নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

পুলহ

পুলহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিমুর সিম ভেরিফিকেশন (বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রম্য করার চেষ্টা)

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১


"বলুন কি করতে পারি আপনাদের জন্য। "
হিমু জবাব না দিয়ে মধুর ভঙ্গিতে হাসলো। সে হাসিতে এক নামী দামী কর্পোরেট অফিসের ডিজিএম- হাসান সাহেব বিভ্রান্ত হলেন কি না, ঠিক বোঝা গেলো না। তিনি আগের মতই স্পষ্ট গলায় বললেনঃ "আপনি কি কারো রেফারেন্সে এসেছেন?"
"জ্বি না স্যার! আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ। কারো রেফারেন্স নিয়ে আসার মত ন্যুনতম যোগ্যতাটুকুও আমার নেই।"
"আপনারা কোথা থেকে আসছেন?"
"আমি এসেছি আগামসি লেনের একটা মেস থেকে। আর উনি এসেছেন সুদূর নেত্রকোনার কেন্দুয়া থেকে...."
"নেত্রকোনার কেন্দুয়া থেকে আমার কাছে কিসের জন্য- জানতে পারি?"
হিমু এ পর্যায়ে বিনীত গলায় বললো-"স্যার উনার নাম মনসুর বয়াতি, উনি বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী আব্দুল কুদ্দুস বয়াতির শিষ্য। মনসুর ভাই আসলে আপনার কাছে আসেন নি, এসেছিলেন আমার কাছে। আমি আপনার অফিসে আসার সময় উনাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি।"
হাসান সাহেব নিজের চেয়ার থেকে কিছুটা সামনের দিকে ঝুকে পড়ে বললেনঃ

"একটু খুলে বলুন তো হিমু সাহেব! অবশ্য খুব বেশি সময় আমি আপনাদের দিতে পারবো না। এগারোটার দিকে আমার একটা মিটিং আছে...."
"আমি আপনার দশ মিনিটের বেশি সময় নেবো না। সত্যি বলতে- আমার এখানে আসার উদ্দেশ্যই হোল আপনাকে শুধু একটা রিপোর্ট হ্যান্ড-ওভার করা। তারপরই আমার কাজ শেষ!"
"কিসের রিপোর্ট?"
"আমার ফুপাতো ভাই বাদল নিজ উদ্যোগে একটা গবেষণা চালিয়েছে। গবেষণার বিষয় বস্তু "বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতির ওপর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের প্রভাব"। গত প্রায় কয়েক মাস যাবত সে এটা নিয়ে একাডেমিক পর্যায়ে এবং মাঠ পর্যায়ে কাজ করে চলেছে। সেটারই খুটি-নাটি, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দিয়ে সাজানো এই রিপোর্ট।"
"আমি আপনার কথা এখনো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না..."

"দুই একটা উদাহরণ দিলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। যেমন ধরুন প্রবাদ-প্রবচন বাংলাদেশের সমাজ-ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন- এই প্রবাদ-প্রবচনের ওপর বেশকিছু প্রভাব ফেলতে পারে। দেখা গেলো- বহুকাল ধরে চলে আসা প্রবাদ 'যত বড় মুখ নয়, তত বড় কথা' - এর বদলে মানুষ হঠাত বলতে শুরু করেছে 'যত বড় আঙ্গুল নয়, তত বড় ছাপ"। কিংবা ধরুন 'ঘুঘু দেখেছ, ফাদ দেখোনি' এর বদলে 'আঙ্গুল দেখেছো, ছাপ দেখোনি'। "
হাসান সাহেব কিছু বললেন না, মনে হোল তিনি অধিক শোকে পাথর হয়ে গেছেন।
হিমু উৎসাহের সাথে বলতে লাগলো- "এছাড়া চলচ্চিত্র একটা জাতির মনন এবং একই সাথে শৈল্পিক রুচিরও প্রতীক, সেই চলচ্চিত্রেও বায়োমেট্রিক পদ্ধতির সীম নিবন্ধন বেশ ভালো প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন ভবিষ্যতে আমরা হয়তো কোন নায়কের মুখে সংলাপ শুনবো- "চৌধুরি সাহেব- আমি গরীব হতে পারি, কিন্তু আমারো বায়োমেট্রিক সিম আছে!" অথবা নায়িকা হয়তো ভিলেনকে শাসিয়ে বলবে-ছেড়ে দে! তুই আমার আঙ্গুল পাবি, কিন্তু ছাপ পাবি না....."

