নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

পুলহ

পুলহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রঙিন পাহাড় আর স্ফটিক জলের দেশ (ভ্রমণ পোস্ট)

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

আমার স্বল্প অভিজ্ঞতা বলে- ট্যুরিস্ট স্পটগুলোকে মোটামুটি দুইভাগে ভাগ করা যায়ঃ

১. ক্যামেরায় এদের ছবি আসে মারাত্মক, কিন্তু বাস্তবতার সাথে সেটার পার্থক্য থাকে আকাশ- পাতাল। উদাহরণস্বরূপ জাফলং এর কথা বলা যেতে পারে। ইন্টারনেটে জাফলং এর ছবি দেখে যে কেউ খুব আশা নিয়ে জাফলং ঘুরতে যাবে- স্বচ্ছ জলের খরস্রোতা নদী, স্ফটিক রঙা পানিতে সূর্যের ঝিকিমিকি আর নীচে রঙ বেরঙের পাথর; নদী আগলে রাখা গাঢ় সবুজ পাহাড়শ্রেণী- দূরের উচুনীচু অপূর্ব ভূমিরূপ পেছনে ফেলে কি এক ইন্দ্রজালের জগতই না আড়াল করে দাঁড়িয়ে আছে....
অথচ বাস্তবে সেখানে পৌছে দেখা যাবে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে সিগারেটের ধোয়া ছাড়ার মত করেই কোন ট্রাক্টর হয়তো 'চেগায়া' কালো ধোয়া ছাড়ছে, ঠাস ঠাস শব্দে কোন যন্ত্র ভাংছে সাদা, গোল পাথর; স্বচ্ছ নদী আছে ঠিকই-তবে সেখানে দুনিয়ার মানুষ বসে গোসল করছে, হয়তো ক্যালাস কেউ সবুজ পাহাড়ের ব্যাকগ্রাউন্ডটাকে পেছনে নিয়ে নৃশংস মুখে মেজে চলেছে তার উন্মুক্ত দুই বগল ....

২. এরা উপরে বর্ণিত ক্যাটাগরির বিপরীত। এসব জায়গায় মানুষ কোন আশা নিয়ে যায় না- সেটা ঐ জায়গা সম্পর্কে কম জানার কারণেই হোক, আর ঐ স্পটের 'জনপ্রিয়তা' কম থাকার কারণেই হোক। কিন্তু গিয়ে মুগ্ধ হয়; দ্যাখে- সৌন্দর্যের ঝাপি খুলে প্রকৃতি সেখানে মানুষের জন্য অপেক্ষা করে আছে। যাবার সময় শূণ্য প্রত্যাশা নিয়ে যাওয়া মানুষগুলো ফেরার সময় ফেরে একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে, আর স্বপ্নের মতন সেই স্মৃতি বয়ে বেড়ায় সারাটা জীবন। (এ রকম স্পট হিসেবে সিলেটের লোভাছড়ার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। আমি যদিও সেখানে যাই নি, কিন্তু আমার ছোটভাই ইতোমধ্যে ঘুরে এসেছে। তার কাছেই অদ্ভূত সে স্বপ্ন-জগতের গল্প আমি শুনেছি)
ঘোরাঘুরির ব্যাপারে আমার নিজস্ব একটা ফিলসফি আছে, আর সেটা হোল- উপরের ১ কিংবা ২- যেটাই হোক না কেন আমি সব ক্ষেত্রেই মুগ্ধ হই (কিংবা অন্ততঃ মুগ্ধ হবার ভান করি)। কারণটাও খুব সহজ- কোন গ্রুপের সাথে ট্যুরে গেলে একটা স্পট সম্পর্কে নেগেটিভ মন্তব্য নিঃসন্দেহে অন্য সবার মানসিকতার উপর প্রভাব ফেলে। তাই শুধু শুধু কি দরকার....

এত দীর্ঘ ভূমিকার কারণটা হোল- ২৬ মার্চের ছুটিতে আমি বন্ধু-বান্ধবসহ গিয়েছিলাম নেত্রকোনা এবং সুনামগঞ্জ বেড়াতে। সে ভ্রমণের আনন্দটাই আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য বসেছি আজ; আর তাই এতো ভণিতা, এতো পকপক!

