নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেবু লিংক https://www.facebook.com/tashfic007

ভবঘুরে যাত্রি

বিনা অনুমতিতে কিংবা লেখকের নাম বিহিন লেখা কপি করবেননা

ভবঘুরে যাত্রি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্তখেকো

০১ লা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫



রোদ ঝিলমিল সকাল জামাল সাহেবের ভালই লাগে। রাস্তায় বের হয়ে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে নিজেকে বলল সারা রাত না ঘুমিয়ে প্রকৃতির আলিঙ্গন করার সাথে আর কিছুরই তুলনা করা যায় না। তার জায়গায় কোনো ১৫-২৩ বছরের মেয়ে থাকতো তাহলে সূর্য টাকে দেখেই হয়তো প্রথমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতো। সূর্য চুমু খেয়েছে/ sun kissed। অবশ্য আজকে তিনি আজ অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে বের হয়েছেন।
*
চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পড়ে সকালে হাঁটা তার রীতিমত অভ্যাস হয়ে গেছে। তার ৩ মেয়ে। বড়টার নাম শিলা মেঝর টার নাম আনিকা এবং ছোটটার নাম নীলা। শিলার নাম জামাল সাহেব নিজেই রেখেছেন মেঝটার নাম রেখেছেন তার স্ত্রী বেগম ফরিদা খাতুনের এক দূর সম্পর্কের কাকা। কাকা দুরের সম্পর্কের হলেও তখনকার সময় জামাল সাহেবের পরিবারের উপর কাকার প্রাধান্য অনেক বেশিই ছিল। যত যাই হোক স্ত্রীর বাড়ির আত্মীয় বলে কথা। আর জামাল সাহেবের নিজের আত্মীয় বলতে কেউ জীবিত ছিল না। দেশে যখন গণ্ডগোল লাগে রাজাকার বাহিনীর হাতে তার বাবা মা দুইজনই মারা যায়। সে তখন মুক্তি বাহিনীর সাথে চট্টগ্রামে ছিলেন। পাকিস্তানি বাহিনী তাদের বাসায় আসে জামাল সাহেব কে খুঁজতে। কিন্তু জামাল সাহেব কে পায় না। এবং তার বৃদ্ধ বাবা মা ও জামাল সাহেবের ঠিকানা বলতে রাজি হন না। তাই হয়তোবা জামাল সাহেব কে না পেয়ে তার বাবা মাকে হত্যা করে। যুদ্ধ থেমে যাওয়ার কয়েক বছর পরেই তার শিক্ষকের মেয়ে ফরিদার সাথে তার বিয়ে হয়। আর সেখান থেকেই ফরিদা বেগম তার একমাত্র পরিবার। নীলার নামটা রেখেছিলো তার বড় মেয়ে শিলা নিজেই। অবশ্য এখন তিন মেয়েই বিয়ে করে নিজেদের জামাইয়ের সাথে দেশের বাহিরে থাকে। আপাতত তার ঢাকায় একমাত্র সৌরভ বাদে পরিচিত আর কেউ নেই। সৌরভ তার ফ্ল্যাটে সাবলেট একটা রুম নিয়ে থাকে। দুইমাস হলো ছেলেটি এখানে এসেছে। আর এই দুই মাসেই জামাল সাহেবের সাথে সন্তানের মত মিলে গেছে। ও আসাতে ভালোই হয়েছে জামাল সাহেবের। টাকা পয়সার অভাব তেমন ছিল না। জামাল সাহেবের অভাব ছিল শুধু সঙ্গে। যতই দেশকে ভালোবাসার জন্য দেশে থাকা। কিন্তু তাও এই বয়সে একাকীত্বটা অনেক বেশি কষ্টদায়ক হয়ে দারায়। আর সাবলেট হিসাবে রাখার জন্য সৌরভ এর মত ভালো ছেলে পেয়ে তিনি সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলেন। ছেলেটির সাথে প্রথম দেখা হয় আহসান মঞ্জিলে ছেলেটি তার মত প্রতিদিন শেখানে হাটতে যেতেন। অমনি কম বয়সী ছেলেকে স্বাস্থ্য নিয়ে এত চিন্তিত দেখে জামাল সাহেবের ভালোই লাগে। ওর সাথে প্রতিদিনই কমবেশি কথা হয়। জামাল সাহেব কে দেখলে সালাম দিয়ে সম্মান দেখানো। ছেলেটির জামাল সাহেবের মত আপন বলতে ঢাকায় আর কেউ নেই। ছোট বেলায় বাবা মা মারা যায়। আজিমপুরে এক এতিম খানায় থেকে বড় হয় আর ওখান থেকেই লেখা পড়া শিখে। এখন ব্লাড ব্যাংকে চাকরি করে। আর ওই পরিচয় সূত্রতেই একদিন জামাল সাহেবকে সৌরভ বলল "আংকেল আপনি যেহেতু একা থাকেন। আর আমার এখানে আপন কেউ নেই। আমাকে যদি সাবলেট হিশাবে একটা রুম দিতেন আমারও ভালো হত। একজন বুজুর্গ লোকদের সান্নিধ্য পেতাম এবং আপনারও ভালো হোত অবসর সময় গল্প গল্প করতে পারেন।" সেই থেকেই থাকে সৌরভ জামাল সাহেবের সাথেই থাকতে আশে।
