নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেবু লিংক https://www.facebook.com/tashfic007

ভবঘুরে যাত্রি

বিনা অনুমতিতে কিংবা লেখকের নাম বিহিন লেখা কপি করবেননা

ভবঘুরে যাত্রি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ভয়ানক বিয়ে || তাসফিক হোসাইন রেইযা ||

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭





নিজেদের একতলা বাড়ির উঠানে নীরবে বসে এতক্ষণ একটা বই পড়ছিল মিতু। ভেবেছিলো বইয়ের ভিতরে ডুবে গেলে ঘুমানোর জন্য কোন ওষুধ লাগবেনা। পড়তে পড়তে এমনিতেই চোখের পাতা ভারি হয়ে আসবে কিন্তু মনে হয়না বিষয়টি কাজে দিচ্ছে। এদিকে
রাত অনেক হয়েছে। গোপীনাথপুর গ্রামের লোকজন সন্ধ্যে হতে না হতেই ঘুমিয়ে যায়। আর সেখানে তো এখন অনেক রাত। বারোটা বা একটা হবে। কালকে ওর বিয়ে। গ্রাম ভর্তি লোকজন ডেকে দাওয়াত করে খাওয়া দাওয়া করার মতো বিয়ে না। খুব সাদাসিধে
ভাবে বড় পক্ষ আসবে আর কাবিন করে ওকে নিয়ে চলে যাবে ঢাকায়। কিন্তু ও এই বিয়েতে রাজি নয়। কেন রাজি নয় তাও জানে না। আর জানলেই বা কি ওর বাবা মা তো আর ওর কথা শুনতে যাচ্ছেনা। ওর শতমা তো ওকে বিদায় করতে পারলেই বাচে। অনেক চেষ্টা করেও ঘুম আসে না দেখে তিনটা ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরল।

কিছুক্ষণ আগেই মিতু কবুল বলেছে। বর পক্ষ আজ রাত ওদের বাড়িতেই থাকবে। পরেরদিন বাজার সদাই করে খাওয়া দাওয়ার পর চলে যাবে ওকে নিয়ে ওর শ্বশুর বাড়িতে। কিন্তু মিতুর কাছে মনে হচ্ছে ও এখনো ঘোর এর মধ্যে আছে। কি হবে কিছুক্ষণ পরে?
যেই মানুষ টাকে কখনো আগে চিনেনা। সেই মানুষ টা কিছুক্ষণপরে ওর বিছানার সঙ্গী হবে। ওর যে শরীর আজ অব্ধি কেউ দেখেনি সেটা উন্মুক্ত হয়ে যাবে এক দুই দিনের পরিচিত মানুষের কাছে? ব্যাপারটা ভাবতেই ওর গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। অবশ্য
মাঝেমাঝে লজ্জা পেয়ে নিজের উপর নিজেই হেসে উঠে। কিসব যা তা ভাবছে ও এটা নিয়ে। আবার নিজে নিজেই ভাবে এই মানুষটাই একদিন হয়তো ওর খুব কাছের হবে।

