নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

পুলহ

পুলহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিবেশ, বৈশ্বিক উষ্ণতা আর সিলেবাসের বাইরের কিছু কথা..

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯

আমরা যখন ছোট ছিলাম- তখন বিটিভিতে ক্যপ্টেন প্ল্যানেট নামে একটা কার্টুন দেখাতো। ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট চরিত্রটি ছিলো ধবধবে সাদা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটা চরিত্র (এতোটাই পরিষ্কার যে তার গা সবসময় বিজ্ঞাপনের উজ্জ্বল-সাদা-দাতের মতই চকচক, ঝকঝক করতো !)। অপরিষ্কার কোন কিছুই সে সহ্য করতে পারতো না। সেই বিচারে তার 'পাওয়ার' কমানোর সব থেকে সহজ উপায় ছিলো- লোকটির গায়ে ময়লা-আবর্জনা জাতীয় কিছু বিরতিহীনভাবে নিক্ষেপ করে যাওয়া! সুতরাং- কামানের গোলা যার গায়ে আচড়টি বসাতে পারতো না, কলার ছিলকা ছুড়ে মেরে সেই একই লোককে প্রায় অজ্ঞান বানিয়ে ফেলা যেতো! পানির প্রবল স্রোত যে আটকে দিতো অনায়াসে, সেই তাকেই আবার দেখা যেতো হয়তো সরু কোন ড্রেনে ফেলে দিলে নিরূপায় হয়ে হাসফাস করছে।

পুরো কার্টুনটা আসলে ছিলো শিক্ষামূলক। আমাদের প্রাণপ্রিয় এ পৃথিবীর পরিবেশ-প্রকৃতি সুস্থ এবং সুন্দর রাখাটা যে কত জরুরী- এবং সেই কাজটা যে সবাই মিলে করতে হবে- এটাই ছিলো ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট কার্টুন আর তার অসাধারণ শিক্ষা!

শৈশবে মানুষ এতো সিরিয়াস বিষয়-টিষয় নিয়ে মাথা ঘামায় না; তাই আমরাও ঘামাতাম না। আমাদের মূল আনন্দ ছিলো কার্টুনটাকে উপভোগ করে যাওয়ায়। অনেক সময় ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট খুব সহজে দুষ্ট লোকদেরকে কাবু বানিয়ে ফেলতো, আবার অনেক সময় পড়তো মহা ঝামেলায়। যে পর্বগুলোতে ক্যাপ্টেন প্ল্যানেটকে কঠিন প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে দেখতাম- আমাদের উতকন্ঠা সেসময় প্রবল থেকে প্রবলতর হোত। এখন তাহলে হবেটা কী! ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট কি এবার হেরে যাবে? প্ল্যানেটিয়ার্সদের সুপার হিরো কি আর কখনো মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না কুচক্রী লোকগুলোর সামনে?!

..... এতো বিতং করে ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট কার্টুনের কথা কেন বললাম? বললাম এই কারণে যে- বর্তমান বিশ্ব যে কয়টি মারাত্মক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে- তার অন্যতম হোল জলবায়ু পরিবর্তন। বৈশ্বিক উষ্ণতার কথা কমবেশি আমরা সবাই শুনেছি। শিল্প বিপ্লবের সময় থেকে ফসিল ফুয়েলের (তেল, গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি) যে ব্যাপক ব্যবহার ধীরে ধীরে আমাদের অতি প্রিয় এ গ্রহটাকে ভারসাম্যহীন, অস্থির একটা অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে- তাপমাত্রা বাড়ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বাড়ছে, বাড়ছে বাংলাদেশের মতন উপকূলবর্তী আর দরিদ্র দেশগুলোর ঝুকি- এ সবই মোটামুটি আমাদের জানা। বহুল আলোচিত এবং বহুল পঠিত সে সকল জানা বিষয় গুলোর খুটিনাটিতে তাই আর না গিয়ে আপনাদের সাথে আজ অন্যরকম কিছু ঘটনা শেয়ার করতে চাচ্ছি। বলা বাহুল্য- প্রতিটি বিষয়ই বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত।