কিন্তু গতরাত। ডিনার টেবিলে বসে আছেন জামাল সাহেব। সৌরভ ও খানিক আগে সময় বাসায় এসেছে। ছেলেটিকে কাল কেন যেন একটু চিন্তিত মনে হচ্ছিলো। অবশ্য শুধু কালকে না কয়েকদিন ধরে এমন লাগছে।
*
কিছুক্ষণ পরেই সৌরভ জামাল সাহেবের সামনে চেয়ার টেনে নিয়ে বসলো।
-কিছু বলবে বাবা?
-জি একটা কথা অনেক দিন ধরে বলতে চাচ্ছি। কিন্তু বুঝতে পারছি না আপনি বিষয়টা কেমন ভাবে নিবেন।
-কিছু লাগবে? আর সংকোচ কর কেন তুমি তো আমার ছেলের মতনই তাই না? সউরব অনেক্ষন নীরব থেকে মুখ খুললো
-আংকেল আসলে আপনি আমার আসল পরিচয় জানেন না।
-কি পরিচয়? (জামাল সাহেবের কপালে ভাঁজ)
-আমি একজন ভ্যাম্পায়ার।
-কি যাতা ফাজলামো করছো? আমার সাথে ফারদার এমন ফাজলামো করবেনা। যাও ঘরে যাও।
-আংকেল এটা ফাজলামি না এটা সত্যি । আমি একজন ভ্যাম্পায়ার।
জামাল সাহেব এক প্রকার দোটানায় পড়েছে তার সামনে সৌরভ নামে যেই ছেলেটি বসে আছে তাকে দেখে মনে হয়না এমন মিথ্যা বলতে পাড়ে। তাও নিজেকে শক্ত রেখে মুখে তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে ওকে প্রশ্ন করলো?
-আচ্ছা বুঝতে পারছি তুমি ট্রান্সেলভেনিয়া কাউন্ট ড্রাকুলা। পুনর্জন্ম নিয়েছ। হাহা
-আংকেল আমি সত্যি ভ্যাম্পায়ার কিন্তু কাউন্ট ড্রাকুলা ছিল একটা গল্প আর বাস্তব ড্রাকুলা অনেকাংশেই আলাদা। লোকজ গল্পের মত ড্রাকুলা রাতের বেলা মানুষের রক্ত খেয়ে বেড়ায়। এবং দিনের বেলা সূর্যের আলোতে কফিনের ভিতর শুয়ে থাকে। এসব নিয়ে এখন তো অনেক মুভি এবং বইও দেখা যায়। আসলে মূলত পক্ষে আমরা তেমন না। আমাকে তো আপনি দেখেছেন আমি সব সময়ই দিব্যি ঘুরে বেড়াতে পারি।
-তাহলে তোমরা কি রক্ত খাওনা?
-রক্ত খাইনা বললে ভুল হবে। কিন্তু এখন আমাদের মানুষের ঘাড়ে কামর দিয়ে রক্ত খাওয়ার প্রয়োজন পরে না। আর আমরা পারত পক্ষে রক্ত খাইওনা। আর যখন দরকার পড়ে আমরা ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত কিনে আনি।
(সৌরভের কথা শুনে জামাল সাহেবের মনে হালকা ভয় সঞ্চয় হয়েছে। যা জামাল সাহেবের চেহারায় ফুটে উঠেছে। কিন্তু তাও উনি কথাগুলো বিশ্বাস করতে পারছেনা) আংকেল আপনি কি ভয় পাচ্ছেন?
-না মানে আমি শুনেছিলাম ঘাড়ে কামড় দেওয়ার মাধ্যমে ড্রাকুলার রক্ত খায় এবং এভাবে যার রক্ত খায় সেও ড্রাকুলা হয়ে যায়।
-একেবারে ভুল না কথাটা আসলে আমাদের বংশ বিস্তার অভাবে হয়। শুনুন আপনাকে তা হলে সব খুলে বলি। অনেকের ধারণা ড্রাকুলা একটি প্রাকৃতিক জাতি কিন্তু তা ভুল। বিশ্বজয়ী চেঙ্গিস খান যখন শেষ বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এবং নিজের যৌবন ফিরে পাওয়ার জন্য যখন বিভিন্ন ওষুধ খেয়ে এবং আবহাওয়া বদলিয়ে যখন দেখলেন কোন উপায় হচ্ছে না তখন তিনি তার অধীনস্থ রাজ্যের বড় বড় চিকিৎসক দের হুকুম দিলেন অমরত্ব পানীয় (elixir of life) তৈরি করতে। যে এই পানীয় তৈরি করতে পারে তাকে পুরস্কৃত করা হবে এবং বিফল হলে মৃত্যুদণ্ড। তখন চিকিৎসকরা হন্যে হয়ে খোঁজা শুরু করলেন অমরত্ব পানীয়। কেউ খবর পেলেন জিনসিন নামে এক গাছের মূলে রয়েছে যৌবন ধরে রাখার জাদুকরী ওষুধ, কেও বল্য এক গুহার ভেতর টিপ টিপ করে পানি পড়ে সেই পানিতে রয়েছে অমরত্ব। কিন্তু সব বিফলে গেলো। কিছু বিজ্ঞানীরা এসে এটার সাথে ওটা