হাসান সাহেব ঠান্ডা গলায় শুধু বললেনঃ "আই সি"
হিমু গলার স্বর নীচু করে বললো- "স্যার, এই রিপোর্টের সব থেকে উল্লেখযোগ্য দিকটা হোল- এতে সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য বেশ কিছু সুপারিশও তৈরি করা হয়েছে। যেমন- ঘুষখোর সম্প্রদায়ের জন্য একটা সুপারিশ হোল- এখন থেকে ঘুষ নেয়ার সময় সম্মানিত ঘুষখোর মহোদয়গণ যেন রুমাল অথবা ত্যানা জাতীয় কিছু একটা দিয়ে প্রথমে নিজের হাতখানা পেচিয়ে নেয়। তা না হলে বলা তো যায় না, কখন আবার দুদক ঘুষের টাকার বাণ্ডিলের গায়ে আঙ্গুলের ছাপ শনাক্ত করে ঘুষখোরের বিরুদ্ধে মামলা করে বসে.... সুতরাং, অসতর্কম কার্য্যতঃ নাস্তি।"
হিমুর ভুলভাল সংস্কৃত শুনে ডিজিএম সাহেব আরো গম্ভীর হয়ে গেলেন। ওদিকে হিমু বলে যেতে লাগলো- "রিপোর্টের শেষদিকে নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু সুপারিশমালাও যোগ করে দেয়া হয়েছে। যেমন- আমরা শুনতে পাচ্ছি- আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সিম নিবন্ধনের পর উক্ত তথ্য অপরাধী শনাক্তকরণের কাজটুকু সহজ করে দেবে। তবে আপনার নিশ্চই জানা আছে- আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে দিয়ে অপরাধীরাও এগিয়ে যাচ্ছে। তাই দেখা গেলো- অপরাধীরা এ থেকে বাচার উপায় হিসেবে চায়না থেকে শ'য়ে শ'য়ে নকল আঙ্গুল বানিয়ে নিয়ে এলো। চুরি, ডাকাতি, খুন, ছিনতাই- এসবই করা হোল সেই নকল আঙ্গুলগুলো পড়ে। শেষমেষ- যেই লাউ, সেই কদু! সুতরাং- এসবদিকেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।"
"কিছু মনে করবেন না হিমু সাহেব, আমার মনে হচ্ছে- আপনার ফুপাতো ভাইটা মানসিকভাবে ঠিক সুস্থ নন। এনিওয়ে- আজ আর আমি আপনাকে সময় দিতে পারছি না বলে দুঃখিত। ইট ওয়াজ নাইস টু মিট ইউ..."

হিমু চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়াতে দাড়াতে বললো- "আমরা সবাই আসলে মানসিকভাবে অসুস্থ স্যার। কেউ বেশি, কেউ কম। যাই হোক- আমি রিপোর্টটা রেখে গেলাম, সময়-সুযোগ পেলে পড়ে দেখবেন আশা করি।"
হাসান সাহেব কিছু বললেন না, স্থির চোখে শুধু হিমু আর তার সঙ্গী- মনসুর বয়াতির দিকে তাকিয়ে রইলেন।

তারা দু'জন বিদায় নিয়ে সে অফিস থেকে বাইরে বেরিয়ে এলো।


হিমু এবং মনসুর বয়াতির পরবর্তী গন্তব্য বাংলালিংকের কোন একটা ভেরিফিকেশন সেন্টার। হিমুর নিজের কোন মোবাইল সিম নেই, মনসুর বয়াতির সিম রেজিস্ট্রেশন করার জন্যই হিমু তার সাথে সাথে চললো।
"হেমু ভাই, হেই অফিসে কেমুন উমাইল্যা একটা গন্দ দ্যাকছুইন?"
"ওটা এসির কারণে মনসুর ভাই।"
"গন্দে আমার ফেট ফুইল্যা যাইতাছিলো গা গো! বাইরে আইয়া-এইরা বাইচ্যা গেছি।"
হিমু প্রসঙ্গ পালটে বললো "কিছু খাবেন মনসুর ভাই? চা, সিগারেট, ডাব??"

রাস্তার পাশে টং দোকানে বসে তারা সিগারেট ধরালো। মনসুর বয়াতি পান একটা মুখে দিয়ে সুখী সুখী ভঙ্গিতে সিগারেট টানতে লাগলেন। হিমু তার সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে মনসুর বয়াতিকে জিজ্ঞেস করলোঃ "আপনারা এই সিম রেজিস্ট্রেশন নিয়ে নতুন কোন গান বাধেন নি?"
"উস্তাদে বানছে।"
"উস্তাদে কি বানছে শুনান তো একটু!"