গরু বিতর্কঃ

শিরোনাম দেখে ভাববেন না যে আমি এতোক্ষণ পরিবেশের কথা বলে বলে এখন আবার কৌশলে ভারতের সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে বিশাল এক নিবন্ধ ফেদে বসবো; এই গরু সেই গরু নহে! তবে এ কথা ঠিক- গরু যেমন ভারতে ধর্মান্ধতাকে উস্কে দিয়েছে, তেমনিভাবে ক্রমাগত উসকে দিয়ে চলেছে পৃথিবীর তাপমাত্রাটাকেও! আচ্ছা, আর না পেচিয়ে এবার বিষয়টাকে ব্যাখ্যা করছি।

ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় কেমিস্ট্রি সেকেন্ড পেপার বইয়ে (খুব সম্ভব হাজারী এবং নাগ এর বইটা) একটা প্রশ্ন ছিলো এমন- "গরু ঘাস খেয়ে হজম করতে পারে, মানুষ পারে না কেন- ব্যখ্যা কর।" প্রশ্নটা পড়ে আমি এতো অবাক হয়েছিলাম যে বলার নয়- এটা আবার একটা প্রশ্ন হতে পারে নাকি! কি আশ্চর্য!! তবে এর থেকেও আশ্চর্যের কথাটি হোল- এই আজব প্রশ্নের মধ্যেই আসলে লুকিয়ে আছে গরুর সাথে বৈশ্বিক উষ্ণতার সে নিগূঢ় সম্পর্কখানি!
গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি প্রাণীগুলো ঘাস খেয়ে হজম করতে পারে- কারণ ঘাসের 'সেলুলোজ' উপাদানটি হজম করার জন্য যে ব্যাক্টেরিয়ার সাহায্য দরকার, সেসব ব্যাক্টিরিয়া গরুর পাকস্থলীতে কিলবিল-কিলবিল করে (আমাদের পাকস্থলী সে রকম না বলেই আমরা ঘাস খেয়ে হজম করতে পারি না, ফলাফলটা আর না-ই বা বললাম)। ঘাস খেয়ে হজম করার এই পুরো প্রক্রিয়াটি গরুর পাকস্থলীতে মিথেন গ্যাসের জন্ম দেয়, আর সেই গ্যাস ঢেকুর হিসেবে মুখ এবং __ হিসেবে পায়ুপথ দিয়ে বেরিয়ে এসে বাতাসের গায়ে মিশে যায়।

এখানে উল্লেখ্য, বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য প্রধানত যাকে দায়ী করা হয়- সেই কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর তুলনায় মিথেন প্রায় পঁচিশ গুণ শক্তিশালী এক ভয়ংকর গ্রীন হাউজ গ্যাস!

কুইভার গাছঃ

হুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন লেখায়, বিভিন্ন নাটকে নানা সময় গাছেদের ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত সব প্রশংসা লক্ষ্য করা গেছে। গাছ কাউকে কষ্ট দেয় না; মানুষ বিনা কারণে কখনো যদি গাছের একটা পাতা ছিড়ে নেয়, তখন গাছও পালটা প্রতিশোধ হিসেবে কোন মানুষের হাত ছিড়ে নিয়েছে- এমন নজির নেই; গাছ তার নিজের সন্তানদেরকে (ফল) প্রকৃতির কাছে বিলিয়ে দেয়, আর সে ফল খেয়ে সুখে, তৃপ্তিতে ঝলমল করে ওঠে সমগ্র প্রাণীজগত- ইত্যাদি ইত্যাদি....

সৃষ্টির সে মহৎ সন্তানেরাও যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে মুক্ত নয়- তার একটা উদাহরণ হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইভার গাছ। এ গাছটি মূলতঃ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নামিবিয়ার এন্ডেমিক, অর্থাৎ তাদেরকে শুধু উক্ত অঞ্চলেই দেখতে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন- জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা শুধু না, পরিবর্তন কি হারে হচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- পরিবর্তন যদি খুব দ্রুত হয়- তাহলে কুইভার গাছগুলো ার সেটার সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদেরকে খাপ খাওয়াতে পারবে না। ফলাফল- পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার ঝুকিপূর্ণ সম্ভাবনা!