মিলায়, আগুনে তাপ দেয়, ঝাঁকা ঝাঁকি করে কিন্তু অমরত্বের মহা ওষুধ তৈরি হয় না। সব বিফল অবশ্য সেখান থেকেই বর্তমান আলকেমির রসায়ন শাস্ত্রের জন্ম। আসলে সব চিকিৎসক বিফল হয়না। মিংসু নামে এক চিকিৎসক তৈরি করে ফেলে এক প্রকার মৃত্যুহীন ভাইরাস এবং যার পরীক্ষা চালায় তার নিজের ছেলের উপর এবং সফল হয়। কিন্তু ততদিনে চেঙ্গিস খান মৃত্যু পুরিতে চলে যায়। যখন সেই মৃত্যুর খবর মিংসুর কাছে যায় তখন তিনি তার আবিষ্কারের কথা চেপে যায় এবং জীবনের শেষের দিকে নিজের ভীতরেও ভাইরাস টা প্রবেশ করায়। কে না চায় অমরত্ব?
-তোমাদের বংশ বিস্তার কি তাহলে ওভাবে হয়? (উনার মাথায় কিছুই ঢুকছেন)
-আসলে ভাইরাস টা রক্তের মাধ্যমে ছড়ায় অনেকটা বর্তমান এইডস রোগের মত। কিন্তু এইডস রোগ অনেক দিন পড়ে নিজেকে প্রকাশ করে। কিন্তু ড্রাকুলার ভাইরাস টা নিজেকে সহজেই প্রকাশ করে না। নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এটা যার শরীরে ঢুকে তাকে বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু নিজেকে প্রকাশ করে ও রক্তে চাহিদা দিয়ে। তখনি আমাদের মানুষের রক্তের প্রতি লোভ জন্মে। কারণ ওদের বাঁচার জন্য চাই রক্ত। তাই আমরা মানুষের রক্ত খাই। আর যেহেতু আমরা এখন মানুষের ঘাড়ে কামড় দিয়ে রক্ত খাই না। তাই আমাদের বংশ বিস্তার টাও তেমন হয় না। অনেকেই জানেন না যে সে ড্রাকুলা। মাঝে মাঝে রাস্তার অনেক সাধারণ মানুষের সাথে দেখা হয় যারা ড্রাকুলা।
-তাহলে তোমার বয়স কতো? আর তার মানে তুমি আমাকে তোমার জীবনের সম্বন্ধে যা বলেছে তা সব মিথ্যা?
-আমার বয়স প্রায় ৪০০ বছরের কাছাকাছি। আসলে আমাদের গোপন একটা সমাজ আছে। যেখানে কিছু নির্দিষ্ট মানুষ কে নির্বাচন করা হয় পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ড্রাকুলা এর একত্র করার জন্য। এবং সেই সুবাদে আপনার সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো কারণ আমার মতে আপনি নিজেও আমাদেরই একজন।
-মানে কি বলতে চাঁচ্ছ?
-জি আংকেল আমার মনে হয় আপনি ড্রাকুলা। আপনাকে আমি সন্দেহ করি অনেক দিন ধরেই। আপনার সাথে পরিচয় হওয়ার আগে আপনাকে আমি খেয়াল করেছি আপনি ড্রাকুলার মতো উদ্দেশ্য বিহীন ভাবে ঘুরে বেরান। পড়ে আপনার সাথে যখন পরিচয় হয় আপনার বয়স সম্বন্ধে জেনে আর আপনার শরীর গঠন দেখে আমার মনে হয় আপনি কোন না কোন ভাবে আমাদের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই দিন দিন আপনার সাথে ঘনিষ্ঠতা বারাই আপনাকে আরো কাছ থেকে জানার জন্য। কিন্তু মনে হয় আমার ধারণা ভুল।
(দুই পক্ষই নীরব জামাল সাহেব কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না। তিনি যেন পৃথিবীর সব থেকে বড় মানসিক আঘাত পেয়েছেন।)
আচ্ছা আংকেল আজকে আমার বাহিরে কাজ আছে এবং আজকে আর বাসায় ফিরবো না। (এটা বলেই সৌরভ উঠে যাচ্ছে কিন্তু দরজার কাছে যেতেই জামাল সাহেবের মুখে কথা ফুটল উনি ডেকে সৌরভ কে ডাক দিল)
-আচ্ছা ড্রাকুলা হওয়ার লক্ষণ কি?
-লক্ষণ অনেক আছে। কিন্তু সর্বপ্রথম লক্ষণ হচ্ছে ড্রাকুলাদের সূর্যের আলোয় ছায়া পড়েনা।
-কেন পড়ে না? (তিনি কথাটি বলতে বলতে দেরি করে ফেললেন। ততক্ষণে সৌরভ দরজা লাগিয়ে বাহিরে চোলে গেছে। কিছুক্ষণ পড়ে জামাল সাহেব ওর ফোন ট্রাই করে দেখেন ওর ফোন অফ।)
*
রক্তখেকো || তাসফিক হোসাইন রেইযা ||
২-২৪-২০১৭
বিদ্রঃ লেখাটার কিছু অংশ অন্য গল্প অবলম্বনে নেওয়া।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: ভয়ংকর সুন্দর।
++++++

