নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেবু লিংক https://www.facebook.com/tashfic007

ভবঘুরে যাত্রি

বিনা অনুমতিতে কিংবা লেখকের নাম বিহিন লেখা কপি করবেননা

ভবঘুরে যাত্রি › বিস্তারিত পোস্টঃ

যখন কবির মৃত্যু হয় || তাসফিক হোসাইন রেইযা ||

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫




অবশেষে খবর পাওয়া গেল
তিনি বেঁচে ছিলেন মৃত্যু এবং কবিতার মাঝামাঝি স্থানে
তিনি ভেবেছিলেন যেহেতু জীবন নিয়ে অনেক কবিতা লিখেছেন,
এবেলায় না হয় মৃত্যু কেও আটকে রাখবে কবিতায়।
আবেগ টা সেক্ষেত্রে খুব প্রয়োজন ছিল
(তুমি চাইলে একটি চুমু খেয়ে নিতে পারতে অরু)
চোখ বন্ধ করলেন (একটি জীবনের শীত ফুরিয়ে গেল, তোমার দেখা নেই)
খুঁজে পাওয়া গেল না প্রিয় কলম -দেয়াল ঘড়িটা খেয়ে নিচ্ছে সময়,
যদি পাওয়া যেত? -কিন্তু কবির খাতায় ভেসে যাচ্ছ তুমি।
মৃত্যু এবং কবিতার মধ্যবর্তী স্থানে ক্যাম্প বসিয়েছে রণ মঞ্চ
(মাঝে মাঝে সেখানেই যুদ্ধ হতো তোমাকে নিয়ে)
মানচিত্র আঁকা হয়েছিল সেখানেও (যেমনটা তোমার কোমরে দেখা মেলে)
হঠাৎ হলো মহাজাগতিক প্রলয় (ভেঙ্গে যাওয়া চশমায়)
পৃথিবী এবং মৃত্যুর মাঝে ঝুলে থাকে পেন্ডুলামের মতো,
পৃথিবীর মানুষ গুলোর দীর্ঘশ্বাস, কেপে উঠে পৃথিবীর ঘূর্ণন।
দেখতে দেখতে লেখা হয় ১১৭ টি কবিতা, চারটি বছরে
পৃথিবীর বেনামি শত্রুদের বুকের আটে বিধ্বংসী ষড়যন্ত্র,
যদিও তোমার পবিত্র তলপেট ঢাকা থাকে একটি তরল হাতে
কবি ঘুমিয়ে যান, পৃথিবীর শেষতম পুরোহিত মন্ত্র পড়ে
যদি কবি জেগে উঠে?
ঝুলন্ত নরকের দরজা খুলে যায়, গিলে ফেলতে চায় সব,
অবশেষে লিখে দিলেন নরকের বুকে -বিদায় অরু
এবং সুনীলের সেই লাইন,
আমার কিছু হলে। আমি পৃথিবীকেও বেঁচে থাকতে দেব না।
*
যখন কবির মৃত্যু হয় || তাসফিক হোসাইন রেইযা ||
*
১৩-৩-২০১৭

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.