কে জানে- উদার বৃক্ষসমাজ হয়তো মানুষের মত এতো অভিযোগ করে করে অভ্যস্ত নয়। তা না হলে- স্নেহের মানবসন্তানদেরকে যে ভালোবাসার ছায়ায় সারাটাজীবন ধরে আগলে রেখেছিলো, আজ তাদেরই দোষে নীরবে, নিভৃতে বিদায় নিয়ে চলে যাবার সময়ও কেনো তাদের প্রতি ন্যূনতম কোন অভিযোগটি পর্যন্ত নেই?
গাছেরা এর উত্তরে নরম গলায় হয়তো বলবে- "প্রতিদান পাবার আশায় তো আমরা কখনো ভালোবাসিনি!"

কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশঃ

শুধু কুইভার গাছই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মুখে আছে পেঙ্গুইন, মেরু ভাল্লুক, সামুদ্রিক কোরাল সহ আরো বহু, বহু প্রজাতি। কিন্তু এলবাট্রস পাখিদের কথা আবার আলাদা! এর কারণটা হচ্ছে- বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে বায়ু প্রবাহের প্যাটার্নও অনেক ক্ষেত্রে পালটে যাচ্ছে। ২০১২ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়- পালটে যাওয়া শক্তিশালী এবং দ্রুতবেগ বায়ুপ্রবাহ- দক্ষিণ সাগরে এলবাট্রসের ওড়াউড়ির কাজটা আগের চেয়ে অনেক সহজ করে দিয়েছে। ফলে এখন তারা আগের চেয়ে তুলনামূলক কম পরিশ্রমে বেশি খাবারও সংগ্রহ করতে পারছে! বিজ্ঞানীদের মতে- প্রচুর খাওয়াদাওয়া আর ভোগ-বিলাসের কারণে এলবাট্রসগুলো এখন নাকি বে-এ-শ হৃষ্টপুষ্ট, সাথে আগের তুলনায় খনিকটা শক্তিশালীও বটে। ার স্বাস্থ্যবান এবং সুপুষ্ট একটি প্রজন্ম যে সুস্থ এবং সবল আরেকটি প্রজন্মের জন্ম দেবে- এ আর বিচিত্র কি?

এভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সামুদ্রিক এলবাট্রস হয়ে উঠবে আরো অনেক দুর্ধর্ষ, আরো অনেক বেশি সামর্থবান!

(এই বেলা শুধু আরেকটি কথা বলে রাখি- পৌষ মাস-ওয়ালাদের তালিকায় শুধু এলবাট্রসই নয়, আরো বেশ কয়েকটি প্রাণিই আছে। কয়েকটি উদাহরণ- আরগস প্রজাপতি, অস্ট্রেলিয়ান গ্রে নার্স হাঙ্গর, কিছু পোকা এবং আমাদের চিরপরিচিত, চিরআপন মশা- দি গ্রেট মশক সম্প্রদায়!)

কানাডার বাতাস চীনেঃ

প্রাণীজগতের কেউ কেউ যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের সুযোগটা(!)কে কাজে লাগাচ্ছে, মানুষই বা তখন পিছিয়ে থাকবে কেন? তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই পরিবেশ বিপর্যয়ের এই সুবর্ণ(!) সুযোগকে(!!) কাজে লাগিয়ে মানুষ অতিদ্রুত ব্যাবসায় নেমে গিয়েছে। চীনে তো এখন 'মাস্ক' এর ব্যবসার রীতিমত রমরমা অবস্থা। সেদিন সিএনএন এ দেখলাম কোন একটা কোম্পানি (এই মুহূর্তে নামটা মনে পড়ছে না) বডি স্প্রে এর ক্যান এর মতন বোতলে করে চায়নাতে 'কানাডার পার্বত্য অঞ্চলের বিশুদ্ধ বাতাস' বিক্রি করছে! ধোয়া এবং ধোয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকা চীনের বিষাক্ত হাওয়া এখন মানুষ ফুসফুসে নিতে ভয় পায়, তাই ব্যবসাও নাকি চলছে বেশ! মহান চীনে ক্যানের পর ক্যান বিক্রি হচ্ছে কানাডার বাতাস; আর চাইনিজরা পাফ করে বুকে নিয়ে নিচ্ছে বহু দূরের, কোন এক নির্মল পৃথিবীর বায়ু.....