মনসুর বয়াতি সাথে সাথেই মাথা ঝাকিয়ে গান ধরলো

"এই সিম সিম নয়, আরো সিম আছে
এই সিমেরে নিবে তুমরা সেই সিমেরও কাছে
এহে হে হে হে এ এ এ এ.....

শুনেন শুনেন ভাই-বুইনেরা শুনেন দিয়া মন
বায়োমেট্টিক করতে হইবো হইছে নির্ধারণ
ওহো হো হো হো ওওওও.....

আঙ্গুলেরও ছাপ দিয়া সিম নিবন্ধন হয়
সুখী শান্তি দ্যাশ হইবো বয়াতিতে কয়
ওহো হো হো হো ওওওও....." -- এটুকু গেয়েই মনসুর বিকট শব্দে কাশতে লাগলেন। একসময় কোনমতে কাশি থামিয়ে হাপাতে হাপাতে বললেন- "আর বিড়ি খাইতাম না গো..."

চা-সিগারেটের বিল মিটিয়ে তারা গুলশানেরই একটা বাংলালিংক পয়েন্টে ঢুকলো সিম নিবন্ধনের জন্য। সময় শেষের দিকে- বিধায় বেশ ভালোই ভীড়। প্রায় চার-পাচজন কর্মী সিম ভেরিফিকেশনের কাজ করছেন- যাদের প্রত্যেকেই মহিলা নয়তো তরুণী। এমনই একজনের সামনে ভীড় একটু পাতলা দেখে হিমুরা তাড়াতাড়ি সেদিকেই এগিয়ে গেলো।

এই মেয়েটার বয়স অন্যদের চেয়ে কম দেখেই সম্ভবত সিম রেজিস্ট্রেশন করতে আসা মানুষেরা তার কাছে যেতে খুব একটা ভরসা করতে পারছে না; তার উপর মেয়েটার চেহারাও কেমন মায়া মায়া, কিছুটা দিশাহারাও বুঝি! হিমুর মনে হোল- একে এই চকচকে আলোর ব্যস্ত কর্পোরেট জগতের চেয়ে গোধূলির কন্যাসুন্দর আলোয় ছাদের রেলিঙে হেলান দেয়া অবস্থায় বেশি মানিয়ে যেতো ।

মনসুর বয়াতির সিম রেজিস্ট্রেশন শুরু হোল। মেয়েটা এক পর্যায়ে মনসুর সাহেবের ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ছবি দেখে বললোঃ "আপনার এখানকার ছবির সাথে তো আপনার চেহারার কোন মিলই নেই।"
বয়াতি কিছু বলবার আগেই হিমু তার মুখের কথা লুফে নিয়ে অত্যন্ত বিনীত ভঙ্গিতে বললোঃ "আসলে ম্যাডাম, চেহারা তো আর আঙ্গুল না- যে সব সময় দেখতে একই রকম লাগবে। এমনকি একই চেহারা অল্প সময়ের ব্যবধানে কিংবা ভিন্ন ভিন্ন আলোতেও একেক সময় একেক রকম দেখাতে পারে। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনার কথাই বলি- তাহলে এখানে আপনাকে দেখতে যেমনই লাগুক না কেন, শেষ বিকেলের আলোয় তার থেকে হাজার গুণ বেশি সুন্দর লাগবে- এটা আমি বাজি ধরে বলে দিতে পারি...."
"এক্সকিউজ মি, এখানে আপনি কথা বলছেন কেন? রেজিস্ট্রেশন করাতে এসেছেন উনি। আর তাছাড়া একজনের কথার মাঝখানে এরকম হুট হাট করে ঢুকে পড়াটাও তো অভদ্রতা।"
হিমু হাসিমুখে মনসুর বয়াতিকে দেখিয়ে বললোঃ "উনি আসলে স্বল্প কথার মানুষ, গান-বাজনা নিয়ে থাকেন। অতিরিক্ত কথা বলাটা উনার বড়ই অপছন্দ। সে কারণেই মূলত উনার হয়ে আমি কথা বলছি।"
মেয়েটা অবিশ্বাসের গলায় বললোঃ "এমন অদ্ভূত কথা আমি জীবনে শুনি নি। যাই হোক-' মনসুর বয়াতির দিকে তাকিয়ে- 'আপনি এখানে আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলটা প্রথমে রাখুন....'
মনসুর বয়াতি যখন ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিচ্ছিলেন, তখন হিমু কৌতূহলী গলায় মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলোঃ "আচ্ছা ম্যাডাম, যাদের আঙ্গুল নাই, তাদের রেজিস্ট্রেশন হবে কিভাবে? যেমন পত্রিকায় আমরা অনেক সময় দেখি না, যে - বোম তৈরি করতে যেয়ে দুর্ঘটনাবশতঃ সন্ত্রাসীর হাত উড়ে গেলো। তাদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাটা কি?"
মেয়েটি এবার ঠান্ডা চোখে হিমুর দিকে তাকিয়ে তার চেয়েও ঠান্ডা গলায় বললোঃ "কোন কাজের কথা না থাকলে দয়া করে চুপ করে থাকুন। এসব সস্তা রসিকতা করে লাভটা হচ্ছে কি?"
"আমি সত্যিই জানতে চাচ্ছি ম্যাডাম। হয়েছে কি- আমার কয়েকজন পরিচিত ভিক্ষুক আছে যাদের হাতই নেই, কিন্তু মোবাইল আছে। তারা কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবে? তাছাড়া পদ্ধতিটা জানা থাকলে আঙ্গুল কাটা জগলু ভাইয়েরও কাজে লাগতে পারে।"
"ওহ গড, সন্ত্রাসী আঙ্গুল কাটা জগলু?! আপনি তো ডেঞ্জারাস লোক...."
"ডেঞ্জারাস লোক আমি নই, তবে জগলু ভাইকে বলতে পারেন। উনি শুধু আমাকে উনার ছোটভাই হিসেবে অত্যন্ত পছন্দ করেন- এটুকুই!"