০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

ভবঘুরে যাত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: আপনার অন্য আইডি কোনটা?

০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

ভবঘুরে যাত্রি বলেছেন: সরি এটা ফেবু আইডির কথা বলা হয়েছে।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

নাগরিক কবি বলেছেন: ফরিদাকে গল্প থেকে বের করে দিলেন উইদ আউট নোটিশে???
ভাল হয়েছে। সাবধানে থাকবেন। চেংগিস খানের বংশধর কেউ এটা পড়লে, আপনার খবর আছে। :)

০১ লা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ভবঘুরে যাত্রি বলেছেন: নাহ আসলে বের হয়নি ও থাকবে। রেসপন্স পেলে পরের পর্বে ওকে আনা হবে।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

নাগরিক কবি বলেছেন: তাহলে ঠিক আছে ;)

০১ লা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ভবঘুরে যাত্রি বলেছেন: hehe

৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ২:২৭

কালীদাস বলেছেন: হ্যাঁ, লেখাটা হুমায়ূন আহমেদের একটা ছোট গল্পের উপর বেইস করা (অদ্ভুত সব গল্প- ভাইরাস)। আপনি কেবল মিটিং স্পটটা আর চরিত্রগুলোতে এক্সপেরিমেন্ট চালিয়েছেন হালকা পাতলা :)

০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৭

ভবঘুরে যাত্রি বলেছেন: আমি কিন্তু উল্লেখ ও করে দিছি পুরোটা মৌলিক নয় :) শুধু মিটিং না অনেকাংশই আলাদা। ভাইরাস এর উৎপত্তি স্থল ও আলাদা। যদিও বলা চলে এটায় ইচ্ছা করেই দুই তিনটা গল্পের সংমিশ্রণ করেছি :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.