নেত্রকোনায় ঘোরাঘুরিটা হয়েছে মূলতঃ দুর্গাপুর উপজেলায়। বিরিসিরি পৌছে সকালের নাস্তা সেরেই আমরা ট্যুরিস্ট স্পটগুলোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি- প্রথমে চীনামাটির পাহাড়, নীল পানির লেক, রাশমণি মাতার স্মৃতিসৌধ। তারপর সোমেশ্বরী নদী, কমলাবাগান ইত্যাদি ইত্যাদি।

টংক বলতে এক প্রকার খাজনা বোঝানো হয়ে থাকে। অত্যন্ত কঠিন এবং কঠোর এই খাজনার বিরুদ্ধে কৃষকদের সংগঠিত করে বৃটিশ আমলেই প্রথম আন্দোলন শুরু করেন কমরেড মণি সিং। একসময় টংক প্রথা উচ্ছেদ আন্দোলনের সাথে সাথে জমিদারী প্রথার উচ্ছেদ আন্দোলনও শুরু হয়ে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় বৃটিশ পুলিশ কুমুদিনী নামের এক যুবতী হাজংকে ধরে নিয়ে যবার সময় তাতে বাধা দিলে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান হাজং মাতা রাশমণি। তাকে এবং সুরেন্দ্র নামের আরেক ব্যাক্তিকে টংক প্রথা বিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ হিসবে আজো মানুষ স্মরণ করেন গভীর শ্রদ্ধা আর অনিঃশেষ ভালোবাসায়।


হাজং মাতা রাশমণি স্মৃতিসৌধ

চৈত্রের সোনালী রোদে সকালের চীনামাটির পাহাড় দেখে ভালো লেগেছে। ধবধবে সাদা, গোলাপি আর হলুদ পাহাড়ের সারি। মাঝে দিয়ে তার সবুজ দুঃখের মতন পানি জমে আছে। হঠাত হঠাত চৈতালি রোদে সে জামরুল-রঙ্গা পানি ঝিকমিক-ঝিকমিক করে জ্বলে। মনে হয় যেনো হাজার বছর ধরে এই হ্রদের বুকে তিল তিল করে জমা হয়েছে অমূল্য কোন রত্ন। আর সেটারই ক্ষণিক ঝলক বুঝি নির্বাক করে তোলে আমাদের মতন 'নীল পানি' দেখতে যাওয়া পর্যটকদের!






জায়গার নাম যদিও নীল পানি, কিন্তু আমরা পানির সে নীল রঙ পাই নি। 'নীল ফানি দেকছুইন?' 'না দ্যাক্লে আইয়ুইন আমরার লগে'- বলে বলে দুই পিচ্চি আমাদের প্রায় পাচ/ছয়শ' মিটার হাটালো। কিন্তু সেখানেও নীল পানি ছিলো না। সব থেকে গাঢ় রঙটা ছিলো সবুজ, সেরকমই এক লেকের পাশে গাছের ছায়ায় আমরা কিছুক্ষণ বসে রইলাম। সম্ভবতঃ টলটলে সে সবুজ লেকের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েই এক বন্ধু গাঢ় আবেগে গান ধরলো- "ও আমার হাসের ছাও রে....."




সেখান থেকে গেলাম সোমেশ্বরী নদী আর মেঘালয়ের গারো পাহাড় দেখতে। সোমেশ্বরীর স্বচ্ছ পানিতে গা ডুবিয়ে বসে ছিলাম প্রায় দুই ঘন্টা। জমাট হাওয়ার মতন পরিষ্কার আর প্রশান্তির সে জল; সূর্যের আলো অপার্থিব দ্যুতিময় হয়ে সে নদীর তলদেশ পর্যন্ত পৌছে যায়। ঢেউ বদলের সাথে সাথে সোনালি রোদে চকমকিয়ে ওঠে নদীর নরম বুকের সাদা বালি-মাটি-নুড়ি। কবিদের জন্য রীতিমত মাথানষ্ট এক জায়গা !