মেয়েটি আর কথা বাড়ালো না, একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে কিছুক্ষণ গুটগুট করে কম্পিউটারে কিছু একটা টাইপ করলো, তারপর মাথা নীচু করে কাগজে কিছু একটা লিখে মনসুর বয়াতির দিকে তাকিয়ে বললো- "আপনার কাজ শেষ। সিম রেজিস্ট্রেশনের জন্য ধন্যবাদ!"
একথা শোনার পর মনসুরকে দেখে মনে হোল যেন- তার উপর থেকে বিরাট কোন বিপদ কেটে গেছে। সে মিনমিন করে মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলোঃ "টেহা কত দিতাম গো আফা?"
"টাকা লাগবে না। এটা তো ফ্রী!"
হিমু সাথে সাথে বললোঃ "অনেক জায়গায় দশ বিশ টাকা করে নিচ্ছে তো, তাই হয়তো উনি আপনাকে জিজ্ঞেস করেছেন।"
টাকা লাগবে না শুনে বয়াতি ভীষণ অবাক হয়েছিলেন, হিমুর দিকে ফিরে বললেনঃ "কি ক্কয় তাইনে হেমু ভাই, টেহা বলে লাগতো না।"
"টেহা না নিলে আর কি করবেন! জোর করে তো আর দেয়া যাবে না- তাই না!"
এ পর্যায়ে হিমু এবং মনসুর বয়াতি দু'জন চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালো। তারপর হঠাত একটা কিছু মনে পড়ে গেছে- এমন ভঙ্গিতে হিমু মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললোঃ "আচ্ছা ম্যাডাম, লাস্ট কোয়েশ্চেন! কেউ যদি আঙ্গুলের ছাপের বদলে সিম ভেরিকিফিকেশনের সময় কলাগাছ নিয়ে আসে- তাহলে কি হবে??"
"কি বলতে চাচ্ছেন, পরিষ্কার করে বলুন।"
"না মানে বলছিলাম কি- একটা কথা আছে না- 'আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ'। তাই আঙ্গুলের ছাপ দেয়া, আর কলাগাছের ছাপ দেয়া তো একই জিনিস হওয়ার কথা..."

মেয়েটি হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষণ হিমুর দিকে তাকিয়ে থাকে, তারপর আশেপাশের সবাইকে সচকিত করে হঠাত খিলখিল শব্দে হাসতে শুরু করলো। শুধুমাত্র হিমু না হয়ে সে জায়গায় যদি অন্য কোন যুবক থাকতো, তাহলে সে নিশ্চিতভাবেই তখন ঐ মেয়ের প্রেমে পড়ে যেতো; হিমু বলেই কেবল তার কোন ভাবান্তর হোল না! সে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে মনসুর বয়াতিকে নিয়ে গুলশানের ভেরিফিকেশন পয়েন্ট থেকে বাইরে বেরিয়ে এলো।

হিমুদের যে কখনো, কারো প্রেমে পড়তে নেই!

