নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

পুলহ

পুলহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হে অরণ্য কথা কও (ভ্রমণ পোস্ট)

১৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

মহামতি কনফুসিয়াস বলেছিলেন যে- সৌন্দর্য সবকিছুরই আছে, শুধু সেটা আবিষ্কার করবার দৃষ্টি থাকতে হয়।

সে কারণেই বুঝি- সমুদ্র মানে কারো কারো কাছে একগাদা পানি, আবার কারো কাছে জীবন্ত নীল রত্ন-পাথর, নীলকান্তমণি।
পাহাড় বলতে কেউ বোঝেন উচু মাটির দলা, অন্যদিকে কেউবা দেখেন তাকে বিশাল আকাশের সন্তান হিসেবে!

অরণ্য কারো কাছে শুধুই জঙ্গল, আর কারো কারো কাছে যেন রহস্যময়, নিমগ্ন বনভূমি- যার গভীরে অনন্তকাল ধরে আড়াল হয়ে আছে সৃষ্টির অমেঘ কোন মহাসত্য!

সেরকমই এক গহীন অরণ্যের সন্ধানে সপ্তাহখানেক আগে গিয়ে ঘুরে এলাম বৃহত্তর সিলেটের হবিগঞ্জ আর মৌলভিবাজার। হবিগঞ্জে উদ্দেশ্য ছিলো রেমা-কালেঙ্গা বন-ভ্রমণ, আর মৌলভিবাজারে গিয়েছিলাম আদমপুরের জঙ্গলে। আজ আপনাদের সাথে রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য ভ্রমণেরই কিছু অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেবো। আল্লাহ চাইলে পরের পর্বে আদমপুর!

রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য; চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ

বাংলাদেশে একক বন হিসেবে আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় দক্ষিণ-পশ্চিমের সুন্দরবন, আর তার পরপরই প্রাকৃতিক যে বনভূমির কথা বলা হয়ে থাকে- সেটা হচ্ছে রেমা-কালেঙ্গা। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় এই বনের অবস্থান, যার একটি প্রান্তের নাম রেমা, অপর প্রান্তটি কালেঙ্গা। বন সম্পর্কে একাডেমিক সব তথ্য পাঠকগণ নেটেই পাবেন, তাই শুধু শুধু আর সেদিকে গেলাম না। তবে এ বনের ওয়াইল্ড-লাইফ সম্পর্কে কিছু কথা বোধহয় বলাই যায়, কারণ আমার মত শহুরে মানুষদের জন্য এই বিষয়টা নিঃসন্দেহে আগ্রহোদ্দীপক।

রেমা-কালেঙ্গার বনে পাঁচ প্রজাতির কাঠবিড়ালীর মধ্যে বিরল প্রজাতির মালায়ন বড় কাঠবিড়ালীর একমাত্র বসবাস এ বনেই। তিন প্রজাতির বানর কুলু, রেসাস আর লজ্জাবতীর দেখা মেলে এ অভয়ারণ্যে। এছাড়াও আছে মুখপোড়া হনুমান, চশমা হনুমান, উল্লুক, মায়া হরিণ, মেছোবাঘ, বন্যশুকর, গন্ধগোকুল, বেজি, সজারু ইত্যাদি। বনের সরীসৃপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কোবরা, দুধরাজ, দাঁড়াস, লাউডগা ইত্যাদি। (তথ্যসূত্রঃ বিডিনিউজ)

আমরা কি কি দেখলাম? আমরা কাঠবিড়ালী দেখেছি কয়েকবার- বাদামী রঙ্গা আর কার্টুনে দেখানো সাদা-কালো ডোরাকাটাগুলোর মত... বানর দেখেছি প্রথমে রেসাস (সাধারণ বানর আমরা যেগুলো দেখে দেখে অভ্যস্ত), এরপর কুলু বানর। উল্লুকের দেখা মেলাটা কঠিন কারণ আমাদের গাইড বললেন- পুরো বনে উল্লুক নাকি আছেই চারটার মত, তবে ডাক শুনেছি সেটার সারাক্ষণ। বানর জাতীয় প্রাণীর মধ্যে আর দেখা হয়েছে হনুমান।