মিতু নিজের ঘরে খাটের উপর বসে আছে। খাটের পাশেই রাখা টেবিলে একটা হারিকেন জালানো। ওদের বাড়িতে এখনো ঠিক ভাবে বিদ্যুৎ এসে পৌঁছায়নি এবেলায় থাকে তো ওবেলায় থাকেনা। যদিও সরকারের লোকজন এসে কিছুদিন আগে খাম্বা লাগিয়ে রেখে
গেছে ওদের বাড়ির সামনে দিয়ে। কিন্তু এখনো খাম্বায় ঠিক ভাবে তার টানার কোন খবর নেই।
মিতুর স্বামী সোহরাব ওর ঘরে ঢুকে ওর সামনে এসে বসলো। দুজনই অনেকক্ষণ ধরে চুপ চাপ থেকে সোহরাব মিতুর মাথা থেকে ঘোমটা নামিয়ে দেয়। মিতু হালকা কেপে উঠে। তারপর আবার কিছুক্ষণ নীরবতায় কাটায় দুজন। "দ্যাখো তোমাকে একটা কথা বলে
দেওয়া ভালো। আমি কখনো তোমাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেবনা। আমি স্রেফ আমার বাবার ইচ্ছা পূরণ করার জন্য বিয়েটি করেছি। তাই আশাকরি তোমার যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে আগে নিজেকে প্রস্তুতকরে নিও। যদি মনে করে থাকো তুমি তোমার বাড়ির
লোকজনদেরকে বলে বিয়ে ভেঙে দেবে তাহলে তা ভুলে যেতে পারো। তোমার মা এই বিষয় সব কিছু জানেন" সোহরাব কথাটা বলে মিতুর পাশে শুয়ে পরে। মিতুর ঘোর এখনো কাটেনি। ওর কাছে মনে হচ্ছে ও স্বপ্ন দেখছে। সোহরাব এর কথাগুলো ভাবতে
ভাবতেই রাত পারকরে দিল।

মিতু এখন সোহরাব এর চট্রগাম এর বাসায়। চারপাশে ফাকা মাঠ। মধ্যখানে একটা দোতলা বাড়ি। যে কারও ভাল লাগার কথা প্রিয়জনের সাথে কাটানোর সময়। কিন্তু মিতুর স্বামী থেকেও নাই বলা চলে।অবশ্য মিতু ওদের বাড়ি পছন্দ হয়েছে। ওর শ্বশুর শাশুড়ির ঢাকায় থাকে। এখানে সোহরাব একাই থেকে কাজ করে। ড্রয়িং রুম ভরা তাকে তাকে বই সাজানো। ওদের বেডরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে দোতালায়। সব কিছু ঠিকঠাক কিন্তু একটা জিনিস বাদে। ঘরে কোন খাট নেই। মেঝেতে বিভিন্ন চিত্র আঁকা। যার কোনটাই মিতুর মাথায় ঢুকছেনা মনে হচ্ছে জ্যামিতিক কোন বিষয় হবে। মিতু স্কুলে জ্যামিতি করেছে। ওর কাছে এগুলোকে মনে হচ্ছে কতগুলো ত্রিভুজ একসাথে মিলিয়ে আঁকা হয়েছে। ওদের এখানে কারেন্ট নেই। বাড়ির জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ এর কাজ করা হয়। শোবার ঘরে চারপাশে মোমবাতি সাজানো । ও সোহরাব কে একবার মোমের বিষয়টা জিজ্ঞাস করেছিল। সোহরাব চোখ গরম করে শুধু বলেছে "তোমার এসব না দেখলেও চলবে।"

এভাবে কিছুদিন চলে যায়। মিতু সারাদিন ঘরের ভেতরে কাটায় আর সোহরাব সকালে বাইরে যায় এবং বিকেলে বাসায় আসে। এসেও মিতুকে তেমন সময় দেয়না ওদের ড্রয়িংরুমের পাশে একটা ঘর আছে সেই ঘরেই সময় কাটায় সোহরাব এবং দিনের বেলায়
ঘরটা তালা মারা থাকে ওখানে মিতু যাওয়া নিষেধ। সোহরাব ওকে বাড়ির বাহিরে যেতেও মানা করেছে। ও প্রথম দিকে জোরাজোরি করলে সোহরাব ওকে অনেক বকাঝকা করে। এমনকি একবার গায়ে হাত তুলতেও এসেছিল। সোহরাব ওকে সময় কাটানোর জন্য
কিছু উপন্যাস দেয় পড়তে। এইচ এস সি পর্যন্ত পড়েছে মিতু তাই সেই অনুযাই অক্ষর জ্ঞান আছে তাই বই পড়ে সময় ভালোই কেটে যায়। এই বাড়িতে আসার প্রথম দিকে কয়েকদিন নামাজ পড়েছিল কিন্তু একদিন সোহরাবে চোখে পড়লে সে বলে "এসব ধর্মের
ফালতু জিনিস আমার বাসায় চলবেনা। আরেকদিন যদি দেখি তাহলে তোমার জন্য ব্যাপারটা ভালো হবেনা।"

