই মুশফিক ক্যাচ ছাড়ে না - তবে যে কয়টা ম্যাচে হারতে হয়েছে তার বেশ কয়েকটাই মুশির ক্যাচ মিসের জন্য হয়েছে।

তবে, এর জন্য ফিল্ডিং কোচকে দায়ী করা যায়। সাব্বির-নাসির ছাড়া আমাদের জেনুইন ফিল্ডার নাই। ট্রেইনিং-এর ফলেই ফিল্ডিংটাকে আয়ত্তে রাখতে হয়। এই দিকটায় কোচদের দৃষ্টি পড়া প্রয়োজন।

ধন্যবাদ। :)

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

পথহারা মানব বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন...পড়তে পড়তে ম্যাশে আছন্ন হয়ে গিয়েছিলাম।
আর ঐ সব লেখকদের কথায় কিছু মনে করতে নেই..যারা অবুঝ শিশুর মত বিশ্লেষন করে।

ভালো থাকবেন

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ধন্যবাদ। পাগলা ম্যাশের পাগলা শিষ্যরা ম্যাশ আচ্ছন্নই থাকে সবসময়, আর সাথে সাথে সবাইকেই ম্যাশে আচ্ছন্ন করে ফেলে।

অবুঝ শিশুদের বিশ্লেষণ বা্দ। দলের কঠিন অবস্থায় কালকে মাশরাফি যেভাবে দাঁড়িয়ে গেল - তাতে দলের নতুন সদস্যরাও এভাবে দাঁড়িয়ে যাওয়ার সাহস পাবে। :)

৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: মাশরাফি ভাল খেলেছেন। ওনাকে অভিনন্দন। অনেকদিন পর জাতীয় দলে তার অলরাউন্ড পারফরমেন্স দেখলাম

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
মাশরাফি কোন অলরাউন্ডার না যে সে প্রতিম্যাচেই অলরাউন্ড পারফর্ম করবে। গর্ধবের মত আপনাকে শুভকামনা না জানালেও চলবে। মাশরাফির যা কাজ সে সেটা ভাল ভাবেই করে যাচ্ছে। টিভির ধারাভাষ্যটাও ভাল করে শুনবেন এরপর থেকে।

৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: গর্ধবের মত আপনাকে শুভকামনা না জানালেও চলবে

সিরিয়াসলি হাসছি কিছুক্ষণ আপনার প্রতিউত্তর দেইখা। আপনার সম্পর্কে থাকা উচ্চ ধারনাটা পুরোপুরি দূর করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:০৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
হাহাহাহাহাহা। আমিও আপনার প্রতি-প্রতিমন্তব্যে হাসলাম।

আমার সম্পর্কে আপনার ধারণা যদি উঁচুতে থেকে থাকে তাহলে তা উপরেই থাকবে। আর নিচে থাকলে নিচুতেই। অবস্থার পরিবর্তন হবে না। :)

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আহা! মাশরাফিকে নিয়ে পড়তে এত ভালো লাগে! !:#P

বিন্দু বিন্দু ঘামে কেনা মাশরাফির সাফল্য এটা পড়, বুকের ছাতি ফুলে উঠবে আবেগে।

সাইলেন্ট কিলার রিয়াদের প্রতি আমাদের আরো একটু মনোযোগ দেয়া উচিত।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
মাশরাফিকে আমার রূপকথার ফিনিক্সের মত লাগে।

লেখাটা পড়লাম। এই মানুষটাকে নিয়ে সত্যিই গর্বিত। এই মানুষটার প্রশংসা করার মত ভাষাও এখন আর আমার জানা নেই। যা জানতাম সবই ব্যবহার করে ফেলেছি।


রিয়াদ ভাই হল - আমাদের ডার্ক নাইট। ওয়াচফুল প্রটেক্টর। যখনই আমাদের সবচেয়ে বেশি দরকার হবে কাউকে, তখনই রিয়াদ ভাই দাঁড়িয়ে যাবে।
একই অঞ্চলের মানুষ আমরা। বাসার দূরত্বও খুব বেশি না। মাশরাফির পর দলের নেতা যদি কেউ হতে পারে তাহলে সেটা রিয়াদ ভাই ই হবে। আমি নিশ্চিত।
আর উনার পারফমেন্স এতই ইনক্রেডিবল যে, অনেক ভাল খেলেও সেটাকে খুবই সাধারণ মনে হয়। নিজের স্ট্যান্ডার্ডকে কতটা উপরে নিয়ে গেছেন - সেটা হয়তো নিজেও জানেন না। মানুষ তাকে নিয়ে মাতে না অতটা, দরকারও নেই। আড়ালেই থাকুক। আড়ালে থেকেই উনার কাজ করে যাক।

