নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতদিন লেখার ক্ষমতা থাকবে ততদিনই লিখব, একটুও বেশি না

বঙ্গতনয়

ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।

বঙ্গতনয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে সমাজে মেয়েরা বিয়ে করতে পারেনা, তারা ম্যারিটাল রেইপড হয়

০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১:৫৯

" প্রথম রাতেই অনেক স্বামী হামলে পড়েন সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি মেয়ের উপর। দুটি শরীর হাজারো বার মিশে একাকার হয় কিন্তু মন থাকে যোজন যোজন দূরে। বছর বছর ঘরের বালিশ বাড়তে থাকে।
মেয়েরা বিয়ে করতে পারেনা
তাদের বিয়ে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাকে কেউ জিজ্ঞেস করেনা বিয়েতে তার মত আছে কি না, ছেলে পছন্দ কি না। কেউ যদি মুখ ফুটে বলেও ফেলে তাহলে তাকে বলা হয় বেহায়া। মেয়েদের আবার পছন্দ অপছন্দ কি? সে নিজের ভালমন্দের কি বোঝে? আমরা বাবা-মা কি সন্তানের খারাপ চাই? ইত্যাদি অযৌক্তিক দায়সারা জবাব দিয়ে পার পেতে চান তারা।
অথচ ছেলেদের কখনোই বিয়ে হয় না।

কারণ তারা নিজেরাই বিয়ে করে। কোনো মেয়ে যদি কোনো ছেলেকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় তাহলে সবাই ধরে নেয় মেয়েটা চরম বেহায়া। অথচ আমরা জানি, এক মহিলা সাহাবী নিজেই রাসুল সাঃ এর সামনে গিয়ে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। এই বিষয়ের উপর বুখারী শরীফে একটি অধ্যায়ও রয়েছে।

বিয়েতে মেয়ের মত না নেয়ায় কত হাজার সংসারে অশান্তির আগুন জ্বলে ওঠে তা চারদিকে একটু চোখ বুলালেই দেখতে পাবেন আপনি। এমনকি হতে পারে আপনার নিজেরই পরিবার, প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজনদের মধ্যেও এমন রয়েছে।

বাবারা নিজেদের স্ট্যাটাসের দিকে তাকিয়ে মেয়েদের পছন্দকে বলি দেন। আর মায়েরা মেয়ের দুঃখ বুঝেও স্বামীর ভয়ে কিছু বলতে পারেন না। তাদেরও মত নেয়ার দরকার হয় না কারণ তারাও মেয়ে।

এখনো এমন হয় যে বাসর রাতেই দুজনের প্রথম সরাসরি দেখা বা কথা হয়। প্রথম রাতেই অনেক স্বামী হামলে পড়েন সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি মেয়ের উপর। কেউ কাউকে না চিনল না জানল। এভাবে বছরের পর বছর দুটি শরীর হাজারো বার মিশে একাকার হয় কিন্তু মন থাকে যোজন যোজন দূরে। কেউ কাউকে জানার সুযোগ পায় না। বছর বছর ঘরের বালিশ বাড়তে থাকে।

মেয়েটি তার শরীরের শক্তি শেষ করে তেলাপিয়া মাছের মত মাথাটা দিনদিন মোটা আর শরীরটা চিকন করতে থাকে।
মেয়েটি জানেনা ভালবাসা কি জিনিস। তার স্বামী তাকে ভালবাসে কি না। অথবা সেও তার স্বামীকে ভালবাসে কি না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয় মেয়ের চেয়ে স্বামী পাঁচ, দশ, পনের এমন কি বিশ পচিশ বছরের বিপত্মীক বা সপত্নীক ব্যাটাও থাকে। পার্বতীর স্বামীর মত। তার পক্ষে কেউ নেই। না বাবা, না ভাই না বন্ধু।

সবাই ভাবে তার আবার ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছা কি? স্বামীর সেবা করবে, সোজা স্বর্গে যাবে। তা যেতেও পারে। কিন্তু এই অসম সম্পর্কের কর্তা স্বামী যে জুলুম করার কারণে নরকে যাবেন তা কি ভেবে দেখেছেন?