শরীর জুড়ানো একটা স্নান সেরে এরপর গেলাম কমলা বাগান দেখতে। ঐটা তেমন আহামরি কিছু না (তার ওপর এটা কমলার সিজন ও না), তবে সেখানে একটা টিলার ওপরে উঠে দূরে গারো পাহাড়ের ছবিটা খুব দারুণ মনে হয়।





মনে হয়- আহা! যেনো কি এক অপার রহস্য আড়াল করে আছে দূরের ঐ সবুজ নিমগ্ন পাহাড়শ্রেণী!

পরদিন আমরা গেলাম নেত্রকোনা থেকে সুনামগঞ্জ। প্রায় পাচ ঘন্টার এক মটরসাইকেল যাত্রা। সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত না লিখে শুধু এটুকু বলি- শেষ এক ঘন্টা বাদে প্রথম চার ঘন্টার পুরোটুকুই ছিলো অপ্রত্যাশিত, অনন্য আর পরাবাস্তব!

এই ট্যুর নিয়ে এতো আহা উহু করার একটা গুঢ় কারণ আছে, আর সেটাই এখন বলবো! আব্বুর চাকরির সুবাদে আমার শৈশব পুরোটাই কেটেছে নেত্রকোনায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই আমার বাবা-মা'র কাছে আমার শৈশব নিয়ে যত গল্প আমি শুনেছি- তার পুরোটাই প্রায় নেত্রকোনা কেন্দ্রিক। আজ থেকে প্রায় বিশ বছর আগে এই সোমেশ্বরী নদীর সামনেই আমার একটা ছবি আছে- আমাদের পরিবার এবং আব্বুর আরেক কলিগের পরিবারের সাথে একটা গ্রুপ ফটো! পরবর্তীতে কলেজে ওঠার পর আমার শৈশবের সেই বন্ধু, ছবির সেই ছোট্ট ছেলেটার সাথে আমার আবার দেখা হয়- তবে সেটা আরেক গল্প....

তাই নেত্রকোনার সোমেশ্বরী নদী, মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে আসা স্ফটিক জলের কেবল একটা নদীর নাম নয়- সে নদীর বুকের জল গাঢ় মমতা নিয়ে বয়ে নিয়ে গিয়েছে আমার শৈশব- বহু বহু বছর আগে। ওপারের গারো পাহাড় কেবল শান্ত, সমাহিত অপূর্ব কোন পাহাড়ই নয়। বরং এ পাহাড় ধারণ করে আছে আমার মতই অসংখ্য বঙ্গ সন্তানের ছেলেবেলা আর সে সময়ে শোনা গল্প, আমাদের শৈশবের রূপকথা!

ভালো থাকুক মায়াবী সোমেশ্বরী, ভালো থাকুক গারো পাহাড়।
আদর-মমতার স্মৃতিতে মাখামাখি হয়ে থাকুক আমাদের সকলের শৈশব !

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ রাশমণি স্মৃতিসৌধ এর ছবিটা বাদে আর বাকি সবই আমার সহযাত্রী বন্ধুদের তোলা। রাশমণি স্মৃতিসৌধের ছবিটা নেট থেকে নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

উল্টা দূরবীন বলেছেন: দারুণ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

চাঁদের অরণ্য বলেছেন: ভ্রমণ কাহিনী ভাল লেগেছে। ভ্রমণ জারি থাকুক। শুভকামনা।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

পুলহ বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা! সময় করে পোস্টটা পড়বার জন্য কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

জুন বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা পুলহ, অনেক ভালোলাগলো আমারও ভালোলাগার একটি স্থানের বর্ননা। সোমেশ্বরী নদী পারাপার হওয়া। রাস্তাঘাটের অবস্থা তখন ছিল শোচনীয় তারপরো বিরিসিরি আর সুসং দুর্গাপুরের আনাচে কানাচে ঘুড়ে বেরানোর স্মৃতি ভোলা দুস্কর। আবার যাবার ইচ্ছা আছে। ব্রিজগুলো কি কম্পলিট? রাস্তার অবস্থা কি জানাবেন কাইন্ডলি। প্রাইভেট কার যাবে কি?
+

