নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতদিন লেখার ক্ষমতা থাকবে ততদিনই লিখব, একটুও বেশি না

বঙ্গতনয়

ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।

বঙ্গতনয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বামী শব্দটির মধ্য থেকে সর্বদা কর্তৃত্বের গন্ধ আসে

১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

স্বামীরা কি চিরকাল স্বামী থেকে যাবে? বন্ধু হতে পারবে না?


মনিব, মালিক, জমিদার,প্রভু, পতি, নাথ, ইত্যাদি স্বামী শব্দেরই প্রতিশব্দ নয় কি? আপনি বিয়ে করছেন স্বামিত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে, হয়ত পারবেন কিন্তু কখনোই সেই সত্ত্বাটির ভালবাসার মানুষ হতে পারবেন না।
আপনার বিয়োগে সে চোখের জল ফেলবে তবে ভালবাসায় নয় আশ্রয়হীন হওয়ার ভয়ে। (বিধবাদের কথা না হয় আরেকদিন বলি!) স্বামী শব্দের সাথে শ্রদ্ধা,ভয়, অথবা ভয় মিশ্রিত শ্রদ্ধা থাকতে পারে ভালবাসা নয়। আবার স্বামী তার নিচের দিকে শাসন অথবা বড়জোর স্নেহের দৃষ্টি দিতে পারেন যেটিকে ভালবাসা বলা চলেনা।
আপনি হয়ত বলবেন এটাই তো পৃথিবীর শুরু থেকে হয়ে আসছে আজ পর্যন্ত কোথাও তো কেউ প্রতিবাদ করেনি। দুজন তো দিব্যি সংসার করে সুখে আছে।
আমি মানি না। যে সম্পর্কের মধ্যে সারাটা জীবন একজনের ইচ্ছা-অনিচ্ছার কাছে সম্পূর্ণ ভিন্ন অস্থি-মজ্জা-সত্তার আরেকজনের ইচ্ছাকে নির্দ্বিধায় জলাঞ্জলি দিতে হয় সেই সম্পর্ককে ভৃত্য-মনিব সম্পর্কের বেশি বলতে পারিনা।

প্রাচীনকালে জীবনসঙ্গীকে স্বামী প্রতিশব্দ দিয়ে বুঝানো হত এজন্য যে একেক জন রাজা, বাদশা
জমিদারের রাজ্যের প্রজা যেমন অগণিত ছিল, তেমনি স্ত্রীর সংখ্যাও ছিল অনির্দিষ্ট, তাই তাদের সাথে রাজাদের সম্পর্ক ছিল প্রজাদের মত। এজন্যই স্বামী শব্দের ব্যবহার যথার্থ ছিল। এটা আর যাই হোক একজন মুসলিম হিসেবে আমি সমর্থন করতে পারিনা, যেখানে একজন নারীকে আরেকজনের পোশাকের সাথে তুলনা করা হয়েছে। (Al Quran 2:187) এমন সম্পর্ক না হলে তারা স্বামী-ভৃত্য হবেন বটে আদৌ বন্ধু হতে পারেন না।
সেক্যুলারিজমের উদ্ভবের পিছনে যেমন ইহুদি, খ্রিষ্টান ধর্মগুরুদের ধর্মের নামে অত্যাচারের ইতিহাস রয়েছে ঠিক একইভাবে ধর্মকে অপব্যাখ্যা করে নারীর উপর যুগ যুগ ধরে চলে এসেছে স্বামিত্ব খাটানোর অপচেষ্টা। যার ফলশ্রুতিতে নারীর চোখে পুরুষজাতি ঘৃণার বস্তুতে পরিণত হচ্ছে।
স্বামির পিটুনির চোটে স্ত্রী স্বামীকে বাবা বলে ডেকেছে এমন উদাহরণ অহরহ।
এই কি মানবতা? যে ঘরে বাইরে গাধার মত খাটবে আবার মারও খাবে এ কি মগের মুল্লুক নাকি?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২৯

প্রামানিক বলেছেন: স্বামির পিটুনির চোটে স্ত্রী স্বামীকে বাবা বলে ডেকেছে এমন উদাহরণ অহরহ।

একটা সময় আসে তখন প্রত্যেকটা স্বামী স্ত্রীর মুখাপেক্ষি হয় এবং স্ত্রীরাও স্বামীর মুখাপেক্ষি হয়। বৃদ্ধ বয়সে নিজের সন্তানরাও কাছে আসে না তখন স্বামীর বিপদে স্ত্রী এবং স্ত্রীর বিপদে স্বামীকে এগিয়ে আসতে হয়। যে সমস্ত স্বামী স্ত্রীকে পিটিয়ে বাপ ডাকায় তাদেরকেও দেখেছি শেষ বয়সে স্ত্রীর উপর নির্ভরশীল হতে।

ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.