মুখের উপর কাদা ছোড়ার অভ্যাসের কারণে অনেকেই আমাকে নারীবাদী বলে গালি দেন। আসলে এতে আমি মোটেও কষ্ট পাই না। আরে ভাই! ধর্মের দোহাই দেন কেন? ধর্মে নারীদের ব্যাপারে যা বলা হয়েছে তা কি একবার পড়ে দেখেছেন? মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া যাবে না। হাদীস খুলে দেখুন। মেয়ে জন্ম হলেই মন খারাপ হয় না? অথচ রাসুল সাঃ বলেছেন মেয়েদের লালন পালন করলে জান্নাতে যাওয়ার সহজ সুযোগ রয়েছে। কারণ নারীবাদী আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ নিজেই। রাসুল সাঃ ও প্রচণ্ড রকমের নারীবাদি ছিলেন। অথচ আমরা ইসলামের শিক্ষাকে বিকৃত করে নিজেদের সুবিধামত ব্যবহার করছি।

ইসলামই নারীদেরকে সবচেয়ে সম্মানিত স্থানে দাড় করিয়েছে যা ইসলামের উৎস, ইতিহাস দেখলে বুঝা যায়। অথচ বর্তমানে ইসলামপন্থীরা সে অবস্থান থেকে সরে এসে নিজেদের মনগড়া শরীয়ত তৈরি করে নারীদের উপর জুলুম নির্যাতনের যে পরাকাষ্ঠা চাপিয়ে দিয়েছে তাতে ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠীগুলি তাদের সমালোচনা করার এই সুযোগ লুফে নিয়েছে। ফলে তারা ইসলামকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে বিশ্বে উপস্থাপন করছে। এর সমাপ্তি হওয়া দরকার।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ৭:০৫

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: বিয়ে পরবর্তি ধর্ষণ নিয়ে ভারতে ইদানিং খুব কথা হচ্ছিল। আসলে এই ব্যপারটা আইন দিয়ে থামানো যাবেনা পুরোপুরিভাবে। এটা বরং ধর্মীয় সচেতনতা, পারিবারিক ও সামাজিক শিক্ষার উপরেই বেশি নির্ভর করে। আর আমাদের দেশে অনেক ব্যপারেই জোড় খাটানো হয়। আমাদের মধ্যে অনেকেরই মেয়েদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে আপত্তি করি। কিংবা ভালোটা দিতে চাইনা।

সাহসী লেখা। শুভকামনা রইল।

০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

বঙ্গতনয় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! আসলেই আইন করে কোনো কিছুই বন্ধ করা যায় না। আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ পারিবারিক ভাবে বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত করা যে মেয়েরাও মানুষ। প্রত্যেকে তার মা, স্ত্রী, বোন, ভাবী প্রমুখদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা ও অগ্রাধিকার দেখানোর অভ্যাস করতে পারলে সমাজ পরিবর্তিত হয়ে যাবে আশা করা যায়। বিয়ের সময় অবশ্যই মেয়ের মতামত জেনে নিবেন যদি লাভ ম্যারেজ না হয়।

২| ০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ৮:২৭

হুজাইফা আহমাদ বলেছেন: বেশ সময় উপযোগী লেখা। আসল ব্যাপারগুলোকে পাস কাটিয়ে আসলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। সমাজপতিরা যত তাড়াতাড়ি এই বিষয়টি উপলব্ধি করবেন ততই মঙ্গল।

BTW আমাদের নতুন প্রকাশিত একটি অনলাইন ম্যাগাজিন ( মুক্ত ডট নেটে ) এ আপনাকে লেখার আমন্ত্রণ রইল। আগ্রহী হলে জানাবেন :)

০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

বঙ্গতনয় বলেছেন: সমাজপতিরা তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য হয় কাজ নয় করতেও পিছপা হয় না। তাই তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলে লাভ হবে না ভাই। যা করার তরুণদেরকেই করতে হবে। । আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ পারিবারিক ভাবে বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত করা যে মেয়েরাও মানুষ। প্রত্যেকে তার মা, স্ত্রী, বোন, ভাবী প্রমুখদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা ও অগ্রাধিকার দেখানোর অভ্যাস করতে পারলে সমাজ পরিবর্তিত হয়ে যাবে আশা করা যায়। বিয়ের সময় অবশ্যই মেয়ের মতামত জেনে নিবেন যদি লাভ ম্যারেজ না হয়। ধন্যবাদ

৩| ০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪

নতুন বলেছেন: আসল সত্য কেউ জানতে চায়না.....