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

পুলহ বলেছেন: আপনার ভ্রমণ পোস্টগুলো মুগ্ধ হয়ে পড়ি। তাই আমার এলোমেলো এই ভ্রমণ পোস্টে আপনার মন্তব্য দেখে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছে !
রাস্তার অবস্থা এখনো খারাপ বলেই জানি, তবে ফরচুনেটলি আমাদের বাস ঐ খারাপ রাস্তা দিয়ে যায় নি! কলমাকান্দা ঘুরে তারপর বিরিসিরি গিয়েছে। তাই রাস্তার ঝাকুনি এভয়েড করা গেছে অনেকটাই। আর বিরিসিরি/ দুর্গাপুর স্পটগুলিতে যাবার রাস্তা এখনো অনেকটুকুই উচুনীচু, কাচা এবং কমফোর্টেবল নয়। সেক্ষেত্রে পর্যটকদের বেশ ভালোই ঝক্কি পোহাতে হয়, এখনো !

শুভকামনা রইলো আপু! মন্তব্যের জন্য আবারো অনেক ধন্যবাদ !

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

পুলহ বলেছেন: গতকাল রাতে কাকতালীয়ভাবে আমার এক আত্মীয়ের সাথে কথা হোল, যারা নাকি ফ্রেন্ডরা মিলে ৪/৫ মাস আগে মাইক্রো (হাইএস) নিয়ে গিয়েছিলেন বিরিসিরি। উনি জানালেন প্রায় চার ঘন্টা জার্নির শেষের এক ঘন্টা রাস্তা নাকি খুব খারাপ ছিলো। বিরিসিরি পৌছে সোমেশ্বরীর এপারে মাইক্রো রেখে ওপারে গিয়ে ওনারা অটো/ রিকশা দিয়ে ঘুরেছিলেন।

আপনার মন্তব্যের সাথে প্রাসঙ্গিক হওয়ায় মনে হোল তথ্যটা হয়তো আপনার কাজে লাগতে পারে। তবে আমি নিজে যেহেতু বাসে গিয়েছিলাম- সে হিসেবে আমি সেটাকেই প্রেফার করবো !
শুভকামনা জুন আপু!!

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক সুন্দর। সেখানে যাবার ইচ্ছা আছে। মার্চ থেকে এর সবুজ টলমলে পানি ঘোলা হয়ে যায় যতদুর জানি। আপনি কখন গিয়েছিলেন?
আচ্ছা, সোমেশ্বরী,বিরিশিরি এইসব রোমান্টিক সুন্দর নামগুলো কি পরে দেয়া? নাকি স্থানীয় নামই এটা।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

পুলহ বলেছেন: আমি ২/৩ দিন আগে ঘুরে এসেছি। ঐখানের স্থানীয় মানুষজন বলেন- শীতকালে নাকি নীল পানি পাওয়া যায়। সুতরাং, স্বাভাবিকভাবেই আমরা সেটা পাই নি।
বিরিশিরির কথা বলতে পারি না, তবে সোমেশ্বরী নামটা 'সোমেশ্বর পাঠক' নামের একজন শাসকের নামানুসারে দেয়া। ঐ ভদ্রলোক আসাম থেকে এ জায়গায় এসে এখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর এখানকার গারো রাজাকে পরাজিত করে- এখানেই থেকে যান। সেই থেকেই মানুষজন নদীটাকে সোমেশ্বরী নদী নামে ডাকে।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ পলক শাহরিয়ার ভাই। অনেক ভালো থাকবেন !

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: খুব সুন্দর, ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

পুলহ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটা সময় করে পড়বার জন্য। মন্তব্যে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অনেক ভালো থাকবেন হাসান জাকির ৭১৭১ ভাই !