হরিণ আমরা দেখতে পাই নি (হরিণ অবশ্য এতো সহজে দেখাও যায় না), তবে 'লাউডগা' সাপ দেখা গিয়েছে। সবুজ, চিকন দেহের এক সরীসৃপ- গাছ-পাতা-লতার সাথে মিশে থাকে; আমাদের আওয়াজ পেয়ে শরীরের পেছন অংশটুকু টেনে নিয়ে ঝোপের মাঝে হারিয়ে গেলো!

মেছোবাঘ দেখার কোন প্রত্যাশা ব্যাক্তিগতভাবে আমার ছিলো না, কারণ অনুমান করেছিলাম এগুলো নিশ্চই সংখ্যায় খুব কম হবে, তাছাড়া থাকবেও বনের ভেতরের দিকে। তবে হরিণ দেখার আশাটা মনের গহীনে ছিলো। অবশেষে 'দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানোর মত' করে আমরা 'হরিণ-দেখার সাধ বিষ্ঠায়' মেটাতে সক্ষম হলাম! আমাদের গাইড আমাদেরকে হরিণের 'ল্যাদা' (দুঃখিত পাঠক! এর কোন ভদ্র, অথচ সহজে বোঝার মত প্রতিশব্দ আমি খুজে পেলাম না) দেখালো।

যাই হোক, কথা অনেক হোল, এবার কিছু ছবি দেখা যাক। এখানে একটা বিষয় বলে রাখা ভালো- বনেরও কিন্তু একটা অন্তর আছে, আছে প্রাণোচ্ছ্বল হৃদয়। ছবিতে অরণ্যের বাইরের রূপটাই শুধু চোখে পড়বে, তার হৃদয়ের সৌন্দর্যটুকু থেকে যাবে ধরা-ছোয়ার বাইরে। রেমা-কালেঙ্গা হোক আর অন্য যে কোন বনই হোক- অরণ্যের সে হৃদয়টাকে স্পর্শ করতে চাইলে আপনাকে সশরীরে সেখানে যেতে হবে।

প্রকৃতির সন্তান মানুষ যখন নিজেই আবার প্রকৃতির কাছে ফেরত যায়, তখন প্রকৃতিও তাকে সেভাবেই বরণ করে। মানবসন্তানের প্রতি গভীর বিশ্বাস থেকেই সে উন্মুক্ত করে দেয় তার অদেখা, গুপ্তরূপের ভান্ডার!



I think that I shall never see
A poem lovely as a tree.



A tree that looks at God all day,
And lifts her leafy arms to pray;

--Trees by Joyce Kilmer



I was taken from there,
from a village of sand and rock
to Araucanía, where the rain pours.
I could feel the reality of my delusion-
that made my home there a jungle.



Since then I have loved with the fragrance of wood
Since, all I had touched
became deep, dreamy forest for good..

--পাবলো নেরুদার 'যেখানে বৃষ্টির জন্ম' থেকে



HERE, O my heart, let us burn the dear dreams that are dead,
Here in this wood let us fashion a funeral pyre
Of fallen white petals and leaves that are mellow and red,
Here let us burn them in noon's flaming torches of fire.



We are weary, my heart, we are weary, so long we have borne
The heavy loved burden of dreams that are dead, let us rest,
Let us scatter their ashes away, for a while let us mourn;
We will rest, O my heart, till the shadows are gray in the west.



But soon we must rise, O my heart, we must wander again
Into the war of the world and the strife of the throng;
Let us rise, O my heart, let us gather the dreams that remain,
We will conquer the sorrow of life with the sorrow of song.

In The Forest by Sarojini Naidu



(নীচে ছড়াটা ভালো দেখা যাচ্ছে না, তবে বনে বেশ কয়েকটা ছড়া চোখে পড়েছে। এ ছড়াগুলোই বনে পানির উৎস)



(পাঠক অনুমান করুন তো এটা কি হতে পারে?......... পিপড়ার বাসা!!!!!!!!)