আবার অনেকেই সত্যকে নিজের মত মতন বানিয়ে নিতে চায়..

বিষয়টি নিয়ে সবারই ভাবা উচিত...

০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১০:১৮

বঙ্গতনয় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!
আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ পারিবারিক ভাবে বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত করা যে মেয়েরাও মানুষ। প্রত্যেকে তার মা, স্ত্রী, বোন, ভাবী প্রমুখদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা ও অগ্রাধিকার দেখানোর অভ্যাস করতে পারলে সমাজ পরিবর্তিত হয়ে যাবে আশা করা যায়। বিয়ের সময় অবশ্যই মেয়ের মতামত জেনে নিবেন যদি লাভ ম্যারেজ না হয়। আসলেই বিষয়টি নিয়ে আমাদের শুধু ভাবলেই চলবেনা কাজ শুরু করতে হবে

৪| ০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০৭

ধ্রুব অন্যকোথাও বলেছেন: ভালো লাগলো

০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১০:১৯

বঙ্গতনয় বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন, ভাল রাখবেন

৫| ০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: শুধু মুখে বললে হবে না, ইসলামের র্নিেশের কথা। কাজে প্রমাণ করে দেখাতে হবে। এ বিষয়ে আমার ভাইদেরকে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। ধন্যবাদঅ।

০১ লা জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

বঙ্গতনয় বলেছেন: হা বোন! কাজেই প্রমাণ করতে হবে যে আমরা মানুষ না পশু। সকল ধর্মের উর্ধ্বে মানব ধর্ম। যা কিছু ভাল সে ই ধর্ম। অতএব সবাই যদি নারীর প্রতি সদাচারণ করে তবেই আমরা মানুষ হিসেবে গণ্য হব। ধন্যবাদ

৬| ০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

সুলতানা রহমান বলেছেন: খুবই ভাল লেগেছে।

০১ লা জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

বঙ্গতনয় বলেছেন: ভাল লেগেছে, অর্থাৎ সামান্য হলেও কোনো নারীকে আনন্দ দিতে পেরেছি জেনে খুব খুশি হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৭| ০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: মুখের উপর কাদা ছোড়ার অভ্যাসের কারণে অনেকেই আমাকে নারীবাদী বলে গালি দেন।
আমার মনে হয় নারী নিয়ে বাড়াবাড়ি করলেই লোকে নারীবাদী ট্যাগ দেয়। আপনিতো বাড়াবাড়ি করেন নাই ভাই। ন্যায্য কথা বলেছেন। নারী নিয়ে আমাদের শিক্ষিত-অশিক্ষিত দুই সমাজেরই কেমন মনোভাব তা শুধু যে কোন বাসে উঠলেই দেখা যায়। (হাতে গোণা কয়েকটি রুট বাদে)। আর যে বিষটি নিয়ে বলেছেন সে বিষয়টি নিয়ে সবারই ভাবা উচিত। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

০১ লা জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

বঙ্গতনয় বলেছেন: অনেক বলার থাকে কিন্তু বলতে পারিনা তারই সামান্য কিছু কথা লিখে মনঃকষ্ট দূর করার প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। যদিও পৃথিবীতে নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে বলে দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু আসলেই তাদেরকে ব্যবহার করা ছাড়া আর কিছুই উদ্দেশ্য নয়।
কবে যে এ শোষক সমাজ ভালবাসায় ভরে উঠবে দেখতে পারব কি না মনে শুধুই প্রশ্ন জাগে। আপনাকে ধন্যবাদ

৮| ০১ লা জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: সারা বিশের সেরা পণ্য হইতেছে নারী। আমাদের দেশ না, পশ্চিমা বিশেও ঠিক তাই। কেবল স্টাইল হয়তো কিছুটা ভিন্ন। নিজের ভেতরে মানবিকবোধগুলো জেগে না উঠলে কোনকিছুতেই লাভ নাই। আদিকাল থেকে চলতেছে, চলতেই থাকবে।