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৩

কালীদাস বলেছেন: পরাবাস্তব মোটরসাইকেল জার্নি?! ডিটেইলস জানতে ইচ্ছা করছে! গেছেন কি জামালপুর হয়ে নাকি এন২ দিয়ে?
নীলপানির চিন্হও তো নেই কোথাও :(
বর্ণনাটা ভাল :)

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

পুলহ বলেছেন: হ্যা, নীলপানি এখন পাওয়া যায় না। শুনেছি ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে থাকে ! এখন পানির রঙ সবুজ/ জামরুল রঙা ।
আসলে সুনামগঞ্জ ঘুরতে হলে তো সাধারণত ডেডিকেটেডলি সুনামগঞ্জের জন্যই বের হতে হয়, কারণ ট্যুরিস্ট স্পট তো সেখানে অনেক; কিন্তু এবার অত টাইম ছিলো না আমাদের। তাই এবার সুনামগঞ্জ সত্যি বলতে আমাদের ঘোরার প্ল্যান ও ছিলো না, মেইনলি নেত্রকোনা থেকে সুনামগঞ্জে যাওয়ার রাস্তায় (যেটা মেঘালয়ের বর্ডার ঘেষে চলে গেছে) একটা বাইক ট্যুর দেওয়াটাই ছিলো উদ্দেশ্য। এন্ড দ্যাট ওয়াজ ওয়ান্ডারফুল !
ঐটা প্রায় ডেডিকেটেডলি মোটর সাইকেল এরই রাস্তা। মোটা দাগে রূটটা এমনঃ বিরিসিরি-< কলমাকান্দা -< তাহিরপুর -< সুনামগঞ্জ..
পরাবাস্তব বলেছি এই সেন্সে যে সেখানে বারেকের টিলা নামের একটা জায়গার অনেকটা আগে দিয়ে সবুজ পানির লেকের মতন আছে। তার একপাশে মেঘালয়ের পাথুরে পাহাড়, আরেকপাশে বাংলাদেশের ঘাসে ঢাকা উচুনীচু টিলা। একদিকে বড় বড় কয়লা- ধূসর পাথর, অন্যদিকে মায়াময় সবুজ; যেন মনে হয় প্রকৃতির রুক্ষতা আর কোমলতার সহ-অবস্থান ...
ভবিষ্যতে সুনামগঞ্জ ট্যুর দেয়ার ইচ্ছা আছে, তাই এখানে আর ঐ ট্যুরের বিস্তারিত লেখি নি। সামনে ইনশাল্লাহ ইচ্ছা আছে !
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন কালীদাস!

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৪

কালীদাস বলেছেন: স্যরি, জামালগণ্জ হবে।

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫১

আরজু পনি বলেছেন:

আপনার বর্ণনা অসাধারণ...সে আমি জানি।
তবে ফটো ব্লগে একটু কার্পণ্য করেছেন কি?

যদি বিরিসিরি ঘুরে এসে থাকেন (ঘুরেছেনইতো) তবে বলবো অবশ্যই আরো ছবি দিতে পারতেন।
নৌকার ছবিটা বেশি ভালো লাগলো।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৫

পুলহ বলেছেন: হা হা হা ! আপনার অনুমান ঠিক আছে আপু, আসলেই ছবি দেয়ার ব্যাপারে আমি কিঞ্চিত কৃপণ না হলেও, অলস তো বটেই !
আর আমি নিজে আসলে স্মার্টফোন ব্যবহার করি না, তাই সেরকম ছবিও তোলা হয় না। এখানের প্রতিটা ছবি আমার বন্ধুদের কাছ থেকে নেয়া।
চাইলে গুগল থেকে ছবি দেয়া যায়, তবে সেটা পারতপক্ষে করতে ইচ্ছে করে না।
মন্তব্যে অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানবেন । নৌকার ছবিটা আমার নিজের কাছেও খুব আর্টিস্টিক লেগেছে !
শুভকামনা সব সময়ের জন্য !

৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আরও বেশি ছবি দিতেন।আপনার বর্ননার মাঝে মুগদ্ধতা আছে..

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪

পুলহ বলেছেন: ছবি দেওয়ার ব্যাপারে কেন জানি একটা অলসতা কাজ করে ভাই! তার উপ্রে আমি নিজেও আবার স্মার্টফোন ব্যবহার করি না তো, তাই সেরকম ছবিও তোলা হয় না। এখানের প্রতিটা ছবি আমার বন্ধুদের কাছ থেকে নেয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটা সময় করে পড়বার জন্য।
ভালো থাকবেন।

১০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভালো থাকুক মায়াবী সোমেশ্বরী, ভালো থাকুক গারো পাহাড়।
আদর-মমতার স্মৃতিতে মাখামাখি হয়ে থাকুক আমাদের সকলের শৈশব ! :)

++++++++

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

পুলহ বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটা সময় করে পড়বার জন্য।
মন্তব্যে রইলো আন্তরিক কৃতজ্ঞতা !
ভালো থাকবেন অনেক। শুভকামনা!

