নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেবু লিংক https://www.facebook.com/tashfic007

ভবঘুরে যাত্রি

বিনা অনুমতিতে কিংবা লেখকের নাম বিহিন লেখা কপি করবেননা

ভবঘুরে যাত্রি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পীয়ের-জিন যৌভ এর কিছু চারটি কবিতার অনুবাদ

১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩




১-একজন প্রেমিকের জন্য বিলাপ
*
রাতের মত রক্তাক্ত -ভয়ংকর হিংস্র - অভিমানী
_____________তুমি আমাদের কাছে এসে ন্যাকা কান্না করো
আমাদের অনুরোধ করার পরেও মরতে চাও।
ব্যথা এবং অজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসো
কিন্তু খুব দ্রুত,পুরুষত্বহীন মৈথুনে বীর্যপাতের মতো, ঘেমে যাও
চাইলে শাস্তি যোগ্য অপরাধী হয়ে থাকতে পারো,
_____________হতে পারো ব্যর্থ প্রেম এবং তার ছায়া
যেহেতু তাকে আটক করা হয়েছে, তুমি বের করে আনতে পার শরীর।
শরীরের বৃদ্ধ পশম এবং
____________চরম সত্য মৃত্যু পেরিয়ে যাবে তোমায়
যে তোমাকে আঘাত করে
____________________ চিহ্নিত করে রাখো সেই প্রিয়তমা কে
যে ধ্বংস করেছিল তোমাকে -আবার ফিরে এসেছে?
তার প্রতি অনুভূতি বেঁচে আছে এখনো? কিন্তু রয়ে গেছে তার দেওয়া ক্ষত ?
থাকুক প্রেম, তাও থুথু মার -সাথে ফেলে দেও তাকে।
*
২- আরো এবং আরো নারীত্ব
*
হ্যাঁ মেয়েলী, মোটা এবং টকটকে লাল
আমি নিজের শরীর দেখেছি জাজিমের উপর প্রসারিত হতে,
যেমন স্বাগত জানাতে হয় কিছু পাথরের মত অতিথি দের
ঠোঁট! আমি একাই আছি এবং ঘৃণা লুকিয়ে থাকে।
আমি ফেঁপে গিয়েছিলাম, আমি ভিজে গিয়েছিলাম,
গরম দুধের থেকেও বেশি আমার আনন্দ বেড়ে উঠেছিল
আমার স্তনে ধারণ করেছিলাম তাঁরা,
এবং আমি পৌঁছে গেলাম এবং বললাম কষ্ট টা ছিল একটি নিদারুণ মৃত্যুর মত,
যার ফলে আমি আরেকবার দারিয়ে গেলাম।
*
৩-মহাপ্লাবনের পর
*
চাঁদের আলো কমে আসছে, সেপ্টেম্বর হচ্ছে সম্মানিত।
পাহাড় গুলো এখনো চুরি করে যাচ্ছে তাদের মিথ্যে আলো
ছায়া, স্বর্ণের সূক্ষ্মতা থেকে দ্রুত এবং অন্ধকার
সবুজের মধ্যে বিশ্রাম নিয়েছিল। গতকাল
শেষতম উষ্ণতার মৃত্যু হয়েছিল অন্ধকার দেয়ালের মত
সেদিন রাতে তাঁরার স্বচ্ছতা বেরে গিয়েছিলো,
বাতাস -এবং প্রস্তুত নীরবতা -এবং একটি মৃত্যুর পূর্ব লক্ষণ।
*
৪-সমাধি
*
শিয়ালের গর্তে আটকা পড়ে মানুষ
তাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়;
নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল তার,
যদিও সে খুঁড়ে ফেলেছিল পৃথিবী -খালি হাতে।
সে কামানের শব্দ শুনেছিল, কিছুক্ষণ আগে
যদিও তখন দূর -তাকে খেয়ে ফেলেছে পৃথিবী,
সে ঘেমে যায় -তার কুঠার দিয়ে উঠে হরতালের ডাক।
যেহেতু সে নিশ্চিত হতে চায় - ডাক দেয় বন্ধুদের
যদি! তখনো তারা বেঁচে থাকে।
এক অদ্ভুত স্যাঁতস্যাঁতে ভাব অনুভব হয়,
বলাচলে বের হয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর সবগুলো পানি।
একজন বলে উঠে "আমরা ভেসে গেলাম"
প্রথমে ছিল ভালভাবে -তারপর বেড়ে যায় অতিরিক্ত গতি।
যে তখন খনন করে যাচ্ছিলো, পানি
তার চেহারায় ছিল যথেষ্ট প্রস্তুতি
তার ঠোঁট ভেশে যাচ্ছিল -ভেসে যাচ্ছিলো তার ঠোঁট:
রক্তে -হয়ে যাচ্ছিল রক্তাক্ত।
অতঃপর পৃথিবী ধ্বসে পড়ে -ভেঙ্গে যায় পৃথিবীর ডানা
যেহেতু রক্তের ধারা বহে চলে দ্রুত,
আঠালো করতে থাকে মাটিকে -আরো বেশি।
কিছুক্ষণ পরেই সে খোঁড়া শুরু করলো আরেকটি স্থান
ভেজা এবং আঠালো।
ফেঁপে উঠার ব্যাপার মানুষের ব্যাপার।
*********************************************************************************
||মুল লেখা-পীয়ের-জিন যৌভ || ভাষান্তর-তাসফিক হোসাইন রেইযা ।।
*********************************************************************************
নিম্নে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী দেওয়া হলো :
*
তিনি ছিলেন ফরাসী কবি এবং সাহিত্যিক। ১১ অক্টোবর ১৮৮৭ সালে প্যারিস এর আরাস শহর পাস-দ্য-ক্যালিস গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৫ থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত তার লেখা অগুনিত রচনা, ছোট গল্প এবং ১০০ পাতার উপর শান্তিবাদি কবিতা পাওয়া যায়। তার মধ্যে "তুমি একজন মানুষ, জঘন্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে কবিতা, মৃত মানুষের নাচ, এবং ঘণ্টা, ঘণ্টা এবং রাতের বই।"Vous êtes des hommes , Poème contre le grand crime , Danse des morts, and Heures, livre de la nuit এগুলো উল্লেখ যোগ্য।
*
১৯১৬ -১৯১৯ -যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে কবিতা লেখা শুরু হয়ে। সে তার কবিতা দিয়ে সৈন্যদের দুঃখ কষ্ট গোনার চেষ্টা করেন এবং তাদের সহনাভুতি জানায়। তিনি সর্বজনীন অপরাধ বোধ এর থিম উন্মোচন করেন। তার কবিতার মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক নীতি আয়োজন করেন।
*
১৯২১- সে তার নিজের জীবন ধারা পাল্টে নেন। আচমকা তার প্রথম স্ত্রী কে তালাক দিয়ে বসেন। তার এবং তার স্ত্রীর সকল বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে এমনকি রোমাইন রোল্যান্ড এবং জেনেভার বাকি সব যুদ্ধ বিরোধী সংস্থার সাথে।
*
১৯৭৬ সালে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। যদিও ততদিনে দিয়ে যান পৃথিবীকে অসাধারণ কিছু সাহিত্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.