....যেখানকার প্রকৃতি আজো পূর্ণ প্রাণশক্তি আর সতেজ-উদ্যম নিয়ে পুরো জীবজগতে তার ভালোবাসার আশীর্বাদটুকু বিলিয়ে দিয়ে যায়। যে পৃথিবীর আকাশ আজো ঘন নীল!

স্রোতের বিপরীতে এন্টার্কটিকঃ

সারা পৃথিবী যখন বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে মেরুর বরফ গলে যাওয়া এবং ফলশ্রুতিতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ব্যাপরটি নিয়ে মহা চিন্তিত- ঠিক তখনই নাসার বিজ্ঞানীগণ একটা অদ্ভূত খবর দিলেন। খবরটা হোল- দক্ষিণে এন্টার্কটিকায় বরফ নাকি আসলে বাড়ছে! বিজ্ঞানীরা তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছেন- এন্টার্কটিকার পূর্ব অংশে যে পরিমাণ বরফ জমা হচ্ছে- সেটা আসলে পশ্চিমের হারাতে থাকা বরফের তুলনায় বেশি!

জলবায়ু নিয়ে কাজ করে এমন আরেকটি শীর্ষস্থানীয় সংস্থা IPCC এর ভাষ্য ছিলো- এন্টার্কটিকা তার জমানো বরফ হারিয়ে ফেলছে। কিন্তু নাসার নতুন এই ঘোষণা, ২০১৩ সালে প্রকাশিত IPCC এর 'এন্টার্কটিকায় বরফ কমছে'- ফলাফলের সে রিপোর্টটিকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসলো।

তাহলে কি বৈশ্বিক উষ্ণতা, জলবায়ু পরিবর্তন এসব হাবিজাবি বিষয় নিয়ে আর আমাদের চিন্তার কোন কারণ নেই? এন্টার্কটিকা যেখানে দিন দিন ঠান্ডা হচ্ছে, সেখানে ....
ভাই থামেন- অত সহজ না! নাসা থেকেই আবার বলা হয়েছে যে- বরফ কমে যাবার বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে কয়েক দশকের মধ্যেই এই চিত্র পুরো উলটে যাবে। যদিও এখন এন্টার্কটিকায় বরফের একটা 'net gain' হচ্ছে, কিন্তু এখনকার মতন চলতে থাকলে একসময় বরফ কমতে থাকাটাই হবে নিশ্চিত বাস্তবতা। আর সে বরফ কমার/ গলে যাওয়ার ভয়াবহ ফলাফলের কথা তো আমরা সবাই জানি!

প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে পরিবেশ দূষণকারী গোষ্ঠীগুলোর তাই খুশিতে বগল বাজানোর মত কিছু নেই!

উপসংহারঃ

আমার অতি প্রিয় একজন কথা সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার লেখার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিলো প্রকৃতি আর তার সাথে মানুষের চিরায়ত সম্পর্ক। আমি তার লেখা 'আরণ্যকে' নিবিড় বনের কথা পড়েছি, স্বপ্নালু হয়েছি পাহাড়ি অরণ্যে মিশে থাকা মানবজীবনটাকে দূর থেকে দেখে। তার 'দৃষ্টি-প্রদীপ' উপন্যাসেও পাহাড়ের কথা আছে, আছে চির-রহস্যময়ী অরণ্যের মুগ্ধতা... ভবিষ্যতের পৃথিবী কেমন হবে আমি জানি না, জানি না আজ থেকে শত বর্ষ পরে পৃথিবীতে আদৌ কোন গাছ থাকবে কি না! হয়তো তখন মানুষজন অক্সিজেন মাস্ক মুখে না ঝুলিয়ে ঘর থেকে বাইরে বেরুতে পারবে না, কিংবা মাত্রাতিরিক্ত আল্ট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন থেকে বাচতে মাটির নীচে গিয়ে গড়ে তুলবে আধুনিক, গতিময় কোন নগরী।