কিছুদিন ধরে সোহরাবের বন্ধু রাফি ওদের বাসায় থাকা শুরু করেছে। রাফির সাথে মিতুর একান্ত কথা হয়নি। শুধু প্রথম পরিচয়ের দিন একজন আরেকজনের নাম জেনেছে। লোকটা সব সময় সোহরাবের সাথে সোহরাবের বন্ধ ঘরে পরে থাকে। কি কাজ করে এটা
মিতু জানে না। শুধু রাত বাড়ার সাথে সাথে একটা গুমোট গন্ধ পায় ঘরের সামনে থেকে। বন্ধু আসার পর থেকে সোহরাবের ব্যবহারের অনেক পরিবর্তন লক্ষ করেছে মিতু। যেমন দুইদিন আগে মিতু যখন বলল কিছুদিন পরে ওর জন্মদিন। তখন সোহরাব
প্রথমবার মিতুকে হেসে উত্তর দিল। "আমি জানি আগের থেকে"। সেদিন মিতু সোহরাবের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিল। কারণ সোহরাবের হাসি দেখে মিতুর মনে হচ্ছিল মিতু, সোহরাবের প্রেমে পরে গেছে। সোহরাব তারপর থেকে মিতুর সাথে অনেক ভালো
আচরণ করে। মাঝে মাঝে সময় পেলে বন্ধুর মত কথা বলে। রান্নায় সাহায্য করে। কিন্তু তাও ঘর থেকে বের হতে দেয়না এবং বন্ধ ঘরেও ঢোকা নিষেধ থাকে ওর জন্য।