(হিমুকে চেনেন না- এমন বাংলাদেশি খুজে পাওয়াটা দুঃসাধ্য। হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট এই চরিত্রটি বাংলাদেশের অসংখ্য যুবকের মত আমাকেও প্রবলভাবে আলোড়িত করেছিলো এবং হয়তো করে যাবে আমরণ। এ লেখাটা কোন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে লেখা হয় নি, হিমু এবং তার লেখক হুমায়ূন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা থেকেই লেখা হয়েছে। ইন কেইস- যদি প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ কর্তৃক দায়িত্ব ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত কারো এ ধরণের লেখা নিয়ে কোন আপত্তি থাকে, তবে আমাকে জানালেই আমি পত্রপাঠ গল্প এডিট করে দেবো....

অন্য কারো সৃষ্ট চরিত্রদেরকে নিয়ে কিছু লেখবার আগে নিঃসন্দেহে তাদের অনুমতি নেয়াটা আবশ্যক, যেহেতু আমার সেই সুযোগ নেই- তাই পাবলিকলি এই অংশটুক লিখে জানালাম, দায়িত্ব মনে করেই!

হ্যাপি রিডিং)

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: পুলহ ,



"চৌধুরি সাহেব- আমি গরীব হতে পারি, কিন্তু আমারো বায়োমেট্রিক সিম আছে!"

হা.................হা............হা.............. পুলকিত হলুম । B-)

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৫

পুলহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। আপনি পুলকিত জেনে আমারো ভালো লাগছে!

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মোশারফ তানভীর বলেছেন: জোর করে হিমুগিরি খাটানো হয়েছে! তাছাড়া হুমায়ূনের হিমু হয়নি!
তবে দুধের সাধ ঘোলে মিটেছে!
ধইন্যা!!!

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৯

পুলহ বলেছেন: ভাই, কই হুমায়ূন স্যার, আর কই আমি!!!!!!! সুতরাং আমার পোস্ট থেকে স্বতঃস্ফূর্ত 'হিমুগিরি' আশা করাটাও তো ঠিক না !
মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকা হোক মোশারফ তানভীর!

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৫

মুসাফির নামা বলেছেন: একে এই চকচকে আলোর ব্যস্ত কর্পোরেট জগতের চেয়ে গোধূলির কন্যাসুন্দর আলোয় ছাদের রেলিঙে হেলান দেয়া অবস্থায় বেশি ভালো লাগতো।


পুলহ ভাই, আপনার লুলু পোস্ট অসাধারণ হইছে। ++++++++++যেন হুমায়ন পড়ছিলাম।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২১

পুলহ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে গভীর কৃতজ্ঞতা মুসাফির নামা ভাই। অনেক ভালো থাকবেন!

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জিপি সিম নিবন্ধন করতে গিয়ে কাস্টমার কেয়ার এর এক সুন্দরী মাইয়ার ওপর ক্রাস খাইসিলাম ।
লেখা ভালো হইসে! আমারও জানতে ইচ্ছে করে যাগো অাঙ্গুল নাই, হেরা ক্যামনে ছাপ দিবো?

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২২

পুলহ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা সাধু ভাই।

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৫

মুসাফির নামা বলেছেন: যাদের হাত নেই, হেরা মোরইল ইউজ করবে কেমনে? সিম নিবন্ধন দরকার কি?

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

পুলহ বলেছেন: কবি এইখানে নীরব ...

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩২

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: হিমুর সাথে তারানা আপার সাক্ষাত করাইতেন! :D
গল্প ভাল লাগছে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রম্য করা পোস্টে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে গেলাম। ;)

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

পুলহ বলেছেন: হা হা হা, ধন্যবাদ ভাই। পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা !

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

মোঃ মাকছুদুর রহমান বলেছেন: গল্পটা অনেক ভালো লেগেছে,ধন্যবাদ!
প্রশ্ন হলো, গল্পটি বায়োমেট্রিক
পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিনা?

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

পুলহ বলেছেন: না ভাই এখনো করি নাই। পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা...

৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২১

প্রামানিক বলেছেন: হা হা যা হইছে ভালই হইছে মন্দ হয় নাই।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১১

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৪

চিক্কুর বলেছেন: চমৎকার হইছে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১২

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ চিক্কুর। পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা...

