নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিনা অনুমতিতে কিংবা লেখকের নাম বিহিন লেখা কপি করবেননা
নিউজ চ্যানেল এ নিজের নাম সবার প্রথমেই দেখে কেমন লাগছে এটা এখন শুধু আমিই বলতে পারবো। আমার বয়স ভিত্তিক হিউম্যান এলিমিনেশন প্রোগ্রাম অবশেষে সরকার গ্রহণ করেছে। যার দারা নির্দিষ্ট বয়সের মানুষ গুলোকে এক সাথে মেরে ফেলা যাবে। এখন আমি পৃথিবীর সব থেকে বেশী আলোচিত ব্যক্তি। আমার দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টা এবার সফল হলো। এখন শুধু সরকারের কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ার অপেক্ষা এবং আমার গোপন পরীক্ষা টা সফল হলেই হয়।
.
টেলিভিশন বন্ধ করে আমি ১৮সি নং রুমে ঢুকলাম। রক্তের স্যাম্পলের বোতল গুলোর উপর লেভেল লাগালাম, ১নং, ২নং, ৩নং, ৪নং। তারপর এ গুলোর উপর তারিখ বসিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য আলাদা একটা শেল্ফে নিয়ে রেখে দিলাম। আমি জানি আমি আমার আমার গবেষণার ফল খুব জলদি পাবো। লিসার রক্ত থেকে কি করে মেয়েটি গোপন শক্তি পাচ্ছে এবং এতদিন বেঁচে আছে, এগুলো জানা রক্তের স্যাম্পল গুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানোর পরে শুধু সময়ের ব্যাপার।
.
কে যেন দরজায় নক করলো।
.
আমি রক্তের স্যাম্পল গুলো ড্রয়ারে তালা মেরে রেখে বললাম "ভীতরে আসো"। দেখলাম আমার সহকারী জ্যাকলিন ভীতরে ঢুকল আমার মেইল বক্স নিয়ে। বক্স টা আমার সামনের টেবিলে রাখতে রাখতে বলল "স্যার, আপনার গার্ড রা তো অতিষ্ঠ করে ফেলছে।" আমি ওর দিকে শক্ত হয়ে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম "এবং কেন অতিষ্ঠ হচ্ছে শুনি?"
.
"আপনি তো জানেন আমাদের পৃথিবী বসবাসের জন্য দিন দিন অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। যার জন্য সরকার মঙ্গল গ্রহে গিয়ে বসবাস এর ব্যবস্থা করেছে কিন্তু পৃথিবীর জনসংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত বেশী এবং এত মানুষ মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনসংখ্যা কমানোর। যার জন্য ভাইরাস আপনি নিজেই তৈরি করেছেন এবং যখন থেকে সরকার হিউম্যান এলিমিনেশন প্রোগ্রাম শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন, তখন থেকে গার্ড রা ভাবছেন যেহেতু তারা আপনার সাথে সম্পর্কিত, তারা চাইছে আপনি যদি আপনার আবিষ্কার সফল হন তাহলে শুধু তাদের কেই আপনি অমরত্ব দিবেন।"
.
জ্যাকলিন এর কথা গুলো আমার কাছে পাগলের প্রলাপের মত লাগছে কারণ যখন জনসংখ্যা হার মাত্রাতিরিক্ত স্থানে চলে যাবে, সরকার মেরে ফেলার জন্য প্রথম টার্গেট করবে ছোট বাচ্চা, কিশোর কিংবা বৃদ্ধদের। আমার মত বয়সী বা মধ্য বয়স্ক মানে যাদের বয়স ২০ থেকে ৪০ এর ভেতর এদের টার্গেট করার সম্ভাবনা একেবারে নাই ই বলা চলে।
.
আমি জ্যাকলিন কে বললাম " সরকার বা সামরিক বাহিনীর কেউ আমার এখানে অপারেশন এর ব্যাপারে জানে না।" আমি আমার সামনের ফাইল গুলোকে নিয়ে এক সাথে করে লোহার ডেস্ক এর ভিতর সোজা করে রাখলাম। তারপর আবার জ্যাকলিনকে বললাম "আর যদি আমি আমার উদ্দেশ্য সফল হই, তাও আমি আমার আবিষ্কারের কথা কাউকে জানাবো না। অবশ্য আমার গার্ডের প্রতি আমার হালকা পাতলা আগ্রহ আছে আমি নিজেও চাই তারাও আমার সাথে অমর হয়ে থাকুক।
.
এখন তুমি যেতে পারো এবং শুনো আজকের পর থেকে তোমার আর এখানে আসার দরকার নেই। এখন থেকে তোমাকে বরখাস্ত করা হলো। আর ভুলেও আমার বর্তমান পরীক্ষার কথা কাউকে জানানোর চেষ্টা করবে না। আর করলে এর ফল তো তুমি জানো" ও কি যেন বলতে চাচ্ছিল কিন্তু আমি ওকে বলতে না দিয়ে বের হয়ে যেতে বললাম এবং ও একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঘর থেকে বের হয়ে গেলো।
.
ও চলে যাওয়ার পরে আমি জ্যাকলিন এর আনা মেইল বক্স থেকে কলম নিয়ে আমার বুক পকেটে রাখলাম, তারপর খাবারের বিল এবং চারটা ক্রেডিট কার্ড। কিন্তু হঠাৎ আমার চোখে সরকারি স্ট্যাম্প লাগানো খাম চোখে পড়ল। সরকার নিশ্চয়ই আমাকে পুরষ্কার দেওয়ার জন্য ওয়ার্ল্ড হাউসে যাওয়ার ইনভাইটেশন পাঠিয়েছে। এই ইনভাইটেশন টির জন্য আমি গত এক মাস ধরে অপেক্ষা করছি।
.
আমি খাম টা খুললাম। চিঠি ভাজ খুলে চিঠিটা পড়লাম। চিঠির ঠিক ডান পাশে আমার নাম, আইডি কার্ড নাম্বার, জন্ম তারিখ এগুলো লাল কালিতে লেখা ছিল। কিন্তু আমার চোখ চিঠির প্রথম লেখা তে আটকে গেল। লাইন টা দেখে সাথে সাথে চিঠিটা আমার হাত থেকে পড়ে গেলো। শুধু একটি লাইন
.
ডঃ ফ্রাডি! আপনাকেই মৃত্যু দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
.
পুরষ্কার । তাসফিক হোসাইন রেইযা ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৮
ভবঘুরে যাত্রি বলেছেন: কারন ডঃ ফ্রাডি চাচ্ছিলো না কাওকে এটা যানাতে। এবং সেক্রেটারির প্রস্তাব শুনে ওর রাগ হচ্ছিলো।
আমি এগুলা ভেবেই সাজাইছিলাম ভাইয়া। যদিও গল্প লেখায় নতুন। তাই চেষ্টা কড়ছি আরকি পাশে থাকবেন সমলচনায় রাখবেন
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেষ ও বৃহত্তম পুরস্কার; সেক্রেটারীকে কেন বরখাস্ত করা হলো, প্লটে কিভাবে এই এ্যাকশন দরকার হলো?