ভূ-গর্ভস্থ সে শহর হয়তো চাকচিক্য আর বিলাসীতায় ছাড়িয়ে যাবে সবকিছুকে। হয়তো এল.ই.ডি. বাতির আলোয় আলোয় ঝলমলে সে শহরের বাসিন্দারা প্রযুক্তির উতকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তৃপ্তিতে, ভোগে মগ্ন হয়ে থাকবে সারাটা সময়। কিন্তু মাটির নীচের সে অতি-আধুনিক পৃথিবীতে কখনো কোন বিভূতিভূষণের জন্ম হবে না- কারণ সেখানে থাকবে না কোন অরণ্য, থাকবে না বরফে মোড়ানো অপূর্ব কোন পাহাড়! গোধূলির স্বপ্নময় কমলা-হলুদ আলো আর কারো নয়নে পড়ে প্রজ্জ্বলিত করে তুলবে না কোমল কোন দৃষ্টি-প্রদীপ!

কি হতাশা আর বিষণ্ণতায় মোড়ানো একটা পৃথিবীই না হবে সেটা!

"...এখানে বাতাস নেই- তবু
শুধু বাতাসের শব্দ হয়
বাতাসের মত সময়ের।
কোন রৌদ্র নেই তবু আছে।
কোন পাখি নেই, তবু রৌদ্রে সারাদিন
হংসের আলোর কন্ঠ রয়ে গেছে,
কোনো রানী নেই- তবু হংসীর আশার কন্ঠ
এইখানে সাগরের রৌদ্রে সারাদিন।"

তথ্যসূত্রঃ বেশ কিছু আর্টিকেল পড়ে তারপর উল্লিখিত সব তথ্য নেয়া হয়েছে (শুধু চীনে ব্যবসার খবরটি সি.এন.এন. নিউজে দেখেছিলাম)। যে সাইটগুলোর আর্টিকেল পড়েছি সেগুলোর নাম কেবল উল্লেখ করছি-

1. CNN (2 degrees)
2. National Geographic
3. Discovery
4. NASA

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

রুদ্র জাহেদ বলেছেন:
আমাদের পৃথিবী আমরাই ধ্বংস করছি...আমরাই পুরোপুরি দায়ী...
অসাধারন লিখেছেন।খুব ভালো লাগল লেখাটি।অনুসরণে রাখলাম
+++

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

পুলহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ রুদ্র জাহেদ ভাই সময় করে পড়বার জন্য। অনেক অনেক ভালো থাকবেন :)

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

সামসুন নাহার বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু! অনেক ভালো থাকবেন :)

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ কিছু অজানা তথ্য জানা হলো। কিছু একটা উপায় নিশ্চয়ই বের হবে...

সুলিখিত পোস্টে প্লাস।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০২

পুলহ বলেছেন: বিজ্ঞানীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। আমিও আপনার মতই আশাবাদী, ইনশাল্লাহ উপায় কিছু একটা বের হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ আপনাকে!

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪০

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো শেয়ার।

শুভ কামনা থাকল।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৪

পুলহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক ভালো থাকবেন :)

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

জুন বলেছেন: এখন খুবই গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয় ক্লাইমেট চেঞ্জ । মেরু অঞ্চলের বরফ থাকবে না , শীল মাছ , পেঙ্গুইন , মেরু ভল্লুক হারিয়ে যাবে। হারিয়ে যাবে হয়তো বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ । আর সেই সাথে বিলীন হয়ে যাবে নীচের এই কুইভার গাছটিও ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭

পুলহ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় জুন আপু ! অনেক ভালো থাকবেন এবং অব্যাহত ঘোরাঘুরির মাধ্যমে আমাদের চমৎকার সব পোস্ট উপহার দেবেন- এই শুভকামনা :)

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

প্রামানিক বলেছেন: অনেক অজানা তথ্য জানা হলো। একটা উপায় নিশ্চয়ই বের হবে। ধন্যবাদ

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০২

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই! :)

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট। বেশ ভাবনা জাগায় , কি হবে পৃথিবীর ভবিষ্যত?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

পুলহ বলেছেন: বলা কঠিন, তবে বিজ্ঞানীরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমি আশাবাদী- ইনশাল্লাহ সমাধান একটা বেরিয়ে আসবে..
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রেজওয়ানা আলী তনিমা আপু! অনেক ভালো থাকবেন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.