He skips through the copses singing,
And his shadow dances along,
And I know not which I should follow,
Shadow or song!



O Hunter, snare me his shadow!
O Nightingale, catch me his strain!
Else moonstruck with music and madness
I track him in vain!

In The Forest by Oscar Wilde



(এই ছবিতে একটা কুলু বানর আছে, হয়তো বোঝা যাচ্ছে না...)



(একদল হনুমান...)

শেষ করবো রাতের রেমা-কালেঙ্গা আর তার অভিজ্ঞতাটুকু বর্ণনা করে।
শনিবার রাতে ভাত খাওয়ার পর হাটতে বের হয়েছি- আমি আর আমার দুই যাত্রাসঙ্গী। কয়েকঘর দোকান, সাথে দুর্বল বৈদ্যুতিক আলোয় অভয়ারণ্যের মূল প্রবেশপথ ঘেষেই চলছে ইট ভাঙা। এ সুযোগে বলে নেই রেমা কালেঙ্গা বনে ঢোকবার যে প্রবেশপথ- তার থেকেও প্রায় তিন-চার কি.মি. পর থেকে আসলে মূল বনের শুরু। সুতরাং, 'বন ঘেষে ইট ভাঙা' কথাটা টেকনিক্যালি সঠিক হলেও ফ্যাক্ট আসলে ভিন্ন।
যাই হোক- সারাদিন বনে জঙ্গলে হেটে হেটে আমরা সবাই খুব ক্লান্ত, তাছাড়া পরদিন আবার খুব ভোরে উঠতে হবে ওয়াইল্ড-লাইফ দেখার জন্য। বেলা যত গড়ায়, পশু-পাখি বনের তত গভীরে যেতে থাকে, সুতরাং তাদের দেখতে পারার জন্য সব থেকে পারফেক্ট দু'টো টাইমই হোল সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্তের সময়টুকু।
আমরা হোটেলে ফিরে ঘুমিয়ে যাবার আগে শেষবারের মত রাতের বন দর্শনের জন্য মূল ফটক দিয়ে ঢুকলাম। কিন্তু বড়জোড় পঁচিশ ত্রিশ কদম আগানোর পরই মনে হোল আর আগানোটা ঠিক হবে না!
চারপাশে দৈত্যাকৃতি সব গাছ- উপরের আকাশটাকে অনেকখনিই আড়াল করে রেখেছে। টুকরো টুকরো নভোমন্ডল যা-ই বা দেখা যাচ্ছে- সেটা অপূর্ব নক্ষত্র-শোভিত, একেবারেই পরিষ্কার। জমাট অন্ধকারের মত গাছেদের গায়ে জ্বলতে থাকা তারার দল ক্রিসমাস ট্রি এর কথা মনে করিয়ে দেয়। দূরে কোথাও আদিবাসিদের কোন একটা উতসব চলছে বোধহয়, ঢাকের বাড়ির শব্দ শোনা যাচ্ছে নিয়মিত বিরতিতে। প্রচন্ড আওয়াজে ডাকতে থাকা নাম-না-জানা পোকামাকড়ের কোলাহলের পরও কি নিমগ্ন, নিস্তব্ধ পুরো বনভূমি ! অদ্ভূত হলেও সত্য- এমন পরিবেশে কি যেনো একটা হয়! সকল যুক্তি, তর্ক অথবা সতর্কতার অতীত হয়ে মানুষ প্রবেশ করতে চায় বনের আরো, আরো গভীরে। এই আকর্ষণের কোন ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই, শুধু তার সত্যতাটুকুকে জানি; প্রচ্ছন্ন হলেও সে অস্তিত্বময়- এটুকু বলতে পারি!