মিতুর জন্মদিনের আগের দিন সোহরাব অনেক গুলো গোলাপ ফুল এনে দেয় মিতুকে আর বাজার সদাই এনে মিতুকে রাতের বেলার জন্য রান্না করতে বলে। মিতু অনেক বেশি খুশি হয়। আর সব থেকে খুশি হয় রাতের বেলা। ও যখন ওর বেডরুমে যায় তখন
দেখে সোহরাব ঘরে বসে আছে মেঝেতে। ওর চারপাশে মোম জ্বালানো। সোহরাব মিতুকে কাছে ডেকে একটা গ্লাস ভর্তি জুস জাতীয় পানীয় দিয়ে ওকে খেতে বলে তারপর একটা জামা হাতে দিয়ে বলে "এটা তোমার জন্মদিনের উপহার। যাও গোসল করে এটা
পড়ে আসো। আরেকটি উপহার বাকি আছে ওটা আমি তুমি আসার পর দিব। মিতু খুশীতে তাই করে এসে দেখে সোহরাব তখন সেখানে বসে আছে। সোহরাব মিতুর দিকে অনেক্ষন তাকিয়ে থেকে বলে "তোমাকে আজকে আফ্রোদিতির মত লাগছে। আফ্রোদিতি
কে চিনো? তাকে ভালোবাসার দেবী বলা হয়।" মিতুকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সোহরাব নিজেই ওর কাছে গিয়ে মিতুকে জড়িয়ে ধরে ঠোটে চুমু খায়। মিতুকে কলে করে নিয়ে সোহরাব যেখানে বসে ছিল ৫ টা মোমবাতির বৃত্তের ভিতর শুইয়ে দিয়ে আদর
করতে থাকে। মিতু কিছুই বুঝতে পারেনা ওর সাথে আসলে কি হচ্ছে। ও যেন অন্য জগতে চলে গিয়েছে। এক উন্মাদনা এসে গ্রাস করে মিতুকে।
মিতু সোহরাব এর বুকে শুয়ে আছে এমন সময় ঘরের দরজা খুলে রাফি প্রবেশ করে। এতরাতে রাফিকে দেখে মিতু ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু সোহরাবের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে ও হাসছে। সোহরাব মিতুকে অভাবে রেখেই উঠে রাফির কাছে যায়। রাফিকে চুমু
খেয়ে বলে "জান আমরা আমাদের কাজ সুরু করতে পারি।" রাফি বলে "আমরা এই কাজটার জন্যই অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। চলো এখন মিতুকে পেন্টাগ্রামের ভিতর শুইয়ে দেই" মিতু সোহরাব আর রাফির এই আচরণ দেখে হতভম্ব হয়ে যায়। ও
মূর্তির মত ওখানেই বসে থাকে। এরপর ওরা দুজন এসে মিতু হাত বেঁধে ফেলে। সোহরাব এবং রাফি জামা খুলে সাদা আলখাল্লা পরে এসে ঘর এবং মিতুকে পরিষ্কার করে শুইয়ে রাখে মোম জ্বালানো পেন্টাগ্রাম এর ভিতর। যেখানে কিছুক্ষণ আগে মিতু এবং সোহরাব
শুয়ে ছিল। মিতু ওদের আচরণ কিছুই বুঝতে পারেনা। ওর হতভম্বতা তখনো কাটেনি। কিছুক্ষণ পরে দেখে ওর নগ্ন দেহের পাশে সোহরাব এবং রাফি বসে আছে। মিতু চিৎকার করতে চায় কিন্তু ওর গলা পর্যন্ত এসেই বের হওয়ার আগে আওয়াজ টা আটকা পরে।
ও দেখে সোহরাব এবং রাফি জোরে জোরে কি যেন মন্ত্র পাঠ করে। পুরো ঘরটা কেমন ভারি ভারি লাগতে শুরু করে মিতুর কাছে। বাতাসে ভেশে বেড়াতে থাকে বন্ধঘর থেকে আসা সেই চেনা গুমট গন্ধ। মিতু মনে মনে মাদ্রাসায় পরা সূরা মনে করতে চায়
কিন্তু ও যেন কিছুই চিন্তা করতে পারছেনা। সব কিছু গুলিয়ে ফেলছে।
রাফি সোহরাবের হাতে একটি চাকু দিয়ে বলে নেও এবার মেয়েটিকে আমাদের উপাস্য শয়তানের নাম নিয়ে উনার জন্য উৎসর্গ করো। সোহরাব রাফির কথা মত মিতুর দিকে ছুরি তাক করে শব্দ ছাড়া কিযেন মন্ত্র পাঠ করা শুরু করে। মিতু অর্থ বুঝতে পারে না
শুধু দেখে সোহরাব মুখ লড়ছে। আর এদিকে ও আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে সৃষ্টিকর্তার নাম এবং পবিত্র কোরআনের একটা হলেও আয়াত মনে করার। সোহরাব মিতুর গলায় ছুরি রেখে রাফির দিকে তাকায়। রাফি মুখ দিয়ে শব্দ করছে মন্ত্র পাঠ করা অবস্থাতেই
ইশারা দিল। কিন্তু মন্ত্রটা মিতুর চেনা চেনা লাগছিল অনেক্ষন ধরেই। ছোট বেলায় যখন মাদ্রাসায় পড়েছিলো তখন শুনেছিলো যারা কুফরি করে তারা কোরআন এর বিভিন্ন আয়াত উল্টো করে পড়ে শয়তানের পূজা করে। ওখানেই মিতু অনেকগুলো সূরা মুখস্থ
করেছিল তার মাঝে ছিল সূরা ইয়াসিন এর কিছু আয়াত। মিতুর বুঝতে দেরি হলোনা রাফি সূরা ইয়াসিন এর আয়াত গুলোকেই উল্টো করে পড়ছে। এবং তখনই ওর আয়াত গুলো মনে পড়লো। ও আল্লাহ্‌ এর নাম এবং শয়তান তাড়ানোর দোয়া পড়ে সুরা
ইয়াসিন পড়া শুরু করলো। আর দেখতে পেল ওর মুখ দিয়ে শব্দ বের হচ্ছে। আর এদিকে সোহরাব চাকু ফেলে দিয়ে দূরে গিয়ে চিৎকার করে রাফির সাথে বলছে "চুপ কর মাগি। তুই চুপ কর। নাইলে তোকে মেরে ফেলবো।" মিতু ওদের কথা কানে না নিয়ে ওর
যে কটা আয়াত মনে আছে সব কয়টা একেক করে চিৎকার করে পড়তে থাকে আর মনে মনে আল্লাহ্‌র কাছে সাহায্য চায়। হঠাৎ করে সোহরাব এবং রাফি শরীরের কোথা থেকে যেন আগুন এসে লাগে।