১১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

প্রামানিক বলেছেন: ছবি লেখা খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

পুলহ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই !

১২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সুন্দর B-) B-)
ভাল লাগলো।
ভাল থাকুন।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ !
আপনিও অনেক ভালো থাকুন।

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: পুলহ ,



স্বল্প অভিজ্ঞতায় (?) বিশাল পর্য্যবেক্ষন । একদম ঠিক বলেছেন --- ক্যামেরার চোখ আর বাস্তবের চোখে আকাশ পাতাল ব্যবধান । ক্যামেরা ছবি দেখে ( তোলে ) লেন্স দিয়ে আর মানুষ দেখে তার মস্তিষ্ক দিয়ে ।

আপনার ভণিতা আর পকপক , পুলক জাগানিয়া ।
নদীর নাম সোমেশ্বরী , দারুন না ? তার উপর, তার বুকের তলে মুক্তো জ্বলে .....

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

পুলহ বলেছেন: আপনার মন্তব্য গুলো সব সময়েই সাধারণত অনন্য হয়, তাই অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করে।
নদীর নামটা আসলেই খুব সুন্দর। অসম্ভব শ্রুতিমধুর !
ভালো থাকবেন আহমেদ জী এস ভাই !

১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

আমিই মিসির আলী বলেছেন: চমৎকার বর্নণ!!

ভূমিকা ভালো লাগিলো। :#)
ছবি গুলোও সুন্দর।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০১

পুলহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটা সময় করে পড়বার জন্য 'আমিই মিসির আলী' !
মন্তব্যে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক !

১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

আরইউ বলেছেন: চমৎকার!

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ আরইউ!

১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

তার আর পর নেই… বলেছেন: ও আমার হাঁসের ছাও রে … তারপর কি? গানটা শুনতে মন চাইতেছে। :P

নেত্রকোণা আর সুনামগঞ্জ … আপনার বর্ণনা শুনে যাবার লিস্টে রেখে দিলাম। ঘুরে বেড়াতে আমার খুব ভালো লাগে। পাহাড় বেশি।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

পুলহ বলেছেন: সুনামগঞ্জ এবার অত ডিটেইলস ঘোরা হয় নি, আবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে ইনশাল্লাহ। দেখা যাক !
আমার অবশ্য পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য- তিনটারেই তিন রকমের ভালো লাগে !

গানের লিরিক্সঃ
'ও আমার হাঁসের ছাও রে
আরে ও আমার হাঁসের ছাও রে
ঠিল্যা ভইরা রাখছি কুড়া
চুক-চুকাইয়া খাইছে রে
ও আমার হাঁসের ছাও রে

উত্তর ঘরের ছনছা দিয়া
দহিনার ঘরের ভিডা দিয়া
একটু আগে গেছে রে
ও আমার হাঁসের ছাও রে
আরে ও আমার হাঁসের ছাও রে.......'-- হা হা হা !!

ভালো থাকবেন তার আর পর নেই… ।

১৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

তার আর পর নেই… বলেছেন: ভালো গান। ঠিল্যা ভইরা কুড়া মেখে রাখছে মনে হয়। নাইলে চুকচুকাইয়া শব্দ হবে কেন?

গানটাতে হাঁসের ছা কি রূপক?

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

পুলহ বলেছেন: কি জানি ! হতে পারে !
আমি তো প্লেইন এন্ড সিম্পল গান ভেবেই খুব মজা পেয়েছি !

১৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সোমেশ্বরীর ছবি অনেকের পোস্টে দেখেছি। ফেসবুকেও দেখেছি। বর্ষায় এর রূপ নাকি অপরূপা হয়। খুব ইচ্ছে দেখার।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

পুলহ বলেছেন: হ্যা, স্থানীয়রা বলে এক এক ঋতুতে মায়াবী সোমেশ্বরীর একেক রূপ; আপনি ঠিকই শুনেছেন।
ঘুরে আসুন একবার, খুব একটা দূরে তো নয়! একদিনেই মূল জায়গাগুলো দেখে ফেলতে পারবেন, আরেকটু রিলাক্সে ঘুরতে চাইলে সর্বোচ্চ দেড় দিন! এতেই বিরিসিরি এবং দুর্গাপুর সব স্পটই ভালোমত কাভার করতে পারার কথা।
লেখাটা সময় করে পড়বার জন্য ধন্যবাদ !

১৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

সকাল রয় বলেছেন: নদীর নামটি সোমেশ্বরী। সোমেশ্বর পাঠকের নামনুসারে হলেও এর আদি নাম ছিলো "ছিমছাং"। গারো-হাজংদের আদিনিবাস সে প্রায় অনেক বছর আগেকার কথা। আর বিরিশিরি এক কন্যার নাম সে আরেক গল্প। তবে গ্রামগুলোর নাম প্রায় ৮০০ বছরের পুরোনো। ইতিহাস বলে এ অঞ্চল ছিলো কোচ রাজার অধীনে তবে তিনি কখনো এ রাজ্যে পা রাখেন নি।

অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়েছেন। আরও বেশ সুন্দর কিছু পাহাড়েরর ছবি দিলে দেখে আমরাও নয়ন জুড়াতে পারতাম। যাই হোক পরবর্তীতে দূর্গাপুর গেলে আরও কিছু ছবি দেবেন দেখবো।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

পুলহ বলেছেন: বিরিশিরি এক কন্যার নাম- এ ব্যাপারটা জানা ছিলো না।
আমার ভুল না হয়ে থাকলে- আপনার লেখায় সুসং দুর্গাপুর, কংশ নদী- এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে। মন্তব্যের ঘরে আপনার নামটা দেখে সেই স্মৃতিই মনে পড়লো !
ছবি দেওয়ার ব্যাপারে কেন জানি একটা অলসতা কাজ করে দাদা! তার উপরে আমি নিজেও আবার স্মার্টফোন ব্যবহার করি না তো, তাই সেরকম ছবিও তোলা হয় না। এখানের প্রতিটা ছবি আমার বন্ধুদের কাছ থেকে নেয়া।
অনেক ভালো থাকবেন। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুপ্রিয় লেখক।
শুভকামনা!

২০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

বিজন রয় বলেছেন: অসাম।
চমৎকার।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

পুলহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা লেখাটা সময় করে পড়বার জন্য।
অনেক ভালো থাকবেন আর শুভকামনা জানবেন !

২১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪২

সকাল রয় বলেছেন: আমি সুসং নগরে প্রায়শই থাকি (সুসং দুর্গাপুর কাগজ-কলমে নাম)। যে কারনে পাশাপাশি বেশ কিছু নদীর নাম লেখায় চলে আসে। সুসং দুর্গাপুর নিয়ে আমার যতগুলো পোস্ট আছে এই ব্লগে তার অনেক ছবিই মোবাইল ফোনে তোলা।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

পুলহ বলেছেন: ওহ! জেনে ভালো লাগলো।
যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন দাদা। সবসময়!

২২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৪৯

আহসানের ব্লগ বলেছেন: প্লাস ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ! শুভকামনা !!

২৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

আহসানের ব্লগ বলেছেন: :)

২৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

নেক্সাস বলেছেন: বেশ প্রাণবন্ত বর্ণনা। ভাল লেগেছে বেশ। তবে মাইনাস।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

পুলহ বলেছেন: হায় হায় ভাই, মাইনাস কেন?!!
হা হা হা, ধন্যবাদ নেক্সাস ভাই সময় করে পড়বার জন্য। মন্তব্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন!
আর ভালো থাকবেন সবসময়।

২৫| ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার ছবি আর বর্ণনা :)

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১২:১৭

পুলহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটা সময় করে পড়বার জন্য।
পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা মনিরা সুলতানা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.