সে রাতে আমাদের আর বনে ঢোকা হয় নি। গহীন অরণ্যের নৈশকালীন সে ক্ষমতাধর রহস্যটাকে- রহস্যের মতই থাকতে দিয়ে আমরা একটা সময় পর হোটেলে ফেরত এসেছিলাম।

"কাল রাতে চিতাবাঘিনী হরিণের মুখের রূপে ফেনিল হয়ে উঠেছিলো
কাল চৈত্রের জোৎস্নায়
রূপালি শিশির বেগুনী ছায়ার দেশে
জাফরিকাটা জানালার রাজ্যে
সবুজ জাফরান রঙের বাতাসের উষ্ণতায়
প্রান্তরে-প্রান্তরে চাদের আলোর কমলা বর্ণের মদিরার ভিতর
এরা দু'জন অরণ্যের স্বপ্ন তৈরী করেছিলো কাল...."

সুন্দরবনের গল্প, জীবনানন্দ দাশ

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

জেন রসি বলেছেন: প্রকৃতির খুব কাছাকাছি অবস্থান করার অনুভূতি অন্যরকম। বেঁচে থাকাটাকে খুব তীব্র ভাবে অনুভব এবং উপভোগ করা যায়।

১৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

পুলহ বলেছেন: ধন্যবাদ জেন রসি মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকুন!

২| ১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: কতদিন কোথাও যাই না! :(

১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:১৯

পুলহ বলেছেন: আমারো ঘুরাঘুরি আগের মত অতটা নির্ভার হয় না এখন। তাও সুযোগ করতে পারলেই বাইর হয়া যাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হাসান ভাই।

৩| ১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: মহান ব্যক্তির কথাঃ
//মহামতি কনফুসিয়াস বলেছিলেন যে- সৌন্দর্য সবকিছুরই আছে, শুধু সেটা আবিষ্কার করবার দৃষ্টি থাকতে হয়।//

দিয়ে শুরু হওয়া অরণ্যের কথা ভাল লেগেছে। সৌন্দর্য বস্তুতে নয়, মনে - কি চমৎকার কথা !!!!!

ভাল লেগেছে ছোট ছোট বর্ণনাঃ

//বেলা যত গড়ায়, পশু-পাখি বনের তত গভীরে যেতে থাকে, সুতরাং তাদের দেখতে পারার জন্য সব থেকে পারফেক্ট দু'টো টাইমই হোল সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্তের সময়টুকু।//


//চারপাশে দৈত্যাকৃতি সব গাছ- উপরের আকাশটাকে অনেকখনিই আড়াল করে রেখেছে। টুকরো টুকরো নভোমন্ডল যা-ই বা দেখা যাচ্ছে- সেটা অপূর্ব নক্ষত্র-শোভিত, একেবারেই পরিষ্কার। জমাট অন্ধকারের মত গাছেদের গায়ে জ্বলতে থাকা তারার দল ক্রিসমাস ট্রি এর কথা মনে করিয়ে দেয়।//

//অদ্ভূত হলেও সত্য- এমন পরিবেশে কি যেনো একটা হয়! সকল যুক্তি, তর্ক অথবা সতর্কতার অতীত হয়ে মানুষ প্রবেশ করতে চায় বনের আরো, আরো গভীরে। এই আকর্ষণের কোন ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই, শুধু তার সত্যতাটুকুকে জানি; প্রচ্ছন্ন হলেও সে অস্তিত্বময়- এটুকু বলতে পারি! //

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৩

পুলহ বলেছেন: যত্নশীল পাঠকের মন্তব্য, বরাবরের মতই! "সৌন্দর্য বস্তুতে নয়, মনে "-- আপনি গুণী মানুষ দেখেই এতো চমতকারভাবে সারমর্মটুকু তুলে ধরলেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় শামছুল ইসলাম ভাই। ভালো থাকবেন !