মিতু চোখ খুলে দেখে ও নিজের ঘরে শুয়ে আছে আর ওর বাবা ওকে ডাকছে "কি হইছে তোর এমন চিৎকার করছিস কেন?" মিতু ওর বাবাকে জরিয়ে ধরে বলে "বাবা অনেক ভয়ানক একটা স্বপ্ন দেখেছি।" মিতুর বাবা বলে "সারাদিন ভয়ানক ভয়ানক বই
পড়বি তো কি মজার স্বপ্ন দেখবি? যা উঠে গিয়ে তৈরি হয়ে নে। সোহরাব বাবাজিরা চইলা আসছে প্রায়।"

কাজী সাহেব এবং মিতুর ভাই এসে কিছুক্ষণ আগে মিতুর কাছ থেকে কবুল শুনে গিয়েছে। রাত অনেক হয়েছে তাই ওর সৎ-মা এবং বাকিরা ঘর থেকে চলে গেছে ওকে একা বসিয়ে রেখে। একটু পর দরজা খোলার আওয়াজ শুনতে পায়। ঘোমটার ফাক দিয়ে
একটু তাকিয়ে বুঝতে পারে সোহরাব এসেছে। সোহরাব কে দেখেই মিতুর চিৎকার দিতে ইচ্ছা হচ্ছে। ইচ্ছা হচ্ছে দৌড়ায় পালাতে। আমার অপর দিকে নিজেকে বকা দিল ভাবল দৃশ্য টা কেবল দুঃস্বপ্ন বাদে আর কিছুই না। এটা ভেবেই মিতু চুপচাপ বসে থাকে
খাটে। সোহরাব এসে ওর ঘোমটা উঠিয়ে বলল "দেখ তোমাকে আগেই বলে রাখা ভালো আমি তোমাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে পারছিনা" কথাটা শুনেই মিতুর চোখ বড় হয়ে উঠে ওর রাতের স্বপ্নে দেখা কথাটা মনে পড়ে যেটা সোহরাব প্রথম ওর ঘরে এসে
বলেছিল।। কিন্তু সোহরাব কিছুক্ষণ থেমে আবার বলে উঠল "এই! এটা ভেবোনা যে আমি কখনোই তোমাকে মেনে নেব না। আমার কিছু সময় লাগবে আমরা প্রথমে ভালো বন্ধু হব, একে অন্যকে বুঝবো তারপর আমাদের দাম্পত্য জীবন শুরু করব।" মিতু কোন কথা না বলেই সোহরাব দিকে এক নজরে কিছুক্ষণ তাকিয়ে দেখল ছেলেটা অনেক মায়াবী, অনেকটা দেব পুরুষ দের মত। সোহরাব মিতুকে জিজ্ঞেস করল "তোমার কোন সমস্যা নেই তো?" মিতু মাথা দুলিয়ে মানা করলো এবং মনে মনে বলল "তোমার জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করতে পারবো" সোহরাব হাত দিয়ে হ্যারিকেনটা নিভিয়ে শুয়ে পড়লো মিতুর পাশে। সোহরাবের মুখে এখন একটা ভয়ানক হাসি। যে হাসি যেকোনো মানুষের অন্তরাত্মা সহ ছিরে ফেলতে পারে।
*
একটি ভয়ানক বিয়ে || তাসফিক হোসাইন রেইযা ||

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৯

ওমেরা বলেছেন: খুব মজার আছে ধন্যবাদ ।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৪

ভবঘুরে যাত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.