১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

তট রেখা (১) বলেছেন: হিমুর প্যাটেন্ট কি বিক্রি হয়ে গেছে? ভালো লাগল।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৫

পুলহ বলেছেন: প্যাটেন্ট আছে নাকি? আপনার এ বিষয়ে কিছু জানা থাকলে অনুগ্রহ করে একটু জানাবেন, আমি সেক্ষেত্রে গল্প এডিট করে দেবো। আমি নিজে যদিও নেটে তেমন কিছু পাই নি...
পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকা হোক।

১১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৬

মোঃ আলামিন বলেছেন: হাসতে আসতে পেটে খিল ধরে গেলো ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩০

পুলহ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে। পাঠককে আনন্দ দিতে পারলেই লেখাটা স্বার্থক.....
ভালো থাকবেন।

১২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মনসুর বয়াতি যখন ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিচ্ছিলেন, তখন আমি কৌতূহলী গলায় মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলামঃ "আচ্ছা ম্যাডাম, যাদের আঙ্গুল নাই, তাদের রেজিস্ট্রেশন হবে কিভাবে? যেমন পত্রিকায় আমরা অনেক সময় দেখি না, যে - বোম তৈরি করতে যেয়ে দুর্ঘটনাবশতঃ সন্ত্রাসীর হাত উড়ে গেলো। তাদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাটা কি?"
মেয়েটি এবার ঠান্ডা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে তার চেয়েও ঠান্ডা গলায় বললোঃ "কোন কাজের কথা না থাকলে দয়া করে চুপ করে থাকুন। এসব সস্তা রসিকতা করে লাভটা হচ্ছে কি?"
এখানে আমি আমার কোথা থেকে এলো?
যা হোক, ভালো লেগেছে। মজা পেয়েছি।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৩

পুলহ বলেছেন: ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। ঠিক করে দিয়েছি...

১৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫৪

প্রবাসী একজন বলেছেন: "আচ্ছা ম্যাডাম, যাদের আঙ্গুল নাই, তাদের রেজিস্ট্রেশন হবে কিভাবে? যেমন পত্রিকায় আমরা অনেক সময় দেখি না, যে - বোম তৈরি করতে যেয়ে দুর্ঘটনাবশতঃ সন্ত্রাসীর হাত উড়ে গেলো। তাদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাটা কি?
চরমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমম+

হিমুকে খুব মিশ করি............হিমু অনেক কাছের মানুষ ছিল...কোন এক সময়..

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

পুলহ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই লেখাটা সময় করে পড়বার জন্য...
হিমু আমারো অনেক কাছের মানুষ ছিলো, হয়তো এখনো আছে- ঠিক আগের মতই..

১৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

আরজু পনি বলেছেন:

আমি এখন্ও সিম ভেরিফিকেশন করিনি। আমার কী হবে? :(

পড়তে মজাই লাগছিল কিন্তু শেষের লাইনে এসে কেমন কথা লিখলেন ? হুররর

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

পুলহ বলেছেন: আমিও আলসেমি কইরা রেজিস্ট্রেশন করি নাই...
চমক হাসান ভাইয়ের 'গল্পের জাদুকর' গানটা এখনো না শুইনা থাকলে শুইনেন আপু, লিরিক্সটা অন্যরকম।
পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা

১৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

খ।ইরুলব।কু বলেছেন: ভাই নেক্সট এডিশন "হিমুর হাতে বায়োমেট্রিক সিম লিখে ফেলুন"

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

পুলহ বলেছেন: হা হা হা, ভালো বলছেন ভাই!
পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা!

১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন, চমৎকার লাগল। বেশী করে লিখুন। ধন্যবাদ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

পুলহ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ!

১৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
"চৌধুরি সাহেব- আমি গরীব হতে পারি, কিন্তু আমারো বায়োমেট্রিক সিম আছে!" :P

দারুণ লেখা।

আমিতো এখনো সীম নিবন্ধন করি নাই। :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

পুলহ বলেছেন: আমিও করি নাই, হা হা। ধন্যবাদ আপনাকে!

১৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

রিদয় সিকদার বলেছেন: ভাই সত্যি মনটা জুড়াইয়া দিলেন ভাই....।আশা করি লেখাটা চালিয়ে যাবেন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৮

পুলহ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সময় করে লেখাটা পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন

১৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫১

চন্দ্ররথা রাজশ্রী বলেছেন: ভাবুন তো, রেজিস্ট্রেশন ফর্ম জুড়ে কলাগাছের বিশাল একটা ছাপ! B:-/

খুব মজা পেলাম পোষ্ট পড়ে।
লাইক!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

পুলহ বলেছেন: হা হা হা, আপনার কমেন্ট পড়েও আমি খুব মজা পেয়েছি।
ভালো থাকা হোক।

২০| ০২ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: মজার হৈছে লেখা।

০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ

২১| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

উল্টা দূরবীন বলেছেন: মোগা পাইছি!! :)

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ

২২| ০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:০৩

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: লেখায় সাবলীলতা ছিলো। হুমায়ুনের হিমু হয়নি হয়তো, তবে লেখা সুখপাঠ্য ছিলো। যাদের দুইহাতই উড়ে গেলো তাদের জন্য সিম নিষিদ্ধ, তাদের মোবাইল ব্যবহার করবার উপায় নেই। বাংলালিংকের কথাই বললেন কেন? আপনি কি জিপি বিরোধী?

