নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতদিন লেখার ক্ষমতা থাকবে ততদিনই লিখব, একটুও বেশি না

বঙ্গতনয়

ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।

বঙ্গতনয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীকে কেন রমণ করা হবে? আগেই বলে নিই “আমি ঘোর আস্তিক”

০৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩


চুম্বক অংশ " (ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখা যায় বাবা আর মেয়ে চ্যাট করছে ভুয়া নামে...এই মেয়ে কি কোনোদিন তার বাবাকে শ্রদ্ধা করতে পারবে?
আমি কি শুধুই একটুকরো মাংস যে শিশুসন্তানের মত সবাই গিলে খেতে চায়।
সবা’র একই অভিব্যক্তি আহ! মালরে একখান।
ইদানিং বাবা কতৃক মেয়েকে ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটছে। এগুলো বিকৃত চটি ও পর্নগ্রাফীর কুফল। )

রমণ শব্দের থেকেই তো রমণী তাই না! তার মানে যাকে রমণ করতে হয়। রমণ শব্দের অর্থ যা দাঁড়ায় তা খাটি বাংলা অর্থাৎ প্রচলিত কথা 'চ' বর্গীয় ধ্বণির সাথে 'দ' বর্গীয় ধ্বণির মিলনে তৈরি। ওহ! আবার মিলন শব্দটি এসে গেল, হ্যা নারী-পুরুষের দৈহিক মিলনের এক কথায় প্রকাশ হল রমণ। তবে অন্য অর্থও আছে রমণ অর্থ পতি। যদিও সমাজের দিকে তাকালে নারী পতি না পাতি তা আমরা সকলেই বুঝি। আশা করি বুঝতে বাকী নেই লেখকের অভিপ্রায় কী!
আসল কথায় ফিরে আসি। নারীকে কেন রমণ করা হবে? উত্তর আসে “সৃষ্টিগত ব্যাপার সাপার এ নিয়ে কথা বললে বিশ্বাস নড়বড়ে হয়ে যাবে, শালা কাফের হয়ে যাবি!” বিশ্বাস যদি এত দুর্বল হয় যে সামান্য ব্যাপারেই এদিক সেদিক হয়ে যায় তাহলে তো কিছু করার নেই বাপু! কথা যে আমাকে বলতেই হবে! আগেই বলে নিই “আমি ঘোর আস্তিক”।

টেবিলে ফিরে আসি। নারী নিয়ে বহু কথাই লেখা হয়। হয় সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সভা, সমিতি। আছে মহিলা পরিষদ হেন তেন। এ পর্যন্ত সেই বেগম রোকেয়া থেকে শুরু করে আজ অবধি কম তো দেখলাম না কিন্তু কাজের কাজ কই? সবই এক কথা সেই থোড় বড়ি খাড়া খাড়া বড়ি থোড়। বিচার মানি কিন্তু তালগাছ কিন্তু আমার, ইত্যাদি প্রকারে চলছে নারীর জীবন।
নারীকে কেন তার অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে হয়? সমাজে মাত্র তিন শ্রেণীর মানুষ বাস করে নারী, পুরুষ, আর মধ্যবর্তী লিঙ্গ (হিজড়া শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না অবহেলা করা হয়)। মধ্যবর্তীরা সংখ্যালঘু এবং অবহেলিত, তাই সমাজে নারীর বিরুদ্ধে দাঁড়ায় যারা তারা সবাই পুরুষ।
পুরুষ মানে আমার বাবা, ভাই, স্বামী, সন্তান, দেবর, ভাসুর আর বলতে চাই না। তার মানে সবাই আমার পরিবারের মানুষ রক্তের সম্পর্কের অথবা বৈবাহিক সূত্রে জড়িত। তাহলে তারা কেন আমাকে বঞ্চিত করবে? আমাকে কেন আমার বাবা, স্বামী ভাই এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে হবে?
আমি কি মানুষ নই? আমি কি শুধুই রমণীয়? আমি কি শুধুই একটুকরো মাংস যে শিশুসন্তানের মুখে ভরা স্তনের মত সবাই গিলে খেতে চায়। আমার ব্যাপারে সবা’র একই অভিব্যক্তি "আহ! মাল একখান রে! অথচ তার মত বয়সী বাবা অথবা ভাই আছে আমার ঘরে, অথবা তার নিজের ঘরেও হয়ত আমার মত কেউ না কেউ আছেই। তাহলে পুরুষ মাত্রই কেন এমন হবে?
কেউ বা বলে নারী ঘরে বসে থাকবে পটের বিবি হয়ে, অথবা বস্তাবন্দী হয়ে বাইরে বেরোলেই হয় কেউ তো টিটিকিরি দেয়না। কথা কি এখানেই শেষ?