০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

বঙ্গতনয় বলেছেন: হ্যা। অবশ্যই। আগে নারীদেরকে সচেতন হতে হবে। সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তো অবশ্যই। আর অবশ্যই বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের সুযোগ দেয়া যাবে না। তাহলে সে আজ আপনাকে খাবে তো পরদিন আপনাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে আরেকজনের দেহে বাসা বাঁধবে। যাই হোক, সচেতন হওয়ার জন্য ধন্যবাদ

৯| ০১ লা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

কাজী রায়হান বলেছেন: সাহসী টপিক । লিখে যান । সমাজের সকল ধরনের সচেতনতা নিয়েই আওয়াজ তুলতে হবে ।

০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

বঙ্গতনয় বলেছেন: ধন্যবাদ। যে যাই বলুক আপনাদের মত অনুপ্রেরণা যোগানোর ভাই-বোন থাকলে এ অধমের কলম থামায় সাধ্য কার? আমি ছোটবেলা থেকে যা কিছুর প্রত্যক্ষ সাক্ষী, এ লেখা তার একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। ধন্যবাদ

১০| ০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
আমি যতদূর জানি একজন মেয়ের নিজ বিয়েতে মতামত না থাকলে ঐ বিয়ে ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ হয় না। এবং পাত্র পছন্দের ক্ষেত্রেও উনার পছন্দ ভয়ানক রকমের জরুরি। আসলে সত্যি বলতে কি পাত্র যদি পছন্দই না হয় উনি বিয়েতে মত দিবেন কেন?? আমাদের সমাজে ইসলামী নিয়মের নামে অন্তত এই ব্যাপারে ভয়ানক বিকৃতি চলছে বলেই মনে হয়। আর হুজুররা কোন শরীয়া যে মানেন তাঁরাই জানেন!!

আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি। এক জোড়া মানুষে (স্বামী-স্ত্রীতে) মেয়ে মানুষটা ছেলে মানুষটাকে কতটা পছন্দ করে তার উপরেই সংসারের সুখ, সৌন্দর্য আর স্থায়িত্ব নির্ভর করে।

ভালবাসার বিজ্ঞান যতটুকু জানা যায় তাতে বুঝা যায় পুরুষের ভালোবাসা দিনে দিনে বাড়ে এবং এই ক্ষেত্রে শারীরীরক অনেক ব্যাপার সরাসরি জড়িত। আর নারীর ভালোবাসা ধাপে ধাপে বাড়ে, এখানে শরীরবৃত্তিয় ব্যাপার জড়িত কিন্তু এ্যবাস্ট্রাক্ট অনেক ব্যাপার এই ভালোবাসায় জড়িত এবং এই এ্যবাস্ট্রাক্ট ব্যাপার গুলো শারীরীক ব্যাপার গুলোকেও চরম ভাবে প্রভাবিত করে।

আপনার লেখাপড়ে ভালো লাগল।

০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

বঙ্গতনয় বলেছেন: আমি যতদূর জানি একজন মেয়ের নিজ বিয়েতে মতামত না থাকলে ঐ বিয়ে ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ হয় না। অবশ্যই। তবে অনুমতি বা সম্মতির ক্ষেত্রে কিছু ক্যাটাগরি আছে। আলোচনা করার সুযোগ না থাকায় দুঃখিত। আর আমাদের সমাজে যারা আলেম নামধারী তারা আসলে অধীত জ্ঞানের চেয়ে মাথায় ঢুকে থাকা গোড়ামীর উপরেই বেশি আমল করেন। আর আপনি ঠিক কথা ই বলেছেন- শারীরিক সম্পর্কের সাথে মানসিক সম্পর্কও অঙ্গা অঙ্গি ভাবে জড়িত। যাদের মধ্যে মানসিক মিল নেই অর্থাৎ একে অপরকে পছন্দ করে না তারা সেক্সুয়ালি কেউ কাউকে সন্তুষ্ট করতে পারেনা। একারণে দেখবেন অনেক পরিবার আছে যাদের মধ্যে কোনকিছুরই অভাব নেই কিন্তু তারা কারণে অকারণে প্রায়ই ঝগড়া করে থাকে। কারণ যে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে পারে না। সে স্ত্রী তার স্বামীকে মূল্য দেয় না। প্রায়ই অপমান করার চেষ্টা করে। ধন্যবাদ আপনাকে