শুভকামনা রইলো। :)

০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:০৮

পুলহ বলেছেন: নারে ভাই, জিপি বিরোধী না। আমি নিজে বাংলালিংক ব্যবহার করি, তাই আর কি...
পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

২৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

রোদেলা বলেছেন: হ্যাপি রিডাইলাম। :)

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

পুলহ বলেছেন: থ্যাংকু আপু!

২৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

জুন বলেছেন: এত কষ্টের বিষয় নিয়া রম্য :| ব্যাপারডা ভালা চোখে দেখলাম্না :(
=p~ :-P
+

০৪ ঠা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

পুলহ বলেছেন: হা হা হা। মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা আপু।

২৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ সকাল ১১:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই নেন

এই নেন



০৪ ঠা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

পুলহ বলেছেন: খাইছে আমারে !!
মন্তব্যে ধন্যবাদ জানবেন ভাই

২৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: বেশ মজা পেয়েছি। কিছু কিছু যায়গায় দুর্দান্ত হিউমার ছিল।
পাবলিকের সাথে আমিও গলা মেলালাম...্ওয়ান মোর....
পরের পর্ব হিসেবে "হিমুর হাতে বায়োমেট্রিক সিম" খারাপ হয়না।

০৪ ঠা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

পুলহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ পলক শাহরিয়ার ভাই।
পাঠ ও মন্তব্যে গভীর কৃতজ্ঞতা

২৭| ০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

আমিই মিসির আলী বলেছেন: চৌধুরি সাহেব!
এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে সিম রেজিস্টেশন করেছি। অফার দিবে বলেছিলো অনেক! কিন্তু দেই নেই।

গরীব হইবার পারি তয় অফার কাতর নই =p~


আপনার লেখা পড়ে মজা পাইলাম।
হিমুর আরো কয়েকটা পর্ব হইলে মন্দ হয় না।

০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

পুলহ বলেছেন: আমার ভুল না হয়া থাকলে ইদানীং একটু অনিয়মিত মনে হয় ব্লগে, ব্যস্ততা যাইতেছে নাকি?
আপনি মজা পেয়েছেন শুনে আমারো ভালো লাগলো আমিই মিসির আলী ভাই।

আরেকজনের সৃষ্ট চরিত্র তো, তাই হিমুকে নিয়ে খুব একতা টানাটানি করতে ইচ্ছা করে না ভাই; তারপরো কিছু কিছু লেখা মনে হয় যে- এখানে হিমুই আসলে সব থেকে ভালোভাবে ফিট করবে, তখনই তাকে নিয়ে লেখার চেষ্টা করি আর কি!
হুমায়ূন স্যার মারা যাবার পর পর একটা গল্প লিখেছিলাম, সময় পেলে সেটা পড়ে দেখতে পারেন। হিমুকে নিয়ে ঐটাই আমার প্রথম লেখা-
http://www.somewhereinblog.net/blog/rubii27/30051114

ভালো থাকা হোক সব সময় !

২৮| ০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আমিই মিসির আলী বলেছেন: হুমমমম। ।
একটু অনিয়ম তো চলছে ব্লগে আসার ক্ষেত্রে।
ব্লগে সমস্যা ছিলো তাই একটু অনীহা ও আছে।


সেরা ব্লগার নির্বাচন নিয়া ব্লগ দূষিত হইয়া গেছিলো।
তবুও আসি।
লেখা জোকা পড়ি।

হিমু নিয়ে লেখা ভালো।


তবে একসময় আমিও মিসিরআলী নিয়া লিখতাম।
কিন্তু এক বড় মাপের লেখক বললো এটা ঠিক না। অন্যের সৃষ্টিকে অনুকরন কইরো না। পারলে অনুসরণ করো।

তখন থেকে বন্ধ করে দিছিলাম।

০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

পুলহ বলেছেন: মিসির আলীকে নিয়ে লেখাটা তুলনামূলক কঠিন হওয়ার কথা, যেহেতু যুক্তির সিড়ি ঠিক (এবং দৃঢ়) রাখতে হয়। হিমুর ক্ষেত্রে অবশ্য সেই সমস্যা নাই, হা হা হা।
ভালো থাকবেন ভাই। পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা !

২৯| ১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: রম্যরচনাটি পাঠ করে নির্মল বিনোদন উপভোগ করলাম। + +

১১ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান। ভালো থাকবেন।

৩০| ১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০৩

রিপি বলেছেন: বাহ চমৎকার লিখেছেন ভাইয়া। অনেক ভালো লাগলো।

১১ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:১০

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ রিপি আপু! আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারো ভালো লাগছে।

৩১| ১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

আলোরিকা বলেছেন: ' হিমুর সিম ভেরিফিকেশন (বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রম্য করার চেষ্টা) ' ---------- হিমুরতো মোবাইল - ই নেই সিম এল কোত্থেকে ?! তার চেয়ে ' মনসুর বয়াতির বায়োমেট্রিক সিম - একটি হিমু সংকলন ' হলে মনে হয় ভাল হত । যা হোক নামে কি আসে যায় রম্য ভাল হয়েছে :)

১১ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

পুলহ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে গভীর কৃতজ্ঞতা জানবেন আলোরিকা । ইচ্ছা ছিলো গল্পের নামে হিমুকে রাখবার, তাই আর কি....
ভালো থাকা হোক সব সময়।

৩২| ১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:২৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: "শয়তান! তুই আমার আঙ্গুল পাবি, কিন্তু ছাপ পাবি না....." হা হা প গে =p~

৩৩| ১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: "আচ্ছা ম্যাডাম, যাদের আঙ্গুল নাই, তাদের রেজিস্ট্রেশন হবে কিভাবে? যেমন পত্রিকায় আমরা অনেক সময় দেখি না, যে - বোম তৈরি করতে যেয়ে দুর্ঘটনাবশতঃ সন্ত্রাসীর হাত উড়ে গেলো। তাদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাটা কি?"..........আরো একবার হা হা প গে :-B

৩৪| ১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: 'আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ'। তাই আঙ্গুলের ছাপ দেয়া, আর কলাগাছের ছাপ দেয়া তো একই জিনিস হওয়ার কথা..."........আরো একবার B-)

৩৫| ১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সব মিলিয়ে এক্কেরে ফাটিফাটা হইছে :D

৩৬| ১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
একটু শরবত না খাওয়াইলে বে অন্যাই হবে :-B

১৪ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

পুলহ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা।
আর গরমে শরবত মানেই তো লা-জওয়াব।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই!
ভালো থাকবেন।

৩৭| ১৪ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

জেন রসি বলেছেন: আমি করিনি এখনো!

হিমুগিরি করব কিনা ভাবছি!!

পড়ে মজা পাইছি। :)

১৪ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

পুলহ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩৮| ১৪ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৪২

শেয়াল বলেছেন: মজারু !!!

১৪ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

পুলহ বলেছেন: ধন্য-বাদারু !

৩৯| ১৯ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

সিলা বলেছেন: লেখক আপনি বললেন জে হিমুকে চেনেন না- এমন বাংলাদেশি খুজে পাওয়াটা
দুঃসাধ্য।
তাহলে আপনাকে জানাই সেই দুঃসাধ্যের মদ্ধে আমি একজন আমি জিবনে কখনো হুমায়ন আহমেদের বই ই পড়িনি একটা বই একবার পড়তে নিয়েছিলাম সবার এতো মাতম ওনাকে নিয়ে ভাবলাম একটু দেখি বইটার নাম দরজার ওপাসে।
পড়ার পর এমন রাগ লাগল জে ধেত সময়টাই নস্ট করলাম।
তাই আর পড়িনা কক্ষনো।
তবে হে আপনার লিখার ঢং এ মজা পাইছি :)

১৯ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

পুলহ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৪০| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৮

এহসান সাবির বলেছেন: হা হা হা....!! দারুন হইছে।
আমার পরিচিত একজন হিমু লিখেছিলো তার টাও ভালো হইছে। আমার মনে হয় আপনাদের মত যারা হিমু লিখছে তাদের সব লেখা নিয়ে বই মেলাতে একটা বই বের করা যেতে পারে। ভালো লাগাটা পাঠকদের উপর ছেড়ে দিতে হবে। আমার মনে হয় হিমু পাগলারা আলোচনা সমালোচনা যাই করুক না কেন তারা সব গল্প গুলো পড়বে।

শুভেচ্ছা রইল।

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৩

পুলহ বলেছেন: আরে এহসান সাবির ভাই যে! ভালো আছেন আশা করি।

আসলে হিমুর যারা কঠিন ফ্যান, তারা হুমায়ূনের হিমুকেই প্রত্যাশা করে। বলা বাহুল্য, সে প্রত্যাশা পূরণ করাটা নিশ্চিতভাবেই অন্যদের জন্য কঠিন। শত হলেও সেটা ছিলো- গল্পের যাদুকরের লেখা হিমু!

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

৪১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১২

লিযেন বলেছেন: চলুক <<<<<<<<

১৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ লিযেন ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.