আমি দেখেছি বোরকাওয়ালীদের দিকেও কেউ কম তাকায় না।

কথা হল আমাদের মানসিকতা। আমাদের পারিবারিক শিক্ষার অভাব। মা তার সন্তানকে যে স্নেহ মমতা দিয়ে বড় করেন সেই মা’ই পারেন তাকে খোলাখুলি ভাবে শিক্ষা দিতে। নারী-পুরুষের যে স্বাভাবিক সম্পর্ক এ ব্যাপারে আলোচনা করা ট্যাবু। আমি সেক্স এডুকেশনের কথা বলছিনা বলছি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জায়গা তৈরি করার কথা।

হ্যা! নারীর উচিত তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বুঝা যায় এমন পোষাক (হাত-মুখ খোলা রেখে) পরিধান করে বাইরে না যাওয়া। কারণ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে নারীর প্রত্যেকটি অঙ্গ অত্যন্ত আকর্ষণীয় (১২-৫০ বছর পর্যন্ত) ও স্পর্শ কাতর, যা যেকোনো পুরুষের দৃষ্টিসীমায় আসলে খুব কম সংখ্যক পুরুষই পারে চোখকে সংযত রাখতে। বরং আমি তো দেখেছি খোলামেলা পোষাকের নারী হেটে গেলে রাস্তার ছেলে-বুড়ো সবাই হা করে তাকিয়ে থাকে।
আকর্ষণটা সৃষ্টিগত ব্যাপার। এ ব্যাপারে যে শুধু নারীকে ঢেকে রাখলেই হবে তা নয় বরং পুরুষকেও আত্মনিয়ন্ত্রণহীন হওয়া যাবে না। মানুষের মন চায় ঘুষ খেতে তাই বলে কি টাকা পুড়িয়ে ফেলতে হবে? না, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আবার ঘুষদাতাকেও ভাল করতে হবে।
ইদানিং বাবা কতৃক মেয়েকে ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটছে। এগুলো বিকৃত চটি ও পর্নগ্রাফীর কুফল।
ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখা যায় বাবা আর মেয়ে চ্যাট করছে ভুয়া নামে, এক পর্যায়ে যখন পরস্পরকে চিনে ফেলে তখন লজ্জায় একে অপরকে মুখ দেখাতে পারে না। এই মেয়ে কি কোনোদিন তার বাবাকে শ্রদ্ধা করতে পারবে? এখানেও কি আপনি মেয়েটির দোষ খুঁজে পেয়েছেন? টিএসসির ঘটনায় তিনপক্ষই দোষী আইনশৃংখলার ঢিলেমী, নারী-পুরুষের হাটবাজার, সেই সব বখে যাওয়া তরুণ যারা মা-বোনকে শ্রদ্ধা করতে শেখেনি। সকল পক্ষ থেকেই সংযমী হতে হবে। উস্কানীমূলক কথা না বলে ভদ্রোচিত জবাব দিতে হবে। আমার যা ইচ্ছে পরব তাতে তোমাদের কি? নাহ! মা তোমাদেরকে আমি মা বলে শ্রদ্ধা করি, বোন বলে শ্রদ্ধা করি। অতএব সেস্থান থেকে তোমাকে নিরাপত্তা দেয়া আমার দায়িত্ব।
অতএব তুমিও শালীন হও ওরাও ভালো হোক। আজ এ পর্যন্তই।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

লেখোয়াড়. বলেছেন:
++++++++++++

২| ০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: অতএব তুমিও শালীন হও ওরাও ভালো হোক।++


অনেক ভাল লিখেছেন।

৩| ০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

বুয়েটিয়ান বলেছেন: ভালো লিখেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.