১১| ০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ৯:০২

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

বঙ্গতনয় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। যাদের মেয়ে/বোন আছে এখনো বিয়ে দেন নি বা বয়স হয় নি তাদের উচিৎ বিষয়গুলি মাথায় রাখা।

১২| ০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪২

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: শুধু ইসলামপন্থী বললে ভুল হবে, আমার মতে বেশীর ভাগ বাঙালীরা মনে করে বিয়ের সময় মেয়েদের মতামত দিয়ে আর কি হবে।
বাবা মা বা আত্নীয়স্বজনের মতামতই হচ্ছে আসল মতামত, অথচ ইসলামে মেয়ে এবং ছেলের মতামত না নিয়ে বিয়ে করা অবৈধ কারণ বিয়ের পর ছেলে মেয়ে এক সাথে সংসার করে বাবা-মা বা আত্নীয় স্বজন নন।

০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

বঙ্গতনয় বলেছেন: আমি ইসলামপন্থীদের নিয়ে বললাম কারণ আমি নিজেকে একজন মুসলিম হিসেবে দাবি করি। হাদীসে আছে বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি যে নিজের সমালোচনা করে। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই আমি ধর্মকে অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে লিখছি। অন্য ধর্ম নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই এজন্যই যে আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত জীবনব্যবস্থা হল ইসলাম। সুতরাং অন্যান্য ধর্মের মধ্যে ত্রুটি থাকতেই পারে। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা যদি তাদের ধর্মের মহান শিক্ষাকে খাতা কলমে আটকে না রেখে অনুশীলন শুরু করে তাহলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা এমনিতেই আমাদের পছন্দ করবে। চাইলে মুসলিম ও হতে পারে। আর প্রত্যেক বাবা-মা এবং যেখানে বড় ভাই আছে তাদের উচিৎ বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই মেয়েদের পূর্ণ অনুমতি নেয়া। ধন্যবাদ ভাই

১৩| ০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

শাহেদ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: লেখাটা ভাল লিখেছেন,তবে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়,শুধু কি মুসলিমরাই নারীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের বিয়ে দেয়!?ব্যাপারটা সামগ্রিক হওয়া উচিত,কোন ধর্মভিত্তিক নয়।উপমহাদেশের ইতিহাস কিন্তু তেমনই স্বাক্ষ্য দেয়।ধন্যবাদ

০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

বঙ্গতনয় বলেছেন: আমি ইসলামপন্থীদের নিয়ে বললাম কারণ আমি নিজেকে একজন মুসলিম হিসেবে দাবি করি। হাদীসে আছে বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি যে নিজের সমালোচনা করে। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই আমি ধর্মকে অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে লিখছি। অন্য ধর্ম নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই এজন্যই যে আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত জীবনব্যবস্থা হল ইসলাম। সুতরাং অন্যান্য ধর্মের মধ্যে ত্রুটি থাকতেই পারে। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা যদি তাদের ধর্মের মহান শিক্ষাকে খাতা কলমে আটকে না রেখে অনুশীলন শুরু করে তাহলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা এমনিতেই আমাদের পছন্দ করবে। চাইলে মুসলিম ও হতে পারে। আর প্রত্যেক বাবা-মা এবং যেখানে বড় ভাই আছে তাদের উচিৎ বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই মেয়েদের পূর্ণ অনুমতি নেয়া। আরব মেয়েরা কিন্তু মোহরানার টাকা না নিয়ে স্বামীকে গায়ে হাত দিতে দেয় না। কিন্তু আমাদের দেশে আমরা হিন্দুদের মত যৌতুক নিয়ে বিয়ে করার অভ্যাস করে ফেলেছি। আমার মতে যৌতুক চেয়ে নেয়া আর কুকুরের মাংস খাওয়া সমান কথা। একজন নারীর কোনো দাম নেই তাই তাকে ভর্তুকি দিয়ে বিয়ে দিতে হবে? ধন্যবাদ ভাই