আমার অবাক লাগে - এই রিয়াদ ভাইকেই মানুষ একসময় গালি দিত। রিয়াদ ভাই ব্যাটিং-এ নামলে টিভিও দেখতো না অনেকে। রিয়াদ ভাইকে ব্যাটিং-এ উপরে তোলার পরও অধিকাংশ মানুষ সেটার সমালোচনা করেছিল। এখন আমাদের চার নং পজিশন মানেই রিয়াদ ভাই। দলের ব্যাটিং স্তম্ভ। এই জায়গাটায় খেলেই বিখ্যাত হয়েছে টেন্ডুলকার, এই জায়গাটায়ই খেলে দলের সবচেয়ে সেরা ব্যাটসম্যান - রিয়াদ ভাইও তাই।

সাইলেন্ট কিলার সাইলেন্ট ভাবে ভায়োলেন্ট হয়ে আক্রমণ করবে - এটাই স্বাভাবিক।

৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই লোকটাকে কি কেউ কখনো প্রধানমন্ত্রী হবার প্রস্তাব করতে পারেন? এই লোকটার মতো লীডারশীপ আমাদের মতো দেশের জন্য প্রচন্ড দরকার

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
কী দরকার মাশরাফির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার?
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মানেই তো রাজনীতি। কী দরকার ম্যাশের রাজনীতিতে জড়ানোর?

এতে করে মাশরাফি নিজের সহজাত গুণটাই হারিয়ে বসতে পারে।

হ্যাঁ, লীডারশীপ দরকার এই লোকটার মত কারো - আমাদের লীডাররা তার থেকে শিখে নিলেই পারে। শেখায় তো কোন লজ্জা নেই।

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গত কালের এই ক্রিকেট খেলাটির বিজয়ী টাইগার বাহিনীর দলনেতা থেকে শুরু করে অন্যান্য সকলের অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত পারফরমেন্স নিয়ে বিশ্লেষনাত্বক লিখাটি পাঠে খুব ভাল লেগেছে । খেলায় ভাল লিডার এর গুরুত্ব অপরিসিম ।
ঘুম চোখে এই বড় সাইজের লিখাটি পাঠ করেছি , মনে করেছিলাম একটু দেখে রেখে দিব , সকালে ঘুম হতে উঠে বাকীটা পাঠ করব , কিন্তু লিখাটি এমনভাবেই জেকে ধরেছিল যে একে পাঠ শেষ না করে কিছুতেই উঠতে পারছিলাম না ।
এখন ঘুমচোখে লিখাটির বিষয়ে ভাল লাগার কথাগুলি গুছিয়ে বলতে পারছিনা । তবে যাবার আগে বলে যেতে চাই
আমাদের ক্রিকেট এর বিষয়ে দর্শকদের ভাবনা গুলি সম্পর্কে নির্বাচকদের সম্যক অবহিত থাকা দরকার । নির্বাচকেরা লিখাটি পাঠে এর মাঝে উঠে আসা বিষয়গুলিকে আমলে নিয়ে ভবিষ্যতে কোন সিরিজের জন্য কি ধরনের ও কাকে রির্বাচন করবে তার একটা সম্যক ধারনা পেতে পারে । নির্বাচকরা বিজ্ঞ দর্শকদের মুল্যায়নকে আমলে নিলে ঠকবেনা এটা হলফ করে বলা যায় ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৫৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
প্রতি মন্তব্য দিতে বিলম্ব হওয়ায় দুঃখিত। দেখেছিলাম তখনই, ঘুমের কারণে আর দিতে পারিনি।

নির্বাচকদের আসলে দর্শকদের লেখা দেখতে হবেও না, যদি দক্ষ কেউ নির্বাচক হয়। রাজনীতিমুক্ত নির্বাচক প্যানেল লাগবে। এইসব কারণেই প্রতিবারই দল নির্বাচনে একটা অসন্তুষ্টি বাদ খুঁত থেকে যায়। বাংলাদেশ লাস্ট দুই বছর চমৎকার খেললেও দল নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রতিবারই ছিল।

আর, টিম ম্যানেজম্যান্টকেও খেলা চলাকালীন সময়ে বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। না হলে তো সমস্যা। খেলোয়ারদের সবাই ই বুঝে সব, ক্যাপ্টেন-সিনিয়র প্লেয়াররা তো বুঝেই - কিন্তু ক্ষমতা তো তাদের হাতে অতটা নেই। যারা ম্যানেজিং দায়িত্বে আছে তারাও দক্ষ না, সাবেক ক্রিকেটার হলেও - সুষ্ঠু প্ল্যানে খেলার অভিজ্ঞতাও কম। এটা একটা বড় সমস্যা।
১০-১৫ বছর পর সমস্যা অনেকটা কাঁটবে - কারণ এখনকার খেলোয়ারদের অনেকেই তখন ম্যানেজিং-এর দায়িত্ব আসবে। তারা তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সিচুয়েশন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

সবশেষে, ধন্যবাদ। :)

৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৪৮

জহুরুল ইসলাম মিলন বলেছেন: সেদিন ঝনঝন সাহেবের পোস্টটি পড়েছিলাম। যতটা না বিরক্ত হয়েছি, তার থেকে বেশি মজা পেয়েছি আপনার বিশদ আকারের মন্তব্য পড়ে।
হ্যা আমি নিজেও আশায় ছিলাম ম্যাশকে নিয়ে। সে কিছু একটা করবে। এবং আমার আশায় গুড়ে বালি পরেনি। উচিত জবাবটাই দিয়েছে। যাইহোক, আপনার লেখা পড়ে বাড়তি তৃপ্তি যোগ হলো। ;)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৫১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
মন্তব্য বিশদ দিলেও মাশরাফি ব্যাট-বলে স্ট্যাটমেন্ট না দেওয়া পর্যন্ত খচখচে অবস্থায় ছিলাম। :(

আশা করছি, গুরু আগামীকালকেও জবাব দিবেই কোনভাবে।

(অঃটঃ সবই জিতলো গুরু, সব সাফল্যই উচ্চ হারে আছে - খালি পয়সাটাতেই সমস্যা। এইটায় যে কী হয়!! :()

ধন্যবাদ, ভ্রাতা। আগামীকাল বৃষ্টি-তুফান প্রেম না শুরু করলে - পার্টি হবে। B-))

৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিশ্লষনাত্বক প্রতি উত্তরের জন্য ।
ঠিকই বলেছেন খেলার জগতটাকে রাজনীতিমুক্ত রাখা গেলে দেশ
অনেক উযকৃত হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:১০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
:)

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । আজকের বাংলাদেশ ইংল্যন্ড তৃতীয় ওয়ানডে খেলাটি দেখছি । এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ১০৫/১ , ২২ অভার অবস্থান টি ভাল । আজকের খেলার উপরেও আপনার মুল্যবান মুল্যায়ন কামনা করছি ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৪২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আজকের খেলার কোন মূল্যায়ন আমি করছি না। তবে ইংল্যান্ড ভাল ব্যাটিং করেছে - এটাই হারার একমাত্র কারণ!

১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

টমাটু খান বলেছেন: পড়ে খুব ভালো লেগেছে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৩৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ধন্যবাদ। :)

১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: মাশরাফি আমারও প্রিয় খেলোয়ার!:)
আপনার মাশরাফিনামা ভালোলাগার এঠি একটি কারন হতে পারে!:)

আপনার বর্ননাশৈলি সুন্দর হয়েছে!:)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৩৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ধন্যবাদ। :)

১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২০

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: টাইপোর জন্য দুঃখিত।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৪০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ব্যাপার নাহ। :)

১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:২০

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: প্রতি উত্তর করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!:)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:১৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
:)

১৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

আঃ রাজ্জাক হাং বলেছেন: পড়ে খুব ভালো লেগেছে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ধন্যবাদ। :)

১৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: মাশরাফি আজকের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হলেও - সেরা পারফর্মার নাসির -- আমার মনে হয়, পুরো পোস্টে এটাই আপনার সবচেয়ে সেরা পর্যবেক্ষণ।
তবে আরেকটা বড় কারণ হল - আজকে বাংলাদেশ খেলেছে অভিজ্ঞ একটা দলের মত(৪১.৪ ওভারের পর থেকে)। আর ইংল্যান্ড আন্ডারডগের মত। সাউথ আফ্রিকা, ইন্ডিয়া, পাকিস্তানকে সিরিজ হারালেও - বাংলাদেশ কিন্তু ঐগুলোয় ফেভারিট ছিল না। এই প্রথমবার আমরা আসলেই জেনুইন ফেভারিট। -- থাম্বস আপ!
খেলার চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন। উপভোগ করলাম।
লেখায় + +

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আমি আসলে খেলাপাগল এক মানুষ। সব জাতের খেলাই গিলি। ইভেন, গলফও।

খেলা নিয়ে বিশ্লেষণ আমার নেশাই বলা যায়। খেলা চলাকালীন আমার ফেবু স্ট্যাটাস দেখে দেখে ক্লান্ত হওয়া মানুষও কম না।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য। :)

১৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল লাগা মন্তব্যঃ ১, ৫, ৬, ৭,
ভাল লাগা প্রতিমন্তব্যঃ ১, ৫, ৬, ৭,
যা মোটেই ভাল লাগেনিঃ ৩ নং মন্তব্যের উত্তর।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
৩ নং মন্তব্যের পিছনে আসলে একটা কাহিনী আছে। ব্লগেরই সেটা। সে জন্যেই ওরকম মন্তব্য। আপনি হয়তো সেটা খেয়াল করেননি।

১৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

তরিকুল ইসলাম দিপু বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন...

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:২৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ধন্যবাদ। :)

১৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

সুভ্র দেব কুন্ডু বলেছেন: পোষ্ট পড়ে ভালো লেগেছে

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.