৪| ১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এত চমৎকার ভ্রমণ পোস্ট! কি অসাধারণ! খুব ভালো লেগেছে।

১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৪

পুলহ বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য পেলাম, আশা করি ভালো আছেন।
পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই।

৫| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নাম-না-জানা পোকামাকড়ের কোলাহলের পরও কি নিমগ্ন, নিস্তব্ধ পুরো বনভূমি ! অদ্ভূত হলেও সত্য- এমন পরিবেশে কি যেনো একটা হয়! সকল যুক্তি, তর্ক অথবা সতর্কতার অতীত হয়ে মানুষ প্রবেশ করতে চায় বনের আরো, আরো গভীরে। এই আকর্ষণের কোন ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই, শুধু তার সত্যতাটুকুকে জানি; প্রচ্ছন্ন হলেও সে অস্তিত্বময়- এটুকু বলতে পারি!

হৃদয় নিংড়ে বের করা অনুভব :)

দারুন ভ্রমন আর দারুন বর্ণনায় ++++++

১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৭

পুলহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু ভাই। যত্নশীল পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ভালো থাকা হোক সব সময়।

৬| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ইংরেজি লাইন গুলির কারণে পোস্টে অতিরিক্ত গাম্ভীর্য চলে এসেছে ।
আমরা বিশেষ করে আমি বাংলা যত স্বচ্ছন্দে পড়তে পারি ইংরেজি পারিনা । সেখানে এসে পড়ার ছন্দটা নষ্ট হয়ে যায় । (এটা একান্তই আমার মত)
সময় নিয়ে পড়ায় পোস্টটি ভাল লেগেছে । ধন্যবাদ জানবেন ।

১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৩১

পুলহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই লেখাটা সময় করে পড়বার জন্য। আমার এলেবেলে লেখায় আপনার মন্তব্য পাওয়াটা নিঃসন্দেহে আমার জন্য অনেক কিছু।
ভালো থাকবেন।

৭| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

মানস চোখ বলেছেন: / গহীন অরণ্যের নৈশকালীন সে ক্ষমতাধর রহস্যটাকে- রহস্যের মতই থাকতে দিয়ে আমরা একটা সময় পর হোটেলে ফেরত এসেছিলাম।/
রহস্যটা একটু বোঝার চেষ্টা করতেন 'পুলহ'। সুন্দর লেখা এবং কবিতার উদ্ধৃতি লেখাকে আরোও আকর্ষণীয় করছে।
খুবই ভালো লাগলো , ভালো থাকবেন সব সময়!!!!

১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

পুলহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটা সময় করে পড়বার জন্য।
পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

৮| ১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:২৬

মুসাফির নামা বলেছেন: আপনার লেখাটাই ভাল লেগেছে, এরপর জীবনদাকে আনতে গেলেন কেন?দারুণ+

১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

পুলহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মুসাফির নামা ভাই লেখাটা সময় করে পড়বার জন্য।
জীবনানন্দ ছাড়া কি বাংলার রূপের বর্ণনা সম্পূর্ণ হয়, তার উপর আবার আমার প্রিয় কবি- এ সবটা মিলিয়েই আর কি....
ভালো থাকবেন!

৯| ১৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সু্ন্দর সত্যি সুন্দর চোখ দিয়ে অবলোকন করতে হয়। আপনার পোষ্টটি অনেক সুন্দর ।

১৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

পুলহ বলেছেন: আপনার মন্তব্যটিও খুব সুন্দর।
ভালো থাকবেন সুজন ভাই!

১০| ১৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

কৌশিক মোদক বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে বোঝা যাচ্ছে, আপনি আমাদের মত সাধারন ব্লগার ন্ন, আপনি একজন প্রতিষ্ঠিত ভ্রমণ লেখক, আপনার লেখার মধ্যে বিভূতিভূষণ এর প্রভাব খুব বেশি। অসাধারন বর্ণনা।

১৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:০০

পুলহ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হলাম ভাই। তবে বিনয়ের সাথে বলি- আমি নিতান্তই সাধারণ, অসাধারণ হোল আসলে প্রকৃতি; তার গাছ, তার পাখি, সরল মানুষ কিংবা জীবন- এ সবটা মিলে!
"আপনার লেখার মধ্যে বিভূতিভূষণ এর প্রভাব খুব বেশি। "-- আপনি যে লেখাটা হৃদয় দিয়ে পড়েছেন, এই একটি কথাই তার প্রমাণ। হ্যা, বিভূতিভূষণ আমার প্রিয় কথাসাহিত্যিক, ইন ফ্যাক্ট পোস্টের নামটাও তার কাছ থেকে ধার করা!
শুভকামনা জানবেন, সত্যি খুব ভালো লেগেছে আপনার মন্তব্য পড়ে।

১১| ১৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

কৌশিক মোদক বলেছেন: ভ্রমণের মধ্যে যে মনের কথা লুকিয়ে থাকে , সবার পক্ষে তার বর্ণনা করা সম্ভব নয়, আপনি সেই দুর্লভ ব্যক্তি দের মধ্যে পড়েন, যারা লেখার মাধ্যমে ছবি আঁকেন। তাই আপনাদের লেখায় দরকারি তথ্যের হিসাব নিকাশ ছাপিয়ে, অনুভূতির আনন্দ উপচে পড়ে। সুদুর আফ্রিকার দুর্ভেদ্য চাঁদের পাহাড় জংগল থেকে গ্রামবাংলার মিঠে রোদ ছায়া ঘেরা নিশ্চিন্দি পুর কিম্বা জংলি রুক্ষ লবতুলিয়া সবেতেই আপনাদের অবাধ, সাবলীল যাতায়াত। চলতে থাকুন লিখতে থাকুন, যাতে আমরা এই দুনিয়াতে ও স্বপ্ন দেখতে পারি।

১৬ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

পুলহ বলেছেন: এই পোস্টে এ কাজটা আমি খুব সচেতনভাবেই করেছি ! ইচ্ছে করেই যাওয়া-আসার উপায়, সেখানে থাকার ব্যবস্থা কিংবা গাইড/ সিএনজি ভাড়ার হিসাব টাইপের ব্যাপারগুলো এড়িয়ে গিয়েছি। সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম এ জিনিসগুলোও আপনার চোখ এড়ায় নি দেখে ভালো লাগলো....
মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করবার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
ভালো থাকা হোক সব সময় !

১২| ১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫১

অগ্নি সারথি বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন পোস্ট শুধু ছবিগুলো খুব ভাল আসেনি। অনেক কিছু দেখবার স্বাধ ছিল কিন্তু অনুপস্থিত তবে বর্ননা চমৎকার।

১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০৭

পুলহ বলেছেন: ছবি সব গুলোই স্মার্ট ফোনে তোলা, তাছাড়া কিছু ছবি হারায়াও গেছে। তবে সব চেয়ে বড় সমস্যা সম্ভবতঃ ছবিগুলার সাইজ। বড় কইরা দিতে পারলে বোধহয় আরেকটু ভালো লাগতো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই লেখাটা সময় করে পড়বার জন্য। ভালো থাকবেন !

১৩| ২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার শিরোনামে চমৎকার একটি ভ্রমণ পোস্ট। সাথে কবিতার পংক্তিগুলো এর আকর্ষণ আরো কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
A tree that looks at God all day,
And lifts her leafy arms to pray;
- অসাধারণ এ দুটো চরণ!

২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

পুলহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান । সময় নিয়ে লেখাটা পড়বার জন্য কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন।

১৪| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৩

এহসান সাবির বলেছেন: মেছোবাঘ, বন্যশুকর, সজারু কি আসলেই এখন ওখানে আছে? আমি ছোট বেলাতে আমাদের বাড়ির পাশে ছোট ছোট ঝোপ ঝাড়ে সজারু দেখেছি। এখনকার বাচ্চা কাচ্চা রা বই দেখে সাজারু চেনে।

পোস্টে +

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৭

পুলহ বলেছেন: ওগুলো থাকলেও অনেক ভেতরের দিকে, ভাগ্য ভালো হলে হয়তো দেখা যায়...
পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.