১৪| ০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

আরজু পনি বলেছেন:

খুবই যুক্তিযুক্ত রেখা এবং প্রাসঙ্গিক ছবি ।

নারীদের নিয়ে শুধু বাড়াবাড়ি নয়...তাদের অধিকার নিয়ে কথা বললেই "নারীবাদী" ট্যাগ খেতে হয় ।

লিখতে থাকুন এমন সচেতনতামূলক লেখা অনেক শুভকামনা রইল ।

০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ১২:০২

বঙ্গতনয় বলেছেন: ধন্যবাদ । আমি মানুষ রূপী পশুদের নিয়ে ব্যপক বিতৃষ্ণ হয়ে গেছি। আমি লিখতেই থাকব। আপনাদের উৎসাহ আমার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিল । আবারো ধন্যবাদ।

১৫| ০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

আরজু পনি বলেছেন:

খুবই যুক্তিযুক্ত লেখা এবং প্রাসঙ্গিক ছবি ।

নারীদের নিয়ে শুধু বাড়াবাড়ি নয়...তাদের অধিকার নিয়ে কথা বললেই "নারীবাদী" ট্যাগ খেতে হয় ।

লিখতে থাকুন এমন সচেতনতামূলক লেখা অনেক শুভকামনা রইল ।

০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ১২:০৫

বঙ্গতনয় বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬| ০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪০

সাজ্জাদ দীপ্ত বলেছেন: ভাই এফবি তে কি পোস্ট করার অনুমতি পাওয়া যাবে??? :)

০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ১২:০৬

বঙ্গতনয় বলেছেন: অবশ্যই। যতবেশি প্রচার করতে পারেন করুন। এই অসঙ্গতির বিরুদ্ধে আমাদেরকে দাড়াতে হবেই। ধন্যবাদ ভাই

১৭| ০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

আলফ্রেড বি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন|পুরোপুরি একমত|

০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ১:২৪

বঙ্গতনয় বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৮| ০২ রা জুন, ২০১৫ সকাল ৮:৪৯

মস্টার মাইন্ড বলেছেন: জন সচেতনতার বিকল্প নেই...

১৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

ভাষাচয়ন বলেছেন: আপনি লিখেছেন - "অন্য ধর্ম নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই এজন্যই যে আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত জীবনব্যবস্থা হল ইসলামঅন্য ধর্ম নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই এজন্যই যে আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত জীবনব্যবস্থা হল ইসলাম"| কোথা থেকে এসমস্ত অন্ধ বিশ্বাস আসে ? জানেন কি যে নবীজির যৌন দাসী ছিল ? উনিতো একটা বাচ্চা মেয়েকে বিবাহ করেছিলেন । ধর্মের উর্ধে না গেলে এসমস্ত দোষ ঠিক করতে পারবেন না ।

২০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: @ভাষাচয়ন। আপনি যে পাঁঠার বংশজাত অথবা গোবৎস তাহা বোঝা যাইতেছে ! না হইলে আপনার নোংরা মগজ নবীজি (স) রে নিয়া কুৎসা বাহির করিত না !

ভাইজান ! যদি ভুল বুঝিয়া না থাকি আপনি মেয়েদের অনুমতি ছাড়া বিবাহ কে ধর্ষণের সাথে তুলনা করিতেছেন !

তাহা হইলে কহিতে হয় আমাদের পূর্বপুরুষ সবাই ধর্ষকই ছিল। কারণ , তখন অভিভাবকের মতামতে বিবাহ করাই চল ছিল !
আপনার কথামতো রবীন্দ্রনাথ , সর্বজন শ্রদ্ধেয় বঙ্গবন্ধু আপনার, আমার অধিকাংশের দাদা , এমনকি এখনো অনেকেই ধর্ষণ করিতেছে , করিয়াছে !
মেয়েদের এজিন নিতে হইবে সন্দেহ নাই , তবে অভিভাবকদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ তাহা কেন বলিতেসেন না ! আর যতটা ভয়াবহভাবে কহিতেছেন বাস্তব এতো ভয়াবহ নহে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.